নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সময়ের ভাবনা

!!!

এস মাহবুব

আমি মূলত একজন পাঠক ও শ্রোতা। বোদ্ধা নই, নিতান্তই সাধারণ।

এস মাহবুব › বিস্তারিত পোস্টঃ

তেলিয়াপাড়া স্মৃতিসৌধ

০১ লা ডিসেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৪৭

তেলিয়াপাড়া। হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার চা বাগান। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। ১৯৭১ সালের ৪ এপ্রিল এখানে চা বাগান ব্যবস্থাপকের বাংলোয় দেশকে স্বাধীন করার জন্য ঐতিহাসিক এক শপথ অনুষ্ঠিত হয়। এ শপথে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ২৭ জন সেনা কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।



এ বৈঠকে সমগ্র রণাঙ্গনকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করেন মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল আতাউল গণি ওসমানী। তিনি ভারতের আগরতলা থেকে এসে বৈঠকে যোগ দেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন মেজর সি আর দত্ত, মেজর জিয়াউর রহমান, কর্ণেল এম এ রব, ক্যাপ্টেন নাসিম, মেজর খালেদ মোশাররফ, কমান্ডেন্ট মানিক চৌধুরী, ভারতের ব্রিগেডিয়ার শুভ্রমানিয়ম, এমপিএ মৌলানা আসাদ আলী, লেঃ সৈয়দ ইব্রাহীম, মেজর কে এম শফিউল্লাহ, মেজর কাজী নূরুজ্জামান, মেজর শাফায়াত জামিল, মেজর নূরুল ইসলাম, মেজর মঈনুল হোসেন চৌধুরী প্রমুখ।











তেলিয়াপাড়া চা বাগান ম্যানেজার বাংলোটিকে ৩ নম্বর সেক্টর কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করা হয়। বৈঠক শেষে এম.এ.জি ওসমানী নিজের পিস্তলের ফাঁকা গুলি ছুড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। ওসমানী ও রবের নেতৃত্বে স্বাধীনতা যুদ্ধের নকশা প্রণয়ন এবং যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ার শপথ করানো হয়। শপথবাক্য পাঠ করান এম.এ.জি ওসমানী। এই সভাতেই একটি রাজনৈতিক সরকার গঠনের ওপরও গুরুত্ব আরোপ করা হয়।



এই বাংলোর পূর্ব-দক্ষিণ কোণে নির্মাণ করা হয়েছে ২, ৩ ও ৪নং সেক্টরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মরণে স্মৃতিসৌধ। ১৯৭৫ সালের জুন মাসে এ স্মৃতিসৌধের উদ্বোধন করে মেজর জেনারেল কে এম শফিউল্লাহ, প্রাক্তন সেনাবাহিনী প্রধান।







বুলেটের আকৃতিতে তৈরি এই সৌধের সামনে দু’টি ফলকে অঙ্কিত রয়েছে শামসুর রাহমান’এর বিখ্যাত “স্বাধীনতা তুমি” কবিতা। চারিপাশের চা-বাগানের সবুজের বেষ্টনীতে স্মৃতিসৌধসহ রয়েছে একটি লেক। লাল শাফলা ফোটা এই লেক বর্ষাকালে নিঃসন্দেহে আকর্ষণীয় রূপ ধারণ করে। সৌধের রক্ষণাবেক্ষণ ভাল। তবে ঐতিহাসিক বাংলো সংরক্ষণের বিষয়ে এখনো কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এটি এখনো বাগান কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

বাংলোকে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘরে রূপান্তর করে এখানে একটি আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা সম্ভব।











বিজয়ের এই মাসে সকল মুক্তিযোদ্ধাদের জানাই গভীর শ্রদ্ধা ও ভালবাসা।

_____________________________________________



তথ্যসূত্র: দৈনিক খোয়াই ৪ এপ্রিল ২০০৯, হবিগঞ্জ পরিক্রমা, উইকিপিডিয়া

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৫১

দ্যা ডক্টর বলেছেন: ইশ! কয়দিন আগে জানলে দেখে আসতে পারতাম........
ধন্যবাদ :)

০১ লা ডিসেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৫৭

এস মাহবুব বলেছেন: 'পরের বার' বলে সবসময়ই একটি কথা আছে :)
ধন্যবাদ।

২| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০০৯ সকাল ৮:২৭

ত্রিশোনকু বলেছেন: পোষ্টটির জন্য ধন্যবাদ।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৫০

এস মাহবুব বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

৩| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০০৯ সকাল ৮:৪৫

নাজিম উদদীন বলেছেন: স্মৃতিসৌধের চেহারা তো সুবিধার না, শিবলিঙ্গের মত মনে হয়।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৫১

এস মাহবুব বলেছেন: তাই তো !
একটা মামলা করে দেন :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.