![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রকিব সাহেব সমস্ত বাংলাদেশের বিশেষ বিশেষ স্থানে জব করেছেন । কিন্তু কোথাও তিনি সামান্যতম সুবিধা পর্যন্ত পাননি ।তাই রাগে , দু:খে বার বার তিনি চাকরি ছেড়েছেন্ এবং ধরেছেন । অবশেষে, তিনি শিক্ষকতায় এলেন এই ভেবে যে অন্তত একটু সততার সাথে কায়ক্লেশে জীবন যাপন করার যাবে । ীভালই কাটছিল তার শিক্ষকতা জীবন । কিন্ত বিধীবাম সুখ আর সহ্য হল না । সেই অশ্লীল প্রবাদ বাক্যটির মত যে, মনে দু:খে বনে এলাম বানর কয় আমার -------------চুলকা ! সাথে রাষ্ট্রীয় যন্ত্রের সীমাহীন দূর্নীতি আর তারই ধারাবাহিকতার তিক্ত ফল প্রশ্ন পত্র ফাস ,ফাস খেলা ..........!!!!!!!!!!!!!!!!! . সেই আবদ্ধ পুকুরের ব্যাঙ আর দুষ্টু ছেলের দলের কথাই মনে পড়ে ।
তেমনী রকিব সাহেবের ভাগ্য ! তিনি কিছুদিন হল (তবুও মাস ছয় হল) একটা কেজি স্কুলের পঞ্চম শ্রেনীতে ক্লাস নিলেন তাদেরকে পি এসি পরীক্ষার উপযোগী করে তুললেন এবং ভাল ভাবেই তুললেন । ছাত্র/ছাত্রীদের তিনি এত কনফিডেন্ট করে গড়ে তুললেন যেন তার জিপিএ পাঁচ পাবেই । সাথে সাথে তিনি ঐ প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষককে সবচেয়ে দুর্বল ছাত্র/ছাত্রীদের সম্পর্কেও অবহিত করলেন এবং ওদের দ্বারা জিপিএ পাঁচ পাওয়া সম্ভব তখনই যখন আবার ওদের ক্লাস ওয়ান থেকে নিবিড় পরিচর্চার মাধ্যমে বড় করে তুলে পরীক্ষা দেওয়ালে তবেই ।যাই হোক পরীক্ষা দেয়ানো হল এবং কি আশ্চার্য পরীক্ষার দিন রাতেই প্রশ্ন পত্র এসে হাজির !!!!! রকিব সাহেব এরকম কথা আগেই শুনেছিলেন কিন্ত বিশ্বাস করেনি । তবে তার প্রধান শিক্ষক তাকে সরাসরি না বললেও তার ১০০% সম্মতি ছিল যে রকিব সাহেব যেন ফাস হওয়া প্রশ্ন পত্র ছাত্র/ছাত্রীদের সরবরাহ করেন । কিন্তু তিনি তো তা করবেন না সে কথা কয়েক দিন আগেই প্রধান শিক্ষককে বলে দিয়েছিলেন। এই রাগে উনি (প্রধান শিক্ষক) ইংরেজী পরীক্ষার দিন আগের রাতে প্রশ্ন পেয়েও না পাওয়ার ভান করেন এবং পরীক্ষার দিন সকালবেলা ছাত্র/ ছাত্রীদের সাথে অত্যান্ত দুরব্যবহার করেন ! এবং তাদের কে মানসিক ভাবে নাজেহাল করে ফেলেন। কচি কচি ছাত্র ছাত্রী ভয়ে ডরে আহত পাখির মত হয়ে পরীক্ষার হলে যায় ! ইংরেজী পরীক্ষা প্রথম দিনে শেষ হয়ে গেল । এবং ভালরা ভাই করল ।কিন্তু দুর্বলরা একটু খারাপই করল কিন্তু সবাই পাশ করবে এমন পরীক্ষা দিল । পরের পাঁচটি পরীক্ষা :বিশ্বাস করেন পাঠক, হুবহু প্রশ্ন পত্র এনে প্রধান শিক্ষক নিজে সরবরাহ করেন তার উপর প্রধান শিক্ষকের স্ত্রীও একজন শিক্ষিকা । এখানে বলে রাখা ভাল কেজি স্কুল টি একজন অবসর প্রাপ্ত সরকারী ডিফেন্স পারসোনেলের তাছাড়াও তিনি উক্ত প্রতিষ্ঠান থেকে কোন প্রফিট নেন না । ঐ কেজি স্কুলের প্রতিযোগী আরও দুটি স্কুল আশে পাশে আছে ।
যাই হোক, প্রধান শিক্ষকের স্বয়ং প্রশ্ন সাপ্লাইয়ের মিশনে বাদ বাকী পাঁচটি পরীক্ষা ছেলেমেয়েরা হাসি মুখে জিপি এ পাঁচ পাওয়া প্রতিযোগীতা শেষ করল এবং তার ফলও বের হল গত ৩০ডিসেম্বর ২০১৪ । এর পরই রকিব সাহেবের কপাল পুড়ল ! ১৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১১ জন এ প্লাস পেল আরে বাকিরা বিভিন্ন গ্রেডে পাস করল । কিন্তু বাদ বাকী আরও দুটি কেজি স্কুলের সব পরীক্ষার্থীই জিপি এ পাঁচ পেল !!!!!!!!
ফলাফলে দেখা গেল ,রকিব সাহেবে স্কুলের শিক্ষাথীরা (ভাল গুলো ব্যাতিত) ইংরেজীতে খারাপ করেছে !
সবাই আঙ্গুল তুলল রকিব সাহেবের দিকে ! আপনি সততা দেখাতে গিয়ে আজ আমাদের প্রতিষ্টানের আজ এই অবস্থা !! আপনি যদি নকল সাপ্লাই দিতেন !!!! প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক থেকে শুরু করে গার্ডিয়ান এমন কি প্রতিষ্ঠাতা স্বয়ং রকিব সাহেবের উপর নাখোশ !!!
আমার অপরাধ আমি নকল সাপ্লাই দেই নাই ! এমনকি প্রধান শিক্ষকও একদিন বলে ফেললেন আপনি পড়াতে পারেন না !!!!!!!!!!!!!!
পাঠক বর্গ আত্ম পক্ষ বলছে এই কথা যে, তিনি যদি খারপই পড়াবেন তাহলে ১১ টা প্লাস পেল কি করে ?
যদি প্রশ্ন ফাস সিসস্টেম না খাকত তাহলে তো ফেলের হিসেবটাও করতে হতো !!! তাই নয় কি?
ফাস প্রশ্নে পরীক্ষা নিয়ে আমরা শুরুতেই একটা অঙ্কুর কে আলো বাতাস থেকে দুরে রাখছি যার পরিনাম ঐ অঙ্কুর বা শিশুটির অবস্থা ভয়ঙ্গর তা কি আমরা একবারও ভেবে দেখেছি ?
একজন সত, নিষ্ঠাবান ন্যয়পরায়ন শিক্ষক আজ, পড়াতে জানেনা, পৃথিবী রকিব সাহেবে কাছে এখন আর সুন্দর মনে হয় না , তার কিছুই ভাল লাগে না ।
তার কেবলই মনে হচ্ছে ইস! যদি প্রশ্ন পত্র সাপ্লাই দিতাম তাহলে চাকরি টা হারাতে হত না !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৩৬
ঢাকাবাসী বলেছেন: শিরোনাম কি আর ভিতরে কি লিখেছেন?