| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সিসিলিয়ান
যে কথাগুলো খোলা মেলা বলতে পারি নাহ মনের সেই কথা গুলো বলার জন্য এসেছি এখানে। সমস্যা একটাই জানি কম বুঝি বেশি
সংবাদ সম্মেলন শেষ হয়নি সমালোচনার ঝড় উঠে গেল। ওয়েল একজন সজ্ঞানে জামাত বিরোধী পাবলিক হওয়ার কারনে মনটা খারাপ হয়ে গেল ভালোরকম। কিন্তু সেই সজ্ঞানে বিবেচনা করে দেখলাম যে খালেদা ম্যাডাম একেবারে ভুল বলেননি। কারন এক সংবাদ সম্মেলনে "রাজনৈতিক বিবেচনায়" জামায়াত কে ছেড়ে দেওয়ার অবস্থা নাই, ২ বছর ধরে এই প্রসেসে আগালে হত, এখন নাহ। কারন গুলোই বলবঃ
# প্রথমেই যারা খালেদা জিয়ার তুলোধোনা করছেন তাদের সম্পর্কে বলি, তারা সেই ২০১১ থেকে তাঁর নামে যা ছড়ানোর ছড়িয়েছেন। আই এস আই এর টাকা বেলুচ পার্টিকে দেওয়া হইছিল এইটা প্রমানের পর কিন্তু আজকে সেই কথা নিয়ে স্যাটায়ার হয়। জঘন্য একটা জিনিস ছড়ানো হয় যে “ফালু খালেদার সম্পর্ক”। ওয়েল এই সব অন লাইন হিরো কে যে আমরা গুরু বলে মানি তাদের ইমোশন কেন দেখবেন বেগম জিয়া! এদের ভোট কিন্তু কোনদিন তার বাক্সে পরবে নাহ।
# লাত্থি মেরে বেজন্মা জামায়াত শিবির বের করে দিতে হবে। কিন্তু কি ভাবে দেওয়া হবে লাত্থি? ফাস্ট স্টেপ শাহবাগের গন জাগরন। কিন্তু আমরা যারা এই গন জাগরন কে সমর্থন করি তারা নিজেরা করলে হবে নাহ, নিজের পরিবার , প্রতিবেশী বন্ধু বান্ধবদের বুঝাতে হবে কেন আমরা জাশি কে বর্জন করতে চাই। বুঝাতে পারছি তাদের? খোজ নিবেন তো, আমি কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী লোকের মধ্যে থেকে খোজ নিয়ে একটু তব্দা খাইছি।
৪০-৫০-৭০ যে সংখ্যার লোক মারা গেছে , তাতে আমাদের মিডিয়ার নিউজ কি ছিল? সহিংসতায় এত জনের মৃত্যু। কোথাও লিখা ছিল, “প্রান দিল অপশক্তির ৩০ জন” “স্বাধীনতা বিরোধী ৪০ জনের মৃত্যু, শহীদ হলেন ৩ জন পুলিশ”। জ্বি নাহ , কেউ লিখেননি। কেন লিখেননি? প্রশ্ন থাকল?
কিন্তু এর ইফেক্ট কি, বিদেশী বিনিয়োগকারী যেটা দরকার আমাদের জন্য সেটার অর্ধেক নাই হয়ে যাবে এই কদিনে, ইমপ্যাক্ট পড়বে শেয়ার মার্কেটে, দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে। দেশ চালাতে ভাইরে অর্থনীতি লাগে, পেটে লাত্থি পড়লে বিবেক কাজ করে নাহ কিন্তু।
# খালেদা জিয়ার পূর্ণ বক্তব্য মন দিয়ে পড়ুন, কোন ভাই কি লিখল সেটা নাহ দেখে সামগ্রিক অবস্থা বিবেচনা করুন এইখানে
তাঁর দলের দরকার ভোট, কারন জানেন নেক্সট টার্মে লীগ গেলে তাদের মোটামুটি নিশ্চিহ্ন করে দেবে। আর তাঁর এই বক্তব্যে তাঁর ভোট কমবে নাহ বরং বাড়তে পারে। কারন ভোট খালি তরুণদের নাহ, তাদের বাপ মা, বাসার কাজের লোক এরাও দেয়। সো বৃহৎ অংশের মন রক্ষাই বেটার। আর লীগ, এই বিচার কে পুঁজি করে আগাবে। এতদিনে কি তারা এত ক্ষমতা নিয়ে পারলো নাহ জামায়াত কে নিষ্ক্রিয় করতে? বিচার আরও দ্রুত বাস্তবায়ন করতে?
কিছু লীগার কাম ব্লগার বলছেন সামনে বার জামায়াত কে নাই করে দিতে চাইলে লীগ কে ভোটান ( তাদের মেইন উদ্দেশ্যে তারা চইলা আসছে) আমি সিসিলিয়ান বলছি, লীগ ক্ষমতায় গেলে জামায়াতের বাল করবে!
কারন স্বাধীনতা বিরোধীকে এই শক্তি বাংলাদেশে বেড়ে উঠার জন্য বি এন পির দোষ ৬০ পারসেন্ট হলে লীগের দোষ ৪০ পারসেন্ট।
সো শেষ কথা এইটা নোংরা রাজনীতি ভুলে যদি চান জামায়াত ভূত দেশ থেকে দূর করতে ঠান্ডা মাথায় নামুন। দুই দল কে সুযোগ দিন। গোলাপী বেগম বলে চিৎকার না কইরা ভদ্র ভাষায় সমালোচনা করুন বিএনপির। এই দল স্টিল নাউ ৩ কোটি ভোটের প্রতিনিধিত্ব করে কিন্তু। আওয়ামী লীগ সরকারে, তাদের দায় বদ্ধতা বাড়ান। গ্রামের দিকে দল বেধে যান, সাধারন মানুষ কে বুঝান কেন জামায়াত শিবির প্রতিহত করতে হবে। সোজাসুজি বলতে গেলে সবাই শাহবাগের দিকে ছুটেন নাহ, শাহবাগ কে গ্রাম থেকে গ্রামে ছড়িয়ে দিন। তাহলেই সম্ভব জাশি কে দূর করার। নতুবা কিছুই হবে নাহ। মাঝখানে বি এনপি লীগ যে দুভাগ ছিল সে দুভাগ আরো বড় হবে, জাতীয় সমস্যায় পড়লে এক হতে পারবো নাহ কখনই। লাভের গুড় খাবে জামায়াত।
©somewhere in net ltd.