নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষাই দরিদ্রদের জন্য সম্পদ।

সোনাগাজী

একমাত্র সোস্যালিষ্ট অর্থনীতি বাংগালী জাতিকে নিজ পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করবে।

সোনাগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

অস্ত্রহীন ইউক্রেনবাসী রাশিয়ান সৈন্যদের সামনে মিছিল করছে।

০৩ রা মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩০



**** বৈঠকে অংশ নেয়ার জন্য ইউক্রেনের ডেলিগেশন গোমেল যাচ্ছ. *****

ইউক্রেনের খারকভ শহরটি রাশিয়ানরা দখল করেছে; এখানকার বেশীরভাগ অধিবাসী এখনো শহরেই আছে; কিছু কিছু সাধারণ নাগরিক অস্ত্র হাতে বের হয়ে রাশিয়ান বাহিনীর টার্গেটে পরিণত হয়েছে, এবং এই কারণে বেশ পরিমাণ বাড়ীঘর ধ্ংস হয়েছে। কিন্তু কিছু মানুষ খালি হাতে রাশিয়ান সৈন্যদের সামনে মিছিল করছে, শ্লোগান দিচ্ছে, "তোমরা বাড়ী ফিরে যাও", "আমাদের হত্যা করো না", ইত্যাদি। এক বয়স্ক মহিলা দেখলাম এক সৈন্যকে গালি দিচ্ছে! উভয় জাতির ভাষা মোটামুটি অনেকটা একই রকম, এবং ইউক্রেনের লোকজন রাশিয়ান ভাষা জানে।

অস্ত্র হাতে যুদ্ধের চেয়ে, ইহা রাশিয়ান সৈন্যদের বিপক্ষে কার্যকর যুদ্ধ, ইহাতে রাশিয়ান সৈন্যরা মানসিকভাবে বিচলিত হবে; এরা মোটামুটি একই জাতি, এবং রাশিয়ার সাধারণ মানুষ ইউক্রেনের মানুষের শত্রু নয় কোনভাবে।

ইউক্রেনের সরকার ও কিছু মানুষ ভুল করছে, তারা হাতে অস্ত্র নিচ্ছে অকারণে; সাধারণ মানুষ গেরিলা যুদ্ধে জড়িত হলে, রাশিয়ান সৈন্য বাহিনী নতুন এক শত্রুর সন্মুখীন হবে, সন্দেহ নেই; কিন্তু ইহা যুদ্ধকে প্রলম্বিত করবে। ইউক্রেন সরকারের উচিত দেশকে ধ্ংস হতে রক্ষা করে কম সময়ের মাঝে রাশিয়ানদের সাথে এই সমস্যার সমাধান করা। সাধারণ মানুষের হাতে অস্ত্র দেয়া মানে, তাদেরকে রাশিয়ান বাহিনীর টার্গেটে পরিণত করা; সর্বোপরি, শহরে এই ধরণের গেরিলা আক্রমণ হলে, রাশিয়ান বাহিনী ঘরবাড়ী উড়িয়ে দেবে।

ইউক্রেনের সরকার ১৮ বছর থেকে ৬০ বছর বয়সী পুরুষদের রিফিউজী হিসেবে দেশ ছাড়তে দিচ্ছে না; এবং অন্য দেশে বসবাসরত বেশ পরিমাণ ইউক্রেইনী নাগরিক যুদ্ধ করার জন্য দেশে ফিরছে; এগুলো বেকুবী, রাশিয়ান বাহিনীর সাথে যুদ্ধ করে মরার কোন লজিক নেই।

আজকে রাশিয়ান ও ইউক্রেনের সরকারী লোকেরা আবার বেলারুশের গোমেল শহরে বৈঠক করার কথা। ইউক্রেন নাকি এখনো কনফার্ম করেনি। ইউক্রেন সরকার সাধারণ নাগরিকদের হাতে অস্ত্র দিয়ে ভুল করছে, এতে পুটিন ক্ষেপে ভয়ংকর পদক্ষেপ নিবে; পুটিন পিছু হটতে জানে না। খালি হাতে মিছিল করাটাই ইউক্রেনের মানুষের জন্য একটি বড় অস্ত্র।





মন্তব্য ২০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩১

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

ইউরোপীয়ানরা বাঙালীর মত আচরণ করছে; সমস্যাটা কোথায়?

