নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাস্তবতা নিয়ে কথা বলতে চাই।

সৈয়দ মশিউর রহমান

লিখতে চাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে। রাজনীতি,সাংস্কৃতিক বা ধর্মের ব্যাপারে মতামতের ভিন্নতা থাকা সত্বেও মতামত প্রকাশের ক্ষেত্রে আক্রমনাত্বক বা উষ্কানীমূলক কিছু না লিখে সকলের সহনশীলতার পরিচয়ই লেখার উৎকর্ষ সাধনের একমাত্র হাতিয়ার। যদিও লেখার হাত পাকা না। বাংলা মাতৃভাষা হলেও বানানে হয় অনেক ভুল। তার পরেও চেষ্টা করছি কিছু লেখার। সত্য বলার মতো সাহসী লোকের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এখন দেখি সবাই দু'ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছে। কেউ আওয়ামী লীগ কেউবা বিএনপি। সঙ্গত কারণেই লেখা হয়ে উঠে আওয়ামী পন্থী অথবা বিএনপি পন্থী। পন্থী নিয়ে লিখতে লিখতে আমরা মূল স্রোতধারা থেকে ছিটকে পড়ছি। কি লিখছি বোঝাই দায়। মনে হয় কোন দলকে গালি দিচ্ছি।

সৈয়দ মশিউর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

শেখ হাসিনাই বাংলাদেশের বৈধ প্রধানমন্ত্রী

১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন আমরা বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছি। শেখ হাসিনাকে এখনও বাংলাদেশের বৈধ প্রধানমন্ত্রী বলে দাবি করে পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী হয়েই। তিনিই বাংলাদেশের বৈধ প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী হিসেবেই তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামবেন এবং তাকে স্যালুট দিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সেই সংগে পশ্চিমবঙ্গের মুসলিদের সম্পর্কে আবারো বিদ্বেষ উগড়ে দিয়ে বলেন,আসলে মমতার মুখ ও মডেল হলো আব্দুল বারিক বিশ্বাস, খালেদ, শাজাহানের মতো ফ্রাঙ্কেনস্টাইনরা। কারা মমতা ব্যানার্জির ভোট দেন তা সবাই জানেন। মুসলিমরা মমতাকে ভোট দেয়।

এবার আসা যাক মূল আলোচনায়ঃ
বিগত ১৫/১৬ বছরে ভারত বাংলাদেশের হিন্দুদের নিয়ে টু শব্দটিও করলোনা কিন্তু ৫ আগস্টে ফেসিস্ট হাসিনার পতনের পর হঠাৎ বাংলাদেশে হিন্দুদের নিয়ে ভারতের কান্নাকাটির শেষ নেই! কারণ কী? আসলে হিন্দুদের নিয়ে ভারত তথা মোদীর কোন ভাবনা নেই তার ভাবনা হলো হাসিনাকে পুনর্বাসিত করা। শুভেন্দু অধিকারী হাসিনাকে পুনর্বাসনের কথা বলে প্রকৃতপক্ষে কেন্দ্রীয় সরকারের কথটিই বলেছে। হাসিনা হলো ভারতের জন্য সোনার ডিম পাড়া হাস সুতরাং হাসিনাকে পুনর্বাসন করতেই হবে। হাসিনাকে পুনর্বাসন করতে হলে বাংলদেশে দাঙ্গা লাগানো ছাড়া কোন উপায় নেই।

বাংলাদেশ হিন্দু মহাসভার নেতা গোবিন্দ প্রামাণিককে বড় নেতা বানানো লোভ দেখিয়ে 'র' তাকে দিয়ে দেশে বিশৃঙ্খলা লাগাতে চেয়েছিল কিন্তু তিনি রাজি না হওয়ায় 'র' চিন্ময়কে বেছে নেয়। তারপর চিন্ময় বিভিন্ন জায়গাতে উগ্রভাবে সভা সমাবেশ করতে থাকে। জাতীয় পতাকার উপর তাদের ধমীয় পতাকা লাগায় ও একজন আইনজীবিকে প্রকাশ্য দিবালোকে জবাই করে হত্যা করে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী চিন্ময়কে গ্রেফতার করাতে শুরু হয় ভারতীয় মিথ্যা হোলিখেলা যা সবাই কমবেশী জানে।

