![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একদিন মারা যাব, এই সত্যটা নিয়ে আমার খুব বেশি আক্ষেপ নেই। তবে, আমার মৃত্যুর পর আরও অসংখ্য অসাধারণ সব বই লেখা হবে, গান সৃষ্ট হবে, চলচিত্র নির্মিত হবে।কিন্তু আমি সে সব পড়তে, শুনতে কিংবা দেখতে পারবো না।এই সত্যটা আমাকে খুব যন্ত্রণা দেয়।
আমি আমদানির পক্ষে।
অন্তত সাময়িকভাবে হলেও আমি এর পক্ষে।এর পেছনে একটা স্বপ্ন আছে।
আসলে অনেক কথা বলতে চাই, গুছিয়ে বলতে পারবো কিনা জানিনা।তাও চেষ্টা করি।
প্রথমেই বলে রাখি এটা কোনো কাউন্টার পোস্ট নয়।এখানে যা বলেছি, তার সবই যে আমদানীর পক্ষে উপস্হাপিত যুক্তি, তাও না।বেশিরভাগই আমার উপলব্ধি।
*সবাই বলছে হিন্দি মুভি আসলে কেউ আর বাংলা মুভি দেখবে না।অনেকেই কলকাতার অল্টারনেটিভ স্ট্রীমের মুভিগুলো দেখেন, কখনো মেইন স্ট্রীম মুভিগুলো দেখেছেন?আমি বেশ কয়েকটি দেখেছি।এই বছরখানেক আগেও কলকাতার মুভি ইন্ডাস্ট্রী প্রায় মৃতবৎ অবস্হায় ছিলো।অথচ এখন কি রমরমা অবস্হা!এর কারণ কি? টলিউডের যখন চরম দুঃসময়, তখন কিন্তু হিন্দি মুভি দেখানোও বন্ধ করেনি, তাদের মূলধারার নির্মাতারা থেমে থাকেননি।তারা মুভি বানিয়ে গিয়েছেন।চেষ্টা করেছেন।কখনো সফল, কখনো ব্যার্থ হয়েছেন।এখন পশ্চিম বাংলায় বলিউডের মুভির সাথে পাল্লা দিয়ে টলিউডের মুভি চলে।বাচ্চাকে সারাজীবন কোলে তুলে রাখলে কিন্তু বাচ্চা হাঁটতে শিখবে না।ওরা পারলে আমরা কেন পারবো না?
আর বাংলাদেশে কি হচ্ছে?একটু বেয়াদবী করি, আমাদের দেশের নায়করাজ বলেছেন, "এদেশের মানুষ ভালো ছবি দেখে না!" কোন মুভি আমাদের নায়রাজের মনে এমন বেদনার সৃষ্টি করলো?
---"কোটি টাকার ফকির"।যে ছবির নায়ক তার ছেলে সম্রাট।
একজন সাধারণ দর্শক হিসেবে আমি কি জানতে চাইতে পারি, ঠিক কোন অপরাধের কারণে সম্রাটকে আমাদের সহ্য করতে হবে?বাংলাদেশে একজন নায়ক হতে চাইলে যে কোন গুণ থাকলেই চলে (অভিনয়/ফাইটিং/নাচ/নায়িকাকে কোলে তুলতে পারা ইত্যাদি) সম্রাট সাহেবের তার একটাই নেই, এক আধুলি পরিমাণও নেই।যতবার সে ফ্রেমের বাইরে গিয়েছে, আমার মনে হয়েছে, দাঁড়িয়ে তালি দেই।এই নায়কের মুভি না দেখলে, সেটা নাকি দর্শকের দোষ।সঙ্সকৃতি রক্ষা মানে কি দেশী সং দের রক্ষা করা?
টলিউডের মুভি দেখার পর মনে হয়েছে, টেকনিক্যাল বিষয়গুলো বাদ দিলে, কাহিনীগত দিক থেকে আমাদের চলচিত্রের সাথে খুব বেশি পার্থক্য নেই।অপু বিশ্বাস আর কোয়েল মল্লিকের অভিনয় একই মানের।শুনলে হাসি আসবে, তবে এটা সত্যি যে, দেব এর চে শাকিব খান ভালো অভিনয় করে।তারপরও বাংলাদেশের মাণুষ এই মুভিগুলো খুব পছন্দ করে।মফঃস্বলগুলোতে মুম্বাই-ঢাকার মুভির চে টালিগন্জের মুভি বেশি চলে।এরকম মুভি আমরা বানাতে পারি না?
কলকাতার নতুন প্রজন্মের বেশিরভাগ হিন্দিতে কথা বলে, শুধুমাত্র হিন্দি মুভি দেখে।তারপরও তাদের ইন্ডাস্ট্রী টিকে আছে, বেশ ভালোভাবে টিকে আছে।একটা নমুনা দেই।
ওদের মিউজিক ভিডিওগুলো দেখলে মন খারাপ হয়।আমরা কবে এমন মিউজিক ভিডিও বানাতে পারবো?বাজেট স্বল্পতার কথা সবাই বলবে।সেখানে আমার একটা কথা আছে।টলিউডের এই ধরণের মুভির দর্শক শুধুমাত্র মধ্যবিত্ত আর নিম্নমধ্যবিত্তরা।আমাদের দেশে মুভির দর্শক কি কম আছে?পশ্চিম ভারতের জনসংখ্যা নয় কোটির কম, আমাদের পনেরো কোটির বেশি।মূল কারণ কি বাজেট স্বল্পতা?
*"মনের মাঝে তুমি" থেকে "মনপুরা" এদের সফল্যের পেছনে চারটি পয়েন্ট পেয়েছি ("হৃদয়ের কথা" আর "খোঁজ-দ্য সার্চ" এই মুভি দুটোও হিসেবে রাখলাম)।
১.ভালো গান (অসম্ভব, অসম্ভব ইফেক্টিভ ফ্যাক্টর)
২.সুন্দর গল্প (এক্সট্রা-অর্ডিনারী কিছু না।একটু ডিসেন্ট স্টোরীলাইন পেলেই মাণুষ খুশি)
৩.ভালো প্রিন্ট (শুনতে অবাক লাগলেও এটা সত্যি।সবাই ভালো প্রিন্ট প্রেফার করে)
৪.ভালো লোকেশন (এফ.ডি.সি. আর কক্সবাজারের সী-বিচ দেখতে দেখতে মাণুষ ক্লান্ত)
একটু তুলনামূলক আলোচনায় যাই:
১.কলকাতায় সিনেমার হিট গানগুলো একজনমাত্র সুরকারের করা- জিৎ গাঙ্গুলী।আমাদের দেশে মিউজিশিয়ানের অভাব নেই।
২.কলকাতার মুভির সাথে আমাদের দেশের গল্পের খুব পার্থক্য নেই।
৩.এই পয়েন্টে একটু পিছিয়ে আছি।কিন্তু এটা অসম্ভব কোনো ব্যাপার না।নির্মাতাদের সদিচ্ছাই মূল।
৪.বাংলাদেশে অসংখ্য সুন্দর লোকেশন আছে।প্রয়োজন পড়লে নেপাল-ভুটানেও যাওয়া যায়।নাটকের শুটিং ব্যাংককে হয়, অথচ সিনেমার শুটিং হয় কারওয়ান বাজারে মাছের আড়তের পাশে।
উল্লখিত মুভিগুলো খুব ভালো ব্যবসা করেছে।একটু কষ্ট করে, সমান্য বেশি টাকা খরচ করে, মুভি বানালে সে মুভি যদি হিট হয়, তাতে ক্ষতি কি বুঝিনা।যারা এই ঝুঁকিটা নিয়েছেন, তারা কিন্তু সফল হয়েছেন।আমাদের দেশের বেশ কিছু সিনেমা হলে গিয়ে দেখেছি।সত্যি কথা বলতে কি, আড়াই ঘন্টা নার্ভের উপর যে অত্যাচার চলে তার কোনো তুলনা হয়না।মানুষ কেন টাকা দিয়ে "মেহের নিগার" টাইপ যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যাবে?
ফ্রিডম অফ চয়েজ, ভোক্তা অধিকার এই শব্দগুলো তবে কি অর্থহীন?এমন না যে, দর্শক ভালো মুভি ফিরিয়ে দিচ্ছে।তবে, কিসের এতো ভয়?আধিপত্য হারানোর আশংকা?
