নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষাই দরিদ্রদের জন্য সম্পদ।

সোনাগাজী

একমাত্র সোস্যালিষ্ট অর্থনীতি বাংগালী জাতিকে নিজ পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করবে।

সোনাগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আপনি তো নিশ্চয় ভুত, পেত্নী কিংবা জ্বিন দেখেছেন!

১৬ ই মে, ২০২২ দুপুর ২:৫৬



বাংলাদেশের মানুষজনকে বলতে দিলে, শতকরা ৮০/৯০ জন বলবেন যে, তারা জ্বীন, ভুত, পেত্নী, যক্ষ, ইত্যাদি দেখেছেন, ইহাদের সাথে কথা বলেছেন, দেখে ভয়ে পালিয়ে প্রানে বেঁচে গেছেন, দোয়া কলেমা পড়ে ইহাদিগকে তাড়া করেছেন, ইত্যাদি, ইত্যাদি। এদের শ্রোতারাও এদেরকে বিশ্বাস করেন। বাংলাদেশে শতশত শিক্ষিত মানুষ দেখেছি, যারা খুবই আত্মবিশ্বাস নিয়ে এসব দেখার কথা বলে থাকেন।

লোকজন যতই আত্মবিশ্বাস নিয়ে জ্বীন, ভুত, পেত্নী, যক্ষ, ইত্যাদি নিয়ে কথা বলুক না কেন, ইহার মাঝে কোন ধরণের সত্যের চিহ্নও নেই; এই ধরণের ভুল দেখা কিংবা ভুল ধারণা আমাদের দেশে পুরোপুরি গ্রহনযোগ্য ।

মনে হয়, ২ বছর আগে ব্লগেও কিভাবে প্রায় সপ্তাহখানেক অলিখিতভাবে ভুত-সপ্তাহ পালিত হয়েছিলো; পোষ্টের পর, পোষ্ট আসছিলো জ্বীন, ভুত নিয়ে; এবং অনেক ব্লগার জ্বীন, ভুত নিয়ে নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা বলেছিলেন। পড়তে ভালোই লাগছিলো; কিন্তু যাঁরা এসব বিষয়ে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার তথাকথিত সত্যঘটনা বলছিলেন, তাঁরা হয়তো বুঝতে পারছিলেন না যে, এগুলো সত্যের বরখেলাপ।

আদিকালের সাহিত্য মোটামুটি রূপকথাই ছিলো: অতিমানব, দৈত্য-দানব, জ্বীন-ভুত অতিপ্রকৃতরাই গল্পের মুল বিষয় ছিলো। এরপর সাহিত্য ছিলো রাজা, রাণী, রাজপুত, রাজকন্যা, উজির,নাজির, সেনাপতিদের নিয়ে। এরপর, সাহিত্য ধনীদের উদ্ভব ঘটে। ধনীরা এখনো আছে, তবে, সাধারণ মানুষের জীবনের কাহিনী স্হান করে নিয়েছে।

পশ্চিমের সাহিত্যে রূপকথা খুবই জনপ্রিয়তা পেয়েছিলো, পশচিমের সেরা রূপকথাগুলো এখনো জীবন্ত। পশ্চিমে এখন রূপকথার প্রভাব কমে এসেছে, সাধারণ মানুষের জীবন নিয়েই বেশীরভাগ সাহিত্য রচিত হচ্ছে। পশ্চিমের মানুষ এখনো ভুতপেত্নীকে কেন্দ্র করে উৎসব পালন করে; কিন্তু একটা শিশুও বুঝে যে, ইহা উৎসব মাত্র, আসলে ভুতপেত্নী নেই।

পশ্চিম থেকে বিদায় নেয়া ভুতপেত্নীরা এখন এশিয়া ও আফ্রিকায় বসবাস করছে; এই ২ মহাদেশে এখনো মানুষ ভুত, পেত্নী, জ্বিন, পরী দেখেন, মানুষের উপর এরা ভর করে, এদের নিয়ে চরম মিথ্যাকে সত্য হিসেবে চালিয়ে যাচ্ছেন এই ২ মহাদেশের মানুষ।





মন্তব্য ৮৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মে, ২০২২ বিকাল ৩:০৪

রানার ব্লগ বলেছেন: ভুত পেত্নী সবি মানুষের উতপ্ত মস্তিষ্কের কল্পনা । অলৌকিক অদ্ভুত ও ভয়ানক কিছুতে মানুষ বিশ্বাস করতে পছন্দ করে তাই এদের সৃষ্টি ।

১৬ ই মে, ২০২২ বিকাল ৩:১৬

সোনাগাজী বলেছেন:


যাক, দেখা যাচ্ছে ১ জন ব্লগার কমপক্ষে জ্বিন, ভুত, পেত্নি মুক্ত আছেন। দেখি নুরু সাহেব এসে কি গল্প জুড়ে দেন!

২| ১৬ ই মে, ২০২২ বিকাল ৩:০৬

অক্পটে বলেছেন: ভুত পেত্নী তাড়ানোর অসিলায় বাংলাদেশের তরুণী বা নব্য বিবাহিত নারীদের উপর অনেক অত্যাচার হয়। আমি নিজে এমন কিছু ঘটনার স্বাক্ষী। লাল শুকনা মরিচ পুড়ে তাদের নাকে দেয়া হয় ভুত ছাড়ানোর জন্য। ভন্ডেরা তখন ভুতের সাথে কথাও বলে।

১৬ ই মে, ২০২২ বিকাল ৩:১৯

সোনাগাজী বলেছেন:


পরিবারের বেকুব লোকদের ভুলের কারণে, কত নারী ও ছেলেমেয়ে মানসিক সমস্যায় ভোগার সময়, এসব ভন্ডদের হাতে অকারণে নির্যাতীত হয়েছে তার হিসেবে নেই।

৩| ১৬ ই মে, ২০২২ বিকাল ৩:২২

জগতারন বলেছেন:
অক্পটে বলেছেন:
ভুত পেত্নী তাড়ানোর অসিলায় বাংলাদেশের তরুণী বা নব্য বিবাহিত নারীদের উপর অনেক অত্যাচার হয়। আমি নিজে এমন কিছু ঘটনার স্বাক্ষী। লাল শুকনা মরিচ পুড়ে তাদের নাকে দেয়া হয় ভুত ছাড়ানোর জন্য। ভন্ডেরা তখন ভুতের সাথে কথাও বলে।

সহমত!

আমিও এমন অনেক ঘটনার স্বাক্ষি ছিলাম।
ইহা খুবই দুঃখজনক।

১৬ ই মে, ২০২২ বিকাল ৩:২৯

সোনাগাজী বলেছেন:


মোল্লা, মোলভী ও ওজাদের বেকুরী বুদ্ধির কারণে কারণে মানসিক রোগীদের সঠিক চিকিৎসা হতো না আমাদের গ্রামান্চলে।

৪| ১৬ ই মে, ২০২২ বিকাল ৩:৩৭

জুন বলেছেন: আমি কিন্তু সত্যি সত্যি একবার ভুত দেখছিলাম। স্বামীর কাজের সুত্রে তিন মাস গ্রামে থাকার সময়কার ঘটনা, রাতে আমার ঘরের কোনে কালো মিশ মিশে ভুত ফুলে ফেপে আমার ঘরটা ভরে ফেলছিল সেটা :-&

১৬ ই মে, ২০২২ বিকাল ৪:৪৩

সোনাগাজী বলেছেন:



ঘরে কি ঘটেছিলো বলতে পারবো না; তবে, উহা ভুত ছিলো না।

৫| ১৬ ই মে, ২০২২ বিকাল ৩:৩৯

ভার্চুয়াল তাসনিম বলেছেন: আমাদের একজন জ্বিন ব্লগার আছেন। জ্বিন কফিল। তার সাথে কি আপনার বাতচিত হয়েছে কখনো?

