নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষাই দরিদ্রদের জন্য সম্পদ।

সোনাগাজী

একমাত্র সোস্যালিষ্ট অর্থনীতি বাংগালী জাতিকে নিজ পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করবে।

সোনাগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

কষ্টের কিশোরবেলা

২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:৫১



আমার খালার বাড়ী থেকে বংগোপসাগরের পাড় ছিলো ২ মাইলের মতো পশ্চিমে; উনাদের পশ্চিমে আর কোন গ্রাম ছিলো না, ছিলো ১টি বিস্তীর্ণ ধান চাষের মাঠ, মাঠের পরে সাগরের পাড়ের বাঁধ; গড়ে ৩০ ফুট চওড়া বাঁধের পরই সমুদ্রের চর, যেখানে জোয়ারের পানি আসে। বাঁধের পুর্ব পাশের সাথে লাগানো ছিলো খালাদের ভেঁড়ার খামার। পাশাপাশি আরো ৬/৭ পরিবারের খামার ছিলো এক সময়; গত কয়েক বছর নোয়াখালীর চরের ডাকাতেরা এসে ভেঁড়া নিয়ে যাচ্ছিলো, সবার ভেঁড়া পালন বন্ধ হলো। ভেঁড়ার খামার থাকাকালীন আমি প্রতি মাসে খামারে যেতাম; গত ২ বছর খামারে যাওয়া হয়নি, মাছান ঘরটিও নাকি লুবুজুবু হয়ে গেছে; ৩/৪টা খেজুর গাছ ও ১টি ছোট আম গাছ ছাড়া আর কিছু নেই সেখানে; খালাতো ভাইয়েরা তেমন যায় না আজকাল।

১০ম শ্রেণীর টেষ্ট পরীক্ষার পর, একাকী পুর্ণিমার রাতের জোয়ার দেখার জন্য আমি প্ল্যান করে সকালে খালার বাড়ী গেলাম; আমি জানি, রাতে একা আমাকে খামারে যেতে দেবে না খালা ও খালাতো ভাইয়েরা; তাই সেদিন বিকেলে বাড়ী ফেরার কথা বলে আমি বিদায় নিলাম। বড় খালাতো ভাই আামাকে পাশের বাজার অবধি এগিয়ে দিলো ও মায়ের জন্য ১ পাতিল মিষ্টি কিনে দিলো। আমি বাড়ীমুখী পথে সামান্য পথ গিয়ে অন্য পথে খামারের দিকে রওয়ানা দিলাম। লোকজন গরু ছাগল নিয়ে গ্রামের দিকে ( পুর্বদিকে ) যাচ্ছে, আমি পশ্চিম দিকে যাচ্ছি। সুর্য ডুবার কিছু পুর্বে আমি খামারের কাছাকাছি পৌঁছলাম; খামারের কাছাকাছি আসতে দেখি ২টি মেয়ে খামারের উঠানে। সেখানে কেহ থাকার কথা নয়। আমাকে খামারের ভিটাতে উঠতে দেখে মেয়ে ২টি মাছানের উপর উঠলো; ঘরের দক্ষিণ অংশে থাকার জন্য ১টা রুম আছে, মেয়েরা সেই রুমে ঢুকে গেলো। বেলা ডুবে যাচ্ছে, আশে পাশে লোকজন নেই; একটা মেয়ে দরজায় দাঁড়িয়ে আমাকে দেখছে; গায়ের কাপড়টা বেশ পুরানো, মিষ্টি চেহারার মেয়ে; চেহারা দেখে বুঝা যাচ্ছে যে অপুষ্টিতে ভুগছে। আমি ডাকলাম, সে মাছান থেকে নামছে না, দরজায় দাঁড়িয়ে আছে।

অনেকক্ষণ পর সে উঠানে নেমে এলো; আমি বললাম,
-তোমারা কে?
-আমরা এখানে থাকি!
-তোমাদের বাড়ী কোথায়?
-আমাদের ঘরবাড়ী নেই, নোয়াখালীর চরে থাকতাম আমরা, ওখানে এখন পানি উঠে, আমরা এখানে চলে এসেছি।
-আর কে কে আছে?
-আমার বড় ভাই, বোন ও মা।
-আমি ২ জনকে দেখেছি, বাকীরা কোথায়?
-ভাই দাসগ্রামে মাটি কাটার কাজ করে, এখন ফিরবে; মায়ের গায়ে জ্বর, শুয়ে আছে।
-তোমার নাম কি?
-জোস্না।

