নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একমাত্র সোস্যালিষ্ট অর্থনীতি বাংগালী জাতিকে নিজ পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করবে।
ব্রুকলীনে পাশাপাশি ৪টি মসজিদ আছে; ১ টি খুবই বড়, ৪ তলা বড় বিল্ডিং, উহার নাম ঠিক মসজিদ নয়, ইহার নাম "ইসলামিক কালচারেল সেন্টার"; এখানে অনেক ধরণের প্রোগ্রাম আছে। এক প্রোগ্রামের অধীনে বিশ্বের অনেক দেশ থেকে উচ্চ-শিক্ষিত লোকজন এসে থাকেন, এখানকার মুসলমানদের সাথে ধর্মীয় ব্যাপারে আলাপ আলোচনা করেন। ইহার সভাপতি সন্দ্বীপের এক ব্যবসায়ী, আমার সাথে ভালো জানাশোনা আছে।
বাংগালী উচ্চ শিক্ষিত লোকজন এলে, সভাপতি আমাকে ডাকেন; উনার চাপে পড়ে যেতে হয় মাঝে মাঝে, তাদের আলাপ আলোচনা শুনি। বেশ আগের ১টা ঘটনা: লন্ডন থেকে ১ দল ইন্জিনিয়ার, চিকিৎসক, শিক্ষক এসেছেন; এদের মাঝে ২জন বাংগালী আছে; আমাকে যেতে হলো। এদের বক্তব্য শুনলাম। দলে ১জন পাকিস্তানী ( বৃটিশ সিটিজেন ) সিভিল ইন্জিনিয়ার ছিলেন; তিনি বক্তব্যের মাঝে বললেন যে, উনার ১ ছেলে ও ১ মেয়ে আছে, উভয়েই আর্কিটেক্ট; উনি চেয়েছিলেন যে, ছেলেমেয়ে বাবার প্রফেশানেই থাকুক। ছেলেমেয়ে উভয়েই খুব ভালো করেছে: ছেলে লন্ডন নগর সরকারে আর্কিটেক্টের চাকুরী করে, কম বয়সেই বেশ উপরের পদে চলে গেছে। মেয়ে আর্কিটেকচার ফার্ম খুলে খুবই সফল হয়েছে; তিনি তাদের জন্য দোয়াও চাইলেন।
ব্রুকলীনের বাংগালী পাড়াটা এক সময় বেশ বড় ছিলো; এর পাশপাশি ছিলো পাকিস্তানী পাড়া; উহা ছিলো আরো বড় ও একটু বেশী রমরমা; এলাকটির নাম, কোনি আইল্যান্ড এভেনিউ; "নাইন এলেভেন"এর (৯/১১/২০২১ ) পর, পাকিস্তানী এলাকাটিকে পুলিশের নজরদারীতে আনা হয়েছিলো; কয়েকমাসের মাঝে এলাকাটি মরুভুমিতে পরিণত হলো, মানুষ এলাকা ছেড়ে চলে গেলো; সামান্য কয়েক'শ গরীব পরিবার ব্যতিত আর কেহ নেই। আমি সেই সময় নিউইয়র্ক থেকে ১২০ মাইল উত্তরে চাকুরী করতাম। কিন্তু প্রতি সপ্তাহে ব্রুকলীন এসে, একটা অফিসে শিক্ষিত বাংগালীদের চাকুরী পেতে ও পড়ালেখায় ফ্রি সাহায্য করতাম। মাঝে মাঝে বাংগালীদের ভারতীয়, পাকিস্তানী, বার্মিজ বন্ধুরাও আমার কাছে আসতো; আমি সাহায্য করার চেষ্টা করতাম।
কালচারেল সেন্টারের আলোচনা সভায়, ঐ পাকিস্তানী ইন্জিনিয়ারের বক্তব্যের পর, টি-ব্রেকের সময়, আমি উনাকে বললাম,
-কোনি আইল্যান্ড এভেনিউতে পাকিস্তান থেকে আগত শিক্ষিত ছেলেমেয়েরা অড-জব করে; আপনি ওদেরকে সাহায্য করলে ওরা ভালো চাকুরী পাবে; আপনি চেষ্টা করতে চান?
