নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষাই দরিদ্রদের জন্য সম্পদ।

সোনাগাজী

একমাত্র সোস্যালিষ্ট অর্থনীতি বাংগালী জাতিকে নিজ পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করবে।

সোনাগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমেরিকা যদি সমস্যায় পড়ে, সারা বিশ্বে বিশৃংখলা দেখা দিবে।

২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ২:৫৮



পুরো মুসলিম বিশ্বের সাথে, বাংগালীরাও চায় যে, আমেরিকার শক্তি কমে আসুক, ইহার মোড়লগিরি কমে যাক, ইহা অন্যান্য সাধারণ দেশের মতো ১টি দেশে পরিণত হোক। কিন্তু একমাত্র ইরান ব্যতিত কোন মুসলিম দেশের সরকার ইহা চাহে না; কারণ, সরকারদিগকে কোন না কোনভাবে দেশ চলাতে হয়, অর্থনৈতিক ও আন্তর্জাতিক সমস্যার সময় সাপোর্ট দরকার হয়। যদিও ইরান ভাবে যে, আমেরিকার প্রতাপ কমলে, তারা তাদের মতো করে মিডল ইষ্টকে কন্ট্রোল করবে, তা ঘটবে না; সারা বিশ্বে এমন বিশৃংখলা দেখা দেবে যে, ইরান নিজের বর্ডার নিয়েই সমস্যায় পড়বে, হয়তো তেল বিক্রয় করতেও পারবে না; অন্যদের দিকে নজর দেয়ার সময় পাবে না; শেষে পারস্য সাম্রাজ্যে পরিণত হবে।

বিশ্বের ১ম সমস্যা হবে কারেন্সী নিয়ে; বিশ্বের কোন দেশের কারেন্সী কোনভাবে ষ্টেবল থাকবে না; কারণ, কারো কাছে এত সম্পদ নেই; কারেন্সীকে ষ্টেবল ও সিকিউরড রাখার মতো মেকানিজম নেই। ডলার দুর্বল হয়ে গেলে আইএমএফ কোন দেশের কারেন্সীকে ষ্ট্যানডার্ড হিসেবে ধরে অন্য দেশগুলোর কারেন্সীর মান ঠিক করতে পারবে না। বিশ্ব ব্যাংক অকেজো হয়ে যাবে, কোন দেশ অন্য দেশকে ঋনের জন্য স্পনসর করবে না; বৃটেন কি কারণে বাংলাদেশকে ঋণ দিতে বলবে? বাংলাদেশে আগামীতে কাহারা ক্ষমতায় আসবে, তা বৃটেন জানবে না; যারা ক্ষমতায় আসবে, তারা ঋণ শোধ করতে পারবে বলে কে নিশ্চয়তা দেবে? ডলার দুর্বল হলে আরো ১০০ রকমের সমস্যা হবে; চীন, জাপান, ইউরোপের বড় বড় অর্থনীতিগুলো নিজেদের কারেন্সীকে ষ্টেবল রাখার জন্য আমেরিকান ফেডারেল বন্ড ব্যবহার করে।

বর্তমানে বড় ৪টি জাতীয়তাবাদী জাতি ও গ্রুপ নিজেদের প্রভাব বজায় রাখার জন্য সংগ্রাম করছে: (১) আমেরিকা (২) রাশিয়া (৩) চীন (৪) ইউরোপ। এরা সবাই ক্যাপিটেলিজমে বিশ্বাস করে, শাসন ও উৎপাদনে সবাই ক্যাপিটেলিজমকে তত্ব হিসেবে ব্যবহার করছে; কিন্তু এরা জাতীয়তাবাদ থেকে বের হতে পারছে না। ইহার নিস্পত্তি হবে আগামী ১০/১৫ বছরের মাঝে। এতে আমেরিকা লীড পজিশনে থাকবে। ন্যাটো যেভাবে যুদ্ধ করে ইহার নিস্পত্তি করতে চাচ্ছে, ইহা ঘটবে না। পুটিনের পরবর্তী জেনারেশন একটু ধীরস্হির ক্যাপিটেলিষ্টে পরিণত হবে।

