নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষাই দরিদ্রদের জন্য সম্পদ।

সোনাগাজী

একমাত্র সোস্যালিষ্ট অর্থনীতি বাংগালী জাতিকে নিজ পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করবে।

সোনাগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বেগম জিয়া বিশ্বাস করতেন না যে, বাংলাদেশ স্বাধীন হবে।

১১ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৩:১৬



মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন, জুলাই মাসে পাকী বাহিনী লিষ্ট করে, মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ীঘর পোড়ানোর শুরু করে, পরিবারের লোকদের ধরে নেয়ার শুরু করে। এই সময় যেডফোর্সের অফিসার ও সৈনিকদের পরিবারকে ভারতে নিয়ে আসা, কিংবা দেশের ভেতরে লুকিয়ে রাখার জন্য পদক্ষেপ নেয়া হয়। বেশ কয়েকজন অফিসারের পরিবারকে ভারতে আনা সম্ভব হয়; এদের মাঝে ছিলেন মেজর মীর শওকত আলী সাহেবের পরিবার, ক্যা: মাহফুজ, ক্যা: হামিদ সাহেবের পরিবার।

পটিয়ার ১ রিটায়ার্ড হাবিলদার চট্টগ্রাম ষ্টিলমিলে সিকিরিটি অফিসার হিসেবে চাকুরী করতেন; তিনি যুদ্ধে যোগদান করেন; জুলাই মাসে ২ জন পাকিস্তানী সৈনিক উনার বাসায় এসে, হুমকি দেয় যে, ৭ দিনের মাঝে হাবিলাদার যদি কাজে যোগদান না'করে পরিবারের সবাইকে ধরে নিয়ে যাওয়া হবে; ওরা যাতে পালাতে না'পারে, পাশের বিহারী পরিবারদের উপর ভার দেয়া হয়। এই অবস্হায়ও পরিবারটিকে গোপনে সরিয়ে নেয়া সম্ভব হয়েছিলো।

এই সময়ে মেজর জিয়ার স্ত্রী ঢাকার হাইড-আউট থেকে স্বেচ্চায় ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের সাথে যোগাযোগ করে, ওখানে গিয়ে উঠেন; এর আগে, উনার সাথে বেংগল রেজিমেন্টের লোকজন দেখা করলে, তিনি ভারতে যেতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন। ক্যান্টনমেন্টে যাওয়ার পর, উনার সাথে যোগাযোগ করা অসম্ভব হয়েছে যায়। ঢাকা ইউনিভার্সিটির ষ্টেটেষ্টিকস ডিপার্মেন্টের এক লেকচারার বাংগালী মিলিটারী অফিসারের সাহায্য ক্লাশ করার নামে আইডি তৈরি করায়ে, বেগম জিয়ার সাথে বেগম জিয়ার বোনের বাসায় দেখা করেন ও গোপনে ভারতে নিয়ে যাবার ব্যাপারে কথা বলেন; বেগম জিয়া না করে দেন। সেই লেকচারার আজো জীবিত আছেন।

বেগম জিয়ার ভাবানচিন্তা ছিলো খুবই সীমিত; তিনি বিশ্বাস করতে পারেননি যে, পাকিস্তানের সুসজ্জিত বাহিনীর সাথে বাংগালীরা কোনভাবেই জয়ী হতে পারবে; তার উপর, উনি পাকি অফিসারদের উপর নির্ভর করছিলেন; পাকীরা টাউটের জাত; তারা বেগম জিয়াকে বুঝাতে সক্ষম হন যে, মুক্তিযোদ্ধারা তো মুক্তিযোদ্ধা, স্বয়ং ভারতীয় বাহিনীর লোকেরা পাকিস্তান বাহিনীকে যমের মতো ভয় করে। বেগম জিয়াকে বুঝান যে, উনার স্বামী ভুল পক্ষে গেছে, তিব্বতীদের মতো ভারতেই থাকতে হবে বাকী জীবন।

পাকীদের কথা তিনি বিশ্বাস করেছিলেন। বেম জিয়াকে মিলিটারী গাড়ীতে নিউমার্কেট এলাকায় দেখা গেছে কয়েকবার। ডিসেম্বরে যখন পাকিরা জেনে যায় যে, ওপেনসিভ আরদ্ভ হবে, পাকিরা তাদের পরিবারের লোকজনকে পাকিস্তান পাঠানোর শুরু করে; তখন বেগম জিয়া বুঝতে পারেন যে, তিনি ভুল করেছেন।



মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৭:২০

কামাল১৮ বলেছেন: এই সমস্ত কথা কি বেগম জিয়া কোথাও লিখেছেন।তা না হলে আপনি তার মনের গোপন কথা জানলেন কেমন করে?

