নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষাই দরিদ্রদের জন্য সম্পদ।

সোনাগাজী

একমাত্র সোস্যালিষ্ট অর্থনীতি বাংগালী জাতিকে নিজ পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করবে।

সোনাগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিক্ষা ব্যবস্হায় আধা পরিবর্তন: "এ্যাক্টিভিটি-নির্ভর" শিক্ষাব্যবস্থা চালু হচ্ছে ৩টি ক্লাশে

২১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৪৭



সরকার শিক্ষা ব্যবস্হায় পরিবর্তন আনছে, এবং উহা শুধু স্কুল ও কলেজের জন্য; কিন্তু মাদ্রাসা ওভাবেই আগের মতো কাউয়ার বাসা, বকের বাসাই থেকে যাচ্ছে।

এ্যাক্টিভিটি-নির্ভর শিক্ষাব্যবস্থা৷ চালু হচ্ছে ৩টি ক্লাশে; আপনারা এই পদক্ষেপের ব্যাপারটা বুঝেছেন নাকি? আমি ডয়েচে ভ্যালের কোন এক লেখকের লেখা থেকে পড়েছি; আমার কাছে ইহা তেমন পরিস্কার হয়নি, ইহা কি নতুন আবিস্কার, নাকি বাকী বিশ্বের অনুকরণ। এখন ১ম, ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণীত এই নতুন পদ্ধতি প্রয়োগ শুরু হচ্ছে, ২০২৮ সালের মাঝে ইহাকে পুরোপুরিভাবে কার্যকর করা হবে ও সেই সাল থেকে নতুন পদ্ধতি অনুসারে পরীক্ষা নেয়া হবে। তখনও ১০ম শ্রেণীতে ১টি পরীক্ষা হবে; তারপর, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীতে ২টি "পাবলিক পরীক্ষা" হবে।
বাংলাদেশে "পাবলিক" শব্দটা সব সময় মোটামুটি ভুলভাবে প্রয়োগ করা হয়; ফলে, "পাবলিক পরীক্ষা" বলতে কি বুঝাচ্ছে, সেটি আমার কাছে পরিস্কার নয়। যাক, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর ২টি "পাবলিক পরীক্ষা"র ফল থেকে ১২শ্রেণী শেষ করার ফলাফল দেয়া হবে।

১২ শ্রেণী অবধি স্কুল বলেই গণ্য হবে মনে হচ্ছে; এটা একটি সঠিক পদক্ষেপ; তবে, ইহা নতুন কোন আবিস্কার নয়, বিশ্বের বেশীরভাগ দেশে ইহা শত বছরের বেশী সময় ধরে চলছে।

আরেকটি পদক্ষেপ, আগের ১টি নিয়মের রদবদল হচ্ছে: আগে ৯ম শ্রেণীতে ছাত্রদের মোটামুটি আর্টস,কমার্স, বিজ্ঞান বিভাগে ভাগ করা হতো, এখন সেটা হবে একাদশ শ্রেণীতে; আমার কাছে ইহাকে হবুচন্দ্রের লিলিপুটিয়ান ভাবনা বলে মনে হচ্ছে; বিশ্বের প্রায় দেশেই ১২ ক্লাশ অবধি সবাইকে একই ধরণের অভিন্ন শিক্ষাক্রমে শিক্ষিত করা হয়; বাংলাদেশ কেন এখানে চাকা আবিস্কারে লেগে গেছে কে জানে!

এই প্রোগ্রাম অনুসারে, ছেলেমেয়েরা সর্বমোট ১০টি বিষয়ে পড়ালেখা করবে: (১) ভাষা সমুহ (২) ম্যাথ (৩) জীবন ও জীবিকা (৪) সমাজ বিজ্ঞান (৫) পরিবেশ বিজ্ঞান (৬) সায়েন্স ও টেকনোলোজী (৭) ইনফরমেশান সায়েন্স (৮) স্বাস্থ্য বিজ্ঞান (৯) মূল্যবোধ ও নৈতিকতা (১০) শিল্প ও সংস্কৃতি।

৩য় শ্রেণী অবধি পরীক্ষা হবে না, শিক্ষকরা ছাত্রদের পড়ালেখার মুল্যায়ন করবেন। ইহার পরের ক্লাশগুলোতে শিক্ষকের মুল্যায়ন ও পরীক্ষার ফল থেকে রেজাল্ট দেয়া হবে।

সবকিছু মিলিয়ে মনে হচ্ছে, ইহা নতুন কিছু নয়, বিশ্বের বেশীরভাগ দেশের অনুকরণে করা হচ্ছে; কিন্তু সবচেয়ে গরীবের বাচ্চাদের ( মাদ্রাসা ) জন্য কোন পরিবর্তনের দরকার নেই!


