নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজস্ব ভাবনা চিন্তা নিয়ে আমার ভার্চুয়াল জগত!

এস.এম. আজাদ রহমান

সংগঠক, অভিনেতা, ব্লগার, স্যোসাল মিডিয়া এক্টিভিস্ট, ডিজাইনার

এস.এম. আজাদ রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

সেনাবাহিনীর স্ব-শাসন বনাম বেসামরিক হস্তক্ষেপ: কেন কোর্ট-মার্শাল জরুরি

১১ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৬



সেনাবাহিনীর স্ব-শাসন বনাম বেসামরিক হস্তক্ষেপ: কেন কোর্ট-মার্শাল জরুরি

সেনাবাহিনী যে কোনো রাষ্ট্রের সবচেয়ে সংবেদনশীল প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটি। এখানকার শৃঙ্খলা ও নিয়ন্ত্রণ দেশের নিরাপত্তা এবং সামাজিক স্থিতিশীলতার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। কিন্তু যদি কোনো সেনা কর্মকর্তা বা সদস্য অপরাধে জড়িত হয়, তাহলে তার বিচারের প্রক্রিয়া নিয়ে বিতর্ক উঠতে পারে।

সামরিক আইন: কোর্ট-মার্শালের ক্ষমতা
সামরিক আইন স্পষ্টভাবে বলে দেয় যে, সেনাবাহিনীর কোনো সদস্য অপরাধ করলে কোর্ট-মার্শালের মাধ্যমে তার বিচার করা যেতে পারে। যুদ্ধকালীন সময়ে শত্রুপক্ষকে তথ্য দেওয়া, দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করা বা সামরিক অভ্যুত্থান ঘটানোর চক্রান্তের মতো গুরুতর অপরাধ প্রমাণিত হলে চাকুরিচ্যুতি, কারাদণ্ড বা নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত দেওয়া সম্ভব।

ইতিহাসই প্রমাণ। ১৯৭৫ থেকে ১৯৮০ পর্যন্ত সামরিক অভ্যুত্থান ও সংশ্লিষ্ট ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে সংক্ষিপ্ত সামরিক আদালতে (কোর্ট-মার্শাল) বহু সেনা ও বিমান বাহিনীর সদস্যকে দণ্ডিত করা হয়েছিল। উদাহরণস্বরূপ, ১৯৭৭ সালের অক্টোবরের পর মাত্র দুই মাসে ১,১৪৩ জন সদস্যকে গণফাঁসি কার্যকর করা হয়েছিল।

বেসামরিক আদালতের হস্তক্ষেপ: ঝুঁকিপূর্ণ প্রক্রিয়া
বর্তমান সময়ে যদি বেসামরিক আদালতের মাধ্যমে সেনা সদস্যদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক অভিযোগ এনে গ্রেফতার করা হয়, তাহলে তা ভবিষ্যতে দেশের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার জন্য বড় ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে। ইতিমধ্যেই কিছু সিনিয়র কর্মকর্তা গ্রেফতার হয়েছে, এবং ভবিষ্যতে এই তালিকা কয়েক হাজারে পৌঁছাতে পারে।

যেকোনো সরকার চাইলে এই প্রক্রিয়াকে অব্যাহত রেখে, বর্তমান ইন্টেরিমের সঙ্গে কাজ করা সেনা সদস্যদের উপরও একই ধরনের অভিযোগ এনে বেসামরিক বিচারের পথ সুগম করতে পারবে। এটি সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা এবং দেশের নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি।

কেন সেনাবাহিনীর নিজস্ব বিচার ব্যবস্থার প্রয়োজন
সেনাবাহিনী নিজস্ব শৃঙ্খলা রক্ষা এবং সদস্যদের বিচারের ক্ষমতা নিজের হাতে রাখতে পারলে তা অনেক বেশি কার্যকর ও ন্যায্য হয়। এটি দেশের সার্বিক মঙ্গলের জন্য অপরিহার্য। কোর্ট-মার্শালের মাধ্যমে বিচার হলে অপরাধ প্রমাণের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও পদ্ধতিগত নিয়ম নিশ্চিত হয়। অন্যদিকে, বেসামরিক হস্তক্ষেপ রাজনৈতিক প্রভাব, জনমত ও অপ্রয়োজনীয় চাপ সৃষ্টি করতে পারে।