আমেরিকার রাজনীতি কঠিন, ইহার সরকারী সংস্হাগুলো বিশ্বের সব দেশ থেকে শক্তিশালী ও স্বচ্চ; ইহার অর্থনীতি অতি আধুনিক ও ভয়ংকর কমপ্লেক্স নীতি অনুসরণ করে; ইহার সমতুল্য ফাইন্যান্সিং সিস্টেম কারো কাছে নেই। আমি ব্লগে দেখছি ২/১ জন ব্লগার আমেরিকার ভবিষ্যত অন্ধকার, ইহার পতন হচ্ছে, ইত্যাদি বলেন; ইহা অন্ধের হাতী দেখার মতো কিছু একটা হবে।

এদের শিক্ষার মান উন্নত; কিন্তু শিক্ষা ব্যবস্হা ভয়ংকর ব্যয়বহুল; এজন্য এরা বিদেশী মেধার উপর নির্ভর করে; এরা শিক্ষা ব্যবস্হাকে সহজলভ্য করলে, আরো অনেক ভালো করবে। বাংলা ব্লগে আমেরিকা নিয়ে আলোচনা হয়, এটাই অনেক কিছু; কিন্তু ইহা ভয়ংকর কমপ্লেক্স দেশ, ইহাকে বুঝতে অনেক কিছু বুঝতে হবে; এদের সংস্কৃতি, রাজনীতি, সরকার ব্যবস্হা, অর্থনীতি, ফাইন্যান্স, সায়েন্স, টেকনোলোজী, সামরিক শক্তি, কুটনীতি, ইত্যাদিকে বুঝতে হবে; আমেরিকাকে নিয়ে লেখা, সোনাগাজীকে নিয়ে ক্যচাল লেখার মতো সহজ কিছু নয়।



মন্তব্য ৪১ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ ভোর ৬:০৮

কামাল১৮ বলেছেন: আমেরিকার ভবিষ্যৎ অন্ধকার যারা বলে তারা আসলেই অন্ধ।তবে নিষেধাজ্ঞা থেকে বের হয়ে আসতে হবে আমেরিকাকে।আমেরিকাকে সাথে নিয়েই ডালারের বিকল্প বের করতে হবে।যা কিছু করতে হবে এই চার শক্তির ঐক্যমতের ভিত্তিতেই করতে হবে।নয়তো সেটা টেকসই হবে না।
রাজনৈতিক কারনে ডলারকে আর বেশিদিন ধরে রাখা যাবে না।সবাই মিলে চেষ্টা করলে পথ অবশ্যই একটা বের হবে।

২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ ভোর ৬:৩৯

সোনাগাজী বলেছেন:


ডলারের পেছনে আছে সম্পদ, মেকানিজম, আস্হা, ষ্টেবিলিটি, সিকিরিটি; যেটা অন্য কোন জাতি দিতে পারবে না;সবাই মিলে চাইলেও পারবে না। ইউরোপের সবাই মিলে ইউরো করে দেখেছিলো, কাজ করেনি।

২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:৫২

কামাল১৮ বলেছেন: ইউরো ডলারের বিপরিতে হয়নি।ইউরোপের সকল দেশে (যুক্তরাজ্য বাদে)চলার মতো একটা মুদ্রা।তার পরও ইউরো বা পাউন্ড পৃথিবীর সকল দেশেই চলে।সব মুদ্রার দাম বাড়ে কমে।ডলারের দামও বাড়ে কমে।বাংলাদেশ ইয়েনের মাধ্যমে রাশিয়ার সাথে ব্যবসা করছে।ডলারকে কিছুটা সমস্যা মোকাবেলা করতেই হবে।

২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:৩০

সোনাগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশ ইয়েন কি দিয়ে কিনবে? চীন বাংলাদেশ থেকে কি ইমপোর্ট করে, রেমিটেন্স হিসেবে কত ইয়েন আসে? ডলারের ইনফ্লেশান রেইট যেই কোন কারেন্সীর তুলনায় খুবই কম।

৩| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:৫৩

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: প্রয়োজন আবিষ্কারের জননী এটা জানেন তো? সুতরাং, ডলারের ছাপাখানার ব্যবসা চিরদিন চলবে এটা ভেবে আত্নতৃপ্তিতে ভোগার কোনো যৌক্তিক কারণ তো দেখিনা। সারা দুনিয়ায় আমেরিকার প্রতি আস্থায় যে চির ধরেছে তা কি বুঝতে পারেন? দুনিয়ার দেশগুলি স্বর্ণের মজুদ বাড়াচ্ছে এগুলো কিসের লক্ষণ?

