নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একমাত্র সোস্যালিষ্ট অর্থনীতি বাংগালী জাতিকে নিজ পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করবে।
জোস্না আমাদের পাশের গ্রামের একটি বড় বাড়ীর আদুরে কিশোরী ছিলো; সে সব সময় হাসিখুশী থাকতো, নম্রতা ও স্নিগ্ধ সৌন্দয্যের জন্য সবাই তাকে বেশ আদর করতো।
আমাদের উত্তর পাশের গ্রামের ১টি বাড়ীর নাম ছিলো, বড় বাড়ী; শুধুমাত্র বাড়ীর আয়তন ও লোক সংখ্যার কারণে বাড়ীটিকে বড় বাড়ী বলা হতো; লোকজন আসলে মোটামুটি বেশ দরিদ্রই ছিলো। ওরা অন্যদের চেয়ে একটা দিক থেকে আলাদা ছিলো, বাড়ীর লোকজন বেশ সুন্দর ছিলো, দরিদ্র হলেও পরিপাটী থাকার চেষ্টা করতো; বিয়ে শাদীটা তারা নিজেদের মাঝে সেরে ফেলতো; ওদের মেয়েগুলো দেখার মতো সুন্দরী ছিলো; গ্রামের লোকজনের সাথে ওদের মেলামিশাও কম ছিলো; ওরা গ্রামে তেমন কাককর্মও করতো না, পাহাড় থেকে বাঁশ, বেত, কাঠ এনে বিক্রয় করতো। সেই বাড়ীর মেয়েদের মাঝে শুধু জোস্নাকে ছোটকাল থেকে গ্রামের অন্যদের বাড়ীতে যেতে দেখে আসছি।
আমি ৮ম/৯ম শ্রেনীতে পড়ার সময় জোস্না সপ্তাহে ২/১ বার আমাদের বাড়ীতে আসতো; আমার বড়বোন আদর করে নারিকেল তেল দিয়ে চুল বেঁধে দিতো, চা খেতে দিতো। আমি কাছারীতে থাকলে, আসা যাওয়ার সময় ১মিনিটের জন্য জোস্না কাছারী ঢুকতো। আমাকে পড়ার টেবিলে দেখলে আমাকে বলতো,
-তুই বইতে কি দেখিস সারাক্ষণ, আমি এসেছি দেখছিস না? তুই স্কুলের মেয়েদের সাথে অকারণ বকবক করিস, আমার সাথে কথা বলিস না কেন?
সে বাতাসের মতো আসতো, বাতাসের মতো চলে যেতো। আমার বড় বোন একদিন বলেছিলেন,
-জোস্নার সাথে তেমন কিছু বলিস না; ওর মনটা অনেক বড়, শেষে একদিন মনে কষ্ট পেতে পারে।
জোস্না আমার চেয়ে ২/১ বছরের বড় ছিলো। দিন দিন সে আরো সুন্দরী হয়ে উঠছিলো। আমি শহুরে কলেজে ভর্তি হলাম, বাড়ী এলে খামারে থাকতাম, জোস্নার সাথে তেমন দেখা হতো না। সেবার শুকনোর দিনে ছুটিতে বাড়ী এলাম; এক দুপুরে কাগজ কেনার জন্য উত্তর দিকের বাজারে যাচ্ছিলাম জোস্নাদের বাড়ীর পাশ দিয়ে; দেখি জোস্না ছুটে আসছে, সে যেভাবে আসছে, আমার মোটামুটি ভয়ই লাগছিলো, লোকজন কি ভাববে। কাছে এসে বললো,
তুই কোথায় যাচ্ছিস?
-কাগজ কিনতে দোকানে যাচ্ছি!
-কাগজ বাদ দেয়, আমার খুব ইচ্ছে হচ্ছে মিষ্ট খেতে; তোর কাছে পয়সা আছে?
-আছে!
-যা মিষ্টি নিয়ে আয়, এখানে ফিরে আছিস, বাজারে আড্ডা দিস না, আমি বাড়ী থেকে খেয়াল রাখবো।
আমি পুরো পয়সা দিয়ে মিষ্টি কিনে আনলাম; বাড়ীর পাশে আসতেই সে বেরিয়ে এলো, সাথে তার ৬/৭ বছরের খালাতো বোন। সে বললো,
-চল, বাড়ী চল।
-তোর মাথা খারাপ, তোদের বাড়ীর লোকজন কি ভাববে?
