নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিলয়ে জাগে প্রাণ

সিদ্ধার্থ আনন্দ

সিদ্ধার্থ আনন্দ

i m nobody

সিদ্ধার্থ আনন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারতে নিষিদ্ধ হলো 'বিটি বেগুন'

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:৪০

(গতকাল ব্লগে হাইব্রীড বীজের উপর মহাত্না ফরহাদ মজহারের একখানা সাক্ষাৎকার পড়েছিলাম । সাক্ষাৎকারটি নিয়ে ছিলেন কাজী সায়েমুজ্জামান । গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষাৎকার । হাইব্রীড সম্পর্কিত একটা লেখা প্রকাশিত হয়েছে আজকের কালের কন্ঠে। ঘটনাটি ভারতের। কিন্তু যে অপবিজ্ঞান এবঙ রাজনীতি এতে জড়িয়ে আছে, তা আমাদের দেশের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তাই লেখাটি এখানে শেয়ার করলাম।)



জিনপ্রযুক্তির মাধ্যমে উদ্ভাবিত 'বিটি বেগুন' বাজারজাত করার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ভারত। ব্যাপক সমালোচনা ও প্রতিবাদের মুখে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে দেশটির পরিবেশমন্ত্রী জয়রাম রমেশ এ নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেন। গত অক্টোবরে ভারত সরকারের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাপ্রোভাল কমিটি (জিইএসি) জিনপ্রযুক্তির বেগুনের বীজ বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাতকরণের অনুমোদন দেয়। দেশটির বিভিন্ন মহল এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে। বিটি বেগুনই জিনপ্রযুক্তির মাধ্যমে উদ্ভাবিত প্রথম সবজি হিসেবে বাজারজাতের অনুমতি পেয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশ জিনপ্রযুক্তির সয়া, ভুট্টা, তুলা উৎপাদন করলেও কোনো দেশই এ প্রযুক্তির সবজি চাষের অনুমতি দেয়নি।

জয়রাম রমেশ গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ভারত নিরপেক্ষভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে বিটি বেগুন বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাত করতে দেবে না। তিনি বলেন, জিনপ্রযুক্তির মাধ্যমে উদ্ভাবিত এ বেগুনের বীজ বাজারে ছাড়তে কোনো তাড়া নেই ভারতের। তাই নিরপেক্ষ বৈজ্ঞানিক গবেষণার মাধ্যমে জনগণের সন্দেহ দূর হলেই কেবল এ বীজ বাজারে ছাড়ার অনুমতি দেওয়া হবে। গবেষণার মাধ্যমে মানুষের শরীর ও পরিবেশের ওপর এ বেগুনের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব দেখা হবে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, 'জনগণের নিরাপত্তার খাতিরে এ উদ্যোগ নিচ্ছি আমি।'

বর্তমানে ভারতে প্রায় আড়াই হাজার ধরনের বেগুন উৎপাদিত হয়। অন্যান্য সবজির মতোই এসব বেগুনের ক্ষেতে পোকামাকড়ের প্রকোপ দেখা দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান মোনসান্টো ও ভারতের প্রতিষ্ঠান মাহিকো যৌথভাবে জিনপ্রযুক্তির মাধ্যমে বিটি বেগুন উদ্ভাবন করে দাবি করে, এ বেগুনে কীটনাশকের ব্যয় অর্ধেক কমে যাবে, ফলনও হবে বেশি। জিইএসি এ বীজ বাজারে ছাড়ারও অনুমতি দেয়। সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরই এর বিরোধিতা শুরু করে পরিবেশবাদী ও কৃষকরা। তারা অভিযোগ করে, জিনপ্রযুক্তির মাধ্যমে উদ্ভাবিত এ সবজি উৎপাদনের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য ভারতকে ব্যবহার করা হচ্ছে। এ সবজির মাধ্যমে মানুষের শরীরে ক্যান্সারের মতো দীর্ঘমেয়াদি রোগের জীবাণু ছড়িয়ে পড়বে। এ বেগুনের সত্যিকার প্রভাব জানার জন্য নিরপেক্ষ গবেষণারও দাবি জানায় তারা। বাজারে এ বেগুন ছাড়ার একজন বিরোধী বলেন, 'আমরা গিনিপিগ নই। আমাদের গবেষণার জন্য ব্যবহার করা যাবে না।' সাধারণ মানুষের পাশাপাশি ১১টি রাজ্যের সরকারও বিটি বেগুন বাজারে ছাড়ার বিরোধিতা করে। ভারতের শীর্ষ বেগুন উৎপাদনকারী এসব রাজ্যের সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, এ বেগুন চাষের অনুমতি দেবে না তারা।

