নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষাই দরিদ্রদের জন্য সম্পদ।

সোনাগাজী

একমাত্র সোস্যালিষ্ট অর্থনীতি বাংগালী জাতিকে নিজ পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করবে।

সোনাগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাকিস্তানী বাহিনী কেন মুক্তিবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করলো না?

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:০৮



মুক্তিবাহিনী ছিলো বাংলাদেশ সরকারের বাহিনী; সেই সময় বাংলাদেশ স্বীকৃতিপ্রাপ্ত কোন দেশ ছিলো না, এবং বাংলাদেশ বাহিনী জেনেভা কনভেনশনের "১৬ নং আর্টিক্যালে সাইন-করা বাহিনী" ছিলো না। পাকিস্তানী কমান্ডার তার বাহিনীর সদস্যদের প্রান বিনাশ হওয়ার সম্ভাবনার কথা ভেবেই, মুক্তিবাহিনীর সাথে সারেন্ডার চুক্তি করেনি।

মুক্তিযুদ্ধের যেই পর্যায়ে পাকিস্তানী বাহিনীর কামন্ডার, জেনারেল নিয়াজী সারেন্ডার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো, তখন তার ভাবনায় কাজ করছিলো তার নিজের ও তার ৯০ হাজার সৈন্যের বন্দী অবস্হায় সিকিউরিটি, ভবিষ্যত ও অবেশেষে নিজ দেশে ফেরার কথা; এসব ভাবনা মাথায় রেখেই সে জেনারেল অরোরার সাথে সারেন্ডারের শর্তাবলী নেগোসিয়েট করেছে।

মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় বাহিনী একযোগে আক্রমণ চালানোর পর, নিয়াজী সারা দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বাহিনীকে শহরগুলোর দিয়ে সরিয়ে নিতে থাকে। এদিকে তাদের হাতে দরকারী পরিমাণ অস্ত্রও ছিলো না। প্রয়োজনের তুলনায় এয়ারফোর্স বলতে কিছুই ছিলো না। নিয়েজী বুঝতে পেরেছিলো যে, যুদ্ধ চালানো অসম্ভব, অকারণে প্রাাণহানী হবে মাত্র। তখন সে ভারতীয় বাহিনীর সাথে সাথে যোগাযোগ শুরু করে। সে ইচ্ছা করলে জেনারেল ওসমানীর সাথেও যোগাযোগ করতে পারতো; কিন্তু ওসমানীকে নীচু র‌্যাংক'এর অফিসার হিসেবে ধরে নিয়ে মুল্য দিতে চাহেনী, এবং প্রাণ রক্ষার ব্যাপারে ভরসা করতে চাহেনী।

জেনারেল অরোরা পশ্চিম ভারতীয় হওয়ায় নিয়াজী তার সাথে কথা বলে নিজ বাহিনীর সিকিউরিটি নিয়ে নিশ্চিত হয়েছিলো। অন্যদিকে, অরোরাও প্রাণহানী কমায়ে সবচেয় কম সময়ের মাঝে যুদ্ধ শেষ করার জন্য আগ্রহী ছিলো; সেজন্য, অরোরা ইন্দিরা গান্ধীর মাধ্যমে ততকালীন প্রাইম মিনিষ্টার তাজউদ্দিন সাহেবের থেকে অনুমতি নিয়ে সারেন্ডার চুক্তির শর্তগুলো নেগোসিয়েট করে নেয়।

সংক্ষেপে এই ছিলো কারণ। পাকিস্তানী বাহিনী চেয়েছিলো একটি রেগুলার সেনাবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করতে; ইহাতে কম সময়ের মাঝে যুদ্ধটি থেমেছে; ইহাতে মুক্তিবাহিনীর সদস্যদের প্রাণহানিও কমেছে, এবং ইহাতে মুক্তিবাহিনীর গুরুত্ব কোনভাবে কমেনি।

মন্তব্য ৫৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৩০

কাঁউটাল বলেছেন: আত্মসমর্পন অনুষ্ঠানে জেনারেল ওসমানিকে আমন্ত্রন জানানো হয়েছিল কি?

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৩৭

সোনাগাজী বলেছেন:


কোন ধরণের অপ্রীতিকর পরিস্হিতি এড়াতে জেনারেল অরোরা বাংলদেশ বাহিনীর লোকদের নিতে চাহেনী; আমার ধারণা ( নিশ্চিত নই ) জেনারেল ওসমানীকে জানানো হয়েছিলো, কিন্ত উপস্হিত রাখা হয়নি।

২| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৩৫

জিয়াউর রহমান ফয়সাল বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের কাহিনী নিয়ে এতো কন্ট্রোভার্সি, আমাদের জেনারেশন কি আসল তথ্য কখনই জানবে না?

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৩৮

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনাদের জেনারেশন পড়ালেখা করলে জানতে পারবেন; কোন কনট্রোভার্সী নেই।

৩| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৪৩

কাঁউটাল বলেছেন: জেনারেল ওসমানি উপস্থিত থাকলে কি এমন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি হতে পারত?

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৪৯

সোনাগাজী বলেছেন:



হতে পারতো, জেনারেল ওসমানী কট্টর বাগী মানুষ ছিলেন।

৪| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:২০

নূর আলম হিরণ বলেছেন: মুক্তিবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করলেও কোন সমস্যা ছিল না মনে হয়। জেনারেল ওসমানী সাথে কথা বলে নেগোসিয়েশন করে তাদের সৈন্যদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা অবশ্যই করা যেত। কারণ জেনারেল ওসমানীয়ও দ্রুত সময়ের ভিতর যুদ্ধ শেষ করতে চেয়েছেন। মিয়াজী একমাত্র ইগোর কারণে জেনারেল ওসমানী ও মুক্তিবাহিনী কাছে আত্মসমর্পণ করেনি। এই একটি কারণের জন্য ভারত ও পাকিস্তান বলতে পরে এটা ভারত পাকিস্তানের যুদ্ধ ছিল।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:০০

সোনাগাজী বলেছেন:



৯০ হাজার সৈন্যকে পাহারা দেয়ার মতো সৈন্য ( বেংগল রেজিমেন্ট ) জে: ওসমানির কাছে ছিলো না। সাাধারণ মুক্তিযোদ্ধা ও ইপিআর ক্রোধবশত কখন কি করতো বলা কঠিন ছিলো।