*বাজেট স্বল্পতার কথা যখন চলেই আসলো, তাই বলছি ইরানী মুভিগুলো কত টাকা দিয়ে বানানো? টাকা কখনো মেধার পরিপূরক হয়না।আর অজুহাত দিতে চাইলে সেটারও কখনো অভাব হয়না।স্বীকার করছি, বাংলাদেশে স্বীকৃত কোনো ফিল্ম ইন্সটিটিউট নেই (কিছু বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়য়ে সে সুযোগ আছে।কিন্তু সেখানকার অনেকের স্বপ্নের পরিধি ফিল্ম মেকার না, অ্যাড ফিল্ম-মেকার হবার মাঝেই সীমাবদ্ধ), কিন্তু অসম্ভব ভালো কিছু নির্মাতা আছেন (শ্রদ্ধেয় আলমগীর কবির'র শিষ্য), তারা কি করছেন? কম-বেশি সকলেই ফিল্ম মেকিং শেখানোর বাণিজ্য লিপ্ত।আমি একবার একটা ফিল্ম কোর্সের খোঁজ নিতে গিয়েছিলাম।দুই লেভেল মিলিয়ে তাদের কোর্স ফি ছিলো ৫৫ হাজার টাকা!
*খুব স্বাভাবিকভাবেই দেশের ইকনোমির ব্যাপারটিও চলে আসবে।আমি জানিনা বাংলাদেশে কয়জন মাণুষ লাক্সের বদলে তিব্বত সাবান ব্যবহার করেন।তবে, বছরদুয়েক আগে বি.এস.টি.আই. -এর এক হিসেবে দেখা গিয়েছে, এক বছরে বাংলাদেশে ১২৫ কোটি লাক্স বিক্রি হয়।পরের চারটি সাবান কোম্পানি সম্মিলিতভাবেও এর ধারে-কাছে নেই (সরকারকে প্রদেয় ট্যাক্স আর কর্মীদের বেতন, এসব "ইউনিলিভার বাংলাদেশ" এর অ্যানুয়াল টার্ণওভারের তুলনায় কিছুই না)।তবে কি, বাংলাদেশ থেকে ইউনিলিভারকে তুলে দিবো?তাহলে কিন্তু পুরো টাকাটাই দেশে থাকবে।
নির্মাতারা ভালো মুভি বানাবেন না আবার বিদেশী মুভিও দেখতে দিবেন না, এ কেমন একগুঁয়েমী!৪০ বছর কি যথেষ্ট সময় নয়?এই অবরোধের সুবিধা নিয়েই কিন্তু নির্মাতারা গা ছাড়া মনোভাব নিয়ে মুভি বানিয়েছেন, মধ্যবিত্তদের হলছাড়া করেছেন।
*টলিউডের সাম্প্রতিককালের সবচে ব্যবসাসফল মুভি হলো "পরাণ জ্বলিয়া যায় রে"।যেটা কিনা "নামাস্তে লন্ডন" মুভির কপি।মাত্র দুই বছর আগের বানানো হিট মুভি, সবাই কেন পাগল হয়ে দেখলো?
কোনো এক শুক্রবারে বসুন্ধরায় একটি মুভি দেখতে গিয়েছিলাম।মুভির নাম মনপুরা।দুপুরে গিয়ে দেখি সন্ধ্যা ৭টারও টিকিট নাই, সব হাউসফুল।পাশের হলে রেম্বো-৪ চলছিলো।সেখানে মরুভূমিসম জনশুণ্যতা।সেদিন আমি মুভিটা দেখতে পারিনি, কিন্তু অদ্ভূত ভালো লাগা নিয়ে বাসায় ফিরেছিলাম।একটা বাংলা মুভি "হাউসফুল"!(এই প্রজন্মের কয়জনের ভাগ্যে এই লেখাটা দেখার সৌভাগ্য হয়েছে?) প্রায় অপরিচিত কাস্টিং (ফারহানা মিলিকে বাংলাদেশের কয়জন মাণুষ চিনতো?)-এর একটা মুভি কেন এতো জনপ্রিয়তা পেলো?
আমার মতে এর একটাই কারণ। সাধারণ মাণুষ এখনো নিজের ভাষায় মুভি দেখতে পছন্দ করে।ঢাকার মানুষের শুক্রবারে ঘুরতে যাবার কোনো জায়গা নেই।এজন্যই নারী-শিশু মেলা থেকে শুরু করে সি.এন.জি.-মেলাতে অবাক করা ভীড়।এই পটেনশিয়াল মার্কেটটাকে কি কাজে লাগানো যায় না?
*ডিজিটাল চলচিত্র নিয়ে অনেক স্বপ্নের কথা শুনি।সেই ডিজিটাল চলচিত্রের কি অবস্হা? মোর্শেদুল ইসলাম মনের ভুলে একটা ডিজিটাল মুভি বানিয়েছিলেন (প্রিয়তমেষু)।সেই চলচিত্র কিন্তু তিনি ডিজিটাল ফর্মেটে রিলিজ করে বেশিদিন চালাতে পারেননি।চলচিত্র শিল্পের কিছু সংগ্রামী মাণুষ সব হল মালিকদের চিঠি দিয়ে সাবধান করে দিলেন, "যেন মোর্শেদুল ইসলামের মুভি না দেখানো হয়"।
পরে মোর্শেদুল ইসলাম সমিতির সাথে রফা করে মুভি রি্-রিলিজ দেন।
আর তাকে বাধা দিয়েছিলো কারা? যারা এখন টিভি-তে গম্ভীর মুখে "বাংলাদেশের চলচিত্রকে বাঁচাতে হবে" টাইপ ভাষণ দেয়, সেই "চাষী-কাজী-নান্টু-ঝন্টু-মিজু-মিন্টুরা।
*নির্মাতাদের অনেক দুষলাম।এবার একটু নিজেদের কথা, আমাদের দর্শকদের কথা বলি।আমি যেখানেই, আমদানির পক্ষে কথা বলতে গিয়েছি, ব্যপক সমালোচনা শুনেছি (এই ব্লগেই একবার একটা পোস্ট লিখে দু-একজনের চ্রম গালি খেয়েছিলাম)।পরিচিত একজন তো রাজাকার বলেছে (হিন্দি সিনেমা আমদানির পক্ষে কথা বলে, কিভাবে রাজাকার হওয়া যায়, এই ব্যাপারটা বুঝিনি।অনেকেই ব্যাপারটিকে দেশপ্রেমের সাথে গুলিয়ে ফেলেছেন।দেশকে ভালবাসার আরো ১০১টি উপায় আছে।ট্যাক্স দেওয়ার মাধ্যমে আমরা সেটা শুরু করতে পারি)।ভালো লাগে, আমাদের দেশের সবাই বাংলা সিনেমাকে এতো সাপো্র্ট করে।
আমি নিজে ছোটবেলা থেকে বড় পর্দার ভক্ত।একটু সময় পেলেই সিনেমা হলে ঢুকে পড়ি।"আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা" থেকে "অবুঝ বৌ" এসবই হলে গিয়ে দেখেছি।বেশিরভাগ সময়েই দেখেছি, স্ক্যাজুয়েলড্ টাইমে মুভি শুরু হয়নি।একটাই কারণ, দর্শক নেই (কোরাম পূর্ণ হয়নি আরকি )।যারা বাংলা চলচিত্রকে, সঙ্সকৃতিকে এতো ভালোবাসেন তারা থাকেন কই!
কেন "রাবেয়া" সিনেমা হলগুলোতে এক সপ্তাহই কমপ্লিট করতে পারেনা।হল মালিকদের বাধ্য হয়ে, পাঁচ বছরের পুরনো "ট্রান্সফর্মারস ১" দেখাতে হয়?