আমেরিকার প্রভাব খর্ব হলে পরিবর্তিত বাস্তবতায় কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে, সেগুলো এককেন্দ্রিক বিশ্ব পরবর্তী বহুকেন্দ্রিক বিশ্বের প্রসব বেদনা।

২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৪

সোনাগাজী বলেছেন:



প্রয়োজন আবিষ্কারের জননী এটা জানি!

স্বর্নের উপর ভাসলেও কেহ চীন, রাশিয়া, পাকিস্তান, সৌদী, আফগানিস্তান, ইরানের মুদ্রা নিবে না; এসব দেশের সরকার ও মানুষকে অন্যেরা বিশ্বাস করে না; আগামীকাল ওদের সরকারে কে আসবে কেহ জানে না।

০৬ ই মে, ২০২৩ রাত ১:৩৩

সোনাগাজী বলেছেন:


ডলার ছাপানো সহজ নয়, বিশ্বের হাজার হাজার মাফিয়া/দুষ্ট লোকজন উহা ছাপানোর চেষ্টা করছে।

৪| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৪

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: আমেরিকার ভবিষ্যৎ শুধু অন্ধকার নয় ভয়াবহ অন্ধকার নিকষ কালো অন্ধকার । আমেরিকার পতন না হলেও ডলারের পতন অত্যন্ত জরুরী । এবং সেটা হবে বিশ্বের সব দেশের জন্য অর্থনৈতিক মুক্তি ।

২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:৫০

সোনাগাজী বলেছেন:



আমেরিকার অর্থনৈতিক ব্যবস্হা, ফাইন্যান্সিং ব্যবস্হা বেশ কমপ্লেক্স; বাংগালীরা ইহা বুঝে না; ফলে, ব্লগ থেকে আমেরিকা পতনের ডাক দেয়া হয়েছে।

৫| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৩০

আমি সাজিদ বলেছেন: বেয়াদবি মাফ করবেন, আপনি কি বেশী বুঝেন? পতন মানে পতন। বাংলাদেশ ব্লগ থেকেই পতনের ডাক এসেছে।

২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:৪০

সোনাগাজী বলেছেন:



ব্লগ থেকে বাংলাদেশের শিক্ষার মান নির্ণয় করা সম্ভব।

৬| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৫০

আমি সাজিদ বলেছেন: আমেরিকার মোড়লপনার অবসানের পর বিকল্প হিসেবে বিশ্বাসযোগ্য কোন দেশ চোখের সামনে পড়ে না। রাশিয়া চায়নার মানবাধিকারের স্বচ্ছতা নাই। ভারত সাম্প্রদায়িক আর অনেক পিছনে। ওয়েলথ, অপরচুনিটি, টেকনোলজিতে আমেরিকার ধারে কাছে কেউ নাই, এরপর কালচারাল ইনফ্লুয়েন্সের সাথে ইমিগ্রান্ট ফ্রেন্ডলি সমাজ পৃথিবীতে খুব কম আছে ( নেই বললেই চলে)।
তবে একটা ব্যালেন্স আনার জন্য আমেরিকার বিপরীতে শক্তিগুলোর উত্থানের দরকার আছে। তাহলে আমেরিকা যা ইচ্ছা তাই করতে পারবে না।

২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৪

সোনাগাজী বলেছেন:



চীনকে কোনদিন কোন জাতি সন্মান করবে না, পুটিনের কারণে রাশিয়াকে কেহ বিশ্বাস করবে না; ইরান হিংসুক শিয়াদের আস্তানা হিসেবে পরিচিত হয়েছে, ভারত বিশ্বের কাউকে কোনদিন সাহায্য করে না। আমেরিকা, কানাডা ও ইউরোপের উপর মানুষের আস্হা আছে।