৫| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:২৭

বাকপ্রবাস বলেছেন: অবচেতন মনে পাকি প্রেম প্রকাশ পাচ্ছে, ওসমানি রাগি ছিল সে থাকলে প্রবলেম, এখানে সত্যিকার পাকি প্রেম প্রকাশ হয়েছে, হারার পর গরম নরম মেনে নিতে হবে, আমাদের কোন প্রতিনিধি সাথে ছিলনা এটা মানতে কষ্ট হয়, আর এটাকে স্বাভাবিক ভাবে নেবারও কোন কারন নাই, আর ব্যাপারটা গোপন রাখারও চেষ্টা করা হয়।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:০২

সোনাগাজী বলেছেন:



ইহা সামুতে ও ফেসবুকে জেনারেলগিরি করার মতো ব্যাপার ছিলো না; ইহা ছিলো, ৪/৫'টি ক্যান্টনমেন্টে ৯০ হাজার সৈন্যের দায়িত্ব নেয়ার মতো ব্যাপার।

৬| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৩০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- এই ঘটনার মধ্যদিয়ে মুক্তিবাহিনীকে অস্বীকার করা হলো, মুক্তিবাহীন যদ্ধুটিকে পাশকাটিয়ে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হলো বলেকি আপনার কাছে মনে হচ্ছে না?

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:০৯

সোনাগাজী বলেছেন:




আজ থেকে ৫১ বছর আগে, আমাদের ও বিশ্ব পরিস্হিতি যেরকম ছিলো, সেই অবস্হার পরিপ্রেক্ষিতেই তা ঘটেছিলো; পাকীরা যেসব অপরাধ করেছিলো, তারা মুক্তিবাহিনীকে ভয় করেই ভারতীয় বাহিনীর হাতে আত্মস্মরণ করেছে।

৯০ হাজার সৈন্যকে হ্যান্ডলিং করার মতো সামরিক অবস্হা বাংলাদেশে সরকারের ছিলো না।

৭| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৩১

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

এ ব্যাপারে আশেপাশে ভিন্ন তথ্য চালু আছে?


যুদ্ধে ভারতের ইনভলমেন্ট ছিলো,তাই ভারতের মাধ্যমেই মুক্তি দিয়েছে,নিজেরা পেয়েছে।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:১১

সোনাগাজী বলেছেন:




যেদিন ১ কোটী মানুষ ভারতে প্রবেশ করেছিলো, ভারত অস্ত্র ও ত্রেনিং দিয়েছিলো, সেদিন থেকে ভারত জড়ায়ে গেছে

৮| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:০৭

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
এইসব ঘটনা কেন জানি আর জানতে ইচ্ছা করতে না।
জেনেই কি।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:১০

সোনাগাজী বলেছেন:




ব্লগে অনেক ইহা নিয়ে অনেক বেকুবী প্রশ্ন করে আসছিলো, আমি চেষ্টা করছি ইহার উত্তর দিতে।

৯| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:২২

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
ছোটবেলা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ১০০০ টা প্রশ্ন আমি আব্বাকে করেছি। তিনি যা বলেছেন সেটাই মেনেছি , সেটা বলতে পারেননি সেটা খুঁজিনি । কারণ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বানায় দেশের দুটো দল। ওই দুটো দলের চেয়ে আব্বার গ্রহণযোগ্যতা আমার কাছে বেশি। ভুল হলেও বেশি।

জেনারেল ওসমানীর অনুপস্থিতি অনেক মানুষের মনে প্রশ্নের জন্ম দেয়।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:২৮

সোনাগাজী বলেছেন:




স্যরি, আপনার ১০০ প্রশ্নের উত্তর নিয়ে আমি কইছু বললে আপনার মন খারাপ হবে। ওসমানীর অনুপস্হিতি মানুষের মনে প্রশ্নের সৃ্ষটি করেছে, কারণ সব মানুষ মিলিটারী ও যুদধের নিয়ম কানুন জানে না, ও এই ব্যাপারে অভিজ্ঞতা নেই।

১০| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:২৫

শাহ আজিজ বলেছেন: ওসমানী সেই সময় সিলেট অঞ্চলে ছিলেন । ধারে কাছে এ কে খন্দকার থাকায় অরোরা তাকে নিয়েই ঢাকা রওয়ানা করেন । কিন্তু ওসমানীর হেলিকপ্টারে কারা রকেট ছুড়েছিল আজো রহস্য । জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বলা ইতিহাসে গেলো বছর শুনেছি কারন তিনিও ওই কপটারে ছিলেন । পাকিস্তানকে সারেন্ডার করানোর এই ঐতিহাসিক মুহূর্ত ভারত ছেড়ে দেয়নি , তাছাড়া আপনার যুক্তিগুলো বেশ অথেনটিক । এখনও পাকিরা জ্বলে সারেন্ডারের সেই অপমানকর ঘটনায় । আমি আনন্দিত পাকিস্তান শাস্তি পাওয়ায় ।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৩১

সোনাগাজী বলেছেন:




পাকিস্তানী সৈন্যরা ভারতের কাছে আত্মসমর্পন করাকে কোনদিনও মেনে নিতে পারেনি; কিন্তু পেরিস্হিতি তাদেরকে বাধ্য করেছে।

১১| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৫৭

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
১০০০টা প্রশ্ন নিয়ে আপনি কি বলতে চেয়েছিলেন জানি না। ওটা বাদ থাক। খারাপ লাগতেই পারে আমার।
ওসমানীর অনুপস্থিতি নিয়ে আপনার বক্তব্যটা গ্রহণযোগ্য বলেই মনে করি কিন্তু
শ্রদ্ধেয় ব্লগার শাহ আজিজ যখন বলেন ওসমানীর হেলিকপ্টারে রকেট ছুড়ে মারার কথা। তখন কিন্তু ভাব না অন্য দিকেই যায়।

আমরা স্বাধীন হবার ৫০ বছর পরেও সঠিক ইতিহাস খুঁজতে খাবিখায়। সেই দেশ থেকে আমরা কি আশা করতে পারি ? আমরা কি ভীষণ আইডেন্টি ক্রাইসিসে ভুগছি ?

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:২৭

সোনাগাজী বলেছেন:


১০০০টা প্রশ্নের উত্তর সেক্টর কমান্ডারদের বইগুলোতে থাকার কথা; সেখানে খুঁজলে পাবেন।

সাড়ে ৭ কোটী মানুষের মাঝে, শতকরা ৮০/৮৫ জন ৯ মাস শত্রুর বিপক্ষে লড়ে দেশ আনার পরও আইডেনটিটি ক্রাইসিসে ভুগছেন কেন?

