নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একমাত্র সোস্যালিষ্ট অর্থনীতি বাংগালী জাতিকে নিজ পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করবে।
ইহা জাতীকে চিন্তিত করেনি, শোকাহত করেছিলো সামান্য কিছু সময়ের জন্য।
ফেলানী খাতুন, ১৫ বছরের কিশোরী, বাড়ী বাংলাদেশের কুড়িগ্রামে, দিল্লীতে পরিবারের সাথে বাস করতো; আইনীভাবে বাস করার কাগজপত্র ছিলো না। ২০১১ সালে ফেলানীর বিয়ের ঠিক হয় দেশে, সে দেশে ফিরছিলো। বাবা অশিক্ষিত মানুষ, সীমান্ত অতিক্রম করছিলো দালালের সাহায্য নিয়ে; দালালেরা কাঁটাতারের বেড়ার উপর দিয়ে মই দিয়ে মানুষ পার করে; ফেলানী পার হওয়ার সময় ভারতের সীমান্ত প্রহরীদের গুলিতে প্রাণ হারায়। ফেলানীর দেহটি কাঁটাতারে ঝুলে থাকে ৪ ঘন্টা; এই ছবিটি বাংলাদেশের মানুষকে অনেক কষ্ট দিয়েছে। ইহার কথা মনে হলে এখনো আমর চোখে পানি আসে, মেয়েটার জন্য অনেক কষ্ট লাগে; মেয়েটা জীবনের বড় স্বপ্ন, বিয়ে করার জন্য আসছিলো।
আমাদের সীমান্তের গ্রামগুলো অনুন্নত, কোন ধরণের চাকুরী নেই বললেই বলে; সীমান্তের অনেক মানুষ দিল্লী ও বোম্বতে কাজ করে, এরা অশিক্ষিত মানুষ। এরা এভাবেই যাওয়া আসা করে। বিএসএফ'এর নিজস্ব দালাল আছে, তাদের মাধ্যমে পার হওয়াটা মোটামুটি বিপদমুক্ত; অনেক এসব জানে না। অনেক দালাল বিএসএফ'কে ফাঁকি দিয়ে মানুষ পার করে, চোরাই মাল পার করে; বিএসএফ এদের উপর গুলি চালায়।
আমাদের এলাকার শিক্ষিত ছেলে ভারতীয় পাসপোর্টে আমেরিকা এসেছে, ফ্লোরিডায় বাস করে, কাজ করে। ভারতে এসব সুযোগ ছিলো, সবাই সেসব সুযোগ নিতে পারেনি।
২০১১ সালের ৭ই জানুয়ারী ফেলানীকে হত্যা করা হয়েছিলো। ছবিটি অনেক দেশের ও ভারতে মানুষ দেখায়, বিএসএফ নিজেদের আদালতে এই হত্যাকান্ডের বিচারের ব্যবস্হা করে। ফেলানীকে গুলি করেছিলো বিএসএফ জোয়ান অমিয় ঘোষ; বিচারে অমিয় ঘোস খালাস পেয়ে গেছে। ফেলানীর বাবা ভারতের উচ্চ-আদালতে আপিল করেছে; কিন্তু উহা ঝুলে আছে।
ফেলানী হত্যা জাতীকে যেভাবে কষ্ট দিয়েছিলো, সেটা আমাদের সরকার ও প্রশাসনের লোকদের উপর প্রভাব ফেলেনি; সরকার ও প্রশাসনের লোকজন ইহা নিয়ে তেমন কথা বলেনি, তাদের কেহ কিছু লিখেনি; সীমান্তের মানুষকে কেহ চাকুরী, বাকুরী দেয়ার চেষ্টা করেনি; চোরা চালানী বন্ধ করার চেষ্টা করেনি।
সামুতে ৭ই জানুয়ারীতে ফেলানীর উপর আগে অনেক পোষ্ট আসতো; এবার আসেনি।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৫৪
সোনাগাজী বলেছেন:
সব প্রতিরক্ষা বাহিনীর নিজস্ব আইন কানুন থাকে; ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীর লোকদের বিচার সরকারগুলো করেনা।
২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:৪৯
দেশী পোলা বলেছেন: অনেক কাল আগে একটা পোস্ট লিখেছিলাম
খালি রোড না, ফেলানীর নামে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর চাই
কালের গহ্বরে পোস্ট হারায় গেছে
