![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বড় আশ্চর্য এ জীবন
এক.
‘শফী সাহেব হুজুরের এই ওয়াজটি আমি দুই-তিন বছর আগে চট্টগ্রামের কোথাও রেকর্ড করেছিলাম। কোথায় করেছিলাম, সেটি এখন আর মনে নেই। কারণ প্রতিবছর হুজুর শত শত স্থানে ওয়াজ করেন। আমি চেষ্টা করি হুজুরের সব বক্তব্য রেকর্ড করতে। আমি হুজুরের প্রায় প্রতিটি ওয়াজেই উপস্থিত থাকি। কিন্তু বিগত দুই-এক বছরে যে এ বক্তব্য রেকর্ড করিনি, এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত। করলে আমার মনে থাকতো।’
‘হুজুরের বক্তব্য নিয়ে সম্প্রতি যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, এটা সুপরিকল্পিত একটি অপপ্রচার। হুজুর আমাদের চট্টগ্রামের সব মানুষের মুরব্বি, সবার অভিভাবকের মতো। তিনি সাধারণ মানুষকে ধর্ম সম্পর্কে বুঝাতে গিয়ে নানা সময় নানা আঙ্গিকে কথা বলেন। আমরাই দেখেছি, তিনি ৬০-৭০ বছরের বৃদ্ধমানুষকে সবার সামনে গালমন্দ করেন। সমাজের অনেক বড় বড় ব্যক্তি, ব্যবসায়ী, শিক্ষিত মানুষকেও তিনি এভাবে বকাঝকা করেন- আপনার বাড়িতে গান-বাজনা চলে কেনো? আপনার ছেলে নাকি নেশা করে? আপনার ঘরে নাকি পর্দা নাই? এমন বিষয়ে তিনি সবসময়ই সবাইকে সতর্ক করেন, উপদেশ দেন। তারা হুজুরের সামনে তার কথার প্রতিবাদ করা তো দূরের কথা বরং মাথা নিচু করে বসে থাকেন, নিচুস্বরে হাসেন। এলাকার মানুষের প্রতি ভালোবাসা থেকেই তিনি এমনটা করেন। এলাকার মানুষও বিনা বাক্যব্যয়ে হুজুরের কথা মেনে নেন।’
‘এই ওয়াজটি তিনি কোনো একটি গ্রাম্য মাহফিলে দিয়েছিলেন সম্ভবত। গ্রামের মানুষের জন্য হুজুর সাধারণত চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় ওয়াজ করেন এবং এমন সব উপমা দিয়ে তাদের বুঝাতে চেষ্টা করেন যেগুলো দিয়ে গ্রামের সাধারণ মানুষ সহজেই বুঝতে পারেন। আমার মনে হয়, তিনি যা বলেছেন তাতে নারীদের মোটেও অসম্মান করা হয়নি, বরং নারীদের সম্মানকে আরো বাড়ানো হয়েছে। এতোদিন আগের একটি ওয়াজকে এখন মানুষের সামনে উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রচার করে ফায়দা ওঠানো নাস্তিকদের কারসাজি ছাড়া আর কিছু নয়।’
ইয়ার আহমদ, স্বত্বাধিকারী আল আরব এন্টারপ্রাইজ, হাটহাজারী মাদরাসা মার্কেট, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম। আল্লামা আহমদ শফীর বক্তব্য বা ওয়াজগুলো সাধারণত আল আরব এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী ইয়ার আহমদ রেকর্ড করে থাকেন এবং আলোচিত ওয়াজটিও আল আরব এন্টারপ্রাইজ কর্তৃক রেকর্ডকৃত ও বাজারজাতকৃত। উপর্যুক্ত বক্তব্যটি আল আরব এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী ইয়ার আহমদের।
দুই.
ইয়ার আহমদের বক্তব্যের রেশ ধরে আমরা কয়েকটি বিষয়কে আলোচনার টেবিলে টেনে আনতে পারি। প্রথম কথা হলো, আল আরব এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী ইয়ার আহমদের বক্তব্য অনুযায়ী বক্তব্যটি কম হলেও দুই বছর আগের কোনো এক ওয়াজ মাহফিলের। দুই বছর আগের একটি বক্তব্যকে কেনো আমাদের চতুর মিডিয়া হঠাৎ করেই সামনে নিয়ে এলো?
দ্বিতীয় কথা হলো, বিশেষ অপপ্রচারের জন্য আমাদের মিডিয়া যখন এই ইস্যুটি সামনে নিয়েই এলো, কেনো তারা এটিকে আল্লামা আহমদ শফীর সাম্প্রতিক বক্তব্য বলে চালিয়ে দিলো? দুই বছর সময়কে কি কেউ সাম্প্রতিক বলে? কোনো কোনো সংবাদমাধ্যমে এই বক্তব্যকে ‘কয়েকদিন’ আগের বলে চালিয়ে দেয়া হয়েছে। একটি জনপ্রিয় অনলাইন সংবাদমাধ্যম বক্তব্যটিকে ৮ জুলাই হাটহাজারীতে দেয়া আল্লামা শফীর বক্তব্য বলে প্রচার করেছে। অথচ আল্লামা শফী জুলাইয়ের প্রথম থেকেই উমরার উদ্দেশে সৌদি আরব অবস্থান করছেন। তবে কেনো মিডিয়ার এই নির্জলা মিথ্যাচার?
তৃতীয় কথা হলো, আল্লামা শফী বক্তব্য দিলেন অথচ তার সামনে উপস্থিত শ্রোতারা কেউ প্রতিবাদ করলো না। এক বছর গেলো, দুই বছর গেলো কিন্তু কোথাও কোনো প্রতিবাদ হলো না; একজন নারীও সরব হলেন না তার ‘অপমানের’ প্রতিশোধ নিতে। অথচ দুই বছর পর তার সেই বক্তব্য নিয়ে হঠাৎ করেই আমাদের মিডিয়া সরব হয়ে ওঠলো। কতিপয় নারীনেত্রী আর ধাপ্পাবাজ রাজনৈতিক নেতার শরীরে আগুন ধরে গেলো- জাত গেলো জাত গেলো বলে। অথচ সরাসরি যাদের সামনে বললেন তাদের গায়ে আগুন লাগলো না, তাদের মা-বোনের ইজ্জত গেলো না; ইজ্জত গেলো আমাদের প্রধানমন্ত্রীর। তাও তিন বছর পর! বাঙালি নারীর ইজ্জত কি এতোই সস্তা? তিন বছর পর তার ইজ্জত ঢাকার জন্য আমাদের প্রধানমন্ত্রী আর তার হায়ার করা নারীনেত্রীদের টনক নড়লো! তবে কি বাঙালি নারীরা এতোদিন আব্রুহীন হয়ে পথেঘাটে পড়ে ছিলেন?
আল্লামা শফী যেসব বক্তব্য দিয়েছেন, তার বক্তব্যের ফলে কোনো নারী কি ধর্ষণের স্বীকার হবেন? কোনো নারী কি স্বামীর দ্বারা নির্যাতিত হবেন? কোনো নারী কি যৌতুকের মতো অভিশাপের স্বীকার হবেন? কোনো নারী কি কর্মস্থলে তার সহকর্মীর হাতে যৌনাক্রান্ত হবেন? স্কুল-কলেজে কি এর দ্বারা ইভটিজিং বেড়ে যাবে? এর প্রত্যেকটার উত্তরই হবে ‘না’। তাহলে তার বক্তব্যে যদি এতোসব উপকারিতা থেকে থাকে তবে কোন অমৃত সুধার তালাশে আমাদের তথাকথিত নারীনেত্রীরা ১৮ জনের মানববন্ধন নিয়ে প্রেসক্লাবের সামনে দাঁড়ান? আর আমাদের বেহায়া মিডিয়াগুলো কীভাবে সেই ১৮জনের মানববন্ধনের ছবি প্রথম পাতায় ছাপতে পারে? ১৮জনের জনসমর্থনই কি দেশের ১৭ কোটি মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে?
তিন.
কী কারণে দোষ ধরা হয় আল্লামা আহমদ শফীর? তিনি নারীকে ঘরে সুরক্ষিত থাকতে বলেছেন, তাকে অনর্থক বাইরে বেরুতে নিষেধ করেছেন, তাকে ভিন্নপুরুষের সঙ্গে চলতে নিষেধ করেছেন, চাকরিতে, স্কুল-কলেজে, ছেলেদের সঙ্গে উন্মুক্তভাবে মিশতে নিষেধ করেছেন। একজন মেয়ের জন্য এটা কি অপমানসূচক উপদেশ? তিনি মেয়ের বাবাকে বলেছেন মেয়ের খোঁজ নিতে, মেয়ে চাকরির নামে অন্য ছেলের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছে কী-না, স্কুলের নামে পার্কে বসে আড্ডা দিচ্ছে কী-না, সে যা উপার্জন করছে সেগুলো হালাল কী-না এসব বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলেছেন। এগুলো একজন অভিভাবককে পরামর্শ দেয়াটা কি মানবতাবিরোধী কাজ?