উপসংহার:
সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা এবং বিচার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী রাখা, কোর্ট-মার্শালের মাধ্যমে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা, এবং বেসামরিক আদালতের হস্তক্ষেপ থেকে বিরত থাকা—এগুলো দেশের নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা এবং দীর্ঘমেয়াদী শান্তির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। .সেনাবাহিনীর স্ব-শাসন বনাম বেসামরিক হস্তক্ষেপ: কেন কোর্ট-মার্শাল জরুরি

সেনাবাহিনী যে কোনো রাষ্ট্রের সবচেয়ে সংবেদনশীল প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটি। এখানকার শৃঙ্খলা ও নিয়ন্ত্রণ দেশের নিরাপত্তা এবং সামাজিক স্থিতিশীলতার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। কিন্তু যদি কোনো সেনা কর্মকর্তা বা সদস্য অপরাধে জড়িত হয়, তাহলে তার বিচারের প্রক্রিয়া নিয়ে বিতর্ক উঠতে পারে।

সামরিক আইন: কোর্ট-মার্শালের ক্ষমতা
সামরিক আইন স্পষ্টভাবে বলে দেয় যে, সেনাবাহিনীর কোনো সদস্য অপরাধ করলে কোর্ট-মার্শালের মাধ্যমে তার বিচার করা যেতে পারে। যুদ্ধকালীন সময়ে শত্রুপক্ষকে তথ্য দেওয়া, দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করা বা সামরিক অভ্যুত্থান ঘটানোর চক্রান্তের মতো গুরুতর অপরাধ প্রমাণিত হলে চাকুরিচ্যুতি, কারাদণ্ড বা নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত দেওয়া সম্ভব।

ইতিহাসই প্রমাণ। ১৯৭৫ থেকে ১৯৮০ পর্যন্ত সামরিক অভ্যুত্থান ও সংশ্লিষ্ট ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে সংক্ষিপ্ত সামরিক আদালতে (কোর্ট-মার্শাল) বহু সেনা ও বিমান বাহিনীর সদস্যকে দণ্ডিত করা হয়েছিল। উদাহরণস্বরূপ, ১৯৭৭ সালের অক্টোবরের পর মাত্র দুই মাসে ১,১৪৩ জন সদস্যকে গণফাঁসি কার্যকর করা হয়েছিল।

বেসামরিক আদালতের হস্তক্ষেপ: ঝুঁকিপূর্ণ প্রক্রিয়া
বর্তমান সময়ে যদি বেসামরিক আদালতের মাধ্যমে সেনা সদস্যদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক অভিযোগ এনে গ্রেফতার করা হয়, তাহলে তা ভবিষ্যতে দেশের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার জন্য বড় ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে। ইতিমধ্যেই কিছু সিনিয়র কর্মকর্তা গ্রেফতার হয়েছে, এবং ভবিষ্যতে এই তালিকা কয়েক হাজারে পৌঁছাতে পারে।

যেকোনো সরকার চাইলে এই প্রক্রিয়াকে অব্যাহত রেখে, বর্তমান ইন্টেরিমের সঙ্গে কাজ করা সেনা সদস্যদের উপরও একই ধরনের অভিযোগ এনে বেসামরিক বিচারের পথ সুগম করতে পারবে। এটি সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা এবং দেশের নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি।

