নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষাই দরিদ্রদের জন্য সম্পদ।

সোনাগাজী

একমাত্র সোস্যালিষ্ট অর্থনীতি বাংগালী জাতিকে নিজ পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করবে।

সোনাগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বেছুর নিজস্ব একটি জ্বীন ছিলো!

০৫ ই জুন, ২০২৩ রাত ২:২৬



আমাদের গ্রামের ১টি কিশোরী মেয়েকে জংগলের মাঝে একা পেয়ে, প্রতিবেশী একটা ছেলে জড়ায়ে ধরেছিলো; মেয়েটি ঘটনাকে সঠিকভাবে সামলায়ে, নিজের মাঝে রেখে দিয়েছিলো, এটি সেই কাহিনী।

নবম শ্রেণীতে পড়ি; এক সকালে আমি স্কুলে যেতে প্রস্তুত, মা বললেন, ঘরে সরিষার তেল নেই; হাতে সময় নেই, দৌঁড়ে আমু ভাইয়ের দোকানে গেলাম; উনার দোকানটার একভাগ চা'দোকান, অন্যভাগে মুদী দোকান। মানুষজন নেই, পশ্চিমপাড়ার কিশোরী, বেছু দোকানের সামনে দাঁড়ায়ে দোকানের জিনিষপত্র দেখছে; সে আমাকে বললো,
-কাকু পয়সা থাকলে, আমাকে ১টা লজেন্স কিনে দাও।

আমি আমু ভাইকে বললাম,
-আমু ভাই, বেছুকে ৪টি লজেন্স দেন।
-ছোটভাই, এই মেয়ের উপর জ্বিনের আছর আছে; ওর সাথে তোমার কিসের কি?
-আমুভাই, আপনি আজগুবি সব কথা বলেন; ওকে ১ কাপ চা ও ১টি বেলা বিস্কুটও দেন।
-ছোটভাই, চাচীর কানে এসব একদিন যাবে।
-মা এতে অসন্তষ্ট হবেন না।

বেছু বাহিরের টুলে বসে চা'এর জন্য অপেক্ষা করছে, আমি তেল নিয়ে দৌঁড়ায়ে বাড়ী ফিরলাম। বেছু আমাদের গ্রামের পশ্চিম পাড়ার এক গ্রাম্য-ভাইয়ের বড় মেয়ে; বেছুর মা খুবই সুন্দরী, বেছু মায়ের থেকেও সুন্দরী। বেছুর ফুফুর বাড়ী আমাদের থেকে ২ বাড়ী পরে; বেছু সকাল, বিকেল ফুফুর বাড়ী আসা-যাওয় করে, প্রায় আমার সামনে পড়ে, হাসে, কথা বলে। আজকাল আমাকে আমুভাইয়ের দোকানে দেখলে বেছু বাইরের বেন্চে বসে পড়ে।

সেবার শীতেরদিনে, পড়ন্ত বিকেলে আমি খামারের দিকে যাচ্ছি, দুর থেকে দেখলাম, বেছু তার ছোট ফুফাতো বোনকে কোলে নিয়ে খামারে ঢুকছে; আমি খামারে এসে তাকে কোথাও দেখতে পেলাম না; ডাকলাম, খবর নেই। সবাই বলে, ওর সাথে জ্বীন আছে, আমার কাছে মনে হয় যে, সে আদুরে ও একটু হেঁয়ালীপুর্ণ কিশোরী মেয়ে। আমি গরু ঘরে ঢুকে, বেড়ার ফাঁক দিয়ে দেখি, সে গরুঘরের পেছনে; আমি বললাম,
-বেছু, তুই ওখানে কি করছিস?
-তুমি আমাকে দেখতে পাচ্ছ? আমি ইচ্ছা করলে অদৃশ্য হয়ে যেতে পারি, আমার সাথে জ্বীন আছে।
-তা জ্বীন থাক, ওখানে গুই সাপ থাকে।