বরং এটা কুরআনের সরাসরি নির্দেশ। কুরআনে এসেছে- ‘(নারীরা!) তোমরা গৃহাভ্যন্তরে অবস্থান করবে এবং মূর্খতা যুগের (আইয়্যামে জাহিলিয়ার) অনুরূপ নিজেদেরকে প্রদর্শন করবে না।’ (৩৩:৩৩)
এর আগের আয়াতে বলা হয়েছে- ‘যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, তবে পরপুরুষের সঙ্গে কোমল ও আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে কথা বলো না। ফলে সেই ব্যক্তি কুবাসনা করে, যার অন্তরে ব্যধি রয়েছে। তোমরা সংযত কথাবার্তা বলবে।’ (৩৩:৩২)
বাংলাদেশে গ্রামে-গঞ্জে ওয়াজ-মাহফিল একটি অতি সাধারণ বিষয়। সেসব ওয়াজে নারী-পুরুষের পরস্পরে সম্পর্ক, স্বামী-স্ত্রীর অধিকার, ছেলে-মেয়ের প্রতি আচরণ, পিতা-মাতার মর্যাদা বিষয়ে খুব সাধারণ ভাষায় বক্তব্য রাখেন ধর্মীয় বক্তারা। সেখানে শুধু তেঁতুল নয়, আগ্রহী শ্রোতাদের বুঝাতে মুরগি-ডিম, চোর-ডাকাত, স্বামী-স্ত্রী, ঢাকা-বাগদাদ এমন নানা ধরনের উপমার অবতারণা করেন বক্তারা। এটা গ্রামীণ ওয়াজে খুবই প্রচলিত একটি টার্ম। এমনকি গ্রামের মাহফিলে সেই বক্তাকেই বেশি তোয়াজ করা হয়, যে যতো বেশি বিভিন্ন ধরনের উপমা ব্যবহার করতে পারেন। সেখানে তেঁতুল উপমা অতি সাধারণ গোছের একটি উপমা ছাড়া আর কিছুই নয়।
সুতরাং শহরের ওয়াজ না শোনা সুশীলব্যক্তিরা যখন এইসব গ্রাম্য উপমা আর গ্রামীণ দরদমাখা কথাবার্তা শুনেন তখন মনে করেন, এটা গালিবিশেষ, অতি করুচিপূর্ণ বক্তব্য। আল্লামা শফীও সমাজে নারীর অবমূল্যায়ন এবং অবমাননা রুখতে সাধারণ গ্রাম্য ভাষায় বিষয়টি প্রতিহত করতে সবার প্রতি আহবান জানিয়েছেন মাত্র। এখন শহরের আধুনিক মানুষরা যদি গ্রাম্য ভাষাকে গালি মনে করে আল্লামা শফীকে অপরাধী ঠাওরান, তাহলে দোষটা আসলে কার, সেটা বিবেচনার দাবি রাখে।
আবার আল্লামা শফীর বক্তব্য আমাদের মিডিয়ায় আংশিকভাবে বিবৃত হয়েছে। তিনি নারীদের ঘরের বাইরে না যাওয়ার ব্যাপারে বলার আগে বলেছেন, নারীরা ঘরের রাণী। আপানারা কেনো বাইরে যাবেন? আপনার বাবা, স্বামী, ছেলেকে বলুন আপনার কী দরকার। তারা আপনাকে এনে দেবে। আপনি শুধু ঘরে বসে আরাম-আয়েশ করবেন।
সুতরাং আল্লামা শফী দোষটা করলেন কোথায়? আমাদের সমাজব্যবস্থাটা তো তার বক্তব্যের চেয়ে খুব বেশি ভিন্ন নয়। কিছুদিন আগে আইসিডিডিআরবি একটি জরিপ করেছে, যাতে বলা হয়েছে, দেশে ১৮ বছরের আগেই অন্তত ৫০ ভাগ শহুরে তরুণ-তরুণী যৌন অভিজ্ঞতা নিচ্ছে। এরা পরোক্ষভাবে প্ররোচিত হয়ে এমনটা করছে। এদের এক-তৃতীয়াংশ আবার গ্রুপ সেক্সে (দলগত যৌনকর্ম) জড়িয়ে পড়ছে।
আইসিডিডিআরবি তাদের প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করেছে, ১১ থেকে ১৪ বছর বয়সী তরুণেরা যৌনকর্মে লিপ্ত হচ্ছে পর্নোগ্রাফি দেখে।
গত বছর সময় টিভি থেকে করা এক জরিপে ওঠে এসেছে আরও ভয়াবহ তথ্য। তারা রাজধানী ঢাকার বেশ কয়েকটি স্কুল ঘুরে জানতে পারেন, স্কুলের ৮২% ছাত্র-ছাত্রী সুযোগ পেলেই মোবাইলে পর্নোগ্রাফি দেখে। ঢাকা শহরের ৬২% স্কুলপড়–য়া ক্লাসে বসেই পর্নোছবি দেখে। ৪৪% প্রেম করার জন্য মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। আর স্কুলপড়–য়া মেয়েরা মনে করে, তার একটা বয়ফ্রেন্ড থাকতেই হবে, না হলে সে স্মার্ট না। একাধিক বয়ফ্রেন্ড থাকাটাও একটা ক্রেডিটের ব্যাপার মনে করে তারা।
মনে রাখতে হবে, এটা কিন্তু কলেজ-ভার্সিটি বা সাধারণ নারীদের ওপর জরিপ নয়, এটা স্কুলের মেয়েদের ওপর করা জরিপ। যারা এখন এসএসসির নিচে অধ্যয়নরত এবং তাদের কারোরই বয়স ১৬-১৭-এর ওপরে নয়।
তো আমাদের সুশীল নারীনেত্রী আর সংসদ সদস্যরা এই বাস্তবতায় নিজেদের অবস্থান কোথায় তুলবেন? সমাজ যেখানে চাক্ষুষ পাপাচারে লিপ্ত হচ্ছে, মেয়েরা যখন ইচ্ছা-অনিচ্ছায় সর্বক্ষেত্রে যৌনতার মতো ভয়াবহ ব্যধিতে আক্রান্ত, সেখানে আল্লামা শফীর এই সহজকথন কেনো তাদের গায়ে কাঁটা দেয়? তিনি বিষয়গুলো সহজ আর সরলভাষায় বলেছেন বলেই কি তিনি এতোটা প্রশ্নবাণের স্বীকার হয়েছেন? নাকি এসব কথা বলে মানুষকে সচেতন করলে অনেকেরই ভোগবাদী চরিত্র খসে পড়ার ভয় আছে?
চার.
নারীকে দেখলে পুরুষের কামভাব জাগবে, এতে অবাক হওয়ার কী আছে? এটার মধ্যে রুচি-কুরুচির কী আছে? এটা আদম থেকে শুরু করে বর্তমান সময়ের প্রতিটি পুরুষের বেলায়ই প্রযোজ্য। বিগত শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ মনোবিজ্ঞানী সিগমুন্ড ফ্রয়েড ব্যাপারটি অত্যন্ত সহজ সাবলীল ভাষায় বলেছেন, ‘কামভাবটা নারী-পুরুষের একটা স্বাভাবিক প্রবৃত্তি (ন্যাচারাল টেনডেন্সি) এবং এর অনুপস্থিতি ঘটলে কোনো নারী কিংবা পুরুষ স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারে না।’ -Three contributions to the theory of sex
নারীদের ব্যাপারেও ফ্রয়েড অত্যন্ত চমৎকার কথা বলেছেন- The great question that has never been answered, and which I have not yet been able to answer, despite my thirty years of research into the feminine soul, is 'What does a woman want?