১২| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:১৩

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: সব সমস্যা হয়েই থাক্লো।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৩১

সোনাগাজী বলেছেন:



স্বাধীনতা আনতে গিয়ে পুরি জাতি সমানভাবে মুল্য দেয়নি; সরকার ১ পয়সাও মুল্য দেয়নি; ফলে, স্বাধীনতা মুল্য সবাই বুঝতে পারেননি।

১৩| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৫৭

ঈশ্বরকণা বলেছেন: স্বপ্নবাজ সৌরভের মন্তব্যের উত্তরে আপনি বলেছেন "ব্লগে অনেক ইহা নিয়ে অনেক বেকুবী প্রশ্ন করে আসছিলো, আমি চেষ্টা করছি ইহার উত্তর দিতে।" আপনার উত্তরটাও যে বেকুবি হয়েছে সেটা মনে হয় বুঝতে পারছেন না।

আপনার কথা মতো "অরোরাও প্রাণহানী কমায়ে সবচেয় কম সময়ের মাঝে যুদ্ধ শেষ করার জন্য আগ্রহী ছিলো; সেজন্য, অরোরা ইন্দিরা গান্ধীর মাধ্যমে ততকালীন প্রাইম মিনিষ্টার তাজউদ্দিন সাহেবের থেকে অনুমতি নিয়ে সারেন্ডার চুক্তির শর্তগুলো নেগোসিয়েট করে নেয়।" সারেন্ডারের চুক্তির মতো জটিল শর্তগুলো ঠিক করতে তাজউদ্দীনের অনুমতি নেয়া গেলো আর অরোরা তাজউদ্দিনকে বা মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল ওসমানীকে নিয়ে সারেন্ডারের অনুষ্টানে নিয়ে যেতে পারলেন না ? আশ্চর্য ! নিয়াজী ভারতীয় বাহিনীর কাছে সারেন্ডার করলেও অরোরারতো তাজউদ্দিনকে বা জেনারেল ওসমানীকে ওই আত্মসমর্পনের নিয়ে যেতে বাধা ছিল না। তাছাড়া এক দিনেই সারেন্ডারের শর্ত সব ঠিক হয়েছে নাকি যে ওসমানীকেও নেবার সময় ছিল না ? তাছাড়াও ওসমানীর হেলিকপ্টারে রকেট মারা এগুলো পরিস্কারভাবেই একটা ভারতীয় ষড়যন্ত্র যাতে আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সামরিক বেসামরিক প্রধান নেতৃত্বর কেউ উপস্থিত না থাকতে পারে। আমাদের প্রধান নেতৃত্বের অনুপস্থিতিই আত্মসমর্পন দলিলে ভারতকে স্বাক্ষর করার সুযোগ দিয়ে দেয় ।আর সেই মারপ্যাঁচেই পাকিস্তানের ৯০ হাজার বন্দি সৈন্যর বিনিময়ে শিমলা চুক্তিটা ভারত নিজেদের স্বার্থ অনুযায়ী করার সুযোগ পেয়ে যায়। আমাদের প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পরেও পাকিস্তানের পাওয়া আদায়ের দাবির কথা বলেন ! কিন্তু পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পনের দলিলে আমাদের নেতৃত্ব স্বাক্ষর করতে পারলে পাকিস্তানের সাথে দেনাপাওনা নিয়ে সহজেই বাংলাদেশ নেগোশিয়েশন করতে পারতো।

আপনি বাংলাদেশ বাহিনী জেনেভা কনভেনশনের "১৬ নং আর্টিক্যালে সাইন-করা বাহিনী" ছিল না তাই পাকিস্তানি বাহিনী বাংলাদেশী নেতৃত্বের কাছে আত্মসমর্পণ করেনি বলে জেনেভা কনভেনশন টনভেনশনের কথা টেনে আপনার আজগুবি কথাবার্তাতে যে গুরুগম্ভীর ফ্লেভার দিতে চেয়েছেন সেগুলো সব গার্বেজ ! কিউবার বাতিস্তা সরকার ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিল বিপ্লবীদের কাছে যুদ্ধে হেরে বিপ্লবী নেতা ফিদেল ক্যাস্ট্রোর কাছেই । ক্যাস্ট্রোও জেনেভা কনভেনশনের "১৬ নং আর্টিক্যালে সাইন-করা কোনো লেজিটিমেট বাহিনীর নেতা ছিল না। বাংলাদেশ কিউবার মতোই বাংলাদেশের জনগণের যুদ্ধ হয়েছিল নিজের দেশের স্বৈরাচারী শাসকের বিরুদ্ধেই কোনো কলোনিয়াল পাওয়ারের সাথে না। যেখানে মাত্র এক বছর আগেই জাতীয় ইলেকশনে জয়ী হয়ে এই দেশের নেতৃত্বের সাংবিধানিক ভাবেই দেশের শাসন পরিচালনা করার কথা ছিল সেখানে তাদের কাছে/তাদের প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা যাবে না সেটা একটা অবাস্তব কথা। পাকিস্তানি বাহিনীর নিরাপত্তা অনেক ভাবেই নিশ্চিত করা যেত আত্মসমর্পনের আগে যে সময় তারা পেয়েছে তার মধ্যে আমাদের দেশের নেতৃত্বকে আত্মসমর্পন দলিলে স্বাক্ষর করার সুযোগ দিয়েও। আবোলতাবোল বলে পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সামরিক বেসামরিক প্রধান নেতৃত্বের অনুপস্থিত থাকাকে জাস্টিফাই করার কোনো সুযোগ নেই ভারতীদের স্বার্থপরতা আর ষড়যন্ত্র আড়াল করতে।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৩২

সোনাগাজী বলেছেন:




আপনার মন মতো হয়নি, কারণ আপনি যুদ্ধে অংশ গ্রহন করেননি নিশ্চয়।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৩৮

সোনাগাজী বলেছেন:



নিশ্চয় জন্মানোর পরপরই ফেইসবুক জেনারেল হয়ে গেছেন।
সারেন্ডার হয়েছে ততকালীন বাংলাদেশ সরকারের অনুমতি নিয়েই; ততকালীন জেনারেশন ও সরকার ৯ মাস যুদ্ধ করেছেন; আজকে ৯ দিনের যুদ্ধের জন্যও "ভলনটিয়ার" পাওয়া যাবে না

