![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এস.এম.আসাদুল্লাহ ।১৯৯৮ সালের ১৫ ই আগষ্ট হিমালয় কন্যা খ্যাত পঞ্চগড় জেলায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করি ।আমি বর্তমান লেখাপড়ার পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়কে নিয়ে প্রবন্ধ,গবেষনা প্রবন্ধ ও ইসলামী কবিতা লেখি ।তবে বন্ধুরা আমি কোন স্বীকৃত কবি বা লেখক নই ।তাই আমার লেখায় আপনারা যদি কখনও কোন ধরনের ভুল বা অযৌক্তিক কিছু পান তবে পেছনে কোন সমালোচনা না করে বরং আমার সাথে সরাসরি যোগাযোগ করলে খুশি হব।
স্টেজ অব সাইক্লোজিকাল ওয়ারফেয়ার
------এস.এম.আসাদুল্লাহ
বর্তমান সময়ে বিশ্বজুড়ে সফলতার সাথে যেটা চলছে
সেটা হলো
‘মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ’ বা ‘Psychological warfare’। এ যুদ্ধের
দ্বারা খুব সফলতার সাথে সম্রাজ্যবাদীরা একের পর এক
দেশ দখল করে যাচ্ছে। সাবেক কেজিবি এজেন্ট
মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ বিশারদ আলেক্সন্ডার ব্রেজমেনভ
মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের দ্বারা কোন দেশ দখল করার জন্য
চারটি ধাপ বর্ণনা করেছে।
প্রথম স্টেজ : ডি-মরালাইজেশন বা নৈতিক চরিত্র অবক্ষয়।
দ্বিতীয় স্টেজ : ডি-স্টেবিলাইজেশন বা স্বাভাবিক
পরিবেশকে ভেঙ্গে দেওয়া।
তৃতীয় স্টেজ : ক্রাইসিস বা চরম অস্থিতিশীলতা তৈরী করা।
চতুর্থ স্টেজ : নরমালাইজেশন বা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার নাম
দিয়ে দখল করা।
প্রথমে ধাপ বা ডি-মরালাইজেশন বা নৈতিক চরিত্র ধ্বংস:
এ ধাপে একটা জাতিকে বিভিন্ন বিনোদনের নামে টিভি-
সিনেমা, গান-বাজনা, খেলাধূলা, নাটক-সিরিয়ালের নাম দিয়ে
দীর্ঘদিন ধরে ডিমরালাইজ করে দেওয়া হয়। ঐ জাতি বাস্তবতা
ভূলে সারা দিন বিনোদন নিয়ে নেশাগ্রস্তের মত পরে
থাকে। ক্রিকেট খেলা শুরু হলে দিক-বিদিক ভুলে যায়। নাটক-
সিরিয়ালে যা দেখে সেটা অনুসারে জীবন গঠন করতে
চায়। ব্লগ-ফেসবুকে বার বার ধর্মবিদ্বেষী কথা প্রচার
করে ধর্মীয় বাধন (অনুভূতি) তুলে দেওয়া হয়।
দ্বিতীয় ধাপ বা ডি-স্টেবিলাইজেশন বা স্বাভাবিক পরিবেশকে
ভেঙ্গে দেওয়া:
স্ট্যাবল বা স্থিতিশীল পরিবেশ ভেঙ্গে দেওয়ার নামই
হচ্ছে ডি-স্টেবিলাইজেশন। এর অনেক উদাহরণ আছে।
সংক্ষেপে একটা উদাহরণ দিচ্ছি। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের
শিক্ষাক্ষেত্রে যেটা সৃষ্টি হয়েছে এটা একটা ডি-
স্টেবিলাইজেশন প্রক্রিয়া। হঠাৎ করে নতুন শিক্ষানীতি
প্রণয়ন করা, কথিত সৃজনশীল সিস্টেম চালু করা, ঢাবিতে ভর্তি
পরীক্ষা দিয়ে এ+ প্রাপ্তরা পাশ না করা, ভর্তি পরীক্ষা না
দিয়ে নতুন বিতর্কিত সিস্টেম, শিক্ষাকর ইত্যাদির নামে
শিক্ষাক্ষেত্রকে ডি-স্টেবিলাইজ বা অস্থিতিশীল করা
হয়েছে। একইভাবে, আইনবিভাগ, অর্থবিভাগসহ সব
সেক্টরগুলো অস্থিতিশীল করা হবে। বলাবাহুল্য যেহেতু
ঐ জাতিটি নৈতিক ভিত্তিহীন বা ডি-মরালাইজ, তাই সেসকল অপকর্ম
বুঝেও কিছুই করতে পারে না।
তৃতীয় ধাপ বা ক্রাইসিস বা চরম অস্থিতিশীলতা:
এটা এক ধরনের যুদ্ধাংদেহী অবস্থা। জাতির নৈতিক চরিত্র না
থাকায় এবং পরিস্থিতি স্থিতিশীল না হওয়ার সুযোগে বহিঃশক্তিধরা
ঐ দেশের অভ্যন্তরের দালাল রাজনীতিবিদদের
পরষ্পরের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্বে লাগিয়ে দেয়। শুরু হয়
গৃহযুদ্ধ।
চতুর্থ ধাপ বা নরমালাইজেশন বা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার নাম
দিয়ে দখল করা:
যখন কোন দেশে গৃহযুদ্ধ লেগে যায়, তখন
সম্রাজ্যবাদীরা মিটিং বসায়। বলে অমুক দেশে গৃহযুদ্ধ বিরাজ
করছে সেটা বন্ধ করা দরকার (যদিও তারাই সেটা সৃষ্টি
করেছে)। তখন তারা শান্তি প্রতিষ্ঠার নাম দিয়ে সৈন্য পাঠায়। এবং
নরমালাইজেশনের নাম দিয়ে দেশটা দখল করে নেয়।
যেহেতু ঐ জাতির নৈতিক কোন ভিত্তি নাই, তাই তারা প্রতিবাদ বা
বিরোধীতা করার ভাষা হারিয়ে ফেলে। তখন জনগন
উল্টো বলতে থাকে, ‘অমুক দেশের কালচার আমার
ভালো লাগে, ভালোই হয়েছে অমুক দেশ দখল
করেছে’।
এভাবেই সম্রা্জ্যবাদীরা দীর্ঘদিন ধরে প্ল্যান করে
একটির পর এক দেশ দখলে কাজ করে যাচ্ছে।
©somewhere in net ltd.