জনগণের বিরোধিতার কারণেই বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য মাঠে নামেন পরিবেশমন্ত্রী নিজে। গত কয়েক সপ্তাহে জয়রাম রমেশ পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষ্যা, বিহার, গুজরাট, মহারাষ্ট্র, চণ্ডিগড়, কর্নাটক ও হায়দ্রাবাদ রাজ্যে সফর করে স্থানীয় মানুষের জনমত যাচাই করেন। এ সময় জিনপ্রযুক্তির এ বেগুনের বিরোধীদের পাশাপাশি পক্ষের কথাও শোনেন তিনি। এক মহিলা কৃষক মন্ত্রীকে বলেন, 'বিটি তুলা আমাদের উৎপাদন বাড়িয়েছে। বিটি বেগুনও কারো ক্ষতি করবে না।' জনমত যাচাইয়ের পরই গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বিটি বেগুন বাজারজাত করার সিদ্ধান্ত স্থগিত করার ঘোষণা দেন তিনি।

কেন বিরোধিতা

কৃষকরা সাধারণত নিজেদের ফসল থেকেই পরবর্তী বছরে চাষের জন্য বীজ সংগ্রহ করেন। জিনপ্রযুক্তির শস্য চাষের জন্য বিশেষ বীজের প্রয়োজন। ফসল থেকে এ ধরনের বীজ সংগ্রহ করা যাবে না। বীজের প্রযুুক্তি উদ্ভাবকরাই কেবল তা উৎপাদন করতে পারবে। ফলে প্রতিবছরই নির্দিষ্ট একটি কোম্পানির কাছ থেকে বীজ কিনতে হবে কৃষকদের। কৃষকরা আশঙ্কা করছেন, বীজের ওপর একাধিপত্যের কারণে ইচ্ছামতো দাম বাড়াবে উৎপাদক কোম্পানি। পরিবেশবিদরা বলছেন, জিনপ্রযুক্তির মাধ্যমে উদ্ভাবিত বিটি বেগুন মানবশরীরে দীর্ঘমেয়াদি রোগের তৈরি করতে পারে। পরিবেশেরও ক্ষতি করবে এ বীজ।

ভারতে অবশ্য ২০০২ সাল থেকে জিনপ্রযুক্তির শস্য উৎপাদিত হচ্ছে। তবে এ প্রযুক্তির কেবল তুলাই চাষ হয় ভারতে। বিশ্বের অন্য কোনো দেশে জিনপ্রযুক্তির সবজি উৎপাদন না হওয়ায় বিটি বেগুনের বিরোধিতার অন্যতম কারণ।

যুক্তরাষ্ট্রের লবিং!

বিশ্বে জিনপ্রযুক্তির মাধ্যমে উদ্ভাবিত শস্যের সবচেয়ে বড় বীজ উৎপাদক প্রতিষ্ঠান হলো যুক্তরাষ্ট্রের মোনসান্টো। কেবল গত বছরই এ প্রতিষ্ঠান বীজ বিক্রি করে এক হাজার ১৭০ কোটি ডলার আয় করে। ভারতে বিটি বেগুন বাজারজাত করারও মূল উদ্যোক্তা ওই কোম্পানি। তাদের দাবি, জিনপ্রযুক্তিতে বেগুন চাষ করলে আগের তুলনায় অনেক বেশি ফলন হবে।

ভারত বিটি বেগুন বাজারজাতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় প্রতিষ্ঠানটির অর্থনৈতিক ক্ষতি হলো। ভারতের কয়েকটি গণমাধ্যম জানিয়েছে, বিটি বেগুনবিরোধী সিদ্ধান্ত ঠেকাতে গত সোমবার রাতে ভারতে আসেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের বিজ্ঞানবিষয়ক উপদেষ্টা নিনা ফেডোরফ। তবে তাঁর সঙ্গে দেখা হওয়ার আগেই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন জয়রাম রমেশ। এর আগে তিনি বলেছিলেন, বুধবার (্আজ) 'বিটি বেগুন' নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হবে। অনেকে ধারণা করছেন, ফেডোরফের আগমনের খবর পেয়ে তড়িঘড়ি করে গতকালই সংবাদ সম্মেলনে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন রমেশ। সূত্র: বিবিসি অনলাইন, এএফপি, জিনিউজ।

