![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হ্যা, আমি জানি আমি কি চাই তাই আশাহতো হই না কখনো। যদিও অনেকের কাছে আমার চাওয়াটা পাগলামী আর আবেগে ভরপুর। হবে হয়তো, কিন্তু আমি বিশ্বাস করি না।
সমাজকে তো আর একদিনে বদলে দেয়া যায় না আর দেওয়াও ঠিক নয়। অভিভাবক বৃন্দ বেয়াদবি মাফ করবেন। এই আমি ২৬ বছরের এক যুবক হওয়া সত্তেও আমার বিয়ে করতে চাওয়াটা ভিষন অপরাধ। কেনো জানেন..?? আমি আমার উত্তমার্ধকে পার্সোনায় নিতে পারবো না বা ইউনিলিভারের প্রসাধনী দিয়ে তার দেহো তত্ব সাঙ্গো করতে পারবো না বা বসুন্ধরা শপিং মলে গিয়ে রোজগারের সবটুকু লুজ মোশোনে শেষ করতে পারবো না এই কারনে। এটি আমার কথা নয়; এটি এই সমাজের কথা। আমার-আপনার মত সমাজের ভদ্রলোকদের কথা। তবে এই আমিই যদি ২-৫ টা প্রেম করি, গার্ল ফ্রেন্ড নিয়ে পার্কে, চিপায়-চাপায় ডেটিং করি অথবা মাঝে মধ্যে আবাসিক হোটেল বা বন্ধুর মেসে নিয়ে একটু ফুর্তি করি তখন এই একই সমাজ কি বলবে জানেন..?? একটু দায় সারা গোছের কিছু নৈতিকতার বুলি আওড়াবে। সমাজ রসাতলে গেলো বলে কিছুক্ষণ চিল্লাপাল্লা করবে। অতঃপর কেউ কেই বলবে, এটা কোনো ব্যাপার না; এই বয়সে একটু-আধটু করেই থাকে। আমার বন্ধুদের কাছে আমি হবো স্মার্ট বয়। বাহ! কি চমৎকার তাই না..!!
ব্যাপারটা খুব মজার যে আমি বেকার এজন্য সমাজের কাছে আমার বিয়ে করা হারাম কিন্তু প্রেম করা যায়েজ। বেকার অবস্থায় টি-শার্ট বদলানোর মতো গার্লফ্রেন্ড বদলানো যাবে, যেখানে-সেখানে ডেটিং করা যাবে, সারা দিন ক্যাম্পাসে আড্ডা দেওয়া যাবে; সারা রাত মোবাইল ফোনে লাইলি-মজনু হয়ে কথা বলা যাবে; সিনেমা হলে যে দিকে একটু বেশি অন্ধকার সেখানে বসে রোমান্স করা যাবে, পরীক্ষার রাতেও বসে বসে ফেসবুকে চ্যাট করা যাবে....আরও যা যা আছ সবই করা যাবে। শুধু বিয়েটা করা যাবে না। কারণ আমি বেকার। তখন ভরোণ-পোষোনের প্রশ্ন আসে। অথচ বেকার অবস্থায় ডজন ডজন প্রেম করলেও অভিভাবকরা দিব্বি খরচ দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ঐ একই কাজ গুলো যদি বিয়ে করে করতে চাই তখনোই বাধে যত বিপত্তি............!!!
ভুল তত্বে কেটে গেলো ২৫টি বছর। জীবনের সবচেয় গুরুত্বপূর্ণ সময় ছিলো এটি। কিন্তু রাষ্ট্রীয় নিয়মের বেড়াজালে পড়ে শুধু গ্রাজুয়েশন শেষ করতেই চলে যাবে জীবনের ২৭-২৮ টি বসন্ত। এর পর আসবে গ্রীষ্মের ঝড়ো হাওয়া, শীতের প্রকট। কিন্তু তখন কি পারবো ২৫ এর সেই টকবগে যুবকের মত সবকিছু মোকাবেলা করতে..?? প্রতিষ্ঠিত নামক শোনার হরিণ যখন আমার হাতে ধরা দেবে তখন তো আমি ৩৫ কি ৩৬ বছর। জীবনি শক্তি কি আগের মত করে কাজ করবে..?? তবে তাতে অভিভাবকদের কোনো আপত্তি নেই। আমিতো এখন স্ট্যাব্লিশ। এটিইতো আসোল কথা। এখনো আমার অধিকার আছে প্রেয়সীকে ঘরে তুলবার। যদিও সবাই জানি আমার প্রেয়োসী কিছু দিন আগেও আর কত জনের গার্লফ্রেন্ড ছিলো। কত যুবকের রাতের ঘুম কেড়ে নেবার কারন ছিলো। থাক ওরা না ঘুমিয়ে; তাতে আমার কি..?? আমিতো এখন স্ট্যাব্লিশ। এখন আমার একার সমস্ত অধিকার তার দেহের ইপর উপর....।। হামলে পড়তে নিষেধ করে কার এত বড় বুকের পাটা.? আমার টাকা আছে; আমিতো স্ট্যাব্লিশ।
তাহলে সমাজ, সভ্যতা, রাষ্ট্র যে দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত সেটি সেরে তুলবে কে..?? যে ছিলো ২৫ বছরের যুবক সেতো নিজেই জরাগ্রোস্থ।
৬৭টি বছরের গড় আয়ু না কি আমাদের। সংগ্রাম করবার মত বাকি থাকলো গুটি কয়েক বছর। তার পর..?? মাঝে মাঝে মনে হয় অপ্রত্যাশিত কিছু করে ফেলি। কিন্ত থেমে যায় এই ভেবে যে আল্লাহর কাছ আমি কি জবাব দেবো..??