-From Sigmund Freud: Life and Work by Ernest Jones, 1953
সিগমুন্ড ফ্রয়েডকে বলা হয় আধুনিক মনোবীক্ষণের জনক। তিনিই নারী-পুরুষের যৌনতার ব্যাপারে এভাবে খোলাখুলি মন্তব্য করেছেন এবং মোটাদাগে বলে দিয়েছেন, নারীর প্রতি পুরুষের আকর্ষণ থাকবেই- এটা সতঃসিদ্ধ বিষয়। সেটা স্কুল হোক, কলেজ হোক, চাকরি কিংবা পথেঘাটে হোক; নারীর প্রতি পুরুষের আকর্ষণ অনস্বীকার্য।
সেই হিসেবে আল্লামা আহমদ শফী কুরআন-হাদিসের আদেশ-নিষেধকে উপমার ভঙ্গিমায় বলেছেন। তার উপমা এবং সোজা-সাপ্টা কথা যদি কারো আঁতে ঘা লাগে তাহলে সেটা যার যার ব্যক্তিগত বিষয়। সেটা নিয়ে রাজনৈতিক ইস্যু তৈরি করা মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ নয়। কারণ প্রধানমন্ত্রীর স্মরণ রাখা উচিত, হেফাজতে ইসলামের ক্ষত এতো তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাবে না।
আমাদের প্রধানমন্ত্রীও বড় গুণী মানুষ। কুরআন-হাদিসের উদ্ধৃতি দিতে তার জুড়ি মেলা ভার। এই কারণেই তার কাছের নেতাকর্মীরা প্রায়ই ভয়ে থাকেনÑ কখন নেত্রীর জবান খুলে যায়! আল্লামা শফীকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেছেন, ‘নবীজির স্ত্রী ব্যবসা করতেন। তিনি তার স্ত্রীকে ব্যবসা করতে বারণ করেননি। তাছাড়া নবীজি জ্ঞান অর্জনের জন্য প্রয়োজনে সুদূর চীন দেশেও যেতে বলেছেন। সেখানে তিনি নারী বা পুরুষ আলাদা করে বলেননি।’
আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে কে বুঝাবে, রাসুলের স্ত্রী খাদিজা যখন ব্যবসা করতেন তখন আমাদের নবী নবীই হননি। তিনি নবী হওয়ার পর যখন খাদিজা মুসলমান হন, তৎপরবর্তী সময়ে তিনি ইসলামের কোন আদেশ-নিষেধটা অমান্য করেছেন, এটা প্রধানমন্ত্রীকে কে জানাবে? তাছাড়া তিনি চীন দেশে জ্ঞানার্জনে যাওয়ার যে বাণী দিলেন সেটা আদতে কোনো হাদিসই নয়, এটা জাল হাদিস বা সাধারণ আরবি প্রবাদ।
আরও অবাক করার মতো বিষয় হলো, আল্লামা শফীর ব্যাপারে রোকেয়া প্রাচীসহ কতিপয় নট-নটী অভিযোগ করেছেন, তিনি নাকি ধর্মের অপব্যাখ্যা করছেন। কি আজিব কথা! তিনি ৭০ বছর বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ মাদরাসায় শিক্ষাদান করে কুরআন-হাদিসের অপব্যাখ্যা করেন, আর রোকেয়া প্রাচী এবং তার মতো সুবিধাভোগী নারীনেত্রীরা দেশবাসীকে ইসলামের বিধি-বিধান শিক্ষা দেন! এর চেয়ে বড় কৌতুক আর কী হতে পারে!!
দেশবাসী সবচেয়ে অবাক হয়েছে রোকেয়া প্রাচীর আস্ফালিত বক্তব্য শুনে। যাকে নাটক-সিনেমায় সাধারণত পতিতার চরিত্রে নির্বাচন করা হয়, কারণ তিনি এই রোলে সবচেয়ে বেশি মানানসই। তিনি ৭০ বছর হাদিস শিক্ষাদানকারী আলেমকে বললেন, আপনি তওবা করুন। লও ঠ্যালা! একজন পতিতা চরিত্রের অভিনেত্রী, যার দুই স্বামী বিগত হয়েছেন, তিনি নব্বুইঊর্ধ্ব দেশবরেণ্য এক আলেমকে বলছেন, আপনি তওবা করুন! দেশবাসী তো শঙ্কায় আছে, কবে যেনো তারা বলবেন- পতিতালয় ছাড়া নামাজ সহিহ হবে না।
আল্লামা শফীর বক্তব্য যদি ধর্মের অপব্যাখ্যাই হতো তাহলে একজন ধর্মবেত্তা, আলেম, পীর-মাশায়েখ অন্তত তার এই বক্তব্যের প্রতিবাদ করতেন। কিন্তু তার এই পুরনো ভিডিও প্রকাশ পাওয়ার পর একজন আলেম বা মাদরাসাশিক্ষকও প্রতিবাদ করেননি।
পাঁচ.
‘পুরুষ প্রভু, নারী দাসী।’ -এ্যারিস্টটল
‘পুরুষ হচ্ছে অনিবার্য, অপরিহার্য, অবধারিত; আর নারী হচ্ছে আকস্মিক, অপ্রয়োজনীয়, অতিরিক্ত।’ -মিশেল
‘নারী ভূমি, নারী উর্বর, তবে ওই উর্বরতা সৃষ্টিশীল নয়, তাকে সৃষ্টশীল করে পুরুষ। -হিপক্রিটাস
‘রয়েছে এক শুভ নীতি যা সৃষ্টি করেছে শৃঙ্খলা, আলোক ও পুরুষ, রয়েছে এক অশুভ নীতি যা সৃষ্টি করেছে বিশৃঙ্খলা, অন্ধকার ও নারী।’ -পিথাগোরাস
‘নারী এমন এক রাজ্য যাকে শুধু জয় করলেই হবে না, সম্পূর্ণরূপে পরাভূত, পর্যদুস্ত আর পদদলিত করতে হবে, যেনো সে ল-ভ- হয়ে যায়।’ -নেপোলিয়ন
‘নারীর জন্মই হয়েছে পুরুষাধীন থাকার জন্য, তাকে চিরকাল তাই থাকতে দাও।’ -রুশো
‘পুরুষ প্রভু, নারী তার সেবিকা; গৃহে থাকা, সংসার করা, পুরুষের সেবা করাই নারীর প্রকৃত স্থান ও শক্তি।’ -রাসকিন
নারী ভালোবাসার জন্য, জানার জন্য নয়। -অস্কার ওয়াইল্ড
নারী একই সঙ্গে একটি আপেল ও সাপ। -হেনরিক হাইনে
কোলে থাকিলেও নারী, রেখো সাবধানে
শাস্ত্র, নৃপ, নারী কভু বশ নাহি মানে। -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
নারী কভু নাহি চায় একা হতে কারো
এরা দেবী এরা লোভী
যত পূজা পায় এরা চায় তত আরো
ইহাদের অতিলোভী মন
একজনে তৃপ্ত নয়, এক পেয়ে সুখী নয়
যাচে বহুজন। -কাজী নজরুল ইসলাম
আমরা জানি, এ্যারিস্টটল, পিথাগোরাস, রুশো, রবি ঠাকুর যা বলে গেছেন নারী সম্বন্ধে- তা মিথ্যে। অন্তত আমাদের তাই মানতে হবে। তারা তাদের গভীর জীবনবোধ এবং দৃষ্টির তীক্ষ্মতা দিয়ে নারীকে যতোটুকু মাপতে পেরেছেন, আল্লামা শফী সমাজে নারীদের কার্যকারিতা মাপতে জীবনবোধের গভীরতা ততোটা বুঝতে পারেননি। আর তাতেই গোল বেঁধেছে সংসদ থেকে চায়ের দোকানে। জার্মান বিজ্ঞজন হেনরিক হাইনে নারীকে সাপ বললে সেটি হয়ে যায় ‘বাণী চিরন্তন’, আর আল্লামা শফী নারীকে ‘তেঁতুল’-এর সঙ্গে সাযুজ্য দিলে সেটি হয়ে যায় অশ্লীল-কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য। ব্রিটিশ চিত্রশিল্পী রাসকিন নারীকে পুরুষের সেবিকা বললে, তাকে গৃহকোণের আলোকবর্তিকা বললেও তিনি পূজনীয়, পক্ষান্তরে আল্লামা শফী তাকে গৃহের রাণী বললে তিনি হয়ে যান নারীবিদ্বেষী। কাজী নজরুল নারীকে অতিলোভী বলতে পারলেন, আর আল্লামা শফী হয়ে গেলেন নারী অবমাননাকারী।
কথাসাহিত্যিক হাসানাত আবদুল হাই শাহবাগের কোনো এক নারীর দেহদানের ফিরিস্তি লিখলেই সেটি হয়ে যায় নারীর অবমাননা, কিন্তু সৈয়দ শামছুল হক, আল মাহমুদ, নির্মলেন্দু গুণ, হুমায়ুন আজাদ, হেলাল হাফিজরা যখন নারীর বিভিন্ন অঙ্গসৌষ্ঠবের আকার, ধরন, বর্ণ, উপকারিতা নিয়ে সাহিত্যের তুবড়ি ছোটান তখন সেটি তারানা হালিমদের কাছে হয়ে যায় উপাসনার বিষয়।
যদি নিদেনপক্ষে বাংলা সাহিত্যের দিকেও দেখা হয় তবে সেখানে নারীকে নিয়ে নামী আর বিখ্যাত কবি-সাহিত্যিকদের এমনসব পঙক্তি আর লেখা পাওয়া যাবে যেগুলো সাধারণ ভদ্রসমাজে পাঠের উপযোগী নয়। তবুও যতোটুকু ভদ্র জিনিস উপস্থিত করা যায় ঠিক ততোখানিই আমাদের কুলীন সুশীল সমাজের সুরচিকর সাহিত্যপ্রতিভা তুলে ধরা হলো।
ব্যথাতুর প্রেমের কবি নির্মলেন্দু গুণ তার ‘স্ত্রী’ কবিতায় স্ত্রীকে ভালোবাসা শিখিয়েছেন এই ভাষায়-
রান্নাঘর থেকে টেনে এনে স্তনগুচ্ছে চুমু খাও তাকে/বাথরুমে ভেজানো দরোজা ঠেলে অনায়াসে ঢুকে যাও-/সে যেখানে নগ্ন দেহে স্নানার্থেই তৈরি হয়ে আছে
