| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
টোঁ-ওঁ-ও...! টোঁ-ওঁ-ও...! টোঁ-ওঁ-ও...!!
পড়তে গিয়ে চমকে না উঠলেও রাস্তায় চলতে গিয়ে একদিনের জন্য হলেও আচমকা এরকম জোরালো এবং তীক্ষষ্ট শব্দ শুনে নিশ্চয়ই চমকে উঠেছেন আপনি। সেটাই স্বাভাবিক।
তবে রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সের এরকম সাইরেনের শব্দ সুস্থ মানুষদেরও যে অনেকটা ভয়ার্ত এবং ক্ষণিকের জন্য হলেও অসুস্থ বানিয়ে ফেলে, তা কর্তৃপক্ষ অনুভব করেন না।
আচ্ছা, 'অ্যাম্বুলেন্স' লেখাটি গাড়ির গায়ে উল্টো করে লেখা হয় কেন? কারণ রাস্তায় চলা সামনের গাড়িগুলো যেন লুকিং গল্গাসে সঠিকভাবে লেখাটি পড়তে পারে এবং অ্যাম্বুলেন্সকে আগে চলে যাওয়ার সুযোগ দেয়। যদিও ওই 'টোঁ-ওঁ-ও...!' শব্দের হাত থেকে কানকে বাঁচাতে সবাই এ-ব্যাপারে নিজ-উদ্যোগেই সচেষ্ট থাকে।
উল্টোভাবে 'অ্যাম্বুলেন্স' লেখার এটা না-হয় একটি মোক্ষম যুক্তি কিন্তু অ্যাম্বুলেন্সে যখন উল্টা-পাল্টা কাজ হয় তখন?
আসুন, আগে ঘটনাটি শুনি।
সিলেটের আশুগঞ্জ উপজেলার বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাছেই ইউটিসি ইটভাটা। সল্ফপ্রতি ভাটায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেল্গক্সের অ্যাম্বুলেন্স প্রবেশ করতে দেখে আশপাশের কয়েকজন সেখানে ছুটে যান। অজানা বিপদের আশঙ্কায় তাদের চোখে-মুখে উৎকণ্ঠা। না জানি কে আবার আহত বা নিহত হলো!
কিন্তু না। কিছুক্ষণের মধ্যেই উৎকণ্ঠা ছাপিয়ে সবাই হতবাক। কারণটা কী? কারণ ওই যে, উল্টো কাজ। অ্যাম্বুলেন্সের ভেতর রোগী নয়, দেখা গেল ইট ভর্তি।
পাঠক, খবরটি অবিশ্বাস্য ভেবে অবাক হবেন না, কারণ ইটভাটার ব্যবস্থাপক মো. জয়নাল মিয়া অ্যাম্বুলেন্সে করে ইট নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আর অ্যাম্বুলেন্সের চালক লিয়াকত মিয়াও কিন্তু ভীষণ সত্যবাদী। অবলীলায় তিনি স্বীকার করেছেন বিষয়টি।
কিন্তু সরকারি অ্যাম্বুলেন্স কেন ইট বহনের কাজ করছে সেটা অজানাই থেকে গেল।
তাই কিছু প্রশ্ন। আচ্ছা, রোগীর পরিবর্তে অ্যাম্বুলেন্সে ইট বহন করা হয়েছিল কি ওভার টাইমের আশায়? ইট তো শক্ত, মানে কঠিন পদার্থ। এ-যুগে কি তাহলে ইটও অসুস্থ হয়? ইটেরও কি প্রয়োজন পড়ে সু-চিকিৎসার!
যখন ঘটনাটি ঘটছিল, তখন কর্তৃপক্ষ কী করছিল? অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিল? কী ধরনের অসুস্থতা? শারীরিক না মানসিক?
প্রশ্নগুলো অনেক কঠিন মনে হচ্ছে। আশুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেল্গক্সের সম্মানিত কর্তৃপক্ষের মনে হয় অতটা 'সেন্স' নেই যে, উত্তর দেবেন।
তারপরও আমরা অপেক্ষায় রইলাম। টোঁ-ওঁ-ও... আওয়াজ, দুঃখিত, প্রশ্নগুলোর উত্তর শোনার!
Click This Link
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০৩
অাবু জাফর বলেছেন: ঠিক।
২|
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১৬
ডাসট ইন দা উইনড বলেছেন: অন্য গাড়ির রিয়ার ভিউ মিররে উল্টা লিখাটাই সোজা দেখা যায়.....আর এজন্যই উল্টা করে লিখা থাকে
৩|
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:৫৪
মোঃ সাদেকুর রহমান বলেছেন: ডাসট ইন দা উইনড বলেছেন: অন্য গাড়ির রিয়ার ভিউ মিররে উল্টা লিখাটাই সোজা দেখা যায়.....আর এজন্যই উল্টা করে লিখা থাকে
আমি এটাই জানি।
৪|
১০ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:৩১
বিলাল বলেছেন:
জানি কিছুই হবেনা, যতক্ষন না নিজেদের মেরুদন্ড শক্ত না করি।তারপরও এই ঘৃণাটুকু প্রকাশ করলাম, সবার ব্লগে ব্লগে
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:৩২
দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: ক্কি কান্ড? মানুষের চাইতে ইঁটের দেখি অবস্থা খারাপ।
কাজে লাগাবার আগে ইঁট ঠিক আছে কিনা তা এক্স রে করে দেখার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এক্স-রে করলে ইঁট ভিতরে কাঁচা রয়ে গেছে কিনা ধরা যায়। (পেলেন উত্তর? আর কিছু জানার আছে?)