মন্তব্য ২৯ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (২৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১১:০৮

নাজিম উদদীন বলেছেন: খুবই ভাল উদ্যোগ।

২| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১১:১৫

প্রতিদিন রিটার্নস বলেছেন: ত্রিশোনকু বলেছেন: লুংগী-মঝার যা বলে তাতে আমি আমার বর্জও ফেলিনা।

ত্রিশঙ্কুর বয়সের লগে এইরম হালকামো ভাব যায় না। লেখায় প্লাস।

৩| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১১:১৯

নাজিম উদদীন বলেছেন: মজহারকে পসন্দ না করার কারণে জীন প্রযুক্তি পসন্দ করা , বিরোধীতার খাতিরে বিরোধীতা করা। You may not like him but you can't ignore him.

৪| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১১:৪০

ঘোর-কলিযুগ বলেছেন: @ ত্রিশোঙ্কু, মানসিক সুস্থ্যতা আপনার নাই। ফলে কথা বলা বেকার। যে কোনো কিছু ত্যাগের ইচ্ছা যত্রতত্র প্রকাশ করার মধ্যে আপনার লুজ মোশন পরিষ্কার হইল, বেশি কিছু না।

৫| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১১:৪৩

প্রতিদিন রিটার্নস বলেছেন: নাজিম উদদীন বলেছেন: মজহারকে পসন্দ না করার কারণে জীন প্রযুক্তি পসন্দ করা , বিরোধীতার খাতিরে বিরোধীতা করা। You may not like him but you can't ignore him.

ঘোর-কলিযুগ বলেছেন: @ ত্রিশোঙ্কু, মানসিক সুস্থ্যতা আপনার নাই। ফলে কথা বলা বেকার। যে কোনো কিছু ত্যাগের ইচ্ছা যত্রতত্র প্রকাশ করার মধ্যে আপনার লুজ মোশন পরিষ্কার হইল, বেশি কিছু না।

হ। সেটাই।

৬| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১১:৫০

সেতুমিআমি বলেছেন:

একজন ত্রিশোনকুর জন্য সত্যিকার কথারা অপেক্ষা করবে না।

প্রাণ ও পরিবেশ নিয়ে পুঁজি ও সাম্রাজ্যবাদ বিজ্ঞানকে যেখানে নিয়ে গেছে
সেখানে পরিবেশ প্রকৃতি বিষয়টা যতোটা রহস্যময় আজ আর সাম্রাজ্যবাদের জ্ঞান ও রাজনীতি ততোটাই কাছা খোলাদের মতো পরিস্কার হয়ে উঠছে। কিন্তু ত্রিশোনকুরাদের কাছে তাদের অপতৎপরতা,অপবিজ্ঞানের খড়গ প্রকৃতির মতোই এখনো অস্পষ্ট আর রহস্যময় হয়ে আছে।


একদিন বুঝিবে সোনা যখন সামনে আর পিছনে দেয়াল উঠে যাবে।

৭| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১১:৫৯

প্রতিদিন রিটার্নস বলেছেন: একদিন বুঝিবে সোনা

৮| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:১৮

মগ্নতা বলেছেন: comment by: ত্রিশোনকুর কমেন্ট অপ্রাপ্ত বয়স্ক।

৯| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:১৯

মগ্নতা বলেছেন: +

১০| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:২৩

টংকার বলেছেন: প্রতিদিন রিটার্ন
সেতুমিআমি
প্রতিদিন রিটার্নস
ঘোর-কলিযুগ


আসলে ফরহাদ মজহারের কার্জ কলাপ, তার আদর্শচু্যতি এবং সর্বোপরি জামাতের সাথে তার সখ্যতা আমাকে এতই উত্তেজিত ও রাগান্বিত করে যে আমি আমর রাগ সামলাতে পারিনা।

তবে এই পোস্ট বোধ করি আমার রাগ ঝারার স্থান নয়।

আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত আমার মন্তব্য দিয়ে আপনাদেরকে আহত করাতে।

১১| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:২৬

নাজিম উদদীন বলেছেন: ত্রিশনকুই কি টংকার ?