-কি করার দরকার?
-ওদেরকে জব-ওরিয়েন্টেড ট্রেনিং দিতে হবে।
-গুলো তো কুফরী শিক্ষা, কুফরী জ্ঞান! এসব কুফরী শিক্ষা দেয়া সঠিক নয়; ওদেরকে দ্বীনের তালিম দেয়ার দরকার; ওদের দ্বীন যদি ঠিক থাকে, ওদের কোন কিছুর অভাব থাকবে না।
আমি চুপ হয়ে গেলাম।
২২ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:০৫
সোনাগাজী বলেছেন:
মুসলমানরা নিজ পরিবারের বাহিরে, অন্যকে সঠিকভাবে শিক্ষিত হতে দিতে চাহে না। বাংলাদেশে প্রতিটি শিক্ষিত পরিবার চাহে যে, শুধু তার পরিবারের লোকেরা পড়ালেখায় ভালো করুক।
২| ২২ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:১৪
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
গত ৭ ঘন্টায় পোস্ট নেই। আপনার পোস্ট নিজের পাতায় ঈদ উদযাপন করছে দেখলাম।
কুফরী শিক্ষার বয়ান ' আমেরিকায় দিলে কাজে আসবে ; ব্যাপারটা পাখির ডানা ঝাপটিয়ে দাবানল নেভানোর মতন মনে হয়।
২২ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:১৬
সোনাগাজী বলেছেন:
বাংগালী, পকািস্তানী, আফগানী, ইয়েমেনী, ভারতীয় মুসলমানরা আমেরিকায় এসে খুব একটা বদলায় না।
৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:১৭
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
কুফরী শিক্ষার বয়ান ' আমেরিকায় দিলে কাজে আসবে? ব্যাপারটা পাখির ডানা ঝাপটিয়ে দাবানল নেভানোর মতন মনে হলো। কুফরী শিক্ষার হটস্পটের কি অবস্থা?
২২ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:২৬
সোনাগাজী বলেছেন:
এক সময় ইউরোপও শিক্ষাকে, বিজ্ঞানকে, থামাতে চেয়েছিলো, এবং বেশ সময় ধরে জ্ঞানকে পেছনের কাতারে রেখেছিলো; এখন সেটা চলেছে মুসলিম এলাকায়।
৪| ২২ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: ধার্মিকদের কুফরি শব্দটা অনেক প্রিয়।
কুফরি মানুষদের করা হয়। যার আরেক নাম কালা যাদু। ধার্মিকেরা বিশ্বাস করে কালা যাদু করে মান্সুহের ক্ষতি করা যায়।
২২ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:৫৭
সোনাগাজী বলেছেন:
মুসলিম দেশগুলোতে মানুষকে সঠিক জ্ঞান থেকে দুরে রেখে অপ্রয়োজনীয় ও আগেরদিনের ভুল জ্ঞান দেয়া হচ্ছে।
৫| ২২ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:৫০
রাজীব নুর বলেছেন: ঈদের দিনটা খেয়ে দেয়ে পার করে দিলাম।
সন্ধ্যায় মেয়েকে নিয়ে বের হয়েছিলাম। তাকে নিয়ে রিকশায় ঘুরলাম। এক দোকান থেকে তাকে পেস্টি খাওয়ালাম। এই মাত্র বাসায় ফিরলাম।
ঈদের সময় অন্তত আপনার দেশে থাকা দরকার ছিলো।
২২ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:৫৯
সোনাগাজী বলেছেন:
মেয়েগুলো আপনার পরিবারের শান্তির প্রতীক।
আমি কিছু কারণে আটকা পড়েছি।
৬| ২২ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: কুফরী কালাম অর্থ্যাত যাদু করা। বান মারা। এগুলো এখনো আমাদের দেশে বহু লোক বিশ্বাস করে। এগুলো করতে গিয়ে অনেক টাকা খরচ করে। কুফরী করে মানুষ পর্যন্ত মেরে ফেলা যায়।
২২ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:০০
সোনাগাজী বলেছেন:
আফ্রিকায় ছিলো "মেডিসিন ম্যান"; ইংরেজরা কিছুটা দমায়েছে।
৭| ২২ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: ইসলাম ধর্ম ভিক্টিমকে/ভুক্তভোগী সান্ত্বনার বদলে উল্টা আধ্যাত্মিক ব্লেইম/দোষারোপ করে৷ আদম সন্তান কাবিলের বন্টনে কুৎসিত স্ত্রী পড়ায় কাবিল আপত্তি জানালে ভুক্তভোগী কাবিলকে সহায়তা করে নি৷ উল্টা বিষয়বস্তুর সাথে অপ্রাসঙ্গিক শর্ত কুরবানি চাপিয়ে দিয়ে আধ্যাত্মিক ব্লেইম/দোষারোপ করে।
২২ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:০১
সোনাগাজী বলেছেন:
এগুলো সবই রূপকথা, আরবদের ঠাকুর মা'র ঝুলি।
৮| ২২ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:৫৫
রাজীব নুর বলেছেন: মানুষের জীবনের মূল্যবোধ তলানিতে ঠেকেছে। ভদ্রতার মুখোশে মানুষ এখন পশুর চেয়েও নিচু পর্যায়ে চলে গেছে।
২২ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:০৪
সোনাগাজী বলেছেন:
সরকারের লোকেরা, ব্যুরোক্রেটরা, তরুণ রাজনৈতিক ক্যাডারেরা ও ব্যবসায়ীরা এখন ঢাকার মানুষের রোল মডেল; মানুষের আচরণ নাইজেরিয়ার মানুষের লেভেলে পৌঁছেছে।
৯| ২২ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:১১
কামাল১৮ বলেছেন: ইসলামের দৃষ্টিতে ঐ লোক ঠিকই বলেছে।একটা মাত্র বই পড়তে হবে এবং একটা মাত্র জ্ঞান অর্জন করতে হবে সেটা হলো ইসলামী জ্ঞান।মোতাজিলারা এর বাইরে চিন্তা করতে বলায় তাদের কে পাফের আখ্যাদিয়ে ধ্বংস করা হয়।
বর্তমান বিশ্ব থেকে ইসলাম ধর্মের অনুসারিরা সম্পুর্ণ আলাদা।তারা আছে তাদের মতো আখেরাতের চিন্তা নিয়ে।বর্তমানকে তারা মনে করে একটা ইলিউশন।ক্ষনিকের মোহ।
২২ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:৩৩
সোনাগাজী বলেছেন:
খৃষ্টানরা ইউরোপের বিজ্ঞান ভাবনাকে থামিয়ে দিয়ে ছিলো কিছু সময়ের জন্য; কিন্তু ইউরোপ ঊহা থেকে বেরিয়ে আসতে সমর্থ হয়েছিলো; মুসলিম এলাকায় জ্ঞান থামানোর শক্তিটা বেশ ডেডিকেটেড, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও দখল করে ফেলেছে।
১০| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:২০
রাজীব নুর বলেছেন: আমেরিকাতে কি বাংলাদেশীদের সংখ্যা বেশি? না পাকিস্তানীদের?
