| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ওবায়দুল হক
আমি ভালো মানুষ হওয়ার চেষ্টা করি না, আমি শুধু সৎ থাকতে চেষ্টা করি। মোবাইল: ০১৭১৮০২৩৭৫৯
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার বয়স পঞ্চাশে ছুই ছুই করছে। বাংলাদেশ এখন পূর্ণ যুবক। বয়সে শক্তিতে অভিজ্ঞতায় তাই পৃথিবীর যেকোন দেশের সাথে পাল্লা দিয়ে চলার শক্তি অর্জন করেছে।
কতটা স্বাধীনতা অজর্ন আমরা করতে পেরেছি? শুধু স্বাধীন একটি ভূখন্ডই কি স্বাধীনতা? গত ৪৭ বছর ধরেই আমরা এখনো কিছু প্রশ্নের সঠিক উত্তর খুজে পাচ্ছি না। তাই একই প্রশ্ন আবারো করছি। জনে জনে খুজে বেড়াচ্ছি। বিভ্রান্তির শিখলে আটকে পড়ে আছি। এতো অর্জন এতো সম্মান কোথায় যেন বন্ধী রয়ে গেল আজো।
উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে এই দেশে আমাদের মেধাবী সন্তানেরা তাদের উপযুগী কর্মস্থল পাচ্ছে না। আমরা খুব দ্রুতই সরকারের সমালোচনা করি। অবশ্য সরকারের সমালোচনাকে আমি স্বাধীন দেশের ভালো একটু গুণ হিসেবেই দেখী। কিন্তু সরকার সরকারের জায়গায় , এই দেশ আমাদের অর্জন। মেধাবীরা কেন এই দেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি দেবে? এই কয় দিন আগে আমার এক বন্ধু (বি.সি.এস ক্যাডার) আফসুস করে বলছিল - নিজের মেধার সবোর্চ্চ দিতে পারার মতো ক্ষেত্র কোথায়? নতুন কোন আইডিয়া নিয়ে আসতে চাইলে সিনিয়ররা সেটাকে ডেভলাপ করতে দিচ্ছেন না। কাজে গতি বাড়লে আর দুর্নীতি বন্ধ হলে একটি গোষ্ঠী চরম ক্ষতির সম্মুখীন হবে। যেদেশে কাজ করার মত সুযোগ নাই সেদেশে পড়ে থেকে কি লাভ? তাই সে বি.সি.এস ক্যাডার হওয়া সত্ত্বেও বিদেশে যাওয়ার চিন্তা করছে। আরো বেশী টাকার লোভে নয়। নিজের মেধাকে কাজে লাগানোর জন্য।
আমাদের একটি জাতীয় সঙ্গীত রয়েছে। আমরা আকুল হয়ে সেই আমাদের কণ্ঠে গেয়ে উঠি সে সঙ্গীত। আবার এই দেশেরই অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয় না। জাতীয় সঙ্গীতকে তারা মনে করে গান! জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা আসলে একটি পরিচয়কে অস্বীকার করা। যা অস্বীকার করা মানে লাখো শহীদের রক্তে রাঙ্গানো এই জন্মভূমিকে অস্বীকার করা। পিতা কিংবা মাতাকে অস্বীকার করা সন্তানের কি কোন আলাদা পরিচয় থাকে?
বিশ্বাস করুন, এই দেশের তরু লতায় মিশে আছে শহীদের রক্ত। রক্তের ঋণ কি এতো সহজে শেষ হয়? জন্মান্তর শুধু বয়ে বেড়ায়। পিতা থেকে সন্তান, সেই সন্তানের সন্তান এবং তারো সন্তান। কি আমরা শক্তি পাই? সেই শক্তিতে আজো রক্ত মিশে আছে। মা'দের অশ্রু তুমি কোন প্রতিদানে শোধ করতে পারবে? সে অশ্রু কখনো শুকায় না। সময়ের সাথে সাথে শুধু শক্তিতে সঞ্চারিত হয়।
যে বোনের ইজ্জ্বতের উপর দাড়িয়ে আছে আমাদের স্বাধীনতা তারে আমরা কিভাবে হেলা করি। কিভাবে তুচ্ছ করি? তার আত্নত্যাগ ভুলে আমরা এই দেশের কথা না ভেবে কিভাবে থাকতে পারি। আমাদেরও একটি দেশ আছে। আমাদের একটি আলাদা পরিচয় আছে , আছে অর্জন। আছে বির্সজন। মা বোনদের চিৎকার কি কানে বাজে না? শুনা যায় না দোয়েলের শিস?
অনেকেই আজকের সকালের এক যোগে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া নিয়ে বিরক্ত প্রকাশ করছে। ছোট করছে আমাদের জাতীয় সঙ্গীতকে! তুচ্ছ করছে স্বদেশকে। সরকার যদি একযোগে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার আয়োজন করে ভুল করে তবে আমরা সেই আয়োজনের সমালোচনা করতে পারি। কিন্তু তাই বলে সরকারের সমালোচনা করতে গিয়ে যেন আমাদের জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা না হয়। এই পতাকা আমরাই বয়ে বেড়াতে হবে। সবার উপরে তুলে রাখতে হবে।
কি এমন ক্ষতি যদি একদিন আমরা সমবেত সুরে গেয়ে উঠি - আমার সোনার বাংলা , আমি তোমায় ভালোবাসি। আমাদের এই স্বদেশকে ভালোবেসে আমরা আমাদের জরুরী কাজকে একদিনের জন্য বন্ধ করে রাখতে পারি না? তবে একটু কি ভেবে দেখব, যারা স্ত্রী সন্তান রেখে যুদ্ধে চলে গিয়েছিল তাদের কথা? বেচে থাকাই যদি সব হতো তবে তারা ইন্ডিয়ায় পালিয়ে গিয়ে বেচে থাকতে পারত। যদি মাথা উচু করে বেচে থাকতে না পারো তবে কি লাভ সে বেচে থাকায়?
