নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষাই দরিদ্রদের জন্য সম্পদ।

সোনাগাজী

একমাত্র সোস্যালিষ্ট অর্থনীতি বাংগালী জাতিকে নিজ পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করবে।

সোনাগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্মে পন্ডিত হতে কতক্ষণ লাগে, ফাইন্যান্সে পন্ডিত হতে কত বছর লাগে?

২৫ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৭



আপনি জীবনেও "নামাজের গুরুত্ব" নিয়ে কোন পোষ্ট লেখেননি; ২/১টা কবিতা লিখেছেন, ঢাকার ট্রাফিক জ্যাম নিয়ে লিখেছেন, শেখ হাসিনার রাতের ভোট নিয়ে লিখেছেন, জেনারেল জিয়ার খালকাটা নিয়ে লিখেছেন। আজকে যদি "নামাজের গুরুত্ব" নিয়ে লিখতে বসেন, ১৫ লাইনের একটি পোষ্ট লিখতে কত মিনিট লাগবে? নিশ্চয় ১০/১৫ মিনিটের বেশী লাগবে না; এবং ইহাতে আপনার ধর্মীয় পান্ডিত্য বিকশিত ও প্রকাশিত হবে।

আমি যদি আপনাকে অনুরোধ করি, আমেরিকার "সিলিকন ভ্যালী ব্যাংক" কেন ৩ দিনের ভেতর ফেল করলো, উহা নিয়ে ১৫ লাইন লিখতে, আপনার কত মাস সময় লাগতে পারে? আপনি চাইলে গুগলে যান, ডয়েচে ভ্যালের ওয়েব সাইটে যান, ইনভেষ্টোপেডিয়ার সাইটে যান। আমার ধারণা, অনেকে ইহা ১৫ মাসেও লিখতে পারবেন না; লেম্যান হিসেবে লিখতে পারবেন ১৫ ঘন্টায়, কিন্তু উহা সঠিক না'হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে ৯৯ ভাগ।

প্রত্যেক ধর্মীয় ব্যক্তি আসলে "১ জন পন্ডিত"; কারণ, ধর্মীয় বিষয়ে মনের মাধুরী মিশায়ে যা বলবেন, উহা পান্ডিত্য হয়ে যাবে। কিন্তু ফাইন্যান্স, টেকনোলোজী, সায়েন্স, এপ্লাইড ফিজিক্স, ফিজিওলোজী, মেডিসিনে আপনি ১৫ মিনিটে পন্ডিত হতে পারবেন না; হয়তো ১৫ মাসেও পন্ডিত হতে পারবেন না।

আজ থেকে ৪/৫ হাজার বছর আগে ১ সৃষ্টিকর্তার উপর ধর্ম প্রচার হয়েছিলো; কিন্তু ওরা যথাসম্ভব লিখতে জানতেন না, সেজন্য সেগুলো লেখা হয়ে উঠেনি, সৃষ্টিকর্তার কাছে থেকে আসেনি। নবী মুসা (আ: ) পড়ালেখা জানায়, ততকালীন মানুষের ধর্মীয় ধারণাগুলোকে ৪টি পুস্তিকা আকারে সাজিয়ে, নিজের হাতে লিখেছিলেন, সেটাই "তোরাহ"; পরে উহাতে আরো ১টি পুস্তিকা যোগ হয়েছিলো। মুসা নবী যখন লিখতে সমর্থ হলেন, উহা "সৃষ্টিকর্তার কাছ এসে গেলো"!

মুসা নবী শিক্ষিত ছিলেন, দালান বানাতে জানতেন, নগর পরিকল্পনা করতে জানতেন ( এগুলো অনুমান ); কিন্তু তিনি এনাটমি জানতেন না, ফিজিওলোজী, ফিলোসফি, ফাইন্যান্স, সায়েন্স, টেকনোলজি জানতেন না; তিনি ধর্ম সম্পর্কে যা বলেছেন, সেটা সেকালের মানুষদের জ্ঞানের লেভেল থেকে ভেবেছেন, উহাই ইহুদী ধর্ম, সেই সময়ের জন্য উহা ছিলো যুগান্তকারী; জীবন সম্পর্কে, উনার ও উনার আগের মানুষের চিন্তাভাবনা কতটুকু সঠিক ছিলো? সেই চিন্তাভাবনা থেকে "সিলিকন ভ্যালী ব্যাংক" করা যেতো কিনা? "সিলিকন ভ্যালী ব্যাংক"এর ইকুইটি ছিলো ২১০ বিলিয়ন ডলার।

আপনি ধর্ম নিয়ে পোষ্ট দিয়ে পন্ডিত হতে চান, নাকি "সিলিকন ভ্যালী ব্যাংক"এর ফেল'এর উপর লিখে পন্ডিত হতে চান? কোনটার উপর পোষ্ট লিখতে আপনার কত মিনিট সময় লাগবে?