সে এক দৌড়ে গরুঘরের সামনে চলে এলো। আমাকে বললো,
-পুকুর থেকে আমাকে কয়েকটা সিংগারা তুলে দাও।
-এই শীতের মাঝে, সাঁঝের বেলায় আমি পুকুরে নামবো না; তোর জ্বীনকে বল।
-ঠিক আছে, আমি নিজে নামবো; তুমি আমার বোনটাকে কোলে রাখ।
-তুই ঠান্ডায় ডুবে মরবি।
-মরলে মরলাম, তুমি তো পানিতে নামতে চাচ্ছ না।

আমি নেমে কয়েকটা সিংগারা নিয়ে এলাম, সে খামারঘর থেকে আমার লুংগি ও টাওয়েল নিয়ে এলো; বাচ্ছাটাকে আমার কোলে দিয়ে সিংগারা খেতে মনোযোগ দিলো। আমি বললাম,
-তোর জ্বীনের ব্যাপারটা কি?
-তুমি জ্বীন মিন বিশ্বাস করো?
-না।
-তুনি তো শুনেছ, গত বছর আমাকে বড় পুকুরের জংগলে জ্বীনে পেয়েছিলো; আসলে জ্বীনমিন কিছু না; সেদিন দুপুরে আমি ফুফুর ছাগলটাকে মাঠে ছেড়ে দিয়ে, বড় পুকুরের জংগলের জাম গাছের নীচে গেলাম; জাম পেকে কালো হয়ে আছে। দেখি, উত্তর বাড়ীর আকবর ভাই গাছের উপরের ডালে বসে জাম খাচ্ছে; আমাকে দেখে ডাল নেড়ে দিলো, জাম পড়ে টাল হয়ে গেছে, আমি খাচ্ছি আর আঁচলে ভরছি। আকবর ভাই নীচে নেমে এসে, আদর করে আমার মাথায় হাত বুলায়ে দিলো; তারপর হঠাৎ করে আমাকে জড়ায়ে ধরলো; ভয়ে আমার নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছিলো; আমি জোরে জোরে ফুফুকে ডাকলাম; আকবর ভাই আমাকে ছেড়ে, দৌঁড়ে জংগল দিয়ে উত্তর দিকে পালিয়ে গেলো; আমি জংগল থেকে বের হয়ে জমিতে এলাম, ভয়ে আমার হাত-পা কাঁপছিলো, আমি বসে পড়লাম। পশ্চিম বাড়ীর হাদি কাকু ছাগল নিয়ে বাড়ী ফিরছিলেন, আমার অবস্হা দেখে ভয় পেয়ে গেলেন, আমাকে কোলে করে ফুফুর ঘরে নিয়ে এলেন। আমি পানি টানি খেয়ে সুস্হ হলাম। সবাই জানতে চাচ্ছে কি হয়েছিলো। আমি জানালাম, আমি জাম কুড়াতে জংগলের বড় গাছটার নীচে গেছি, উপরে তাকিয়ে দেখি এক বিশাল কালো মানুষ ডালে বসে জাম খাচ্ছে; আমি কিছু বলার আগেই, বিশাল লম্বা হাত বাড়িয়ে আমাকে উপরে তুলে নেয়; আমি ফুফুর নাম ধরে চীৎকার করছি, চীৎকার করছি, লোকটি আমাকে মাটিতে রেখে দেয়; আমি দৌঁড়ায়ে জমিতে নেমে কাঁপতে কাঁপতে পড়ে যাই।
-তুই আকবরের কথা বলিস নাই?
-তোমার মাথায় কিছু আছে, বদনামটা কার হতো, আকবর ভাইয়ের, নাকি আমার? এখন তো উহা জ্বীনের ঘাঁড়ে!


মন্তব্য ৩৯ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৩৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জুন, ২০২৩ রাত ২:৩২

নস্টালজিয়া ইশক বলেছেন: আফনে বিজয়ী হয়তান নয় জাইন্যা পুষ্টু লেখছোন?

