নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষাই দরিদ্রদের জন্য সম্পদ।

সোনাগাজী

একমাত্র সোস্যালিষ্ট অর্থনীতি বাংগালী জাতিকে নিজ পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করবে।

সোনাগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

দ্রব্যমুল্য কমানোর জন্য একটা জাতীয়-মিলাদ করা সম্ভব?

২৮ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:৫৬



আমি ৭ বছর বয়স থেকে শুনে এসেছি যে, চাউলের দাম বেশী, গরীবেরা দরকারী পরিমাণ চাউল কিনতে পারে না, অনেক সময় উপবাস করতে হয়; যাদের কোন ধরণের আয় নেই, তাদেরকে ভিক্ষা করতে হয়; কারণ, দাম কমিয়ে দিলেও তারা কিনতে পারার কথা নয়। আমি যখন থেকে বাজার করার শুরু করলাম, তৈল আনার জন্য প্রায়ই ২টি বোতল নিতাম: ১টিতে সরিষার তৈল অন্যটিতে পরিবারের নারীদের জন্য নারিকেলের তৈল । তখন আমাদের গ্রামের অনেকেই কোনদিনই সরিষার ও নারিকেলের তৈল কিনতো না; সেজন্য তৈলের দাম নিয়ে তাদের কোন অভিযোগ ছিলে না।

আমাদের পরিবারের আয় ছিলো কৃষি থেকে; যখনই আমি ধান বিক্রি করতাম, আমার মনে হতো, এতো সস্তায় ধান বিক্রি করে, কি করে আমরা সারা বছর চলবো? তরকারী বিক্রয় করতাম চট্রগ্রাম শহরের পাইকারী ব্যবসায়ীদের কাছে; ওরা কৌশলে ওজনে ঠকাতো ( ওরা নিজেদের দাড়িপাল্লা দিয়ে মেপে নিতো ), কিংবা তরকারীর মান খারাপ ইত্যাদি বলে কম টাকা দিতে চেষ্টা করতো। আমার মনে হতো, তরকারী থেকে এত কম টাকা এলে, চাষ করবো কিভাবে?

তখন প্রায় সবাই পায়ে হেঁটে সব যায়গায় যাওয়া আসা করতো, মানুষ হেঁটে চট্রগ্রাম শহরে যেতো; ভাড়া বেশী নিয়ে অভিযোগ করতে কোনদিনও শুনিনি। আমাদের গ্রামের যারা জুট মিলে চাকুরী করতো, তাদের পরিবার গ্রামে থাকতো; ফলে, ঘরভাড়া নিয়ে কাউকে কান্নাকাটি করতে দেখিনি। যারা কলিকাতা ও রেংগুনে থাকতো, তারা মোটামুটি ধনী ছিলো; ফলে, তাদের কোন ব্যাপারে অভিযোগ ছিলো না। তারা দেশে আসার সময় কলের গান নিয়ে আসতো।

সেই ৭ বছর বয়স থেকে যে শুনছি, দ্রব্য মুল্য বেশী, একদিনের জন্যও এই অভিযোগ বন্ধ হয়নি। আমি পুরাতন টেক্সট বই কিনে আনলে, মা বলতেন, নতুন বই কিনলে ভালো হতো, নতুন বই ছাত্রদের জন্য আনন্দের ব্যাপার! কিন্তু আমার কাছে নতুন বইয়ের দাম বেশী মনে হতো। আজকে ৭৩ বছর বয়সে, ব্লগ, মিডিয়া ও মানুষের মুখে প্রতিদিন শুনছি, দ্রন্য মুল্য বেশী! আমার জীবনের ৬৬ বছর যেই সমস্যার কথা শুনে আসছি, ইহার সমাধান হয়নি আজো। আমাদের ১৯ কোটী মানুষের মাথায় কেন এই সমস্যা সমাধানের মতো মগজ নেই!


মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:০৬

শাহ আজিজ বলেছেন: মিলাদের পর পর দ্রব্য মুল্য আরেকদফা বাড়বে হা হা হা :D

২৮ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:১০

সোনাগাজী বলেছেন:



মিলাদের চেয়ে শক্তিশালী কোন কিছু কি আপার জানা আছে?