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪

নয়ন বিন বাহার বলেছেন: দিলেনতো ধরাই!!?
এখন কই যাই?

২৫ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৩

সোনাগাজী বলেছেন:


আপনি ধরা খননি; মনে হয়, পোষ্টের ভাবনা বুঝতে পেরছেন; কমজ্ঞানের কথা বলতে জ্ঞানী হওয়ার দরকার নেই।

২| ২৫ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:১৩

মামুinসামু বলেছেন: আপনি তো নামায পড়েন। একটা পোস্ট না হয় "নামাজের গুরুত্ব" নিয়েই লিখলেন। :) Happy Blogging

২৫ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:১৬

সোনাগাজী বলেছেন:



লিখতে পারবো, কোন সমস্যা হবে না।

৩| ২৫ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:১৬

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

ধর্মীয়রা ফাইনান্স বুঝে তো, শরীয়া পদ্ধতিতে লভ্যাংশ দেবার কথা বলে টাকা মেরে দেয় আর কি। নবী মুসা এখন জন্মালে নোবেল পেত বলে মনে হয়?

২৫ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:৩০

সোনাগাজী বলেছেন:




শরীয়া পদ্ধতির ফাইন্যান্স হলো ভিক্ষুক ম্যানেজ করার ফাইন্যান্স।

৪| ২৫ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:৪১

শাহ আজিজ বলেছেন: একপিস অ্যাকুরেট বাঁশ দিছেন হে হে হে =p~ :P

২৬ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১:২১

সোনাগাজী বলেছেন:



বাংগালীরা প্রশ্নফাঁস করে, আক্কেল বাড়ে না

৫| ২৫ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:৪৫

কামাল১৮ বলেছেন: গুগুলে টিপাটিপি করেই ধর্মে পন্ডিত হওয়া যায়।গুগুলই ধর্মকে খেয়ে ফেলবে।যেমন প্রেস খেয়ে ফেলেছে খৃষ্টান ধর্মকে।

২৬ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১:৩৫

সোনাগাজী বলেছেন:



খৃষ্টান ধর্ম ও ইসলাম, ২টই জুডাইজম থেকে জন্ম নিয়েছে; একটা ইউরোপে গিয়ে সেখানকার কালচারে বড় হয়েছে, অন্যটা আরব, আফ্রিকা ও এশিয়ানদের কালচারে বিবর্তিত হচ্ছে।

৬| ২৫ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: ধর্মে পন্ডিত হয়ে বহু লোক খেয়েপড়ে বেঁচে আছে।
তাঁরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাচ্চাদের কায়দা, আমপারা আর কোরআন শিখাচ্ছে। ঢাকা শহরে মসজিদের অভাব নেই। মসজিদে আযান দিচ্ছে। নামাজ পড়াচ্ছে। কোনো দোকান উদ্বোধন হলে সেখানে হুজুররা কি দোয়া করছে।

এসব কাজ করে হুজুররা খেয়েপরে বেঁচে আছে। নইলে তাঁরা কি কাজ করতো?

২৬ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১:৪২

সোনাগাজী বলেছেন:



ধর্মীয় পন্ডিতের সংখ্যা কম হলে দেশ জাপান, সিংগাপুর বা সুইডেনের কাছাকাছি থাকতো; শিক_ষিত মানুষ পথ বের করতে সক্ষম

৭| ২৫ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:২৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কিছু ইসলাম ধর্ম কর্ম করা মানুষগুলো এতোটাই অহংকারি হয় যে অন্যদের মানুষ বলেই মনে করে না, সর্বদা মনে করে ওরাই শ্রেষ্ঠ আর বাকিরা সবাই পাপী।
লেবাসধারি ধার্মিক, নামাজের টাইমে বিড়ি ফুকে, তথাকথিত ধার্মিকরা। শুধু মুখেই বলবে। নিজেই ধর্ম মানে না। সুদ, ঘুষ, খাদ্যে ভেজাল, অন্যের সম্পত্তি আত্মসাৎ, জবরদখল নানা পাপ কাজে নিমজ্জিত পাপিষ্ঠ শয়তানগুলো নিজেরাই ধর্ম মানে না, অন্যকে হিংস্রভাবে গিলাতে উদগ্রীব। পারলে মাথায় বারি দিয়ে হলেও।
তবে জিবিকা আর টাকার প্রশ্নে সবাই এক ধর্মাবলম্বী।