১১ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:০৩

সোনাগাজী বলেছেন:



আমি জানিনি, আমি অনুমান করছি।

২| ১১ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:৫২

বিটপি বলেছেন: বঙ্গবন্ধুও তো বিশ্বাস করতেন না। উনি স্বাধীনতা চানও নি। উনি চেয়েছিলেন স্বায়ত্তশাসন। উনার চাওয়া খুব সিম্পল। নির্বাচনে জিতেছি, আমার হাতে ক্ষমতা দাও। উনি যা কিছু করেছেন, এইজন্যেই করেছেন। এটা যে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে রূপ নেবে - উনি বুঝতে পারেন নি। স্বাধীন হলে ইন্ডিয়া হস্তক্ষেপ করবে - এই আশংকা উনার মনেও ছিল।

১১ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:০৭

সোনাগাজী বলেছেন:


ইন্ডিয়া কি ধরণের হস্তক্ষেপ করছে?

পাকিস্তানী মিলিটারী যে উনাকে সরকার গঠন করতে দেবে না, ইহা অনেকেই ভেবেছিলেন! ৬ দফা যে পাকিস্তানকে ২ ভাগ করবে, ইহাও পরিস্কার ছিলো।

৩| ১১ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:১৬

বিটপি বলেছেন: অখন্ড পাকিস্তানকে ভারত ভয় পেত, কারণ পাকিস্তানী আর্মির বাঙালি অফিসারেরা দুর্দান্ত ছিল। পাকিস্তান ভাগ হয়ে গেলে দুটো অংশই হীনবল হয়ে যাবে - এটা বঙ্গবন্ধু খুব ভালো করেই জানতেন।

পাকিস্তানী মিলিটারী যে উনাকে সরকার গঠন করতে দেবে না, ইহা অনেকেই ভেবেছিলেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু ভাবেন নি। তিনি শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আপোষের চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। ৬ দফায় এমন কোন ব্যাপার নেই, যেটা দেখে মনে হয় বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করতে চান। যিনি পুরো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হবেন - তিনি দেশকে দুই ভাগ করবেন কেন? এটা পুরোপুরি ভুট্টোর ষড়যন্ত্র এবং সরলমনা বঙ্গবন্ধু এই ফাঁদে পা দিয়েছিলেন।

১১ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:২৮

সোনাগাজী বলেছেন:



না দেখে ৬ দফা লিখতে পারবেন?

যুদ্ধ করার জন্য ভারতের জন্ম হয়নি; ভারতের মিলিটারী ক্ষমতা দেখল করেনি। আইয়ুব সিআইএ'এর পক্ষে পাকিস্তানের ক্ষমতা দখল করেছিলো, আজও তা চলছে।
সিআইএ'র হয়ে জিয়া ও বাংলাদেশ মিলিটারীর একাংশ শেখ সাহেবকে হ্ত্যা করেছে; কিন্তু তাদের দল এখনো জীবিত আছে; ভারতে ইহা ঘটার সম্ভাবনা নেই।

৪| ১১ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৫৮

বিটপি বলেছেন: আমার মুখস্ত বিদ্যা অত ভালো না। তা সত্ত্বেও মার বলতে দ্বিধা নেই যে ৬ দফায় এমন কোন দাবি নেই, যা পাকিস্তানের অখন্ডতাকে হুমকির সম্মুখীন করতে পারে। ৬ নং নিয়ে কেউ কেউ অন্য ইঙ্গিত দিলেও আমি মনে করি পূর্ব পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বের জন্য এই দাবি খুবই যৌক্তিক এবং জরুরী ছিল।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে মেজর জিয়া সিআইএর জন্য কোন গাছের কলা পেড়ে দিল, আমি তো বুঝতে পারলাম না। এখানে আমেরিকার লাভ কি হল?

১১ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৭

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনি যথাসম্ভব মান্ত্রী নাহিদের সময় পড়ালেখা করেছেন: শেখ সাহেব যখন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তখন বিশ্বে "কোল্ড ওয়ার"এর সময় ছিলো: প্রতিটি দেশকে আমেরিকা কিংবা সোভিয়েতের পক্ষে থাকতে হতো; শেখ সাহেবের দল ছিলো আমেরিকান পন্হি; কিন্তু "বাকশাল" করায় সিআইএ মনে করেছিলো যে, তিনি সোভিয়েত ব্লকে নিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশকে।

জিয়া বাংলাদেশকে আমেরিকান ব্লকে ফিরায়ে এনেছিলো।

১১ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৮

সোনাগাজী বলেছেন:



আলদা কারেন্সী, আলাদা মিলিশিয়া ও প্যারামিলিটারী, আলাদা একাউন্টে হার্ডকারেন্সী ও আলাদাভাবে ট্যাক্স কালেকসান করে, ১১০০ মাইলের ২ প্রদেশ, আলাদা সংস্কৃতি নিয়ে কি একদেশ হয়ে থাকতে পারতো?