আমাদেরই প্রতিবাদহীনতা বার বার এই দেশে অপশক্তিতে জাগিয়ে দেয়ার রসদ জুগিয়েছে। স্বাধীনতার বয়স তো অনেক হলো। এখনো যদি আমরা অভিজ্ঞতায় আর দক্ষতায় নিজেদের প্রজ্ঞাবান করে না তুলি তবে এই দেশের বার্ধক্য আসতে দেরী নেই। তখন চামচিকাও আমাদের দেখে হাসবে। আর তখন বুঝব, স্বাধীনতা আসলে কতটা আমাদের প্রয়োজন। আমাদের এই একযোগে গেয়ে উঠা কণ্ঠই রোধ করুক সকল অপশক্তি। হায়েনারা জানুক, এই দেশে বীরের সন্তানেরা আরো শক্তিমান। বাংলাদেশ এগিয়ে চলুক। স্রষ্টা আমাদের স্বাধীনতাকে অমর অক্ষয় রাখুক।
২৬ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:২৯
ওবায়দুল হক বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আপনাকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা।
২|
২৬ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:২৭
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: স্বাধীনতার প্রাপ্তির খাতায় এখনো অনেক কিছুই বাকি পরে আছে!
তবু আমারা স্বপ্ন দেখবো। সবাইকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা!![]()
২৬ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৩০
ওবায়দুল হক বলেছেন: অবশ্যই। স্বপ্ন হারালে আমরা লক্ষ্য হারাবো। একটি স্বপ্ন বাচিয়ে রাখুক একটি দেশ। আপনাও স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা।
৩|
২৬ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৩৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: দেশ হল মা।সেই দেশকে সম্মান জানানো আমাদের কর্তব্য। এহেন দেশের স্বাধীনতার লক্ষ্যে হাজার হাজার বীর শহিদ হয়েছে।তাদের ঋন কোনো কালেই শোধ হবার নয়।সেখানে আপনার বন্ধুর মত উচ্চ মার্গের ব্যক্তিদের জাতীয় সংগীতের প্রতি অবমাননা, অকল্পনীয়।যাক দেশ,জাতি,স্বাধীনতা এত তুচ্ছ জিনিস নয় যে কোন এক জনের আচরণে তার সম্মান হানি হবে।
ধন্যবাদ,শুভেচ্ছা অনন্ত।
২৬ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:৫৮
ওবায়দুল হক বলেছেন: সেই দুংখবোধ থেকেই এই পোষ্টটি দিয়েছি। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৪|
২৬ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৮
রোদ্দূর মিছিল বলেছেন: স্বাধীন একটি দেশে জন্মগ্রহন করেছি বলেই হয়তো স্বাধীনতার মর্মার্থ বুঝতে আমরা অনেকেই এখনও ব্যর্থ। নিজের দেশকে অথবা জাতীয় সংগীতকে অবমাননা করার লোকের অবাভ নেই হয়তো বা। কিন্তু দিনশেষে তারা সংখ্যালঘু। আমরা সবাই মিলে বুক চেতিয়ে দাঁড়ালে এইসব অর্বাচীনরা গর্তে মুখ লুকোবেই। ধন্যবাদ আপনাকে।
২৭ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:০০
ওবায়দুল হক বলেছেন: প্রথম শ্রেণীর একজন কর্মকর্তার কাছ থেকে আমরা সেটা আশা করি নি । তারা রাষ্ট্রের সকল সুযোগ সুবিধা নিচ্ছে অথচ রাষ্ট্রের সাথে স্বার্থপরের মত আচরণ করছে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
৫|
২৬ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৯
রোদ্দূর মিছিল বলেছেন: *অভাব।
২৭ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:০৪
ওবায়দুল হক বলেছেন: অভাব সর্বত্রই.... ![]()
৬|
২৬ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:১৫
নেয়ামুল নাহিদ বলেছেন: প্রোগ্রামার হয়েও এতো সুন্দর সময় দিয়ে লেখেন!
অনেক ভালো লিখেছেন, সত্যি কথা বলতে - আমিও দেশ নিয়ে খুব বেশি স্বপ্ন দেখতে পারি না।
২৭ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:০৩
ওবায়দুল হক বলেছেন: প্রোগ্রামার হওয়ার আগে আমি সামান্য লেখালেখি করতাম। সেই অভ্যাস এখনো রয়ে গেছে। সামুতে প্রোগ্রামিং নিয়ে লেখতেও মন চায়। কিন্তু এখানে অধিকাংশ ভিজিটর মনে হয় সাহিত্যের রস নিতে আসেন। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৭|
২৭ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:১৯
অগ্নিবেশ বলেছেন: বাবা! ইনি প্রোগ্রামার হয়েও লেখেন!
২৭ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৭
ওবায়দুল হক বলেছেন: স্যার কি আমাকে কিছু বললেন ![]()
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:২৩
তারেক ফাহিম বলেছেন: স্বাধীনতার বয়স শতবর্ষ পার হলেও উল্লেখিত সমস্যা সমাধানের কোন সুরাহ হবে না
স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানবেন।