নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম - এম. জুবের রহমান। পেশায় একজন প্রকৌশলী। এ পর্যন্ত বাসা পরিবর্তন করেছি ২৪ বার , বাংলাদেশের পাড়া গাঁ থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি পর্যন্ত । জেলা শহর, রাজধানী সব জায়গাতেই বসবাস করেছি ,বস্তিবাসী থেকে মিলিওনেয়ার সবার সাথেই মিশেছি।

পথ হতে পথে

‘সবার সুখে হাসব আমি, কাঁদবো সবার দুখে, নিজের খাবার বিলিয়ে দিব অনাহারির মুখে।’

পথ হতে পথে › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্যালিফোর্নিয়ার মৃত্যুপুরী ন্যাশনাল পার্ক (ডেথ ভ্যালি )

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:৩৮

লোক মুখে শুনা যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক প্রযুক্তি তৈরীর শুরুর দিকে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানোর জন্য জনমানবহীন এই এলাকা ব্যবহার করেছে । এ নিয়ে অনেক মুভি , গল্প ,উপন্যাস বেরিয়েছে - যেগুলিতে মূলত তেজস্ক্রিয় বিকিরণের ক্ষতিকর প্রভাব তুলে ধরা হয়েছে । যেমন - দি হিল হ্যাভ আইস , গল্প টা এরকম একটি পরিবার এই ডেথ ভ্যালি দিয়ে যাওয়ার সময় গাড়ি বিকল হয়ে এক জায়গায় আটকা পড়ে এবং পরবর্তীতে পুরা পরিবার উধাও হয়ে যায় । মূলত তেজস্ক্রিয় বিকিরণের শিকার আদিবাসীদের হাতে পরিবারের সব সদস্য এক এক করে মারা পড়ে । এই ঘটনার অনুসন্ধানে এক দল মার্কিন সেনা উক্ত ঘটনাস্থলে গেলে তাদের অনেকেও একই পরিণতি বরন করে । কিভাবে তেজস্ক্রিয় বিকিরণ আদিবাসীদের শারীরিক , মানসিক পরিবর্তন সহ সমাজ কাঠামো ধ্বংস করে তাদের মধ্যে প্রতিশোধ স্পৃহা তৈরী করেছে তা অতন্ত্য সুন্দর ভাবে তুলে ধরা হয়েছে ।

তো মূলত গিয়েছিলাম লাস ভেগাস এ একটি কনফারেন্স এটেন্ড করতে । ভার্সিটি থেকে আরো অনেকে গিয়েছে । পাঁচ দিনের লম্বা প্রোগ্রাম , সব সেশন আবার আমাদের কাজের সাথে সম্পর্কিত নয় । তাই কয়েক জন মিলে গাড়ি ভাড়া করে আশে-পাশে দর্শনীয় জায়গা দেখার সিদ্ধান্ত হলো । তার মধ্যে ডেথ ভ্যালি একটা । মূলত মরুভুমি এলাকা । গাছ পালা বিহীন মরা পাহাড় , কিন্তু মাটির রং অসাধারণ । গোল্ডেন ক্যানিয়ন এ গেলে মনে হয় যেন কোন আর্টিস্ট হাতে তুলি নিয়ে বিভিন্ন রঙের পোঁচ দিয়েছে । সূর্যের অবস্থান পরিবর্তনের সাথে সাথে পাহাড়ের রং ও পরিবর্তন হয় । সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত এর দৃশ্য দেখার জন্য প্রচুর মানুষ ভিড় করে ।

যুক্তরাষ্ট্রে হাইকিং মোটামুটি জনপ্রিয় । হাইকিং এর জন্য ডেথ ভ্যালি আদর্শ জায়গা , পাহাড়ের উচ্চতা খুব বেশি নয় তবে দৃশ্য অসাধারণ । তবে প্রচুর পানি সাথে রাখতে ও পান করতে হবে , নতুবা dehydration ও সান স্ট্রোক হতে পারে । পাহাড় ছাড়াও দেখার মতো আরো কিছু সুন্দর জায়গা আছে, যেমন ডেভিলস গল্ফ কোর্স - crystalline সল্ট এর ময়দান , কোন এক সময় হয়তো এখানে সমুদ্র ছিল , এখনো একটি জায়গা আছে যেটা সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২৬ ফিট নিচে অবস্থিত , জায়গাটার নাম ব্যাড ওয়াটার বেসিন ।

আরেকটা আকর্ষণ হলো রাতের তারা দেখা ,আশে-পাশে প্রায় ৫০ বর্গ মাইল এলাকায় বৈদ্যুতিক আলো নাই বিধায় রাতের তারা ঝক ঝক করে , আকাশ পরিষ্কার থাকলে জোডিয়াক এর আলো ও দেখতে পাবেন - সত্যি অসাধারণ, অপূর্ব।

বি: দ্রঃ আমার ছবি তোলার হাত ভালো নয় , ছবি গুলি সহযাত্রী (বর্তমানে ক্যালিফোর্নিয়ার নাম করা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক) হতে সংগৃহীত ।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৪

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: জানলাম,ধন্যবাদ আপনাকে।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:৩০

পথ হতে পথে বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই ।

২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: ডেথ ভ্যালি নিয়ে হুমায়ূন আহমেদ লিখেছিলেন।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:৩১

পথ হতে পথে বলেছেন: প্রিয় লেখকের লেখাটি পড়ার ইচ্ছা রইল ।

৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আরো পড়তে ইচ্ছে হচ্ছিল :)

কিন্তু শেষ!!

ভাল লাগলো
+

৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:৩২

পথ হতে পথে বলেছেন: ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.