নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজস্ব ভাবনা চিন্তা নিয়ে আমার ভার্চুয়াল জগত!

এস.এম. আজাদ রহমান

সংগঠক, অভিনেতা, ব্লগার, স্যোসাল মিডিয়া এক্টিভিস্ট, ডিজাইনার

এস.এম. আজাদ রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

লাউ, কদু আর চিংড়ি: বাংলাদেশের রাজনৈতিক রান্নার রেসিপি

০৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫১




লাউ, কদু আর চিংড়ি: বাংলাদেশের রাজনৈতিক রান্নার রেসিপি

বাংলাদেশে রাজনীতি এখন একেবারে “রান্নার শো” হয়ে গেছে। কে লাউ, কে কদু, কে চিংড়ি—তা বুঝতে না পারলে এই দেশের নির্বাচন নামের তরকারির স্বাদ ধরাই যাবে না।

সাম্প্রতিক এক গোলটেবিল বৈঠকে জাতীয় নাগরিক পার্টির নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ঘোষণা করেছেন—

---< “বিএনপি হলো লাউ, জামায়াত হলো কদু।”

রাজনীতির বাজারে এই ঘোষণা এখন নতুন হিট রেসিপি। সমস্যা হলো, লাউ-কদুর রান্না কে খাবে, আর কে হজম করবে, সেটা কেউ জানে না।

লাউ-কদুর ঐতিহাসিক রসায়ন
লাউ আর কদু—দুই-ই দেখতে আলাদা, কিন্তু রান্না করলে তেমন পার্থক্য বোঝা যায় না। এক সময় তারা একই হাড়িতে ফুটেছে, চারদলীয় জোটের ঘ্রাণে। পরে আবার আলাদা প্লেটে পরিবেশন করা হলেও স্বাদ একই—হালকা তেতো, হালকা মিষ্টি, মাঝে মাঝে একটু পোড়া গন্ধ।

নাসীরুদ্দীনের যুক্তি সোজা: এই লাউ-কদুর ইলেকশন আসলে পুরনো বাজারের বাসি সবজি। জনগণ চায় টাটকা খাবার, কিন্তু বাজারে বিক্রি হয় সেই আগেরই লাউ-কদু, শুধু পাত্র বদলায়।

এখন আসি চিংড়িতে — আওয়ামী স্বাদের উপাদান
রাজনৈতিক তরকারিতে হঠাৎ যদি চিংড়ি (আওয়ামী লীগ) যোগ করা যায়, তাহলে রঙ-রুচি বদলে যায়। আন্তর্জাতিক অতিথিদের টেবিলে তখন একটু গ্রহণযোগ্যতা বাড়ে।
কারণ, শুধু লাউ-কদু দিয়ে তরকারি হলে কেউ মুখে তুলবে না।
আবার শুধু চিংড়ি দিয়েও রান্না করলে দেশি ও বিদেশি কেউ তৃপ্ত হবে না—কারণ চিংড়ি একা গেলে সেটা হয়ে যায় “মনোনীত নির্বাচনের ঝোল”, যেটা আগেও পরিবেশন হয়েছিল, কিন্তু বিশ্বরসনাই সেটাকে অগ্রহণযোগ্য বলে ফিরিয়ে দিয়েছিল।

তাই কেউ কেউ বলছেন—
---<“চিংড়ি, লাউ, কদু—সব একসঙ্গে মিশলে তবেই হয় জাতীয় ঐক্যের তরকারি, যেটা খেয়ে জাতিসংঘও মাথা নেড়ে বলে, ‘হ্যাঁ, এবার স্বাদটা ঠিক আছে।’”

কিন্তু রাঁধুনি কে?
এখানে বড় প্রশ্ন: এই তরকারি কে রাঁধবে?
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর মতে, প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস এখন রাঁধুনির ভূমিকায়।
তাঁর হাতে আছে “জুলাই সনদ” নামের রেসিপি বুক। কিন্তু তিনি যদি এখনো বুঝে না ওঠেন, কোন মসলা কতটুকু দিতে হবে, তবে তরকারি পুড়ে যেতে পারে।

আসিফ নজরুলের কাজও নাকি বেশ ঝুঁকিপূর্ণ—
একদিকে সংস্কারের মসলা, অন্যদিকে বিচারপ্রক্রিয়ার লবণ।
একটা বেশি দিলে তরকারি নোনতা, অন্যটা কম দিলে স্বাদহীন।
দেশ তখন ঘোষণা দেবে—“এই তরকারি খাওয়া যাচ্ছেই না!”

সতর্কবার্তা
নাসীরুদ্দীন বলেছেন, যদি এই “সংস্কারের রেসিপি” বাস্তবায়ন না হয়, তবে কড়াই ফেটে গিয়ে দেশে শুরু হতে পারে গৃহযুদ্ধের ধোঁয়া।
অর্থাৎ রান্নাঘরের আগুন নেভাতে গিয়ে পুরো বাড়িই পুড়ে যেতে পারে।

জনগণের ক্ষুধা এখন অন্য রকম
দেশের মানুষ এখন বলে—আমরা “দিল্লির মসলা” বা “পিন্ডির ঘি” চাই না, আমরা “ঢাকার তেলেই” রান্না করতে চাই।
জনগণ নিজের স্বাদে নিজের সরকার চায়, গডফাদারদের দোকানের পুরনো রেসিপি নয়।

উপসংহার
এই মুহূর্তে বাংলাদেশের রাজনীতি এক অদ্ভুত রান্না ঘর।
চিংড়ি আছে, লাউ আছে, কদুও আছে—
কিন্তু এখনো ঠিক হয়নি কে রাঁধবে, কতটা তেল পড়বে, আর কার মুখে প্রথম চামচটা যাবে।

তবে একটা কথা নিশ্চিত—
যদি লাউ-কদুর তরকারিতে চিংড়ি না পড়ে, তাহলে আন্তর্জাতিক টেবিলে সেই তরকারি ফিরিয়ে দেওয়া হবেই।
তারা বলবে—“দুঃখিত, এটার স্বাদ আমরা আগেও নিয়েছি, হজম হয়নি।”

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: নির্বাচনের আগ পর্যন্ত দেশের অবস্থা খারাপ থাকবে।

০৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:২৮

এস.এম. আজাদ রহমান বলেছেন:


রাজীব ভাই- নির্বাচনের আগে ও পরে দু'সময়েই দেশ অস্থির থাকবে, মানে অস্থিরতা শুরু হলে সেটা সহজে শেষ হবে না বলে মনে হচ্ছে। কন্ডিশন হচ্ছে লাউ, কদু আর চিংড়ির কম্বো ঠিক থাকবে কিনা তার উপর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.