২| ২৮ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:১০

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: মিলাদ দিলেও মিলাদ কবুল হবে না
তাই এখন আর মিলাদ চলে না দাদা
ভাল থাকবেন----------

২৮ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:১৫

সোনাগাজী বলেছেন:




যিনি কবুল করেন, উনার সাথে আপনার কি কথাবার্তা হয়?

৩| ২৮ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৪৬

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: উনার কথা কথা হলে ত আপনার সাথে কথা কমু আর

২৮ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৫৫

সোনাগাজী বলেছেন:


আপনার এই কমেন্ট থেকে বুঝা গেলো, উপরের দিকে আপনার লাইন নেই।

৪| ২৮ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:০৪

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: উপরে নিচে কোনখানেই লাইন নেই
এক দুই খানে লাইন আছে
তবে চলছে চলছে আর চলছে--------

২৮ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:১৯

সোনাগাজী বলেছেন:


যাক, দ্রব্য মুল্য কি কন্ট্রোলে আনা সম্ভব?

৫| ২৮ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:১২

খাঁজা বাবা বলেছেন: গত এক বছরে টাকার দাম ৪০% কমেছে।
জনগনের এই কষ্ট আপনি বুঝবেন না।

২৮ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:২১

সোনাগাজী বলেছেন:


আপনার মতে, আপনি বুঝেন, আমি বুঝি না; এর কি দাঁড়াচ্ছে? ইহা কি সত্য?

৬| ২৮ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:১৫

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: নিচের এই তিনটি কমন বিষয় আমি সেই ছোট সময় থেকেই শুনে আসতেছি।
১: দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়ে গেছে।
২: দেশের পরিস্থিতি খুব খারাপ।
৩: সামনে খুব খারাপ পরিস্থিতি আসতেছে।

আমার মনে হয় এই বিষয়গুলো একটা চলামন প্রক্রিয়া।

২৮ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৪০

সোনাগাজী বলেছেন:



এগুলো সত্য।

মুল সমস্যা দ্রব্য মুল্য নয়; মুল সমস্যা হচ্ছে, ৭০ ভাগ মানুষের আয় কম ও দেশে অসংখ্য মানুষ বেকার; এবং দেশের ৪/৫ লাখ পরিবার আছে, যাদের ক্রয় ক্ষমতা সীমাহীন; এরা ইলিশ মাছের কেজি ১০ হাজার টাকা হলেও প্রতিদিন কিনতে পারবে; ওদের ১ম শ্রেনীতে-পড়া বাচ্ছার জন্য ওরা মাসে ১ লাখ টাকা টিউশনি দিতে পারবে।

আমার নিজের উৎপাদিত ধান ও তরকারী বিক্রয়ের সময় মনে হতো, এত সস্তায় বিক্রি হলে আমি চাষ করবো কিভাবে?

৭| ২৮ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৬

বিষাদ সময় বলেছেন: সেদিন খবরের দেখলাম। একনকার বহু পরিবার সেহেরী খায় রেস্টুরেন্টে। ছুটির আগের দিন ভোর রাতে ভাল রেস্টুরেন্ট গুলোতে সিট পাওয়া যায় না।

২৮ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:২৬

সোনাগাজী বলেছেন:



সম্পদ ও সুযোগ দখল করে নিয়েছে ২০/৩০ ভাগ মানুষ।

৮| ২৮ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৬

বিটপি বলেছেন: চালের দাম বেশি - এই অভিযোগ কখনোই কেউ করেনি। চালের দাম কোনদিন হঠাত ৫০% বেড়ে গেলে জনগণ রাস্তায় নেমে আসবে - সরকার কয়েকদিনও টিকতে পারবেনা। মানুষের অভিযোগ আটা, তেল, ডাল, মাংস - এইসব নিয়ে। এগুলো অপরিহার্য পণ্য।

২৮ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:০১

সোনাগাজী বলেছেন:



জনগণ ইহার সমাধান করছেনা কেন? আমি নিজ চোখে ৬৬ বছর দেখছি এই সমস্যা

৯| ২৮ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:০১

রাজীব নুর বলেছেন: দাম বাড়বে এটা স্বাভাবিক। কিন্তু লাগামহীন ভাবে বাড়তে পারে না।
শেখ হাসিনা যে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে সম্পূর্ন ব্যর্থ এটা কি আপনি মানেন? শেখ হাসিনা বাজার এবং লেখাপড়া এদুটা বিষয়ে বেকুবির পরিচয় দিয়েছেন।

২৮ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:২৭

সোনাগাজী বলেছেন:




উনাকে ব্যুরোক্রেটরা আরেক বেগম জিয়ায় পরিণত করেছে; উনি ২/৪জন বিদেশী এডভাইজার রাখতে পারতেন।

১০| ২৮ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: মিলাদ, নামাজ রোজা ইত্যাদি কর্মকান্ড করে বাজারের জিনিসপত্রের দাম কমবে না। এটা আমাদের এলাকার সোহেল পাগলাও বুঝে।

২৮ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:২৯

সোনাগাজী বলেছেন:



খাদ্য, শিক্ষা ও যাতায়াত ব্যবস্হার কন্ট্রোল মানুষের হাতে নিতে হবে "সমবায়" পদ্ধতিতে; ইহাই সমাধান।

১১| ২৮ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৪

বিষাদ সময় বলেছেন: খাদ্য, শিক্ষা ও যাতায়াত ব্যবস্হার কন্ট্রোল মানুষের হাতে নিতে হবে "সমবায়" পদ্ধতিতে; ইহাই সমাধান।
এ দেশে বেড়ায় ক্ষেত খায়। তাই কোন ব্যাবস্থাই খুব একটা কার্যকর হবে না।

২৮ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:০৩

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনি তো ফলাফল আগে দিয়ে দিলেন, মনে হয়। ভুমিকম্পের দেশে মানুষ দালান বানাচ্ছে, সবকিছুর সমাধান আছে।

১২| ২৮ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:১৫

বিষাদ সময় বলেছেন: সমস্যাটি লজিকাল বা টেকনিকাল নয়, সাইকোলোজিকাল... তাই ইহার সমাধান বড়ই কঠিন। :)

২৮ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:১৭

সোনাগাজী বলেছেন:



নাইজেরিয়া ও পাকিস্তানেও ভালো মানুষ আছে; অনেক দক্ষ ও সৎ বাংগালী আছেন।

১৩| ২৮ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:৫৮

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: দ্রব্যমুল্যর উর্ধগতি বা দেশের পরিস্থিতি খুব খারাপ
.........................................................................
সবই আপেক্ষিক বা মাইন্ড গেম ছাড়া কিছুইনা ।
ইদানিং প্রচার হচ্ছে কেয়ামতের সব লক্ষণ দেখা দিচ্ছে
আর বেশী দিন বাচাঁ লাগবে না ।
..........................................................................
আমার নি জ চোখে দেখা কারও কারও সকালে র নাস্তা (সোনারগাঁও তে )
অজ: গ্রামের ২০ টি পরিবারের একদিনের আহার ।
এসব আমরা তৈরী করি আবার ব্যবসা করে সমাধান আনি ।

২৮ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:৩৯

সোনাগাজী বলেছেন:



দেশের ভয়ংকর অর্থনীতি, দখলবাজী, দুর্নীতির কারণে ৪/৫ লাখ পরিবার বাকীদের সকল সুযোগ ও সম্পদ দখল করে নেয়াতে, মানুষের ক্রয়-ক্ষমতার বৈষম্য এমন যায়গায় গেছে, এখন কোন বাংগালী ইহাকে ফিক্স করতে পারবে না।

১৪| ২৮ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:৩০

কামাল১৮ বলেছেন: পুঁজি লাভ ছাড়া উৎপাদন করে না।ততটুকুই উৎপাদন করে যতটুকু উৎপাদন করলে তাঁদের লাভ হয়।উৎপাদন এবং আয়ের সাথে সামঞ্জস্য থাকলে দ্রব্য মুল্য স্থিতিশীল থাকে।সমাজতান্ত্রীক সমাজের উৎপাদন আলাদা।

২৮ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:৪০

সোনাগাজী বলেছেন:



সমাজতান্ত্রীক সমাজের উৎপাদনটা কিভাবে আলাদা?

