নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষাই দরিদ্রদের জন্য সম্পদ।

সোনাগাজী

একমাত্র সোস্যালিষ্ট অর্থনীতি বাংগালী জাতিকে নিজ পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করবে।

সোনাগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

\'ইনফ্লেশান\' শব্দটা শুনেননি এমন কোন ব্লগার নিশ্চয় নেই!

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫০



আমাদের ১জন বিখ্যাত ব্লগার আমার পোষ্টে কমেন্ট করে বলেছেন যে, মুক্তিযোদ্ধাদের কোটার কারণে (মুক্তিযোদ্ধাদের ছেলেমেয়ে, নাতি-নাতনীদের কোটা ) উনার চাকুরী হচ্ছে না। তিনি লিখেছেন, "আর আপনাদের মুক্তিযোদ্ধা কোটার জ্বালায় আমাদের চাকরি হচ্ছে না। আপনাদের পুতের আর নাতিরা কোটার জোরে চাকরি পায়। আমারা আপনার নাতিদের থেকে বেশী নাম্বার পেলেও আমারা চাকরি পাইনা।"

বাংলাদেশে করোনার আগে, নতুন গ্রেজুয়েটদের বেকারত্বের হার ছিলো শতকরা ৫০ ভাগের মতো; করোনার ২ বছরে উহা শতকরা ৬০ ভাগের উপরে চলে যাওয়া সম্ভব। দেশে চাকুরী না'হওয়ার কারণগুলো শতকরা ৯০ ভাগ নতুন গ্রেজুয়েট বের করতে পারবেন না, তাই বেকুবী করে বলেন যে, মুক্তিযোদ্ধা কোটার কারণে এসব "মেধাবীদের চাকুরী হচ্ছে না"।

এই ব্লগার কিন্তু মেধাবী, উহার লেখা বেশীরভাগ সময় "আলোচিত ব্লগ" পাতায় থাকে। আমার কষ্ট লাগে, উনার চাকুরী নেই দেখে; ১ জন মাষ্টার ডিগ্রিধারীর চাকুরী না থাকলে পরিবার ভয়ানকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। উনার লেখা দেখে, উনার শুরুর ২/১ দিনের মাঝেই আমি উনাকে প্রশ্ন করেছিলাম, উনার চাকুরী আছে কিনা! উনার লেখার ধরণ দেখে আমার মনে হয়েছিলো যে, উনার চাকুরী থাকার কথা নয়; মন্তব্যে আমি এই ধরণের প্রশ্ন করে অনেকের কটু কথা শুনেছি আসছি সব সময়; কিন্তু প্রশ্ন এসে যায়!

ইনফ্লেশান নিয়ে আমাদের এক তথাকথিত কবিও আজকে পোষ্ট লিখেছেন; অবশ্য, উনি "ইনফ্লেশন" শব্দটা উচ্চারণ করেননি, উনি বাজার দর নিয়ে কথা বলেছেন; হতে পারে, উনি বাজার দর বৃদ্ধি ও ইনফ্লেশন যে, কাছাকাছি অর্থনৈতিক টার্ম, তা ঠিকভাবে জানেন না।

করোনার ফলে ইউরোপ ও আমেরিকায় ভয়ানক ইন্ফ্লেশন হয়েছে; গত ৪০ বছরে এই ধরণের ইনফ্লেশন আমেরিকায় ঘটেনি; বাইডেনের সরকার ইহার সমাধান বের করার চেষ্টা চালাচ্ছে ; যদি ইহার সঠিক সমাধান বের করতে না পারে, আমেরিকার আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রটরা পরাজিত হবে। ইহার গুরুত্ব পরিস্কার। বাংলাদেশে গত ৫০ বছরে, প্রতি বছরেই ভয়ংকর ইনফ্লেশান ঘটে আসছে, ইহার সমাধান করার চেষ্টা সরকার ও প্রশাসন করেছে "সরকারী চাকুরেদের বেতন বাড়িয়ে", ইহাই ছিলো তাদের একমাত্র সমাধান। আমেরিকা ও ইউরোপ যদি "সরকারী চাকুরেদের বেতন বাড়ায়ে ইনফ্লেশনের সমাধান করতে চায়" সেই প্রেসিডেন্ট ও তার দল ভোটে হেরে যাবে।

১২ ক্লাশ অবধি পড়লে, আজকের ছাত্রদের ইনফ্লেশন ইত্যাদি বুঝা উচিত; এবং বুঝা উচিত যে, আধুনিক রাষ্ট্রে ইনফ্লেশনের সমাধান রাষ্ট্টের হাতে, মানুষের হাতে নেই! আমাদের মতো রাষ্ট্রে, সরকার ও প্রশাসন ইনফ্লেশান, বেকারত্ব, দুর্নীতির সমাধান করতে পারবে না; কারণ, তাদের সেই পরিমাণ দক্ষতা নেই, এরা জানে না কি জন্য ইনফ্লেশন হচ্ছে, ইহার সমাধান কি!