অন্য মেয়েটি দরজার ফাঁক দিয়ে মাথা বের করে আমাকে দেখছে। এবার মেয়ে আমাকে প্রশ্ন করলো,
-তুমি কে, এখানে কেন এসেছ?
-এটি আমার খালাদের খামার, আমি এসেছি রাতে এখানে থাকার জন্য।

মেয়েটি এবার তার বোনের দিকে তাকিয়ে তাকে নীচে আসার জন্য ডাকলো, বোন এলো না। জোস্না বললো,
-ওর কাপড়টি একটু বেশী ছেঁড়া, সে লজ্জা পাচ্ছে।

আমি মিষ্টির পাতিলটি জোস্নার হাতে দিয়ে বললাম,
-ধর, এটি তোমাদের জন্য।

সে অদ্ভুত মিষ্টি করে হাসলো; আমাকে বললো,
-উপরে আস।
-না, আমি বাঁধের উপর যাই, দেখি জোয়ার কখন আসবে।
-জোয়ার আসবে মাঝ রাতে।

বাঁধের উপর উঠলাম, ৩০০/৪০০ গজ দুরেই পানি, মনে হচ্ছে ভাটি; আমি বাঁধ ধরে দক্ষিণ দিকে রওয়ানা হলাম; মাইলখানেক পরে একটি বড় রাস্তা এসেছে বাঁধ অবধি; সেখানে একটি টং ধরণের চা'দোকান ছিলো। দেখি, এখনো আছে কিনা! পুরো এলাকা নির্জন। আমি দোকান অবধি যেতে যেতে পুর্বের গ্রামের মাথায় চাঁদ উঠেছে। চা-দোকানটি আগের থেকে বড় হয়েছে, পাশে একটি পোসারী দোকান হয়েছে। আমি কুকি সহকারে ১কাপ চা খেলাম; কয়েকজন লোক বসে এলাকার ব্যাপার স্যাপার নিয়ে কথা বলছিলো।

দোকান বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, আমি আবার খামারের দিকে রওয়ানা হলাম; আধাপথ আসার পর, চাঁদের হালকা আলোয় দেখছি ২জন মানুষ এদিকে আসছে; কাছে আসতেই বুঝলাম এক জন জোস্না, অন্যজন তার ভাই হবে। জোস্না দুর থেকে বললো,
-তোমাকে খুঁজতেছি।
-আমি দোকান অবধি গেছিলাম।
-চল, আমাদের সাথে খাবে।

আমার ক্ষুধা ছিলো না; তারপরও খেলাম; ছেলেটির নাম শফি; সে খুবই ক্লান্ত ছিলো, খেয়ে সে মাছানের অন্য অংশে শুইতে গেলো। জোস্না বললো,
-তুমি এখানে থাক, আমরা অন্য পাশে থাকবো।
-আমি ঘুমাবো না, জোয়ার দেখে আমি বাড়ী চলে যাবো।
-এত রাতে কিভাবে যাবে?
-আমি আগে এখানে প্রতিমাসে আসতাম; অনেক রাতে চলাফেরা করেছি।

আমি বাঁধের উপর গিয়ে বসলাম; সমুদ্র শান্ত, চারিদিক চুপচাপ; এদিকটায় বাঁধের উপর কোন জংগল ছিলো না, শিয়ালও নেই। ক্রমেই চাঁদের আলো বাড়ছে, সমুদ্র শান্ত, অদ্ভুত পরিবেশ। চাঁদ মাথার উপরে আসার পর, দেখছি পানি ক্রমেই এদিকে আসছে; আমি আশা করেছিলাম ২/৩ ফুটের একটি ঢেউ গড়িয়ে আসবে; বাতাস না'থাকাতে শুধু পানি গড়িয়ে এদিকে আসার একটা হালকা আওয়াজ আসছিলো। বাঁধের পাদদেশ অবধি পানি এসেছে। এমন সময় দেখি জোস্না এলো বাঁধে; সে বললো,
-তুমি রাতে থাকো, ভোরে যেয়ো।

