![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যে গল্পে ঈমান বাড়ে ------------
পাকিস্তানের একজন বিশ্বখ্যাত চিকিৎসক প্রফেসর ডাঃ ইশান খান। তিনি নিউরো মেডিসিন (মস্তিষ্ক) বিশেষজ্ঞ। মস্তিষ্কের সব জটিল রোগের চিকিৎসায় তার খ্যাতি বিশ্বজোড়া। একবার ডাঃ ইশান বিমানে চড়ে পাকিস্তানের করাচী থেকে অন্য একটি শহরে যাত্রা করলেন। কিছু দূরে যেতেই বিমান ঝড়ে কবলিত হলো। কোন উপায় না দেখে পাইলট বিমানের জরুরী অবতরণ করালেন দূরের ছোট্ট একটি বিমান বন্দরে। বিমান থেকে সব যাত্রীরা নেমে বাহিরে দাঁড়ালো, ডাক্তার ইশানও নামলেন। তিনি পাইলটকে জিজ্ঞাসা করলেন অন্য কোন ভাবে ঐ শহরে যাওয়া যাবে কিনা। কারন ডাঃ সাহেবের ঐ শহরে যাওয়াটা খুব জরুরী। কোন না কোন ভাবে ডাক্তার ইশান এর জন্য তিন চাকার একটি গাড়ীর ব্যবস্থা করা হলো। ডাক্তার সাহেব গাড়িতে রওয়ানা করলেন মূল সড়কে গিয়ে গাড়ি ধরার জন্য।
অচেনা গ্রামের মেঠো পথে আঁকাবাঁকা হয়ে গাড়ী চলছে। তখন গভীর রাত, চারদিকে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে, যেনো আকাশের সব মেঘ আজ ধরার বুকে নামার প্রতিক্ষায় প্রহর গুনছে।নাহ, এ পরিস্থিতে আর এই ভ্যানগাড়ীতে বসে থাকা সম্ভব নয়। ডাঃ ইশান বড্ড ভয়ও পাচ্ছেন। দূরে একটা ছোট্ট কুটির দেখা যাচ্ছে, সেখানে নিভু নিভু আলো জ্বলছে, ডাঃ ইশান দৌড়ে গেলেন ঘরের দিকে। একবৃদ্ধা দরজা খুললেন, ডাঃ তাঁর সব ঘটনা খুলে বললেন এবং রাতে থাকার আশ্রয় চাইলেন। বৃদ্ধা ডাঃ কে আপ্যায়ন করলেন,ওজু নামাজের ব্যবস্থা করলেন। নামাজের বিছানার পাশে দেখলেন একটি অসুস্থ ছোট্ট শিশু ঘুমিয়ে আছে। ডাঃ সাহেব বৃদ্ধাকে জিজ্ঞাসা করলেন এই শিশুটি কে এবং তাঁর কি হয়েছে?বৃদ্ধা উত্তর করলেন এ শিশুটি আমার নাতি, তাঁর মা বাবা মারা গেছে। সে খুব অসুস্থ, তাঁর চিকিৎসা এ দেশে কোন ডাক্তারই করতে পারছেনা, তবে একজন বিশেষজ্ঞ পারবেন বলে সবাই পরামর্শ দিচ্ছেন। আমরা ডাঃ সাহেবের সাথে দেখা করার জন্য যখন চেষ্টা করলাম তখন তাঁরা আমাদের ৬ মাস পরের সিরিয়াল দিয়ে দেখা করতে বলেছেন।আমি প্রতি ওয়াক্ত সালাতের শেষে আল্লাহর কাছে বলি ওগো দয়াময় এ শিশুটি এতিম, ও ভয়াবহ রোগে আক্রান্ত , তোমার কুদরতী তাজাল্লী দিয়ে আমাদের সাহায্য করো। ডাঃ সাহেবের সাথে আমার দেখা করার পথ সহজ করো। প্রসেসর ডাঃ ইশান বললেনঃ মা সে ডাক্তারের কি নাম? বৃদ্ধা উত্তরে বললেনঃ ডাঃ ইশান!