১৬ ই মে, ২০২২ বিকাল ৪:৪৩

সোনাগাজী বলেছেন:



না, হয়নি।

৬| ১৬ ই মে, ২০২২ বিকাল ৩:৪৬

নতুন বলেছেন: ভুত পিশাচের ভয় মানুষ দেখিয়ে আগে অনেক হত্যাকেও সাভাবিক ভাবে লুকিয়ে ফেলতো মানুষ।

কোরানে জীন বিষয়টা আছে বলে মুসলমানেরা জীনে বিশ্বাস করে। সেটা করুক।

কিন্তু যেই বিষয়গুলি ঘটে সেটা যে জীনে করেছে সেটার কিন্তু কোন প্রমান নাই তবুও মানুষ বিশ্বাস করে।

বর্তমানে ইউটিউবে জীন তাড়ানোর কিছি ভিডিও আছে, এরা জীন কে জবাহ করে B-))

১৬ ই মে, ২০২২ বিকাল ৪:৪৫

সোনাগাজী বলেছেন:



জ্বিন, ভুতের নামে অনেক বড় বড় অপরাধ ঘটানো হয়েছে অতীতে।

৭| ১৬ ই মে, ২০২২ বিকাল ৩:৫৬

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


অনেক ইউরোপিয়ান অশরীরী কোন জিনিসের কথা শুনলে এখনো কেঁপে উঠে।

আমি কখনো দেখিনি, তবে, পশ্চিমে বাস করা কিছু আত্মীয়ের মুখে গল্প শুনেছি। :)

১৬ ই মে, ২০২২ বিকাল ৪:৪৯

সোনাগাজী বলেছেন:



হালুইন-ডে অনেক জনপ্রিয় ভুত-পেত্নীর উৎসব; কিন্তু বাচ্চারাও এগুলোকে আনন্দের চরিত্র মনে করে, আসলে আছে বলে বিশ্বাস করে না।

৮| ১৬ ই মে, ২০২২ বিকাল ৪:১৪

রানার ব্লগ বলেছেন: সত্যপথিক শাইয়্যানের সাথে একমত বাংলাদেশের ভুত কেবল ভয়টয় দেখিয়ে শান্ত থাকে কিন্তু ইউরোপিয়ান ভুত গুলা খুন খারাবি পর্যন্ত করে ফেলে ।

১৬ ই মে, ২০২২ বিকাল ৪:৫২

সোনাগাজী বলেছেন:


পশ্চিমে এসব চরিত্র নিয়ে শতশত সিনেমা হচ্ছে; মানুষ এগুলোকে দেখে, কিন্তু কাহিনীকে বিশ্বাস করে না।

৯| ১৬ ই মে, ২০২২ বিকাল ৪:৩০

খাঁজা বাবা বলেছেন: এরা ভুত পেত্নি না, এরা এলিয়েন

১৬ ই মে, ২০২২ বিকাল ৪:৫৩

সোনাগাজী বলেছেন:



এলিয়েন যদি থেকে থাকে, পৃথিবী অবধি আসতে পারেনি, সেই রকম যান থাকার কথা নয়।

১০| ১৬ ই মে, ২০২২ বিকাল ৪:৫৩

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: ১।
একবার বেশ উঁচু পাঁচিলে অস্বাভাবিক লম্বা, মানে এমন লম্বা যে মাঝখানে আরেক জোড়া পা থাকতে পারে এমন কুকুর দেখেছিলাম সন্ধ্যাবেলা। যেমন পাঁচিল যেখানে কুকুর উঠা সম্ভব না।

২।
একবার এক বাসায় বাথরুমে ঢুকলে বাইরে থেকে দরজা আটকে দিয়েছিল কেউ। অনেক ধাক্কা ধাক্কি করলাম। মনে হলো ভাইরে কেউ দাঁড়িয়ে আছে। নিচে হয়ে দরজার নিচ নিয়ে দেখলাম বেড়ালের দুটো পা। সামনের দুইপা সম্ভবত দরজার সাথে ভর দেয়া ছিল। পরে বাসার লোক এসে দরজা খোলে এবং একটা বেড়ালকে জানালা দিয়ে পালাতে দেখে।

৩।
একবার এক রুগীকে দেখতে গিয়েছিলাম। ১৯ ২০ বছর বয়স। বাসায় অনেক জটলা। সে নাকি অস্বাভাবিক আচরণ করছে। তখন নিজেকে মিসির আলী দেখতে গিয়েছিলাম। দিয়ে দেখি মসজিদের হুজুর আছে। হুজুরের সাথে সে কোরআন শরীফ তেলাওয়াতের প্রতিযোগিতা শুরু করেছে। হুজুর কে বিভিন্ন সুরার আয়াত মুখস্থ বলে শোনাচ্ছে। আমি হুজুরকে বললাম, হুজুর এই ছেলে ভুলভাল কি বলছে।
হুজুর বলল, ভুল ভাল না । ঠিকই বলছে।
হুজুর কে কানে কানে বললাম, আচ্ছা সূরা তাকাসুর বলতে বলুন তো?
হুজুর তাকে বলল এবং আমাকে অবাক করে দিয়ে মুখস্থ বললো ।
তাকাসুর আমার মুখস্থ ছিল বলেই বলতে বলেছিলাম। যাতে ধরতে পারি। অবাক হয়েছিলাম কারণ ২০ বছরে ঈদ আর জুম্মা ছাড়া তাকে নামাজে দেখিনি।

৪।
আমার নানীকে সাতদিন ধরে খুব অস্বাভাবিক আচরণ করতে ছিল। সাতদিন ধরে কোন অবস্থার উন্নতি হতেছিল না। শেষমেষ আমার দাদাকে আনা হয়। দাদা গিয়ে আগে নানীকে সালাম দেন । নানী পুরুষ কন্ঠে সালামের উত্তর দেন। বলে নেয়া ভালো, কদিন ধরে নানী মাঝে মধ্যেই পুরুষ স্বরে কথা বলেছে। এরপর দাদার সাথে নানীর অনেক কথা হয়। সেই আলোচনা করবো না।
দাদাকে বলেছিল, আপনাকে দেখার শখ ছিল। আমরা এখন চলে যাবো। আমরা কোলকাতা থেকে এসেছি।

দাদা বললেন , চলে যাবেন বুঝবো কিভাবে?
নানী, দূরের বড় একটা গাছের ডাল দেখিয়ে বললো, আমরা যাওয়ার সময় ঐ মোটা ডালটা ভেঙে দিয়ে যাবো।
এবং মিনিট খানেকর মধ্যেই ডালটা ভেঙে যায়।

৫।
চাকুরীর সুবাদে ছোটআপা টঙ্গীতে থাকতো। আমি বেড়াতে গেলাম। নিচের ফ্ল্যাটের দুদিন হলো নতুন ভাড়াটিয়া উঠেছে। কারো সাথে যোগাযোগ হয়নি তাদের তখনো। বিকালে শুনলাম নিচে চিৎকার। পাশের ফ্ল্যাটের মহিলা এসে আপাকে ডাকলো , আসেন তো নতুন ভায়াটিয়ার বৌ কেমন যেন করছে।
একটু পড়ে আমরা গেলাম।
আমাদের দেখে বৌটা শান্ত হলো। তারপর বললো, আপনারা চলে যান। আপনারা আসবেন না। আপনাদের চিনি। আপনারা শামসুল হুদার লোক।