কেন ডিভিডি -এর দোকানগুলোতে হিন্দি মুভির হল প্রিন্ট দেদারসে বিক্রি হয় (হল প্রিন্টে মুভির ছবি, ডায়ালগ, গান কিছুই বোঝা যায় না।তারপরও মাণুষ পাগল হয়ে কিনছে।কিসের এতো তাড়া!)।
হিন্দি মুভির বাজার এখন বিশ্বজুড়ে।অথচ খোদ দক্ষিণ ভারতে হিন্দি মুভির বাজার নেই।সেখানকার মাণুষ হিন্দি বুঝেনা, সে চেষ্টাও করেনা।এমন না যে, সে মুভিগুলো খুব উন্নতমানের।নির্মাতারা যেমন বুঝে দর্শক কি চায়, দর্শকরাও তেমনি হলে গিয়ে মুভি দেখে।
*শেষবার যখন আমদানীর কথা হলো, তারপর ১ বছর পার হয়ে গিয়েছে।এর মাঝে আমাদের চলচিত্রের কি উন্নতিটা হয়েছে?তখন "কানা মামা" শাকিব খান ছিলো।এখন সেই কিং খানের মুভিও মাণুষ দেখছে না।এই বছরের প্রথম ৬ মাসে কয়টি মুভি বের হয়েছে? শেষ ১ বছরে কিন্তু আরও বেশ কয়েকটি সিনেমা হল বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
যদি সাময়িকভাবে বিদেশী মুভিগুলো প্রদর্শন করা হয়, তবে অন্তত সিনেমা হলগুলো বেঁচে যাবে।নতুন করে কোনো হল বন্ধ হবে না।আর দর্শকদের আকৃষ্ট করতেই, হল মালিকরা হলের পরিবেশ ভালো করবে।মধ্যবিত্তেরও হলে যাওয়ার অভ্যাসটা গড়ে উঠবে।নইলে, এখন যেভাবে চলছে, একসময় মিউজিয়াম মার্কা দুই-একটা সিনেমা হল ছাড়া সবই বন্ধ হয়ে যাবে, হতে বাধ্য।অদূর ভবিষ্যতের কোনো এক দুঃসময়ে, বছরে যদি দুটি মুভিও তৈরী হয়, সে মুভিগুলো দেখবো কোথায় (যদি সিনেমা হল-ই না থাকে)?
হলগুলোকে বাঁচানো একটা বড় চ্যালেন্জ।কোনো সিনেমা হলের জায়গায় একবার একটা মর্কেট গড়ে উঠলে, পুনরায় সেখানে হল তৈরী হবার সম্ভাবনা সুদূরপরাহত।আর ঢাকার মতো জায়গায় নতুন কোনো হল নির্মাণ করা কতকটা অসম্ভবই বটে।
আমি বলছি না হিন্দি মুভি চলতেই থাকবে।২ বছর হিন্দি মুভি এনে দেখা যাক।নইলে তো "অবরোধ" -এর অপশন আছেই।ম্যালেরিয়ার প্রতিষেধক মিষ্টি সিরাপ না, তেতো কুইনাইন।হলগুলোকে বাঁচাতে কিছুদিনের জন্য এই তেতো ইন্ডিয়ান মুভিগুলোই না হয় গিল্লাম!
০৮ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১১:০২
স্নিগ বলেছেন: দেশের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রীকে কিভাবে দ্রুত বাঁচানো যায়।এনি আইডিয়া?
২| ০৮ ই জুলাই, ২০১১ রাত ৯:২৮
আতিকফয়সালবেস্ট বলেছেন: একবার আসলেও দাদা আর বন্ধ করতে পারবেন না। তাছাড়া আমারাতো ইন্ডিয়ান ডিস্ক দেখে ভাল ছবি দেখার চাহিদা মিটাচ্ছি।
শুধু শুধু খাল কেটে কুমির আনার দরকার নেই
০৮ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১১:১১
স্নিগ বলেছেন: "একবার আসলেও দাদা আর বন্ধ করতে পারবেন না।"
এই যুক্তিটা আমাকে আরও অনেকে দিয়েছে।ভাই, আমি একটি মাথামোটা টাইপের।আমি কিছুতেই বুঝতে পারি না সেটা কিভাবে সম্ভব।সরকার যদি বন্ধ করে, তাহলে কিভাবে হলে হিন্দি মুভি চলবে?
একটা মুভি আর এক পুরিয়া হেরোইন কিন্তু এক না।যে পুলিশ দেখলেই দৌড় দিলাম।
মুভির প্রচার ও প্রদর্শন হয় প্রকাশ্যে।
৩| ০৮ ই জুলাই, ২০১১ রাত ৯:৪৮
মশিউর মামা বলেছেন: সব কিছুই বললেন কিন্তু আমাদের খাসলতের কথা বললেন না | আমরা যে বিদেশী জিনিসের প্রতি মাত্রাতিরিক্ত নতজানু এইটা কি আপনার চোখে পড়ে নাই | দেশে তৈরী ওয়াল্টন ফ্রিজ আমরা কিনি না , কিনি বিদেশী তৈরী সামসাং , তোশিবা | সামনা সামনি একই মানের ২ জোড়া জুতা একটা দেশী আর অন্যটা বিদেশী রাখলে সিংহভাগ মানুষ বিদেশিটা বাইছা নিবো | একটু চিন্তা করেনতো সমরেশের কালবেলা-কালপুরুষ-উত্তরাধিকার কয়জন পড়ছে আর ইমদাদুল হক মিলনের ' নুরজাহান ' কয়জন পড়ছে |
সবচেয়ে বড় কথা হইলো সিনেমা একটা দেশের তত্কালীন সামাজিক মূল্যবোধ ফুটাইয়া তোলে | এমনিতেই বিদেশী কালচার নিয়া আমরা আপদের মইধ্যে আছি | তাও ভালো যে এই পশ্চিমা কালচার অবস্থান করতেছে সমাজের উচ্চ ও উচ্চ মধ্যবিত্ত শ্রেনীর মাঝে | আপনে হিন্দী সিনেমা দেশের আনাচে কানাচে সিনেমা হলগুলাতে পৌছাইয়া দিয়া নিম্নবিত্ত অংশেও এই বিদেশী কালচার ঢুকাইয়া দিতে চান ?
আপনেরে কইষা মাইনাস |
০৮ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১১:২৬
স্নিগ বলেছেন: আরে মামা, চ্যাতেন ক্যান।
আপনার প্রথম প্যারার সাথে আমি পুরা সহমত।
"সিনেমা একটা দেশের তত্কালীন সামাজিক মূল্যবোধ ফুটাইয়া তোলে |"
এ কথাটার সাথে একটু দ্বিমত পোষণ করছি।এরকম মুভি হাজারেও একটা পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ।
"পশ্চিমা কালচার অবস্থান করতেছে সমাজের উচ্চ ও উচ্চ মধ্যবিত্ত শ্রেনীর মাঝে |"
মধ্যবিত্তরাওতো এখন হিন্দি সিরিয়াল-রিয়ালিটি শো-গান -এ বুঁদ হয়ে আছে।
"নিম্নবিত্ত অংশেও এই বিদেশী কালচার ঢুকাইয়া দিতে চান ?"
আসলে চাই না।কিন্তু, আপনি মনে হচ্ছে শুধুমাত্র নিম্নবিত্তদেরই বাঁচাতে চাইছেন।
আমরা বাদ গেলাম কেনো?মধ্যবিত্তরা কিন্তু যে কোনো প্রডাক্টের টার্গেট মার্কেট।
৪| ০৮ ই জুলাই, ২০১১ রাত ৯:৪৮
ইশতিয়াক মাহমুদ বলেছেন: আপনার সাথে অনেকগুলো পয়েন্টই একমত।
হলগুলোকে বাচিয়ে রাখতে হবে।
মানুষকে হলমুখি করতে হবে।
চলচিত্র নির্মাতাদের মনোপলি বন্ধ করতে হবে।
তবে একটা কথা সত্যি, আমদানী শুরু হলে সেটাকে ঠেকানো মুস্কিল হবে।
তার জন্য যে শক্ত হাত দরকার তা আমারদের দেশ নেই।
তাই বাইরে থেকে মুবি আমদানী না করে, আমাদের এফ ডি সিকেই ঠিকঠাক করতেচেষ্টা করতে হবে।
ভাল প্রিন্ট?
আমি যতদুর জানি, যে কেমিক্যাল দিয়ে একটা মুভি ডেভলপ করার কথা, সেটা দিয়ে দুই বা ততোধিক কখনও আরও বেশি মুভি ডেভলপ করা হয়।
এবং এটা করা হয় সরকারী নিয়মে। কারন, খরচ।
এটাও শুনতে পাই, সত্যি কিনা জানি না, আপনি এফ ডিসি এর এনেলিস্টেড লোকদের নিয়ে কাজ না করলে আপনার মুভি মুক্তিই পাবে না বাংলাদেশে।
তাই অনেক পরিচালক শুধূমাত্র নামে একজন কম পয়সার এফডিসি লোক রাখে প্রত্যেক বিভাগে। সে শুধু বসে থাকে। কাজ যা করার করে অন্য কেউ, যোগ্য কেউ। এরকম আরও অনেক মনোপলির কথা শুনতে পাই।
এই চক্রটাকে ভাঙ্গতে পারলেই আমরা অনেক গুলো ব্যপারে এগিয়ে যাব। আমাদের দেশে মানুষ আছেন, করে দেখাবার জন্য তারা ছটফট করছেন। কিন্তু তাদের যদি হাত পা মুখ বেধে বস্তা বন্দি করে রাখা হয়, তবে কিভাবে কি করবেন তারা?
