নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষাই দরিদ্রদের জন্য সম্পদ।

সোনাগাজী

একমাত্র সোস্যালিষ্ট অর্থনীতি বাংগালী জাতিকে নিজ পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করবে।

সোনাগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

চোখের আলো যখন নিভে যায়

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২২



ইহা আমার স্কুল জীবনের ঘটনা, ১টি গরীব বাচ্চামেয়ে মনে কষ্টে পেয়ে, তার অন্ধ পিতাকে রাস্তায় একা রেখে দুরে গিয়ে পালিয়ে ঝোপের ভেতর বসে কেঁদেছিলো; অসহায় পিতা, রাস্তায় বসে অপেক্ষা করছিলেন, কখন মেয়ে এসে নিয়ে যাবে। তখন ব্যাপারটা খুবই সাধারণ মনে হয়েছিলো, এখন দৃশ্যটা মনকে অনেক ভারী করে তোলে।

আমাদের গ্রামের দক্ষিণের গ্রামটা ছোটখাট হিন্দুগ্রাম; সেই গ্রামের দক্ষিণ সীমানা বরাবর পুর্ব-পশ্চিমে ১টি খাল বয়ে গেছে; খালের উত্তর পাড়টা রাস্তা; কিন্তু জংগলে ভরা, মানুষজনের চলাচল একবরেই কম। আমি স্কুল থেকে মাঝে মাঝে এই পথে ফিরতাম, শুধু এই নির্জন পথটুকুর জন্য, কেহ নেই, আমি একা।

৮ম শ্রেনীতে পড়ার সময়, একদিন সন্ধ্যার কিছু আগে সেই পথে ফেরার সময় দেখি, পরিচিত ১ জন অন্ধ ফকির রাস্তার ঘাসের উপর একা বসে আছে। সম্প্রতি আমাদের এলাকায় ফকিরটিকে দেখনি; একটি ১১/১২ বছরের ছেলে হাত ধরে নিয়ে আসতো; বাস করতো আমাদের থেকে মাইল তিনেক দুরে। ফকির আমার পায়ের আওয়াজ পেয়ে উঠে দাঁড়ালো, বললো,
-বাবা, আপনি কে, আমাকে একটু সাহায্য করেন; দেখেন তো আশেপাশে আমার মেয়েটাকে দেখা যায় কিনা!

দেখলাম, আশোপাশে কেহ নেই; বললাম,
-চাচা, কাউকে তো দেখছি না; মেয়ের নাম কি?
-হালিমা।

আমি মেয়ের নাম ধরে জোরে জোরে কয়েকবার ডাকলাম, কোন সাড়া নেই; রাস্তায় মানুষজনও নেই।
-আপনার মেয়ে কি বাড়ী চলে গেছে?
-মনে হয় না, বাড়ী গেলে ওর মা মারবে; সে আশেপাশে কোথায়ও আছে।

উনাদের এলাকা হয়ে আমার যাওয়াআসা আছে; উনাদের বাড়ী ঠিক চিনি না, গ্রামে ঢুকলে একটা ব্যবস্হা হবে। আমি বললাম,
-হাত দেন, আপনাকে আপনাদের গ্রামের পাশের বাজার অবধি নিয়ে যাই।
-বাবা, আমার মেয়েটা ছোট, সে এই রাস্তা চেনে না।
-সে আশে পাশে কোথায়ও আছে, আপনাকে আমার সাথে দেখলে সে আসবে। মেয়ে আপনাকে রেখে কেন চলে গেলো?
-বাবা, আমাদের তো জীবন বলতে কিছু নেই, আমরা মানুষও নই; মেয়েটা সারাদিন কিছু খায়নি; ক্ষুধায় আমার কাছে চাউল চেয়েছিলো; ১মুঠি দিয়েছিলাম; আবার চাইলে একটা থাপ্পড় দিয়েছি; সে রাগ করে পালিয়ে গেছে।