আল মাহমুদের ‘সোনালী কাবিনে’ তিনি উদারহস্তে ঢেলেছেন নারীর প্রতি তার ‘সুরুচি’র বাহাদুরি-
‘তারপর তুলতে চাও কামের প্রসঙ্গ যদি নারী/খেতের আড়ালে এসে নগ্ন করো যৌবন জরদ/শস্যের সপক্ষে থেকে যতটুকু অনুরাগ পারি/তারো বেশী ঢেলে দেবো আন্তরিক রতির দরদ। (সনেট ১০ : সোনালি কাবিন)
কবি ও লেখক সৈয়দ শামছুল হক আল্লামা শফীর সমালোচনায় বিবৃতি দেয়া ১৭জন বিশিষ্টজনের মধ্যে একজন। তার লেখাজোখা নিয়ে কথা বলতেও বিবাহিত হতে হয়। অবিবাহিতদের জন্য সাধারণত তার রচনা পড়া নিষিদ্ধ। তিনি প্রাপ্তবয়স্কদের লেখক। দেখুন তার অ্যাডাল্ট কবিতা-
শত বাধা সত্ত্বেও থামতে পারে না কামুক পুরুষ/দুজনের দেহ ছিঁড়ে বের হয় দুধ-পূর্ণিমা/আর তা নেমে আসে স্তনের চূঁড়ায়/বাড়তে থাকে কামনার জ্বর/আর জ্বরতপ্ত হাত কুড়ায় কামনার ফুল। (‘ভালোবাসার রাতে-২৯’)
হুমায়ুন আজাদের কবিতা এখানে উল্লেখ করা গেলো না অতিরিক্ত ‘রুচিবোধে’র কারণে। তবে তার একটি বচন অমৃত পড়তে পারেন পাঠকসকল- ‘চোখের সামনে আমার মেয়ে বড় হচ্ছে। কিন্তু সামাজিক নিয়মের বেড়াজালে আমার হাত-পা বাঁধা।’
এই হলো আমাদের সুশীল আর সভ্য সমাজের রুচিভেদ। আল্লামা শফী গ্রামের সহজ সরল ভাষায় বললেই সেটা হয়ে যায় কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য আর সমাজের ভোগবাদী পুরুষরা বললে সেটা হয়ে যায় রমণীবান্ধব শ্লোকমালা। এখানেই আল্লামা শফীর পরাজয়।
এ কারণেই সাংবাদিক ফারুক ওয়াসিফ লিখেছিলেন, বার্বি ডল আর সেক্সি গ্রেনেডের যুগে পারবে না হেফাজত...।
কারণ ইসলামপন্থীরা জানে না, কী করে নকল স্ক্যান্ডাল তৈরি করতে হয়। তাদের কাছে কোনো ব্যক্তির দোষ ধরা কুরআনের পক্ষ থেকে নিষিদ্ধ। হাদিস বলে, অন্যের দোষ তুমি গোপন রাখো, আল্লাহ তোমার দোষ গোপন রাখবেন। এই নির্দেশের পর কিভাবে তারা প্রতিপক্ষের দোষ খুঁজতে যাবে?
এই জন্যই হয়তো ফারুক ওয়াসিফরা আক্ষেপ করে বলতে পারেন, সেক্সি গ্রেনেড আর বার্বি ডলের যুগে আপনাদের (হেফাজতের) বেইল নাই...।
সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর
সৌজন্যে : সাপ্তাহিক লিখনী ১৬ জুলাই ২০১৩
২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৪২
সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর বলেছেন: আল্লামা শফীর দৃষ্টিকোণ থেকে যদি বলি, ১০-১২ বছরেই মেয়েরা বালেগ হয়ে যায়, ক্লাস সিক্স-সেভেনেই। আর বালেগ হলে ইসলাম ধর্মের রীতি অনুযায়ী মেয়েরা পর্দাহীন হয়ে পরপুরুষের সামনে যেতে পারে না। এটা কোরআন এবং হাদিসের সরাসরি নির্দেশ। যেহেতু আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পর্দা মানা হয় না এবং কখনো কখনো পর্দা মানার কারণে অপদস্থ হতে হয়, তাই তিনি সেই দৃষ্টিকোণ থেকে মেয়েদের উচ্চশিক্ষাকে অনুৎসাহিত করেছেন। গার্মেন্টসে চাকরির বিষয়টিও এমন।
তবে তিনি হয়তো সমাজের প্রতিটি স্তরে নারীর ওপর নানাবিধ নির্যাতন এবং অনাচার দেখে আবেগের আতিশয্যে পুরো শিক্ষা এবং চাকরি ব্যবস্থাটাকে নারীর জন্য ভয়াল মনে করেছেন; তবে ইসলামে নারীর শিক্ষা এবং চাকরিতে কোনো বাধা নেই, যদি সেটা পুরোপুরি পর্দা মেনে করা হয়।
২| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৫১
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: একটা সম্মানিত লোক কত টুকু নিচে নামতে পারে তার উপমা
তার বক্তব্য ।।
এদের হুজুর না ঢেকে অসুর ঢাকা ভাল >>
২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:০০
সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর বলেছেন: এখানে তো আরো অনেক সম্মানিত লোকের কোট দেয়া আছে। পড়েছেন নিশ্চয়।
আর উনি যেটা বলেছেন সেটা সাধারণ গ্রাম্য ভাষা গ্রাম্য লোকদের জন্য। আমাদের সাধারণ কথাবার্তায় নানা উপমা আমরা হরহামেশা ব্যবহার করি।
আপনার মন্তব্যে 'ডেকে' শব্দটি 'ঢেকে' হয়ে গেছে। পাঠক বিভ্রান্ত হতে পারে।
৩| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৫৫
নষ্ট ছেলে বলেছেন: বক্তব্যটা কিছু কিছু জায়গায় বিকৃতও হতে পারে। ক্লাস ফোরের কথা কেন বলবেন? মহিলা মাদ্রাসায় কি মেয়েরা শুধু ক্লাস ফোর পর্যন্ত পড়ে?
২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:০২
সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর বলেছেন: বিকৃত কিনা জানি না, তবে শিক্ষা চাকরিতে ধর্ম কখনোই নিষেধ করেনি। যদি নারী পর্দাবৃত হন।
৪| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:০১
নিয়ামুল ইসলাম বলেছেন: নষ্ট ছেলে সেটাই তো আমার প্রশ্ন, আর কাওমি মাদ্রাসায় মেয়েদের পরানো হয় কিনা আমি জানি না।
আমার কথা হোল বুজুর্গ লোক উনি উনি পর্দা করার কথা বলতে পারতেন ? কিন্তু উনি মেয়েদের ঢালাও ভাবে বাহিরে যেতেই নিষেদ করছেন
২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:০৩
সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর বলেছেন: সেটা তো আপনাকে আগেই বললাম :
তিনি হয়তো সমাজের প্রতিটি স্তরে নারীর ওপর নানাবিধ নির্যাতন এবং অনাচার দেখে আবেগের আতিশয্যে পুরো শিক্ষা এবং চাকরি ব্যবস্থাটাকে নারীর জন্য ভয়াল মনে করেছেন; তবে ইসলামে নারীর শিক্ষা এবং চাকরিতে কোনো বাধা নেই, যদি সেটা পুরোপুরি পর্দা মেনে করা হয়।
৫| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:০৩
মুহাম্মদ আসাদুল্লাহ্ বলেছেন: আহ অনেক দিন পরে মৌলিক ছাগু পোস্ট। সোজা প্রিয়তে।
৬| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:০৪
খেয়া ঘাট বলেছেন: কবি, সাহিত্যিকদের সাহিত্যচিন্তার সাথে আপনি শ্রদ্ধাভাজন ধর্মীয়নীতি প্রচাররকের চিন্তার সাথে মিলিয়ে ফেলেছেন।
সাহিত্য পাঠ, গ্রহণ-বর্জন এসব কারো ইচ্ছা, অনিচ্ছা রুচিবোধের ব্যাপার। কারো সাহিত্য, দর্শন কেউ চাইলে গ্রহণ করতে পারে, না চাইলে একপাশে রেখে দিতে পারে।কিন্তু ইসলামীচিন্তাবিদরা যা বলেন -তা আমাদের জীবনাদর্শের অনুসরণের পথ তৈরি করে । এটা মেনে চলতে হয়। সাহিত্য ভুল হতে পারে, রুপকথা হতে পারে, দেও দানব হতে পারে......ফিকশন হতে পারে......আরো কত কি?
কিন্তু ধর্মীয় রীতিনীতির কথা সিরাতুম মুস্তাকীমই হতে হয়। সাহিত্যেভুলের জন্য কাউকে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে যতনা কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে, কিন্তু ইসলামকে এভাবে উপস্থাপনের জন্য জানিনা কি হবে?
আমি আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে হিসু করলে কারো চোখে হয়তো খারাপ না ও লাগতে পারে, কিন্তু একজন সম্মানিত, শ্রদ্ধাভাজন মসজিদের ইমাম যদি সেই একই কাজ করেন- তবে সেটা মানাবে না। আপনিই বলুন - মানাবে কিনা?