আমাদের যেই ব্লগার বলেছেন যে, মুক্তিযোদ্ধা কোটার ফলে উনার চাকুরী হচ্ছে না, উনি সাধারণ জ্ঞানের প্রাথমিক অর্থনীতি বুঝেন না বলেই ইহা বলেছেন। উনার থেকে সামান্য বেশী পরিশ্রমীরা বই পড়ে বিসিএস পাশ করে, এখন উনার ভাগ্য নির্ধারণ করছে; ফলে, উনার চাকুরী হওয়ার সম্ভাবনা কমে গেছে। তবে, উনি যদি ছোটখাট ম্যানুফেকচারিং'এ একটা চাকুরী নেন, উনার ভবিষ্যত খুলে যেতে পারে।


মন্তব্য ৫০ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৫০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১২

সাসুম বলেছেন: যে ছাগল, হ্যা আমি ওপেন স্পেসে বলছি, যে বলদ বলছে মুক্তিযোদ্ধা কোটার কারনে চাকুরি হচ্ছেনা তার রিক্সা চালানোর যোগ্যতাও নাই। এই কারনে এসব বলবেই।

আর ৭১, মুক্তিযুদ্ধ এসবের নাম শুনলে যাদের জ্বলে তাদের সিন্ডিকেট এক্টাই- পাইক্কা রাজাকার। এগুলা একসাথে লেদায়, একসাথে হুক্কা হুয়া ছাড়ে। এরা দেশ ও জাতির শত্রু।

৭১, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কোন ধরনের কম্প্রোমাইজ নাই। আমার বাপ হলেও নাই। সিম্পল।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৬

সোনাগাজী বলেছেন:


মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিপক্ষে আন্দোলন করে ১ দুষ্ট ডাকসু'র সভাপতি হয়ে গিয়েছিলো।

২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: অভিনন্দন। সুস্বাগতম। হ্যাপী ব্লগিং।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৪

সোনাগাজী বলেছেন:



ধন্যবাদ।
ভয় পাচ্ছি, অভিনন্দন জানাতে জানাতে একদিন বিরক্ত হয়ে যাবেন।

৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমাদের দেশে মানুষের আসলেই অনেক কষ্ট।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৭

সোনাগাজী বলেছেন:



আমাদের যেই সম্পদ আছে, মানুষ যেভাবে নিজ পরিবারের জন্য কাজ করেন, আমাদের ভালো থাকার কথা; কিন্তু বসুন্ধরা, বেক্সিমকো, সেক্রেটারীরা, ব্যবসায়ীরা ও আওয়ামী লীগের নেতারা আমাদের সকল সুযোগ ও সম্পদ দখল করে বসে আছে।

৪| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৫

নাজিম সৌরভ বলেছেন: সোনাগাজী শব্দটা দেখে একটু অবাক হয়েছিলাম। আমার ফেনী জেলার একটি উপজেলার নাম সোনাগাজী, যেখানে ব্লগার গিয়াস উদ্দিন লিটনের বাড়ি।
প্রথমে আপনাকে নতুন কেউ ভাবছিলাম। পরে ট্রাক্টর এর ছবি, লেখার ধরন, এবং কয়েকটি মন্তব্য পড়ে বুঝলাম আপনি পুরনো একজন।
হ্যাপি ব্লগিং।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:১৩

সোনাগাজী বলেছেন:



হ্যাপী ব্লগিং, আমি পুরানো ষ্টাইলে ব্লগার। ব্লগার গিয়াস উদ্দিন লিটনের বউ আমাদের চরের মেয়ে, গিয়াস সাহেব মাঝে মাঝে শার্ট পরার সময়ও পান না, প্যান্ট পরেই দৌড়!

৫| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:২৮

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: চাকরি পাওয়ার জন্যই পড়ালেখা করার প্রবনতা কবে বন্দ হবে এদেশে?

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:১২

সোনাগাজী বলেছেন:



আজকের বিশ্বে চাকুরীই হচ্ছে বড় জনসংখ্যার মুল আয়ের উপায়; পড়ালেখায় পেশার কথা বললে চলবে না।

৬| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৩৭

সোবুজ বলেছেন: রাজাকারদের নেতৃত্বে আন্দোলনের ফলে কোটা তুলে দিয়েছে সরকার।আবার কি চালু করেছে?জানা নাই।বাংলাদেশে যে দ্রব্যমূল্য বাড়ে তার কারন অসৎ ব্যবসায়ী ও তাদের সিন্ডিকেট।সরকারের ডিলেডালা ভাব ও মৌন সমর্থন।এখানে মুদ্রাস্ফীতি প্রধান কারন না।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:১৪

সোনাগাজী বলেছেন:


সরকার, প্রশাসন ও দলের লোকেরাই সিন্ডিকেটে আছে, ওরা ঢিলা মনোভাব নিয়ে ওখানে নেই, ওরা ওখানে ডাকাতী করছে।

৭| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৩৫

তানীম আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: বিদেশে বসে অনেক পটর পটর করা যায় আঙ্কেল । দেশে থাকতেন ,সাধারণ মানুষের স্যাম্পল হতেন , উনার কথার মানে এভাবে না বুজে সঠিকটাই বুঝতেন ।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৪৬

সোনাগাজী বলেছেন:



উনার ২/৩ পোষ্ট দেখার পর, উনাকে প্রশ্ন করেছিলাম, উনার চাকুরী আছে কিনা! এগুলো আপনার কাছে ল্যাটিন ও গ্রীক গ্রীক লাগছে?