১২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:৩১

টংকার বলেছেন: জী নাজিম। ত্রিশোনকু দিয়ে লগইন করতে পারছিনা বলে ভুল বোঝাবিঝি হবার আগেই লগ ইন করলাম টংকার দিয়ে।

১৩| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:৩৫

টংকার বলেছেন: এটা আমার খুবি নিকটাত্মীয়ের ব্লগ। আমর কমপিউটার ব্যভার করে ও প্রায়ই।

১৪| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:৪০

মগ্নতা বলেছেন: @ টংকার এবং ত্রিশঙ্কু, আপনের দ্বিতীয় মন্তব্য পইড়া ভাবতে বসলাম, কারো নাম শুইনা অপ্রকৃতস্থ হয়া যাওনের মত অবস্থা থাকলে পরে তার সুস্থ চিন্তা করার শক্তি-বিবেচনা আদৌ আছে কিনা। আপনের ইতিহাস স্মৃতিকথা সিরিজের পুরাটাই তখন কেউ কেউ অপ্রকৃতস্থ'র প্রলাপ কইলে দোষ দেওন যাইব না।

১৫| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:৪৭

মাসুদ জাকারিয়া বলেছেন: কৃষকরা সাধারণত নিজেদের ফসল থেকেই পরবর্তী বছরে চাষের জন্য বীজ সংগ্রহ করেন। জিনপ্রযুক্তির শস্য চাষের জন্য বিশেষ বীজের প্রয়োজন। ফসল থেকে এ ধরনের বীজ সংগ্রহ করা যাবে না। বীজের প্রযুুক্তি উদ্ভাবকরাই কেবল তা উৎপাদন করতে পারবে। ফলে প্রতিবছরই নির্দিষ্ট একটি কোম্পানির কাছ থেকে বীজ কিনতে হবে কৃষকদের। কৃষকরা আশঙ্কা করছেন, বীজের ওপর একাধিপত্যের কারণে ইচ্ছামতো দাম বাড়াবে উৎপাদক কোম্পানি। পরিবেশবিদরা বলছেন, জিনপ্রযুক্তির মাধ্যমে উদ্ভাবিত বিটি বেগুন মানবশরীরে দীর্ঘমেয়াদি রোগের তৈরি করতে পারে। পরিবেশেরও ক্ষতি করবে এ বীজ।

১৬| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ২:৪২

পি মুন্সী বলেছেন: সত্যিই ত্রিশোনকু আপনার জন্য করুণা হচ্ছে।
বয়স হলে তো মানুষের ধী-শক্তি বাড়ে; আপনি এটা কী করলেন!

প্রথমত আপনি আপনার অপছন্দের একজনের নাম বিকৃত করে উফাস করার চেষ্টা করলেন। এর মানে হলো আপনিও অন্যদের আপনার নাম বিকৃত করে উফাসমূলক বাক্য লিখতে উদ্বুদ্ধ করলেন। দাড়ালো এই যে নিজেই নিজেকে উপহাস করলেন।

আবার দেখছি পরে ব্যাখ্যা দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। ভাল।
আপনার চোখে কাউকে "তার আদর্শচ্যুতি এবং সর্বোপরি জামাতের সাথে তার সখ্যতা" হয়েছে মনে হতেও পারে। কিন্তু তাই বলে বলবেন, "আমাকে এতই উত্তেজিত ও রাগান্বিত করে যে আমি আমার রাগ সামলাতে পারিনা" - এটাও কী ব্যাখ্যা ন্যায্যতা হতে পারে।

আবার বলছেন, "তবে এই পোস্ট বোধ করি আমার রাগ ঝারার স্থান নয়" - এর মানে কী নিজের পোষ্টেও "উত্তেজিত ও রাগান্বিত" হয়ে "আপনার রাগ না সামলানো" ভয়ঙ্কর কাজ করবেন? আচ্ছা এই কাজ করার জন্য কী আমরা লিখতে বসতে পারি। মা স্বরস্বতী আমাদেরকে রক্ষা করুন।