-তুই ভয়ে আছিস, ঠিক আছে, এখানে বস, চল মিষ্টি খাই। এটি আমার খালাতো বোন; দেখছিস কি সুন্দরী হবে, ওকে মিষ্টি খাওয়ায়ে দেয়, সে তোর হবে; ওকে স্কুলে দেবো, তোর মতো পড়ালেখা করবে। আমার কপালে তো পড়ালেখা ছিলো না।
০৫ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৮
সোনাগাজী বলেছেন:
গ্রামে বড় হলে মেয়েদের সাথেই বড় হতে হয়; মেয়েরা আকাশের মতো উদার মনের হয়ে থাকে।
২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:১৩
রানার ব্লগ বলেছেন: বেদের মেয়ে জ্যোৎস্না!!???
০৫ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:১৮
সোনাগাজী বলেছেন:
গ্রামে বেশ প্রচলিত নাম
৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:২০
মিরোরডডল বলেছেন:
-তুই বইতে কি দেখিস, আমি এসেছি দেখছিস না? তুই স্কুলের মেয়েদের সাথে অকারণ বকবক করিস, আমার সাথে কথা বলিস না কেন?
বাব্বা কি কমান্ডিং !!!
এর উত্তরে কি বলেছিলো খেলাঘর ।
মনে হয় কিছুই বলেনি, নীরব ছিলো ।
০৫ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:২৪
সোনাগাজী বলেছেন:
নীরব না'থেকে উপায় ছিলো না।
৪| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:২৭
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: বড় বাড়ীর মেয়ে, জোস্না আপনাকে কথা দিয়েছিল।
আসি আসি বলে জ্যোৎস্না ফাঁকি দিয়েছিল।।
০৫ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৩৯
সোনাগাজী বলেছেন:
গ্রামের মেয়েরা সরল, বুঝে শুনে চলতে হয়।
৫| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১৩
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
বড় মনের জোস্নার সাথে রাতে একসাথে জোস্না দেখেছেন কখনো?
০৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ২:৪২
সোনাগাজী বলেছেন:
না, জোস্না সরল, কোমল মনের একজন কিশোরী ছিলো;সে তার আপন ভুবনে ছিলো।
৬| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৩১
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
খালাতো বোন বড় হওয়ার পরে আপনার সাথে আর দেখা হয়েছিলো?
০৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ২:৪৩
সোনাগাজী বলেছেন:
ওদের সাথে আমার সময়ে সময়ে দেখা হয়েছিলো।
৭| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৩২
নেওয়াজ আলি বলেছেন: তারা এখন কোথায় কেমন আছে খোঁজ নিবেন
০৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ২:৪৪
সোনাগাজী বলেছেন:
সর্বশেষ ২০১৯সালে দেখেছিলাম; দু'জনেই ভালো আছে।
৮| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১:১৮
জগতারন বলেছেন:
পড়লাম, গল্প ভালো হয়েছে।
লাইক ও দিলাম।
দেশে আসলে চা'টা খাওয়েন।
০৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ২:৪৫
সোনাগাজী বলেছেন:
অবশ্যই দেখা হবে, কথা হবে, ধন্যবাদ।
৯| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: মেয়েদের প্রতি আপনার একটা অন্যরকম সরলতা ও ভালো লাগা আছে।
কিন্তু এখন কোনো ভালো মেয়ে খুঁজে পাবেন না। হোক সেটা গ্রামে বা শহরে। বেশির ভাগ মেয়ে এখন ক্রিমিনাল । নানান রকম জটিলতায় কুটিলতায় ভরা দের মন।
০৬ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৫৪
সোনাগাজী বলেছেন:
আমাদের সমাজপতি হচ্ছেন পুরুষেরা, এদের বেশিরভাগই লতাপাতা, নারীরা সংসারে সমান অবদান রাখতে পারে না; পরিবারের জন্য তাদের মতামাত নেয়াই হয় না।
১০| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৩৫
শাহ আজিজ বলেছেন: আপনার এই লেখাটি কেন নজর এড়িয়ে গেল ? এইমাত্র দেখতে পেলাম ।
০৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:০৭
সোনাগাজী বলেছেন:
তাই?
আমি গ্রামে বড় হয়েছিলাম, গ্রামের মেয়েদের এখনো সহজে বুঝতে পারি।
১১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:২৫
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: লেখা অসমাপ্ত থাকে। বিস্তারিত লিখবেন।
০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৩৩
সোনাগাজী বলেছেন:
জীবনের কাহিনী লম্বা, রূপরেখা থেকে উহাকে অংকন করতে হয়। কাহিনী তো লেখা আছে, জোস্না বলেছিলো, "আমার কপালে তো পড়ালেখা ছিলো না"।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৫
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
আপনার গল্পগুলো 'শেষ হয়েও হলো না শেষ' টাইপ থাকে।
এবারেরটাও তেমনই হয়েছে।
আপনি ভাগ্যবান। ছোটকালে আপনার অনেক মেয়ে বন্ধু ছিলো।