৮| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৫৪

গরল বলেছেন: ইনফ্লাশন কানাডাতেও অনেক বেড়েছে। তেলের দাম রেগুলার দুই বছর আগে আমি যখন কানাডায় আসি তখন ছিল ৮৭ সেন্ট, আর এখন ১.৪৭ ডলার। প্রায় ৬০ সতাংশ, মূলত বেশি বেড়েছে। দা ইকোনোমিস্ট হ্য়ত মজা করেই একটা Big Mac Index বানিয়েছিল দেশগুলো PPP (Purchasing Power Parity) তুলনা করার জন্য।
The economist - Big Mac Index


এখন তারা আবার বিগ ম্যাকের দাম তুলনা করে ইনফ্লাশন হিসেব করছে।
The Big Mac Index: A Measure of Purchasing Power Parity & Burger Inflation

যাদের ধান্দা হল সরকারী চাকুরী করে টাকা বানাবে তারাই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পরের দিন থেকেই বিসিএস গাইড পড়ে আর চাকুরী না পেলে কোটার দোষ। সরকারী চাকুরী না হয় কোটার জন্য পায় না, বেসরকারি চাকুরী পায় না কেন?

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:০৬

সোনাগাজী বলেছেন:



গত ১৫/২০ বছরে যারা বিসিএস পাশ করে চাকুরী নিয়েছে, তারা এখন মানুষের বিপক্ষে কাজ করছে, এটা চলতে থাকবে।

আপনি কানাডায়? শেষে হতাশ হয়ে গেলেন? যাক, দেশে টিকে থাকা মোটামুটি অসম্ভব হয়ে যাচ্ছে!

নিউইয়র্কে কাহবারের যে দাম বেড়েছে, ৩য় বিশ্বে হলে এটা সোমালিয়া হটে যেতো; ২ ডলারের ( ১ পাউন্ড ) সামুদ্রিক মাছ ৫ ডলার; গাড়ী নেই, অনেকটা ডবল দামেও গাড়ী পাওয়া যাচ্ছে না।

আমার অন্য নিকের পোষ্টে আপনার মন্তব্য আমাকে আবার ব্লগে এনেছে, ধন্যবাদ।

৯| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:১৫

তানীম আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: উনার কথার অর্থ আপনি না বোঝার ভান করছেন কিম্বা অন্যভাবে এড়িয়ে যাচ্ছেন । কোঠায় চাকুরী পাওয়াদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন হিসেব পেয়ে যাবেন ।

তবে ল্যাটিন গ্রিক ভাষায় কোনো পোস্টকে রুপান্তরিত করার বিশেষত্ব আপনার থাকতে পারে , যেভাবে পোস্ট পড়েই কারো চাকুরী আছে নাকি নাই এমন আধ্যাতিকটা আপনার আছে ।

দেখেন আপনার পোস্টেই কানাডার হিসেবপাতি দেখানো শুরু হয়ে গিয়েছে !

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:১৮

সোনাগাজী বলেছেন:



আমেরিকা, কানাডা, ইউরোপ, জাপান, চীনের মানুষ হিসেব বুঝে, সমস্যা হলো বাংলাদেশের বাংগালী শিক্ষিতদের নিয়ে।

১০| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:০৮

বঙ্গদুলাল বলেছেন: আগের ট্রাক্টরের ছবি বেশি সুন্দর ছিল।


আমি চলতি বছর শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার মাধ্যমে নিজ উপজেলার একটি ভালো বিদ্যাপীঠে এমপিওভুক্ত বিজ্ঞান-শিক্ষক(রসায়ন) হিসেবে যোগ দিয়েছি মোটামুটি স্থায়ীভাবে।পাশাপাশি অন্য প্রতিষ্ঠানেরও অনেক ছাত্র পড়াই।গ্রামে থাকি বেশিরভাগ সময় এবং সবচেয়ে ব্যস্ত সময় পার করছি।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৩২

সোনাগাজী বলেছেন:



অভিনন্দন ও শুভকামনা রলো, আপনি সবচেয়ে সন্মানী প্রফেশান পেয়েছেন, ইহাকে সুন্দর করে তুলুন।

সামু ট্রাক্টরটাকে ভেংগে মেংগে বিধ্বস্ত করে দিয়েছে।

১১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:০৭

মো: তৌহিদ ইসলাম আবির বলেছেন: আমি আপনার পোস্টের কোন অংশের সাথেই একমত হতে পারি নাই।
এনিয়ে আমার মতামত

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:৫১

সোনাগাজী বলেছেন:


আপনি কি মেধাবী, এবং মুক্তিযোদ্ধা কোটার জন্য আপনার চাকুরী হয়নি? আপনার ঘনিষ্ট আত্মীয় (বাবা, ভাই ) কেহ মুক্তিযুদ্ধ করেছেন?