৭| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:১৬

আমি সাজিদ বলেছেন: আস্থা আছে এইটা ভুল কথা। বিকল্প হিসেবে তাদের সমান আস্থা অর্জন করলেও পাওয়ার সুইচ হয়ে যেত। পশ্চিমাদের টিকে থাকার অন্যতম কারন বাকিরা পশ্চিমাদের যথাযোগ্য বিকল্প হিসেবে দাঁড়াতে পারে নাই। চীনারা পরিশ্রমী জাতি, কিন্তু ওদের দেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা নাই। আমার একটা আগ্রহ ব্লগে জড়িপ করি, কয়জন ব্লগার চীনে যেয়ে স্থায়ী হতে চায়? রাশিয়ার প্রতি সবারই একটা সফট কর্ণার আছে, রাশিয়া একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে নিজেদের সুনাম ধরে রাখে নাই। ভারত কখনও চীন রাশিয়ার সমান হতে পারবে না, বাংলাদেশের বড়ভাই হিসেবেই থাকা লাগবে তার।

২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:২৩

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনি "বিকল্প" শব্দটা জাতির বেলায় প্রয়োগ করছেন কেন? প্রত্যেক জাতির নিজস্ব প্রোফাইল আছে, ১ জাতি অন্য জাতির বিকল্প হতে পারার কথা নয়।

অর্থনীতি, ফাইন্যান্স, পরস্পরের উপর নির্ভরশীলতা, ইত্যাদি নির্ভর করে আস্হার উপর। চীন, ভারত, রাশিয়ার উপর মানুষের আস্হা নেই।

৮| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:১০

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: চীন, ভারত, রাশিয়ার বা আমেরিকা কারও উপর আমার আস্হা নেই ।
সকলেই নিজ নিজ তরিকায় চলে ।

............................................................................................
অর্থনীতি,রাজনীতি আর ধর্মনীতি এসবের কৌশলগত চাপে একেক জনের
আচরন একেক রকম ও সময়ের তালে রং বদলায় ।
তাই কারও মুদ্রা এককভাবে বিশ্ব নিয়ন্ত্রন করুক তা চাইনা ।
আমেরিকা ছলে বলে কৌশলে এতদিন তার মুদ্রার মাস্তানি চালায়ে আসছে
কিছু কারনে ইউরোপ তা থেকে বেরিয়ে আসার চিন্তায় ইউরো করেছে
কিন্ত আমেরিকার মতো চালবাজি জানেনা বিধায় সুবিধা করতে পারে নাই ।
এবার রাশা - চীনের খেলা দেখা যাক, কার কূটচাল কতদুর সাফল্য পায় ।
..............................................................................................
প্রসংগত বলা ভালো যে, বাংলাদেশও এর অংশগ্রহনকারী হতে যাচ্ছে
আমাদের কৌশল ভিন্ন,
যে ভোগে (দেবতা), যার সন্তুষ্টি
রাশার জন্য ইউনান, ভারতের জন্য রুপি, ইউরোপের জন্য ইউরো আর আমেরিকার জন্য ডলার তো থাকছেই ।

২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:৩২

সোনাগাজী বলেছেন:



দেখেন রাশিয়া, চীন ও ভারত থেকে রেমিট্যান্স আসে কিনা, রপ্তানীর লাভ আসে কিনা।

আপনি বলছেন, তাই শুনছি যে, বাংলাদেশেরও কৌশল আছে; তবে, সেগুলো হচ্ছে, দেশের মানুষগুলোকে দাসের মতো ব্যবহার করে সরকারী চাকুরে, আদম ব্যাপারীদের ও সিন্ডিকেটদের ভালো থাকার কৌশল।

৯| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:২৯

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: কূটনীতিক ক্ষমতার ক্ষয় এর ফলে মার্কিনিরা বেশি সমস্যায় পড়েছে বলে আমি একবার পড়েছিলাম। একটি জরিফে দেখা গিয়েছে ২০২০ সালে নির্বাচিত জো বাইডেনকে ৭০ শতাংশ রিপাবলিকান বৈধ মনে করেন না। ২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সংকটেব ফলে ইউ এস এভবেশ সংকটে পড়েছিল।

