![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সংগঠক, অভিনেতা, ব্লগার, স্যোসাল মিডিয়া এক্টিভিস্ট, ডিজাইনার
।
আওয়ামী লীগকে বাদ দিলে বাংলাদেশও অসম্পূর্ণ
বাংলাদেশের রাজনীতি আজ এক জটিল মোড়ে এসে দাঁড়িয়েছে।
আওয়ামী লীগ—এই নামটি এখন একদিকে সমস্যার প্রতীক, আবার অন্যদিকে সমাধানেরও চাবিকাঠি।
আওয়ামী লীগকে নিলেও সমস্যা, না নিলেও সমস্যা।
নিলে অনেকে বলে—তারা জিতে যাবে।
না নিলে বলা হয়—নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা হারাবে।
কিন্তু সত্য হলো, আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের কোনো নির্বাচনেরই প্রকৃত বৈধতা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়।
আওয়ামী লীগ শুধু একটি দল নয়, এটি ইতিহাসের ধারক
১৯৪৯ সালে জন্ম নেওয়া এই দলটি কেবল রাজনীতি করেনি—দেশ গড়েছে।
স্বাধীনতার সংগ্রাম থেকে শুরু করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার পর্যন্ত প্রতিটি ঐতিহাসিক মুহূর্তে আওয়ামী লীগ ছিলো সামনে।
এই দলটির মূল শক্তি তার তৃণমূলের মানুষ—যারা আজও বিশ্বাস করে, বাংলাদেশ মানেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ধারাবাহিকতা।
নিষিদ্ধ করলেই কি আদর্শ মুছে যায়?
গত বছর আগস্টে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাহী আদেশে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম স্থগিত করেছে, দলীয় নিবন্ধন ও প্রতীক ‘নৌকা’ও বন্ধ রেখেছে।
কিন্তু প্রশ্ন হলো—একটি আদর্শ কি কখনো স্থগিত হয়?
যে দলটির নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশ জন্ম নিয়েছে, তাকে প্রশাসনিক আদেশে ইতিহাসের পৃষ্ঠা থেকে মুছে ফেলা যায় না।
নির্বাচনের অন্তর্ভুক্তি মানে সব মতের অংশগ্রহণ
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন—যে নির্বাচনে একটি প্রধান মতাদর্শ বা বৃহত্তম জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি দল অনুপস্থিত থাকে, সেটি কখনো ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক’ হয় না।
বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে টেকসই করতে হলে আওয়ামী লীগসহ সব পক্ষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা অপরিহার্য।
নইলে একপাক্ষিক নির্বাচনের দাগ দেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে গভীর ক্ষত তৈরি করবে।
ইতিহাস সতর্ক করে দেয়
কর্ণেল ফারুক, মেজর রশিদ বা মেজর ডালিম যখন ট্যাংক নিয়ে রাস্তায় নেমেছিলেন—তখনও অনেকেই ভাবেননি, রাষ্ট্রের ভিত্তিই নড়ে যেতে পারে।
জিয়াউর রহমানের দিনেও সেটিই ঘটেছিল।
ইতিহাস শেখায়—অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসে রাষ্ট্র হোঁচট খায়, আর দূরদৃষ্টির অভাবে জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আজকের সময়টিও তাই অত্যন্ত ক্রুশিয়াল।
যদি আমরা সতর্ক না হই, তবে রাজনৈতিক ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাবে—যার প্রভাব পড়বে পুরো রাষ্ট্র ব্যবস্থায়।
আওয়ামী লীগকে বাদ দিলে নির্বাচন নয়, হবে নাটক
গণতন্ত্র মানে অংশগ্রহণ।
যে দলের কোটি ভোটার আছে, যে দল গ্রাম থেকে নগর পর্যন্ত গভীরভাবে প্রোথিত, সেই দল ছাড়া কোনো নির্বাচন জনগণের প্রকৃত ইচ্ছার প্রতিফলন হতে পারে না।
বাংলাদেশের মানুষ জানে—আওয়ামী লীগকে বাইরে রেখে কোনো রাজনৈতিক প্রক্রিয়া কখনোই দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।
আজ তাই প্রশ্ন নয়, প্রয়োজন—
আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে নয়, বরং যুক্ত করেই দেশের গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে হবে।
কারণ, আওয়ামী লীগকে বাদ দিলে শুধু একটি দল নয়, বাংলাদেশের আত্মাটিই অনুপস্থিত থাকে।
অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে জলে কুমির ডাঙায় বাঘ দুজায়গায়ই আওয়ামী লীগ।
১২ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২:০৯
এস.এম. আজাদ রহমান বলেছেন: সন্ত্রাস কি এখন হচ্ছে না, অন্যকেউ ক্ষমতায় এলে কি সন্ত্রাস বন্ধ করে দিবে? ২০১৮ কিংবা ২০২৪ এর মত কি ২০২৬ সালেও আবারো গভীর ক্ষত সৃষ্টি না?
২| ১২ ই অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৬
সুলাইমান হোসেন বলেছেন: আওয়ামী লীগকে বাদ দিলে নির্বাচন নয়, হবে নাটক।
এই নাটক খুবই উপভোগ্য হবে
১২ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০
এস.এম. আজাদ রহমান বলেছেন: অপেক্ষায় থাকবো সবাই মিলে উপভোগ করার জন্য।
৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০
রাসেল বলেছেন: প্রত্যেকেরই চোখ, কান, নাক এবং ভালো-মন্দ বোঝার ক্ষমতা আছে।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১১:৩৫
বাজ ৩ বলেছেন: আওয়ামীলীগ মানে হলো সন্ত্রাস লীগ,তারাই তো প্রথম একপাক্ষিক নির্বাচন দিয়ে বদনাম কুরিয়েছে,গভীর ক্ষতের সৃষ্টি করেছিলো ২০১৮ সালে এবং ২৪ সালে।