১৪| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:০৯

বিটপি বলেছেন: যদি এই যুদ্ধে ভারতের কোন ইনভল্ভমেন্ট না থাকত, তাহলে কি হত? ধরুন, যুদ্ধটা পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে গৃহযুদ্ধই হল এবং ভারত সিদ্ধান্ত নিল যে পাকিস্তানের আভ্যন্তরীণ ব্যাপারে নাক গলাবেনা। এরকম পরিস্থিতিতে মুক্তিবাহিনী হানাদার বাহিনীকে নাস্তানাবুদ করে ফেলল ভারতের অস্ত্র বা ট্রেনিং ছাড়াই। তাহলে কি হত? পাকিস্তানী বাহিনী তখন কার কাছে আত্মসমর্পন করত? মুক্তি বাহিনীর কমান্ডারের কাছে, নাকি শালিসের জন্য আমেরিকা-রাশিয়ার পায়ের কাছে বসে থাকত?

নিশ্চয়ই ভারতের সাহায্য চাইতোনা! ভারত ডিসেম্বর মাসে যুদ্ধ ঘোষণা করে আট মাসের সংগ্রামের ফসল পুরোটাই নিজেরা নিয়ে নিয়েছে। ইতিহাসে এই যুদ্ধ ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ নামেই পরিচিত এখন।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৪১

সোনাগাজী বলেছেন:



১ কোটী মানুষ ভারতে গিয়েছিলো, যদি ভারত অস্ত্র ও ট্রানিং না দিতো, আরো ২/১ কোটী ভারতে যেতো, আরো রাজাকার বাড়তো; ৪/৫ বছরে স্বাধীন হতো। পাকিস্তানীরা নিজ দায়িত্বে ও অন্যদের সাহায্য নিয়ে বড় অংশ পালিয়ে যেতো, একাংশ এদেশে নিহত হতো।

১৫| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:১৮

কাঁউটাল বলেছেন: ১৩ এবং ১৪ নম্বর মন্তব্যের সাথে সহমত। আশাকরি এবার "ত্যানা না পেঁচিয়ে" যৌক্তিক উত্তর দিবেন।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৪৫

সোনাগাজী বলেছেন:



কমপক্ষে শওকরা ১৫ ভাগ পাকিস্তান ভেংগে নতুন দেশ হওয়া পছন্দ করেনি; শতকরা ৮৫ ভাগ স্বাধীনতার পক্ষে থাকার পর, মুক্তিযোদ্ধা হয়েছিলেন " ১ লাখ ২০ হাজার", আর ১৫ ভাগ পাকিস্তানের পক্ষে থাকার পর, "রাজাকার হয়েছিলো ৫৫ হাজার"।


১৬| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:২০

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
আব্বাকে করা ১০০০ টা প্রশ্নের একটা হলো :
১. আমাদের হার্ডিঞ্জ ব্রিজ করা ভেঙে ছিল ? কেন ভেঙে ছিল ?

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৪৮

সোনাগাজী বলেছেন:



যুদ্ধের মাঝে মুক্তিযোদ্ধারা চেষ্টা করেছেন পাকী বাহিনীর যোগাযোগ বন্ধ করার জন্য ব্রীজ ভাংতে; মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় বাহিনী (মিত্রবাহিনী ) দেশে ঢোকার পর, ব্রীজ ভেংগে পাকী বাহিনী।

১৭| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:২১

ইমরান আশফাক বলেছেন: আমাদের মুক্তিযুদ্ধে প্রায় ৩০ লক্ষ লোকজন মারা যায়, কিন্তু বিদেশীরা এটা মানতে চায় না। কিন্তু কেন?

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৪৯

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনি বিদেশীদের অংশ, নাকি শেখ সাহেবের অংশ? বিদেশীদের কথা নিয়ে বিচলিত হচ্ছেন কেন?

১৮| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৫৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
জেনারেল ওসমানি অবস্য উপস্থিত না হওয়ার কারন নিজেই বিভিন্ন বক্তৃতায় ও সাংবাদিক দের প্রশ্নে ব্যখ্যা করে গেছেন।

উনি বলেছিলেন আন্তর্জাতিক সেনা প্রোটকল অনুযায়ী আত্নসমর্পন অনুষ্ঠানে আমার থাকার কোন কারন ছিল না।
অরোরা ছিল একজন সাধারন ভারতীয় সেনা জেনারেল, আমি আমি গনপ্রজাতন্ত্র বাংলাদেশের সেনা প্রধান। আন্তর্জাতিক সেনা প্রোটকল অনুযায়ী আমার পদ অনেক উচ্চে।
যদি সেখানে ভারতীয় সেনা প্রধান (জেঃমানেকশ) উপস্থিত থাকতো শুধু তাহলেই আমার সেখানে থাকা হত।

১৯| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:০২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

ভারত আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ বললে আমি কোন ভুল দেখি না।
বরং 'ভারত ৭১এ মুক্তিযুদ্ধ করেছে' বলা হলে সেটা হাস্যকর হবে। কারন শত্রুকবলিত ছিল আমাদের বাংলাদেশ, ভারত নয়।

'ভারত মুক্তিযুদ্ধ করেছে বলা হলে সেটাও হবে সম্পুর্ন ভুল।
তাহলে ভারতীয় সেনাদের মুক্তিযোদ্ধা বলতে হয়।
ভারত আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য করেছে যুদ্ধের শেষদিকে পুর্ব ও পশ্চিম উভয় ফ্রন্টে আক্রমণ করে পাকিস্তানিদেরকে যুদ্ধে পরাজিত করেছে। ভারতীয় সেনারা মুক্তিযুদ্ধ করেনি। ভারতীয় সেনারা ভারতকে মুক্ত করেনি। শুধু যুদ্ধ করেছে।
মুক্তিযুদ্ধটা আমাদের। ৭১ এর যুদ্ধ ও সংগ্রামকে আমরা মুক্তিযুদ্ধ বলবো।
ভারতের সাইড থেকে ভারতীয়রা ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ বললে সেটা ১০০% সঠিক।