সৈয়দ শামসুল হুদা আমার বড়ফুফার নাম। তিনি কোলকাতার মানুষ। পীর ছিলেন। উনার নামে সড়ক আছে।


৬।
উপরের ঘটনা গুলো নিয়ে অনেক ভেবেছি। আমি নিজেই একটা পোষ্ট শেয়ার করেছিলাম 'অদ্ভুত আঁধার' নামে।
আরো ছোটছোট কিছু ঘটনা আছে। থাক।

হয়ত এই মন্তব্যের বিপরীতে বিরুপ প্রত্যুত্তর আসতে পারে। তারপরেও শেয়ার করলাম।



১৬ ই মে, ২০২২ বিকাল ৫:০২

সোনাগাজী বলেছেন:




আপনি অনেকগুলো ঘটনা উল্লেখ করেছেন; এগুলোর প্রত্যেকটি সঠিক ব্যাখ্যা ছিলো; কিন্তু মনের কোন অবস্হার কারণে সঠিক ব্যাখ্যা মনে আষেনি, ইমোশানেল কারণাকে সঠিক মনে হয়েছে।

১১| ১৬ ই মে, ২০২২ বিকাল ৪:৫৯

জুন বলেছেন: ঘরে কিচ্ছু ঘটে নাই, বিদ্যুৎ বিহীন গ্রামে দরজা জানালা আটকানো অন্ধকার ছোটো টিনের ঘর। আমি তালা খুলে ঘরের দরজায় দাড়াতেই দেখি কোনে থাকা ভুতটা ফুলতে ফুলতে ঘর ভরে ফেলছে। আমি তালাচাবি হারিকেন সব ছুড়ে ফেলে এক দৌড়ে পুকুরের এপাশে যেখানে লোকজন ছিল সেখানে চলে আসি :-&

১৬ ই মে, ২০২২ বিকাল ৫:০৪

সোনাগাজী বলেছেন:




আমি নিজেও ইহার ব্যাখ্যা খুঁজে পাচ্ছি না, আসলে কি ঘটেছিলো! কিন্তু যাহা নেই, উহা ঘটতে পারে না, ইহা একটি যুক্তি।

১২| ১৬ ই মে, ২০২২ বিকাল ৫:১৪

মোহাম্মদ মজিবর রহমান বলেছেন: ভূত-পেত্নী নিয়ে যাই বলেন না কেন,জ্বীন এর অস্তিত্ব আপনাকে স্বীকার করতেই হবে,যদি আপনি মুসলমান হয়ে থাকেন।

১৬ ই মে, ২০২২ বিকাল ৫:২০

সোনাগাজী বলেছেন:



ধর্মের কারণে ভুলকে সঠিক মনে করা ঠিক নয়।

১৩| ১৬ ই মে, ২০২২ বিকাল ৫:২৫

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: লেখক বলেছেন:
আপনি অনেকগুলো ঘটনা উল্লেখ করেছেন; এগুলোর প্রত্যেকটি সঠিক ব্যাখ্যা ছিলো; কিন্তু মনের কোন অবস্হার কারণে সঠিক ব্যাখ্যা মনে আষেনি, ইমোশানেল কারণাকে সঠিক মনে হয়েছে।


অস্বাভাবিক লম্বা কুকুর :
এতো বড় আর লম্বা কুকুর কোথাও দেখিনি। দেহটা এমন যে ছয়টা পা থাকার মত। উচ্চতাও স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। এমন কুকুর থাকলে এলাকার মানুষের চোখে পড়তো। আলোচনা হত।

অমন উঁচু পাঁচিলে কুকুর উঠার কথা না। যদি কেউ তুলে থাকে তবে কুকুরের অস্তিত্বে বিশ্বাস করতে হবে।
এই কুকুর অস্তিত্বহীন। এই কুকুর কে বিশ্বাস করলে 'অন্য কিছু' তে বিশ্বাস করতে হবে। নয়তো ধরে নিতে হবে , আমি ভুল বলছি অথবা মিথ্যা বলছি।

১৬ ই মে, ২০২২ বিকাল ৫:৫৩

সোনাগাজী বলেছেন:



এই ধরণের ঘটনাগুলোকে মনোবিজ্ঞানে এক ধরণের "এলুশান" হিসেবে ব্যাখ্যা করে থাকে; মানুষ কোন কারণে, মানসিকভাবে কোন বস্তুকে ভিন্নভাবে দেখেন।

১৪| ১৬ ই মে, ২০২২ বিকাল ৫:৩০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: বাংলাদেশের মানুষজনকে বলতে দিলে, শতকরা ৮০/৯০ জন বলবেন যে, তারা জ্বীন, ভুত, পেত্নী, যক্ষ, ইত্যাদি দেখেছেন, ইহাদের সাথে কথা বলেছেন, দেখে ভয়ে পালিয়ে প্রানে বেঁচে গেছেন, দোয়া কলেমা পড়ে ইহাদিগকে তাড়া করেছেন, ইত্যাদি, ইত্যাদি।

আপনার ধারনা ভুল।
বেশিহলে শতকরা ১০ থেকে ১৫ জন লোক বলবে তারা এইসব দেখেছেন।
বাকি সবাই বলবে শুনেছে, ভয় পেয়েছেন।

১৬ ই মে, ২০২২ বিকাল ৫:৫৫

সোনাগাজী বলেছেন:


আমি গ্রামে বড় হয়েছি, সেখানে প্রায় সবার ২/৪টা গল্প আছে; শহরে ইহা কমে এসেছে মনে হয়; ইহা ভালো লক্ষন।

১৫| ১৬ ই মে, ২০২২ বিকাল ৫:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: আমি এসব বিশ্বাস করি না।
কুসংস্কার যারা লালন করে তারাই এসব বিশ্বাস করে।
আমার সামনে যদি সত্যি সত্যি জ্বীন টিন, ভূত টূত আসে- আমি বলব সামনে থেকে যা। নইলে থাপ্পড় খাবি।

১৬ ই মে, ২০২২ বিকাল ৫:৪৯

সোনাগাজী বলেছেন:



এসব ভুল বিশ্বাস আমাদের জীবনভাবনা ও কালচারকে দুর্বল ভিত্তির উপর স্হাপন করেছে।

১৬| ১৬ ই মে, ২০২২ বিকাল ৫:৫০

আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: এইসব বোগাস। আমি কোনটাই দেখিনি।

১৬ ই মে, ২০২২ বিকাল ৫:৫৬

সোনাগাজী বলেছেন:




একটা সময় আসবে, সবাই বলবেন যে, আগের মানুষ ভুল দেখতেন।

১৭| ১৬ ই মে, ২০২২ বিকাল ৫:৫৭

তানভির জুমার বলেছেন: ১) আরজ আলী রাত ৩ টায় মাঝে মাঝে গ্রামের জঙ্গলের বটগাছতলা দিয়ে যায় আয়েতুল কুরসি পড়ে। গ্রামের সবাই জানে এখানে একটা দুষ্ট জীন বসবাস করে। আরজ আলীর বিশ্বাস আয়েতুল কুরসি পড়ে রাত ৩ টায় উক্ত বটগাছ তলা দিয়ে গেলে দুষ্ট জীন তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না এবং গত ৩০ বছর ধরে সে মাঝে মাঝে গ্রামের বটগাছতলা দিয়ে এভাবেই আয়েতুল কুরসি পড়ে নির্ভয়ে পার হয়েছে তার কোন ক্ষতি হয়নি।

