নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাস্তবতা নিয়ে কথা বলতে চাই।

সৈয়দ মশিউর রহমান

লিখতে চাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে। রাজনীতি,সাংস্কৃতিক বা ধর্মের ব্যাপারে মতামতের ভিন্নতা থাকা সত্বেও মতামত প্রকাশের ক্ষেত্রে আক্রমনাত্বক বা উষ্কানীমূলক কিছু না লিখে সকলের সহনশীলতার পরিচয়ই লেখার উৎকর্ষ সাধনের একমাত্র হাতিয়ার। যদিও লেখার হাত পাকা না। বাংলা মাতৃভাষা হলেও বানানে হয় অনেক ভুল। তার পরেও চেষ্টা করছি কিছু লেখার। সত্য বলার মতো সাহসী লোকের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এখন দেখি সবাই দু'ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছে। কেউ আওয়ামী লীগ কেউবা বিএনপি। সঙ্গত কারণেই লেখা হয়ে উঠে আওয়ামী পন্থী অথবা বিএনপি পন্থী। পন্থী নিয়ে লিখতে লিখতে আমরা মূল স্রোতধারা থেকে ছিটকে পড়ছি। কি লিখছি বোঝাই দায়। মনে হয় কোন দলকে গালি দিচ্ছি।

সৈয়দ মশিউর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন ভারতের উদ্বেগ!

১৪ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩


ভালোভাবেই শেষ হলো সনাতনীদের বৃহৎ উৎসব দুর্গাপূজা কিন্তু দুর্গাপূজা ভালো ভাবে শেষ হওয়ায় অনেকেই বড্ড হতাশ হয়েছে; পূজা নিয়ে তারা ট্রামকার্ড খেলতে চেয়েছিল কিন্তু ট্রামকার্ড খেলার পরও সফল হতে পারেনি। হাসিনা রেজিমের পতন মেনে নিতে না পারা এদেশীয় কিছু গণমাধ্যম হিন্দু নির্যাতনের গালগল্প ফলাও করে প্রচার করেছে। যদিও তা গুজব ছাড়া কিছু নয়।

হাসিনার পতনের পর তারা জুডিশিয়াল ক্যুর অপচেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ায় সংখ্যালঘু নির্যাতন কার্ড নিয়ে খেলা শুরু করেছিল। ভারতের বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদীও হাসিনা রেজিমের পতন মেনে নিতে পারেনি তারাও বাংলাদেশে সংঘ্যালঘু নির্যাতন ফানুস উড়িয়ে এবং বাংলাদেশের কিছু দিল্লির সেবাদাসকে কাজে লাগিয়ে সেই সংগে ভারত এবং বাংলাদেশের কিছু তাবেদার গণমাধ্যমকে ব্যবহার করছে।নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন ঠেকিয়ে এবং তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিএসএফের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করেছে ; সেই কমিটি গঠন করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরাসহ পূর্ব ভারতের বিএসএফের ইস্টার্ন কমান্ড ও স্থলসীমান্ত কর্তৃপক্ষের কর্তাদের নিয়ে। প্রতিবেশি দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে কমিটি গঠন করা ঔদ্ধ্যত্য ছাড়া কিছু নয়।

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন কার্ড ব্যবহার করে কিছু নিরীহ হিন্দুদের ভারতে নিয়ে সিমান্তে রেখে ‘শরণার্থী’ হিসেবে ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেখাতে চাচ্ছে হাসিনা ছাড়া বাংলাদেশের হিন্দুরা নিরাপদ নয় সেই সংগে মোদী বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন কার্ড ব্যবহার করে ভারতে পড়ন্ত হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির উত্থান ঘটানোর চেস্টা করছে।

অথচ এই মোদীই গত নির্বাচনী প্রচারে মোদির ১৭৩ ভাষণের মধ্যে ১১০টিতে মুসলিম বিদ্বেষ বক্তব্য দিয়েছে, মোদীর সময়ে গুজরাট দাঙ্গায় হাজার হাজার মুসলিমকে হত্যা করা হয়েছে, মোদী গং দের নেতৃত্বেই বাবরী মসজিদ গুড়িয়ে দিয়ে হাজার হাজার মুসলিমকে হত্যা করেছে, এই মোদীর আমলেই গরুর মাংস খাওয়ার অপরাধে শতাধিক মুসলিমকে হত্যা করা হয়েছে, এই মোদীর সময়েই মুসলমানদের চেয়ে গরুর মূল্য বেশি হয়েছে যেখানে গরু রক্ষার জন্য মুসলিম হত্যা পূর্ণের কাজ। সেই মোদীই আবার বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে চিন্তিত!