আমার পকেটে সব মিলে ৪ টাকার মতো ছিলো; আমি জোস্নাকে সেটা দিয়ে বললাম,
-তোমার মাকে দিও, বলিও তোমার বড় বোনের জন্য একখানা কাপড় কিনতে; আমি চলে যাচ্ছি।
-তুমি আবার কখনো আসবে?
-আসবো, ৩ মাস পরে আসবো।



মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ২:০৩

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: অনুভব করলাম।

২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ২:০৭

সোনাগাজী বলেছেন:




আপনার তো সোভিয়েত কৈশোর ছিলো; সমুদ্রকন্যাদের তো দেখার কথা নয়।

২| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ২:১২

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
অনুভব করার ক্ষমতা সকলের থাকে না।
সোভিয়েত শৈশবে বসে সমুদ্রকন্যার চুলে হাত বুলিয়ে দেয়া যায়।
স্বপ্নবাজ সৌরভ সেটা পারে।

২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ২:১৩

সোনাগাজী বলেছেন:



আসলে সবকিছু দেখার দরকার হয় না, মন থাকলে অনুভব করা সম্ভব।

৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ২:১৮

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
হ্যাঁ।
এর আগে গ্রামের মেয়েকে নিয়ে লিখেছিলেন। বয়সে আপনার বড়। কোন কারণে পতিতাবৃত্তিতে লিপ্ত ছিলেন। গ্রামে আসতে পারতেন না। আপনার সাথে দেখা হতো।
ঐ আপাকে আমি চিনি। যদিও তিনি আমার সোভিয়েত শৈশবে ছিলেন না।

উনার কথা কি আপনার মনে আছে?
নাম কি ছিল তাঁর?

২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ২:২০

সোনাগাজী বলেছেন:



নামটা আমার মনে নেই; আমাদের পাশের গ্রামের মেয়ে ছিলো। বাবা বাড়ীতে না'থাকলে, মাকে দেখতে আসতো।

৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ২:৩০

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
নামটা আমারো মনে নেই।
নামটা জানতে ইচ্ছা হলো


আমাদের গ্রামে শিপন নামে একজন ছিল।
আমাদের সাথে খেলতো।
২০ বছর ধরে তাঁকে সবাই শিপন হিজরা নামে চেনে।
আমার সাথে যতবার দেখা হয় ততোবার আমার চোখে পানি আসে।
নরম মন নিয়ে জন্মানোর এই এক সমস্যা। আমার ছেলেরো একই অবস্থা।
গাছ কেটে ফেললে ভ্যা ভ্যা করে কাঁদার কিছু নেই।
জমি ভাগাভাগির সময় আমাদের একটা আম গাছ কেটে ফেলা হয়েছিলাম ৩ বছর আগে। গাছটা লাগিয়েছিল আব্বা। ল্যাংড়া আম গাছ। সেই গাছের জন্য আমার আব্বা মৃত্যুর শিয়রে বসে বারবার বলেন।
৮০ টাকায় এক কেজি ভালো ল্যাংড়া আম পাওয়া যায়। কিন্তু কি অদ্ভুত।

২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ২:৩৪

সোনাগাজী বলেছেন:


দরিদ্র ঘরের ৩য় লিংগের বচ্চারা ঘরে স্হান পায় না; বাহিরে চলে যায়; রাষ্ট্র তাদেরকে দেখাশোনা করার দায়িত্বে থাকার কথা; কিন্তু ব্যুরোক্রেটরা ও সরকারের লোকেরা অতটুকু দয়ালু ও জ্ঞানী নয়। সেইজন্য জাতির দুর্ভাগা সন্তানেরা কষ্ট পাচ্ছে।

৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ২:৪২

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
তৃতীয় লিঙ্গ নিয়ে একজন আন্ডাররেটেড ব্লগার সিরিজ লিখেছিল। পরবর্তীতে লেখা অব্যাহত রাখেননি।
আমাদের কোম্পানিতে চারজন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ কাজ করে।
সবাই সুইং সেকশনে। পোশাক শ্রমিক।

২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ২:৪৭

সোনাগাজী বলেছেন:



এরা মানুষের কুসংস্কারের কারণে পরিবারহারা হয়ে যায়; সবাই এদেরকে কিছুটা সাহায্য করলে, চাকুরী দিলে, এরা কিছুটা শান্তির মুখ দেখতে পেতো।

৬| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ২:৪২

কামাল১৮ বলেছেন: কমেন্ট ব্যান্ডে ছিলাম।আজকেই মুক্তি পেলাম।আগেও পড়েছি।সহজ সরল গল্প।আপনি কবে মুক্তি পাচ্ছেন?

