নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষাই দরিদ্রদের জন্য সম্পদ।

সোনাগাজী

একমাত্র সোস্যালিষ্ট অর্থনীতি বাংগালী জাতিকে নিজ পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করবে।

সোনাগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রফেসর এমাজউদ্দিন সাহেবের কথা ভুলেই গিয়েছিলাম।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:২৮



প্রফেসর এমাজউদ্দিন সাহেবের (১৯৩৩ - ২০২০ ) কথা অনেকটাই ভুলেই গিয়েছিলাম; আজকে উনার এক ছাত্রের ১ কমেন্ট থেকে উনার কথা মনে পড়লো। উনাকে আমার খুবই বেকুব মানুষ মনে হতো সব সময়; উনি বেগম জিয়ার উপদেষ্ঠা ছিলেন; ২০১২ সাল থেকে আমি বুঝতে পারছিলাম যে, বেগম জিয়ার জেল হবে, শেখ হাসিনা সময়ের জন্য অপেক্ষা করছেন; কিন্তু বেগম জিয়ার "থিংক ট্যাংক", প্রফেসর এমাজউদ্দিন সাহবে উহা দেখতে পাননি, এবং বেগম জিয়াকে ইহা থেকে রক্ষা করতে পারেননি।

ঢাকা ইউনিভার্সিটির শিক্ষকদের দক্ষতা ও সততা নিয়ে বরাবরই আমার সন্দেহ ছিলো; দেশ স্বাধীন হওয়ার পর, দেশের ব্যুরোক্রেসী ও প্রশাসনের বেশীরভাগ বড় পদেই ঢাকা ইউনিভার্সিটির গ্রেজুয়েটরাই বেশী ছিলো; ওরা নতুন দেশের যেই পরিমাণ ক্ষতি করছিলো, উহা ছিলো ভয়ংকর কান্ড।

এমাজুদ্দিন সাহেবের বেকুবী ও অপরিপক্কতা আমার চোখে প্রথমবার পড়ে একটা ছবি দেখে, ছবিটা ছিলো বেগম জিয়ার জন্মদিনের কেইক কাটার ও কেইক খাওয়ার; ১৫ই আগষ্টে বেগম জিয়ার জন্মদিনে কেইক কাটা হয়েছিলো, ড: এমাজ উদ্দিন সাহেবের হাতে কেইক। আমি ভাবছিলাম, মেয়র খোকা, মির্জা আব্বাসের মাথায় মগজ না থাকারই কথা; কিন্তু প্রফেসর সাহবের এই অবস্হা কেন? তিনি কি বুঝতে পারছেন না, কেইক খাওয়ার ছবি শেখের মেয়েও দেখছেন!

বেগম জিয়ার থিংক ট্যাংক বুঝতে পারেননি শেখের মেয়ে কোনদিকে যাচ্ছেন! আমি তখন অন্য আরেক ব্লগে ছিলাম; সেখানে ঢাকা ইউনিভার্সিটির অনেক ছাত্র ছিলো; আমি এমাজউদ্দিন সাহেবের বিপক্ষে লেখার পর, এরা দল বেঁধে আমাকে গালাগালি করার শুরু করলেন। আমি অবশ্য "থিংক ট্যাংকের" যায়গায় "সেইফটি ট্যাংক" কথাটা ব্যবহার করেছিলাম পোষ্টে।

যাক, এখন উনি নেই, বেগম জিয়া আছেন; বেগম জিয়া উনার নিজের কর্মকান্ড, উহার সলাফল, বা ভবিষ্যত বুঝার মতো বুদ্ধিমতী ছিলেন না; কিন্তু একজন ডক্টরেট ও প্রফেসর এডভাইজারও বেগম জিয়ার ভবিষ্যতটি দেখতে পাননি।





মন্তব্য ২৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৩৩

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: প্রফেসর ডক্টর এমাজউদ্দীন আহমদ একজন সাদা মনের মানুষ ছিলেন। মরহুমের জন্য দোয়া রইলো।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৪৮

সোনাগাজী বলেছেন:



শুধু মন নয়, মগজটাও সাদা ছিলো; ধাক্কাটা গেছে বেগম জিয়ার উপর দিয়ে। বেগম জিয়ার জন্যও একটু দোয়া করে দেন।

২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:২৫

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: খালেদা জিয়াকে ১৫ আগস্টে জন্মদিন পালনের কুবুদ্ধি কি ওনিই দিয়েছিলেন?