কি বা করার আছে আমার..?? দোষ আসলে যত আমার ঐ বাধ ভাঙ্গা যৌবনের।
যাহোক আবারও ক্ষমা চাচ্ছি অভিভাবক বৃন্দ...!! মাফ করবেন...!!
২| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:৩১
সফেদ ক্যানভাস বলেছেন: স্যালুট আপনাকে...!! আপনার কথায় অনেক খানি শক্তি ও সাহস পেলাম। আসলে ধাক্কা খেতে খেতে বিদ্রহ করতেই যেন ভুলে গিয়েছিলাম। তবে এখন মনে হচ্ছে আপনাদের মত সাহসী যুবকরা সাথে থাকলে নিশ্চয় ওদের মুখে চপেটাঘাত করতে পারবো.....!!!!!
এ যুদ্ধ আমি চালিয়ে যাবই যাব। যতক্ষণ এ দেহে আছে প্রাণ, প্রাণ পণে সরাব সব জঞ্জাল, নবীন যুবকদের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গিকার....!!!!
৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩০
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: বিয়ের আগে বিদেশ ছিলাম বেশ কিছুদিন। প্রতিজ্ঞা করেছিলাম যারা স্ত্রী রেখে বিদেশ করে (২/৩ বছরে ২/৩ মাসের ছুটি) তাদের মত হবো না। সবাইকে নিয়ে দেশেই থাকবো। প্ল্যান মত বিয়ের আগে ভালো চাকুরি ছেড়ে একেবারে চলে এসে বিয়ে করলাম। দেশে কিছু করা যাচ্ছে না। চাকুরির জন্য সার্টিফিকেট নাই, ব্যবসার জন্য মূলধন নাই। মা, ভাই বোন রাগ। সবার এক কথা বিদেশ থেকে কেন এলাম। তাদের কী করে বুঝাই, টগবগে যুবক স্ত্রী রেখে বিদেশ করার মধ্যে কত কষ্ট, বেদনা লুকিয়ে থাকে। গত ৬ বছর দেশে এক রকম গরীবের মতই চলছি। বিয়ে করেছি ৩ বছর হলো। স্ত্রী রেখে বিদেশ করতে হয় নাই এই সান্তনায় মনকে ভালো রেখেছি। এর মধ্যে সন্তান হলো। আর গত ৪ মাস ধরে চাকুরিও নাই। মা, ভাই, বোন আবার চাপ দিচ্ছে বিদেশ চলে যেতে। কিন্তু তারা কী জানে আবার ৭/৮ বছর বিদেশ করলে এই যুবকের আর সংসার করার মত কিছু থাকবে না!
ক্ষমা চাচ্ছি অভিভাবক বৃন্দ...!! মাফ করবেন...!!
৪| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:০০
সফেদ ক্যানভাস বলেছেন: আল্লাহর সাথে সম্পর্ক বাড়ানো দরকার। কারণ আল্লাহইতো উত্তম রিজিক দাতা.............................................!!!!
৫| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:১৩
বিদ্রোহী সিপাহী বলেছেন: আল্লাহর কাছ আমি কি জবাব দেবো..??
ভাই আল্লাহর ভয় আপনার ভিতরে চরম মাত্রায় বিরাজমান। খুবই ভালো লাগলো।
তবে আপনাদের মত সাহসী যুবকরা সাথে থাকলে নিশ্চয় ওদের মুখে চপেটাঘাত করতে পারবো...
এই দ্রোহটুকু ভিতরে অবশ্যই রাখবেন ভাই। নিশ্চয়ই আল্লাহ আপনার ভাবনার মত করেই আমাদের সুযোগ দিবেন চপেটাঘাতের।
ভালো থাকবেন সব সময়......
৬| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৯
সফেদ ক্যানভাস বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো আপনার এই অসীম সাহসিক মানসিকতার................ভাই আমি কিন্তু সাহসীকতার সাথে মটিভেশন করে ইতোমধ্যে ৩ জোড়া ভাই-বোনদের বিয়ের কাজ সফলভাবে শেষ করে ফেলেছি যারা এখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং শতভাগ বেকার। তারাতো বেশ আছে। প্রত্যেকেই বাবা-মার খরচে পড়ালেখা করছে। আর বৈধভাবে প্রেম করছে; অসীম পবিত্র রোমান্সে জড়াচ্ছে অত্যন্ত শালীনভাবে। নিজেদের জীবনের সফলতার প্লান করছে। আর সবকিছুতে রয়েছে আল্লাহর সাহায্য। যদিও আমাকে আল্লাহ এখনো কবুল করেনি। তবে চেষ্টার কোনো ত্রুটি করছিনা.......ধন্যবাদ।। আমার আন্দোলনের মোটিভ এটি--
৭| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:০৪
সফেদ ক্যানভাস বলেছেন: এটি ---https://www.facebook.com/groups/marriage.early/
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:১৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: না ক্ষমা চেয়ে নয়,
কিছু বদলাতে হলে চাই দ্রোহের শক্তি!
ইনিয়ে বিনিয়ে বললে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়; আর শক্তি সাথে এলে- তোয়াজ করে বসতে দেবে! আলোচনায় বসবে! কত কিছু!
তাই চেঙ্গিস, গজনীর মাহমুদ, বা কালাপাহাড়ের মতো সব বন্ধ দ্বার খুলতে হলে চাই আঘাত! তীব্র, অকস্মাৎ, ঝড়ের মতো..
প্রচলিত অচলায়তন না ভাংলে পড়ে তো নতুন সমাজ গড়া যাবে না!
তাই ভেঙ্গে ফেল ঐ অচলায়তনের যত বিধি বিধানের দুয়ার!!!!!!!!!!!