২৬ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১:৪৫

সোনাগাজী বলেছেন:





মুসলামনেরা অহংকারী হওয়ার কারণ, তাঁরা বেহেশতে থাকবেন; সোমালিয়ার প্লাষ্টিকের ঘর থেকে সরাসরি বেহেশতে।

৮| ২৫ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:১৫

নিমো বলেছেন: এককালে ধর্মে পন্ডিত হতে বহু বছর লাগত, কারণ দেবদূতের আসা-যাওয়া সজহ ব্যাপার ছিল না। আজকাল দেবদূতদের আসতে হয় না, গুগল, ইউটিউব, চ্যাটজিপিটি'র কল্যাণে সাড়ে মূহুর্তেই পন্ডিত। আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে না পারলে, আপনি হয়ে যাবেন বিপথগামী,বিদ্বেষী, অবুঝ, নাস্তিক, পারলে কল্লাটাই নামিয়ে দিবে। আর বাকি বিষয়গুল‌‌োতে আজীবনেই পন্ডিত হতে পারবেন না, কেননা সেগুলোতে প্রতিমূহুর্তেই কিছু কিছু না য‌োগ হচ্ছে, তার সবটুকু আপনি চাইতে এক জীবনে শেখা সম্ভব না। ব্লগে আদতে ধর্মের পন্ডিত বা ধার্মিক কেউ নেই, যা আছে সব ধর্মের ঠিকাদার।

২৬ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১:৪০

সোনাগাজী বলেছেন:


প্রত্যেক মুসলমানই ১ জন ধর্মীয় পন্ডিত; তাঁরা ইসলামের উপর কথা বলতে পারেন; সায়েসে পিএচডি ( ফিজিক্স, মেথা, কেমেষ্ট্রী, ফিজিওলোজী ) করার পরও, মহাসমুদ্রের একবিন্দুর সমান জ্ঞানী।

৯| ২৬ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৩:৪৯

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: আমি চাইনা আপনি নামাজের গুরুত্ব নিয়ে লিখুন।

২৬ শে মার্চ, ২০২৩ ভোর ৪:১২

সোনাগাজী বলেছেন:



না, আমি এসব বিষয়ের উপর লেখার কথা ভাবছি না।

১০| ২৬ শে মার্চ, ২০২৩ ভোর ৪:৫৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




ঐশী গ্রন্থ আসলে তো সমস্ত মানুষের হিদায়াত এবং পথ প্রদর্শনের জন্যই অবতীর্ণ হয়েছে, কিন্তু এই নির্ঝরের
পানি দ্বারা কেবল তারাই সিক্ত হবে, যারা এর সন্ধানী এবং আল্লাহর ভয়ে ভীত-সন্ত্রস্ত হবে। আর যাদের অন্তরে
মৃত্যুর পর আল্লাহর সামনে দাঁড়িয়ে জবাবদিহি করার অনুভূতি এবং চিন্তা নেই, যাদের মধ্যে সুপথ সন্ধানের
অথবা ভ্রষ্টতা থেকে বাঁচার কোনই উৎসাহ ও আগ্রহ নেই, তারা সুপথ কোথা থেকে পাবে?

যাহোক, ধর্মে পন্ডিত হতে হলে প্রধান ভিত্তি হল আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস । এ বিষয়ে যার বিশ্বাস বেশী তার
পন্ডিত হওয়ার দরকার নেই । সহজ সরল পথে আল্লার বিধান মেনে চললেই হবে । তবে জীবন ধারনের জন্য
আল্লার সৃস্টি পাকৃতিক নিয়মগুলি তাকে মেনে চলতেই হবে , আর পাকৃতিক নিয়মগুলির মধ্যে বিজ্ঞানের সকল
শাখা যথা ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, বায়োলজী ,টেকনোলজি এসকলই অন্তর্ভুক্ত। এগুলিতে পন্ডিত হতে হলে যৌক্তিক
তাত্বিক পড়াশুনা ও প্রায়োগিক গবেশনা করেই পন্ডিত হতে হবে , শুধু অন্তরে বিশ্বাস রেখে কেও কিছুই অর্জন
করতে পারবেনা । সকল ঐশি গ্রন্থগুলিতে জীবন ধারনের প্রয়োজনে আল্লাহ প্রদত্ত পাকৃতিক বিষয়াবলী ও
সম্পদ ব্যাবহারের কথা বলা হয়েছে। যারা এই সম্পদ ব্যবহারে বেশী কৌশলী, বিদ্ধান ও পন্ডিতি অর্জন
করতে পারবে তারাই তত বেশী সফলকাম হবে , আর যারা এগুলিকে গৌন মনে করে বর্জন করে চলবে
তারা ততই পচ্ছাদগামী হবে । শুধু ধর্মীয় বিশ্বাস ও আকিদা পালন তাদেরকে কোন সফলতা দিবেনা ।
কামনা করি সকলের মাঝে সচেতনতা আসুক ।

