নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজস্ব ভাবনা চিন্তা নিয়ে আমার ভার্চুয়াল জগত!

এস.এম. আজাদ রহমান

মানুষ

এস.এম. আজাদ রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইউরোপের পাঁচ আন্তর্জাতিক সংগঠনের কঠোর নিন্দা

২০ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:১৫



ইউরোপের পাঁচ আন্তর্জাতিক সংগঠনের কঠোর নিন্দা:
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক আইসিটি রায়কে ‘রাজনৈতিক প্রতিশোধ’ হিসেবে অভিহিত, বৈশ্বিক হস্তক্ষেপের আহ্বান


ইউরোপের পাঁচটি সুপরিচিত আন্তর্জাতিক মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও আইনি অ্যাডভোকেসি সংগঠন বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাম্প্রতিক বিচারপ্রক্রিয়া ও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দেওয়া রায়কে “গভীরভাবে উদ্বেগজনক, ন্যায়বিচারের পরিপন্থী এবং স্পষ্টত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত” বলে মন্তব্য করেছে।
তাদের ভাষায়, ট্রাইব্যুনাল “১৯৭১-এর গণহত্যার বিচার” নামক মৌলিক নৈতিক অবস্থান থেকে সরে গিয়ে এখন রাজনৈতিক প্রভাব ও নির্বাহী কর্তৃত্বের চাপে “রাষ্ট্র-পরিচালিত বিচারিক প্রহসন” হিসেবে কাজ করছে।

জাতিসংঘসহ একাধিক বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানের কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ–
‘বাংলাদেশে বিচারব্যবস্থা পদ্ধতিগতভাবে বিপর্যস্ত’

লন্ডনভিত্তিক এই জোটটি জাতিসংঘ মহাসচিব, জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনার, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিস, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার ব্যুরো, আন্তর্জাতিক বার অ্যাসোসিয়েশন, কমনওয়েলথ সচিবালয় এবং প্রাসঙ্গিক জাতিসংঘ বিশেষ প্রতিবেদকদের কাছে একটি বিস্তারিত চিঠি পাঠিয়েছে।
চিঠিতে বর্তমান বিচারব্যবস্থাকে “আইনের শাসনের মৌলিক কাঠামোর বিপরীতে পরিচালিত” এবং “নির্বাহী ক্ষমতার প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় পরিচালিত বিচার” হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

জোটটির দাবি—বাংলাদেশে বিচারিক কাঠামোর অক্ষমতা এখন আর বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়; বরং একটি সুগঠিত, দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক প্রকল্পের ফল, যার উদ্দেশ্য বিরোধী মতকে দমন করা এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করা।

মূল উদ্বেগ: বিচার নয়, বরং রাজনৈতিক সংকেতই এখন রায়ের ভিত্তি
জোটটির প্রতিবেদনে যে উদ্বেগগুলো তুলে ধরা হয়েছে—
**আসামির অনুপস্থিতিতে বিচার ও দণ্ডাদেশ
**তড়িঘড়ি করে বিচারকার্য সমাপ্ত
**নিরপেক্ষ আইনি প্রতিনিধিত্ব থেকে বঞ্চিত করা
**প্রতিরক্ষা সাক্ষীদের হুমকি, অনুপস্থিতি বা সাক্ষ্য দিতে না দেওয়া
**রাষ্ট্রীয় সংস্থার সঙ্গে বিচার বিভাগের অস্বাভাবিক ‘সমন্বয়’
**সংবিধানিক বৈধতার সংকট ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা হরণ[

জোটের ভাষায়, এসব প্রক্রিয়া শুধু বিচারিক অনিয়ম নয়; এগুলো “গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের প্রতি পরিকল্পিত আঘাত।”

ট্রাইব্যুনালের বিচ্যুতি:
‘যে আদালত যুদ্ধাপরাধের বিচার করবে বলে গঠিত হয়েছিল, সেটিই এখন রাজনৈতিক অভিযোজনের হাতিয়ার’**

এই বিবৃতিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধের বিচার নিশ্চিত করতে গঠন করা হলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আদালতটি তার নীতিগত অবস্থান থেকে সরে গেছে।
জোটটির দাবি—ট্রাইব্যুনাল এখন “রাজনৈতিক সুবিধাভোগীদের রক্ষাকবচ এবং রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের শাস্তিদানকারী যন্ত্রে” পরিণত হয়েছে।

তারা আরও উল্লেখ করে যে, আইনের শাসন দুর্বল হলে রাজনৈতিক প্রতিশোধের বিচার শুরু হয়, আর রাজনৈতিক প্রতিশোধের বিচার শুরু হলে রাষ্ট্রের জবাবদিহির ভিত্তিমূল ভেঙে পড়ে।
জোটের মতে, বাংলাদেশ এখন ঠিক সেই সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে।