তবে আসলেই ফেলানীর নামে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বানানো উচিত, বাংলাদেশের মানুষরা খুব কষ্ট করে বিদেশে যায় দু্ইটাকা উপার্জনের জন্য, ফেলানীর নামে বিমানবন্দর হলে সকল প্রবাসীদেরকেই সম্মান দেয়া হবে
আর ইন্ডিয়ান এম্বেসীর সামনে ফেলানীর একটা বিশাল ভাষ্কর্য্য চাই
০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৫৬
সোনাগাজী বলেছেন:
৭ই জানুয়ারীর সপ্তাহে মানুষ ভারতীয় দুতাবাসের সামনে জড়ো হয়ে, সীমান্ত হত্যার বিপক্ষে প্রতিবাদ করার দরকার।
বিমানবন্দর, বা কোন কিছু করার কথা বলার মতো লোকজন সরকারে কখনো যায়নি।
৩| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:২৬
বিটপি বলেছেন: কোন দেশের সীমান্ত রক্ষীদের কি অধিকার আছে নিরস্ত্র মানুষকে এভাবে গুলি করার? অবশ্য বিএসএফের দোষ দেই কেন? আমাদের নীল পোশাকের ঠোলা বাহিনীই তো নিরস্ত্র রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের উপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে দেয়।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৫৮
সোনাগাজী বলেছেন:
'৭১ সালে কিছু বাংগালী পাকী বাহিনীতে গিয়ে লাখ লাখ বাংগালী হত্যা করেছিলো; আমাদর ইতিহাস ভালো নয়।
৪| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৫৭
রানার ব্লগ বলেছেন: সীমান্তের হত্যার বিচার কখনোই হয় না।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৭
সোনাগাজী বলেছেন:
আমাদের নাগরিকরা বিনা ভিসায়, রাতের বেলা মই দিয়ে, দালালদের সাহায্য নিয়ে কেন সীমান্ত পার হয়?
৫| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৫
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ফেলানী ঢাবি, বুয়েটের কেউ না যে সরকার বলার মত কিছু করবে? দেশবাসীরও দুনিয়ার প্যারা ফেলে ফেলানীকে নিয়ে ভাবার সময় নেই। আমাদের বিপ্লব ফেসবুক আর গোল টেবিল পর্যন্ত...
০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৯
সোনাগাজী বলেছেন:
ফেলানী একটা সিম্বল।
ফেলানী হলো একমাত্র বাংগালী মেয়ে, যার জন্য জাতীর বেশীরভাগ মানুষ মনে কষ্ট পেয়েছিলেন।
৬| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:২৪
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এখন ফেলানির মত আর কেউ কাজের খোজে ভারত যায় না।
বর্তমানে কৃষি শ্রমিক ও দিনমজুরের বেতন সীমান্তের এ পাড়েই বেশি। টুরিষ্ট প্রধান সিলেট ও শ্রীমঙ্গলে দ্বীগুনেরও বেশী।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:৪১
সোনাগাজী বলেছেন:
আপনার কারণে বাংলাদেশ ও আমেরিকার মানুষ সুখী জীবন যাপন করছেন। শেখের পর, আপনাকে একটা খেতাব দেয়ার প্রয়োজন। আমি দিচ্ছি না, তোফায়েল আহমদ দেয় কিনা দেখি।
৭| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: ফেলানির ঘটনায় বাংলাদেশের সমস্ত মানুষ দুঃখ পেয়েছে। খুবই অমানবিক কাজ হয়েছে। প্রতিদিন সংখ্য মানুষ সীমান্ত দিয়ে দালালের মাধ্যমে ভারত যাচ্ছে আসছে। কাউকে এভাবে হত্যা করা হয় না। ফেলানি কে কেন এভাবে হত্যা করা হলো?