তাই হুমায়নু আযাদ, আলমাহমুদ কিংবা বিখ্যাত কোনো ব্যক্তি নারীকে এভাবে বলেছেন বলে একজন ইসলামি বিগ্গ মানুষকেও যে এভাবে নারীকে তুলে ধরতে হবে তা মানা যায়না।
আপনি কি উনার শেষের কথাগুলো শুনেছেন- যা উনি চট্টগ্রামের আন্চলিক ভাষায় বলেছেন-
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালিন ছেলেরা সব বীর্য নষ্ট করে ফেলে বলে- বিয়ের পর আর সন্তান হয়না। তাই আমার কাছে আসে ফু নিতে" - কী জগণ্য।
ইসলাম আমার সবচেয়ে প্রিয় বস্তু। এভাবে ভুলভাল ভাবে বলা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায়না।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের সবাইকে সঠিক পথে চলার তাওফিক দিন। আসসালামু আলাইকুম।
২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:২২
সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর বলেছেন: আপনি সুন্দর যুক্তি দিয়েছেন।
তবে আল্লামা শফীর বক্তব্যের সব কথাই কিন্তু ইসলামের বাণী নয়। উনি তেঁতুলতত্ত্ব নিয়ে যা বলেছেন সেটা কিন্তু ইসলাম বলেনি। উনি নিজের থেকে একটা উপমা দিয়েছেন। এই উপমা তো আর ইসলাম দেয়নি। এটা উনি শ্রোতাদেরকে বুঝানোর জন্য সহজ উপমায় বলেছেন। সেই উপমা দিতে গিয়ে যদি উনি কিছুটা গ্রাম্য ভাষা ব্যবহার করেন তবে সেটাকে ইসলামের বাণী বলে চালিয়ে দেয়া যায় না। বিষয়টি যেহেতু রুচিবোধ নিয়ে তাই স্বাভাবিকভাবেই আমাদের উপমাপ্রিয় বিজ্ঞজনের নাম এসেছে। তারা রমণীর স্তনকে আপেলের সঙ্গে তুলনা করলে সেটা দোষ হয় না, আল্লামা শফী স্পেসিফিক কোনো অঙ্গের কথা না বলে রমণীয় নারীকে তেঁতুলের সঙ্গে উপমা দিলে দোষটা খুব বেশি হওয়ার কথা না। তাদের উপমা নান্দনিক ভাষায় আর উনারটা খানিকটা গেঁয়ো ভাষায়, এই যা তফাত। তাও গেঁয়ো লোকদের বুঝানোর জন্য।
কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো, দুই বছর আগের একটি বক্তব্যের পোস্ট মর্টেম কেন দুই বছর পরে করা হচ্ছে? আরেকটি প্রশ্ন, যেটা আমার মূলপোস্টেও আছে, বক্তব্যগুলো যদি স্পর্শকাতরই হয়ে থাকে শ্রোতাদের জন্য, তাহলে তার সামনে বসা হাজার হাজার শ্রোতা কেনো তৎক্ষণাত এর প্রতিবাদ করলেন না বা এই দুই বছরে অন্যকোনো সুরুচিবান নারী-পুরুষ এটার প্রতিবাদ করলেন না?
সর্বোপরি তার সব উপমাই গ্রহণযোগ্য হবে, এমন দাবিও আমি করছি না। ধন্যবাদ।
৭| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:০৭
নয়ামুখ বলেছেন: আচ্ছা কেউ কি বলতে পারেন, আলোচিত ভিডিওতে শফি হুজুরের নারী বিষয়ক বক্তব্য বাংলায় আর বাকী বক্তব্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় কেনো ।
নাকি রোকিয়া প্রাচিদের বুঝতে সুবিধার জন্য হুজুর এই অংশ বাংলায় বলেছেন ।
ভিডিওটাতে শফি হুজুরের বক্তব্য বিকৃত করার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায়না ।
২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:০৮
সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর বলেছেন: চিন্তার বিষয়
৮| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:১০
হারানোপ্রেম বলেছেন: উনি দাঁতে ব্যাথা আর গলা কাটতে বলছেন।
৯| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:১২
হারানোপ্রেম বলেছেন: বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালিন ছেলেরা সব বীর্য নষ্ট করে ফেলে বলে- বিয়ের পর আর সন্তান হয়না। তাই আমার কাছে আসে ফু নিতে" - কী জগণ্য।
ছিঃ ছিঃ এসব কি ???
২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:২৭
সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর বলেছেন: ছিঃ ছিঃ এসব কি ???
আসলেই তো, এসব কী???
১০| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:১৩
আশাফ আনিস বলেছেন: আর কি বলার বাকি আছে ? আপনাদের চোখ কি তারপরও খুলবে না ?
২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:২৮
সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর বলেছেন: কাহাদের চোখ?
১১| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:২১
যে শহর চোরাবালি বলেছেন: নিয়ামুল ইসলাম : কওমি মাদ্রাসায় মেয়েদের পড়ান হয় এবং উনরা সেখানে পুরুষদের সমমানের মাওলানা হতে পারেন।
২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৩০
সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর বলেছেন: সুতরাং... পর্দাটাই মুখ্য।
১২| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৩২
হাটহাজারী, চট্ট্রগাম। বলেছেন: হেফাজত হতে দাবী করা হয়েছে এটা সত্য তারা বলেছে ( গ্রামের মানুষ যে ভাবে বুঝে তাদের সেই ভাবে বুঝানোর চেষ্টা করা হযেছে) আহম্মক শফীর সেই ভিডিও রেকডার এই পর্যন্ত আমি ১৫/১৬ জনের মত পেছেছি, আপনি সহ ১৭ জন পৌছাল।
২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৩৮
সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর বলেছেন: শোনা কথায় কান দিয়ে লাভ কী? আপনার বাড়ি যেহেতু হাটহাজারী, একবার না হয় ঘুরেই আসুন মাদরাসা মার্কেট থেকে। তাহলেই তো অনাহুত নাম্বারিংয়ের প্রয়োজন পড়ে না।
১৩| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৩৫
অপ্রিয় সত্য বলেছেন: দুই কলম লেখাপড়া জানলেই মানুষ শিক্ষিত হয় না। সরাসরি রেকর্ডকৃত এইরকম অশ্লীল কথাবার্তার ভিডিও দেখা ও শুনার পড়েও যেসব ধর্মান্ধ মৌলবাদ নির্লজ্জভাবে সমর্থন করে যাচ্ছে শুধুমাত্র রাজনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য তাদের প্রতি থুতু ফেলতেও ঘৃনা হয়।
১৪| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৩৫
হাটহাজারী, চট্ট্রগাম। বলেছেন: আপনি বলেছেন
এই ওয়াজটি তিনি কোনো একটি গ্রাম্য মাহফিলে দিয়েছিলেন সম্ভবত। গ্রামের মানুষের জন্য হুজুর সাধারণত চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় ওয়াজ করেন এবং এমন সব উপমা দিয়ে তাদের বুঝাতে চেষ্টা করেন যেগুলো দিয়ে গ্রামের সাধারণ মানুষ সহজেই বুঝতে পারেন। আমার মনে হয়, তিনি যা বলেছেন তাতে নারীদের মোটেও অসম্মান করা হয়নি, বরং নারীদের সম্মানকে আরো বাড়ানো হয়েছে। এতোদিন আগের একটি ওয়াজকে এখন মানুষের সামনে উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রচার করে ফায়দা ওঠানো নাস্তিকদের কারসাজি ছাড়া আর কিছু নয়।’
আপনার মাকে দেখলে আপনার মুখে লালা ঝড়ে?
আপানার বোনকে দেখলে আপনার মুখে লালা ঝড়ে?
২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৪১
সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর বলেছেন: হুমায়ুন আজাদের ঝরতো বলে শুনেছি...