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:২১

সোনাগাজী বলেছেন:



মনে হয় না, সেটা আমি জানি না।

৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:২৬

কামাল১৮ বলেছেন: এমন মহান লোক কে ভুলে গেলে চলবে কেমনে।কিছু জেনারেল, কিছু বিচারপতি,কিছু অধ্যাপক এদের কে স্বরণীয় তালিকায় রাখতে হবে।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:২২

সোনাগাজী বলেছেন:



আমি উনাকে বেকুব হিসেবে মনে রেখেছিলাম দীর্ঘ সময়।

৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:২৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
খুবই বাজে খারাপ একটি লোক।
১৫ই আগষ্ট জন্মদিন করার অন্যতম প্রধান রুপকার।
যার কারনে বিএনপির আদর্শিক মৃত্যু রচিত হয়েছিল।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:২৩

সোনাগাজী বলেছেন:



১৫ই আগষ্টে জন্মদিনের কুবুদ্ধি কে দিয়েছিলো, সেটা আমি জানি না; তবে, থামানোর দায়িত্ব উনার ছিলো।

৫| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৫২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: উনার বিরোধী অনেক তেমন পছন্দ করেন অনেকে

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:২৫

সোনাগাজী বলেছেন:



বাক্যটার অর্থ উদ্ধার করতে পারিনি।

৬| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:২১

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


বেগম জিয়া মানুষ কেমন ভেবে উপদেষ্টা ভাবুন,হিসাব ক্লিয়ার।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:২৮

সোনাগাজী বলেছেন:





আপনার বাক্য পরিস্কার হয়নি।
বেগম জিয়ার কোন রকম বুদ্ধিমত্তা ছিলো বলে মনে হয় না।

৭| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:৪৬

অনল চৌধুরী বলেছেন: তার লেখা বই রাষ্ট্রবিজ্ঞানের কথা একটা ভালো বই।
সেখানে তিনি নিরপেক্ষ।
কিন্ত চরিত্রগতভাবে একটা নষ্ট লোক।
তার নামেও তৎকালীন দুর্নীতি দমন সংস্থায় মামলা হয়েছিলো কিন্ত তার কোনো শাস্তি হয়নি।
তিনি বলেন, তারেক বাবার যোগ্য উত্তরসূরী !!!
দেশ ধ্বংসের জন্য অন্যতম দায়ী ব্যাক্তি এইসব জ্ঞানীরা।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৩:৪৭

সোনাগাজী বলেছেন:



উনার বই আমি পড়িনি; পড়লে হয়তো গার্বেজ খুঁজে বের করতে পারবো।

৮| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:৪৭

অনল চৌধুরী বলেছেন: এতোদিন পর তার নাম মনে হলো কি আমার লেখা বইয়ে তার সম্পর্কে লেখা দেখে ??
সত্যি বলবেন।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৩:৪৯

সোনাগাজী বলেছেন:




না, আপনার লেখা থেকে নয়, ব্লগার জুল ভার্ন ১ পোষ্টে কমেন্ট করে বলেছেন যে, উনার প্রিয় শিক্ষকদের তালিকায় এই প্রফেসর সাহেবও আছেন।

৯| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:১৩

রানার ব্লগ বলেছেন: এমাজউদ্দীন মওদুদ আহমেদ এরা হলো লোভী পিপড়া শ্রেনীর। এদের দিয়ে রাস্ট্র উপকৃত হবার চান্স নাই বললেই চলে সেখানে বেগম জিয়া'র মতো অশিক্ষিত মাথা খারাপ মহিলার পক্ষ তাদের বোঝা বা পরিচালনা করা প্রায় অসম্ভব।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:০৩

সোনাগাজী বলেছেন:



এরা জাতির মাথার উপর বেগম জিয়াকে বসায়ে দিয়েছিলো।

১০| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:০৬

এম ডি মুসা বলেছেন: অনেক দিন পর আর নতুন বছরে আপনার লেখা এখানে প্রথম পড়লাম এবং কমেন্ট

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৮

সোনাগাজী বলেছেন:



তাইতো, আপনি তো বেশ কইছু সময় ছিলেন না; কোন সমস্যা?

১১| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৩

আল ইফরান বলেছেন: এখানে লেখকসহ যে কয়জন মন্তব্য করেছেন আমার কাছে মনে হয় না তারা কেহই প্রফেসর সাহেবের সাথে ব্যক্তিগতভাবে পরিচিত ছিলেন। উনি দীর্ঘদিন বামপন্থী রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন, এটলিস্ট ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত। জাতীয়তাবাদের সাথে ওনার হাতেখড়ি খুব বেশি দিনের নয়। একজন বাম আদর্শের শিক্ষক জাতীয়তাবাদি রাজনীতির উপদেষ্টা হয়েছেন সেইটাই আমাদের অনেকের কাছে বিস্ময়ের বস্তু ছিলো। ভালো-মন্দের বিচারের ভার এখন আল্লাহর কাছে (যেহেতু উনি বিগত হয়েছেন), কিন্তু আওয়ামী ইতরতা বোঝার মত দুশ্চরিত্র এই প্রফেসর সাহেব ছিলেন না। এর চাইতে বেশি কিছু লিখতে চাচ্ছি না।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০২

সোনাগাজী বলেছেন:



বাংলাদেশের বামদের মাথায় সোস্যালিজমে "স" ছিলো?