মন্তব্য ২১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:০০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরা হচ্ছে গিনিপিক। তাদের উপরে পরীক্ষানিরিক্ষা চালানো হচ্ছেই।
- মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থায় তাদের পাঠ্য বিষয় এবং সেলেবাস সম্পর্কে আপনার কোনো ধারনা আছে? আপনি জানেন এখন তাদের কি কি পড়ানো হয়? নবম-দশম শ্রেণীর বিষয় ও সেলেবাসে এখন কি কি আছে একটু জানাবেন?

২১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:০৫

সোনাগাজী বলেছেন:



মাদ্রাসা সিলেবাস সম্পর্কে আমার ধারণা ও ভাবনা হলো, উহাকে বন্ধ করতে হবে। ওখানে পিএইচডি দিলেও, ওগুলোকে মানসিকভাবে অপ্রয়োজনীয় নাগরিকে পরিণত করা হয়।

কেহ গিনিপিগ হচ্ছে না, এখন আসল শিক্ষার শুরু হবে।

২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের সরকার ধর্মবান্ধন সরকার।
সরকার ভাল করেই জানে দেশের বেশির ভাগ লোক ধার্মিক। কাজেই সরকার মাদ্রাসায় হাত দিবে না।
স্কুকাউট এর প্রোগ্রাম হওয়ার কথা ছিলো। শেখ হাসিনা সেটা পিছিয়ে দিয়েছেন। বলেছেন, ইজতেমা শেষ হোক।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৫৩

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনি কি "স্কাউট" বুঝাতে চেয়েছিলেন? আমাদের দেশের জন্য উহা হলো মোটামুটি অপ্রয়োজনীয়।

মাদ্রাসায় হাত না'দেয়া মানে গরীব বাচ্চাগুলোকে গরীব করে রাখার ষড়যন্ত্র। মানুষ ধার্মিক, ধর্ম তো বুঝতে হবে; মোল্লারা যেসব শিখায়, ওগুলো হাবিজাবি।

৩| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:১৯

নূর আলম হিরণ বলেছেন: যে কারিকুলাম দেওয়া হয়েছে এগুলি বাস্তবায়ন করার মত দক্ষ শিক্ষক আমাদের নেই। আমাদের শিক্ষকরা ট্রেনিংয়ে যায় বাড়তি কিছু টাকা পয়সা পাবে এজন্য। শিক্ষকরা আন্তরিক না হলে এটা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৩:৫১

সোনাগাজী বলেছেন:



বর্তমান জেনারেশনের ও তাদের কিন্চিত পুর্ব জেনারেসনের লোকজনের দক্ষতা ও ব্যক্তিত্ব সমস্যা আছে, এরা মোটামুটি কোরবাণীর হাঁটের গরুব্যবসায়ী হতে পারবে।

৪| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:৪৪

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

শিক্ষা ব্যবস্থা যা হবে দেশে,আমাদের পূর্বের ব্যবস্থা শুনলে রুপকথার গল্প মনে হবে।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৩:৫৩

সোনাগাজী বলেছেন:



১৯৭২ সালেই আমাদের উচিত ছিলো জাপান, কিংবা ইউরোপকে অনুকরণ করে শিক্ষা প্রদান করা; কিন্তু তখন যারা দেশ চালাচ্ছিলেন, এরা সবাই কমশিক্ষিত ছিলো।