১২| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৩:১৩

বিষন্ন পথিক বলেছেন: যে চাকুরী পায় না, তার চাকরী পাবার যোগ্যতা নেই, সিম্পল। তার জন্য চাকরী বাদেও অনেক ইনকাম সোর্স থাকার কথা, সেটা বুঝবার সামর্থ নেই বলেই চাকরী পায়না
ইনফ্লাশন এর জন্য অবস্হা খারাপ, গাড়ি নেই, তেল নেই, সবকিছুর দাম দুইগুন, পেয়াজের দাম আকাশ ছুয়েছে, পুতিন সাহেবের জন্য শেয়ার মার্কেটে সুমুদ্রের থেকে বেশি ওভেভ

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৩:২১

সোনাগাজী বলেছেন:



শেয়ার মার্কেট এমনিতে বেশ কিছুটা পড়ার কথা, পুটিন মিয়ার কারণে একটু বেশী ভোলাটাইল।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও অনেক প্রাইভেটে ছাত্ররা নিজের বইয়ের নামও জানে না, চাকুরী পাবে কি করে? তবে, সুযোগ ও পরিবেশ থাকলে, ভবিষ্যত থাকলে এসব ছেলেমেয়েরা পড়ো, অনেক কিছুই শিখতো।

১৩| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৩:৪৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: চাঁদগাজী ভাই সোনাগাজীর জন্য কিন্ত ফেনী মাঝে মাঝে পত্রিকার প্রধান শিরোনাম হয়।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ভোর ৪:০৪

সোনাগাজী বলেছেন:



চর কঠিন যায়গা, সেজন্য এই নিকটা নিয়েছি; দেখছেন, পিটায়ে মিটায়ে ট্রাক্টটরটার ১২টা বাজিয়ে দিয়েছে!

১৪| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:১০

নাহল তরকারি বলেছেন: সাসুম আর আপনাকে বলেছি। মুক্তিযোদ্ধা কোটার জন্য অনেকের চাকরি হচ্ছে না। কারন মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৫০% নাম্বার পেয়ে ও বুয়েট, চুয়েট, মেডিকেল কলেট এবং সরকারি চাকরি তে চান্স পায়। আর অনেক মেধাবী ৯০% নম্বর পেয়েও চাকরি পায় না। এটা নিয়ে রাজনীতি করার কোন অবকাশ নাই। আমার বিশ্বাস না হলে আপনি তো মুরব্বি নিজে গবেষণা করে দেখুন। আমি এথা বলার জন্য বলদ আর বেজন্মা বলা হবে এই অধিকার তো গণতান্ত্রিক সিস্টেম কাউকে দেয় নি। যারা মুক্তিযোদ্ধার নাতি তাদের আইকিউ টেস্ট করুন। দেখবেন ভেতরে কিছু নাই। আমার এক পরিচিত খালা আছে। সে এসএসসি পাশ করে মুক্তিযোদ্ধার কোটার জোরে প্রাইমারি স্কুলে চাকরি পেয়েছে। অতছ তার মাষ্টারি করার কোন যোগ্যতাই নাই। সেই খালায় না আছে ব্যাক্তিত্ব না আছে আদব কায়দার জ্ঞান। যার কোন আদব জ্ঞান নাই আর যার কোন একাডেমিক যোগ্যতা নাই সে কিভাবে বাচ্চাদের পড়া লেখা করাবে? আপনি বলুন। আপনার বিবেকে কি বলে? যদিও সেই খালা কিছু দিন আগে উমুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় হতে ইন্টার পাশ করেছে। এবং তিনি উমুক্ত তে ডিগ্রী পড়তাছে।

তবে সেই খালার যে ব্যাক্তিত্ব উতি যদি পিএইচডিও আনে তার অন্তর অন্ধকারেই থাকবে।

আর সেই খালার ব্যাক্তিত্ব অনুযায়ী অফিস সহকারী বা কেরানীর চাকরি পারফেক্ট ছিলো।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:৫০

সোনাগাজী বলেছেন:


"শরীলে যখন অসুখ হয় তখন আমরা ঔষধ হয়।", এই বাক্য আপনার লেখা, আপনার মাষ্টার্ষ ডিগ্রি আছে, এবং আপনি চাকুরী পাচ্ছেন না।
আপনি বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধাদের ছেলেমেয়ে, নাতি-পুতিদের IQ জানার জন্য; ওদের IQ জানার ব্যবস্হা করবো, জেনে নেবো; কিন্তু আপনার IQ'এর অবস্হা কি?