বে আশার কথা হলো ভরতীয়রা যখন মিথ্যার হোলিখেলা শুরু করলো তখন বাংলাদেশে সবমানুষ ঐক্যে একাকার হয়ে গেল ভারতের চেষ্টা বুমেরাং হলো; তবে ভারত এখনো হাল ছাড়েনি।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯

রাসেল বলেছেন: কে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, তা কি অন্য দেশের জনগণ বলবে? ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশ সফরে এসেছেন, তা থেকে ভারত সরকারের মনোভাব অনুমান করা যায় ।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: করদ রাজ্যে কে মূখ্যমন্ত্রী হবে তাতো কেন্দ্রই ঠিক করে দেবে! তাই নয় কি? হাসিনার পিরিয়ডে আমরা করদ রাজ্য ছিলাম।

২| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বানীতে গো মাংস ভক্ষণকারী শুভেন্দু অধিকারী। বকরী ইদে নাকি কলিকাতার এই কাউয়া কাদের তিন বাটি গো মাংস খেয়েছিল। =p~

১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৪

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ৩ বাটি গোমাংস খেয়েছিল আবার রাতে খাবে বলে টিফিন ক্যারিয়ার ভরে বাড়ীতে নিয়েছিল শুভেন্দু।

৩| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯

অরণি বলেছেন: ভারত খোলস ছেড়ে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসছে; হাসিনাকে পুনর্বাসন করাই ছিল তাদের আসল উদ্দেশ্য। সোনার ডিম পাড়া হাঁস হেলাফেলার বিষয় নায়।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: সাম্প্রদায়িক গেম খেলার উদ্দেশ্যই ছিল হাসিনাকে পুনর্বাসন করা এবং সোনার ডিম আহরন করা।

৪| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:০৪

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: ভারত সব সময় তাদের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক গেম খেলেছে এবং দেশেও খেলছে। বাবরী মসজিদ ভেঙ্গে মন্দির করেছে। ইদানীং সব মসজিদ, মাদ্রাস ও মাজারের নিচে মন্দির খুঁজে পাচ্ছে উগ্রবাদীরা। এই উগ্রবাদীরা আমাদেরকে সাম্প্রদায়িক সম্পৃতির সবক দেয়।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:১৪

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: উগ্রবাদীরা ইদানীং সব মসজিদ, মাদ্রাস ও মাজারের নিচে মন্দির খুঁজে পাচ্ছে আবার এই উগ্রবাদীরাই আমাদেরকে সাম্প্রদায়িক সম্পৃতির সবক দিচ্ছে। কি আশ্চর্য!!

৫| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৮

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: ভারত কখনোই বাংলাদেশের ভালো চায়নি এবং ভবিষ্যতেও চাবেনা।

৬| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৫০

অপু তানভীর বলেছেন: এটা অবশ্য ভাল হচ্ছে । আমাদের সুশীল ভাইয়ারা তো এটা মানতেই চাইতেন না যে ভারত আওয়ামীলীগের পেছনে আছে । এভাবে নগ্ন ভাবে আওয়ামীলীগের পেছনে ভারত মুখ প্রকাশ পাচ্ছে দেখে ভাল লাগছে।

৭| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১:৩৮

উদাসীন মেঘ ১২১৯ বলেছেন: ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কট্টর হিন্দুত্ব বাদী আবাল শুভেন্দু হাসিনাকে বৈধ 'প্রধানমন্ত্রী' হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। আওয়ামি জাতির লোকেরা তালিয়া বাজাও।
কিন্তু কথা হলো, আওয়ামিলীগের তথাকথিত 'প্রধানমন্ত্রী' চারমাস হলো ভারত সফরে গেলো। ফেরার কুনু নাম-গন্ধ নেই। এদিকে তার অনুসারীরা ফেসবুকে হাহাকার করে বুক চাপড়াচ্ছে। :)

৮| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ ভোর ৫:১২

রানার ব্লগ বলেছেন: পশ্চিমবংগের শুভেন্দু আর বাংলাদেশের হিরো আলম এই দুইজনের মধ্যে বেসিক পার্থক্য নাই৷

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.