নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একমাত্র সোস্যালিষ্ট অর্থনীতি বাংগালী জাতিকে নিজ পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করবে।
৫ম কিংবা ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে রবী ঠাকুরের "আমার ছেলেবেলা" লেখাটা পড়ে, মনে মনে অনেক কষ্ট পেয়েছিলাম: কলিকাতার ধনী পরিবারের ছেলেপেলে কিভাবে স্বর্গের পরিবেশে বড় হয়, আর আমার কি অবস্হা? তখন বুঝতে কষ্ট হলো না, ঠাকুর কেন কবিতা লিখতে পারতেন, আর আমি কেন গরু চরাতে ভালোবাসি। সান্ত্বনাও খুঁজে বের করলাম, রবী ঠাকুরদের নিশ্চয় এতগুলো গরু ছিলো না; হয়তো, নালার পানি মেশানো দুধ খেতেন কবি; বেচারা কলিকাতায় নিজ বাড়ীতে ব্রজেশ্বরের কঠোর শাসনে থেকে বড় হয়েছেন, চাইলেও মায়ের কাছে যেতে পারতেন না, হয়তো ফুটবলে পা' লাগানোর সুযোগও পননি।
ছোট বেলায়, কলিকাতা ও বেংগুন আমার স্বপ্নের শহর ছিলো; আমাদের আশপাশের যারা কলিকাতা ও রেংগুন থাকতেন, তারা মাসে মাসে বউদের জন্য টাকা পাঠাতেন; আমি ২য় শ্রেণী থেকে শুরু করে ৮ম শ্রেণী অবধি গ্রামের প্রবাসীদের বউদের অনুরোধে তাদের স্বামীদের কাছে পাঠানোর জন্য চিটি লিখে দিতাম। সেসব চিঠিগুলোতে একটা বাক্য সব সময় থাকতো, "শীঘ্রই বাড়ী আসিও"; ইহা আমার আজো মনে রয়ে গেছে; কোন মেয়ের স্বামী প্রবাসে আছে শুনলে আমার ভালো লাগে না। কলিকাতা থেকে যারা বাড়ী আসতেন, তাদের প্রায় সকলেই ১টা কলের গান আনতেন আর বউয়ের জন্য কলিকাতার শাড়ী আনতেন। সেই কলিকাতাতেই এক সময় রবীঠাকুর, মধুসুদন দত্ত, শরৎ বাবু বাস করতেন,কবি নজরুল ইসলাম বাস করেন। রেংগুণ গেলে মানুষ ফিরে আসতেন না; কেহ ফিরে এলে,সাথে একটা সেই দেশী ব্উ থাকতো।
৫ম শ্রেণী থেকে বাবার অভাবটা অনুভব করতাম, বাবার সংগে অনেক ভালো সময় কেটেছে; বাবা চট্টগ্রাম শহরে মিউনিসিপালিটিতে কেরানীর চাকুরী করতেন, একই সাথে চাষবাস চালিয়ে যেতেন; সপ্তাহ শেষে ট্রেনে বাড়ী আসতেন, রাত ১০টার ট্রেনে, আমি হারিকেন নিয়ে ষ্টেশন থেকে নিয়ে আসতাম; দুইজনে ষ্টেশনে উনার বন্ধুর দোকানে বসে চা খেতাম। শেষের ২ বছর চাকুরী ছেড়ে দিয়ে পুরোপুরি চাষ করেছেন; বাবার সাথে আমিও চাষী হলাম; কিন্তু বাবার মৃত্যুর পর, উনার চাষের মন্ত্রটা ভুলে গিয়ে ছিলাম, সেই ভুলের জের টানছি এখন, জীবনটার একাংশ কেটে গেছে প্রবাসে, মানুষের কোন কাজে লাগিনি।
বাবা না'থাকলে যা ঘটে, কোন অনুশাসন ছিলো না; আমার মা আমার উপর নির্ভর করতেন, তিনি আর কি অনুশাসন করবেন; পরিবারের একমাত্র চলার উপায়, আয় ছিলো চাষের থেকে, সেটা আমার উপর, বাকী ভাইয়েরা এই কাজ পছন্দ করতেন না। আমি চর এলাকায় ফুটবল খেলতে যেতাম, সেখানকার প্রতি খেলায়ই মারামারি হত; তাই, মা পছন্দ করতেন না যে, আমি চর এলাকায় গিয়ে ফুটবল খেলি; মা এটুকুই চাইতেন।
অষ্টম শ্রেনীর শেষের দিকে আমি খেয়াল করলাম যে, বইয়ের শব্দের সব অক্ষর একই লাইনে থাকে না, কেমন উঁচুনীচু, তরংগায়িত; কিছুদিন পড়া বন্ধ করে অপেক্ষা করে দেখলাম, কোন পরিবর্তন নেই। চট্টগ্রাম শহরে গিয়ে, লালদীঘির পাড়ে এক ডাক্তারকে দেখালাম, তিনি দেখে টেখে বললেন, চশমা লাগবে; মনটা খারাপ হয়ে গেলো, বই না'হয় কম পড়লাম; কিন্তু চশমা দিয়ে খেলবো কি করে? বুঝলাম, খেলার ইতি টানতে হবে।