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে ভারতের কিছু গণমাধ্যম আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ; ফ্যাক্টচেক-বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের গুজবে সয়লাব এক্স সেগুলো অধিকাংশই ভারতীয় একাউন্টস।

এইসব গুজব এবং ভারতীয় প্রপাগান্ডা সেই সংগে আওয়ামী অপশক্তিকে রোখার জন্য জনগণ তথা সরকারকে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে নচেৎ ওরা বাড়া ভাতে ওরা পানি ঢেলে দেবে।

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ২:১৭

শিশির খান ১৪ বলেছেন: আমি একটা বিষয় বুঝি না আমাদের দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় কেন ভারতের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে না। তারা যদি প্রতিবাদ করে বলতো আমরা আমাদের নিজের দেশে ঠিক আছি তে হইলে তো ভারত মাতব্বরি করার সাহস পায় না । ভারত তো এখন উলটা সংখ্যালঘু সম্প্রদায় কে বলির পাঠা বানাচ্ছে এটা কি উনারা বুঝে না ? সংখ্যালঘু সম্প্রদায় যদি ভারত কে উচিত জবাব দিতে পারতো তে হইলে দেশের আঠারো কোটি মানুষ উনাদের জন্য জান কোরবান করতেও দ্বিধা করতো না। আমাদের মাঝে অশান্তি ভুল বোঝা বুঝি থাকলে তো বাইরের লোক ফায়দা নিবে সেটাই স্বাভাবিক।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ২:৩১

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, বাংলাদেশ সনাতন পার্টি (বিএসপি) সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছে, শেখ হাসিনার পালানোর পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহনের আগে ও পরে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাসাবা—ি মন্দির প্রহরা দিচ্ছেন মাদরাসা শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মীরা। বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত বলেছেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদরাসার শিক্ষার্থীরা মন্দির ও হিন্দু সংখ্যালঘুদের ঘর পাহারা দিচ্ছে। বিষয়টাকে আমরা ইতিবাচকভাবে দেখছি। বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি নির্মল রোজারিও বলেছেন, যাতে ছাত্র-জনতার বিজয় কলুষিত করতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নির্যাতনের প্লট সাজানো হচ্ছে।

২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ২:৩৩

নতুন বলেছেন: টুটিটারে প্রচন্ড ভাবে ভারতীয় প্রচারনা দেখে অবাক লাগে। এতো মিথ্যাচার কেন করছে ওরা।

নিজেদের দেশেই অনেক অন্যায় করছে সেটা রেখে আমাদের দেশের বিরুদ্ধে এতো প্রচারনা করে কি ভালো।

দেশের আফসোসলীগের কান্নাকাটি কমেছে। আশা করি ভারতেও কমে আসবে।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ২:৪১

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: দেশের প্রতি সত্যিকারের ভালোবাসা থাকলে এসব ফুঁৎকারে উড়ে যাবে।

৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৩:০৯

জুল ভার্ন বলেছেন: উদ্বেগ নয়, ভারতীয়দের ফ্যান্টাসি।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৩:১৪

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ওরা নিজের দেশে সংখ্যালঘু মুসলিমদের মেরে সাফ করছে তাদেরকে ৪র্থ শ্রেণির নাগরিক বানিয়েছে আর এপারের সংখ্যালঘুনিয়ে মায়াকান্নার শেষ নেই।

৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৩:১০

অরণি বলেছেন: ভারতের প্রায় সব পত্রিকাই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে লিখে যাচ্ছে বিরামহীনভাবে। এক সাংবাদিক ছাগলকে দেখলাম সে মিথ্যা বলছে এবং চিৎকার করছে দৌড়াচ্ছে সে কি এক আজব অবস্থা এরা নাকি সাংবাদিক! এই সংঘাতিক হিন্দুত্ববাদের হয়ে কাজ করছে।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৩:২৩

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: মলম বিক্রেতা দিকে দেখেন এ নাকি সাংবাদিক!