২) শহর থেকে উচ্চ শিক্ষিত, ৯৯% নাস্তিক, অতি প্রগতিশীল গাজী আলী গ্রামে এসেছে সে উক্ত কাহিনী শুনে হেসে হেসে বলল তোমরা গ্রামের মানুষরা সেই অন্ধকার যুগেই পড়ে আছ। আমাদের পৃথিবীতে জীন বলে কিছু নেই। জীন-ভুত এইগুলো মানুষের বানানো কল্প-কাহিনী মাত্র। আয়েতুল কুরসি-টুরসি পড়ার দরকার নাই তোমরা যখন খুশি জঙ্গলের বটগাছতলা দিয়ে যাবে তোমাদের কোন ক্ষতি হবে না। তখন আরজ আলী স-বিনয়ে বলে উঠলো স্যার তাহলে আপনি যতদিন গ্রামে আছেন ততদিন আপনি উক্ত বটগাছতলা দিয়ে গভীর রাতে যাওয়া-আসা করেন আমরা দেখি দুষ্ট জীন আপনার কোন ক্ষতি করতে পারে কি না। গাজী আলী চেঁচিয়ে বলে উঠলো না না আমি জঙ্গলের বটগাছতলা দিয়ে যাওয়া-আসা করবো কেন?

শিক্ষা: গাজী আলী বিশ্বাস করে জীন বলে কিছু নাই মাগার, জঙ্গলের বটগাছতলা দিয়ে যাওয়া যাবে না।

১৬ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০০

সোনাগাজী বলেছেন:



মানুষ কুসংস্কার থেকে বেরিয়ে আসছে ক্রমেই; কেহ কেহ হয়তো কুসংস্কার থেকে বের হতে পারবেন না।

১৮| ১৬ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৩

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


২দিন আগে দেখলাম,
পুরো বাড়ি বন্ধ করলো কবিরাজ দিয়ে, মজার পার্ট হলো কবিরাজ যখন মুরগী মোচড় দিয়ে মাথা আলাদা করে ফেললো, তখন উনি সেন্সলেস হয়ে যায় ৩০ সেকেন্ডের জন্য, এটা নাকি খারাপ জ্বীনেরা করেছে।

উপরকন: মুরগী,ছানা মিস্টি,ধান,কুলা,ঘাস,দুধ,বোতল*৪,পেরেক।

১৬ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৮

সোনাগাজী বলেছেন:



ভয়নংকর মিথ্যাবাদীরা এসব অসৎ ব্যবসা করে যাচ্ছে।

১৯| ১৬ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১২

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

গ্রামে এসবের বিশ্বাস,চর্চা,ব্যবসা চলে ;কুসংস্কার কারও রক্তে রক্তে। সবচেয়ে প্রগেসিভ মানুষের আচরণ হলো-

: কবিরাজ ভুয়া, আগের গুলো সলিড ছিলো ; তবে জ্বীন আছে আমাদের মাঝেই, আমাদের পক্ষ থেকে ক্ষতি করা হলে,তারাও ক্ষতি করে

১৬ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৪

সোনাগাজী বলেছেন:



জ্বীন ধর্মীয় স্বীকৃতি পেয়েছে; ফলে, উহা ভুত বা পেত্নী থেকে একটু বেশী পরিকল্পিত।

২০| ১৬ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৪

মিরোরডডল বলেছেন:




আমি নিজেইতো একটা জলজ্যান্ত জ্বীন ।
আমি যদি কারো ওপর আছর করি, তার জীবন কিন্তু ছারখার :)
তাই আমি ভুত থেকে সাবধান !


১৬ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২০

সোনাগাজী বলেছেন:




আপনি একমাত্র জ্বিন হলে কোন অসুবিধা নেই।

২১| ১৬ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৬

মিরোরডডল বলেছেন:




জুন বলেছেন: দেখি কোনে থাকা ভুতটা ফুলতে ফুলতে ঘর ভরে ফেলছে।

মানে কি ????
জুআপু গল্পটা শেয়ার করবে, মনে হচ্ছে ফানি কিছু হবে :)

১৬ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৪

সোনাগাজী বলেছেন:



জুন সিরিয়াস মানুষ, কিছু একটা যে ঘটেছিলো, এটা নিশ্চিত

২২| ১৬ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৫

মিরোরডডল বলেছেন:




স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
এতো বড় আর লম্বা কুকুর কোথাও দেখিনি। দেহটা এমন যে ছয়টা পা থাকার মত। উচ্চতাও স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি।


এরকম কুকুর আছে, আমি দেখেছি এখানে ।
অফিস কলিগের তিনটা ছিলো, প্রথম প্রথম আমি অবাক হতাম কুকুর কখনও এতো বড় হতে পারে !
অনেকটা ঘোড়ার মতো এতো লম্বা আর উঁচু ।
কি যেনো বলে ওদেরকে, নামটা ভুলে গেছি ।


২৩| ১৬ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৯

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: মনোবিজ্ঞানের কিছু কিছু বিষয় আমার কাছে মন ভুলানো মনে হয়।
কোরআন মুখস্থ বলার বিষয়েও মনোবিজ্ঞানের ব্যখ্য্ আছে নিশ্চয়ই। এবং ওটা যে হাস্যকর হবে সে বিষয়ে আমি নিশ্চিত। তারচেয়ে কোন না ব্যাখ্যা না দাঁড় করানোই ভালো।

১৬ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৭

সোনাগাজী বলেছেন:


যার মুখে কোরান শুনেছেন, সে অবশ্যই মুখস্হ করেছিলো।

২৪| ১৬ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪১

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: there are many things in heaven and earth - William Shakespeare

১৬ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২২

সোনাগাজী বলেছেন:




কবিরা মানুষের ধারণাকে প্রকাশ করেন, মানুষের ভাবনাকে তুলে ধরেন।

২৫| ১৬ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৫

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: মিরোরডল,
আমার দেখা কুকুর আমার এলাকায় কোথা থেকে এলো? কে নিয়ে এলো? আর কেউ দেখলো না কেন?
অন্যদের চোখে পড়ার কথা। সারাদিনই বা কোথায় ছিল। অন্তত কেউ একজন তো দেখবে এবং এটা নিয়ে আলোচনা হবে। কারণ এটা বিশেষ একটা কুকুর। এমন কুকুর টিভিতেও দেখিনি।
সোনাগাজীর 'এলুশন ' এ বিশ্বাস না করা ছাড়া উপায়। এলুশনই ছিল।

১৬ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৮

সোনাগাজী বলেছেন:


আমি ৯ম শ্রেণী একরাতে ২টি চাঁদ দেখে ামার মাকে বললাম; তিনি আমার চোখ দেখে বললেন যে, চোখ ফুলে আছে। আসলে, চোখ ফুলেনি, তখন থেকে চোখে সমস্যা শুরু হচ্ছিলো।

আপনার বেলায় ইহা 'ইলুশন' ছিলো মনে হয়।

২৬| ১৬ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৮

আশিকি ৪ বলেছেন: ব্লগের বস্টিবাসীডের ফুষ্টে জাভেন না।

১৬ ই মে, ২০২২ রাত ৮:৫৬

সোনাগাজী বলেছেন:



ব্লগে আসাটা আগের থেকে কমেছে কিছুটা।

২৭| ১৬ ই মে, ২০২২ রাত ৮:১৮

তানভির জুমার বলেছেন: লেখক বলেছেন: মানুষ কুসংস্কার থেকে বেরিয়ে আসছে ক্রমেই; কেহ কেহ হয়তো কুসংস্কার থেকে বের হতে পারবেন না।

সর্বকালের সবচেয়ে বিক্রিত ৫টি বইয়ের মধ্যে ৩টিই ফ্যান্টাসি বই। বক্স অফিসে সর্বকালের সবচেয়ে ব্যবসা সফল ৫ টি সিনেমা সবগুলো ফ্যান্টাসি সিনেমা। নেটফ্লিক্সে সবচেয়ে জনপ্রিয় টিভি সিরিজগুলো ফ্যান্টাসি জনরার। যে ক'টি বিজ্ঞানভিত্তিক সিনেমা, টিভি সিরিজ জনপ্রিয়, সেগুলোও সাইন্স-ফিকশন।
এইযে তথ্যগুলো উল্লেখ করলাম, এগুলোর মধ্যে কোনো সূত্র খুঁজে পান? এই ন্যাচারাল সায়েন্সের দুনিয়ায়, ফ্যান্টাসি কেন এত জনপ্রিয়? বস্তুগত ব্যাখ্যার এই জগতে মানুষের কেন এত ঝোঁক সুপার ন্যাচারাল বা অতিপ্রাকৃতের প্রতি? এই আধুনিক যুগেও কেন ফ্যান্টাসি বই, ফ্যান্টাসি সিনেমা, টিভি সিরিজ মানুষ পছন্দ করে? কেন মানুষ শুধুমাত্র 'প্রকৃতি' নিয়ে সন্তুষ্ট না? কেন মানুষ ভাবে 'there's something beyond nature'? এই টেন্ডেন্সি মানুষের মধ্যে কীভাবে এলো? এটা কি ইনডক্ট্রিনেশন নাকি মানুষের সহজাত অনুভূতি?
আচ্ছা যদি ইনডক্ট্রিনেশন হয়, তবে কে ইনডক্ট্রিনেট করলো? কেউ বলবেন ধর্ম, কেউ বলবেন মিথোলজি। প্রশ্ন হচ্ছে ধর্ম এসব সুপারন্যাচারাল ধারণা কোথা থেকে পেল? কিংবা, কীভাবেই এলো এই মিথোলজিগুলো?
ধরুন একটা বাচ্চাকে ছোট থেকে এমন একটা পরিবেশে বড় করা হলো, যেই পরিবেশে চারপেয়ে কোনো জন্তু নেই। চারপেয়ে জন্তুর ধারণা পাওয়ার মত কোনো ছবি-ভিডিও-বইপত্র কিছুই নেই। ধরে নিন সামহাও, এই পরিবেশ ম্যান্টেন করা হলো। তাহলে সেই বাচ্চা কি তার মনে একটা বাঘ কল্পনা করতে পারবে? তার মনে কোনোভাবে কি চারপেয়ে কোনো জন্তুর কথা কিংবা ছবি আসবে? এটা কি সম্ভব? সম্ভব না। কারণ, তার মধ্যে এসব আইডিয়া নেই। সে শুধু তার চারপাশে যা কিছু দেখে তা-ই ভাবতে পারে। এর বাইরে না।
এবার ভাবুন, সবকিছুকে পেছনে নিয়ে যান। মানুষ, হাজার বছর ধরে এই দুনিয়ায় আছে। শুরুতে যখন মানুষ অস্তিত্ব লাভ করে, মানুষের বসবাস প্রকৃতিতে। মানুষের দৃষ্টিতে, শ্রুতিতে প্রকৃতিই ছিলো। প্রকৃতির বাইরে কিছু ছিলো না। তাহলে মানুষ অতিপ্রাকৃত, স্রষ্টার ভাবনা এসব পেল কী করে? প্রাকৃতিক মানুষকে অতিপ্রাকৃতের ধারণা দিলো কে?
একটা থিওরি হলো, মানুষ প্রকৃতির বিভিন্ন এলিমেন্টকে জোড়াতালি দিয়ে অতিপ্রাকৃতের ধারণা তৈরি করেছে। যেমন ঘোড়ার শরীর আর মানুষের মাথা মিলিয়ে একটা মিথোলজিকাল জীব তৈরি করেছে। পাখির উড়তে পারা দেখে মানুষ উড়তে পারা গড, ডেমিগড কল্পনা করেছে। বিদ্যুৎ চমকানো দেখে গড অফ থান্ডার কল্পনা করেছে। ঘোড়ার অনুরূপ ইউনিকর্ন কল্পনা করেছে। খুব সম্ভব, কিন্তু 'স্রষ্টা' ধারণাটি কীভাবে আসলো? প্রাকৃতিক দুটো বিষয়কে মিলিয়ে আরেকটা কিছু বানিয়ে ফেলাই যায়, তাই বলে একটা সম্পূর্ণ 'নতুন' আইডিয়া জেনারেট করা সম্ভব না 'শূন্য' থেকে। 'স্রষ্টা' এমন একটা আইডিয়া, যেটা একেবারেই শূন্য থেকে এসেছে। কেননা প্রকৃতি থেকে নেয়া আইডিয়াগুলো মিলিয়ে আরেকটা 'প্রকৃতি'ই বানানো সম্ভব, তাহলে সেখানে অতিপ্রাকৃতের আইডিয়া কী করে আসলো?
সকল মানবীয় ও প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যহীন একজন স্রষ্টার চিন্তা মানুষের মধ্যে কী করে আসলো?

I have two points:
১. মানুষ অতিপ্রাকৃতের ব্যাপারে সহজাতভাবেই আগ্রহী। প্রাচীন মিথোলজি থেকে শুরু করে আধুনিক বইপত্র, সিনেমা, সবকিছুতেই মানুষের সেই আগ্রহের প্রতিফলন দেখা যায়। তাই বিজ্ঞানের নামে মানুষকে যতই প্রকৃতিবাদের দিকে ধাবিত করা হোক না কেন, মানুষের এই টেন্ডেন্সি বদলানো যাবে না।
২. মানুষ অতিপ্রাকৃত সম্পর্কে ধারণা কোথা থেকে পেল? দুইটা প্রকৃতি মিলে কি একটা অতিপ্রাকৃতের ধারণা তৈরি করতে পারে? নাকি এই ধারণা মানুষের মধ্যে ইনডক্ট্রিনেট করেছে উচ্চতর কোনো অথোরিটি?

asif mahmud

১৬ ই মে, ২০২২ রাত ৯:২২

সোনাগাজী বলেছেন:



নতুন ফ্যানটাসীগুলোতে আধুনিক টেকনোলোজীর প্রয়োগ ও অভিসন্ধিস্যু মনের খোরাক সরবরাহ করা হচ্ছে। ভুতের বিশ্বাসের বুদ্ধির যায়গা নেই।

২৮| ১৬ ই মে, ২০২২ রাত ৯:৪৪

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: বললাম তো এলুশন মেনে নেয়া ছাড়া উপায় নেই।
এলিয়েন মেলিয়েনো আসতে পারে বলা যায় না।

আরেকটা এলুশন কিংবা আমার মিথ্যা জানিয়ে রাখি।
যে বাড়িতে আমি বাথরুমে আটকা পড়েছিলাম। সেই বাড়ির দরজা একবার ভেতর থেকে আটকে গিয়েছিল। পড়ে ছিটকিনি ভাঙতে হয়েছিল।
এই ঘটনার একটাই ব্যাখ্যা: বক্তা বানিয়ে বলছে।

আমার নানীর ঘটনার কি ব্যাখ্যা দেবেন?
যাওয়ার ভেঙ্গে চলে যাবে বলার এক মিনিটের ভেতর ঝড় বাতাস ছাড়া কাঁচা ডাল ভেঙ্গে গেল?
এই ঘটনার একটাই ব্যাখ্যা:
প্রতিবেশী আত্মীয় সবাই মিথ্যা বলছে।
বলে রাখা ভালো: এটা বহু আগের ঘটনা। আম্মা তখন অনেক ছোট।


টঙ্গীর ঐ মহিলা আমাদের পরিচয় , ফুফার পরিচয় জানলো কিভাবে?