২৩ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৮
সোনাগাজী বলেছেন:
পাকস্তানীদের পরিমান ২ গুণ বেশী। পাকিস্তানীদের মাঝে বিনা অনুমতিতে থাকাদের পরিমাণ কম।
১১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ইসলামিক কালচারাল সেন্টার নামদারী মসজিদ সমুহে বিশ্বের বিভিন্ন
দেশ হতে বেশ উচ্চ শিক্ষিত লোকজন নিমন্ত্রিত কিংবা গেষ্ট স্পীকার
( অনেক ক্ষেত্রেই স্বউদ্যোগে নিমন্ত্রিত ) বক্তা হিসাবে এসে খাকেন ।
তাদের বক্তব্যের উল্লেখযোগ্য অংশ জুরেই থাকে নীজেদের অর্জনের
কথা আর থাকে বিষেশায়িত গতবাধা আরবী -ইংরেজী মিশাল কথামালা।
তবে তাদের নীজস্ব শ্রুতিমধুর বাচন ভঙ্গীতে বলা কথামালায় বেশ বিনোদন
উপভোগ করা যায় । অপরদিকে নির্দিষ্ট কোন বিষয় ভিত্তিক ব্ক্তব্য না দিয়ে
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ঘটে চলা বিভিন্ন সমসাময়িক ঘটনাবলীর কথামালা নিয়ে
বিক্ষিত ভাবে ধর্মশাস্রের বিভিন্ন প্রান্ত হতে বিভিন্ন ব্যখ্যা বিশ্লেষন টেনে এনে
অপ্রাসঙ্গিকভাবে বেশ কিছু অন্বিকৃত কিংবা অসমর্থিত রেফারেন্স উল্লেখ করে
যুক্তি তর্ক বিহীন কথামালার অবতারনা হতেও দেখা যায় । উপস্থিত শ্রোতাগন
ভক্তিভরে সেসব শুনেন , ঐ রকম ভাব গাম্বীর্যময় পরিবেশে তাদের যুক্তি তর্ক বিহীন
ব্ক্তব্যের তাৎক্ষনিক প্রতিবাদ করার পরিবেশ বিরাজ করেনা বিধায় চুপ চাপ
শুনতে হয় অনিচ্ছা সত্বেও । মানি লোকদের মান রাখাও যেন অনেকটা কালচারাল
হেরিটেজের পর্যায়ে পড়ে । এ রকম অবস্থায় মনে হয় ইসলামিক কালচারাল সেন্টার
নামকরনের বেশ স্বার্থকতা রয়েছে , এবং এই লক্ষ্যটি বেশ ভাল ভাবেই অর্জিত হচ্ছে ।
জন-ওরিয়েনটেড ট্রেনিং এর অন্য কোন আর্থ আছে কি?
যদি না থাকে তবে এটা সম্ভবত জব-ওরিয়েনটেড ট্রেনিং হবে ।
২৩ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৮
সোনাগাজী বলেছেন:
ধন্যবাদ, টাইপোটা ঠিক করে দিয়েছি।
প্রবাসে ইসলামিক সেন্টারগুলোর কার্যকলাপ হচ্ছে, মুসলমানদের নতুন জেনরেশনদের ইসলামের মাঝে ধরে রাখা। মুসলমান পরিবারের ছেলেমেয়েরা মোটামুটি ইসলামিক ট্রেডিশন এখনো ধরে রেখেছে আমেরিকায়।
১২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:০৯
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ১ নং মন্তব্য জোস হইসে।
নিমো বলেছেন: হা-হা! আমরা এমনই নিজে কুফরি জ্ঞান অর্জন করে ভালো থাকব, কিন্তু অন্যকে দ্বীনের তালিম দিয়ে ভেড়ার পাল বানাবো, যাতে মাথার উপর ছড়ি ঘুরানো যায়। পিনাকীর মত ইসলামের শত্রু দেশে বসে ইসলামের গুন গেয়ে, জিহাদি সেনা বানাবো, যাতে দেশে এনার্কির জন্ম দেয়া যায়। মরুর বুকে স্ক্যামিং ব্যবসা চালিয়ে ব্লগে এসে অন্যের জ্বালা মাপার ভন্ডামী করব।
২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৭
সোনাগাজী বলেছেন:
তালেচানরা, হুতিরা ( ইয়েমেনের শিয়া ), পাকিস্তানের তালেবানরা, তাদের দেশ থেকে আধুনিক শিক্ষাকে বিদায় করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে; বাংলাদেশকে সেই পথে নেয়ার চেষ্টা চলছে।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৯
নিমো বলেছেন: হা-হা! আমরা এমনই নিজে কুফরি জ্ঞান অর্জন করে ভালো থাকব, কিন্তু অন্যকে দ্বীনের তালিম দিয়ে ভেড়ার পাল বানাবো, যাতে মাথার উপর ছড়ি ঘুরানো যায়। পিনাকীর মত ইসলামের শত্রু দেশে বসে ইসলামের গুন গেয়ে, জিহাদি সেনা বানাবো, যাতে দেশে এনার্কির জন্ম দেয়া যায়। মরুর বুকে স্ক্যামিং ব্যবসা চালিয়ে ব্লগে এসে অন্যের জ্বালা মাপার ভন্ডামী করব।