![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এস.এম.আসাদুল্লাহ ।১৯৯৮ সালের ১৫ ই আগষ্ট হিমালয় কন্যা খ্যাত পঞ্চগড় জেলায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করি ।আমি বর্তমান লেখাপড়ার পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়কে নিয়ে প্রবন্ধ,গবেষনা প্রবন্ধ ও ইসলামী কবিতা লেখি ।তবে বন্ধুরা আমি কোন স্বীকৃত কবি বা লেখক নই ।তাই আমার লেখায় আপনারা যদি কখনও কোন ধরনের ভুল বা অযৌক্তিক কিছু পান তবে পেছনে কোন সমালোচনা না করে বরং আমার সাথে সরাসরি যোগাযোগ করলে খুশি হব।
নাস্তিকতার কথা
এস.এম.আসাদুল্লাহ
নাস্তিকতা বা এথিজম হল স্রষ্টার
অস্তিত্বহীনতা তথা একথার বিশ্বাস
করা যে, স্রষ্টা বলতে কিছু নেই। আসমান,জমিন,
গ্রহ-তারা সবই এমনিতেই
প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্টি হয়েছে। এগুলোর কোন
স্রষ্টা নেই। এক কথায় স্রষ্টার
অস্তিত্বহীনতার বিশ্বাসের নাম নাস্তিক্যতা।
নাস্তিকতার অর্থ বুঝলে আমাদের অনেক বিষয়
বুঝে আসবে। যেমন-
(১) নাস্তিক মানেই কাফের। কারণ কাফের
হওয়ার জন্য দ্বীনে ইসলামের যে কোন একটি
আবশ্যকীয় বিষয় অস্বিকার করলেই হয়।আর
সেখানে নাস্তিক সেতো কোন কিছুই মানে না,
তাই সে যে কাফের এটা বলার অপেক্ষা রাখে
না।
(২) নাস্তিক মুরতাদ ও হতে পারে। কারণ কোন
ব্যক্তি যদি মুসলমান ছিল প্রথমে, তারপর
(আল্লাহ না করুন) স্রষ্টার অস্তিত্বহীনতায়
বিশ্বাসী হয়ে যায়, তাহলে লোকটি নাস্তিক ও
হল,সাথে সাথে মুরতাদও হল।সেই সাথে
কাফেরতো হলোই।
(৩) কাফের ও মুরতাদ হওয়ার জন্য নাস্তিক হওয়া
জরূরী নয়। বরং নাস্তিক না হয়েও কাফের বা
মুরতাদ হতে পারে। কিন্তু নাস্তিক হলেই কাফের
হয়ে যায়।যদি মুসলমানিত্ব থেকে নাস্তিকতার
দিকে গেলে সাথে মুরতাদও হয়ে যায়।
এ বিষয়টি আরো ভাল করে বুঝতে হবে।কাফের
হলেই তাকে নাস্তিক
হতে হবে এমন শর্ত নয়। কারণ কাফের হল
ইসলামের জরূরী বিষয়ের কোন একটি অস্বিকার
করা।নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)
এর শান মান অস্বীকার করলে সে কাফের হয়ে
যাবে।আর নাস্তিক মানে হল স্রষ্টা অস্বিকার
করা।তাহলে কোন ব্যক্তি ইসলামের জরূরী কোন
বিষয়ের অস্বিকার করে যদি স্রষ্টা আছে
মানে,তাহলে উক্ত ব্যক্তি কাফের, কিন্তু
নাস্তিক নয়। এ হিসেবে খৃষ্টান নাস্তিক নয়। নয়
ইহুদীরাও।নয় হিন্দুরাও। কারণ তারা সবাই একজন
স্রষ্টা আছেন মর্মে বিশ্বাস করে। কিন্তু তারা
সবাই কাফের। কারণ তারা ইসলামের জরূরী
বিষয় অস্বীকার করেছে।
কোন মুসলমানকে বিনা প্রমাণে কাফের বলা
জায়েজ নয়।যদি তাঁর বিষয়ে ১০০% নিশ্চিত হয়ে
থাকেন যে,সে কুফরী করেছে তাহলে তাকে
কাফের বলা নিরাপদ। কোন ব্যক্তি ইসলামের
জরূরী বিষয়কে মান্য করে, কিন্তু গোনাহগার।
তাহলে উক্ত গোনাহের কারণে লোকটিকে
কাফের বলা জায়েজ নয়। হারাম।
©somewhere in net ltd.