নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিশিরের দৈনিক পাতা

এস.এম.আসাদুল্লাহ

আমি এস.এম.আসাদুল্লাহ ।১৯৯৮ সালের ১৫ ই আগষ্ট হিমালয় কন্যা খ্যাত পঞ্চগড় জেলায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করি ।আমি বর্তমান লেখাপড়ার পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়কে নিয়ে প্রবন্ধ,গবেষনা প্রবন্ধ ও ইসলামী কবিতা লেখি ।তবে বন্ধুরা আমি কোন স্বীকৃত কবি বা লেখক নই ।তাই আমার লেখায় আপনারা যদি কখনও কোন ধরনের ভুল বা অযৌক্তিক কিছু পান তবে পেছনে কোন সমালোচনা না করে বরং আমার সাথে সরাসরি যোগাযোগ করলে খুশি হব।

এস.এম.আসাদুল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রবন্ধ

১৪ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:০৯

শিশু রাজন খুন
এস.এম. আসাদুল্লাহ

প্রত্যেক খুনই নির্মম, প্রত্যেক খুনিই পাষন্ড। তাই
বলে কি ১৩ বছরের শিশুকে কেউ এভাবে খুন করতে
পারে। একদিকে আর্ত চিৎকার অন্যদিকে বুনো
উল্লাস !!
সিলেট সদর উপজেলার কুমারগাঁওয়ে দোকানের
খুঁটির সাথে বেঁধে প্রায় দেড় ঘণ্টা নির্যাতন করা
হয় ১৩ বছরের কিশোর শেখ সামিউল আলম রাজনকে।
খুটিয়ে খুঁটিয়ে অত্যাচার করে মিরতু নিশ্চিত করা
হয় খুব ঠান্ডা মাথায় ।
মৃত্যুর আগে শিশু শেখ সামিউল আলম রাজন পানির
জন্য হাহাকার করেছে। নির্যাতনকারীরা তাকে
উল্টো বলে ‘পানি নাই ঘাম খা“ নির্যাতনের এক
পর্যায়ে নিস্তেজ হয়ে পড়ে শিশু রাজন। এছাড়াও
নির্যাতনের এক পর্যায়ে সামিউলকে বোতলের কর্ক
দিয়ে একজন কয়েক ফোটা পানিও দিতে দেখা
গেছে।
কয়েকমিনিটের জন্য রাজনকে হাতের বাঁধন খুলে
রশি লাগিয়ে হাঁটতে দেওয়া হয়। ‘হাড়গোড় তো
দেখি সব ঠিক আছে, আরও মারো...’ বলে রাজনের
বাঁ হাত খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রেখে আরেকদফা
পেটানো হয়। এসময় রাজনের শরীর ও চোখ-মুখ বেশ
ফোলা দেখা গেছে।
যে ভিডিও ধারণ করার কাজটি করছিল, তাকে
নির্দেশ করে নির্যাতনকারীরা জানতে চায়
ঠিকমতো ভিডিও ধারণ হচ্ছে কি-না। ওপাশ থেকে
‘ফেসবুকে ছাড়ি দিছি, অখন সারা দুনিয়ার মানুষ
দেখব...’ বলতে শোনা গেছে।
গত বুধবার নিমর্মভাবে নির্যাতন করে হত্যা করার পর
গুম করার সময় উদ্ধার করা হয় কিশোর শেখ সামিউল
আলম রাজনের লাশ। এবার তাকে নির্যাতন করার
দৃশ্য ভিডিওচিত্রে প্রকাশ পেয়েছে।
রাজনের বাড়ি কুমারগাঁও বাসস্টেশন পার্শ্ববর্তী
সিলেট সদর উপজেলার কান্দিগাঁও ইউনিয়নের
বাদেআলী গ্রামে। রাজনের বাবা শেখ আজিজুর

রহমান পেশায় একজন মাইক্রোবাসচালক। তাঁর দুই
ছেলের মধ্যে রাজন বড়। অনন্তপুর সরকারি প্রাথমিক
বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করা
রাজন সবজি বিক্রি করত।
আজিজুর জানান- তিনি যেদিন ভাড়ায় মাইক্রোবাস
চালাতে পারেন না, সেদিন সংসার খরচ চালাতে
সবজি বিক্রি করতে বের হয় রাজন।
এ কেমন বর্বরতা? দেশটা কি মগের মুল্লুক হয়ে গেল?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.