০৩ রা মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৮

সোনাগাজী বলেছেন:


১৯৭১ সালের কথা বললে, আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছি; ইউক্রেনের সরকার ন্যাটোর হয়ে "প্রক্সি যুদ্ধ" করে দেশকে ধ্বংস করছে; ওরা ন্যাটোতে গেলে রাশিয়ানরা নিজেদের সিকিউরিটি নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কারণ আছে।

২| ০৩ রা মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৩

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

বাঙালীদের ন্যাটোতে নিলে আচরণ কেমন হবে?

০৩ রা মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৭

সোনাগাজী বলেছেন:



বাংগালীদের ন্যাটোতে নেবে না; ন্যাটোর নতুন দায়িত্ব হচ্ছে, চীন, রাশিয়া, ইরান ও উ: কোরিয়াকে কন্ট্রোলে রাখা; ওখানে ওরা কোন বাংলাদেশী ডেলিগেনশনকে নেয়ার সাহস করবে না।

৩| ০৩ রা মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৪

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: তারা রুখে না দাঁড়ালে তারা স্বাধীন থাকতে পারবে না। আর স্বাধীণতা চাইলে তাদেরকে রুখে দাঁড়াতেই হবে। তাতে হয়ত অনেক দিন পরে হলেও তারা এর ফল পাবে। ভারতে মুসলিম শাসন দূর্বল করে দেয় শিবাজী ও মারাধা। ফলে ইংরেজ ক্ষমতা পায়। ইংরেজ বিদায় হলে দুই তৃতীয়াংশ এলাকা হিন্দুদের ভাগে পড়ে। সুতরাং রুখে দাঁড়ানোর কিছুনা কিছু ফল তো আছেই।

০৩ রা মার্চ, ২০২২ রাত ৮:০১

সোনাগাজী বলেছেন:




রাজতন্ত্রে যার শক্তি ছিলো, সেই রাজ্য জয় করেছে; মুসলমানেরা তাই করেছে, মারাঠারা তাই করেছে। আজকের রিপাবলিকের যুগে তা আর নেই বললেই চলে; কিন্তু এখনো ইউক্রেনের মতো ঘটনা ঘটছে। রাশিয়া ও ইউক্রেনের যেই সামজিক ও জিও অবস্হান, ইউক্রেন এমন কিছু করছে, যাতে রাশিয়ার সিকি্উরিটি কমছে, ইহা ইউনিক সমস্যা।

unction at() {
[native code]
}

৪| ০৩ রা মার্চ, ২০২২ রাত ৮:১১

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

সাধারণ জনগন অস্ত্র হাতে রুশ সৈন্য মেরেছে?

০৩ রা মার্চ, ২০২২ রাত ১০:০৪

সোনাগাজী বলেছেন:



আমার মনে হয় না, এখন বিবিধ প্রপাগান্ডা চলছে; সাধারণ মানুষ যদি রাশিয়ান সৈন্য মারে, পুটিন ভয়ংকর পদক্ষেপ নেবে।

৫| ০৩ রা মার্চ, ২০২২ রাত ১০:১৩

নাজিম সৌরভ বলেছেন: কেন যেন মনটা বলছে রাশিয়া জয়ী হলে আমার কাছে ভালো লাগবে।
এর কারণটা বুঝতে পারছি না। হয়তো মানসিকভাবে ন্যাটোর আধিপত্যবাদি মনোভাবের বিপরীতে অবস্থান নিতে নিতে এখন ন্যাটোর শত্রুকে ভালো লাগে।

০৩ রা মার্চ, ২০২২ রাত ১০:২৬

সোনাগাজী বলেছেন:



বর্তমান ন্যাটো বিশ্বে ৩য় যুদ্ধ ডেকে আনতে পারে।

সোভিয়েত আমলে রাশিয়ানরাই ছিলো দেশের মুলশক্তি, ওরা জানতো যে ন্যাটো সুযোগ পেলে তাদেরকে ধুলার সাথে মিশিয়ে দেবে। আজকে রাশিয়ায় গলাকাটা ক্যাপি টেলিজম চলছে; কিন্তু তারা সেই ভয় থেকে বের হতে পারছে না; ন্যাটো ব্যতিত ইউরোপ হবে মানবিক।

৬| ০৩ রা মার্চ, ২০২২ রাত ১১:০১

সোবুজ বলেছেন: এটা একটা বিশেষ ধরনের যুদ্ধ।একমাত্র সমাধান আলোচনার মাধ্যমে।ইউক্রেনের জনগন অস্ত্র হাতে নিলে দুঃখ দুর্দশাই বাড়বে সমাধান কিছু হবে না।