০৯ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১২:০৪
স্নিগ বলেছেন: বস, আমিও আপনার সবগুলো পয়েন্টের সাথে একমত।
প্রিন্টের ব্যপারে বলি, ক্ষমতাসীন দলের অনেক সাংসদই বিনোদন জগতের সাথে যুক্ত।আমার মনে হয়, এক্ষেত্রেই তাদের সদিচ্ছাই মূল।
অনেকদিন আপনের কোনো মুভি রিভিউ পাই না
৫| ০৮ ই জুলাই, ২০১১ রাত ৯:৫০
অনিমেষ হৃদয় বলেছেন: আমি আপনার সাথে একমত। একজন সত্যিকার ফিল্ম প্রেমিকই মনে হয় এই ব্যাপারটা ভেতর থেকে অনুধাবন করতে পারবে। আমি যে অন্ধ ফিল্ম প্রেমিক তা না, তবে ছবি দেখতে ভীষণ ভালবাসি। তাই আর যা-ই হোক, অন্য দেশের ফিল্ম দেখলেই যে 'গেল গেল' রব ওঠে, তা রীতিমতো ঘেন্না করি।
৩১ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৯:০৪
স্নিগ বলেছেন: "অন্য দেশের ফিল্ম দেখলেই যে 'গেল গেল' রব ওঠে, তা রীতিমতো ঘেন্না করি।"
এটা আমারও অপছন্দ।শুধু মুভি নয়, যে কোনো বিষয়েই সবাই এতো শংকিত হলে সমস্যা।ঘরে ময়লা আসবে ভেবে, দরজা-জানালা বন্ধ রাখলে তো ঘরের মাণুষই এক সময় দম আটকে মারা যাবে।
৬| ০৮ ই জুলাই, ২০১১ রাত ৯:৫৭
বাদ দেন বলেছেন: পোস্টের নাম দেখে মেজাজ খারাপ হয়েছিল। আপনার নাম দেইখাই পুরাটা পড়লাম
সুন্দর যুক্তিপূর্ন লেখা, একমত না হলেও আপনার যুক্তি গুলার উপস্থাপনা সুন্দর, আমি এত ভাল ভাবে যুক্তি দিতে পারি না। আশা করি অন্য কেউ এসে ভাল মত পালটা যুক্তি দিবে।
যাই পালাই । পোস্টটা পর্যবেক্ষনে থাকল।
০৯ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১২:১০
স্নিগ বলেছেন: ভাই, আমিও গুছিয়ে লিখতে পারি না।দারাশিকো ভাইয়ের পোস্টে কমেন্ট করতে গিয়ে, দেখি আস্ত পোস্ট হয়ে গেসে।
"আশা করি অন্য কেউ এসে ভাল মত পালটা যুক্তি দিবে।"
আপনেও দ্যান।নিজের কথাতেই আটকে থাকবো তা-না।আমি খোলামন নিয়ে বসেছি।
"যাই পালাই।"
পালাবি কোথায়? খাইছি তোরে (একটু ফান করলাম।মাইন্ড কইরেন না আবার)
৭| ০৮ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১০:০৬
েতজপাতা বলেছেন: যারা আমদানি বন্ধ কর, বন্ধ কর বলে চিল্লাচ্ছে, তাদের কাছে জিজ্ঞাসা এত বছর বন্ধ রাইখা কি...ছিড়ছে এই দেশের স্বনামধন্য পরিচালকেরা?? লাভের লাভ, যেটা হইছে গার্মেন্টস এর মালিক, চান্দাবাজ, এরা হইছে এখন ছিনেমার জনপ্রিয়(!!) নায়ক ও ভিলেন...
এইসব হিন্দি ছিনেমা আপনে না দেখাইতে চাইলেও মানুষ দেখব বিভিন্ন ভাবে।। ভাল ছবি হলে সেটা মানুষ দেখবেই, সেটা যে দেশি মুভি হোক না কেন।। আমার লাইফে আমি ছিনেমা হলে গেছি তিনবার।। "শ্রাবন মেঘের দিনে", "গেরিলা" এই টাইপ ছবি হলে হিন্দি-চাইনিজ যা ই আসুক মানুষ হলে গিয়া ছবি দেখবে।। আর "খাইছি তোরে" মার্কা ছবি হলে মানুষরে হাতি দিয়া টাইন্না ছিনেমা হলে নিতে পারবেন না।। এই বাস্তবতা বুঝতে আমাদের যে কতদিন লাগবে??
লেখকরে ধন্যবাদ তার দারুন এই লেখার জন্যে।। ছিনেমা হল যে হারে বন্ধ হচ্ছে, কয়দিন পর মুভি দেখানোর জন্যে হল পাওয়া যাবে না।। তখন আজকের এই সব "আমদানী" বিরোধী লোকদের খুজে পাওয়া যাবে না, সেটা নিশ্চিত।।
এই ব্যাপারে আবেগ নির্ভর নয়, যুক্তি নির্ভর বক্তব্য আশা করছি।।
৩১ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৯:০৮
স্নিগ বলেছেন: ""শ্রাবন মেঘের দিনে", "গেরিলা" এই টাইপ ছবি হলে হিন্দি-চাইনিজ যা ই আসুক মানুষ হলে গিয়া ছবি দেখবে।। আর "খাইছি তোরে" মার্কা ছবি হলে মানুষরে হাতি দিয়া টাইন্না ছিনেমা হলে নিতে পারবেন না।।"
চ্রমভাবে সহমত।
৮| ০৮ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১০:২২
তপৃ বলেছেন: @ চরম পোষ্ট , i agree
২০ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ১০:৩৮
স্নিগ বলেছেন: ধন্যবাদ
৯| ০৮ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১০:২৭
েতজপাতা বলেছেন: মশিউর মামারে কইতাছি, আপ্নের কি ধারনা বাংলাদেশে ডিশ জিনিসটা কেউ দেখেনা?? ডিশ থাকার কারনে মানুষের ঘরে ঘরে হিন্দি, ইংলিশ মুভি-কালচার ঢুকে গেছে।। আপনে গ্রামে গেলে দেখবেন দোকানে ডিশ দিয়া মুভি দেখায় কাষ্টমার টানার জন্যে।। অতএব কালচার রক্ষা করার ওয়ে "হিন্দি মুভি আমদানি বন্ধ করা" হতে পারে না। হিন্দি ছিনেমা আনার কারনে সেটার ক্ষতি হওয়ার আর চান্স নাই।।
মানুষরে দোষ দিয়া লাভ নাই।। "নুরজাহান" খুব কম মানুষ ই পড়ছে, কিন্তু হুমায়ুন আহমেদ কত জন পড়ছে সেটাও মাথায় রাইখেন।। ভাল জিনিস দিলে মানুষ যে কিনবেই তার প্রমান "ন্যাশনাল ফ্যান", "স্কয়ার ঔষুধ", ইত্যাদি... মানুষ টাকা খরচ করে ভাল জিনিস পাইতে চায়।। বাজে জিনিস দিয়া দেশপ্রেমের ধুয়া তুইলা মানুষরে কয়দিন বাইন্ধা রাখবেন??
আপনে ভাল মুভি বানান। হিন্দি-চাইনিজ আসুক আর না আসুক, মানুষ সেটা দেখবেই।। আর বস্তা পচা মুভি বানাইয়া দর্শক জীবনেও ধরে রাখা যাবেনা।। লস যেটা হবে, সিনেমা হল বন্ধ হবে, মানুষ ছিনেমা হলে যাওয়া বন্ধ করবে, ভাল মুভি গুলা পাইরেসির শিকার হবে...আর তারেক মাসুদের মত ডিরেক্টররা মুভি বানানো বন্ধ কইরা সারা দেশে ঘুরবে মানুষরে মুভি দেখানোর জন্যে।।
৩১ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৯:১৭
স্নিগ বলেছেন: "হিন্দি ছিনেমা আনার কারনে সেটার ক্ষতি হওয়ার আর চান্স নাই।।"
আশংকা একেবারেই যে নেই তা না।তবে মাথা ব্যাথা হতে পারে ভেবে, মাথা কেটে ফেলাটা খুব একটা ভালো আইডিয়া না।
"বাজে জিনিস দিয়া দেশপ্রেমের ধুয়া তুইলা মানুষরে কয়দিন বাইন্ধা রাখবেন?"