০৫ ই জুন, ২০২৩ রাত ২:৩৯

সোনাগাজী বলেছেন:



অন্য ব্লগারদের কথা রাখতে হয়।

পোষ্ট কেমন লাগলো?

২| ০৫ ই জুন, ২০২৩ রাত ২:৫৪

কামাল১৮ বলেছেন: সব জ্বীনের গল্পে বাস্তব আর কল্পনার মিসেল আছে।

০৫ ই জুন, ২০২৩ রাত ২:৫৬

সোনাগাজী বলেছেন:



জ্বীন হচ্ছে গ্রামের মেয়েদের রক্ষাকারী।

৩| ০৫ ই জুন, ২০২৩ রাত ৩:০৬

কামাল১৮ বলেছেন: যুবতী মেয়েদের বেশি জ্বীনে ধরে।ছোট বেলায় অনেক জ্বীনে ধরা দেখেছি।এখন মনে হয় জ্বীনের উত্পাত কম।যুবক যুবতীরা আগের থেকে অনেক স্মার্ট।তাই জ্বীনেরা চান্স পায় না।

০৫ ই জুন, ২০২৩ রাত ৩:৫২

সোনাগাজী বলেছেন:



গ্রামে ভালোবাসা নিষেধ ছিলো আমাদের সময়ে, ভালোবাসা নিয়ে কিছু ঘটলে, উহা বেচারা জ্বীনের দোষ হতো।

৪| ০৫ ই জুন, ২০২৩ রাত ৩:৫৫

আমি সাজিদ বলেছেন: খুবই সাবলীল ভাষায় বেছু কাহিনীর বর্ণনা। পুকুরে সিংগারা মানে কি শালুক টাইপ কিছু? স্মৃতিকথায় প্লাস।

০৫ ই জুন, ২০২৩ ভোর ৪:০৯

সোনাগাজী বলেছেন:



না, সিংগারা শালুক নয়; পুকুরে একটি লতা জা্তীয় জলজ উদ্ভিদ হয়, তাতে ২ সে: মিটার ব্যাসের ফল ধরে, ইহা আসলে নাট জাতীয় ( বাদাম জাতীিয় ); কাাঁচা খাওয়া যায়, পোড়ায়েও খাওয়া যায়।

৫| ০৫ ই জুন, ২০২৩ ভোর ৬:১৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



চমকপ্রদ স্মৃতি চাড়ণ কাহিনী ।
মেয়েদেরকে জ্বীনে ধরার সাথে অনেক কিছুই জড়িত থাকে । অনেক সময় এটা মেয়েদের জন্য রক্ষা কবজ হলেও
ছেলেদের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে ।

আমার চাকুরী জীবনের প্রথমদিকে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে একটি প্রকল্পের কাজে একটি ভিলেজ স্টাডি করার জন্য
উত্তরবঙ্গের প্রত্যন্ত এলাকায় এক ধনাঢ্য বাড়ীতে মেহমান হিসাবে দিন কতেক অবস্থান করছিলাম । সে বাড়ীতে উঠতি
বয়সি এক সুন্দরী মেয়ে ছিল। দিন কতেক সে বিভিন্ন উছিলায় আমার থাকার ঘর কাছাড়ি বাড়ীতে উকি ঝুকি দিয়ে যেতো ।
একদিন সামান্য কিছু কথাও হয়েছিল তার সাথে । সে জানতে চেয়েছিল আমার বিয়ে শাদি হয়েছে কিনা ইত্যাদি ইত্যাদি।
বললাম না বিয়ে শাদি এখনো হয় নাই । তার কথা বার্তায় কেমন যেন একটু আধটু প্রেম প্রেম কথার টান ছিল।
আমার পক্ষ থেকে তেমন কোন সারা ছিলনা , ভয় ছিল এই প্রত্যন্ত পাড়া গায়ে কোন ফ্যসাদে জানি জড়িয়ে যাই ।
পরদিন শুনি ঐ মেয়েকে জ্বীনে ধরেছে। তার জন্য জ্বীন তারানোর ওজা ডেকে আনা হলো। ওজা তার উপর ঝারফুক শুরু
করে মেয়েটির হাতের আঙ্গুল চেপে ধরে জ্বীনে ধরা মেয়েটিকে ধমক দিয়ে বলল এই জ্বীন বল তুই থাকিস কোথায়।জ্বীনে
ধরা মেয়েটি কাঁদো কাঁদো কন্ঠে বলল সে চৌধুরীদের কাছারি ঘরে থাকে । আমার বুঝতে আর বাকি রইল না ,বুঝলাম
তীর আমার দিকে ছুরে দিতে পারে , আমিই না আবার জ্বীন হয়ে যাই , কারণ ঐ কাছারী ঘরে দিন কয়েক ধরে আমি ছাড়া
আর কেও ছিল না। বুঝলাম হাঙ্গামা একটি বেধে যেতে পারে । তাই কেও কিছু বুঝার আগেই তপ্পি তপ্পা নিয়ে সদরের
দিকে চম্পট দিলাম।তাই বুজেন জ্বীনে ধরা বিষয়টি মেয়েদের জন্য রক্ষা কবচ হলেও ছেলেদের জন্য জান কবজের
হাতিয়ার হলেও হতে পারে ক্ষেত্র বিশেষে ।