সাম্প্রতিক রায়কে কেন ‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ডের পরিপন্থী’ বলা হচ্ছে?
জোটটি বলছে—
**ন্যায্য বিচারপ্রক্রিয়ার ন্যূনতম আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মানা হয়নি।
**প্রমাণ সংগ্রহ থেকে সাক্ষ্য গ্রহণ—সবক্ষেত্রে একপেশে আচরণ করা হয়েছে।
**আদালতের কার্যক্রমকে এমনভাবে পরিচালিত করা হয়েছে যাতে রায়ের ফলাফল আগেই নির্ধারিত থাকে।

তাদের মতে, এই ধরনের বিচার বৈশ্বিক মানবাধিকার আইন, জেনেভা কনভেনশন এবং আন্তর্জাতিক অপরাধবিষয়ক আদালতের মৌলিক নীতি—সবকিছুর পরিপন্থী।

গভীর রাজনৈতিক সংকট ও সম্ভাব্য আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
জোটটি সতর্ক করেছে—বাংলাদেশে এমন বিচারপ্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে দেশটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চোখে “আইনের শাসনবিহীন রাষ্ট্র” হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে।
এটি শুধু অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নয়—কূটনীতি, উন্নয়ন সহায়তা, বাণিজ্য ও আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব—সব ক্ষেত্রেই নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

তাদের ভাষায়,
“যে রাষ্ট্র নিজস্ব নাগরিকের ন্যায্য বিচার নিশ্চিত করতে ব্যর্থ, সে রাষ্ট্র আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নৈতিক বিশ্বাসযোগ্যতা ধরে রাখতে পারে না।”

বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী সংগঠনগুলো
**European Bangladesh Forum (ইইউ ও যুক্তরাজ্য)
**Earth Civilization Network (Global Network)
**Freedom and Justice Alliance (Global Platform)
**South Asia Democratic Forum (Belgium)
**Working Group Bangladesh (Germany)


এই সংগঠনগুলো বলছে, বাংলাদেশকে ‘নৈতিক বহির্বিশ্ব’ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পথ থেকে ফিরিয়ে আনতে এখনই বৈশ্বিক হস্তক্ষেপ জরুরি।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:২৮

এস.এম. আজাদ রহমান বলেছেন: কোন এক অজ্ঞাত কারণে অনেক দিন পোস্ট করতে পারিনি, মানে পোস্ট করলেই ডিকলাইন আসতো, আহ হঠাত পোস্ট হয়ে গেছে। কিন্তু এখনো ছবিসহ পোস্ট নিচ্ছে না। মডারেটরের সাহায্য কামনা করছি।

২| ২০ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৩০

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: এগুলো “গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের প্রতি পরিকল্পিত আঘাত।”
..............................................................................................
দিল্লীতে অজিত দোভাল পরিস্কার ভাবে জানায়ে দিয়েছে
কেন এই বিচার গ্রহনযোগ্য নয়
এবং দিল্লীর বিস্ফোরনে বাংলাদেশ ও পাকিস্হানের কাহারা কাহারা জড়িত
সেসব তথ্যবহুল ডকুমেন্টস হস্তান্তর করা হয়েছে ।
উত্তরে আমাদের নিরাপত্তা উপদেষ্টা সরি,সরি,সরি বলতে বলতে
অজ্ঞান প্রায় !!!

৩| ২০ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৩৭

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: এগুলো “গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের প্রতি পরিকল্পিত আঘাত।”
..............................................................................................
দিল্লীতে অজিত দোভাল পরিস্কার ভাবে জানায়ে দিয়েছে
কেন এই বিচার গ্রহনযোগ্য নয়
এবং দিল্লীর বিস্ফোরনে বাংলাদেশ ও পাকিস্হানের কাহারা কাহারা জড়িত
সেসব তথ্যবহুল ডকুমেন্টস হস্তান্তর করা হয়েছে ।
উত্তরে আমাদের নিরাপত্তা উপদেষ্টা সরি,সরি,সরি বলতে বলতে
অজ্ঞান প্রায় !!!

৪| ২০ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১২

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ইউরোপকে গণনার টাইম নেই । আমাদের আছেন একজন নোবেল লরিয়েট ।

২১ শে নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৩৫

এস.এম. আজাদ রহমান বলেছেন:


আসেলই উনিইতো খেলছেন। তবে খেলাটা উনার মানের হয়ে যাচ্ছে। আপনার প্রশ্নের ধারাবাহিকতা হিসেবে আরো কিছু প্রশ্ন করতেই পারতেন- এই যেমন ধরুন, ইউরোপের পাঁচ আন্তর্জাতিক সংগঠন এটা আবার কি? আপনি এগুলি বোঝেন? রাজনীতি নিয়ে আপনি কি বোঝেন, এ সম্পর্খে আপনার কোন ধারনা আছে? ইত্যাদি ইত্যাদি!! মজা করলাম কুতুব ভাই মনে কিছু নিয়েন না, আরে ভাই আপনারাই সব, এই ধরেন আমার পোস্ট বন্ধ করে দেওয়া ছবি আপলোড না হওয়া, লগিংএ সমস্যা। সে যাই হোক আপনি ও আপনারা ভাল থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.