বেগম জিয়ার ১৫ই আগষ্টে জন্মদিনে হাতে কেইকসহ ছবি থাকলে, উহার বুদ্ধিমত্তার পরিমাণ ডোডো থেকেও কম হওয়ার কথা

১২| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: ''সেইফটি ট্যাংক'' নিয়ে বহু বছর আগে সামুতে একটা পোষ্ট দিয়েছিলেন।
সেটা নিয়ে বেশ হাউকাউ হয়েছিলো।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৩

সোনাগাজী বলেছেন:



উহাও প্রফেসরের বুদ্ধিমত্তা নিয়ে ছিলো।

১৩| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৪৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: ব্লগার আল ইফরানের সাথে একমত। উনি ঢাবির উপাচার্য থাকাকালীন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি। উপাচার্যের বিরুদ্ধে তেমন কোন অভিযোগ শুনিনি। আসলে সেই সময়ে শিক্ষকেরা নীল সাদা দলে বিভক্ত থাকলেও এই জমানার মত নিল্লজ্জ চাটুকার ছিলেন না। আর ব্লগার জুলভার্নের বিরুদ্ধে আপনার গায়ে পড়ে ঝগড়া লাগানোর চেষ্টাটা খুবই দৃষ্টিকটু হয়ে দাড়িয়েছে। ডক্টর এমাজুদ্দিন প্রিয় শিক্ষক হতেই পারে। একজন শিক্ষক ছাত্রছাত্রীদের কাছে প্রিয় হন সাধারনত ভাল পড়ালে। আমার ছাত্রাবস্থায় নীল / সাদা উভয় প্যনেলের বেশ কিছু শিক্ষক/ শিক্ষিকা প্রিয় ছিলেন কারন রাজিনীতিকে তারা সেই জমানায় ডিপার্টমেন্টে কখনও টেনে আনতেন না।



১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৮

সোনাগাজী বলেছেন:



আরেকটা ব্যাপার, ভারত থেকে যারা রিফিউজী হয়ে পুর্ব পাকিস্তানে এসেছিলো, তারা চায়নি যে, "মুসলিম দেশ পাকিস্তান ভেংগে" বাংলাদেশ হোক।

বেগম জিয়ার ১৫ই আগষ্টের জন্মদিনে যাদের হাতে কেইক দেখেছেন, তাদের বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে আপনার কি ধারণা?

১৪| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৫

অক্পটে বলেছেন: "আওয়ামী ইতরতা বোঝার মত দুশ্চরিত্র এই প্রফেসর সাহেব ছিলেন না। এর চাইতে বেশি কিছু লিখতে চাচ্ছি না।"

আল ইফরানকে অন্তর থেকে ধন্যবাদ যে অন্তত একজনই ইতরামীর সঠিক জবাব দিয়েছেন। এই ব্লগটা আসলে ইতরে ইতরে ভরে গেছে। এখানে আসলে ওদের দলের না হলে কোন মানুষেরই দাম নেই। ওদের দল চোর বাটপাররে ভর্তি লজ্জাও করেনা একজন মরহুমের বিরুদ্ধে এমন লেখা এবং মন্তব্য করতে।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১০

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনি নিজকে পরীক্ষা করে দেখেন, বেগম জিয়ার ১৫ই আগষ্টের জন্মদিনে যাদের হাতে কেইক দেখেছেন, তাদের বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে আপনার কি ধারণা?

১৫| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:০৩

আল ইফরান বলেছেন: ১৫ আগষ্টকে খালেদা জিয়ার জন্মদিন হিসেবে পালন করা জাতীয়তাবাদি রাজনীতির নৈতিক এবং মানসিক দেউলিয়াত্বের বহিঃপ্রকাশ। এই ধরনের হঠকারিতামূলক সিদ্ধান্তের পেছনে কে ছিলেন তা নিশ্চিতভাবে না জেনে প্রফেসর এমাজউদ্দিনকে কাঠগড়ায় দাড় করিয়ে দেয়াকে আমি সমর্থন করছি না।
রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি বরাবরই ভরসা করেছে প্রাক্তন জেনারেল-আমলাদের উপর যার কারনে অনেক মেধাবী লোকজন এই দলের পেছন থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছে অথবা গুটিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে। দল হিসেবে যেসময় বিএনপির নির্ভর করা প্রয়োজন ছিলো মাঠ-পর্যায়ে রাজনীতি করে উঠে আসা ঝানু রাজনীতিবিদ মান্নান ভূইয়া অথবা বদরুদ্দোজা চৌধুরিদের তখন তারা সেই দায় দিয়েছে প্রফেসর সাহেবের মত তাত্ত্বিকদের হাতে। দূর্ভাগ্য!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.