৫| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: সবচেয়ে বেশি সংখ্যালঘু নির্যাতন হয় ভারতে তারা আবার অন্যদেশ নিয়ে বিচলিত। নিজের পাছায় গু রেখে অন্যের পাছা শুঁখে বেড়ায়।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৮

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ওরা নিজের দোষ দেখেনা অন্যের দোষ খুঁজে বেড়ায়।

৬| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: আওয়ামীলীগ ক্ষমতা হারানোই ওরা পাগল হয়ে গেছে।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৫:১০

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: সেটাই কষ্টের কারণ।

৭| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৫:০৯

অরণি বলেছেন: ময়ুখ রঞ্জন তো মলম বিক্রেতার মতো দৌড়াদৌড়ি করতেছে এই ছাগল সাংবাদিক হয় কী করে?

১৪ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৫:১১

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ছাগলটা ছাগলামী দেখলে হাসি পায়। ভারত সরকার কিন্তু কিছুই বলছেনা।

৮| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৫:১৩

অরণি বলেছেন: আন্দোলন শুরু থেকেই এই ছাগলটা লাফাচ্ছে।

১৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১০:৫৮

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: হ্যাঁ।

৯| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৫:১৩

অরণি বলেছেন: ওর সব ভিডিওই বাংলাদেশ বিরোধী।

১৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১০:৫৯

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আমিও কয়েকটা দেখেছি ভয়াবহ ভাবে মিথ্যা ছড়াচ্ছে।

১০| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৫:১৬

অরণি বলেছেন: যে সরকারই ক্ষমতায় থাক বাংলাদেশে কেউ এরকম ছাগলামী কেউ করতে পারতোনা। সরকার ব্যবস্থা নিত।

১৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১০:৫৯

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: এমদম ঠিক কথা।

১১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- পূজার সময় এলেই তারা উদ্বেগ ভোগ করে।
- সামুর কারো কারো মনে হয়েছে এবারের পূজা ভালো কাটেনি।
- পূজাতে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা আগেও ঘটেছে এখনো ঘটছে আগামিতেও ঘটবে। সেইটা দিয়ে যারা বিচার করতে বসে তাদের সীমাবদ্ধতার শেষ নেই।

১৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১১:০১

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ওরা সবাই চিহ্নিত পূজা এলেই ওরা বিভ্রান্তি ছড়াতে থাকে যা ঘটে তার চেয়ে শতগুন বেশি করে বলে।

১২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৯:১০

কামাল১৮ বলেছেন: পূজা মন্ডপে কোন ইসলামী গান হয় নাই।কি সুন্দর উৎযাপন।এটা পূঁজার অংশ।

১৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১১:০২

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ওরাও ছাগল পূজা মন্ডপে কেন ইসলামী গান? ওরা আম্লিল এজেন্ট ওরা এমন না করলে আপনি আজ বলতে পারতেন না।

১৩| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১২:১৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এবারের পূজায় হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়টি অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য বিরাট এক চ্যালেঞ্জ হিসাবে দেখা দিয়েছিল এবং তাদের আন্তরিকতাও ছিল হাইয়েস্ট লেভেলের। বাংলাদেশের ইতিহাসে এবারের পূজা উদ্‌যাপন ছিল সবচাইতে নিরাপদ পরিস্থিতির মধ্যে। ছোটোখাটো যে ক'টা ঘটনার কথা শোনা যায়, তা আগের বছরগুলোর তুলনায় নগণ্য।

আমাদের ভারতপ্রেমী বাংলাদেশী অনেক ভাইদেরও অন্তর্বর্তী সরকারের এই সাফল্য সহ্য হয় না। অন্যদিকে, খোদ ভারতেই যেভাবে সংখ্যালঘু মুসলিমদের উপর নির্যাতন করা হয়, তা নজিরবিহীন। আমাদের ভারতপ্রেমী ভাইয়েরা ঐ বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটে থাকেন, আর কিছু যদি বলেনও, তখন সাফ সাফ বলে দেন, দোষ ছিল মুসলমানদেরই। এরা হলো নির্লজ্জ, বিশ্বাসঘাতক, রাষ্ট্রদোহী।

১৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১১:০৭

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: অন্তর্বর্তী সরকার প্রচন্ড ততপর ছিল তারপরও ওদের অর্থাৎ গুজব রটনাকারীদের মন ভরছেনা। শুধুমাত্র মোদী যিনি কিনা ভারতের প্রধান মন্ত্রী তিনিই ১৭৩ টি ভাষনের মধ্যে ১১০ টিতেই মুসলিম বিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন তিনি আবার অন্যদেশের সংখ্যালঘু নিয়ে কথা বলেন; কি আশ্চর্য!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.