২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:৩৫

সোনাগাজী বলেছেন:



২০০৮ সালের রিসেশন ছিলো বুশের যুদ্ধের ফলে; এবারেরটা কোভিড ও বাইডেনের যুদ্ধের ফলে। তবে, আমেরিকানরা ইহা থেকে বের হবে; কারণ, তারা ৮ ঘন্টা কাজ করে।

১০| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ২:৪১

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: "আমেরিকা শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নত" - কথাটা শতভাগ সঠিক বলে আমার মনে হয় না। বিশেষ করে আপনি যদি প্রাথমিক + মাধ্যমিক (স্কুল ও কমিউনিটি কলেজ লেভেল) এবং উচ্চ শিক্ষাকে (আন্ডারগ্র্যাড, গ্র্যাড, পোস্ট গ্র্যাড ইত্যাদি) আলাদাভাবে দেখেন। প্রাথমিক স্তরটা বেশ লেজেগোবরে অবস্থা। শিক্ষা অত্যন্ত ব্যয়বহুল আর সেটা আপনিও উল্লেখ করেছেন, উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে আনুপাতিক হারে আমেরিকানদের তুলনায় ইমিগ্র্যান্ট বা বিদেশী ছাত্রদের অবস্থান বেশ ভালো। গুগল, মাইক্রোসফট, ইন্টেল এর মতো বড় বড় কোম্পানীর দিকে তাকালে বিষয়গুলো বেশ পরিষ্কার মনে হবে। এছাড়াও আপনি যে কোন ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টির দিকে তাকালেও সেটা দেখতে পাবেন।

আমেরিকার অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকেও আমি ভালো মনে করি না। সুস্থ মুক্তবাজার অর্থনীতির কথা আমেরিকা কপচালেও বাস্তবে সেখানে সরকারের প্রভাব ক্ষেত্র বিশেষে অত্যন্ত বেশী যা মুক্ত বাজার অর্থনীতির মৌলিক বৈশিষ্টের পরিপন্থী। আমাদের সামগ্রিক দেনার পরিমান আকাশচুম্বী, সেটা আপনারাতো প্রশ্নই আসে না, আমাদের নাতি-পুতিরাও শোধ করে যেতে পারবে না।

তবে যারা মনে করেন খুব তাড়াতাড়ি ডলার বা আমেরিকার পতন ঘটবে তারা নিতান্তই না জেনে কথা বলছেন। আমেরিকার রিজার্ভে এখনো ৮১০০+ টন স্বর্ণ মজুদ আছে যা পৃথিবীর যে কোন দেশের তুলনায় অনেক অনেক বেশী। আমেরিকা যদিও গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড ফলো করে না তদাপি স্বর্ণের মজুদ একটি দেশের অর্থনীতির ভিত্তিকে অনেক মজবুত করে। যেহেতু আমেরিকা ফ্লোটিং রেট ফলো করে তাই বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে কিছুটা সমস্যায় পড়লেও সেটা বাউন্স ব্যাক করবে। অতীতেও এমন বহুবার হয়েছে। খুব বেশী খারাপ হলে হয়তো ডলারের রেট কিছুটা কমবে কিন্তু আর্ন্তজাতিক বাণিজ্যে সহসাই কোন বিরাট পরিবর্তন আসবে না, বিশেষ করে যেবস দেশ আমেরিকার সাথে ব্যবসা করে তারা কোনভাবেই অন্য কোন কারেন্সি দিয়ে ব্যবসা করতে পারবে না বলেই আমার ধারনা। ধন্যবাদ।

২৭ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ২:৫৩

সোনাগাজী বলেছেন:




আপনি সঠিক, আমেরিকার বড় বড় শহরের প্রাথমিক ও হাইস্কুলের অবস্হা আসলেই খারাপ; ইহার জন্য আমেরিকা ভুগছে, অনেক অনেক ড্রপ আউট। তবে, ব্যাচেলর লেভেল ও পরবর্তী লেভেলেগুলো উল্লেখযোগ্যভাবে ভালো।