১১ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৯

সোনাগাজী বলেছেন:



বাংলাদেশ হওয়ার পরও কি আপনি ৬ দফার ফলাফল দেখছেন না? কি করে আপনি রাজনীতি বুঝবেন?

৫| ১১ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:১৪

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


বেগম জিয়া নিয়ে রুপকথা লিখলে বইমেলায় লাভ করা যাবে?

১১ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:৩১

সোনাগাজী বলেছেন:




এখন তো মন্ত্র নাহিদ নেই, আপনার এই অবস্হা কেন?

৬| ১১ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৮

শাওন আহমাদ বলেছেন: আমি এসব বুঝিনা, আমি কিছুই বুঝিনা।

১১ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:২৯

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনিও আরো ১৮ কোটী এসব না,বুঝাতে জাতি নীচুমানের জীবন যাপনে বাধ্য হচ্ছে।

৭| ১১ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৩

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

:এখন তো মন্ত্র নাহিদ নেই, আপনার এই অবস্হা কেন?

-কি অবস্থা?বেগম জিয়ার বাণীসমূহ লিখে বই বের করা যেতেই পারে।

কিছুদিন আগে বেগম জিয়ার অনুসারীকে বলে ফেললাম যে, আপনি দয়া করে উনার একটা ইন্টারভিউ বের করে দেখান, আপনাকে পুরস্কার দিবো। উনি খৃব আগ্রহ নিয়ে খুজতে গিয়ে হতাশ হয়ে,পরে আমাকে কিছুই বলতে চায়নি।

১১ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৮

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনি চেষ্টা করে দেখেন তো, বেগম জিয়া, শেখ হাসিনা, কিংবা শেখ সাহবের উপর বই লিখলে, আপনাকে উহা প্রকাশ করতে দেবে সরকার!

৮| ১২ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:০৯

আল ইফরান বলেছেন: আপনি অনুমানের নামে যথেচ্ছ মিথ্যাচার করে ফেলেছেন।
খালেদা জিয়ার অনেক ভুল থাকতে পারে, কিন্তু উনি ক্ষমতার জন্য দেশ বিক্রি করার বন্দোবস্ত করেন নাই।
আদানির সাথে পিডিবির চুক্তি ভালো করে এক পলক দেখে নিয়েন সময় পেলে।

১২ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৮:৩৬

সোনাগাজী বলেছেন:



আদানির সাথে কি চুক্তি আছে, উহা পিডিবির উর্ধতন, ২/৩ জন সেক্রেটারী ব্যৈত আোার কেহ জানে?

বেগম জিয়ার মতো বেকুব, লোভী মহিলা আমি জীবনে দেখিনি; যেই কোন একজন বুয়া উনার চেয়ে দায়িত্বশীল।

৯| ২৭ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:৪৩

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: এক সাক্ষাতকারে বেনজীর ভুট্টো বলেছিলেন, ৬ দফা মানা তাদের পক্ষে সম্ভব ছিল না। এটা যে পাকিস্তান থেকে পৃথক হয়ে যাওয়ার একটা দলিল, অনেক বাঙালি এখনও না বুঝলেও পাকিস্তানিরা ঠিকই বুঝেছিল। এজন্যই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের হাতে ক্ষমতা ছাড়তে চায়নি। এ নিয়ে পাকিস্তানি জেনারেলদেরও একাধিক বক্তব্য আছে। খুব অবাক লাগে যখন কোনো বাঙালি বলে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা চাননি।

২৭ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১:১৩

সোনাগাজী বলেছেন:




১৯৭১ সালে, ২০ ভাগের বেশী বাংগালী পাকিস্তান থেকে পৃথক হতে চাইতো না; এখন ৩০ ভাগ বাংগালী বলছে, আমরা আলাদা হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি; কারণ, ভারত বেশী লাভবান হয়েছে।

এই ৩০ ভাগ লোক যখন শেখের কথা বলে, তারা কি বলতে পারে? অবশ্যই শেখকে অপদস্ত করার চেষ্টা করবে।

১০| ২৭ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:৪৬

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: খুব সম্ভব মেজর হাফিজকে জিয়া দায়িত্ব দিয়েছিলেন খালেদা জিয়াকে নিয়ে আসতে। উনি আসেননি।

২৭ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১:৩৬

সোনাগাজী বলেছেন:



জেড ফোর্সের লোকজন কয়েকবার চেষ্টা করেছিলো বেগম জিয়াকে ভারতে নিয়ে আসার জন্য; মেজর হাফিজ জেডফোর্সে ছিলেন না, উনার ব্যাপারে আমি জানি না। সেটা হয়তো ঘটেছিলো, মেজর জিয়া ১১ নং সেক্টরে চলে যাবার পর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.