‘চোখের সামনে আমার মেয়ে বড় হচ্ছে। কিন্তু সামাজিক নিয়মের বেড়াজালে আমার হাত-পা বাঁধা।’
১৫| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৩৭
হাটহাজারী, চট্ট্রগাম। বলেছেন: আহম্মক শফির বক্তব্যকে তারা সমর্তন করবে,
মাকে দেখলে যাদের মুখে লালা ঝাড়ে। আপনারও তায় হয় নিশ্চয়।
১৬| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৩৮
হাটহাজারী, চট্ট্রগাম। বলেছেন: আলেম ওলামার হল ইসলাম সমাজে খুবই গুরুত্ব পুর্ণ ও সম্মানিত ব্যাক্তি, আমরা মুসলমানরা আমাদের জন্ম, মৃত্যু, বিবাহ, ইসলামের সামাজের যাবতীয় শুভ, ঈদ, কোরবান, ফাতেহা, খতম পড়ানো, জেয়ারত, মিলাদ যাবতীয় সব কাজের জন্য আমরা সবার আগে ছুটে যায় আলেম ওলামারদের কাছে।
আলেমরা হল ইসলাম সমাজের জন্য নির্দশক। মুসলামান সমাজের সর্বোচ্চ সম্মানিত ব্যাক্তি।
আর জালেম হল সামাজের অত্যাচারি ভন্ড, চোর ডাকাত, বাটপার, মিথ্যাবাদী, মোনাফিক আর নাক্তিক ।
কিন্তু দুঃখ জনক আমাদের দেশে এখন কিছু আলেম ওলেমারছদ্ধ বেশ ধরে জালেমের মত অত্যচার আর ভন্ডামী কর্মকন্ড শুরু করেছে।
আমার বাড়ী আল্লাম শফির মাদ্রাসা ( আল্-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম মাদ্রাসা) যাকে আমরা হাটহাজারী মাদ্রাসা হিসাবে চিনি। এই আল্লাম শফিকে আমি নিজেও ব্যাক্তিগত ভাবে আগে চিনতাম না, বা তার সর্ম্পকে কিছুই জানতা না, তবে হাটহাজরী মাদ্রাসা চিনতাম ও হাটহাজারী মাদ্রাসায় অনেক বার গিয়েছি ও এই মাদ্রাসাটি অনেকবার দেখেছি।
কিন্তু একটি মাদ্রাসার প্রধান যাবে আমরা ইংরেজীতে সাধারণত হেডমাষ্টার বলি। এই হেডমাষ্টার হঠাৎ আলাউদ্দীনের চেরাগের মত হুট করে দেখের বিখ্যাত হয়ে যান কিভাবে তা সত্তি আমাদের কাছে এক আশ্চর্য জনক ঘটনার মত মনে হয়্।
আমাদের একই উপজেলা মানুষ হয়ে যাকে গত এক বছর আগেই কেউ চিনতা ভাল করে চিননা, মাত্র অল্প কিছু দিনের মধ্যে সেই অচেনা মানুষ হয়ে যায় দেশের এক বিখ্যাত আলোচ্য জনপ্রিয় ব্যাক্তি। যে মানুষটি নিজের একটি ভাল গাড়ীতে চড়াড় মত সামর্থ্য ছিলনা সেই হেড মাষ্টার চড়ে হেলিকপ্টারে।
যে মাদ্রাসার ছোট ছোট এতিম শিশুরা মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে ভিক্ষুকের মত ফিতরা, যাকাত, কোরবানী পশুর বিক্রিত চামড়া টাকা তুলে হাটহাজারী মাদ্রাসা জন্য সেই মাদ্রাসার হেডমাষ্টার চড়ে হেলিপ্টারে, কোটি কোটি টাকা খরচ করে ঢাকা অবরোধ করে সরকার বিরুধী আন্দোল করে।
কেউ কেউ বলতেছে আল্লাম শফি নাকি ঐ হাটহাজারী মাদ্রাসার প্রতিষ্টতা। এটা সম্পণূর্ণ ১০০% ডাহা মিথ্যা কথা, হাটহাজারী মাদ্রাসা প্রতিষ্টিত হয়েছিল আজ হতে প্রায় ১১২ বছর আগে, (হাটহাজারী মাদ্রাসার প্রতিষ্টার সময় দেখুন। ) কিন্তু আল্লাম শফির বর্তমান বয়ষ এখন মম্ভবত ৯৩ বছর।
এই হাটহাজারী মাদ্রাসায় আল্লামা শফি ১৯৮৭ সালে শিক্ষক পদে চাকুরী নেন। পাশাপশি ছোট ছোট মিলাদ মাহফিলে মাঝে মাঝে ওয়াস, রমজান মাসে মৃত মানুষের কবরে খতম, দাওয়াত, জিয়ারত, মৃত মানুষের চেহেলাম পড়ে তিনি টাকা রোজগার করে সংসার চালাতেন। একজন মাদ্রাসার শিক্ষক কিভাবে আল্লাম মওলানা হয়ে যান? আল্লাম ওমলানা কি এতই সস্তা?
হঠাৎ করে একজন এতিম মাদ্রাসার মাষ্টার কিভাবে আলাউদ্দীনের চেরেগের জাদুর এর মত দেশের বিখ্যাত হয়ে যান হুট করে তা সত্তি অবার করা মত।
আল্লাম শফির বিখ্যাত হবার কারণ কি?
১) তার র্ধমীয় ও ভাল কর্মকান্ডের জন্য?
২) রাজনৈতিক বিশৃঙ্কলা কারী ও র্ধমীয় উষ্কানী দাতা
হিসাবে ?
আল্লাম শফি নাকি র্ধর্মীয় আলেম ? যে ব্যাক্তি একটি ছোট মহফিলে বক্তব্য দেবার মত যাগ্যতা রাখেনা সে নাকি দেশের বিখ্যাত আলেম,
শুনেছি ইদানিং সেই মাদ্রাসা প্রঙ্গনে প্রতি দিন প্রচুর বি,এন,পি নেতা কর্মী ভীর করে আল্লামা শফির কাছে হতে পানি পড়া ও ঝাড় ফুক নিতে। আমি সত্য কিনা জানিনা শুনেছি খালেদা জিয়া আসবেন আল্লামা শফির হাটহাজারী মাদ্রাসায় , আল্লামা শফিকে সালাম করারও পীর ধরার জন্য।
শুনলে অবাক হবেন । চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে এক ফকির আছেন তার নাম মজু ফকির, সেই মজু ফকির নাকি বিখ্যাত দরবেশ। কিন্তু মজার বিষয় সেই দরবেশ মজুফকির সারক্ষণ উলঙ্গ থাকতন, তার প্রস্রাবের রাস্তা ছিল একটি বড় ফুট বল এর মত লাল টিউমার। তিনি সারাক্ষণ ঐ বলের মত লাল টিউমারটি দেখানোর জন্য উলঙ্গ থাকতেন। কেউ কোন দিন মজুফকিরকে নামাজ পড়তে দেখেনি। মজার ব্যাপার হলো খালেদা জিয়া সম্ভবত ১৯৯৭/৯৮ সালের দিকে বি,এন,পির তৎকালীন পররাষ্ট্র মন্ত্রী র্মোশেদ খানকে নিয়ে গিয়ছিল সেই মজুফকিরকে পীর ধরতে ও মজুফকির কে সালাম করতে। খালেদা জিয়ার সাথে ছিল তার দুই পুত্র বধু, তার নাতনীরা,
এবার আসাযাক আবার আল্লামা শফির বিষয় নিয়ে।
একজন ইসলামের সেবক হয়ে , ইসলামে মৌলবী হয়ে, একজন আলেম কি ভাবে ঢাকায় যান সরকার বিরুধী আন্দোল করতে? একজন আলাম সাধারণত ইসলাম ও হাদীশ কোরআনের কথা বলেন, কিন্তু আল্লাম শফি বলেন রাজনৈতিক কথা, এটি কি রকম আলেম আমার বোধগম্য নয়?
একজন আলেম সাধারণ মিলাদ মাহফিল করেন, কিন্তু আল্লাম শফি করেন রাজনৈতি জনসভা, হাদীস কোরআনের পরিবর্তে আওয়ামীলীগকে গালী দেওয়া হল তার কাজ।
আসুন সাবই এই সব ভন্ডদের ডান্ডা মারি।
২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৪৫
সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর বলেছেন: শুধু শুধু বকবকানি...।
১৭| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৩৯
হাটহাজারী, চট্ট্রগাম। বলেছেন: যে মাদ্রাসার ছোট ছোট এতিম শিশুরা মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে ভিক্ষুকের মত ফিতরা, যাকাত, কোরবানী পশুর বিক্রিত চামড়া টাকা তুলে হাটহাজারী মাদ্রাসা জন্য সেই মাদ্রাসার হেডমাষ্টার চড়ে হেলিপ্টারে, কোটি কোটি টাকা খরচ করে ঢাকা অবরোধ করে সরকার বিরুধী আন্দোল করে।
১৮| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৪০
হাটহাজারী, চট্ট্রগাম। বলেছেন: এই হাটহাজারী মাদ্রাসায় আল্লামা শফি ১৯৮৭ সালে শিক্ষক পদে চাকুরী নেন। পাশাপশি ছোট ছোট মিলাদ মাহফিলে মাঝে মাঝে ওয়াস, রমজান মাসে মৃত মানুষের কবরে খতম, দাওয়াত, জিয়ারত, মৃত মানুষের চেহেলাম পড়ে তিনি টাকা রোজগার করে সংসার চালাতেন। একজন মাদ্রাসার শিক্ষক কিভাবে আল্লাম মওলানা হয়ে যান? আল্লাম ওমলানা কি এতই সস্তা?