আমেরিকান অর্থনীতি ক্যাপিটেলিজম'এর উপর ভিত্তি করে গড়া; ক্যাপিটেলিজমের নিজস্ব কতগুলো সমস্যা আছে, আমেরিকা সেসব সমস্যায় ভুগছে; আপনার ব্যাখ্যা সঠিক। তবে, আমেরিকানদের ডলারের উপর বিশ্বের আস্হা আছে: চীন, রাশিয়া বা ভারতের কারেন্সি কেহ রিজার্ভ হিসেবে রাখবে না, ভয় পাবে।

১১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৩:১৬

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানবেন। আপনার উত্তর দেখে মনে হলো কমেন্টের সাথে সাথেই মন্তব্য লিখতে বসে গেছেন। :D

২৭ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৩:৩৫

সোনাগাজী বলেছেন:


আমি পোষ্ট দিলে, ব্লগে থাকি, কারো যদি প্রশ্ন থাকে। আপনি কমেন্ট করায় ভালো হলো; কোন দেশে না'থাকলে, সেই দেশের কিছু নিয়ে লিখা, বা বলা বেশ কঠিন।

১২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৩:৪১

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: লেখক বলেছেন: কোন দেশে না'থাকলে, সেই দেশের কিছু নিয়ে লিখা, বা বলা বেশ কঠিন।

সহমত পোষণ করছি। নিজেদের অবস্থান বোঝার জন্য সবারই প্রবাসে কিছুদিন কাটানো জরুরী বলে আমার মনে হয়। উন্নয়নশীল অনেক দেশের মতোই বাংলাদেশেও ব্রেইন ড্রেইন হচ্ছে, তাতে অবশ্য দেশের তেমন কোন লাভ হচ্ছে না। ফিরে গিয়ে কিছু করার মতোও পরিবেশ নেই। ওখানে জ্ঞানের সমাদর হয় না তবে ধোলাই হয় হর-হামেশা।

২৭ শে এপ্রিল, ২০২৩ ভোর ৫:৪১

সোনাগাজী বলেছেন:



বাংলাদেশে জ্ঞানের কোন সমাদর নেই; প্রবাস থেকে যারা গেছেন, স্হানীয়রা সবাইকে নাজেহাল করেছে প্রতি পদে পদে।

১৩| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৯:১৩

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: চীনের আন্তসীমান্ত লেনদেনে ডলারকে ছাড়িয়েছে ইউয়ান

এটা কিসের লক্ষণ?

২৭ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৯:৪৫

সোনাগাজী বলেছেন:



এটা হতে পারে বেকুবীর লক্ষণ, কিংবা হিংসার লক্ষণ; কিংবা রামের ছোটভাই , রাজা দশরথের ছেলের ছেলে লক্ষণ।

২৭ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৯:৫৪

সোনাগাজী বলেছেন:




প্রথম আলোর লোকজন লিখেছে, ইহা দুই নম্বরী লেখা; সেখানে লিখেছে " ইউনানে লেনদেন" হয়েছে; কিন্তু কি লেন হলো, আর কি দেন হলো, উহা তো লিখেনি। উদাহরণ: পদ্মাসেতুতে ব্যবহারের জন্য যদি বাংলাদেশকে ৫ মিলিয়ন ইউনানের মালামাল পাঠায় ও বাংলাদেশ যদি ৫ মিলিয়ন ইউনান চীনকে দেয়, সেটা হবে ইউনানে লেনদেন। প্রথম আলোর লেখক তো এই ধরণের কিছু লেখেনি।

১৪| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৯:৫১

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: এটা হতে পারে বেকুবীর লক্ষণ, কিংবা হিংসার লক্ষণ; কিংবা রামের ছোটভাই , রাজা দশরথের ছেলের ছেলে লক্ষণ।

প্রতিমন্তব্যে আপনার সেন্স অব হিউমার ভাল লেগেছে।

২৭ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৯:৫৬

সোনাগাজী বলেছেন:




আপনার আগের কমেন্টের (সম্পুরক হিসেবে ) উ্ত্তরে আরো কয়েকটি লাইন যোগ করেছি (২য় অংশ )।

১৫| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৯:৫৯

সোনাগাজী বলেছেন:




চীনের বাহিরে একমাত্র বার্মা ব্যতিত কারো কাছে "নগদ ইউনান" থাকার কথা নয়।

১৬| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:১৯

কিরকুট বলেছেন: বিশ্বে ক্ষমতার ভারসাম্যের দরকার আছে । একচেটিয়া কোন কিছুই মঙ্গলজনক নয় !