২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৩:০৫

সোনাগাজী বলেছেন:



বুঝতে পেরেছিলাম; আপানাকে ও অনল চৌধুরীকে নিয়ে লেখার দরকার ছিলো; কিন্তু আমাকে পুরোপুরি ব্যান করতে পারে ভেবে লিখিনি। আপনি বেকুব ধর্মীয় লেখকদের পোষ্টে কমেন্ট না'করলে ভালো হয়।

৭| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৩:০৪

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: কামাল১৮ বলেছেন: কমেন্ট ব্যান্ডে ছিলাম।আজকেই মুক্তি পেলাম।



কয়েকদিন ছিলাম না। অনেক কিছুই ঘটেছে দেখছি। রাজীব নুর কমেন্ট ব্যান।
সোনাগাজী বেকুব ধর্মীয় লেখকদের পোষ্টে মন্তব্য করতে পরামর্শ দিচ্ছেন।
আপনি 'ইসলাম' দেখলেই সেখানে হানা দেন।
আপনার লেবেল সেটা নয়।
আপনার ধর্মের বাইরেও চিন্তার পরিধি বিশাল। সেইখান থেকেই আপনার লেখা উচিত।




২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৩:০৮

সোনাগাজী বলেছেন:



স্যরি, আমি কামাল সাহবেকে বলছি, "বেকুব ধর্মীয় পোষ্টে কমেন্ট না করতে"।

বিশ্বের তো ধর্ম ১টি নয়, বাকীরা কিভাবে ধর্ম পালন করছে; আমরা, আফগানীরা, নাইজেরিয়ানরা, ইয়েমেনীরা কিভাবে ধর্ম পালন করছি ও উহা নিয়ে কি বলছি, তা থেকে বুঝা যায় যে, আমাদের মাঝে ধর্ম নিয়ে অনেক বেকুবী হচ্ছে।

৮| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৩:০৬

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
টাকা রোজগারের জন্য হিজড়াদের সবচেয়ে সহজ পন্থা হচ্ছে সাহায্যের নামে চাঁদাবাজী।
কে চায় ৯ টা ৬টা অফিস করতে?

২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৩:২৩

সোনাগাজী বলেছেন:


জাতির ছরিত্র গঠনে কাজ করার কথা ছিলো সরকারের উঁচু পদের লোকেরা, দেশের প্রেসিডেন্ট, প্রাইম মিনিষ্টার, এমপিরা, শিক্ষকেরা; এদের কেহ জাতির সামনে role model হতে পারেনি; জাতিটাকে অসৎ চাঁদাবাজ বানায়েছে সরকারের উঁচু শ্রেণীর লোকেরা।

৯| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৩:১৫

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
আসলে শ্রদ্ধেয় ব্লগার কামাল সাহেবের ধর্মের বাইরে অনেক কিছু বলার ক্কমতা আছে।
উনার ঐ ব্যপারটা ইগনোর করা উচিত। উনি বামফ্রন্ট চিন্তাধারার মানুষ। লড়েছেন।
শেষমেষ ব্লগে এসে ধর্মের প্যাচে অটকে গেছেন।

২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৩:২৫

সোনাগাজী বলেছেন:



উনি কেন হাদিস ইত্যাদি নিয়ে কথা বলেন, আমি জানি না; ধর্ম নিয়ে যারা লেখেন, তারা লিখুক।

১০| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৩:৪৩

রানার ব্লগ বলেছেন: আপনার জোয়ার দেখাটা অনুভব করলাম।

২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ ভোর ৪:৪৪

সোনাগাজী বলেছেন:


আমার শৈশবকালটা কষ্টের ছিলো।

১১| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ ভোর ৪:৫২

মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম বলেছেন: পরে আর কখনো গিয়েছিলেন? জ্যোৎস্না নামের মেয়েটির সাথে আর দেখা হয়েছিল কি?