আমরা যে যা করি তা করার জন্য অন্যদেরও ঠিক একই জিনিষ করার জন্য অজান্তেই দুয়ার খুলে দেই; আহ্বান জানাই।
আপনি আপনার এই মন্তব্য দিয়ে আর কাউকে না নিজেই নিজেকে আহত করেছেন। কামনা করি আপনার ক্ষত শুকিয়ে উঠুক।

১৭| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ২:৫৩

পি মুন্সী বলেছেন: খুবই দুঃখিত সিদ্ধার্থ আনন্দ, আপনার পোষ্ট মন্তব্য করতে এসে আগেই অন্যকিছু নিয়ে পরতে হয়েছিল।

অনেক ধন্যবাদ কালের কন্ঠ আমার দেখা হয় নাই, জানতে পারলাম।

তবে, ভারতের বেগুন বিতর্ক নিয়ে ডয়েচভেলে ভারতের আভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সমস্যার কিছু ইঙ্গিত দিয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে এটা পরিবেশ মন্ত্রী জয়রাম রমেশের জিএম (জেনিটিক্যালি মডিফায়েড) কৃষির বিরুদ্ধে পরিবেশ বোধ থেকে নেয়া কোন সিদ্ধান্ত নয়, ক্ষমতাসীন জোটের আভ্যন্তরীণ - কৃষি মন্ত্রী সরোদ পাওয়ার (প্রাক্তন কংগ্রেসী)কে মোকাবিলা। Click This Link


১৮| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৩:০০

মেটালিফেরাস বলেছেন: @ পি মুন্সী। ত্রিশোনকু তার ঐ "উত্তেজিত ও রাগান্বিত হয়ে রাগ না সামলানো" ব্যাপারটা নিজের পোস্টে দেখিয়েছেন। "প্রতিবিপ্লবী"র কমেন্টের উত্তরে রাগান্বিত কমেন্ট করে হুমকি দেয়ার পর সেও গালাগাল দিলে তিনি তাকে ব্লক করেছেন। আমি প্রথম থেকেই তার ঐ পোস্ট পড়ছি, কিন্তু কমেন্ট করছি না, কারণ সমগ্র সিরিজটা স্ববিরোধীতায় পূর্ণ। থাক সে কথা।

আজ কালের কণ্ঠে লেখাটা পড়লাম। অন্তত ভারত যে সময় মত জিএসি প্রযুক্তিকে প্রতিহত করতে পারছে, কিংবা নিষিদ্ধ করতে পেরেছে সেটা নিশ্চই সাহসীকতার পরিচয়। আমেরিকার মুখের উপর "না " বলা শিখতে আমাদের যত বেশি সময় লাগবে ততই আমরা নিজেদের ক্ষতি করে যেতে থাকব।

১৯| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৩:০০

পি মুন্সী বলেছেন: সরি,
উপরে লিঙ্কের ঠিকানা, ডয়েচ ভেলে নিজেই বদলিয়ে এখন এটা করেছে। Click This Link

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ১০:৩৯

সিদ্ধার্থ আনন্দ বলেছেন:
লিংক দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।।

২০| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৩:১৬

পি মুন্সী বলেছেন: মেটালিফেরাস@,
ভারতের "সাহসীকতার পরিচয়" বা "আমেরিকার মুখের উপর "না " বলা " - কি না সে সিদ্ধান্তে আসার আগে উপরের লিঙ্কটা দেখতে বলব।

২১| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৩:৩৪

মেটালিফেরাস বলেছেন: @পি মুন্সী। লিঙ্কটা পড়লাম। এটা হতে পারে। তবে শারদ পাওয়ারকে "দেখে নেওয়ার" জন্য একটা মাল্টিন্যাশনাল কর্পোরেশনকে চটাবে সেটা খুব বিচক্ষণতার পরিচয় নয়। পাওয়ারকে জব্দ করার জন্য তারা শাহরুখ কে ব্যবহার করছে। আবার কংগ্রেসকে এক হাত নেয়ার জন্য পাওয়ার বাল ঠাকরের বাড়িতে ধর্ণা দিচ্ছে। সেই বিরোধ তারা সেখানেই সামলাচ্ছে।