০৫ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১১:১৯

সোনাগাজী বলেছেন:



গ্রামের মেয়েরা অনেক কথা সরাসরি বলতে পারে না; তাই, জ্বীন এসে যায়; আপনি ইহার জীবন্ত সাক্ষী, বেচারীর ভাষায় আপনিও জ্বীন।

৬| ০৫ ই জুন, ২০২৩ ভোর ৬:৩৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



আমি সাজিদকে বলা আপনার কথার সাথে আরো একটু বিষয় সচিত্র যুক্ত করে গেলাম ।
সিংগারা ও পানি ফলের মধ্যে একটু পার্থক্য আছে ।
নীচে সিংগাড়া ও পানি ফলের ছবি তুলে দিলাম।
সীংগারা

সিংগারা মুলত পানি ফল হলেও এর তিন দিকে তিনটি খুবই ধারালো কাটা থাকে ও চামড়া খুবই শক্ত।
ছুড়ি কাচি ছাড়া কেটে এর ভিতরের শাশ বের করা যায়না , এর ভিতরের শাস বেশ শক্ত ও মঝাদার
পানিফল

পানি ফলে সিংগারার মত ধারালো কাটা নেই , ফলটি একটু সবুজাব ও তত শক্ত নয় , খালি হাতেই ছাল তুলে
কচকচিয়ে খাওয়া যায়।

০৫ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১০:৩৮

সোনাগাজী বলেছেন:




অনেক ধন্যবাদ আলী সাহেব।

৭| ০৫ ই জুন, ২০২৩ সকাল ৭:১০

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনাগাজী,





আপনার স্মৃতিকথার মেয়েটির "বেছু" নামটি খুব সুন্দর। স্মৃতিকথায় সে সময়ের গ্রামীন সমাজের একটা সুন্দর সামাজিক সম্পর্কের ছবি ফুটে উঠেছে।
ফুটে উঠেছে সুন্দরী মেয়েেদের জ্বীনে ধরার নেপথ্যের ঘটনাও!
আসলেই সেই সময়ের কথা মনে হলে, মনে হয় কতো আপন ছিলো সে সব দিন।

আপনার এই পোস্টে ডঃ এম এ আলী র প্রথম মন্তব্যটির ঘটনা দারুন হয়েছে। আপনার বেছুর জ্বীনের ঘটনার সাক্ষাৎ প্রতিরূপ।

@ ডঃ এম এ আলী....
হা....হা....হা... আপনার তল্পিতল্পা সহ পালিয়ে আসার স্মৃতিচারণ জান কবচ করার মতোই। বেঁচে তো এলেন কিন্তু স্বেচ্ছায় ফেলে আসা সেই প্রেমের কথা এই বয়সে একটুও কি দোলাটোলা দিয়ে যায় কখনও ? ;)

০৫ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১১:১৮

সোনাগাজী বলেছেন:



ব্লগের জীবন্ত জ্বীন, ড: এম এ আলী।

৮| ০৫ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৪

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


বেছুরা জ্বীন দেখে গল্প বলতে শুরু করলে লিখতে ইচ্ছে হতে পারে।

০৫ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৩

সোনাগাজী বলেছেন:




কার লিখার ইচ্ছে হতে পারে?