থাকতে পারে সব ব্যখ্যা কিন্তু আমার কাছে মন ভোলানো হাস্যকর মনে হবে।

১৬ ই মে, ২০২২ রাত ৯:৫৩

সোনাগাজী বলেছেন:



মানুষ মাইক্রস্কোপিক প্রাণী ছাড়া বাকীদের দেখতে পায়; কিছু কিছু মাইক্রোস্কোপিক প্রানী দেহে প্রবেশ করলে রোগের সৃষ্টি হয়, এর বাহিরে ওদের কোন কর্মকান্ড করার ক্ষমতা নেই।

২৯| ১৬ ই মে, ২০২২ রাত ১০:১৩

সত্যপীরবাবা বলেছেন: ভুত-পেত্নি-জ্বিনদেরও মান অভিমান আছে। তাদের বিশ্বাস না করলে তারা ভীষন অভিমান করে। তাই যারা ভুত-প্রেত বিশ্বাস করে না অভিমান ভরে ভুত-প্রেত তাদের দেখা দেয় না। আর যারা বিশ্বাস করে, ভালবেসে ভুত-পেত্নি-জ্বিন তাদের বার বার দেখা দেয়। উপরেই এর সত্যতা আছে।

১৬ ই মে, ২০২২ রাত ১০:৫১

সোনাগাজী বলেছেন:



দেখতে চাইলে অভাব হওয়ার কথা নয়।

৩০| ১৬ ই মে, ২০২২ রাত ১০:৪৬

নিরীক্ষক৩২৭ বলেছেন: দাসপ্রথা, জাতপ্রথার যে জঘন্য ইতিহাস আছে , জীন ভুত বলে কিছু থাকলে মানুষ তাদের থেকে ধরে ফ্রি লেবার নেয়া শুরু করতো। :D

১৬ ই মে, ২০২২ রাত ১০:৫২

সোনাগাজী বলেছেন:



যদি থাকতো, বাংলাদেশের এলাকায় আসতো না ভয়ে।

৩১| ১৭ ই মে, ২০২২ রাত ১২:০৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমি মানুষ ভূঁত দেখিছি।
এখানেও আছে। মুখোশ
পড়া।

১৭ ই মে, ২০২২ রাত ১২:২৩

সোনাগাজী বলেছেন:



এগুলোর উপস্হিতি বুঝা যায়।

৩২| ১৭ ই মে, ২০২২ রাত ১:০২

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

বিশ্বের কতভাগ মানুষ (ধর্মীয়,মিথলজি,সাহিত্য) প্রভাবে জ্বীন,ভূত,প্রেত বিশ্বাস করে?

টেকনোলোজি দিয়ে এক্সপেরিমেন্ট( সুপারন্যাচারাল সামথিং) চালানো মানুষগুলোর ভাবনা কেমন?

১৭ ই মে, ২০২২ রাত ১:১৬

সোনাগাজী বলেছেন:



সুপার-ন্যাচারেল ধরনের কিছু নিয়ে রিসার্চে হচ্ছে বলে মনে হয় না; ব্যাপারটা কোনভাবে গুরুত্বপুর্ণ নয়। এশিয়া, আফ্রিকা ও দ: আমেরিকার গড়ে ৫০ ভাগ মানুষ এসবে বিশ্বাস করে থাকে।

৩৩| ১৭ ই মে, ২০২২ রাত ১:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশের মানুষ ভূত প্রেত্নী বিশ্বাস না করলেও জ্বীন ফেরেশতা বিশ্বাস করে ধর্মীয় কারনে। এমন কি শয়তানও বিশ্বাস করে।

১৭ ই মে, ২০২২ রাত ২:৪৯

সোনাগাজী বলেছেন:



ধর্মে এমন অনেক ধারণা আছে, যেগুলো আদি যুগের মানুষের বিশ্বাস ও ধারণা।

৩৪| ১৭ ই মে, ২০২২ ভোর ৫:৪০

বিষন্ন পথিক বলেছেন: জ্বীন ভুত প্রেত সত্য, আপনি না মানলে সেইটা আপনার বিবেচনা

১৭ ই মে, ২০২২ ভোর ৫:৪৪

সোনাগাজী বলেছেন:




আমি আর আপনি মানা বা না'মানার ব্যাপার নয় এটা, এটা হচ্ছে, লজিক্যালী ভাবলে, এই ধরণের কিছু কি থাকা সম্ভব, সেটানিয়ে আলোচনা। আদি কালের মানুষ্বের ভাবানায় অনেক ভুল ছিলো, কুসংস্কার ছিলো, তাদের আবিস্কার হচ্ছে, এসব ভুল ধারণা

৩৫| ১৭ ই মে, ২০২২ সকাল ৭:১৭

বিষন্ন পথিক বলেছেন: এই যে আপনার শহরে এত শুটিং হয়, এগুলো জ্বীন ভুতের আছর ছাড়া সম্ভব? বলা নাই, কওয়া নাই, বন্দুক একটা নিয়ে মানুষ শুট করে আসে।

১৭ ই মে, ২০২২ সকাল ৮:০৩

সোনাগাজী বলেছেন:


আমেরিকার বর্তমান সমাজ ব্যবস্হায়, প্রচুর মানুষ একাকিত্ব ও মানসিক সমস্যায় ভুগছে; ফলে, এসব ঘটছে।

৩৬| ১৭ ই মে, ২০২২ সকাল ৯:২৮

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আপনি খারাপ মানুষ তারপরও কেন আপনার পোস্ট এতো পড়া হয় এতো মন্তব্য হয়?

১৭ ই মে, ২০২২ বিকাল ৩:২২

সোনাগাজী বলেছেন:




আমাকে খল-ব্লগার প্রমাণ করার চেষ্টা করে অনেক ব্লগার ক্লান্ত হয়ে গেছেন। সম্প্রতি, ব্লগার ভুয়া মফিজ সাহেব বেশ খারাপ কথা বলছেন, উনিও ক্লান্ত হয়ে যাবেন।

৩৭| ১৭ ই মে, ২০২২ সকাল ৯:৪৫

সাসুম বলেছেন: সামু বল্গের ৯৯% মোমিন বল্গার এই জিন পরি ভূত প্রেত দেও দানো তে বিলিপ করে।

ইভেন সামুর এক মহামান্য বল্গার নাকি কালা কুকুরের পশ্চাৎপদে জিনের উপস্থিতি ও খুজে পান। সেখানে দেশের আপামর জনগণ।এইসব কিচ্ছাতে বিলিপ করলে আপত্তি করবেন কিভাবে???