১৯| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৪১
হাটহাজারী, চট্ট্রগাম। বলেছেন: আমাদের একই উপজেলা মানুষ হয়ে যাকে গত এক বছর আগেই কেউ চিনতা ভাল করে চিননা, মাত্র অল্প কিছু দিনের মধ্যে সেই অচেনা মানুষ হয়ে যায় দেশের এক বিখ্যাত আলোচ্য জনপ্রিয় ব্যাক্তি। যে মানুষটি নিজের একটি ভাল গাড়ীতে চড়াড় মত সামর্থ্য ছিলনা সেই হেড মাষ্টার চড়ে হেলিকপ্টারে।
২০| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৪৫
খেয়া ঘাট বলেছেন: ভাই,
ইসলাম ইসলামই। কমানো যাবেনা, বাড়ানো যাবেনা। অতিরণ্জিত করা যাবেনা। এতে ইসলামের ভাবগাম্ভীর্য নষ্ট হয়।
একটা উদাহরণ দেই-
একবার জনৈক ব্যক্তি- ইমাম আবু হানিফার কাছে গেলেন।গিয়ে বললেন- হুজুর আমি সফরে যাবো। কসরের নামাজ কয় রাকায়াত পড়বো।
হুযুর বললেন- চার রাকায়াতের পরিবর্তে দুই রাকায়াত পড়বে।
তখন লোকটি বললো- না হুজুর আমি চার রাকায়াত ই পড়বো। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য।
তখন , ইমাম আবু হানিফা রাগ করে বললেন- তুমি দেখি আল্লাহর চাইতে বেশি বুঝ।
তাই বলি ভাই, সাহিত্য অতিরন্জিত করা যায়। উপমা করা যায়। কিন্তু এসব করে যেন ইসলামের সুমহান ভাবগাম্ভির্য নষ্ট না হয়।
আওয়ামীলীগ চাচ্ছে এটা থেকে সুযোগ নিতে। মোল্লারা চাচ্ছে হুজুরকে যেভাবেই পারে ডিফেন্ড করতে। কিন্ত যারা প্রকৃতই ইসলামকে বুঝার আর জানার চেষ্টা করে তাদের উচিত একেবারে বিশুদ্ধ যেটা তা গ্রহণ করা । এটা কার পক্ষে গেলো বা না গেলো সেই চিন্তা থেকে মুক্ত থাকা।
মহান রাব্বুল আলামীন আমাদের সঠিক পথে চলার তাওফিক দিন।
২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৫৭
সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
২১| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৪৮
শিক্ষানবিস বলেছেন: এইসব অপপ্রচারে কোন লাভ নেই। এই যাদু যাদুকরের বিরুদ্ধেই যাবে।
শফী ভক্তদের ঈমান এতো ঠুনকো নয় যে, দাজ্জালদের এই সামান্য অপ-প্রচারে তাদের ঈমানে চির ধরবে।
এটা শফীদের জন্য আরো অনুকুল পরিবেশ সৃষ্টি করবে। জনসমর্থন ও মানুষের সহানুভূতি বাড়াবে। শফীরা যে কতখানি নির্যাতিত ও ষড়যেন্ত্রর শিকার, মানুষ তা আরো ভাল ভাবে বুঝবে।
আপনার জন্য শুভ-কামনা।
২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৫৮
সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর বলেছেন: সহানুভূতিশীল হৃদয়ের জন্য ধন্যবাদ।
২২| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৫৩
একজন ঘূণপোকা বলেছেন: ভিডিও টা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে গাজিপুর সিটী নির্বাচনের দিন। যাতে করে মানুষের নজর অন্য দিকে নেয়া যায়, আর হেফাজতকেও বাশ দেয়া যায়। এক দিলে দুই পাখী।
২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৫৯
সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর বলেছেন: বেশ বেশ... ভালো অবজার্ভেশন তো! আমি এভাবে কখনো ভাবিনি।
২৩| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:০৯
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: নারীকে নানা উপমা দিয়ে যারা কথা বলেন, তারা এক ধরনের আনন্দ পান - কবি, লেখক, নেতা, দার্শনিক বা ধর্মীয় নেতা কেউ এই বিকৃত আনন্দের বাইরে না। সাধারণ মানুষ এই আনন্দ করলে কোন কেউ খেয়াল করে না, পাত্তা দেয় না, কিন্তু বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এ কাজটা করলে সবাই সমালোচনা করে। এটাই স্বাভাবিক।
আল্লামা শফি কোন সাধারণ মানুষ নন, দেশের শীর্ষ স্থানীয় একজন আলেম। তাই উনার কথার সমালোচনা হওয়াটাই স্বাভাবিক।
আমার মনে হয়, উনি ভদ্র ভাষায় নারীদের পর্দা করার কথা বললে এত সমালোচনা হত না।
২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:১৪
সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর বলেছেন: সেটাই সবসময় কাম্য। নিজেদের মধ্যে কথা বললে অনেক সময়েই আমরা আবেগে প্রগলভ হয়ে যাই। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
২৪| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:২৭
রাসেল মাহমুদ মাসুম বলেছেন: আজকে আল্লামা শফি সাহেবের এই বক্তব্য নিয়ে অনেক পীর বুজুর্গ মন্তব্য করছেন, টিপ্পনী কাটছেন ,সমালোচনা করছেন , কিন্তু কেন ?
কারণ শফি সাহেব আওয়ামিলীগের কথামত আওয়ামিলিগের সাথে আসন ভাগাভাগি বা ঐক্য করতে রাজি হয় নাই এজন্য ।
২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৩৪
সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর বলেছেন: কী জানি, রাজনীতি আমি বড় কম বুঝি!!!
২৫| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৪১
দিবা স্বপ্ন বলেছেন: নারীকে দেখলে পুরুষের কামাভাব জাগবে----আপনার এই বাক্যটি পড়ার পর আর পড়ার রুচি পেলাম না। অন্য নারীকে না হলেও অন্তত নিজের মা-বোনকে শ্রদ্ধা করতে শিখুন।
২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৫০
সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর বলেছেন: নারী বলতেই আমরা কেনো যে শুধু মা আর বোনকে টেনে আনি? আহা, এই বোধটা যদি সবার মাঝে থাকতো, তাহলে আমি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি, বাংলাদেশে এক পিস পর্নো ভিডিও দেখা হতো না কোনো ডিভাইসে। অথচ বাংলাদেশে শুধু পর্নো ব্যবসার বাজার ৮ শো কোটি টাকার!
২৬| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:২০
অগ্নি সারথি বলেছেন: গার্মেন্টসে কেন দিসেন আপনার মেয়েকে? ফজরে ৭/৮ টা বাজে চলে যায়, রাত ৮/১০/১২ টায়ও আসেনা। কোন পুরুষের সাথে ঘোরাফেরা করতেসে তুমি তো জানো না। কতজনের মধ্যে মত্তলা হচ্ছে আপনার মেয়ে, আপনে তো জানেন না। জেনা কইরা কইরা টাকা রোজগার করতেসে, কি বরকত হবে?
তোর শফি বাপেরে জিগাইতে মন চায়, তার মা বইনে কি জেনা কইরা ট্যাকা রোজগার করে?
২২ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:২৪
সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর বলেছেন: আবারও মা-বোন!!!
আচ্ছা ক্যাটরিনা কাইফ যখন আপনাকে ডাক দিয়ে বলে-
জারা জারা কিস মি কিস মি কিস মি
জারা জারা টাচ মি টাচ মি টাচ মি
তখন কি তাকে আপনার মা-বোন মনে হয়?
শাকিরা যখন বলে-
And I'm on tonight
You know my hips don't lie
তখন কি আপনি তাকে নিজের মা ভাবতে পারেন?
এভাবে রাস্তার প্রতিটি মেয়ের দিকে তাকান, যারা টাইট জিন্স আর টিশার্ট পরে যাচ্ছে, তাদের আপনি মা বলে ডাক দিতে পারবেন?
আল্লামা শফীর বক্তব্য তাদের নিয়েই। ঢালাওভাবে তিনি সবাইকে জেনাকারী বলেননি।
২৭| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৩২
শ্যাঁওঁড়াঁ গাঁছেঁরঁ বাঁসিঁন্দাঁ বলেছেন: লেইখা কত পাইলেন? সব কি একলাই লইলেন?
একটু খোলসা কইরা কইবেন্নি, কেলাস ফোর পড়া যে বেডির স্বামী বাইচা নাই, হেতে তার নাদান পোলা-মাইয়া লইয়া কই যাইবো?