এবার ডাক্তার অঝর ধারায় চোখের পানি ফেল কাঁদছেন আর বলছেন “মাগো আমিই ডাক্তার ইশান”এখন বুঝেছি কেন আমার প্লেন নষ্ট হলো, কেন এতো ঝড় তুফান নেমে এলো, কেনইবা আমি এ বাড়িতে আশ্রয় নিলাম। বৃদ্ধা দুহাত তুলে অতঃপর মহান রবের সেজদায় চিৎকার করে কাদতে লাগলেন।বাহিরে অঝর ধারায় বারি প্রবাহিত হচ্ছে, আর জীর্ণ কুটিরে চোখের পানিতে নামাজের মুসাল্লা ভিজিয়ে দিচ্ছেন বিশ্বের সবচেয়ে নামী চিকিৎসক ডাঃ ইশান।
শিক্ষাঃ মুসলিম ভাইয়েরা কখনো আপনার রবের ক্ষমতাকে সামান্য ভাববেননা, মনে রাখবেন, আল্লাহর জন্য অসম্ভব বলে কিছুই নেই। লা তাকনাতু মির রাহমাতিল্লাহ- আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়োনা।
আপনি যত বড় পাপী হননা কেন, আল্লাহ্ তায়ালা আপনার ডাকে সাড়া দিবেনই, যদি আপনি পরিপূর্ণ ঈমানের সাথে আল্লাহ্ তায়ালাকে ডাকতে পারেন।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:০৩
ঘুমের রাজ্জ্য বলেছেন: thanks
২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২৪
এম এ মুক্তাদির বলেছেন: এরকম বানানো মিথ্যা গলপ দিয়ে ইমান বাড়ানো কি ঠিক ? এখানে সবই তো মিথ্যা ।
এ ভাবে মিথ্যা দিয়ে ইমান বাড়ানো হলে বুদ্ধিমান মানুষ মনে করবে, আগের সব কাহিনীই মিথ্যা ।
মিথ্যা বলা মহাপাপ, ইমান বাড়ানোর জন্য হলেও ।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:০১
ঘুমের রাজ্জ্য বলেছেন: আপনি চায়লে শিকখা নিটে পারেন।না চায়লে োবিশাস কোরটে পারেন।টবে নায় মার ঠাকে কানা মা কি ভালো নোয়
৩| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৩২
এম এ মুক্তাদির বলেছেন: যারা নানা গল্প শুনে ইমান বাড়িয়েছেন তারা জেনে রাখুন, এতদিন আপনারা এমন বানানো গলপই শুনেছেন ।
মিথ্যা যারা শুনেছেন তাদের গুনাহ কতটা হয়েছে জানি না, কিন্তু যারা এমন মিথ্যা বলেছেন তাদের মত মিথ্যা বাদী আর নেই ।
মিথ্যাবাদীকে কেহ বিশ্বাস করে না ।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:০৪
ঘুমের রাজ্জ্য বলেছেন: ok
৪| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৩৮
বাংলার জামিনদার বলেছেন: এটাতো মাংসের ভিতরে আল্লাহর নাম দেখে জিকির পার্টির নমুনা হয়ে গেলো। এভাবে ধর্ম কে খেলো করার কোনো যুক্তি যে নাই, তা বোঝার মত বিবেক আপনার নাই।
৫| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৪৩
আদর্শ সৈনিক বলেছেন: না মানে এরকম কোয়েনসিডেন্স ঘটনা হয়ে যেতে পারে। আমাদের সবার লাইফেই বিভিন্ন সময় অদ্ভুত ঘটনা ঘটে। না জেনে কাউকে মিথ্যাবাদী বলা ঠিক না।
৬| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:০৬
ঘুমের রাজ্জ্য বলেছেন: golpo o dhormo chorca ak noy,tobuo keow chayle kisu sikkha nite pare
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১৭
সেলিম৮৩ বলেছেন: মূল কথা অামাদের ঈমান অাছে মুখে কিন্তু একিন নেই।
কেউ যখন একমাত্র অাল্লাহর উপর তায়াক্কুল করে তখন স্বয়ং অাল্লাহপাক তার সাহায্যকারী হয়ে যান।
এই বিশ্বাস হৃদয়ে ধারণ করা অত্যান্ত কঠিন ঈমানধারী ব্যক্তি ছাড়া সম্ভব নয়।
অাপনার লেখা ঘটনাটি তারই একটি দৃষ্টান্ত। যে ঈমান সাহাবীদের মধ্যে ছিলো।