নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষাই দরিদ্রদের জন্য সম্পদ।

সোনাগাজী

একমাত্র সোস্যালিষ্ট অর্থনীতি বাংগালী জাতিকে নিজ পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করবে।

সোনাগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

অর্থনীতির সাইজ ও মাথাপিছু আয়ের তুলনায় জাতির ঋণ অনেক ভারী

১৩ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৪৬



আমেরিকার সরকার তার ৪বছর মেয়াদে কি পরিমাণ ঋণ নিতে পারবে, উহার পরিমাণ নির্ধারিত করা থাকে; যদি কোন বিশেষ কারণে ইহার চেয়ে বেশী ঋণ নিতে হয়, কংগ্রেস থেকে উহা পাশ করায়ে নিতে হয়। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার যখন ঋণ নেয়,পার্লামেন্ট সদস্যরা হয়তো মিডিয়া থেকে শোনে।

বাংলাদেশের ঋণ ১০৫ বিলিয়নের উপরে চলে গেছে, যথাসম্ভব; আমেরিকার বর্তমান ঋণ সাড়ে ২৪ ট্রিলিয়নের কাছাকাছি, ইহা ফাইন্যান্স ইতিহাসের জন্য এক বিশাল ঘটনা; আমেরিকান সরকারের ঋণ মেইনটেইন করতে প্রায় ৫০ বিলিয়ন ডলার খরচ হয়, ইহা বাংলাদেশের আসল বাজেটের সমান, কিংবা কাছাকাছি; কিন্তু আমেরিকা বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি ( ২১ ট্রিলিয়ন)।

বাংলাদেশের অর্থনীতির সাইজ ( ৪৩ তম স্হান ), সরকারী আয়, বাজেট ও মাথাপিছু আয়ের তুলনায় ১০৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ হচ্ছে, খুবই ভারী ঋণ।

বাংলাদেশ সরকারের সাম্প্রতিক আইএমএফ ঋণ নিয়ে আমি ব্লগে ১টি পোষ্ট দিয়েছিলাম, বাংলাদেশ সরকার ঋণ পাচ্ছে; কোন একজন ব্লগার কমেন্টে বারবার বলছিলেন যে, বাংলাদেশ ঋণ চেয়েছে, তবে, উহা পাচ্ছে কিনা পরিস্কার নয়, আমি কেন বলছি পাচ্ছে! এতে একটা ব্যাপার পরিস্কার হলো যে, অনেকেই এসব ব্যাপারে খোঁজ খবর রাখেন না। ব্লগারেরাই যদি এসব ব্যাপার না জানেন, দেশের বাকীদের অবস্হা কি?

গত ২সপ্তাহে মিডিয়ার সংবাদ ও ব্লগের ২/৩টি পোষ্ট পড়ে বুঝলাম যে, আইএমএফ সেসব শর্ত দিয়েছে, সেগুলো ভয়ংকর কঠিন শর্ত, অনেকটা 'স্বাধীনতা বিক্রয়' করে দেয়ার মতো। আমার মতে, আইএমএফ এবারই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সরকারকে কিছু দরকারী শর্ত মানতে বাধ্য করতে পেরেছে।

এবারের শর্তগুলো খুবই সাধারণ ও বাংলাদেশের জন্য দরকারী শর্ত; বাংলাদেশের প্রশাসনের লোকেরা এই বিপদের দিনে সব শর্তে অবশ্যই "হ্যাঁ" বলেছে, যা তারা কোন দিনও মেনে চলবে না; সর্বোপরি, আজ থেকে ২/৩ বছরে বিশ্বের অর্থনীতি একটু ভালো হলে, আইএমএফ নিজেই এসব শর্তের কথা ভুলে যাবে, এবং আইএমএফ'এর কর্মচারীরা কে কোথায় থাকবে কেহ জানে না। বাংলাদেশের ব্যুরোক্রটরা কোন নিয়ম মেনে চলে?

আসলে, দেশের অবস্হা দেখে মনে হচ্ছে, বর্তমান অবস্হায় ঋণটার খুব একটা দরকার নেই; সরকার নিয়েছে রিসেশানের ভয়ে, ইহাকে ব্যবহার করার জন্য কিসব প্ল্যান জমা দিয়েছে শুধু আল্লাহ জানেন; যদি বিশ্ব রিসেশানে গার্মেন্টস থেকে রেভেনিউ কমে, তখন হয়তো দরকার হবে; না'হয় বরাবরের মতো ইহা কোথায় গেছে হদিস থাকবে না।



মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:০২

আখেনাটেন বলেছেন: আইএমএফ-এর ক্রেডিট নেয়া ছাড়া সরকারের আর কোনো পথ খোলা নেই। প্রকৃত রিজার্ভ ২৬ বিলিয়নে নেমে এসেছে (প্রথম আলো)...এখন দেখার বিষয় ফেব্রয়ারিতে ক্রেডিটের কিস্তি শুরু হলে তা জনগণের কাজে লাগে নাকি আমলা-নেতারা বানরের রুটি ভাগের মতো তথাকথিত প্রজেক্টের মাধ্যমে কিয়দংশ নিজেদের থলিতে ভরে। এর উপরেই দেশের অনেক কিছু নির্ভর করছে। সাথে সামনে আসছে কামড়াকামড়ির নির্বাচন। জনগণ বাটে পড়েছে।