১৫| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৩৬

আমি পরাজিত যোদ্ধা বলেছেন: ব্যাক করেছেন দেখে ভালো লাগলো।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:৫১

সোনাগাজী বলেছেন:


ব্লগিং ভালো লাগে, দেশের শিক্ষিতরা কি ভাবছেন, সেটা দেখার খুব ইচ্ছা।

১৬| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৪৭

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: নাহল তরকারি বলেছেন: সাসুম আর আপনাকে বলেছি। মুক্তিযোদ্ধা কোটার জন্য অনেকের চাকরি হচ্ছে না। কারন মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৫০% নাম্বার পেয়ে ও বুয়েট, চুয়েট, মেডিকেল কলেট এবং সরকারি চাকরি তে চান্স পায়। আর অনেক মেধাবী ৯০% নম্বর পেয়েও চাকরি পায় না। এটা নিয়ে রাজনীতি করার কোন অবকাশ নাই। আমার বিশ্বাস না হলে আপনি তো মুরব্বি নিজে গবেষণা করে দেখুন। আমি এথা বলার জন্য বলদ আর বেজন্মা বলা হবে এই অধিকার তো গণতান্ত্রিক সিস্টেম কাউকে দেয় নি। যারা মুক্তিযোদ্ধার নাতি তাদের আইকিউ টেস্ট করুন। দেখবেন ভেতরে কিছু নাই। আমার এক পরিচিত খালা আছে। সে এসএসসি পাশ করে মুক্তিযোদ্ধার কোটার জোরে প্রাইমারি স্কুলে চাকরি পেয়েছে। অতছ তার মাষ্টারি করার কোন যোগ্যতাই নাই। সেই খালায় না আছে ব্যাক্তিত্ব না আছে আদব কায়দার জ্ঞান। যার কোন আদব জ্ঞান নাই আর যার কোন একাডেমিক যোগ্যতা নাই সে কিভাবে বাচ্চাদের পড়া লেখা করাবে? আপনি বলুন। আপনার বিবেকে কি বলে? যদিও সেই খালা কিছু দিন আগে উমুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় হতে ইন্টার পাশ করেছে। এবং তিনি উমুক্ত তে ডিগ্রী পড়তাছে।

তবে সেই খালার যে ব্যাক্তিত্ব উতি যদি পিএইচডিও আনে তার অন্তর অন্ধকারেই থাকবে।

আর সেই খালার ব্যাক্তিত্ব অনুযায়ী অফিস সহকারী বা কেরানীর চাকরি পারফেক্ট ছিলো।


এই কমেন্টের বিষয়বস্তুর উপর বিস্তারিত আলোচনা সহ এই লেখককে একটি সম্পূর্ণ নতুন লেখা প্রকাশের জন্য বিনীত অনুরুধ করছি ।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:৫৫

সোনাগাজী বলেছেন:


এই লেখকের যেকোন পোষ্ট পড়লে লেখককে বুঝতে পারবেন, উনার একটা পোষ্টের ১ম বাক্য:
"শরীলে যখন অসুখ হয় তখন আমরা ঔষধ হয়।",

১৭| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৫৬

নাহল তরকারি বলেছেন: আমি আর কি কমু? সব কিছু কি আঙ্গুল দিয়ে দেখানো লাগবে??? আপনাগো কি জ্ঞান নাই। আমি কি কোন সাইন্স ফিকশন কিছু বলেছি নাকি যে বিস্তারিত বলতে হবে??

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:৫৭

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনি সায়েন্স ফিকশান বলছেন না; তবে, মুক্তিযোদ্ধাদেরকে কেন "কোটার" অধীনে এনেছে, সেটা আপনি বুঝতে পেরেছেন বলে মনে হয় না।

১৮| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:২৮

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: নাহল তরকারি বলেছেন: আমি আর কি কমু? সব কিছু কি আঙ্গুল দিয়ে দেখানো লাগবে??? আপনাগো কি জ্ঞান নাই। আমি কি কোন সাইন্স ফিকশন কিছু বলেছি নাকি যে বিস্তারিত বলতে হবে??[/sb

রাগ করলেন নাকি ভাই ? আমি কিন্তু গাজী সাবেরে অনুরুধ করছি, এই পোস্ট এ আমরা মন্থব্যকারী, আমার অনুরূধটা ছিল লেখকের উদ্দেশ্যে।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:০০

সোনাগাজী বলেছেন:


মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা দেয়ার দরকার ছিলো না, তাঁরা ১৯৭১ সালে মুক্তিবাহিনীর সদস্য হিসেবে ( বাংলাদেশে সরকারের সেনা বাহিনীর সদস্য ) যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছেন; যুদ্ধের পর, তাঁদেরকে চাকুরীতে রাখার দরকার ছিলো; সরকারগুলো সেটা করেনি, বুড়ো বয়সে ভাতা ও কোটা দিয়ে, যা সামান্য সাহায্য মাত্র, অধিকার পুরণ নয়।

১৯| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:৪৪

শাহ আজিজ বলেছেন: আমি সরকারী চাকুরির জন্য কখনো চাপাচাপি করিনি বা কাউকে ধরিনি । ৬০ ঊর্ধ্ব সবাইকে পেনশন দেবে সরকার , ওখানে ঢু মেরে দেখতে হবে কি চলছে ।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:০৩

সোনাগাজী বলেছেন:



"পেনশন" পেয়ে থাকেন তাঁরা, যাঁরা চাকুরী করেছেন, শব্দটা হবে, "ভাতা"; ইহা দেয়া সম্ভব, সম্পদ আছে, ১ কোটীর কাছাকাছি মানুষকে দিতে হবে।