৯| ০৫ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ২:৩৬

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: আমার স্মৃতিশক্তি তেমন প্রখর নয়। তবে কেন যেন মনে হচ্ছে লেখাটা আগেও পড়েছি। হুবহু একই লেখা! খুঁজে দেখতেও ইচ্ছা করছে না। আপনিই বলে দিন!

০৫ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৪

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনার স্মৃতিশক্তি ভালো

১০| ০৫ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:০০

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: এটা আগে পড়েছিলাম কী?

ভালো লাগলো
মানুষই বজ্জাত জীন

০৫ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৫

সোনাগাজী বলেছেন:



মনে হয়, পড়েছেন; অনেকেই কয়কবার করে পড়েছেন।

১১| ০৫ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:২৭

আমি সাজিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী। চমৎকার ছবি সহযোগে সিংগারা ও পানি ফলের মধ্যের পার্থক্য বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য।

১২| ০৫ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:২৩

মিরোরডডল বলেছেন:



আচ্ছা কিশোর খেলাঘর দেখতে কেমন ছিলো?
তার শৈশব কৈশোরের গল্পে নানারকম কিশোরীরা ঘিরে থাকতো, কাহিনী কি খেলাঘর? :)

এই গল্পটা আগে পড়েছিলাম।


০৫ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:৪০

সোনাগাজী বলেছেন:



গড় গ্রাম্য বালক; গ্রামের প্রায় শ'খানেক সমবয়স্ক ছেলেমেয়েদের মাঝে আমরা ৭/৮ জন স্কুলে পড়তাম, ৩/৪ জন ভালো ফুটবল খেলতাম। আমি সব ধারণের মানুষ ও সমবয়স্কদের সাথে ভালো সম্পর্ক রেখে চলতাম; স্বাভাবিকভাবে নারী ও মেয়েদের সন্মান করতাম; এটুকুই।

১৩| ০৫ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৯

মিরোরডডল বলেছেন:



তোমার মাথায় কিছু আছে, বদনামটা কার হতো, আকবর ভাইয়ের, নাকি আমার? এখন তো উহা জ্বীনের ঘাঁড়ে!

তাইতো হয়ে আসছে। এভাবেই কত কাহিনী যে আছে!

ঠাণ্ডার মাঝেও পানিতে নেমে যে সিংগারা তুলে আনলো, এ বিষয়টা ভালো লেগেছে।


০৫ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৪

সোনাগাজী বলেছেন:



গ্রামের নারীরা, কিশোরীরা, ক্লাশের মেয়েরা কোন অনুরোধ সব সময় রক্ষা করেছি; গ্রামের ১২/১৩ মহিলা, যাঁদের স্বামী কলকাতায় ও রেংগুনে থাকতেন, সবার স্বামীর কাছে চিঠি লিখাতে আমার কাছে আসতেন; কারণ, আমি উনাদের ইচ্ছাগুলো উনাদের কথা মতো লিখতাম।

১৪| ০৫ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি যেটা সিংগারা বলছেন, সেটা আমাদের এলাকায় এবং ঢাকা শহরে সেটাকে 'পানিফল' বলে। একদম সস্তা ফল। ৩০ টাকা কেজি।

০৫ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:৪২

সোনাগাজী বলেছেন:



সস্তা হলে ভালো, ইহা বাদাম জাতীয় খাবার, ইহাকে ভাজি করে খাবেন।

১৫| ০৫ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি যখন পুকুরে নামলেন, বেছু আপনার জন্য লুঙ্গি ও টাওয়াল নিয়ে এলো।
আমার প্রশ্ন হচ্ছে- টাওয়াল না গামছা? বাংলাদেশে আজও টাওয়াল এর চেয়ে গামছা জনপ্রিয়।