২৭ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:২৬

সোনাগাজী বলেছেন:



আমেরিকা তো একচেটিয়া নয়; আমেরিকার সাথে আছে কানাডা, ইউরোপ, জাপান, চীন, রাশিয়া ও ভারত। নেই শুধু ইয়েমেন, আফগানিস্তান ও আফ্রিকার বেশীরভাগ দেশ। আপনি কি চান যে, ইয়েমেন, আফগানিস্তান ও আফ্রিকার বেশীরভাগ দেশকে কিছু ক্ষমতা দেয়ার দরকার?

১৭| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার শিরোণাম সঠিক ও যথাযথ হয়েছে।

২৭ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:২৬

সোনাগাজী বলেছেন:



ধন্যবাদ।

১৮| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



খুব সম্ভব মাইগ্রেশন করা স্কিলড ও শিক্ষিত ম্যানপাওয়ার সবচেয়ে বেশী আছেন যুক্তরাষ্ট্রে। এখন এই মাইগ্রেশন করা জাতি নিজের ভালোর জন্য হলেও আমেরিকার জন্য দিন রাত আপ্রাণ শ্রম দিয়ে যাবেন, চেষ্টা করে যাবেন যাতে আমেরিকার অর্থ উপার্জন অব্যাহত থাকে। যে কোনে স্বার্থে আমেরিকার অর্থ উপার্জন কখনো বন্ধ হবে না। এখন এটি যেই ভাবেই হোক।

আপাতত আমেরিকার পতন টেলিস্কোপ দিয়েও কোনোভাবে নজরে আসছে না।

৩০ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:০৮

সোনাগাজী বলেছেন:



বাংগালী পন্ডিতেরা দেশ সম্পর্কে কিছুই লেখে না, শুধু আমেরিকার পতন নিয়ে কেক কাটে ব্লগে।

১৯| ০২ রা মে, ২০২৩ সকাল ৮:৩৮

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ডলারের অবস্থান এখনো অনেক শক্ত। সহসায় ী ডলারের বিকল্প কোন কারেন্সিকে দাঁড় করানো সম্ভব হবে না। তবে ডলারের এই আধিপত্যের অনৈতিক সুবিধা যে আমেরিকা নিচ্ছে না এটা আপনি বলতে পারবেন না।

০২ রা মে, ২০২৩ সকাল ৮:৫৫

সোনাগাজী বলেছেন:



অনৈতিক সুবিধার ১টা উদাহরণ দেন।

২০| ০২ রা মে, ২০২৩ রাত ৮:৩৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: নেক্সন শকের কথা হয়তো মনে আছে কিংবা ইন্টারনেটে এখনো আছে। তখন ইনপ্লেশন ঠেকানোর জন্য নিক্সন ডলারের মান অবলোপন করেছিল। প্রত্যেক ডলারের বিপরীতে যে গোল্ড রিজার্ভ রাখতো তা বাতিল করে, যার জন্য যারা ডলারকে স্ট্যান্ডার্ড ধরে রিজার্ভ করেছিল তারা বেশ ক্ষতির সন্মুখীন হয়। যার জন্য নিক্সনকে চাপ দেওয়া হলে সে বলে আমার অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধানের জন্য আমি পদক্ষেপ নিয়েছি তোমাদের সমস্যা তোমরা দেখো।

০২ রা মে, ২০২৩ রাত ১০:৩৩

সোনাগাজী বলেছেন:



মনে হচ্ছে, চীনের সাথে সম্পর্ক খুবই খারাপ হলে, উহা আবার করবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.