কেন সেনাবাহিনীর নিজস্ব বিচার ব্যবস্থার প্রয়োজন
সেনাবাহিনী নিজস্ব শৃঙ্খলা রক্ষা এবং সদস্যদের বিচারের ক্ষমতা নিজের হাতে রাখতে পারলে তা অনেক বেশি কার্যকর ও ন্যায্য হয়। এটি দেশের সার্বিক মঙ্গলের জন্য অপরিহার্য। কোর্ট-মার্শালের মাধ্যমে বিচার হলে অপরাধ প্রমাণের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও পদ্ধতিগত নিয়ম নিশ্চিত হয়। অন্যদিকে, বেসামরিক হস্তক্ষেপ রাজনৈতিক প্রভাব, জনমত ও অপ্রয়োজনীয় চাপ সৃষ্টি করতে পারে।

উপসংহার:
সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা এবং বিচার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী রাখা, কোর্ট-মার্শালের মাধ্যমে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা, এবং বেসামরিক আদালতের হস্তক্ষেপ থেকে বিরত থাকা—এগুলো দেশের নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা এবং দীর্ঘমেয়াদী শান্তির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৭

মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌ বলেছেন: কোর্ট মার্শালে গুমের শাস্তির কোন বিধান নাই। এই জন্যই বেসামরিক হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়ছে।

১১ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৫:০৩

এস.এম. আজাদ রহমান বলেছেন: না থাকলে সেটাকে সংশোধন করার পর বিচার করা যেতে পারে। যেহেতু দেড়বছর পর এ বিচারকার্য শুরু হলো।

২| ১১ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৫:১০

মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌ বলেছেন: দেড় বছর পার হয়েছে কিন্তু বিচার তো আগেই শুরু হয়েছে। হাসিনার বিচারের সাথেই এক অংশের বিচার হয়েছে এবং আলাদা আরেকটা বিচার হচ্ছে।

১১ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৫:১৬

এস.এম. আজাদ রহমান বলেছেন: ভুল তথ্য দিবেন না, যারা এখনো দায়িত্বে আছেন তাদের বিচার হাসিনার সাথে শুরু হয়নি, যারা পালিয়ে গেছে কিংবা বর্তমানে সেনাবাহিনীতে সার্ভিং নাই তাদের কথা বলতে পারেন।

৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৫:২২

মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌ বলেছেন: আপনি ভুল তথ্য দিচ্ছেন। একই মামলায় যারা সার্ভিসে নেই এবং যারা আছে উভয় কেই ইনক্লুড করা আছে।

১১ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৫:২৪

এস.এম. আজাদ রহমান বলেছেন: না জেনে কথা বললে তর্ক বাড়ে।

৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৫:২৭

মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌ বলেছেন: আমার ভুল হয়েছে কিনা চেক করে দেখছি।

১১ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৩

এস.এম. আজাদ রহমান বলেছেন: মোদ্দাকথা এ বিচারে সেনাবাহিনীর চে্ইন অফ কমান্ড ভেঙ্গে পরবে। আমার লেখার মূল উদ্দেশ্য এটাই।

৫| ১১ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৩

মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌ বলেছেন: আপনি ঠিকি বলেছেন। যে দুটোর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে তাতে যারা প্রাক্তন তাদের একটা এবং যারা কর্মরত তাদের একটা মামলা এবং আরো তিনটা মামলার কাজ এগিয়ে চলছে।

১১ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৫

এস.এম. আজাদ রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ

৬| ১১ ই অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২১

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: মিলিটারি নিয়ে আপনাদের এতো টেনশন কেন ? সবাই দেখি এটা নিয়ে পড়ে আছেন।

১১ ই অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৬

এস.এম. আজাদ রহমান বলেছেন: কুতুব ভাই, সেনাবাহিনী যদি কিছু করার চেষ্টা করে, তখন শুধু আমাদের না সবার উপরেই পরবে।

৭| ১১ ই অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২২

গন্ধহীন বেলী ফুল বলেছেন:




মিলিটারিতেও খারাপ লোক রয়েছেন। তারাও দূর্নীতি করেন। দূর্নীতিবাজদের বিচার সিভিল কোর্টে হওয়া প্রয়োজন।

১১ ই অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৮

এস.এম. আজাদ রহমান বলেছেন: হতে সমস্যা নাই, অন্যকিছু না হলেই ভাল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.