২২ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:২৫
সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর বলেছেন: আরেকটা বিয়ে করবে, যদি সম্ভব হয়।
২৮| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৪৯
মানব ও মানবতা বলেছেন: এতোদিন জানতাম, সমাজের সচেতন তরুণেরা ব্লগিং করছে। কিন্তু এ মন্তব্যগুলো দেখে ধারণা পাল্টে যেতে চাইছে। সমাজে নানা ধরণের নানা মতের মানুষ। তাই বলে অন্যের মতামতকে এভাবে উগ্র তুবড়ি মেড়ে উড়িয়ে দিতে হবে, সেটা তো কাম্য নয়। যারা এ পোস্টটির লেখককে আক্রমণ করছেন, তারা অন্য মতের প্রতি সহনশীলতার গুণ থেকে নিজেকে বঞ্চিত প্রমাণ করছেন। বিতর্ক হোক- কিন্তু তা যেন ভদ্র ও শালীন ভাষায় হয়- সেদিকে আমাদের সচেতনতা প্রয়োজন। মন্তব্য করতে গিয়ে রাজনীতি কিংবা ব্যক্তিবিদ্বেষের পাল্লায় পড়ে কেউ যেন নিজের বিশ্বাস ও ধর্ম নিয়ে কটাক্ষ না করে বসেন- সেদিকেও তো লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন।
২২ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:২৫
সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
২৯| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:২২
আফিফা মারজানা বলেছেন: এক পোস্টেই তো আলোড়ন তুলে ফেললেন !নিয়মিত হবেন আশা করি ।
২২ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:২৬
সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩০| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৩১
ছািব্বর বলেছেন: শরিয়তে অশ্লীল অশালীন কথা বলতে নিষেধ করা হয়েছে। ওয়ায করতে হইবে সেভাবে যেভাবে আল্লাহ ও নবীজী বলেছেন ।
যে নিজেকে আলেম দাবী করে কিন্তু অশ্লীল কথা বলে সে জালিম ।
২২ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:২৭
সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর বলেছেন: আপনি সঠিক বলেছেন। কবিতা আর গল্পের নামে, ফ্যাশন শো আর মডেলিংয়ের নামে অশ্লীলতাও উচিত নয়।
৩১| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:০৮
এই আমি সেই আমি বলেছেন: আপনি যে ভাষায় রোকেয়া প্রাচীর সমালোচনা করেছেন আপনি শফি হুজুরের যোগ্য চেলা ।
তা ভাইজান কি বিয়ে করছেন ? না করলে ফোর ফাইভের উপর যাইয়েন না , ভাবী আপনার টাকা পয়সার হিসাব রাখতে পারলেই চলবে । আর বিয়ে করে ফেললে ভাতিজিরে ফাইভের উপর পড়াইয়েন না ।
৩২| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:৫৭
অচেনা যাত্রী বলেছেন: হেফাজতের বিবৃতি: ভিডিওচিত্র আধুনিক প্রযুক্তির কারসাজি
Click This Link
http://www.instantnews24.com/news/16719
http://www.samakal.net/2013/07/13/6883
Click This Link
Click This Link
কিভাবে আধুনিক প্রযুক্তির কারসাজি সম্ভব তা দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন -
http://www.youtube.com/watch?v=-adSB4Q2BsI
http://www.youtube.com/watch?v=W_j61JYsHR0
http://www.youtube.com/watch?v=gwsr0DEdjDo
৩৩| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৪৮
টেস্টিং সল্ট বলেছেন: ওয়াজ করার জন্য আদর্শ হওয়া উচিত মহানবী (সাঃ) এবং তাঁর প্রিয় সাহাবায়ে কেরাম যেভাবে ওয়াজ করে গেছেন, সেই ভাবে।
২২ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:২৯
সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে, বিষয়টি আমাদের সবার মাঝে উদয় হোক।
৩৪| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:১৪
রোকন রাইয়ান বলেছেন: নাস্তিকরা যাই পারুক আ নাই পারুক গালিগালাজে হেরা পটু.. এটাই প্রমাণিত হইল এই পোষ্টে.. আসলে যারা অন্ধ যাদের অন্তরে সিল মারা হয়ে গেছে তারা ডোবা থেকে কখনোই উঠতে পারবে না..
একটাও কোনো যুক্তি দেহাইতে পারল না, খালি উল্কা ছুটাইল..
লেখককে ধন্যবাদ এই মিথ্যা তোলপাড়ের মধ্যে সুন্দর একটা লেখা দেয়ার জন্য...
২২ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৩০
সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর বলেছেন: আপনার মুখে ফুল চন্দন পড়ুক (যদি এলার্জি সমস্যা না থাকে আর কি)।
৩৫| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আরে ভাই- অত পেচিগুচির কিছু নাই!!
মিডিয়া, নারীবাদী. মানবাধিকারের ভন্ডরা সবই সুবিধাবাধী!!
আবার বিশেষ গোত্রে হাম্বা প্রধানও বটে!
৫-০ তে হারা পরে অংক কইষঅ দেখল- এইবার খবর আছে! বাঁচার উপায় কি?
তখন হাতে পাইল পুরানা ভিডিও। ব্যাস যায় কই--
নারীদের খেপাইতে পারলে নারী ভোট যদি কিছু টানা যায়- !!! আশায়.. ব্যাস শুরু হলো হুক্কা হুয়া প্রচারণা!!!
ভন্ড কমুনিষ্ট আর নারীবাদী ভোগবাদী কামবাদী দলগুলা গর্ত থেকে মাথা বাইর কইরা শুরু করলো চিক্কুর!!!!!!!!!!!!!!!!!!
যাক। পাবলিক বহুত সেয়ানা!!
এই দেশে কোরআনের পাতা পুরাইয়াও যখন হাম্বারা ভোট বাড়াইতে পারে নাই- বুঝতে হইব- মানুষ খুবই সচেতন।
তাই তাদের ফাঁদ পাততে দেন। একসময় নিজেরাই সেই ফা৭দে পড়বে।
২২ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৩১
সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
৩৬| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:০৫
ভূতের গলির মোকসেদ বলেছেন: বাদ দেন ভাই, যৌক্তিক আলোচনায় ওরা কোন দিন আপনার সামনে দাড়াতে পারবে না, পারবে শুধু গালাগালি আর অশ্লিল বাক্য প্রয়োগ। জন্মের পর থেকেই তারা যেটা শিখে আসছে। @লেখক
২২ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৩২
সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর বলেছেন: অথচ আমি সেটাই আশা করেছিলাম। যুক্তি যদি থাকে তাহলে যুক্তি দিক। আমি যদি তার যুক্তির কাছে পরাজিত হই তাহালে হার মানবো, সে যদি আমার যুক্তিতে পরাভূত হয় তবে সে মেনে নেবে। কিন্তু গালিগালাজের মধ্যে তো জয় পরাজয়ের কোনো বিষয় নেই। ধন্যবাদ আপনাকে।
৩৭| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৫৬
অগ্নি সারথি বলেছেন: আহাম্মক শফির লেখা তুইলা দিলাম তাও আহাম্মকে কয় কি?
ওই বুকচুদ গার্মেন্টসের কোন মাইয়া শাকিরা আর ক্যাটরিনা সাইজা ঘুইরা বেরায়, যে তোর শফি বাপে দেখল তারা যেনা কইরা ট্যাকা ইনকাম করতাসে। শালা আবাল। ঐ বোকাচোদা, ক্যাটরিনা যদি দেখায়, আর আমি যদি দেখি তাহলে পাপের ভাগী তো আমরা দুই জনে তাই না। আমাদের জন্য আছে জাহান্নাম, সেইখানে তোর ধ্বজভঙ্গ শফি বাপের কি?
আকাশের দিকে মুখ কইরা থাক, দেখ সূর্য্যে তোর শফি বাপেরে দেখা যাইতাসে।
৩৮| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:২৪
জায়েদ ইকবাল বলেছেন: Thank you for your nice article.I hope that all of secular people understand about it.
৩৯| ০১ লা আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৫:৫৫
কসমিক রোহান বলেছেন: আল-কুরআন এবং হাদীস এর আলোকেই তিনি (আল্লামা শফী) তার বক্তব্য দিয়েছেন। আমাদের আল-কুরআন এবং হদীসকে জানতে হবে রুট লেভেল থেকে বিশুদ্ধভাবে, অতপর নিজেই বুঝতে পারবেন ইনশা আল্লাহ্।
ইসলাম কে গোড়া বা রুট লেভেল থেকেজানতে হবে, মাঝখান থেকে ইসলাম কে বোঝা যাবেনা।
আলিফ , বা , তা, ছা থেকে শুরু করা যেতে পারে, বুঝতে পারবেন।
মাঝখান থেকে বুঝা যাবেনা কিছুই।
ইসলাম কে শিখতে হবে এমন কারো কাছে থেকে যার ইসলামী ইলম এসেছে উর্দ্ধক্রমে স্বয়ং রাসুলাল্লাহ (সাঃ) কাছ থেকে।
আপনি কওমি মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে যেতে পারেন। একদম রুট লেভেল থেকেশিখতে পারবেন।
অন্যথায় একজন আলেম এর কাছে যান, যিনি রুট থেকে ইসলাম জেনেছেন।
আমরা যারা জেনারেল সাবজেক্ট এর স্টুডেন্ট তাদের মেন্টালিক সেটাপ এবং লজিক তৈরী হয়েছে আলাদাভাবে যা আমাদেরকে আমাদের নিজেদের পছন্দমত লজিক গ্রহণে কার্যকর ভূমিকা রাখে। আমাদের সুবিধা অনুযায়ী লজিক আমরা মানি।
কোন কিছুর উপর ভাসা ভাসা জ্ঞান নিয়ে অনুমান করে লজিক স্থাপন করলে সেটা অধিকাংশ সময়েই ভুল হয়।
একটা ছোট্ট ভুলেই অনেক বড় ক্ষতি হতে পারে।
তাই সাবধানী থাকা শ্রেয়।
৪০| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:০৫
মুহাম্মদ আসাদুল্লাহ্ বলেছেন: প্রিয় ছাগুপোস্ট
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৩০
নিয়ামুল ইসলাম বলেছেন: তেতুলের কথা বাদ দিলাম, ক্লাস ফোরের বেশি পড়াবেন না, গার্মেন্টসে কেন দিসেন ওইখানে তারা জিনা করে। এটার ব্যখ্যা দেন।