এই কথাটা আমারও।সিনেমা হলের টিকেট কাউন্টার দেশ প্রেম দেখানোর জায়গা না।
আমি "ডেল্লি বেলি" দেখবো নাকি "গহীনে শব্দ" দেখবো সেই সিদ্ধান্ত নেবার অধিকার আমার।দেশের আর কোনো শিল্পকে তো যখন অবরোধের আওতায় আনা হচ্ছে না।শুধু মুভি, তাও আবার হিন্দি মুভি (ইংলিশ মুভিগুলো তো দেদারসে চলছে) নিয়ে এতোটা রিজিড হবার মানে কি?
১০| ০৮ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১০:৪১
ইশতিয়াক আহমেদ চয়ন বলেছেন: Sohomot apnar sathe.r jara jat gelo jat gelo bolse tader sobai k rqst krbo doya kre hal e jaye evry weknd e ekta kore bangla mvi dkhben nail kintu hall gula sob off hoye jbe
২০ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ১০:৪৪
স্নিগ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।
১১| ০৮ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১১:০৪
রাইসুল জুহালা বলেছেন: আমি ঠিক এই কথাগুলি কয়েকদিন আগে দারাশিকোর একটা পোস্টে বলেছিলাম। দেশীয় ছবির ধ্বংসের পিছনে দায় পুরোপুরিই এই ইন্ডাস্ট্রির মানুষের। বছরের পর বছর তারা একই কাহিনীর ছবি বানিয়ে দর্শককে হলছাড়া করেছেন। বাই দ্য ওয়ে, মনপুরার সাফল্যকে কিন্তু আমি ফ্লুক মনে করি। এই পরিচালকের পরের ছবিই টিকবে না। আমাদের এখানে কমার্শিয়াল ছবির যে ফরমেট আছে, মনপুরা তা থেকে অনেক দূরে। গ্রাম্য কাহিনীও গ্ল্যামারাইজড করে বানানো যায়। গ্ল্যামারাইজড মানে এটা না যে অপু বিশ্বাসের মত এক মণ মেকআপ। কমার্শিয়াল ছবি আর অবাস্তব ছবির মধ্যে একটা সুক্ষ্ম ব্যবধান আছে। দুর্ভাগ্যক্রমে আমাদের মূলধারা বা অমূলধারার কেউই এই ব্যবধান মাথায় রাখেন না।
০৮ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১১:৪১
স্নিগ বলেছেন: মনপুরার সাফল্যের একটা বড় অংশের কৃতিত্ব দিবো এই মুভির গানগুলোকে।
পরিচালকের পরের মুভি ফোক নির্ভর (কাজলরেখা)।এটা ক্লিক করার সম্ভাবনা আসলেই কম (একটা সত্যি কথা স্বীকার করি, মনপুরার স্টোরীলাইন শুনেও, আমি ঠিক একই কথা ভেবেছিলাম। "চরের মাঝে নায়ক আটকে আছে।নায়িকা তাকে দেখতে আসে।এই মুভি কে দেখবে!")।
তবে, মনপুরা একটা কথা প্রমাণ করেছে।মধ্যবিত্তরা হলে গিয়ে মুভি দেখতে পারে।
ইন্ডাস্ট্রী'র পাবলিকদের কথা বলার কিছু নাই।
তারা নিজেরা ভালো মুভি বানাবে না, অন্যদেরও বানাতে দেবে না, আবার আমরা পছন্দসই মুভি দেখবো - সেটাও হতে দেবে না।এর মানে কি?
১২| ০৮ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১১:১৩
রাইসুল জুহালা বলেছেন: দারাশিকোর পোস্টে আমি এই মন্তব্য করেছিলাম -
"সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির এই ব্যাপারটা আসলে একটু অন্যরকম এবং জটিল। এখানে আপনি যা বললেন, তা সরকারের আগে সিনেমার লোকদের বোঝা দরকার। এই ইন্ডাস্ট্রিকে সরকার বা অন্য কেউ না, বরং সিনেমার লোকেরাই ধ্বংস করে দিয়েছে। একই কাহিনীর উপর বছরের পর বছর অতি দুর্বল মানের ছবি তারা বানিয়ে যাচ্ছে। গত ২০-৩০-৪০ বছরে বিদেশি ছবি আমদানী নিষিদ্ধ সত্ত্বেও ছবির ব্যবসার এই হাল হল কেন? কার ব্যর্থতা এটা? এই শিল্পের লোকদের নয় কি? আপনার হিসেবে গত ২০ বছরে ৫০০ সিনেমা হল বন্ধ হয়ে গেছে। এই রেটে চলতে থাকলে বাকি ৭০০ বন্ধ হয়ে যাবে সর্বোচ্চ ২৫ বছরের মধ্যে। তাহলে বিদেশি ছবি নিষিদ্ধ রাখলেও তো ২৫ বছর পর সিনেমা শিল্প এমনিতেই বন্ধ হয়ে যাবে। লাভ কি হচ্ছে?
না, আমি ভারতীয় ছবির আমদানীর পক্ষে না। আমিও চাই, এগুলি নিষিদ্ধ থাকুক। কিন্তু সিনেমা ডিটারজেন্ট, সাবান বা শাড়ি-জামার মত পন্য না যে আপনি আমদানী বন্ধ রাখলেই দেশীয় শিল্পের বিকাশ ঘটাতে পারবেন। আজকে সরকার পাইরেসী এবং ক্যাবল টিভি সম্পূর্ন বন্ধ করে দিলেও দেশের ৮০ ভাল লোক বরং ঘরে বসে থাকবে কিন্তু এই অসহ্য ধরনের বাংলা ছবিগুলি দেখবে না। তাই এই সমস্যা মেটানোর জন্য সিনেমার লোকদেরই এগিয়ে আসতে হবে। অন্যথায় ঘোর অন্ধকার। "
১৩| ০৮ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১১:৩৬
নীল_পদ্ম বলেছেন: আপনার কথাগুলো সবই সত্যি। কাহিনীকার আর পরিচালকের জন্য সিনেমা খারাপ হয়। মান্ধাতার আমলের পান খাওয়া পরিচালকগুলো সস্তা এবং গাঁজাখুরি কাহিনী দিয়ে সিনেমা বানায়। ফিল্ম মেকিং এ কোন একাডেমিক শিক্ষা নেই, এটাই মূল কারণ।
রাজ্জাকের কথা সত্যি নয়, বাংলাদেশের মানুষ অবশ্যই ভালো সিনেমা দেখে। তার নিজেরই তো অনেক সিনেমা আছে যেগুলো মানুষ দেখেছে। তার দুই ভোটকা ছেলের সিনেমা দেখে না বলে দর্শক খারাপ হয়ে গেল!!