২৬ শে মার্চ, ২০২৩ ভোর ৫:৫০

সোনাগাজী বলেছেন:


যারা ধর্মীয় বিষয়ে জ্ঞানী, তারা কখনো বৃহত্তর জ্ঞানের এলাকায় প্রবেশ করার মতো জ্ঞানী ছিলেন না। যারা ধর্মীয় বিষয়ে জ্ঞানী তারা লজিকবিহীনভাবে ধর্মীয় বিষয়ে বিশ্বাস করতে গিয়ে, লজিক্যাল ভাবনার বাহিরে আছেন; লজিকবিহীন ভাবনা মানুষকে সায়েন্টিক জ্ঞান ও ভাবনা থেকে দুরে রেখেছে ।

১১| ২৬ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ৮:২৭

পাজী-পোলা বলেছেন: কারণ ধর্ম একটা দর্শন বিদ্যা, দার্শনিক হতেও আমাদের বেশী পড়াশোনা করা লাগে না। আমাদের পাগলও দার্শনিক এবং পাগলেরাই ধার্মিক।

২৬ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:০২

সোনাগাজী বলেছেন:



ধর্মের মুল বিষয়গুলো লজিক্যাল না'হওয়ায়, ইহার দর্শনের বিষয় নয়।

১২| ২৬ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:৪২

রানার ব্লগ বলেছেন: পান্ডিত্ব অর্জনে অনেক কাল লাগে কিন্তু দুই দিনে হিন্দী ভাষা শিখুন টাইপ পান্ডীত্ব ফলানে আধাঘন্টা লাগে।

২৬ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৭

সোনাগাজী বলেছেন:



শহরের সব বাংগালী হিন্দিতে কথা বলে, কিন্তু হিন্দিতে সাহিত্য রচনা করতে পারে না; তেমনিই ষব ধর্মীয় ধর্মকে নিয়ে কিছু একটা বলতে পারে; কারণ, এগুলো বলার জন্য স্কুল, কলেজে না'পড়লেও চলে।

১৩| ২৬ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:৩৯

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ফাইন্যান্স খুব জটিল একটা বিষয়, ফাইন্যান্সকে মাঝে মাঝে আমার ফিলোসফি এবং পলিটিক্সের মত মনে হয়।

২৬ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:৪৪

সোনাগাজী বলেছেন:



ফাইন্যান্স হচ্ছে বর্তমান সভ্যতার সবচেয়ে কমপ্লেক্স, বড় ও শক্তিশালী টুলস; যেই জাতি উহা বুঝে না, তাদেরকে দাস হয়ে বাস করতে হবে।

১৪| ২৬ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:৪৩

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আচ্ছা, কোন একজনের কমেন্ট থেকে বুঝতে পারলাম আপনি নাকি নামাজ পড়েন, এটা কি সত্যি?
যদি সত্যি হয়, তাহলে ধর্মের বিরুদ্ধে এত চোটপাট করেন কেন?

২৬ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:০৩

সোনাগাজী বলেছেন:


হ্যাঁ, নামাজ পড়ি।

ধর্ম আমাদিগকে আধুনিক পৃথিবীতে প্রবেশে বাধা দিচ্ছে; ধর্ম চালু করেছে আদি কালের মানুষেরা, যারা আজকের মানুষের তুলনায় হাজার গুণে কম জ্ঞানী ছিলো; তারা অনেক রূপকথাকে মানব জীবনের কার্যক্রমে পরিণত করেছে ও মানুষের ভাবনাকে লজিকহীন করে ফেলেছে।

১৫| ২৬ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:৫৩

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: প্রশ্নটিতে যদি আপনি বিব্রত বোধ করেন অথবা উত্তর দিতে না চান তাহলে ডিলিট করে দিতে পারেন সমস্যা নেই।