১৭ ই মে, ২০২২ বিকাল ৩:২৪

সোনাগাজী বলেছেন:



সামুর শতকরা ৫০ ভাগ ব্লগারের লেখায় ভুল ধারণা থাকে, অপ্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে কথা বলেন আরো ২০ ভাগ।

৩৮| ১৭ ই মে, ২০২২ দুপুর ১২:১২

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: লেখক বলেছেন:
যার মুখে কোরান শুনেছেন, সে অবশ্যই মুখস্হ করেছিলো।


আমার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছি। আসলে কি ঘটেছিল সবরকম ভাবেই ভেবেছিলাম। এখন আর ভাবি না।
আপনি কোরআন মুখস্থের কথা বলছেন? ছেলেটা আমার একবারে পরিচিত। পাশের গলির বাড়ি এবং এলাকায় পরিচিত। গ্রামের এলাকা কিন্তু শহর বিদেশের মত নয়। কোথয় কি হচ্ছে সব জানা যায় একে অন্যের সাথে যোগাযোগ থাকার মাধ্যমে।
পাড়ার সবাই মিলে বিকেলে আমরা সবাই একসাথে ক্রিকেট খেলতাম।
একজন মানুষ গোপনে কোনআন মুখস্থ করে ফেলবে? এই ব্যাখ্যা দাঁড় করাতে কষ্ট হচ্ছে।
হয়তো অন্য ব্যাখ্যা আছে। সে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তো না। জুম্মাতে একসাথেই যেতাম প্রায়।
এখন গাজীপুরে টেক্সটাইলে ফ্যাক্টরীতে চাকুরী করে।

১৭ ই মে, ২০২২ বিকাল ৩:২৬

সোনাগাজী বলেছেন:



বাংলাদেশে গড় সবাই ৪/৫টা সুরাহ মুখস্হ রাখেন।

৩৯| ১৭ ই মে, ২০২২ দুপুর ১২:১৯

বিটপি বলেছেন: আমার ৩৩ বছরের জীবনে কখনও ভূতপ্রেত জাতীয় কিছু দেখিনি। তাই বলে দেখার সম্ভাবনাও কখনও উড়িয়ে দেইনি। তাই গভীর রাতে গাঁয়ের রাস্তায় একা হাঁটতে ভয় লাগে। বাসায় একা থাকতেও মাঝে মাঝে ভয় লাগে। কিন্তু ছাগলা ব্লগারের ভাষায় 'মোমিন ব্লগার' আমি নই। ভূত প্রেত বিশ্বাসের সাথে ইসলাম বা ঈমানের কোন সম্পর্ক নেই। কোন নাস্তিক ব্লগারও দাবি করতে পারবেনা যে সে ভূতের ভয় একেবারেই পায়না।

১৭ ই মে, ২০২২ বিকাল ৩:২৮

সোনাগাজী বলেছেন:


ভুত, প্রেত, জ্বীন হচ্ছে রূপকথার চরিত্র।

৪০| ১৭ ই মে, ২০২২ দুপুর ১২:২০

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: সাসুম বলেছেন: সামু বল্গের ৯৯% মোমিন বল্গার এই জিন পরি ভূত প্রেত দেও দানো তে বিলিপ করে।

ইভেন সামুর এক মহামান্য বল্গার নাকি কালা কুকুরের পশ্চাৎপদে জিনের উপস্থিতি ও খুজে পান। সেখানে দেশের আপামর জনগণ।এইসব কিচ্ছাতে বিলিপ করলে আপত্তি করবেন কিভাবে?


আপনার কি ধারণা ছিল। সামু ব্লগার মানেই অবিশ্বাসী। বিশ্বাসীদের তো জ্বীনেও বিশ্বাস রাখতে হবে। কিতাব দলিল তাই বলে।
আমার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছি যদিও জ্বীন আছে প্রমাণ করার জন্য না।

জ্বীনের কথা আসলে বিশ্বাসী অবিশ্বাসের কথা আসবেই। বিশ্বাসী ব্লগারাও মন্তব্যে আসবে।
সমস্যা হলে বলে দিতে পারেন , বিশ্বাসী ব্লগার হিসেবে ব্লগ ত্যাগ করতে পারি।
ব্লগ হচ্ছে আধুনিক চিন্তার পরিসর। এখানেই বিশ্বাসীদের পদচারণ না থাকাই ভালো।

১৭ ই মে, ২০২২ বিকাল ৩:৩২

সোনাগাজী বলেছেন:



মানুষকে লজিকে বিশ্বাস করতে হবে; রূপকথা হলো জীবনের রূপক, সত্য নয়।

৪১| ১৭ ই মে, ২০২২ দুপুর ১২:৫৫

রানার ব্লগ বলেছেন: মিরোরডডল বলেছেন:
আমি নিজেইতো একটা জলজ্যান্ত জ্বীন ।



আমার জ্বীন দেখার খুব সখ দয়া করে আমার সামনে প্রকট হন !!!

১৭ ই মে, ২০২২ বিকাল ৩:৩৩

সোনাগাজী বলেছেন:


মানুষের ভুল ধারণা আমাদের সংস্কৃতিতে আছে বলেই আমাদের লজিকেল ভাবনাগুলো দুর্বল।

৪২| ১৭ ই মে, ২০২২ দুপুর ২:০০

মুজাহিদুর রহমান বলেছেন: স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: ১।
একবার বেশ উঁচু পাঁচিলে অস্বাভাবিক লম্বা, মানে এমন লম্বা যে মাঝখানে আরেক জোড়া পা থাকতে পারে এমন কুকুর দেখেছিলাম সন্ধ্যাবেলা। যেমন পাঁচিল যেখানে কুকুর উঠা সম্ভব না।

২।
একবার এক বাসায় বাথরুমে ঢুকলে বাইরে থেকে দরজা আটকে দিয়েছিল কেউ। অনেক ধাক্কা ধাক্কি করলাম। মনে হলো ভাইরে কেউ দাঁড়িয়ে আছে। নিচে হয়ে দরজার নিচ নিয়ে দেখলাম বেড়ালের দুটো পা। সামনের দুইপা সম্ভবত দরজার সাথে ভর দেয়া ছিল। পরে বাসার লোক এসে দরজা খোলে এবং একটা বেড়ালকে জানালা দিয়ে পালাতে দেখে।

৩।
একবার এক রুগীকে দেখতে গিয়েছিলাম। ১৯ ২০ বছর বয়স। বাসায় অনেক জটলা। সে নাকি অস্বাভাবিক আচরণ করছে। তখন নিজেকে মিসির আলী দেখতে গিয়েছিলাম। দিয়ে দেখি মসজিদের হুজুর আছে। হুজুরের সাথে সে কোরআন শরীফ তেলাওয়াতের প্রতিযোগিতা শুরু করেছে। হুজুর কে বিভিন্ন সুরার আয়াত মুখস্থ বলে শোনাচ্ছে। আমি হুজুরকে বললাম, হুজুর এই ছেলে ভুলভাল কি বলছে।
হুজুর বলল, ভুল ভাল না । ঠিকই বলছে।
হুজুর কে কানে কানে বললাম, আচ্ছা সূরা তাকাসুর বলতে বলুন তো?
হুজুর তাকে বলল এবং আমাকে অবাক করে দিয়ে মুখস্থ বললো ।
তাকাসুর আমার মুখস্থ ছিল বলেই বলতে বলেছিলাম। যাতে ধরতে পারি। অবাক হয়েছিলাম কারণ ২০ বছরে ঈদ আর জুম্মা ছাড়া তাকে নামাজে দেখিনি।