০৩ রা মার্চ, ২০২২ রাত ১১:০৯

সোনাগাজী বলেছেন:



মনে হয়, পুটিন বুঝার শুরু করেছে যে, তার প্ল্যান কাজ করেনি; তবে, সে পিছু হটার লোক নয়; তার মাথায় বুদ্ধি থাকলে, সে এখন উইথড্র শুরু করবে।

কিন্ত সে বিশ্বাস করে যে, ইউক্রেনের সাধারণ মানুষের একাংশ ন্যাটো বিরোধী; এখন জনতার থেকে কেহ যদি তার সাথে গেরিলা যুদ্ধ করতে যায়, সে ভয়ংকর কিছু করবে।

৭| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২২ রাত ১২:৪৮

গরল বলেছেন: সাধারণ জনগণের অস্ত্র হাতে নেওয়া হবে চড়ম বোকামি, চেচনিয়ার মত অবস্থা হতে পারে। ইউক্রেনের উচিৎ হবে একটা সমঝোতায় আসা ও ন্যাটোতে যোগদানের আশা আপাতত ত্যাগ করা। পুতিন যেহেতু একটু নমনীয় হয়েছে তাকে আর উস্কানি না দেওয়াই উচিৎ হবে বলে মনে করি।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২২ রাত ১২:৫৭

সোনাগাজী বলেছেন:




ইউরোপ যদি ভালো থাকত চায়, সেটাই একমাত্র পথ।

৮| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২২ সকাল ৯:৩৩

কালো যাদুকর বলেছেন: শুনলাম এন পি পি তে আগুন জলছে ৷ এখন কি হবে কে জানে ৷

০৪ ঠা মার্চ, ২০২২ সকাল ১০:১১

সোনাগাজী বলেছেন:



ঐ নিউক্লিয়ার প্ল্যান্ট যেই শহরে অবস্হিত, সেই শহরের ময়ের বলছে আগুন লেগেছে; উহা কি নেভানো হয়েছে কিনা কে জানে! হয়তো, ঐ শহর শেষ হয়ে যাবে।

৯| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২২ দুপুর ১:২২

রাজীব নুর বলেছেন: সব নষ্টের মুলে আছে ন্যাটো।
পৃথিবী সুন্দর ও আনন্দময় করতে ন্যাটোর কোনো প্রয়োজন নেই।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২২ বিকাল ৫:০৯

সোনাগাজী বলেছেন:




ন্যাটো, চীন, কিংবা রাশিয়া বিশ্বকে ধংস করবে।

১০| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২২ রাত ১০:৫৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: পুতিন এর ভাষণ:
আমি ইউক্রেনের জনসাধারণের কান্না দেখে মোটেও বিচলিত নই। কারণ আমি ফিলিস্তিন, ইরাক, আফগানিস্তান, সিরিয়া, লিবিয়ান বৃদ্ধ নারী শিশুদের বিবস্ত্র কান্না দেখে দেখেই বড় হয়েছি। ধিক্কার জানাই ইউরোপ তথা পশ্চিমা বিশ্বকে তখন কোথায় ছিলো তাদের মানবিক নিষেধাজ্ঞা। -পুতিন।

আমারতো মনে হয় :D :
রাশিয়া আক্রমণ করেছে সেজন্য হা পিত্যেস করছি আমরা। রাশিয়া আক্রমণ না করলে কিছুদিন পর ইউক্রেনের মাটি ব্যবহার করে ন্যাটোর ছদ্মবেশে আমেরিকা রাশিয়া ধ্বংস করত। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন জীবিত থাকলে আমেরিকা ইরাক ধ্বংস করতে সাহস পেত না।

পৃথিবীতে ক্ষমতার ভারসাম্য দরকার আছে। গরীব এবং কমজোর দেশগুলির জন্য একটা না একটা জায়গা থাকা দরকার। রাশিয়া সেই জায়গা। কাজেই রাশিয়ার পক্ষে কথা বলা বিবেকের দাবী।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২২ রাত ১১:২১

সোনাগাজী বলেছেন:



অবশ্যই ব্যালেন্স দরকার।
ন্যাটো বিশ্বকে ধনীদের কব্জায় নিয়ে যাবার কাজে নিয়োজিত।
পুটিন সম্পর্কে সমস্যা হলো, সে পিছু হটতে জানে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.