২৬ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:০৪

সোনাগাজী বলেছেন:



ব্লগে আমি বেশীরভাগ প্রশ্নের জবাব দিই সহজে, বিব্রত বোধ করি না।

১৬| ২৬ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:২২

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আপনার নামাজ পড়ার কথা শুনে যতটা আশ্চর্য হয়েছি এতটা আশ্চর্য আমার ব্লগিং লাইফে হইনি কোন দিন।
আপনি হয়তো পরিবার এবং কমিউনিটির চাপেই নামজ পড়েন বলে ধারণা করি। যা হোক নিউইয়র্কে ধর্মহীন মানুষদের অনেক সংঘঠন রয়েছে, আছে এক্স মুসলিমদেরও সংগঠন যারা ধর্মমুক্ত অথচ মিনিংফুল জীবন যাপনে অভ্যস্ত, আপনি এসব সংঘঠনের সাথে কানেকশন বাড়াতে পারেন।
Atheist Republic! এটা মূলত এক্স মুসলিমদের একটা সংঘঠন, আরেকটা আছে view this link একটু খোঁজ নিলে আপনার আশে পাশে প্রচুর ধর্মমুক্ত মানুষের সংস্পর্শ পাবেন। এছাড়া Richard Dawkins, Christopher Hitchens, Lawrence Krauss এদের ভাবনা ও আইডিয়ার সাথে পরিচিত হতে পারেন তাদের লেখা, বই, আর্টিক্যাল পরে এবং ইউটিউবে তাদের বক্তব্য শুনে।

আসলে ধর্মের শেকড় অনেক গভীরে প্রোথিত এখান থেকে বের হওয়া আসলেই অনেক টাফ, আবার অনেকে বলে ঢেঁকি নাকি স্বর্গে গলেও ধান ভানে। সে যাই হোক, দিন শেষে আপনি কোন দিকে যাবেন এটা একান্তাই আপনার সিদ্ধান্ত, কিন্তু ব্যক্তিগত ভাবে আমি মনে করি ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা একজন ব্যক্তির পক্ষে ধর্মের বিরুদ্ধে হৈচৈ করাটা ঠিক মানায় না।

ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন।

২৬ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:১০

সোনাগাজী বলেছেন:



যেহেতু আমি মুসলমান, নামাজ আমার জন্য সামাজিক ট্রেডিশন।

আমি কোন সংস্হার সাথে জড়িত নই, ২/১টি এলামনাই এসোসসিয়েশন ও আমার এলাকার মানুষদের ১টা সমিতিতে যুক্ত; আমার কিছু বন্ধুবান্ধ আছেন; সবাই আড্ডাবাজ, আমার সময় ভালোই কাটে।

আমার মতে, যেই যুগে মানুষের যথেষ্ট জ্ঞান ছিলো না, সেই সময়ে ধর্মের উদ্ভব ঘটেছে; এখন মানুষ অনেক জ্ঞানী, তারা নতুন সমাজ ব্যবস্হা গড়ে তুলেছে, যেখানে ধার্মীয় নিয়ম কানুন নেই।

১৭| ২৬ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:২৭

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: যেহেতু আমি মুসলমান, নামাজ আমার জন্য সামাজিক ট্রেডিশন।

পরবর্তী প্রজন্ম ধর্মের সাথে সম্পর্কযুক্ত এসব সামাজিক ট্রেডিশন বিলুপ্ত করে নতুন নতুন ট্রেডিশন চালু করবে বলে আশা রাখি।
বর্তমানে পৃথিবীতে খ্রিষ্টান এবং মুসলিমদের পরেই কিন্তু ধর্মহীন মানুষের সংখ্যা এবং দিন দিন এটা বৃদ্ধি পাচ্ছে, কিন্তু সমস্যা হচ্ছে বিভিন্ন সমস্যার কারণে পৃথিবীর সমস্ত ধর্মহীন মানুষগুলো একই ছাতার নিচে আসতে পারতেছে না যে কারণে রেভুলেশন সম্ভব হচ্ছে না, তবে ধীরে ধীরে পরিবর্তন হচ্ছে।

২৭ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১:০৯

সোনাগাজী বলেছেন:



১০০বছর আগে খৃষ্টান ধর্ম বলতে যা ছিলো, উহা এখন নেই। সব ধর্মই আগামী ১০০/১৫০ বছরের মাঝে সামাজিক ট্রেডিশনে পরিণত হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.