৪।
আমার নানীকে সাতদিন ধরে খুব অস্বাভাবিক আচরণ করতে ছিল। সাতদিন ধরে কোন অবস্থার উন্নতি হতেছিল না। শেষমেষ আমার দাদাকে আনা হয়। দাদা গিয়ে আগে নানীকে সালাম দেন । নানী পুরুষ কন্ঠে সালামের উত্তর দেন। বলে নেয়া ভালো, কদিন ধরে নানী মাঝে মধ্যেই পুরুষ স্বরে কথা বলেছে। এরপর দাদার সাথে নানীর অনেক কথা হয়। সেই আলোচনা করবো না।
দাদাকে বলেছিল, আপনাকে দেখার শখ ছিল। আমরা এখন চলে যাবো। আমরা কোলকাতা থেকে এসেছি।

দাদা বললেন , চলে যাবেন বুঝবো কিভাবে?
নানী, দূরের বড় একটা গাছের ডাল দেখিয়ে বললো, আমরা যাওয়ার সময় ঐ মোটা ডালটা ভেঙে দিয়ে যাবো।
এবং মিনিট খানেকর মধ্যেই ডালটা ভেঙে যায়।

৫।
চাকুরীর সুবাদে ছোটআপা টঙ্গীতে থাকতো। আমি বেড়াতে গেলাম। নিচের ফ্ল্যাটের দুদিন হলো নতুন ভাড়াটিয়া উঠেছে। কারো সাথে যোগাযোগ হয়নি তাদের তখনো। বিকালে শুনলাম নিচে চিৎকার। পাশের ফ্ল্যাটের মহিলা এসে আপাকে ডাকলো , আসেন তো নতুন ভায়াটিয়ার বৌ কেমন যেন করছে।
একটু পড়ে আমরা গেলাম।
আমাদের দেখে বৌটা শান্ত হলো। তারপর বললো, আপনারা চলে যান। আপনারা আসবেন না। আপনাদের চিনি। আপনারা শামসুল হুদার লোক।

সৈয়দ শামসুল হুদা আমার বড়ফুফার নাম। তিনি কোলকাতার মানুষ। পীর ছিলেন। উনার নামে সড়ক আছে।


৬।
উপরের ঘটনা গুলো নিয়ে অনেক ভেবেছি। আমি নিজেই একটা পোষ্ট শেয়ার করেছিলাম 'অদ্ভুত আঁধার' নামে।
আরো ছোটছোট কিছু ঘটনা আছে। থাক।

হয়ত এই মন্তব্যের বিপরীতে বিরুপ প্রত্যুত্তর আসতে পারে। তারপরেও শেয়ার করলাম



বাদ দিন না, কি দরকার যে বিশ্বাস করে না তাকে বিশ্বাস করাতে যাওয়ার? সে বিশ্বাস করলেই আমার কি লাভ আর আর বিশ্বাস না করলেই বা আমার কি ক্ষতি? কি দরকার শুধু শুধু ক্যাচাল করে?

১৭ ই মে, ২০২২ বিকাল ৩:৪০

সোনাগাজী বলেছেন:





সমস্যা হচ্ছে, এইসব ভুল বিশ্বাসের কারণে আমাদের মানুষের লজিক্যাল ভাবনা দুর্বল, এরা সঠিকমতো ভাবতে পারেন না, এরা কোন দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারেন না; এরা অদক্ষ, সমাজের জন্য বোঝা।

৪৩| ১৭ ই মে, ২০২২ দুপুর ২:০৩

মুজাহিদুর রহমান বলেছেন: রাজীব নুর বলেছেন: আমি এসব বিশ্বাস করি না।
কুসংস্কার যারা লালন করে তারাই এসব বিশ্বাস করে।
আমার সামনে যদি সত্যি সত্যি জ্বীন টিন, ভূত টূত আসে- আমি বলব সামনে থেকে যা। নইলে থাপ্পড় খাবি।

হা হা হা।
ভয় নেই, আপনার সামনে কোনদিন আসবে না। সব জিনিস সবাই দেখতে পায় না।

১৭ ই মে, ২০২২ বিকাল ৩:৩৭

সোনাগাজী বলেছেন:



আমরা ভাইরাস ও জীবানু দেখতে পাই না; এগুলো সাপ বা কুকুর হয়ে যেতে পারবে না, মানুষের আকার ধারণ করতে পারবে না; ফলে, এ'গুলো রূপকথা মাত্র।

৪৪| ১৭ ই মে, ২০২২ দুপুর ২:১৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: জ্বীন -কে অবিশ্বাস করার কোন মানে নেই। অশরীরীদের মধ্যে একমাত্র জ্বন আছে বাকি সব বানানো।

কোরআনে স্পস্টভাবে জ্বীন নামক সূরা আছে ও তাদের সম্পর্কে বলা আছে।

১৭ ই মে, ২০২২ বিকাল ৩:৩০

সোনাগাজী বলেছেন:



জ্বীন যদি ভাইরাস হতো, সেটা নিয়ে চিন্তা করা যেতো; কিন্তু মানুষজন বলেন যে, ইহা বিবিধ প্রানীর রূপ নেয়,এখানেই সমস্যা, ইহা সম্ভব নয়।

৪৫| ১৭ ই মে, ২০২২ বিকাল ৫:০৮

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: লেখক বলেছেন:
বাংলাদেশে গড় সবাই ৪/৫টা সুরাহ মুখস্হ রাখেন।


আপনি কি আমার পুরা মন্তব্যটা পড়েনি। যে নামাজের ধার ধারে না সে গোপনে কোরআন মুখস্থ করে ফেললো। আবার ক্বারীদের মত তেলোওয়াত করছে।
আর সূরা আত - তাকাসুর অনেক নামাজীরাও মুখস্থ করে না।

১) আলহা-কুমুত্তাকা-ছু র।
২) হাত্তা-ঝুরতুমুল মাকা-বির।
৩) কাল্লা-ছাওফা তা‘লামূন।
৪) ছু ম্মা কাল্লা-ছাওফা তা‘লামূন।
৫) কাল্লা-লাও তা‘লামূনা ‘ইলমাল ইয়াকীন।
৬) লাতারাউন্নাল জাহীমা
৭) ছু ম্মা লাতারাউন্নাহা-‘আইনাল ইয়াকীন।
৮) ছু ম্মা লাতুছআলুন্না ইয়াওমাইযিন ‘আনিন্না‘ঈম।

আমি আমার বক্তব্য বিশ্বাস করতে বলছি না। জ্বীন ফেরেশতাদের কে বিশ্বাস করতে বলছিনা। কিন্তু গা জ্বালানো প্রতিউত্তর দেবেন না। আমি বলছি কুরআনে ১১৪টি সূরার কথা আর আপনি আছেন ৪৫টা সুরা নিয়ে। সূরা ফাতিহা,
সুরা কাওসার, সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক্ব, সুরা নাস তো আপনাও মুখস্থ থাকতে পারে।

সব চেয়ে সহজ ব্যাখ্যা হচ্ছে আমি মিথ্যা বলছি। ব্যস।




১৭ ই মে, ২০২২ বিকাল ৫:৩৮

সোনাগাজী বলেছেন:




আপনি মিথ্যা বলেননি; ঐ ছেলেটা সম্পর্কে সব তথ্য আপনার কাছে ছিলো না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.