০৮ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১১:৫৯
স্নিগ বলেছেন: নায়ক রাজের বিরুদ্ধে কিছু বললে, অনেকেই সেটাকে "নেফারিয়াস ক্রাইম" হিসেবে ধরবেন।তাই ভয়ে ভয়ে বলছি, আমাদের চলচিত্রের যখন চরম দুঃসময়।অশ্লীলতা চরমে, মাণুষ ব্লু ফিল্মের বদলে বাংলা সিনেমা দেখছে।সে সময় তিনি বাংলাদেশে কোনো মুভি নির্মাণ দূরে থাক, অভিনয়ও করেননি।উল্টো কলকাতায় গিয়ে একের পর এক মুভিতে অভিনয় করেছেন।
একটা কমন অভিযোগ শুনি, দেশে ফিল্ম শেখার প্রোপার সুযোগ নেই।ইন্টারনেটের এ যুগে এ কথাটা শুনতে আমার কাছে খুব হাস্যকর লাগে।পোলাপাইন দেড় জিবি'র পর্ণ লীচ করে নামায় ফেলে অথচ মুভি মেকিং টিউটোরিয়াল লিখে একটা ক্লিক দিয়ে দেখে না।
ইউটিউবে আবুল-মকবুল থেকে শুরু করে রবার্ট রড্রিগুয়েজের মতো পরিচালকের টিউটোরিয়াল ক্লাসের ভিডিও আছে।
সর্বোপরি একটা কথাই বলবো, ক্রিয়েটিভিটি আসে ভেতর থেকে, টীচারের লেকচার শীট থেকে না।
১৪| ০৯ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১২:৫০
বাদ দেন বলেছেন: হিন্দি সিনেমা ত নিষিদ্ধ নয় , দোকান গেলেই আজকাল এইচডি প্রিন্ট পাওয়া যায়, ছবি মুক্তির দুই দিনের মাথায়। অর্ধেকের বেশী কেবল চ্যানেল হিন্দিমুভি দেখায় । সুতরাং হিন্দি মুভি হলে গিয়ে না দেখলে মধ্যবিত্ত সমাজের ক্ষতি হবে না, শিলা কি জাওয়ানী দেখবার জন্য মধ্যবিত্ত সমাজ হলে গিয়া ভিড় জমাইয়া সিনেমা হল গুলা বাচাইব তা আমার মনে হয় না । বেশির ভাগ মধ্যবিত্ত পরিবারে কেবল লাইন আছে, কোন মুভি এরা হলে গিয়া টাকা দিয়া দেখব?।
যেসব মুভি গুলা দেখতে মধ্যবিত্ত সমাজ ভিড় জমায় , সেগুলো হইল মেইনস্ট্রিমের বাইরের ছবি , নিজেগো হিপক্রেসী দেখানোর লাইগাই এই সময় হলে আইব। কিন্তু বছরে ২-৩ টা এইরুপ মুভি দিয়া সিনেমা হল বাচব না । সময় বদলাইইয়া গেছে ৩০ বছর আগে সিনেমা হলে গেছে বইলা আজো যাইব তা মনে হয় না , এখন বিনোদনের অনেক উপায়।
নিম্নবিত্ত রা তাগো ভাষার মুভি দেখবার চায়, তাদের চাহিদা সিম্পল , তাদের কাহিনিও সিম্পল , কিন্তু তারা বিদেশী ভাষার মুভি কাটপিস ছাড়া গ্রহন করবে তা মনে হয় না।
সুতরাং আমাদানী কইরা দেশের বিদেশী মুদ্রার রিজার্ভ কমানো কেন।
দেখতে ইচ্ছা করলে সিডি কিনা দেখ। বাসায় আরামে বয়া দেখতে পারব। ঢাকার বাইরে অর্ধেকের বেশি হলেই ৮০% সিট ভাঙ্গা ফ্যানও নষ্ট। এদিকে দেশের টাকাও বাচলো
কিন্তু সিনেমা হল গুলা বাচানোর পদ্বতি কি . তা আমি জানি না।
১৮ ই জুলাই, ২০১১ রাত ৮:৫৩
স্নিগ বলেছেন: "দোকান গেলেই এইচডি প্রিন্ট পাওয়া যায়, ছবি মুক্তির দুই দিনের মাথায়।"
অবাক হইলাম।এতো তাড়াতাড়ি চলে আসে!!
"কোন মুভি এরা হলে গিয়া টাকা দিয়া দেখব?"
এই প্রশ্নটার উত্তর এক কথায় দেওয়া মুশকিল ভাই।ঘরে আরামে দেখার অপশন থাকার পরও মাণুষ বাইরে গিয়ে মুভি দেখে।
অ্যামেরিকায় দেখুন, গত ৫ বছরের সবচে সফল মুভিগুলো ১ বিলিয়নের উপরে ব্যবসা করেছে।
বাংলাদেশে স্টারডাস্ট অথবা পিন্ক প্যান্থার মুভি অনেক পরে রিলিজ পেয়েছিলো।তারপরও কত ভালো বিজনেস করেছে।
সত্যি বলতে কি, মুভি দেখার প্ল্যানটা পরিবারভেদে অনেকটা আউটিং/ঘুরতে বের হবার শামিল।সারা সপ্তাহের অপেক্ষা কাজ করে।
"আমাদানী কইরা দেশের বিদেশী মুদ্রার রিজার্ভ কমানো কেন।"
বসুন্ধরা/বলাকায় যে হলিউডি মুভিগুলো দেখায়, এই কমপ্লেইন কিন্তু তাদের বিরুদ্ধেও খাটে।
"কিন্তু সিনেমা হল গুলা বাচানোর পদ্বতি কি, তা আমি জানি না।"
যাদের জানা উচিৎ (অথরিটি), তাদের খুব একটা আগ্রহ আছে বলে মনে হয় না ।তারা নিজেরা বিভিন্ন ইলেকশনের নামে কামড়া-কামড়ি করতে ব্যস্ত।
১৫| ০৯ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১:১৭
ডেজা-ভু বলেছেন: এইডা কি মাইনাচে মাইনাচে পেলাচ জাতীয় কুনু আইডিয়া নাকি?!!
বাদ দেন এর সাথে একমত, আমাদানী কইরা দেশের বিদেশী মুদ্রার রিজার্ভ কমানো কেন?
৩১ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৯:২৪
স্নিগ বলেছেন: "আমাদানী কইরা দেশের বিদেশী মুদ্রার রিজার্ভ কমানো কেন।"
বসুন্ধরা/বলাকায় যে হলিউডি মুভিগুলো দেখায়, এই কমপ্লেইন কিন্তু তাদের বিরুদ্ধেও খাটে।সারা দেশে ইংলিশ মুভির খুব বাজার নেই।ধরুন, দেশের থানা শহরগুলোতেও জেমস বন্ডের মুভি হাউসফুল ব্যবসা করা শুরু করলো।তখন কি ইংলিশ মুভির কারণে রিজার্ভ কমে যাচ্ছে বলে সেই মুভিগুলো বন্ধ করে দেবো?
আর একটা ব্যাপার।যে মুভি হলে দেখানো হবে, তারা কিন্তু বাংলাদেশকে ট্যাক্স দিবে।হল মালিক তার আয়ের ট্যাক্স দিবে।আপনি যদি টিকিট কিনে মুভি দেখেন আপনিও ট্যাক্স (ভ্যাট) দিবেন।বছর শেষে সরকারের আয় বাড়বে না কমবে?
১৬| ০৯ ই জুলাই, ২০১১ সকাল ৯:১১
কাউসার রুশো বলেছেন: পরে কমেন্ট দিতাছি।
১৮ ই জুলাই, ২০১১ রাত ৮:৫৭
স্নিগ বলেছেন: ঠিকাছে, পরে রিপ্লাই দিতাছি
১৭| ০৯ ই জুলাই, ২০১১ বিকাল ৫:১৬
মাগুর মাছ বলেছেন: এক নিশ্বাষে পরে ফেললাম কমেন্ট সহ পুরা পোষ্ট। অনেক ভাল লিখেছেন ভাই। এখানে আমার কিছু অভিগ্যতা শেয়ার করি। আমার সিনেমা হলে মুভি দেখা শুরু ক্লাস ফোর থেকে। বাসা থেকে পালিয়ে অথবা স্কুল পালিয়ে সিনেমা দেখতাম। এই নিয়ে বাড়িতে অনেক মার খেতে হয়েছে আমাকে। তবুও সিনেমা দেখা বন্দ করতে পারিনি আমি। এভাবে ৬/৭ বছর পার হবার পর আমি লক্ষ করলাম যত সিনেমাই দেখছি নাম আলাদা কিন্তু কাহিনি একই সাথে গা গরম করার দৃশ্য। হলে গিয়ে সিনেমা দেখার আগ্রহ হারালাম। বিটিভিতে সাদাকাল যুগের ছবি দেখতাম। আরো দেখতে ইচ্ছে হলে কলকাতার মুভি দেখতাম। একটা ভাল বাংলা মুভির জন্য আশায় বসে থাকতাম হলে গিয়ে দেখার জন্য। আজ আমি হিন্দি,তামিল,তেলুগু,চাইনিজ,ইরানি,কোরিয়ান,ইন্দোনেসিয়ান, মালয়েসিয়ান, ইংলিশ আরো অনেক ভাষার মুভি দেখি কিন্তু বাংলা মুভি শেষ মনপুরা দেখেছি লাম মনে পরে। এসব মুভি দেখে আমার মনে হয়েছে একজন নির্মাতা পরিচালক ইচ্ছা করলে পারে ভাল সিনেমা বানাতে। একটা উদাহারন দেই ষাট/সত্তুরের দশকের সিনেমার শিল্পীদের অভিনয় আর একই শিল্পীর বর্তমান সিনেমায় অভিনয় কতটা আকাশ পাতাল তফাত। বলতে লজ্জা নেই আমি নিজেও একসময় সিনেমায় অভিনয়ের স্বপ্ন দেখতাম। এখনও দেখি তবে অভিনয় না নির্মানের। এই স্বপ্ন সফল হবার নয়। তবুও আমার মনে হয় একজন নির্মাতাই পারে ভাল গল্প ফোটিয়ে তুলতে, এখানে অভিনয় শিল্পির ভুমিকা খুবই কম। ইন্ডিয়ান সিনেমা আমদানি কতটা ভাল হবে জানিনা। তবে এখনও আমাদের সিনেমাকে জনপ্রীয় করে তোলা সম্ভব। আর ভাল সিনেমা বানাতে পারলে দর্শক আসবেই।
৩১ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৯:২৮
স্নিগ বলেছেন: "তবে এখনও আমাদের সিনেমাকে জনপ্রিয় করে তোলা সম্ভব। আর ভাল সিনেমা বানাতে পারলে দর্শক আসবেই।"
এটা আমারও কথা।দর্শকপ্রিয় মুভি বানানোর জন্য আলাদিনের চেরাগের দরকার নেই।সদিচ্ছা দরকার।
১৮| ০৯ ই জুলাই, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০৫
কাউসার রুশো বলেছেন: সঙ্সকৃতি রক্ষা মানে কি দেশী সং দের রক্ষা করা?