১২ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৩:০৪
সোনাগাজী বলেছেন:
ঠাকুর চেষ্টা করেছেন আমাদের ভাষাকে শক্তি দিতে; সংখ্যার দিক থেকে আমরা বড়, জ্ঞানের দিক থেকে ছোট; তিনি নোবেল পেয়ে আমাদের সবাইকে কিছুটা হলেও বড় করে গেছেন।
২| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ২:৪৭
কামাল১৮ বলেছেন: চোটবেলা থেকে দায়িত্ব নিতে শিখেছেন।এই জন্য দায়িত্ববান হয়েছেন।
রবি ঠাকুর বাংলা সাহিত্যর একজন বড় সাতিত্যিক কিন্তু সকল মানুষের সাহিত্যিক না।তার সাহিত্য হলো ভাবের সাহিত্য।সাধারন মানুষের সাহিত্য না।আপনি যাই লেখেন যত অল্পই লিখেন সেখানে সাধারন মানুষের কথা থাকে।জীবনের কথা থাকে।
১২ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৩:৪৮
সোনাগাজী বলেছেন:
চাষী হলে কিছু মানুষকে খেতে দিতে পারতাম, ভুল হয়ে গেছে।
১২ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:৪৫
সোনাগাজী বলেছেন:
আপনি ধর্মীয় পোষ্টগুলোতে মন্তব্য না'করে, রাজনৈতিক, সামজিক, চলমান ঘটনাপ্রবাহ ও সাহিত্য বিষয়ক পোষ্টে কমেন্ট করলে ভালো হবে।
৩| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ২:৫৬
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: তা ঠিক, কোনো এক কালে বাংলাকে ঠাকুরের দেশ নামে লোকে চিনতো। উনি প্রভাব প্রতিপত্তি শালী ছিলেন। আমি চাষার ছেলে তাই দৌড়ে দূরে সরেছি।
১২ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৩:০২
সোনাগাজী বলেছেন:
এখনো বাংলাদেশের ৫০ ভাগ মানুষ (৯ কোটী ) চাষের সাথে যুক্ত, শহরের মানুষের গালির মাঝে, গালি হিসেবে "চাষী" শব্দটাও আছে।
৪| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২২ ভোর ৫:৫২
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: জি তা আমি জানি।
১২ ই ডিসেম্বর, ২০২২ ভোর ৬:০৮
সোনাগাজী বলেছেন:
যেই দেশে যেই ধরণের সম্পদ ও সুযোগ আছে, সেটাকে ব্যবহার করার দরকার; আমাদের চাষের জমি আছে, মানুষ আছে। মানুষকে সরকার দাস হিসেবে বিক্রয় করছে, ভুমি মালিকেরা চাষী নয়।
৫| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৪০
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আপনি না পাহাড়ি এলাকার মানুষ!! সেখানে আবার চর এলো কোথা থেকে?
১২ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৪৮
সোনাগাজী বলেছেন:
আমাদের এলাকায় পাহাড় থেকে সাগরের দুরত্ব ৮ মাইলের মতো
৬| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:০৪
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: রবীন্দ্র নাথের সব কিছুতেই আমার ভালোলাগা ছিল।
১২ ই ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৩৩
সোনাগাজী বলেছেন:
উনি ঠিক আছেন।
কিন্তু ৯.৯ ভাগ বাংগালী পরিবারের জমিদারী ছিলো না; জমিদারী প্রথার সৃষ্টি হয়েছিলো সামন্তবাদেে ও কলোনিয়েল সিষ্টেমে।
৭| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:১৬
কাঁউটাল বলেছেন: কাজি নজরুল কি স্বর্গের পরিবেশে বড় হয়েছিলেন? উনি কবি হলেন কিভাবে?