২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ ভোর ৫:০৪

সোনাগাজী বলেছেন:


না, দেখা হয়নি, ওরা পাশের গ্রামে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলো।

১২| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার কিশোরবেলা কিন্তু কষ্টে কাটেনি।
যাইহোক, আপনাদের অঞ্চলে ভেড়া পালন কেন করতো? ছাগল পালনে তো বেশি লাভ।

২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:০৯

সোনাগাজী বলেছেন:



তখন সমুদ্রের চরে "উরি" নামে এক ধরণের ঘাস হতো, ইহাই ভেঁড়ার খাদ্য ছিলো।

ভেঁড়া দলের সাথে মিশে চলে, দল ফেলে কোথায়ও যায় না; ছাগল দুরে চলে যায় একা একা, ইহাকে বেশী দেখাশোনা করতে হতো।

১৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: মাছান কি?
মাচান? রান্না ঘরে অথবা স্টোর রুমে উপরের কাঠের তক্তা দিয়ে বানানো হয়? লাকড়ি রাখার জন্য?

২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:১৩

সোনাগাজী বলেছেন:



মাছান হলো খুঁটির উপরে ঘর, ইহা দোতালা ঘর, নীচের তলা খালি; শিয়াল যাতে ভেঁড়ার বাচ্চা নিতে না'পারে ও ভেঁড়ার বর্জ্য যেন নীচে পড়ে সেই জন্য এই ব্যবস্হা।

১৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৫১

প্রামানিক বলেছেন: পড়েছি

২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:১৪

সোনাগাজী বলেছেন:


আপনার স্বাস্হ্য কেমন?

নুরু সাহেবের পরিবারের সাথে আপনার পরিচয় ছিলো?

১৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৮

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: বয়সকালে স্মৃতি কথা,
তখনকার কষ্ট কি এখন ছুঁয়ে দেখতে পারেন ?

২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:৫৬

সোনাগাজী বলেছেন:




তখনকার কষ্টগুলো এখন আরো যাতনাময় হয়ে উঠেছে।

১৬| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:২৫

আমি সাজিদ বলেছেন: এমন পোস্ট লিখলে তো ব্যান খেতে হয় না। সবাই আপনার এই অভিজ্ঞতাগুলো সংকলন এপ্রিশিয়েট করবে। ব্যান খাওয়ার মতো কমেন্ট পোস্ট না করলে হতো না? আপনার জন্যই ব্লগার জুলভার্ণ ব্লগ থেকে বিরতি নিলো। অথচ আপনারা দুইজনেই সামুতে বেশ কন্ট্রিবিউশান করেছেন।

২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:৩৯

সোনাগাজী বলেছেন:



জুল ভার্নকে নিয়ে আপনি যা বললেন, ইহাতে বুঝা যাচ্ছে যে, আপনার এনালাইসিসে কিছুটা সমস্যা আছে। জুল ভার্ন ভয় পেয়েছিলো যে, উনার অসততাগুলো সামনে আসার সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে; সেজন্য তিনি ছুঁতো খুঁজে এক্সিট নিয়েছেন।

১৭| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেনঃ জুল ভার্নকে নিয়ে আপনি যা বললেন, ইহাতে বুঝা যাচ্ছে যে, আপনার এনালাইসিসে কিছুটা সমস্যা আছে। জুল ভার্ন ভয় পেয়েছিলো যে, উনার অসততা গুলো সামনে আসার সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে; সেজন্য তিনি ছুঁতো খুঁজে এক্সিট নিয়েছেন।

দুই লাইনে যা বলার বলে দিয়েছেন। গ্রেট।

২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১:০১

সোনাগাজী বলেছেন:



জুল ভার্ন নিজের সম্পর্কে বেশ অপ্রয়োজনীয় কথা ছড়ায়েছিলেন ব্লগে; তিনি সেটার ভারে নুয়ে পড়েছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.