২০| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৩৪

ঈশ্বরকণা বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী,
ওসমানি স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক। তাকে ১৯৭১ সালের ১৭ই এপ্রিল Commander-in-Chief of the Bangladesh Armed Forces and of the Liberation Forces হিসেবে ঘোষণা করা হয়। আর তাকে জেনারেল হিসেবে প্রমোশন দেয়া হয় স্বাধীনতার পরে। এই তথ্যগুলো বাংলাপিডিয়াতেই আছে। বাংলাদেশ যুদ্ধের সময় আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন কোনো দেশ ছিল না। সেজন্য যুদ্ধে আমাদের Commander-in-Chief -এরতো কোনো দেশের সেনাপ্রধানের মতো ফর্মাল কোনো পদবি থাকার কথাও না। তার উদ্ধৃতি দিয়ে বলা যুদ্ধের সময় উনি জেনারেল ছিলেন আর অরোরা সাধাৰণ একজন জেনারেল তাই সেই অনুষ্ঠানে উনি যেতে পারেননি, জেনারেল মানেকশ ওখানে গেলে ওসমানী যেতে পারতেন এই আজগুবি তথ্য আপনি কোথায় পেলেন ? আর ইন্ডিয়া তার ওয়েস্টার্ন ফ্রন্টে যুদ্ধে কি করেছে সেটা নিয়েতো কথা হচ্ছে না। কথা হচ্ছে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের যুদ্ধের বিষয়ে। পাকিস্তানি বাহিনী ভারতের ইস্টার্ন বা ওয়েস্টার্ন ফ্রন্টে আত্মসমর্পর্ন করেনি করেছে বাংলাদেশের সীমানায়।তাই সেই যুদ্ধটা আমাদের। ইস্টার্ন ফ্রন্টে ভারতের নিজস্ব কোনো যুদ্ধ ছিল না।সেখানে তাদের অংশগ্রহন ছিলো বাংলাদেশের যুদ্ধে মিত্র হিসেবে। ১৯৭১ সালের সেই যুদ্ধকে আর সেই যুদ্ধে পাকিস্তান বাহিনীর আত্মসমর্পনকে তাই বাংলাদেশের কাছে পরাজয়ের বাইরে অন্য কোনো ভাবেই বর্ণনা করা যায় না।

২১| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:১০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

জেনারেল মানেকশ ওখানে গেলে ওসমানী যেতে পারতেন এই আজগুবি তথ্য আপনি কোথায় পেলেন ?
@ ঈশ্বরকণা, একটু লেখাপড়া করে আসেন।


আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানের দু'দিন পর জেনারেল ওসমানী মুজিবনগর সদর দপ্তরে ফিরে আসেন।
তাকে আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকার কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন- 'দেখুন আমরা স্বাধীনতা অর্জন করতে যাচ্ছি। কিন্তু দুঃখ হলো স্বাধীন জাতি হিসাবে আমাদের মধ্যে আত্মমর্যাদাবোধ সম্পর্কে কোনো চেতনা এখনো জন্ম হয়নি। ঢাকায় আত্মসমর্পণের অনুষ্ঠানে আমার যাওয়ার কোনো প্রশ্নই উঠে না। কারণ, এই সশস্ত্র যুদ্ধ ভারত-বাংলাদেশের যৌথ কমান্ডের অধীনে হলেও যুদ্ধের অপারেটিং পার্টির পুরো কমান্ডে ছিলেন ভারতীয় সেনা প্রধান লে. জেনারেল শ্যাম মানেকশ।

আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে জেনারেল মানেকশকে রিপ্রেজেন্ট করবেন লে. জেনারেল অরোরা। আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে মানেকশ গেলে আমার যাবার প্রশ্ন উঠত। সার্বভৌম ক্ষমতার ভিত্তিতে আমার অবস্থান জেনারেল মানেকশর সমান। সেখানে মানেকশর অধীনস্থ আঞ্চলিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল অরোরার সফরসঙ্গী আমি হতে পারি না। এটা কোনো দেমাগের কথা নয়। এটা প্রটোকলের ব্যাপার।'

জেনারেল এম এ জি ওসমানী: অবিস্মরণীয় মহীরুহসম ব্যক্তিত্ব
the daily star বুধবার, সেপ্টেম্বর ১, ২০২১ ০৮:০৯ অপরাহ্ন

২২| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৫৭

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
সাড়ে ৭ কোটী মানুষের মাঝে, শতকরা ৮০/৮৫ জন ৯ মাস শত্রুর বিপক্ষে লড়ে দেশ আনার পরও আইডেনটিটি ক্রাইসিসে ভুগছেন কেন?


না , আমি এক নয়। আমার মত অনেকেই আছে যারা হতাশ।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:০৯

সোনাগাজী বলেছেন:


যুদ্ধ চলাকালিন সময়েও অনেকে বুঝতে পারেননি কেন জাতি যুদ্ধে লিপ্ত? অনেকেই প্রশ্ন তুলেছে, কেন জাতির একাংশ পাকিস্তানী বাহিনীর বিপক্ষে যুদ্ধ করছে?

২৩| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:০৮

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:

ব্রীজ ভেঙেছিল মিত্র বাহিনী। এটা দরকার ছিল। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার দরকার ছিল। কিছু পাক আর্মি ব্রিজ হয়ে ভেড়ামারাতে ঢুকেও গিয়েছিলো। ওদিকে ভেড়ামারাতে মুক্তির উল্লাস শুরু হয়েছে। ভেড়ামারা ঢুকে সেই আর্মিরা গুলিও করেছে। আওয়ামীলীগের উচ্চ পদের নেতার ভাই গুলি বিদ্ধ হন তাতে।
প্রায় সব আর্মিই মারা পড়ে। যারা পালিয়ে গিয়েছিলো তাদের কেউ কেউ কিছুদিন কাঁচা বেগুন , কচু খেয়ে বেঁচে ছিল। তারাও একসময় রাখাল , কৃষাণের হাতে মারা পড়ে।

আব্বা উনাদের আগেই উল্লাস করতে নিষেধ করেছিলেন। পাক আর্মি ঢুকে পড়েছে সেই খবর আব্বা তাদের দেন। আমার আব্বা এনাদের সবার হেডস্যার ছিলেন।

পাক বাহিনী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ হয়ে ভেড়ামারা তছনছ করে ইন্ডিয়ার বর্ডার আক্রমণ করার প্ল্যান ছিল।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:০৫

সোনাগাজী বলেছেন:




যুদ্ধ কঠিন জিনিষ, হিসেবে ও প্ল্যানে ভুল হলে, অনেকের প্রাণ যায়।

২৪| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৪০

ঈশ্বরকণা বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী,
আওয়ামী ঘরানার একটা সূত্র থেকে খুবই নিম্নমানের একটা রেফারেন্স দিয়েছেন। আপনার জেনারেল ওসমানি অবস্য উপস্থিত না হওয়ার কারন নিজেই বিভিন্ন বক্তৃতায় ও সাংবাদিক দের প্রশ্নে ব্যখ্যা করে গেছেন।বলা কথাতো দেখি সঠিক নয় ! জেনারেল ওসমানী কোনো সাক্ষাৎকারে বা নিজের কোনো লেখায়তো এ ধরণের কিছু বলেননি দেখছি ! আপনার আওয়ামী ঘরানার রেফারেন্সের এগুলোতো সব ম্যানিপুলেটিভ কথাবার্তা ! ওসমানীকে জেনারেল করে বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন হবার পর ১৯৭২ সালে। তাই খুবই ক্লিয়ার যে তার জেনারেল পদবীর সাথে মিলিয়ে বা মানেকশ'-র জেনারেল পদবীর সাথে মিলিয়ে এই না যাবার যে কথাগুলো বলা হয় দেশ স্বাধীন হবার অর্ধশতাব্দী পরের সন তারিখ দিয়ে সেগুলো সবই উদ্দেশ্যপূর্ণ।

সোনাগাজী, আপনার স্বভাবই হলো পয়েন্টটা টু পয়েন্ট কিছু বলতে না পারলে লেখার বিষয়গুলোর সাথে অপ্রাসঙ্গিক আবোল তাবোল কথা বলা, এখানেও সেটাই করছেন। আমি স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছিলাম কিনা করিনি বা এখন নয় সপ্তাহ দেশের মানুষ যুদ্ধ করতে পারবে কিনা এসব হাবিজাবি বলার চেয়েও জরুরি বিষয়টা ছিল কেন আমাদের প্রথমসারির নেতৃত্ব পাকিস্তানিদের আত্মসমর্পনের অনুষ্ঠানে ছিল না বা সেই দলিলে স্বাক্ষর করতে পারেনি সেটা নিয়ে তথ্যপূর্ণ মন্তব্য করা। কিন্তু ওই যে আপনি নিজের লেখার বিষয়ে জিনিসগুলো সঠিক জানেন না বা বোঝেন না ! আপনার হাবিজাবি ব্লগিং নিয়ে আমি খুব একটা মাথা ঘামাই না। কিন্তু স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসটাতো ঠিকঠাকমতো বলা দরকার। তারজন্যই এই মন্তব্যগুলো করতে হলো ।

২৫| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ ভোর ৪:৪৬

অনল চৌধুরী বলেছেন: সাড়ে ৭ কোটী মানুষের মাঝে, শতকরা ৮০/৮৫ জন ৯ মাস শত্রুর বিপক্ষে লড়ে দেশ আনার পরও আইডেনটিটি ক্রাইসিসে ভুগছেন কেন?[/sb অিাপনাকে কে বলেছে ৮০-৮৫% মানুষ শত্রুর বিপক্ষে লড়েছে?
সমর্থক অবশ্যই বেশী ছিলো কিন্ত সেটা এতো।বিশেষ করে ঢাকাসহ শহরগুলির বেশীরভারভাগ মানুষ মুক্তিযুদ্ধে অংশ না নিয়ে মজা দেখছিলো যুদ্ধে অংশ নেয়নি। এজন্য্ ক্রিকেট খেলায় বাংলাদেশেরে এতোবেশী বেশী লোক এখনো পাকিদের সমর্থন করে।
ভারতের সরাসরি অংশগ্রহণ ছাড়াও বাংলাদেশ স্বাধীন হতো । কিন্ত অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ ছাড়া কুরিদ, ফিলিম্তিনী ও বেলুচদের মতো আজ পর্যন্ত যুদ্ধ করে যেতে হতো বা আত্মসমর্পণ করতে হতো।
সপ্তম নৌবহর ও বৃটিশ যুদ্ধজাহাজ মুক্তিযোদ্ধাদের উপর হামলা করার জন্য রওনা দিয়েছিলো, ভারতের কূটনৈতিক সাফল্যের কারণেই যেটা ঠেকায় সোভিয়েত সাবমেরিন।
আত্মসমর্পণের প্রশ্নে যতো যুক্তিই দেন, ভারতে পাকিদের হেনস্থা করার জন্যেই নিজেদের কাছে করিয়েছে।
না হলে এক একে কে খোন্দকার ছাড়া বাংলাদেশ পক্ষের কেউ উপস্থিত ছিলেন না কেনো ?
দলিলে রেখা ছিলো, পূর্ব রণাঙ্গনে ভারতীয় ও বাংলাদেশ বাহিনীর জেনারেল অফিসার কমান্ডিং ইন চিফ, লেফটেন্যান্ট-জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার কাছে পাকিস্তান পূর্বাঞ্চলীয় সামরিক কমান্ড বাংলাদেশে অবস্থানরত পাকিস্তানের সকল সশস্ত্র বাহিনী নিয়ে আত্মসমর্পণে সম্মত হলো।
বাংলাদেশের আগে ভারতের নাম লেখা হয়েছে এবং বাংলাদেশের পক্ষে কেউ স্বাক্ষরও করতে পারেনি।
শিখ- আফগান যুদ্ধের কূটনীতি এখানে তারা ব্যবহার করেছে। তবে এটা নিয়েই ইনকিলাবিরা বেশী চেচায়।
ভারতের সহায়তা ছাড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন ছিলো অসম্ভব।