১২ ই ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৩৩
সোনাগাজী বলেছেন:
উনি কবি হয়েছিলেন, কারণ উনি আপনার চেয়ে জ্ঞানী ছিলেন।
৮| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৫০
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আমাদের গ্রাম বাংলার প্রায় সব কিশোরের জীবনই এরকম অভাব ও টানা-পোড়নের মাঝেই মনে হয় যায়। যেখানে অভাব বা প্রয়োজন পূরণের সীমাবদ্ধতা এক অন্যতম অনুষংগ। সাথে সাথে পরিবারে জনসংখ্যাধিক্য।
প্রবাস জীবন আসলে না কোন বউ না কোন প্রবাসীর কাছেই ভাল লাগে বলে আমার মনে হয়না। কোথায় যেন একটা স্মরণীয় বাণী পড়েছিলাম। দুই ধরনের মানুষ এ দুনিয়ায় সবচেয়ে বেশী অসুখী হয়।
১। প্রবাসী।
২।ঋনগ্রস্ত ।
১২ ই ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৩৬
সোনাগাজী বলেছেন:
বাংলাদেশে থেকে এখন মানুষ আরব ও মালয়েশিয়ায় প্রবাসী হচ্ছে না, এদেরকে দাস হিসেবে বিক্রয় করা হচ্ছে।
৯| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৩৫
কাঁউটাল বলেছেন: তইলে আপনি কবি হইতে পারেন নাই কেন?
১২ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৬
সোনাগাজী বলেছেন:
আমি কবিতা লিখতে পছন্দ করি না, সেইজন্য কবি হইনি।
১০| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৮
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
দেশে আসছেন কবে?
১২ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৯
সোনাগাজী বলেছেন:
কিছুটা অনিশ্চিত, সমস্যা আছে।
১১| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৫৯
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আপনার পৈতৃক নিবাস তবে আনোয়ারা অথবা পটিয়ায় !!
১২ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১৭
সোনাগাজী বলেছেন:
আমি বলতে চাচ্ছি না; তবে, আমি চট্টগ্রামের গ্রামের মানুষ।
১২| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:২৬
রাজীব নুর বলেছেন: রবীন্দ্রনাথ একজন ম্যাজিশিয়ান। উনি সবার মনের কথা লিখে গেছেন।
উনি ধরীর ঘরে জন্ম নিলেও উনি ধনী ছিলেন না। ঋণ নিয়ে বেশ কয়েকবার ব্যবসা করেছেন, ধরা খেয়েছেন। নোবেল থেকে পাওয়া সম্মানী দিয়ে ঋণ শোধ করেছেন।
রবীন্দ্রনাথ তার জীবনে বেশ কিছু বড় ধরনের ভুল করেছেন। তার কন্যাকে অল্প বয়সে যৌতুক দিয়ে বিয়ে করিয়েছেন। সেই বিয়ে সুখের হয়নি।
তার দাদা দ্বারকানাথের সাথে বিশ্বের সমস্ত ধনী মানুষের সাথে সুসম্পর্ক ছিলো। তিনি ব্যবসা করে সীমাহীন টাকার মালিক হয়েছেন।
কিন্তু রবীন্নদ্রনাথের বাবা দেবেন্দ্রনাথের ব্যবসায় মন ছিলো না। তিনি নতুন এক ধর্ম নিয়ে মেতে ছিলেন।
দ্বারকানাথের মৃত্যুর দেখা গেলো তিনি কোটি টাকা ঋণ রেখে গেছেন।
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৫৯
সোনাগাজী বলেছেন:
উনার মেয়ের জামাউগুলো ছিলো খারাপ লোকজন, উনাকে অনেক কষ্ট দিয়েছে।
১৩| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:২৭
রাজীব নুর বলেছেন: গতকাল চোখের ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম।
ডাক্তার চশমা দিয়েছেন। সামনের জিনিস দেখতে সমস্যা। বই পড়তে কষ্ট হয়।
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১০:০০
সোনাগাজী বলেছেন:
আপনি জেনে শুনে দরকারী পড়বেম মাত্র।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ২:৪৬
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আপনার জীবন আমার কাছে কাল্পনিক। আমি অবশ্য রবী ঠাকুরের নবলের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলাম ছোট কালেই। এখন করজোড়ে দোয়া করি নবেল থেকে যেন দূরে থাকি।
আমার জন্ম গ্রামে হয়েছে।