![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সংগঠক, অভিনেতা, ব্লগার, স্যোসাল মিডিয়া এক্টিভিস্ট, ডিজাইনার
একটি ছবির মূল্য কত?
ট্রাম্প, মেলানিয়া এবং মহাজন ড. ইউনুসের সফর ঘিরে নেট দুনিয়ায় ঝড়
রাজনীতি ও ক্ষমতার খেলায় কখনো কখনো একটি ছবি হাজার কথার চেয়েও বেশি কিছু বলে দেয়।
সম্প্রতি নিউইয়র্কে জাতিসংঘের ৮০তম অধিবেশন ঘিরে এমনই এক ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে—সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তার স্ত্রী ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প, আর বাংলাদেশের আলোচিত মহাজন ড. মোহাম্মদ ইউনুস তার কন্যাকে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন এক ফ্রেমে।
ছবিটি প্রকাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নানা মহলে তোলপাড়।
কারো মতে এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে এক ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’, আবার অনেকেই বলছেন—
“এটা হয়তো এআই-জেনারেটেড ছবি।”
কিন্তু প্রশ্ন হলো, যদি এআই দিয়েও হয়, তবে কি এর মূল্য শূন্য হবে?
রাজনৈতিক সমীকরণে অনেক সময় একটি ভুয়া ছবিও আসল রাজনীতির চেয়ে বেশি প্রভাব ফেলতে পারে।
সফরের মূল্য ট্যাগ: ৭০০ কোটি টাকা!
নিন্দুকদের মতে, ড. ইউনুসের এই সফরের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা।
এই বিপুল অর্থ ব্যয়ের পেছনে ‘রাষ্ট্রীয় কূটনীতি’, ‘জাতিসংঘ কূটনীতি’, কিংবা ‘ব্যক্তিগত কূটনীতি’— কোনোটাই স্পষ্ট নয়।
তবে যা স্পষ্ট, এ সফরে ১০৪ জন সফরসঙ্গী ছিলেন।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুমুল আলোচনা।
কেউ কেউ কটাক্ষ করে লিখেছেন—
-“১০৪ জন! এটা কি জাতিসংঘে যোগ দিতে গেছেন, নাকি নিউইয়র্কে গ্রামের হাট বসাতে গেছেন?”
ছবির রাজনীতি
ছবিটি যে হঠাৎ করেই আসেনি, সেটাও স্পষ্ট।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ছবির মূল বার্তা হলো—
“আমরা বিশ্বরাজনীতিতে আছি, কেবল দেশের মধ্যে নয়।”
ট্রাম্পের সঙ্গে একই ফ্রেমে দাঁড়ানো একটি শক্তিশালী কূটনৈতিক বার্তা দিতে পারে।
কিন্তু সমালোচকরা বলছেন, এটি কেবল সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং।
যেমন, কেউ ফেসবুকে পোস্ট করেছেন—
“এই ছবির দাম ৭০০ কোটি টাকা।
ছবির বাইরে যা ঘটছে, তার দাম জাতির ভবিষ্যৎ।”
জাতিসংঘের ৮০তম অধিবেশনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ
জাতিসংঘের ৮০তম অধিবেশন সাধারণত কূটনৈতিক অঙ্গনে একটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ।
এবার বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল ছিল বিশাল আকারের।
ড. ইউনুসের নেতৃত্বে থাকা এই দল বিভিন্ন দিক থেকে নজর কাড়ে।
কিন্তু সমালোচনার মূল কারণ হলো—
১. সফর ব্যয় অস্বাভাবিক বেশি।
২. সুনির্দিষ্ট কোনো কূটনৈতিক অর্জনের তথ্য নেই।
৩. ছবিকে কেন্দ্র করে আলোচনাই মূল ফোকাস হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নিন্দুক বনাম সমর্থক
নিন্দুকরা বলছেন:
“এই সফর মূলত পিআর শো। দেশীয় রাজনীতিতে বৈধতা অর্জনের চেষ্টা।”
“৭০০ কোটি টাকায় ১০৪ জনকে নিয়ে বিদেশ ভ্রমণ কোনো রাষ্ট্রীয় স্বার্থে হতে পারে না।”
“ছবিটি হয়তো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার তৈরি, যা দিয়ে দেশের জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।”
অন্যদিকে সমর্থকরা দাবি করছেন:
“এটি আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশের শক্তিশালী উপস্থিতির প্রমাণ।”
“ড. ইউনুসকে ঘিরে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক আরও গভীর হবে।”
“ছবির সমালোচনা নয়, এর প্রতীকী মূল্য নিয়ে ভাবা উচিত।”
একটি ছবির অদৃশ্য মূল্য
রাজনীতিতে কখনো কখনো একটি ছবি ইতিহাস গড়ে দেয়।
এটি সত্যি হোক বা এআই-এর সৃষ্টি—
এ ছবিকে ঘিরে যে রাজনৈতিক বিতর্ক, তা বাংলাদেশের গণমাধ্যম ও জনগণকে নাড়া দিয়েছে।
কেউ বলছেন এর মূল্য ৭০০ কোটি টাকা,
আবার কেউ বলছেন—
“ছবির মূল্য শুধু টাকায় মাপা যাবে না।
এটি একটি দেশের ভবিষ্যতের সঙ্গে জড়িত।"
কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই ছবির আসল মূল্য সময়ই বলে দেবে।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:১১
এস.এম. আজাদ রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ কামাল ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য।
২| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২৮
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
ইউনুস নিজের টাকা থেকে খুবই বড় এমাইন্ট দান করেছিলো ক্লনটনদের এনজিও'তে; সে পাকিস্তানের আইএসআইকে বড় অংকের টাকা দিয়েছে; সে ট্রাম্পের ডিনারেও বড় টাকা দিবে; সব টাকা সে আয় করছে "এনজিও" থেকে।
৩| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:১০
কৃষ্ণের মুরলী বলেছেন: ইউনুস সাহেব অনেক ভালো মানুষ। ট্রাম্প খারাপ মানুষ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:০০
কামাল১৮ বলেছেন: জাতিসংঘে ইউনুসের সাথে ট্রাম্পের দেখা হয়নি।অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন।অন্য কোথাও হতে পারে।