১৫| ২৮ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:১৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আপনি ইমাম হয়ে অনলাইনে একটি মিলাদ শুরু করে দেন। (পোস্ট না পড়েই মন্তব্য করলাম)

২৮ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:৪২

সোনাগাজী বলেছেন:



পোষ্ট খুব সহজ ভাষায় লেখা; ইহাতে আছে, উৎপাদনকারীও (শুধু কৃষির বেলায় ) চলতে পারে না; এদের সংখ্যা ৮/৯ কোটী। পড়লে হয়তো বুঝতে কষ্ট হতো।

১৬| ২৯ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:১৭

কামাল১৮ বলেছেন: লাভটা প্রধান কারন থাকে না।প্রয়োজনটা থাকে প্রধান কারন।ব্যবহারিক প্রয়োজনের কথা বলছি।

২৯ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৩:৩৪

সোনাগাজী বলেছেন:



বুঝেছি; ক্যাপিটেলিষ্ট/সোস্যালিষ্ট রাষ্ট্র অনেক অলাভজনক সংস্হা চালায়।

১৭| ২৯ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ৭:৪৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



আপনার পোষ্টে প্যাঁচার ছবিটি দৃষ্টি কেড়েছে । ছবিটি দেখে মনে পরেছে উনিশ শতকের বাংলা সাহিত্যের
একটি অমুল্য গ্রন্থ ছিলো ‘হুতোম প্যাঁচার নকশা ‘। হতোম প্যাঁচার নকশা ছিলো বাংলা ভাষায় লেখা প্রথম
সামাজিক ব্যঙ্গ সাহিত্য ।

এই লিংকটি ফলো করে গ্রন্থটির বিষয়বস্তর এবক্সট্রাক্ট দেখে আসতে পারেন ।
হুতোম প্যাঁচার নকশা

এই গ্রন্থে লেখক কালীপ্রসন্ন কলকাতার নাগরিক সমাজের অন্ধকার দিকগুলিকে তুলে আনেন । ততকালীন সমাজের
সামাজিক শৈথিল্য, অনাচার, দ্বিচারিতা, ভন্ডামী, জাল, জোচ্চুরী সবকিছুই তিনি অত্যন্ত নিখুঁতভাবে বর্ণনা করেন ।
প্যাঁচা নিশাচর প্রাণী । তাই সে অন্ধকারের আড়ালে সবকিছু প্রত্যক্ষ করে নিতে পারে । অথচ যাকে সে প্রত্যক্ষ
করেছে সে কিন্তু তা বুঝতে পারেনা ।

হুতোম প্যাঁচার নক্শা গ্রন্থে একটি রচনা ছিলো ‘ আমাদের জাতি ও নিন্দুকেরা ‘ দ্রব্যমুল্য বৃদ্ধি নিয়ে আমরা
সকলেই বিবিধভাবে দায়ীদেরকে নিন্দামুলক কথা বলেই আসছি , এটাই স্বাভাবিক , কারণ এর কুফল নিন্ম আয়ের
সকলকে ভুগতে হয় , এটা আমাদের কারো কাছেই কাম্য নয় ।

তারপরেও -
আপনার মত জন্মের পর বুঝার বয়সক্ষন হতে শুনে এসেছি দ্রব্যমুল্য বেড়েই চলেছে ভোক্তা পর্যায়ে, আর উৎপাদক
পর্যায়ে গ্রাম বাংলার কৃষকদের বিক্রয় যোগ্য পণ্যের ( ধান, চাল , পাট , তরি তরকারী প্রভৃতি) বিক্রয় মুল্য কমেই
চলেছে , কৃষক তার পণ্যের উৎপাদন ব্যয় উঠিয়ে আনতে পারছেনা । তাদের দাবী তাদের উৎপাদিত বিক্রয় পণ্যের
দাম বাড়াও আর ভোক্তা পর্যায়ে দাবী দাম কমাও । দুদিকেই সংকট ।

আমরা জানি দ্রব্যমু্ল্য দেশী বিদেশী ও আন্তর্জাতিক বহুবিদ ফেকটরের উপর নির্ভর করে , একে নিয়ন্ত্রন করা খুবই
একটি কঠীন কর্ম যে কারো পক্ষেই । দ্রব্য মুল্যকে বাড়তে দিলে ভোক্তা পর্যায়ে ক্ষতি , আবার একে বাড়তে না দিলে
উৎপাদক পর্যায়ে ক্ষতি । সাবসিডি তথা ভর্তুকী দিয়ে সাময়িক কিছু সুফল পেলেও দীর্ঘ মেয়াদে তা অর্থনীতির জন্য
আরো মারাত্বক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায় ।

তাই উপযুক্ত পন্থা হলো দ্রব্যমুল্য বৃদ্ধির সাথে সঙ্গতি রেখে জাতীয় পর্যায়ে মানুষের আয় বৃদ্ধি করা । এর জন্য লাগসই
প্রযুক্তি , শিক্ষা , প্রশিক্ষন , কর্মসংন্থান ও সার্বিকভাবে উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি জাতীয় আয়ের সুসম বন্টন পদ্ধতি
নিয়ে দেশের সকলকে ( রাস্ট্রীয় পর্যায় হতে ব্যক্তি পর্যায়ে ) উপযুক্ত প্রচেষ্টা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা ।

