| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এস.এম. আজাদ রহমান
সংগঠক, অভিনেতা, ব্লগার, স্যোসাল মিডিয়া এক্টিভিস্ট, ডিজাইনার
বিএনপি–জামায়াত–এনসিপি-আওয়ামী লীগ একে অপরকে চাপে রাখার খেলায়
বাংলাদেশের রাজনীতি এখন এমন এক মোড়ে এসে দাঁড়িয়েছে—যেখানে সবাই একে অপরের দরজায় কড়া নাড়ছে, কিন্তু কেউ কাউকে সম্পূর্ণ ভরসা করতে পারছে না।
বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী আর জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)—এই তিন দল এখন এক অদ্ভুত ভারসাম্যের খেলায় ব্যস্ত। একদিকে জোটের দরজা খোলা, অন্যদিকে ভেতরে ভেতরে চলছে কে কাকে ছাড়িয়ে যাবে তার প্রতিযোগিতা।
বিএনপি: আন্দোলনের পর এবার নির্বাচনী মাঠে পূর্ণ মনোযোগ
বিএনপি এখন আন্দোলনের হাওয়া থেকে অনেকটাই সরে এসে নির্বাচনী প্রস্তুতিতে মনোযোগী। দলীয় সূত্র বলছে, ২০০ আসনের প্রার্থী তালিকা প্রায় চূড়ান্ত, এই মাসেই প্রার্থীরা পাবেন ‘গ্রিন সিগন্যাল’।
দলটি বুঝে গেছে—রাজনীতির বাস্তবতা বদলে গেছে। এখন ময়দানে না নামলে মাঠ হারাতে হবে।
তবে জোটের প্রশ্নে তারা এখনো বলছে—“দরজা খোলা আছে, কিন্তু তালা লাগাইনি।”
অর্থাৎ কারও সঙ্গে জোটে যাবে কি না, তা নির্ভর করছে শেষ মুহূর্তের সমীকরণের ওপর।
জামায়াত: নতুন মুখ, নতুন ভাবমূর্তি
জামায়াতে ইসলামী এবার চাইছে পুরনো বিতর্কের গণ্ডি থেকে বেরিয়ে আসতে। তাই এবার তাদের ৮০ শতাংশ প্রার্থীই নতুন মুখ—তরুণ, শিক্ষিত, পেশাজীবী, এমনকি কেউ কেউ সামাজিক মাধ্যমে জনপ্রিয়ও।
তারা এখন নিজেদের বলছে “নতুন প্রজন্মের জামায়াত”।
তবে একইসঙ্গে বিএনপির ছায়ায় ঢাকতে চায় না দলটি।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারের ভাষায়—
“এখনো সময় আসেনি, নির্বাচন ঘনালে অনেক কিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে।”
অর্থাৎ তারা পর্যবেক্ষণে আছে, সময় বুঝে পদক্ষেপ নেবে।
এনসিপি: দুই দিকেই খোলা দরজা, তৃতীয় শক্তির হিসাব
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান থেকে উঠে আসা জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এখন রাজনীতির এক নতুন মুখ। দলটি এখনো কোনো জোটে যায়নি, কিন্তু বিএনপি ও জামায়াত—দুই দিকেই যোগাযোগ রাখছে।
তাদের খসড়া প্রার্থী তালিকা তৈরি হচ্ছে ১৫০–১৬০ আসনে, এবং দলীয় সূত্র বলছে—২০টি আসনে বিএনপির সঙ্গে প্রাথমিক সমঝোতা নিয়েও আলোচনা চলছে।
ঢাকার যাত্রাবাড়ী, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, উত্তরা—এই এলাকাগুলোকে তারা নিজেদের “জুলাই আন্দোলনের হটস্পট” বলে দাবি করছে।
কিন্তু এনসিপি নেতারা পরিষ্কার করে বলছেন—
[“কয়েকটা আসনের বিনিময়ে আমরা কারও কোলে বসব না।”
অর্থাৎ জোট নয়, প্রভাব—এই শব্দটাই এখন এনসিপির রাজনৈতিক অভিধানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
চাপে রাখার রাজনীতি: কে কাকে ছাড়াবে?
