![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সংগঠক, অভিনেতা, ব্লগার, স্যোসাল মিডিয়া এক্টিভিস্ট, ডিজাইনার
জালিমের ঘরে আলিম: মরীচিকার পেছনে এক জাতির দৌড়
বাংলাদেশের রাজনীতির স্যাটায়ার | বিশেষ ফিচার
“এক জালিমকে সরিয়ে আরেক জালিম আনবো না”—প্রতিশ্রুতির এই স্লোগানেই শুরু হয়েছিল নতুন স্বপ্নযাত্রা। কিন্তু আজ ২০২৫ সালে এসে প্রশ্ন জাগে—এটা কি সত্যিই পরিবর্তন, নাকি কেবল অভিনয় মঞ্চে চরিত্র বদল?
বাংলাদেশের রাজনীতি যেন এক অনন্ত নাট্যমঞ্চ। এখানে মুখ বদলায়, স্লোগান পাল্টায়, কিন্তু গল্প একই থাকে। ২০২৪ সালের উত্তাল আন্দোলনের পর জনগণ ভেবেছিল, এবার হয়তো ‘আলিম’দের শাসন শুরু হবে। বাস্তবতা হলো, ‘জালিম’রা কেবল পোশাক পাল্টেছে।
প্রথম অধ্যায়: প্রতিশ্রুতির পাহাড়, বাস্তবতার বালুচর
জামাতে ইসলামী একসময় বলেছিল:> “এক জালিমকে সরিয়ে আমরা আরেক জালিম আনবো না।”
কিন্তু সিস্টেম না বদলে শুধু মুখ বদলানোর রাজনীতি দেশকে আবার ফিরিয়ে দিয়েছে আগের অবস্থায়। পুরনো খেলোয়াড়দের জায়গায় এসেছে নতুন মুখ, কিন্তু বোর্ড একই রয়ে গেছে।
দ্বিতীয় অধ্যায়: জনগণের স্মৃতিশক্তি সোনালী মাছের মতো
প্রতিবারই নতুন দল আসে পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে, আর জনগণ ভুলে যায় আগের দিনের দুঃখ-কষ্ট। তিন বছরের মধ্যেই তাদের রাগ-ক্ষোভ গলে যায়, আর শুরু হয় নতুন ভরসার গল্প।
ফলাফল? একই দুর্নীতি, একই অনিয়ম, শুধু কোট আর টাইয়ের রঙ বদলেছে।
তৃতীয় অধ্যায়: ভয় দেখানোর শিল্পে প্রযুক্তির ছোঁয়া
এবারের সরকারের কৌশল আরও পরিশীলিত।
আগের দিনে লাঠি দিয়ে ভয় দেখানো হতো, এখন ভয় দেখানো হয় ফেসিয়াল রিকগনিশন সফটওয়্যারে।
আগের দিনে মিছিল দমন হতো রাস্তায়, এখন সমালোচককে খুঁজে আনা হয় সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট দেখে।
এখন মানুষ ঘরে বসে নিজেই নিজেকে সেন্সর করে।
চতুর্থ অধ্যায়: গণতন্ত্রের ফটোশুট সংস্করণ
নির্বাচন এখন যেন একদিনের উৎসব—বেলুন, ব্যানার, হাসির ছবি। কিন্তু ক্যামেরা বন্ধ হলে বোঝা যায়, উৎসবটা মূলত ক্ষমতাসীনদের।
‘গণতন্ত্র’ শব্দটা এখন অনেকটা বিজ্ঞাপনী স্লোগানের মতো—আছে, কিন্তু ব্যবহার কেবল সাজসজ্জায়।
পঞ্চম অধ্যায়: জালিমের সংজ্ঞা পরিবর্তনের খেলা
আগে জালিম বলা হতো নেতাদের। এখন জালিম বলা হয় সেই সাধারণ মানুষকে, যে সমালোচনা করার সাহস রাখে। শুধু শব্দটা পাল্টেছে, ভয় কিন্তু একই আছে।
> “বাংলাদেশের রাজনীতি এখন অভিনয়ের মহড়া। দর্শকরা (জনগণ) শুধু হাততালি দেয়, কিন্তু কাহিনি পাল্টায় না।”
শেষ অধ্যায়: মরীচিকার পেছনে ক্লান্ত এক জাতি
প্রতিটি পরিবর্তনের পর মানুষ ভাবে এবার বোধহয় শান্তি আসবে। কিন্তু মরুভূমির মাঝে ঝিলমিল করা জলের মতো সেই স্বপ্নও মরীচিকা হয়ে যায়।
দেশে সত্যিকারের পরিবর্তন আসবে তখনই, যখন শুধু দল নয়, সিস্টেম পরিবর্তনের দাবি তুলবে সাধারণ মানুষ।
ততদিন পর্যন্ত ‘আলিম’ খোঁজার যাত্রায় আমরা হয়তো কেবল নতুন সাজে পুরনো জালিমদের সাথেই বসবাস করব।
আন্দোলনের ঢেউ থেমে গেছে, কিন্তু সাধারণ মানুষের জীবনে পরিবর্তন এখনো মরীচিকার মতো দূরে। [
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:০৫
এস.এম. আজাদ রহমান বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি কমেন্টস করার জন্য।
২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:০৭
বিজন রয় বলেছেন: একটি অন্ধকারে নিমজ্জিত জাতির নিকট থেকে আপনি কি আশা করেন?
৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:২২
কামাল১৮ বলেছেন: মাদ্রাসায় পড়ুয়া জাতির কপালে এমনটাই হওয়ার কথা।যুক্তি দিয়ে চিন্তাই করতে শিখেনি এই জাতি।তথ্য প্রমান তো দুরের কথা।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি আসলে কি বলতে চান??