২০| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: মুক্তি যোদ্ধাদের নাতি-পুতিদের জন্য সরকারি সকল ব্যবস্থাপনায় কোটা রাখার বিষয়ে আপনার মতামত কি।

ইনফ্লেশান কি তা বুঝার দরকার নাই। ইনকামের টাকায় সংসার চালাতে নাভিশ্বাস উঠে যাচ্ছি তা বুঝতে পারছি।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:১৭

সোনাগাজী বলেছেন:


১৯৭২ সালে দেশের ভলনটিয়ার যোদ্ধাদের চাকুরী দেয়া হয়নি, এরা আজীবন কষ্ট করেছেন; তাঁদের ছেলেমেয়েদের সামান্য সুবিধা দেয়া উচিত; আমি তাদের কোটার পক্ষে।

২১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:১৭

কাছের-মানুষ বলেছেন: আমি কোটার বিপক্ষে নই। অবহেলিত শ্রেণী বা সম্প্রদায় বা যারা সমাজে পিছিয়ে আছে তাদের কোটা দেওয়াটা যৌক্তিক। মুক্তিযোদ্ধারা কষ্ট করেছে এবং তাদের সন্তানদের কোটা দেয়া নিয়ে কোন কথা নেই।

মুক্তিযোদ্ধা সন্তানরা যারা সমাজে ধনী, অবস্থাপূর্ণ, প্রতিষ্ঠিত পরিবার ইতিমধ্যেই, তাদের অনেকের পরিবারে দীর্ঘদিন একাধিক সরকারি চাকরিজীবী ছিল, অনেক পরিবার সচ্ছল কিছুটা। সেই সচ্ছল পরিবারের নাতিপুতিদের কোটা সুবিধা দেয়াটাকে কিভাবে দেখেন? এটাকি যারা হতদরিদ্র পরিবারগুলোর প্রতি অবিচার নয়?

আমি হতদরিদ্র অন্য পরিবারগুলোকে ডেকে চাকরি দেবার কথা বলছি না তবে একটি ইকুয়াল গ্রাউন্ডের কথা বলছি যেখানে একটি সুযোগের জন্য সবাই সমানভাবে লড়বে, কেউ বাড়তি ছাড় পাবে না কারন সবাই দেশের নাগরিক, সবাই সমান নাগরিক সুযোগ সুবিদা ভোগ করে নিজেকে তৈরি করেছে! বাংলাদেশী রাষ্টের স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও একটি জেনারেশোনের নাতিপুতিদের বিশেষ সুযোগ দিতে হয় এটা কি রাষ্টের ব্যার্থতা নয়? এই বিগত ৫০ বছরেও কি তাদের পরিবারগুলোকে সাবলম্বি করা গেল না!!!!!!

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:২৭

সোনাগাজী বলেছেন:


নাতি-পুতিদের কিছু দেয়ার প্রশ্নই উঠে না; যেসব মুক্তিযোদ্ধা অর্থাভাবে নিজের ছেলেমেয়েদের পড়াতে পারেননি, সেসব ছেলেমেয়েদর কিছুটা সাহায্য করার দরকার মাত্র।

২২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১:০২

গরল বলেছেন: ধন্যবাদ ও অভিনন্দন ফিরে আসার জন্য, বলতে পারেন হতাশ হয়েই চলে আসছি। দেশে আমি খুব ভালো ছিলাম, কিন্তু আমার ভাই-বোন, কাজিন বা শ্যালক-সম্বন্ধি কেউ ভালো নেই। তাছাড়া মেয়ের লেখা-পড়া ও ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত ছিলাম। এখন আমার ভাই ও শ্যালক চলে আসবে ১-২ বছরের মধ্যে। তারপর অন্যদের সাহায্য করব যতটা সম্ভব। এখানে আসার পরপরই প্যান্ডেমিকের কারণে সব বন্ধ হয়ে গেল, তাই ছয় মাসের মত নিজের টাকায় চলতে হয়েছ। এখন একটা স্থিতিশীল চাকুরীতে আছি, বলতে পারেন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ইউরেনিয়াম উৎপাদন ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানে মধ্যম সারির পদবিতে।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ২:১৩

সোনাগাজী বলেছেন:



শুভকামনা রলো; দেশের সমাজ এমন যায়গায় গেছে, সেখানে থাকাটা মানসিক যা্তনার সমান। আপনার দৃষ্টিভংগি উদার, আপনি যেকোন সমাজে ভালো করবেন।

২৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৫৫

বিটপি বলেছেন: ্মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি পুতিরা দেশের জন্য এমন কি করেছেন যে তাদেরকে এত আদর করতে হবে? আমি পাইক্কা রাজাকার গালি খাওয়ার জন্য একদম রেডি, কিন্তু তার আগে আমাকে স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও কেন মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রাখতে হবে - তার ব্যাখ্যা দিতে হবে।