**প্রথমত বাংলাদেশের বাজেট আপনার উল্লিখিত (৫০ বিলিয়ন) সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি (প্রায় ৭০ বিলিয়ন ২২-২৩)।

১৩ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:১৪

সোনাগাজী বলেছেন:



প্রশাসন ও অর্থমন্ত্রী মিলে এসব ডলার দিয়ে কি করবে আল্লাহ ব্যতিত কেহ জানে না; আমদানীতে বাংলাদেশ সরকার সব সময় লাভ করে, যদি 'রিজার্ভ' হিসেবে ব্যবহার করে, ডাকাতী কম হবে।

দরকারের চেয়ে বেশী লোন করছে প্রশাসন; যেই পরিমাণ বিদেশী লোন নিয়েছে বাংলাদেশ, সমপরিমাণ টাকা ডাকাতী হয়েছে সরকারী তহবিল থেকে।

২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:১৩

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


ঋণ বাংলাদেশে কি কি কাজে এসেছে?

১৩ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:১৬

সোনাগাজী বলেছেন:



ঋণ বিদেশী মু্দ্রা সাপ্লাই করেছে, আমদানীর পেমেন্টে ব্যবহৃত হয়েছে ও ঢাকায় ঘরবাড়ী তৈরিতে ব্যবহৃত হয়েছে।

৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:২২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আইএমএফ এর শর্তের জালে আটকে এই ঋণ নেওয়ার মুল কারণ কী আপন মনে হয়

১৩ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:২৮

সোনাগাজী বলেছেন:


প্রথমত: কোন ধরণের শর্তের জালে আটকেনি দেশ; বাংগালীরা আল্লাহকে ফাঁকি দেয়, সেখানে সামান্য আইএমএফ। যেই শর্তগুলো দিয়েছে, এগুলো কার্যকরী করলে ঋণটা কিছুটা কাজ দেবে।

ঋন পেতে ব্যুরোক্রেটরা সব কিছুতে "হ্যঁ হ্যাঁ" বলেছে; আইএমএফ এদেরকে চিনে, ওরা জানে, এরা কোন শর্তই মানবে না।

৪| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১২:০০

স্বাধীন বাংলা ৭১ বলেছেন: আপনি এতো সুন্দর লিখেন, অনেকে আপনাকে হিংসা করবে। দারুণ পোস্ট।

১৪ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১২:১০

সোনাগাজী বলেছেন:



ধন্যবাদ।
পোষ্ট আমাদের জাতির ঋণ পরিস্হিতির সাথে মিল আছে?

৫| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১২:২২

স্বাধীন বাংলা ৭১ বলেছেন: সরকারের ফান্ড খালি। লোন ছাড়া উপায় কী?

১৪ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৪২

সোনাগাজী বলেছেন:



কোভিডের পর, সরকারের আয় কম, ইহা পরিস্কার; কিন্তু অর্থমন্ত্রী সর্বকালের বৃহৎ বাজেট পেশ করেছে, বুঝতে পারেন, উহার মাথায় কি আছে!

৬| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:১২

কবিতা ক্থ্য বলেছেন: এই ঋন বাংলা দেশের জন্য না।

১৪ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:৫৭

সোনাগাজী বলেছেন:




দেশে কি ঘটবে, উনি ঠিক জানেন না; কারণ, কোন কিছুর উপর তেমন নিয়ন্ত্রণ নেই; তাই হাতে কিছু টাকা রাখছেন। সরকারের আয় কমে গেছে।

৭| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:২৪

কবিতা ক্থ্য বলেছেন: আমার মনে হয়- এই টাকা নেয়া হয়েছে মন্ত্রী এবং আমলাদের পরিবারের জন্য যারা বিদেশে থাকে।
কারন - তাদের চলার জন্য টাকা দেশ থেকেই ব্যবস্হা করতে হয়।
রিজার্ভ কম- সবার নজর সেই দিকে।

২৬ বিলিয়ন হিসাব করে খরচ করলে- ঋনের দরকার হয় না।

৪৫০ বিলিয়ন ঋনের পুরোটা ই যাবে - এই সকল গাদ্দারদের পকেটে। আর শোধকরতে হবে - বিদেশে কর্মজীবি শ্রমিক, কৃষক আর গার্মেন্টস কর্মীদের।

শেষ সময় যতটুকু লুট করা সম্ভব - তা করাটা ই বুদ্ধিমানের কাজ।
যেমনটা করেছে বৃটিশরা ভারতবর্ষ ছাড়ার সময়।

১৪ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:০২

সোনাগাজী বলেছেন:



সঠিক প্ল্যান করা করার মতো লোক বাংলাদেশে নেই।

চাকুরী যে সৃষ্টি করতে হয়, এই কথা কোন বাংগালী কোন কালে উচ্চারণ করেনি। মানুষকে যে, ফ্রি পড়ানো সম্ভব,এই কথা কোন বাংগালীর মাথায় আসনি।

বাংগালী ব্যুরোকরেটরা মানুষকে বর্তমান অবস্হা থেকে ভালোর দিকে নিতে চাইবে না কখনো। তারা টাকা দিয়ে কি করে, সেটা জানার কোন উপায় নেই; তবে, ঢাকায় যত বড় বাড়ী হয়েছে, তার বড় অংশ দুর্নীতির টাকায় উঠেছে।
}

৮| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:১৬

বঙ্গদুলাল বলেছেন: বাংলাদেশে কী পরিমাণ রিজার্ভ সব সময় রাখা দরকার?বাংলাদেশ কোন কোন ক্ষেত্রে রিজার্ভ কাজে লাগাতে পারে?চাকুরি সৃষ্টিতে আপনার কয়েকটি ফর্মুলা সংক্ষেপে বলুন।

১৪ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৪৮

সোনাগাজী বলেছেন:



আমাদের আমদানীর পরিমাণ ও আমদানীকৃত দ্রব্যের উপর লাভের পরিমাণ থেকে মনে হয়, ৩০ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ হলেই এখন চলবে।

চাকুরী সৃষ্টির জন্য ১ম পদক্ষেপ হিসেবে, নিত্য-ব্যব হার্য সকল প্রকার দ্রব্য দেশে উৎপাদন করার জন্য ছোট আকারের শিল্প স্হাপন সরকারী/সাধারণ মানুষের ক্যাপিটেলের সাহায্যে। বাকীগুলো লেখার জন্য আলাদা পোষ্ট দরকার।

৯| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:২৩

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: আইএমএফ এর শর্তগুলো কি কি ?

আইএমএফ বাংলাদেশকে যে অর্থ দিচ্ছে, সেটার পোশাকি নাম হচ্ছে, "ঋণ" । মূলত আইএমএফ এর কাছে সম্পদ বন্ধক রেখে বাংলাদেশ টাকা নিচ্ছে । গ্রাম-গঞ্জে মোড়লদের কাছে যেভাবে গ্রামের বিপদগ্রস্ত অভাবী মানুষ চড়া সুদে টাকা নেয় অনেকটা সেই রকম। এখানে জনগণের ক্ষতি ছাড়া আর কারো কোন ক্ষতি নাই । যদি সরকারের পতন হয় তা হলে এই সরকারের কোন দায় বা মাথা ব্যথা থাকবে না ঋণ শোধ নিয়ে । তেমনি দেশকে দেউলিয়া বানানো কারিগরেরাও বেগম পাড়ায় গিয়ে আশ্রয় নেবে । তবে কঠিন ভবিষ্যত আসছে , কেউ পার পাবে না । যার যার দায় তাকে মেটাতে হবে ।

১৪ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৫৪

সোনাগাজী বলেছেন:


আইএমআফ বলেছে যে, টাকাগুলো সম্ভব হলে জলবায়ু পরিবর্তন কন্ট্রোলে আনার মতো/গ্রীন প্রজেক্ট সমুহে ক্যাপিটেল হিসেবে ব্যবহার করার জন্য, সরকার যেন সঠিকভাবে ভ্যা ট আদায় করে, ঋন-খেলাপীদের আর ঋন না দেয়, সরকারী ব্যাংকগুলোকে যেন বারবার ফাইন্যান্সিং না'করে, সঠিক সময়ে ঋণ শোধ করে।

আইএমএফ'এর লোন থেকে বাংলাদেশ দেউলিয়া হবে না, ইহার রেইট শতকরা ২ভাগের আশেপাশে।

১০| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: আগামী বছর দুর্ভিক্ষ হবে, এই কথা শেখ হাসিনা বলেছেন কারন নির্বাচনটা যেন পিছানো যায়।
আগামী বছর যদি সত্যিই দূর্ভিক্ষ হয়, তাহলে শেখ হাসিনা সহ অনেক মন্ত্রী দেশ ছেড়ে পালাবে।

শেখ হাসিনার ছেলে ভালো কথা বলতে পারেন না। গতকাল এক অনুষ্ঠানে অনেক ভুলভাল কথা বলে গেছেন। তার কথা শুনে লোকজন হাসে।

অর্থনীতি এবং রাজনীতি আমি একেবারেই বুঝি না। আসলে আমি বুঝতে চাইও না। প্যারা যত কম নিয়ে পাড়া যায়।

১৪ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৫৬

সোনাগাজী বলেছেন:



সবাই পালালেও শেখ হাসিনা পালাবে না; প্রশাসন ও মিলিটারী উনাকে আরো কিছু সময় ধরে রাখবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.