০৫ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:৪৪

সোনাগাজী বলেছেন:





আমি জীবনে গামছা ব্যবহার করিনি, পান্জাবী পরেছি ২ বার, মাথায় টুপি পরিনি ৩য় শ্রেণীর পর থেকে।

১৬| ০৫ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমি জীবনে গামছা ব্যবহার করিনি, পান্জাবী পরেছি ২ বার, মাথায় টুপি পরিনি ৩য় শ্রেণীর পর থেকে।

শুক্রবার অথবা কোথাও দাওয়াতে, কিংবা ঈদের দিন পাঞ্জাবী পড়েন না?

০৫ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:২৬

সোনাগাজী বলেছেন:



না, আমি পান্জাবী পরি না, টুপি পরি না, আমাকে মানায় না।

১৭| ০৫ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:২৩

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আমাদের দেশে কত অন্যায় অপকর্ম যে জ্বীনের উপরে চাপিয়ে দেয়া হয়!! তবে ওই মেয়ের বুদ্ধি আছে বলা যায়।

এখনো দেশে জ্বীনের বাদশা সেজে মানুষের কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে, কয়দিন আগেও দেখলাম এক মহিলার ৯ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে জ্বীনের বাদশা। 'জ্বীনের বাদশা' লিখে গুগুল, ইউটিউবে সার্স দিলে এমন হাজার হাজার ঘটনা পাওয়া যাবে।

০৫ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:২৯

সোনাগাজী বলেছেন:



আফ্রিকায় আছে পেত্নী, বাংলাদেশে আছে জ্বীন, ভুত, পেত্নী ও পরী; এগুলো পেছনে-পড়ে-থাকা জাতিগুলোর সিম্পটমস।

১৮| ০৬ ই জুন, ২০২৩ ভোর ৪:২৯

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: স্মৃতিচারণ হিসেবে বেশ ছিল ।
প্রথম পাতায় ফিরেছেন কবে?
কেমন আছেন?

০৬ ই জুন, ২০২৩ ভোর ৪:৩৩

সোনাগাজী বলেছেন:



ধন্যবাদ, জুনের ৩ তারিখ। আমি ভালো আছি; আশাকরি, আপনিও।
আপনার বাবা কেমন আছেন?

১৯| ০৬ ই জুন, ২০২৩ ভোর ৪:৩৯

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
বাবা আগের চেয়ে একটু ভালো। বসিয়ে দিলে বসে থাকতে পারেন। আজ ছবি দেখলাম বসে আছেন। এলোমেলো কথা বলেন। আছ ভালো ভাবে কথা বলেছে। আমার ছেলেকে বলেছে, কবে বাড়িতে আসবা?

আমি সুস্থ আছি। প্রচন্ড গরম।

০৬ ই জুন, ২০২৩ ভোর ৪:৪৪

সোনাগাজী বলেছেন:




গরম আরো ৫ বছর থাকবে সারা বিশ্বে; এ সময় বয়স্কদের অনেক সমস্যা হবে।

এই বয়সে ( আপনার বাবার বয়সে ) ডাইমেনশিয়াতে ভোগা স্বাভাবিক, প্রতিদিনই ১টি নতুন দিন।

২০| ০৬ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১০:৩৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: যেহেতু প্রতিযোগিতার জন্য লিখেছেন সেহেতু বানান ও যতি চিহ্নের ব্যবহারগুলি ঠিকভাবে করার দরকার ছিল। প্রতিযোগিতার জন্য যেসব লেখা হয়েছে তার মধ্যে আপনার কাহিনীটি সবচেয়ে বেশি সাবলীল মনে হয়েছে।

০৬ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১০:৪০

সোনাগাজী বলেছেন:


ধন্যবাদ, ঠিক করার চেষ্টা করবো।

ইহা প্রতিযোগীতার জন্য নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.