নারীরা উচ্চতায় কম, শক্তিতে দূর্বল, সামনে যাবার সুযোগ তাদের কম - এজন্য আমি নারী কোটার পক্ষে।
প্রতিবন্ধিদের স্বাভাবিক মানুষের তুলনায় কর্মক্ষমতা কম - আমি প্রতিবন্ধি কোটার পক্ষে।
উপজাতিতের শিক্ষা ব্যবস্থা খুব পেছানো, তাদের দূর্গম এলাকা এবং পিছিয়ে পড়া সমাজের বাসিন্দা - আমি উপজাতি কোটারও পক্ষে।

কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি পুতিরা কোন দিক থেকে পিছিয়ে, তাদের কি ঘাটতি আছে, বা কি নেই যেজন্য তাদেরকে মহা কোটার ব্যবস্থা করতে হবে? যারা চেতনা বিক্রি করছেন, তাদের কাছে উপযুক্ত জবাব চাই।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৯

সোনাগাজী বলেছেন:


মুক্তিযোদ্ধাদের নাতিদের জন্য কোন কোটা থাকবে না।

আপনি কি মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা সাপোর্ট করেন?

২৪| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:২০

রক বেনন বলেছেন: ইউরোপ আমেরিকায়, সরকারি চাকুরি কেমন, উহা অর্জন করতে হলে কি কি যোগ্যতা লাগে, দুর্নীতি করলে চাকুরি কি টিকে থাকে নাকি ফায়ার, ট্র্যান্সফার কখন হয়, সরকারি চাকুরীজীবীরা কেমন সুযোগ সুবিধা পায়, উনাদের কি কথায় কথায় স্যার ডাকা লাগে নাকি উনারাই স্যার ডাকেন, ইত্যাদি ব্যাপারে একটি পোস্ট আশা করছি। তেমন কিছু নহে, শুধুমাত্র নিজের জানার জন্যই।

আশা করি ভালো আছেন। পুরানো ব্লগে নতুন নিকে স্বাগতম।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫২

সোনাগাজী বলেছেন:



মনে হয়, সামু বাংলাদেশের প্রশাসনের মতো চলে, কোনটা ঠিক সেটা বুঝে না।

ঠিক আছে, একটা পোষ্ট দেবো। আমি মনে করেছিলাম, আপনি প্রবাসে আছেন!

২৫| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৩০

কাকতারুয়া_ বলেছেন: নাহল তরকারি বলেছেন: সাসুম আর আপনাকে বলেছি। মুক্তিযোদ্ধা কোটার জন্য অনেকের চাকরি হচ্ছে না। কারন মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৫০% নাম্বার পেয়ে ও বুয়েট, চুয়েট, মেডিকেল কলেট এবং সরকারি চাকরি তে চান্স পায়। আর অনেক মেধাবী ৯০% নম্বর পেয়েও চাকরি পায় না। এটা নিয়ে রাজনীতি করার কোন অবকাশ নাই। আমার বিশ্বাস না হলে আপনি তো মুরব্বি নিজে গবেষণা করে দেখুন। আমি এথা বলার জন্য বলদ আর বেজন্মা বলা হবে এই অধিকার তো গণতান্ত্রিক সিস্টেম কাউকে দেয় নি। যারা মুক্তিযোদ্ধার নাতি তাদের আইকিউ টেস্ট করুন। দেখবেন ভেতরে কিছু নাই। আমার এক পরিচিত খালা আছে। সে এসএসসি পাশ করে মুক্তিযোদ্ধার কোটার জোরে প্রাইমারি স্কুলে চাকরি পেয়েছে। অতছ তার মাষ্টারি করার কোন যোগ্যতাই নাই। সেই খালায় না আছে ব্যাক্তিত্ব না আছে আদব কায়দার জ্ঞান। যার কোন আদব জ্ঞান নাই আর যার কোন একাডেমিক যোগ্যতা নাই সে কিভাবে বাচ্চাদের পড়া লেখা করাবে? আপনি বলুন। আপনার বিবেকে কি বলে? যদিও সেই খালা কিছু দিন আগে উমুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় হতে ইন্টার পাশ করেছে। এবং তিনি উমুক্ত তে ডিগ্রী পড়তাছে।

তবে সেই খালার যে ব্যাক্তিত্ব উতি যদি পিএইচডিও আনে তার অন্তর অন্ধকারেই থাকবে।

আর সেই খালার ব্যাক্তিত্ব অনুযায়ী অফিস সহকারী বা কেরানীর চাকরি পারফেক্ট ছিলো

এ প্রসংগে নাহল তরকারীর কিছু ভুল ভাংগিয়ে দেই। ভাই, আপনার কথাগুলি বঞ্চিত বা অক্ষম এর প্রলাপ মনে হয়। কারন, নিজে একজন সরকারী কর্মকর্তা হিসেবে এবং কিছু নিয়োগ প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত থাকার সুবাদে কিছু জিনিস আপনাকে জানাই।

আপনি বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৫০% নাম্বার পেয়ে ও বুয়েট, চুয়েট, মেডিকেল কলেট এবং সরকারি চাকরি তে চান্স পায়। আর অনেক মেধাবী ৯০% নম্বর পেয়েও চাকরি পায় না। এটি স্রেফ আপনার ক্ষোভ অথবা রাজনৈতিক মনোভাব থেকে উঠে আসা। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোটা কখন বিবেচনা করা হয় কখন জানেন? জানেন না।