ঠিক
১.ভালো গান (অসম্ভব, অসম্ভব ইফেক্টিভ ফ্যাক্টর)
২.সুন্দর গল্প (এক্সট্রা-অর্ডিনারী কিছু না।একটু ডিসেন্ট স্টোরীলাইন পেলেই মাণুষ খুশি)
৩.ভালো প্রিন্ট (শুনতে অবাক লাগলেও এটা সত্যি।সবাই ভালো প্রিন্ট প্রেফার করে)
৪.ভালো লোকেশন (এফ.ডি.সি. আর কক্সবাজারের সী-বিচ দেখতে দেখতে মাণুষ ক্লান্ত)
ঠিক
আর তাকে বাধা দিয়েছিলো কারা? যারা এখন টিভি-তে গম্ভীর মুখে "বাংলাদেশের চলচিত্রকে বাঁচাতে হবে" টাইপ ভাষণ দেয়, সেই "চাষী-কাজী-নান্টু-ঝন্টু-মিজু-মিন্টুরা।
ঠিক
সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। দয়া করে স্নিগ ভাইয়ের পোস্টটা ভালো করে পড়ে বুঝে কমেন্ট করুন। ভিন্নমত পোষণ মানে নিজে ঠিক আর বাকিরা ভুল তা কিন্তু নয়।
স্নিগ ভাই আপনি খুব যুক্তিযুক্ত কিছু কথা বলেছেন। আমার ভালো লাগলো বিষয়গুলো।
আমার বক্তব্য হচ্ছে-
বিদেশী চলচ্চিত্র দেশ আসুক (ইংরেজি বা হিন্দি) এতে কোন আপত্তি নাই বরং নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে এগুলো কাজে দিবে। কিন্তু এটা কখন করা সম্ভব?? যখন নিজের ঘর গোছানো আছে। যখন নিজের ইন্ডাস্ট্রি কমপিট করার মত স্ট্রং।
বিশেষ করে ভারতীয় সংস্কৃতির যে আগ্রাসন আমাদের দেশে ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলেছে সেটাকে আরো বেগবান করার মানে হয়না। তাই এ মুহূর্তে বন্ধ হোক । নতুবা দেশের চলচ্চিত্র শিল্পে বিপর্য়য়ের মুখে পড়তে পারে। এমনিতেই অবস্থা সুবিধার নয়। একবার মার্কেট পেয়ে গেলে সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হবেনা বলেই মনে হয়। সম্ভব যদি হতই তবে অনেক আগেই চলচ্চিত্র শিল্প মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারতো।
খুব আফসোস লাগে যখন ভাবি বাংলাদেশের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি একটা সময় কত সমৃদ্ধ ছিলো, কত দারুন একটা সময় পার করে এসছে আর এখন পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ
১৮ ই জুলাই, ২০১১ রাত ৯:৫৯
স্নিগ বলেছেন: "কিন্তু এটা কখন করা সম্ভব?যখন নিজের ঘর গোছানো আছে। যখন নিজের ইন্ডাস্ট্রি কমপিট করার মত স্ট্রং।"
ভাই, বলতে কষ্ট লাগে, কিন্তু এটা সত্যি যে বলিউডের সাথে কমপিট করার মতো স্ট্রেংথ আমাদের সহসা আসবে বলে মনে হয় না।ইতোমধ্যে ৪০ বছর তো হয়ে গেলো
বাজেট, এক্সপোজার (দক্ষিণে অনেক বিগ বাজেটের মুভি নির্মিত হয়, তারপরও হিন্দি মুভি এগিয়ে যাচ্ছে এই কারণে) সব কিছু মিলিয়ে আজ হলিউডের পরেই বলিউডের অবস্হান।
"একবার মার্কেট পেয়ে গেলে সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হবেনা বলেই মনে হয়। সম্ভব যদি হতই তবে অনেক আগেই চলচ্চিত্র শিল্প মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারতো।"
(আমার নলেজের সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে।তবে,) ফ্লোরা ও ড্যাফোডিল কোম্পানিকে বাঁচাতে গিয়ে ডেল-আসুস -এর আমদানি বন্ধ করা কি ঠিক?
সপ্তাহান্তে, আমরা যখন সিনেমা হলের সামনে দাঁড়াই, তখন কিন্তু আমরা কাস্টোমার।
"বিশেষ করে ভারতীয় সংস্কৃতির যে আগ্রাসন আমাদের দেশে ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলেছে সেটাকে আরো বেগবান করার মানে হয়না।"
এই ব্যাপারটা আমারো খুব অপছন্দ।বাংলাদেশ-নেপাল'র কালচার যেমন ইন্ডিয়ানাইজড্ হচ্ছে ইন্ডিয়া-জাপান'র কালচারও কিন্তু অ্যামেরিকান হয়ে যাচ্ছে।কিন্তু সঙ্সকৃতিকে রক্ষা করতে হবে সঙ্সকৃতি দিয়ে।এখন সামর্থ্যবান প্রতিটি মাণুষের ইন্টারনেট অ্যাক্সেস আছে।শুধু সিনেমা হল কোনো ড্র ব্যাক তৈরী করবে বলে মনে হয় না।
"খুব আফসোস লাগে যখন ভাবি বাংলাদেশের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি একটা সময় কত সমৃদ্ধ ছিলো"
আমার মন্তব্যটা হয়তো খুব বায়াস্ড শোনাবে, তবে ৬০-৭০ দশকের হিন্দি মুভির চে (দুই দেশেরই) বাংলা মুভিগুলো ফার বেটার।
১৯| ০৯ ই জুলাই, ২০১১ রাত ৯:২৯
দারাশিকো বলেছেন: দারুন পোস্ট স্নিগ ভাই, আমি মুগ্ধ।
আপনার পয়েন্টগুলো দারুন, রুশো ভাই সেগুলো 'ঠিক' বলে সায় দিয়েছেন, আমিও দিচ্ছি।
মূল পয়েন্টে আসি - আপনি আমদানীর পক্ষে কথা বললেও একটা ছোট্ট কিন্তু গুরুত্বপূর্ন শর্ত কিন্তু জুড়ে দিয়েছেন - আমি বলছি না হিন্দি মুভি চলতেই থাকবে।২ বছর হিন্দি মুভি এনে দেখা যাক।নইলে তো "অবরোধ" -এর অপশন আছেই।
এই একটা পয়েন্ট ঠিক করে ফেললে কিন্তু আমি আমদানীর বিপক্ষে আর আপনার আমদানীর পক্ষে বলার কোন দরকার হতো না, দরকার হতো না শাকিব খানের কথা উঠলেই তাকে 'হিজড়া' বলে গালি দেয়ার। সরকার এখানে সবচে বড় শক্তি। সরকার চাইলেই অনেক কিছু করতে পারতো, কিন্তু করে নাই। এক পুনে'র ফিল্ম ইন্সটিটিউট সমগ্র ভারত এবং অনেক গুলো দেশের সিনেমা নির্মাতাদের তৈরী করেছে, হয়তো তাই আলমগীর কবির চেয়েছিলেন এদেশেও একটি ফিল্ম ইন্সটিটিউট হোক। একক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভে উচ্চতর ফিল্ম নির্মান কোর্স শুরু করেছেন - মোর্শেদুল ইসলাম, তানভীর মোকাম্মেল সেই ব্যাচের স্টুডেন্ট - সেটা ৮০ র দশকের কথা। দ্বিতীয় ব্যাচ কবে হয়েছিল জানেন? ২০০৬ এ এবং এখন আবার যথারীতি অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ।
সরকারের পক্ষে সিনেমা নির্মান সহযোগিতা প্রদানের চেষ্টা থাকা উচিত ছিল, উচিত ছিল একটা ফিল্ম ইন্সটিটিউট নির্মান করা, উচিত ছিল ভালো নির্মাতাদের এবং নবীন নির্মাতাদের সমানভাবে সহযোগিতা করা, সম্মানিত করা- কিন্তু সেটা করা হয় নি। সরকারের পক্ষে এটাও উচিত ছিল যে ভারত থেকে সিনেমা আমদানী সংক্রান্ত একটা সুনির্দিষ্ট নিয়মাবলী উপস্থাপন করা - মাত্র দুটো শর্তে সিনেমা আমদানীর মধ্যে কিন্তু কতবছর সিনেমা আমদানী হবে, কতগুলো সিনেমা আমদানী হবে, কতদিন প্রদর্শন করা হবে সে সংক্রান্ত কিছুই নেই। ভারতীয় সিনেমায় ব্যবসা যদি লাভবান হয়, তবে কি প্রদর্শকরা পরবর্তীতে কখনো ভারতীয় সিনেমা আমদানী বন্ধ করতে সমর্থন দেবে? যেই সরকার ভারতীয় সিনেমা আমদানী নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার ব্যাপারে আপত্তি জানালো গত বছর সেই একই সরকার কেন চুপিসারে আবার আমদানীর অনুমতি দেয়?