২৬| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ ভোর ৪:৪৮

অনল চৌধুরী বলেছেন: সাড়ে ৭ কোটী মানুষের মাঝে, শতকরা ৮০/৮৫ জন ৯ মাস শত্রুর বিপক্ষে লড়ে দেশ আনার পরও আইডেনটিটি ক্রাইসিসে ভুগছেন কেন? আপনাকে কে বলেছে ৮০-৮৫% মানুষ শত্রুর বিপক্ষে লড়েছে?
সমর্থক অবশ্যই বেশী ছিলো কিন্ত সেটা এতো না ।
বিশেষ করে ঢাকাসহ শহরগুলির বেশীরভারভাগ মানুষ মুক্তিযুদ্ধে অংশ না নিয়ে মজা দেখছিলো যুদ্ধে অংশ নেয়নি। এজন্য্ ক্রিকেট খেলায় বাংলাদেশেরে এতোবেশী বেশী লোক এখনো পাকিদের সমর্থন করে।
ভারতের সরাসরি অংশগ্রহণ ছাড়াও বাংলাদেশ স্বাধীন হতো । কিন্ত অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ ছাড়া কুরিদ, ফিলিম্তিনী ও বেলুচদের মতো আজ পর্যন্ত যুদ্ধ করে যেতে হতো বা আত্মসমর্পণ করতে হতো।
সপ্তম নৌবহর ও বৃটিশ যুদ্ধজাহাজ মুক্তিযোদ্ধাদের উপর হামলা করার জন্য রওনা দিয়েছিলো, ভারতের কূটনৈতিক সাফল্যের কারণেই যেটা ঠেকায় সোভিয়েত সাবমেরিন।
আত্মসমর্পণের প্রশ্নে যতো যুক্তিই দেন, ভারতে পাকিদের হেনস্থা করার জন্যেই নিজেদের কাছে করিয়েছে।
না হলে এক একে কে খোন্দকার ছাড়া বাংলাদেশ পক্ষের কেউ উপস্থিত ছিলেন না কেনো ?
দলিলে রেখা ছিলো, পূর্ব রণাঙ্গনে ভারতীয় ও বাংলাদেশ বাহিনীর জেনারেল অফিসার কমান্ডিং ইন চিফ, লেফটেন্যান্ট-জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার কাছে পাকিস্তান পূর্বাঞ্চলীয় সামরিক কমান্ড বাংলাদেশে অবস্থানরত পাকিস্তানের সকল সশস্ত্র বাহিনী নিয়ে আত্মসমর্পণে সম্মত হলো।
বাংলাদেশের আগে ভারতের নাম লেখা হয়েছে এবং বাংলাদেশের পক্ষে কেউ স্বাক্ষরও করতে পারেনি।
শিখ- আফগান যুদ্ধের কূটনীতি এখানে তারা ব্যবহার করেছে। তবে এটা নিয়েই ইনকিলাবিরা বেশী চেচায়।
ভারতের সহায়তা ছাড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন ছিলো অসম্ভব।
*প্রথমটা বাদ দেবেন।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ ভোর ৫:০৪

সোনাগাজী বলেছেন:




আমাদের মানুষ যুদ্ধ করে আমাদের স্বাধীনতা এনেছেন। পশ্চিম সীমান্তে পাকিস্তান ভারতকে আক্রমণ করার পর, ভারত নিজের যুদ্ধ নিজে করেছে; এতে জেনারেল নিয়াজি'র জন্য সারেন্ডারের পথ খুলে গিয়েছিলো।

২৭| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৫৪

অনল চৌধুরী বলেছেন: পাকিদের আত্মসমপ্রণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য হিন্দি এই ছোটো ছবিটা দেখেন।
এতে সব সত্য বলা হয়ে কিভাবে লে: জে: জ্যাক পাকি জেনারেল নিয়াজিকে আত্মসমর্পণ করতে বলে গালি শুনছেলেন।
যাই হোক শেষ পর্যন্ত নিয়াজি ভয় পেয়ে তার নির্দেশ পালন করে , যার ফলে যুদ্ধ শেষ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়।
নিয়াজি পরবর্তীতে দাবি করে যে, জ্যাকব তাকে ব্লাকমেইলের মাধ্যমে আত্মসমর্পণে রাজী করেছিলেন।  ৯৩ হাজার সৈন্য সাথে নিয়ে নিয়াজি আত্মসমর্পণ করেন। এখানে আরেকটি বড় ব্যাপার হচ্ছে, ঢাকায় তখন প্রায় ৩০ হাজার পাকিস্তানি সৈন্য উপস্থিত ছিল, অপরদিকে ভারতীয় সৈন্য ছিল মাত্র ৩ হাজার। অর্থাৎ অনুপাতে ১০:১। এক্ষেত্রে জ্যাকব অনেক বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেন। জেনারেল নিয়াজি এ সম্পর্কে মোটেই অবগত ছিলেন না। জেনারেল জ্যাকব ২০১২ সালে ২৭শে মার্চ বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা পদক গ্রহণ করেন। মূলত স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদান এর জন্য তিনি এই পুরস্কার লাভ করেন।ভারত রক্ষক ওয়েবসাইটে জ্যাকব বারংবার উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশ যুদ্ধে কেবলমাত্র তার নিজ চেষ্টার মাধ্যমে সফলতা পেয়েছেন। এতে, মানেকশ’ অথবা পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের লেঃ জেঃ জগজিৎ সিং অরোরা’র কৃতিত্ব ছিল না।
(উইকিপিডয়া।)

চতুর ইহুদী জ্যাকবের বুদ্ধির কারণেই পাপিষ্ঠ নিয়াজি আত্মসমর্পণ করে। সেটা না করে সে যদি যুদ্ধ চালিয়ে যেতো, তাহলে ঢাকায় অবস্থানকারী মাত্র ৩ হাজা ভারতীয় সৈন্য নির্মূল হতো এবং মুক্তিযুদ্ধও দীর্ঘস্থাী হওয়ার কারণে আরো অরেক মানুষ মারা যেতো।
সুতরাং পকিস্তানী কমান্ডার তার বাহিনীর সদস্যদের প্রান বিনাশ হওয়ার সম্ভাবনার কথা ভেবেই, মুক্তিবাহিনীর সাথে সারেন্ডার চুক্তি করেনি। মুক্তিযুদ্ধের যেই পর্যায়ে পাকিস্তানী বাহিনীর কামন্ডার, জেনারেল নিয়াজী সারেন্ডার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো, তখন তার ভাবনায় কাজ করছিলো তার নিজের ও তার ৯০ হাজার সৈন্যের বন্দী অবস্হায় সিকিউরিটি, ভবিষ্যত ও অবেশেষে নিজ দেশে ফেরার কথা; এসব ভাবনা মাথায় রেখেই সে জেনারেল অরোরার সাথে সারেন্ডারের শর্তাবণী নিয়ে আলোচনা করেছে -আপনার দেয়া এসব তথ্য সম্পূর্ণ ভুল।
মুক্তিযুদ্ধের মতো ঐতিহাসিক ঘটনা সম্পর্কে এধরণের ভুল তথ্য দেযা হলে সবাই ভুলই জানবে।
সুতরাং পারলে সঠিক ত্য দেন, না পারলে বিরত থাকেন।
আমি, অন্য অনেক বিষয়রে মতো মুক্তিযুদ্ধ গবেষকও ।
তা্ই গবেষণা করে সত্য উদঘাটসের চেষ্টা করি।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৪৩