প্রথমতঃ লিখিত পরীক্ষায় মেধাতালিকায় যারা থাকে, তাদেরই মৌখিক এ ডাকা হয়।
এরপর মৌখিক পরীক্ষায় ও মেধাতালিকায় আসতে হয়।
এরপর লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় যারা মেধা তালিকায় আসেন,শুধুমাত্র তাদেরই কোটা বিবেচনা করা হয়। এবং এ ক্ষেত্রে প্রথমেই নেয়া হয় প্রতিবন্ধী কোটা, তারপর জেলা কোটা যার ভিতরে মুক্তিযোদ্ধা কোটা, মহিলা ও অন্যান্য কোটা।
আপনার মতো মানুষেরা কিছু না জেনেই বিষবাস্প ছড়ান সমাজে।
এরপর আসুন আপনার পরিচিত খালা সম্পর্কে। তিনি আইকিউ শূন্য আপনার দৃষ্টিতে হতে পারেন, কিন্তু তিনি পরীক্ষায় ভালো করেন নি কিভাবে বলেন? আমি এক নিয়োগে দেখেছি অফিস সহায়ক (যেটির যোগ্যতা চাওয়া হয়েছিলো এস এস সি) পদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর মাস্টার্স পাশ করে মেরিটে আসে নাই, সেখানে কিছু এসএসসি/এইচ এস সি পাশ একটু হাবাগোবা টাইপ ছেলে মেয়ে মেরিটে এসেছে। সেই নিয়োগে ১৬১ জনকে নিয়োগ দেয়া হয় যার মাঝে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগ পায় মাত্র ১৩ জন। যারা প্রত্যেকেই লিখিত এবং মৌখিক এ মেরিট এ আসবার পরই কোটা পায় এবং সেটি ও জেলা কোটা প্রাপ্যতার ভিত্তিতে। এক্ষেত্রে আর ও বলি, শুধুমাত্র ৩য় ও ৪র্থ শ্রেনীতেই মুক্তিযোদ্ধা কোটা বিদ্যমান, অন্য পদে নয়।

এবার আসুন, আপনার এবং আপনার মতো আরো কিছু মানুষের উদ্ভট কিছু ধারনা বদলানোর চেষ্টা করা যাক। আমরা না জেনে বুঝে অনেক জোর দিয়ে কিছু বলে ফেলি। অনেক চা এর দোকানে ও দেখেছি, বউ এর হাতে পিটানি খেয়ে কোন রিকশাওয়ালা চা খেতে খেতে প্রচন্ড আত্মবিশ্বাষ এর সাথে শেখ হাসিনা বা খালেদা জিয়ার দেশ চালানোর ত্রুটি ধরে দেয়।

যে কোন সরকারী নিয়োগ এ জেলা কোটা বা প্রাপ্যতা প্রাইমারী বিবেচনায় আসে। বিভিন্ন জেলার লোকসংখ্যার উপর আনুপাতিক হারে পদ ভাগ করা হয়। যেমন, কোন পদে খালি পদসংখ্যা যদি ১০০ হয়, আনুপাতিক হারে ঢাকা পায় ১৬ টি, সেখানে কুড়িগ্রাম পায় ২ টি।

এখন দেখা যাচ্ছে ঢাকা জেলার সর্বোচ্চ যে পেয়েছে সে হয়তো ৮১ আর ১৬তম জন পেয়েছে ৭২। এবার কুড়িগ্রাম এর সর্বোচ্চ যে পেয়েছে সে হয়তো পেয়েছে ৬১ এবং দ্বিতীয় জন ৬০। এবার জেলা হিসেবে ৬১ এবং ৬০ পাওয়া দুইজনই চাকরি পাবেন জেলা প্রাপ্যতায়। পক্ষান্তরে ৭১ পেয়েও ঢাকা ১৭তম ব্যক্তি চাকুরী পাবেন না। আশা করি ব্যাপারটা বুঝেছেন। কোন সন্দেহ থাকলে যে কোন সরকারী নিয়োগ এ জড়িত ব্যক্তির কাছে শুনে নিতে পারেন।

কাজেই কেই ৯০ পেয়ে চাকুরী পায় নাই আর ৭০ পেয়ে চাকুরী পেয়েছে কিংবা মুক্তিযোদ্ধা কোটার জন্য চাকুরী পাচ্ছেন না, কিংবা মেধাশূন্যরা ও কোটায় চাকুরী পাচ্ছে, এসকল নিজের ব্যার্থতা প্রবোধ দেয়া কথা থেকে আশা করি বেরিয়ে আসতে পারবেন।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৪২

সোনাগাজী বলেছেন:



ব্লগে রেজিষ্ট্রেশন করেছেন, অভিনন্দন।

আপনি যাঁর মন্তব্যের উপর মন্তব্য করেছেন, তাঁর লেখার সাথে শীঘ্রই পরিচয় হবে আপনার; আমার মতে উনার ভাবনায় বড় ধরণের সমস্যা আছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.