এর জন্য জাতীয় পর্যায়ে মিলাদের আয়োজন করা যেতে পারে । অবশ্য দ্রব্যমুল্য বৃদ্ধি নিয়ে দেশের সকল বিরোধি
দলগুলিই প্রতিদিন এসি ঘরে বসে হাত নেরে চেরে ওয়াজ নসিহত ও মিলাদ পাঠ করে যাচ্ছেন । তাদের মিলাদের
দোয়ায় দ্রব্য মুল্য কমানোর জন্য অন্যতম পন্থা হিসাবে ক্ষমতা আরোহনের বিষয়াবলী নিয়ে বেশী আবেদন নিবেদন
করা হয়ে থাকে । দ্রব্যমুল্য নিয়ন্ত্রনের কৌশলাবলী নিয়ে তেমন কোন গঠনমুলক কথা বর্তা থাকতে দেখা যায় না ।

তাই, আপনার প্রস্তাবিত মিলাদের জন্য একটি উপযুক্ত / সুনিদৃষ্ট কার্যপত্র ( working paper , থাকা প্রয়োজন ,
যাতে মিলাদ কার্যকরী হতে পারে !

২৯ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ৮:৫৫

সোনাগাজী বলেছেন:



ধন্যবাদ, আপনার কমেন্টটা আমার পোষ্টের সম্পুরক হয়েছে।

ছোটকাল থেকে দেখে আসছি, দ্রব্যমুল্য যখন বেশীই ছিলো, তখনো দেশের ৭০ ভাগ মানুষ চাষ করে দরিদ্র জীবন যাপন করতো; কারণ, তাদের উৎপাদিত পণ্যগুলো খরচ ও শ্রমের তুলনায় একবারেই সস্তা ছিলো।

আমাদের লিলিপুটের রাজ্যের অর্থনীতিবিদরা এসব বুঝতো না। সাইফুর রহমান ও মুহিত সাহেব লিলিপুটের জোকার ছিলেন।

আজকে, দেশের ৫০% মানুষ কৃষি করছে, মানে ৯ কোটী দরিদ্র মানুষ দেশে আছে; যাদের নিয়ে রচনা লেখা হয়।

পেঁচার বইটি স্কুল সাইব্রেরীতে ছিলো, আমি পড়িনি।

১৮| ২৯ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:৩৩

রানার ব্লগ বলেছেন: মিলাদ মাহাফিলে দ্রব্যমূল্য কমবে কি না জানি না কিন্তু জায়গা মতো গজারি দিয়ে লাল করে দিলে এক দিনের মধ্যে দ্রব্যমূল্য সহিনশীল মাত্রায় এসে যাবে।কিন্তু এখন সব থেকে বড় প্রশ্ন সেই গোল্ডেন গজারির বারিটা কে দেবে?

২৯ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৯

সোনাগাজী বলেছেন:



দ্রব্য মুল্য কমানোর মন্ত্র জানার কথা সরকারের অর্থনীতিদের; সরকারে সেই রকম অর্থনীতিবিদ নেই

১৯| ২৯ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৫৩

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আপনি মিলাদের উদ্যোগ নিন।

২৯ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১০

সোনাগাজী বলেছেন:



আমি দেশের বাইরে আছি, দেখি ব্রুকলীনের মসজিদের ইমামকে দোয়া করে দিতে বলবো।

২০| ২৯ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:০৬

তানভির জুমার বলেছেন: লুটপাট ঠিক রাখার জন্য দ্রব্যমুল্য বাড়াতে হয়।

২৯ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১২

সোনাগাজী বলেছেন:



৬৬ বছরে নিশ্চয় ইহা বুজা হয়ে গেছে, ইহা থামাতে কত শত বছর লাগবে?

২১| ২৯ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: শেখ হসিনার উপর দেশের মানুষের ভরসা কমে যাচ্ছে।

২৯ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৩

সোনাগাজী বলেছেন:



উনি জাতির ভিত্তিই নষ্ট করে যাচ্ছেন, নিজ দলের লোকদেরও সংগঠিত করতে পারেননি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.