০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৩
সোনাগাজী বলেছেন:
ভারতে বিএসএফ'এ কারা চাকুরী করে? ওদের মাঝে মগজহীন ইডিয়ট অনেক।
৮| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: ফেলানীকে বাংলাদেশের মানুষ ভুলে গেছে। আজ কাউকে ফেলানিকে নিয়ে লিখতে দেখিনি।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:১২
সোনাগাজী বলেছেন:
ফেলানীর মৃত্যু থেকে যদি প্রশাসন কিছু শিখতো, বাংগালীরা বিনা ভিসায় সীমান্ত ক্রস করতো না, বিএএসএফ'এর গুলিতে প্রাণ যেতো না।
৯| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৫:০৬
অনল চৌধুরী বলেছেন: ভারত পাকিস্তান, চীন বা বার্মা সীমান্ত দূরে থাক নেপাল বা ভূটান সীমান্তেও এভাবে গুলি করে নীরিহ মানুষ মারার সাহস করে না।
পাল্টা গুলি না করাতেই্ এই সাহসটা পায়।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৫:৩৭
সোনাগাজী বলেছেন:
পাল্টা গুলি হয়েছে বাংলাদেশ বর্ডারে।
১০| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:০৫
বিটপি বলেছেন: আমার প্রশ্ন পাকি বাহিনী নিয়ে নয়, সীমান্ত রক্ষী বাহিনী নিয়ে ছিল।
পাকি বাহিনী লাখ লাখ মানুষকে হত্যা করার কারণে ফেলানী হত্যাকে জায়েজ করে দেয়নি।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৩৩
সোনাগাজী বলেছেন:
এতদিনে ফেলানী হত্যা, তার বিচার সম্পর্কে আপনিনিশ্চয় জানেন।
১১| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:৩৫
অনল চৌধুরী বলেছেন: পাল্টা গুলি হয়েছে বাংলাদেশ বর্ডারে- বাংলাদেশের কোনো নাগরিককে গুলি করার পরও কোনোদিনও হয়নি।
হয়েছে ওরা সীমান্তরক্ষীদের দিকে গুলি ছোড়ার পর আত্মরক্ষার প্রয়োজনে। আর তখন ওরা মরেছে বা পালিয়েছে।
১০ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:৪২
সোনাগাজী বলেছেন:
একবার অনেক বিএসফ নিহত হয়েছে।
১২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:৫৪
অনল চৌধুরী বলেছেন: ২০০১ এ।
সেটা নিয়ে আমি বইয়েও লিখেছি।
১০ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:২৭
সোনাগাজী বলেছেন:
আচ্ছা।
এখন আপনার পেশা কি, কোথায় কাজ করেন?
১৩| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:৩৬
অনল চৌধুরী বলেছেন: পেশা হলো গবেষণা,লেখালেখি ,আত্মরক্ষাকৌশল আর শরীরচর্চা শেখানো ,ভিডিও বানানো আর ব্যবসা-সাবেক জমিদারী দেখাশোনা করা।
সবচেয়ে বড় পেশা দেশের বড় বড় অপরাধীদের শায়েস্তা করা বা করার চেষ্টা করা।
২০১২'র পর থেকে আর বইমেলায় যাইনা।
বাংলা একাডেমীর সাথেও কিছু হিসাব-নিকাশ আছে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:৩৫
কামাল১৮ বলেছেন: এটা একটা স্পষ্ট মানবাধিকার লংঙ্গন।সঠিক আইনি লড়াইয়ের অভাবে সঠিক বিচার পায় নাই।