৫| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:৪৩

কামাল১৮ বলেছেন: মাদ্রাসাগুলো সরকারের নিয়ন্ত্রন এর বাইরে।প্রথমে মাদ্রাসাগুলোকে সরকাকারের নিয়ন্ত্রন নিতে হবে।সরকার সেই চেষ্টাই করছে।তবে ইলেকশনের আগে বড়রকমের কোন সংস্কারে হাত দিবে না।এবার বিবর্তনতত্ত্ব ঢুকিয়েছে।তবে বাদ দেবার কথা কিন্তু কেই জোরেশোরে বলছে না,বলছে অন্য কিছু।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:২১

সোনাগাজী বলেছেন:


বিবর্তন কিছুই না; ওদেরকে নাসার ল্যাবের ভিতরে বাস করতে দিলেও ওরা বিশ্বাস করবে না যে, মানুষ চাঁদে যেতে পারে।

যারা মাদ্রাসায় পড়তে আগ্রহী, তারা ১২ ক্লাশ শেষ করার পর, ইসলাম ধর্মের উপর ৪ বছর অনার্স পড়বে; আরো পড়তে চাইলে, পিএচডি করবে। বাচ্চা যখন বুঝে না, তাকে সাধারণ জ্ঞানের শিক্ষা দিতে হবে, সেটা হলো স্কুল।

৬| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:২২

অক্পটে বলেছেন: শিক্ষকদের মাথায় সব সময় শিক্ষা বিজনেস ঠাসা হয়ে থাকে। জাতিকে শিক্ষিত করার যে প্রকৃত মানসিকতা এটা শিক্ষামন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশের শিক্ষকদের নেই। তারা শুধুই টাকা চেনে। শিক্ষামন্ত্রণালয়ে বসে আছে মহা দূর্ণীতিবাজরা।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:১৬

সোনাগাজী বলেছেন:



প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি করার পর, সবাই লোভী হয়ে গেছে; প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষকও শিক্ষাকে ব্যবসা হিসেবে দেখছেন।

৭| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:০৫

রানার ব্লগ বলেছেন: সামনে আরো কতো পরিবর্তন যে হবে কে জানে !!! স্থায়ী সমাধান কেউই দিতে পারছে না !

২২ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২১

সোনাগাজী বলেছেন:



স্কুলের ১২ ক্লাশ অবধি পা ঠ্যক্রমের ব্যাপারে ১০০ বছর পর, বিশ্বকে অনুসরণ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ; প্রস্তুতিতে ৫ বছর লেগে যাবে; ইহা মোটামুটি অপেক্ষাকৃত ভালো পদক্ষেপ; কিন্তু মাদ্রাসার ব্যাপারে সরকার ভুল পথে আছে, মাদ্রাসার লাখ লাখ শিশুর জন্য সরকার সঠিক পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

৮| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ম কে বন্ধী করে না রাখতে পারলে জাতির মুক্তি নাই।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৩

সোনাগাজী বলেছেন:



৫/৬ বছরের শিশুকে ধর্মীয় শিক্ষার মাঝে টেনে জাতি অপরাধ করছে, এসব শিশু জানে না যে, তারা কি কারণে নীচুমানের শিক্ষালয়ে যাচ্ছে।

৯| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:২৪

অনামিকাসুলতানা বলেছেন: শিক্ষকরা ছাত্র দের মুল্যায়ন করবে শুনেই ত আমার চিন্তা লাগছে। এখানে ও ঘুষ ঢুঁকে যাবে না ত।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৫

সোনাগাজী বলেছেন:



আমাদের শিক্ষকদের একাংশ অংশ ঘুষ দিয়ে চাকুরী নিচ্ছে; ওরা মানসিকভাবে কখনো শিক্ষহ হওয়ার কথা নয়।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:২৬

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনি নতুন, আপনাকে ব্লগে স্বাগতম।
আপনি যেই বিষয়ে ভালো বুঝেন, সেই বিষয় নিয়ে পোষ্ট লিখুন।

১০| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৭:৪৮

অনামিকাসুলতানা বলেছেন: ভাইয়া আমি অনেকদিন থেকে বিদেশে থাকি তাই ভয় লাগছে লিখতে। তবু ও আমি চেষ্টা করবো।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:০৪

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনি যেই দেশে আছেন, সেই দেশনিয়ে লিখেন; সেখানে বাংগালী থাকলে তাদের নিয়ে লেখেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.