যাই হোক উছিলা যাই থাকুক সিদ্ধান্তটি সাহসী । আমাদের দেশে এই কাজটি করার বদলে জিএম শস্য যে ধনন্তরী সেটি বোঝাবার জন্য অনেক বিদগ্ধ লেখক ইনিয়ে বিনিয়ে লিখে যাচ্ছে। আমরা নিষিদ্ধ করা তো দুরের কথা "এখন নেব না" এটাও বলতে পার না।

২২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ ভোর ৪:২৮

ত্রিশোনকু বলেছেন: আমি আমার মন্তব্যে অযাচিত অনভিপ্রত ও অশালীন মন্তব্য করে সকলকে ব্যাথিত ও রাগান্বিত করেছি। আমার বক্তব্য শালীনতার সীমারেখাও অতিক্রম করেছে। সেজন্য আমি সবার কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাচ্ছি।

আমি সিদ্ধার্থ আনন্দকে সবিনয়ে অনুরোধ করছি তিনি যেন আমার সবগুলো মন্তব্য মুছে দেন।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ১০:৩৭

সিদ্ধার্থ আনন্দ বলেছেন:
ত্রিশোনকু,
আমি যথেষ্ট হতাশ হয়েছিলাম।

সে যাই হোক, যেকোন মতের বিপরীত মত থাকে। সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সেটা নির্দিষ্ট প্রাসঙ্গিক ক্ষেত্রে।

শুনেছিলাম, কোন লোকের জ্ঞান সম্পর্কে এইভাবে ধারণা নেয়া যায় যে, সে আসলে কার বিরোধিতা করছে- তা দেখে।

সেজন্য বেশী হতাশ হয়েছিলাম।। সে যাইহোক, আপনার সর্বশেষ কমেন্ট দেখে ভালো লাগছে।। আপনার জন্য শুভ কামনা। আপনার প্রথম কমেন্টটা মুছে দিলাম।

এবঙ মন্জুরুল হকের পোষ্টসুত্র উল্লেখ করার জন্য ধন্যবাদ।।

প্রসঙ্গের কারনে বাকীগুলো রেখে দিলাম।

২৩| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ৮:৪২

ও.জামান বলেছেন: অনেকগুলো প্লাস দেয়ার ক্ষমতা থাকলে তাই দিতাম। আমি বাজারে গিয়ে বেছে বেছে পোঁকা খাওয়া সবজি কিনি। পাগল ভাবছেন? না ভাই আপনারাও তাই করুন। এতে এটা অন্তত নিশ্চিত হতে পারি যে ঐ সবজিতে ক্ষতিকর ডিডিটি বা কীটনাশক নেই।
আমার এই লেখায় স্বাগতম..
প্রধানমন্ত্রীর ব্যর্থ সফর। জনশক্তি রপ্তানির জন্য কুয়েতের বন্ধ দরোজা খুলে নি। ২০০৯ সালে কুয়েতে গেছেন মাত্র ১০ জন শ্রমিক।

২৪| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ৯:৫১

ত্রিশোনকু বলেছেন: সিদ্ধার্থ আনন্দ,


আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

২৫| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১:৪৮

কার্ল মার্কস বলেছেন: পথ্থমে সক্কলেরে বাসি ভালোবাসা দিবসের গেন্দা ফুলের শুভেচ্ছা। সিদ্ধার্থ'র এই বিষয় কালের কণ্ঠে পড়েছি। তবে আপনাকে জিএম ও কির্তন নাশক মুক্ত ১ সের ধইন্যা এ জন্য যে আপ্নে একে সামুতে দিছেন। আবার ত্রিশোনকু রেও একই ধইন্যা তার ভুল বোঝা ও ক্ষমা চাওয়ার জন্য।

২৬| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ১১:১৬

ত্রিশোনকু বলেছেন: @

কার্ল মার্কস আপনি গ্রহন করেছেন বলে কৃতজ্ঞতা।

২৭| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:৪৭

সিদ্ধার্থ আনন্দ বলেছেন:
নাজিম উদদীন, প্রতিদিন রিটার্নস, ঘোর-কলিযুগ, সেতুমিআমি, মগ্নতা, মাসুদ জাকারিয়া, পি মুন্সী, মেটালিফেরাস, ও.জামান, কার্ল মার্কস....

ধন্যবাদ।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.