রুশো ভাই বলেছেন, আমি আগেও বলছি, আবারও একবার বলবো - লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হবার সুযোগ চাই - এজন্য শুধু আন্তর্জাতিক প্রতিযোগীর প্রবেশ নিষিদ্ধ করলেই চলে না, আমাদের প্রতিযোগীকে যোগ্য করে তুলতে দুধ ডিম পুস্টিকর খাদ্য দিতে হবে। আমদানী হোক, তবে এখনই নয়।
৩১ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৮:৫৮
স্নিগ বলেছেন: ইয়ে বস, আপনেতো লজ্জাই দিলেন :!> :!> :#>
সরকার অনেক কিছুই করতে পারতো, কিন্তু সরকারকে সেটা বোঝাবে কে?
আমাদের দেশে এম্নিতেই সমস্যার অন্ত নাই, সেখানে সিনেমা নিয়ে সরকার আলাদা করে কতটা আর্থিক সহায়তা, মনোযোগ দিতে পারবে সেটা প্রশ্নসাপেক্ষ।
চলচিত্রের মাণুষেরা যদি টিভি-তে বড় বড় কথা না বলে, নিজ উদ্যোগে সরকারকে কিছু জানালেও তো পারেন।এখন যে সব সেলিব্রেটি এম.পি.-রা রয়েছেন তারা প্রত্যকেই নিদেনপক্ষে একটি করে মুভিতে অভিনয় করেছেন।তারা কেন চুপ থাকেন?
তাদের কথা বাদই দিলাম।একজন রাজ্জাক কিংবা আলমগীর যদি প্রধানমন্ত্রীকে তাদের কথাটি জানান, তবে কি সেটা মিডিয়া কাভারেজ পাবে না?সরকার সব নিজ উদ্যোগে করবে এটা আশা করার চে, কিছু আদায় করলেও তো ভালো।
হয়তো খুব রিলেভেন্ট না, তবে দেশের মিউজিক ইন্ডাস্ট্রীর কথা বলি।কোনো রকম ভালো ব্যাকিং ছাড়াই ইন্ডাস্ট্রীটা আজকের অবস্হানে এসেছে।হাবিব'র "মনের ভেতর" গাড়ির মেকানিক থেকে ভার্সিটির ডিজুস বয় সবাই শুনছে।খুব হট কোনো আইটেম সং অথবা খুব হিট কোনো ইংলিশ গানের তোড়ে কিন্তু এরা হারিয়ে যাচ্ছেনা।
এসব গান যে মানের দিক থেকে খুব উন্নত তা কিন্তু নয়।তারপরও মানুষ এসব পছন্দ করছে।একজন বাংলাদেশী কি পছন্দ করে তা আরেক বাংলাদেশীর চে কেউ ভালো বুঝবে না।মুভি মেকিং এর ক্ষেত্রেও কথাটি সত্যি।সিনেমা হলে ইন্ডিয়ান মুভি না দেখালে কিন্তু দেশের মাণুষের হিন্দি মুভি দেখা বন্ধ থাকবে না।
২০| ১০ ই জুলাই, ২০১১ সকাল ৯:৫২
মুনতা বলেছেন: আমারও মনে হয় একবার সুযোগ দিলেই হিন্দি ছবি মার্কেট দখল করে বসবে।
আগে আমরা প্রস্তত হই,নিজেদের সিনেমার,সিনেমা হলের মান উন্নত করি,নিজেদের কমপেটেটিভ করে গড়ে তুলি,তারপর হিন্দি মুভির সাথে কমপেট করা যাবে।
বাট,এট প্রেজেন্ট,উই আর নট রেডি।
ভাল পোস্ট,+++
২০ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ১০:৪৭
স্নিগ বলেছেন: ধন্যবাদ মুনতা।
২১| ১০ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১১:৩০
কাউসার রুশো বলেছেন: লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হবার সুযোগ চাই - এজন্য শুধু আন্তর্জাতিক প্রতিযোগীর প্রবেশ নিষিদ্ধ করলেই চলে না, আমাদের প্রতিযোগীকে যোগ্য করে তুলতে দুধ ডিম পুস্টিকর খাদ্য দিতে হবে।
২২| ৩১ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৯:০৯
অনিক আহসান বলেছেন: @ ব্লগার স্নিগ
আপনার কি ঘরে বসে ডিভিডিতে হিন্দী ছবি দেখতে খুব অসুবিধা হচ্ছে? হলে বলেন আপনার জন্য ভিন্ন বন্দোবস্ত করি ..
৩১ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৯:৩৫
স্নিগ বলেছেন: হ্যা ভাইয়া, তা কিছুটা হচ্ছে।
এনি সল্যুশন?
২৩| ৩১ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৯:৪৬
অনিক আহসান বলেছেন: হ্যাঁ সল্যুশনতো আছে.. হিন্দী মুভি দেহা বন্ধ করে দাও
০১ লা আগস্ট, ২০১১ সকাল ১০:০৪
স্নিগ বলেছেন: হা হা হা।ভালো বলেছেন
।
২৪| ২৩ শে আগস্ট, ২০১১ ভোর ৪:৩১
ছাইরাছ হেলাল বলেছেন:
ইদানিং আপনি অনেক কম লিখছেন।
২৪ শে আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১:৩৩
স্নিগ বলেছেন: ঈদের আগে ফ্রি আছি।তখন লিখবো।
নেক্সট পোস্টটা দারাশিকো ভাইয়ের ব্লগে দেওয়ার ইচ্ছে আছে।
ধন্যবাদ।
২৫| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ২:১২
ধূসরধ্রুব বলেছেন: আপনি একদম আমার কথাগুলোই বললেন । আমি আছি আপনার সাথে
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৩৩
স্নিগ বলেছেন: ধন্যবাদ!
২৬| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ২:১৬
ধূসরধ্রুব বলেছেন: আমি মনে করিনা আমদানীর পর ঠেকানো মুশকিল । কারণ আমদানী করা মুভিগুলোর টিকেট থাকবে চড়া পক্ষান্তরে বাংলাদেশে যদি সেই মানের ভাল মুভি হইয়েই যায় তাহলে টিকিটের দাম থাকবে কম সো মানুষ বেশিটাকা দিয়ে হিন্দী মুভি না দেখে বাংলা মুভিই দেখবে আমি মনে করি
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৩৫
স্নিগ বলেছেন: সহমত
নিয়ম মেনে আসলে তো ভালোই।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই জুলাই, ২০১১ রাত ৯:১৭
মাহমুদ মামূন বলেছেন: দেশের রুগ্ন ফিল্ম ইণ্ডাষ্ট্রিকে কি কবরে শোয়ানোর জন্য ভারতীয় ফিল্ম আমদানী করতে চান????
মাইনাস