সোনাগাজী বলেছেন:


নিয়াজী ১ জন জেনারেল ছিলেন; উনি যদি মনে করেন যে, উনাকে ব্ল্যাকমেইল করা হয়েছে, উনি কি ধরণের জেনারেল।
পাকিস্তানীরা যুদ্ধে পরাজিত হয়ে অনেক রকমের কথা বলেছে। বাস্তবতা হলো এয়ারফোর্স না'থাকায় জেনারেল বুঝেছিলো যে, যুদ্ধে তার বাহিনীর লোকেরা বেঘোরে প্রাণ হারাবে; সেজন্য সে আত্মসমর্পনে গেছে।

২৮| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৫৮

অনল চৌধুরী বলেছেন: Short Film

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৪৪

সোনাগাজী বলেছেন:


ঠিক আছে, দেখবো।

২৯| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৩৯

ইমরান আশফাক বলেছেন: আমি সরাসরি বলছি, মুক্তিযুদ্ধে যে ৩০ লক্ষ লোক শহীদ হয়েছে তার পরিসংখ্যন শেখ সাহেবকে কে দিয়েছিলেন লন্ডনে? এই কথা বাজারে ভালই প্রচারিত আছে যে তিন লক্ষকে ভূলক্রমে তিন মিলিওন বলা হয়েছে। পাকিস্তানী সৈন্যদের হাতে কি তিরিশ লক্ষ বুলেটও ছিল? কিছু সুবিধাপন্থীরা যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় কলকাতার হোটেলে বা ভাড়া বাড়ীতে ভারতীয় অতিথিয়তায় রাজকীয় জীবনযাপন ও সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছেন তারাই এখন মুক্তিযুদ্ধের সবচেয়ে বড় বেনিফিশারী। এখনও তারা বিদেশীদের মদদপুষ্ট হয়ে দেশবাসীদের মূল্যবান (নাকি অমুল্যবান) অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান বিতরং করে চলেছেন।

আর একটা কথা শুনে রাখুন, স্বাধীনতার ঘোষনা স্পষ্টভাবে শেখ সাহেবই প্রথম দিয়েছিলেন ৭ই মার্চের ভাষনে। আপনি ঐ ভাষনটি ভাল করে খেয়াল করলেই ধরতে পারবেন। তিনি আমাদের হাতের কাছে যা আছে তাই নিয়েই প্রস্তুত হতে বলেছেন।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২২ ভোর ৫:৩৬

সোনাগাজী বলেছেন:




মুক্তিযুদ্ধের উপর আপনার ধারণা পরিস্কার বলে মনে হচ্ছে না।

৩০| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২২ ভোর ৪:০৮

অনল চৌধুরী বলেছেন: নিয়াজি যদি মনে করেন যে, তাকে ব্ল্যাকমেইল করা হয়েছে, উনি কি ধরণের জেনারেল -পাকিরা কিসের জেনারেল !!! এরা শুধু খুনী লম্পট আর মদখোর, যারা গণহত্যা, নারী নির্যাতন আর লুটপাটে পারদর্শী । কিন্ত মাত্র কিছুদিনের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের ভয়ে আতংকিত হয়ে প্রাণ বাচাতে জ্যাকবের দেয়া হুমকিতে আত্মসমর্পণ করেছে।
তখন তাদের কাফের হত্যার জেহাদী চেতনা পালিয়েছিলো।
ইমরান আশফাক বলেছেন: আমি সরাসরি বলছি, মুক্তিযুদ্ধে যে ৩০ লক্ষ লোক শহীদ হয়েছে তার পরিসংখ্যন শেখ সাহেবকে কে দিয়েছিলেন লন্ডনে? এই কথা বাজারে ভালই প্রচারিত আছে যে তিন লক্ষকে ভূলক্রমে তিন মিলিওন বলা হয়েছে। পাকিস্তানী সৈন্যদের হাতে কি তিরিশ লক্ষ বুলেটও ছিল? -মুক্তিযদ্ধে ৩০ লাখ মানুষ শহদি হয়েছে এই তথ্যর প্রথম দেয় সোভিয়েট ইউনয়িনের বিখ্যাত প্রাভদা পত্রিকা।
এখন এটা যবি কারোবিশ্বাস না হয় তাহলে কার দ্বিতয়ি বিশ্বযুদ্ধে ৫০ কোটি সোভিয়েত মুত্যর বওাপারেও সন্দেহ করা উচিত।
বাংলাদেশেরপ্রতিটা জেলায় অসংখ্য গণকবর পাওয়া েহেছে। সুতরাং মৃতের সংখ্যা অঅরো বেমীঅ হতে পারে। বুলেট ছাড়াও পিটিয়ে মানুষ হত্যা করাহয়েছিরো। অেনেকে মরেছিরেঅ পালােতে গিয়ে। অনেকে ক্ষুধায়।
মৃত ৩০ লাখ কিনা এসব কথা বলে পাকি খুনীরা আর জামাতি রাজাকাররা তাদের নিজেদের অপরাধ ঢাকার জন্য।
সেটা না হলে ৫০-থেকে ৭১-পর্যন্ত সব ইতিহাস বাদ দিয়ে শুধু এটা নিয়ে এতো মাথাব্যাথা কেনো ?
পাকি খুনীদের প্রধান সহায়ক এ্যামেরিকার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী কর্তৃক বাংলাদেশে চালানো নৃশংসতাকে গণহত্যা ও মানবাধিকারের বিরুদ্ধে অপরাধ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিতে একটি প্রস্তাব আনা হয়েছে। দেশটির দুই কংগ্রেসম্যান ‘১৯৭১ সালে বাংলাদেশে গণহত্যার স্বীকৃতি’ শিরোনামে আট পৃষ্ঠার প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন। প্রস্তাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে গণহত্যার স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের নৃশংসতাকে গণহত্যার স্বীকৃতি দিতে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে প্রস্তাব
সুতরাং এরপরও কেউ বিশ্বাস না করলে সেটা তার অজ্ঞতা।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২২ ভোর ৪:১৪

সোনাগাজী বলেছেন:



প্রশ্নফাঁস জেনারেশন ও ফেইসবুক জেনারেশন ১৯৭১ সাল সম্পর্কে কোন কিছুই সঠিভাবে জানে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.