এখনকার রাজনৈতিক বাস্তবতা একধরনের সূক্ষ্ম চাপের খেলায় পরিণত হয়েছে।
->> বিএনপি চায় জামায়াত ও এনসিপিকে পাশে রাখতে, কিন্তু নিয়ন্ত্রণও রাখতে।
->> জামায়াত চায় বিএনপির ছায়া থেকে বেরিয়ে নতুন ইমেজে ভোটে নামতে।
->> এনসিপি চায় দু’পক্ষকেই ব্যবহার করে নিজেদের ‘তৃতীয় শক্তি’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে।
তিন পক্ষের এই মানসিক দ্বন্দ্বই এখন রাজনীতির সবচেয়ে রোমাঞ্চকর থ্রিলার।
মধ্যপন্থী চার দলের সম্ভাবনা
এনসিপি শুধু বিএনপি–জামায়াত নয়, আরও তিনটি দলের সঙ্গে মধ্যপন্থী জোটের চিন্তা করছে—গণ অধিকার পরিষদ, এবি পার্টি এবং রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন।
এই চার দল যদি এক প্ল্যাটফর্মে আসে, তাহলে তা হবে এক নতুন কেন্দ্রীয় বল—যা ক্ষমতাসীন ও বিরোধী উভয়ের জন্যই সমীকরণ বদলে দিতে পারে।
আওয়ামী লীগও আসি আসি করছে...
এদিকে আওয়ামী লীগও পিছিয়ে নেই।
দলটি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা না হলেও মাঠে নামাবে তার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আন্তর্জাতিকভাবে চেষ্টা, গোপনে দলীয় মনোনয়ন–বোর্ড সক্রিয়, আর স্থানীয় পর্যায়ে “প্রার্থী চেনার” কাজ করছে তৃণমূল।
তবে আওয়ামী লীগের জন্য চাপ বাড়ছে—একদিকে সরকারি কর্মকাণ্ডের সমালোচনা, অন্যদিকে বিরোধী রাজনীতির পুনর্জাগরণ।
প্রতিটি সিদ্ধান্ত এখন তাদের জন্য দ্বিমুখী চাপের রাজনীতি তৈরি করছে।
শেষ কথা: অনিশ্চয়তার দিগন্ত
এখন প্রশ্ন একটাই—শেষ পর্যন্ত কী হবে?
বিএনপি–জামায়াত–এনসিপি কি এক হবে, নাকি আলাদা পথে হাঁটবে?
আর আওয়ামী লীগ কি আগের মতোই সহজে মাঠ দখলে রাখবে?
রাজনীতির মাঠে এখনো কেউই নিশ্চিত নয়।
বস্তুত, কে জিতবে, কে হারবে—এখনই কেউ বলতে পারছে না।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন,
“এই নির্বাচনের গল্প শেষ মুহূর্তেই লেখা হবে—আর সেটা হয়তো আগের সব হিসাব উল্টে দেবে।”
২|
২৭ শে অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২:২১
নতুন বলেছেন: বিএনপি+এনসিপি জোট করবে, জামাত ১০-২০টা আসন পেতে পারে নির্বাচনে।
যদি বিএনপির দূনিতি + সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রন করতে পারে তবে ২য় টার্মেও আসতে পারে।
যদি এসেই খাওয়া দাওয়া শুরু করে তবে আয়ামীলীগ পরের নির্বাচনে আসবে।
আর শেখ হাসিনা শেষ। এখন ভালো কিছু নেতা নিয়ে আওয়ামিলীগকে নতুন করে শুরু করতে হবে।
দেশে ভালো বিরোধী দল না থাকতে সরকারীদল দানবে পরিনত হয়।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১১:২৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বাংলাদেশের পলিটিক্স কোনো নতুন মোড়ে নেই । সেই চিরচেনা পলিটিক্স ।