লোকটার গলা ধরে এলো; আমরও মনটা খারাপ হয়ে গেলো; কিছুপথ যাবার পর, পেছনে ফিরে দেখি, ৮/৯ বছরের ১টি মেয়ে আমাদের পেছনে; বুঝলাম এটাই উনার মেয়ে। বললাম,
-চাচা, আপনি দাঁড়ান, আমি হালিমাকে দেখতে পাচ্ছি, সে আমাদের পেছনে পেছনে আসছে; আমি ওকে বুঝিয়ে নিয়ে আসি। আপনি ওকে জীবনেও কিন্তু আর মারবেন না; সে তো অনেক কষ্টেই আছে।

আমাকে আসতে দেখে হালিমা যেখানে ছিলো, সেখানে দাঁড়িয়ে রলো। কাছে গিয়ে দেখি, সে অনেক কেঁদেছিলো, ময়লা হাতে মুখ মুছেছে, মুখে অশ্রুর ময়লা দাগ।

-হালিমা, তোমার অনেক ক্ষুধা পেয়েছে? আমি সামনের গ্রামের দোকান থেকে তোমাকে বিস্কুট কিনে দেবো। বাবাকে কোনদিন এভাবে ফেলে যেয়ো না; চল, বাবার হাত ধরে নিয়ে চলো, আমি সামনের গ্রাম অবধি তোমাদের সাথে যাবো।

হালিমা বাবার হাত ধরলো, লোকটা মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে দিলো; আমাকে বললো,
-বাবা, আল্লাহ আপনার ভালো করবেন; আপনি যান।
-আমি সামনের গ্রামের দোকান অবধি যাবো, আমি হালিমাকে সামান্য বিস্কুট কিনে দেবো।

আমার পকেটে ১টা পয়সাও নেই; হাঁটছি আর ভাবছি, দোকানী বাকী দেবে কিনা!


মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪২

কামাল১৮ বলেছেন: গল্পটি পড়ে মন দুঃখ ভারাক্রান্ত হয়ে গেলো।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৮

সোনাগাজী বলেছেন:


আপনার কিশোর বেলার কথা মনে আছে, মানুষ কি রকম অসহায় ছিলেন? প্রায় পরিবারই গরীব, সরকার আছে কি নেই, বুঝা যেতো না।

২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৩

মিরোরডডল বলেছেন:




বিস্কুট কেনা হয়েছিলো?





১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৯

সোনাগাজী বলেছেন:



হয়েছিলো; তবে, আমি বড় ভয়ে ছিলাম; যাক, দোকানী আমাকে চিনতে পেরেছিলো যে, আমি ছাত্র।

৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৫

মিরোরডডল বলেছেন:




পকেটে একটা পয়সাও নেই, তাও সাহায্যে করার কথা চিন্তা করা, you're a good soul man!

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫০

সোনাগাজী বলেছেন:



ইচ্ছার অভাব ছিলো না কোন সময়ে।

৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:০৩

বাকপ্রবাস বলেছেন: মানুষের অসহায়ত্ব এর কথা শুনে খুব কষ্ট লাগে

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:১৫

সোনাগাজী বলেছেন:



আমাদের মানুষজন দেশকে কষ্টের ভুমিতে পরিণত করেছে।

৫| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:০৭

মিরোরডডল বলেছেন:




ইচ্ছাটাই আসল, ইচ্ছা থাকলে উপায়ও বের হয়ে যায়।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:১৬

সোনাগাজী বলেছেন:


তা'ঠিক।
তবে, উপায়টা সমাজের উপর কিছুটা নির্ভরশীল।

৬| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:১০

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: মেয়েটা সারাদিন কিছু খায়নি; ক্ষুধায় আমার কাছে চাউল চেয়েছিলো; ১মুঠি দিয়েছিলাম; আবার চাইলে একটা থাপ্পড় দিয়েছি; সে রাগ করে পালিয়ে গেছে। - বিষয়টা একজন বাবার জন্য খুব বেদনা দায়ক!! :((

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:১৭

সোনাগাজী বলেছেন:



গরীবরা, ভিক্ষুকেরা তাদের সন্তানদের জীবনটাকে কিভাবে অনুভব করে, সন্তানদের জন্য তারা কতটুকু করতে পারে?

৭| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:১৬

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: লেখাটা পড়ে অনেকক্ষণ কাঁদলাম।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:২০

সোনাগাজী বলেছেন:



এগুলো না বললেও নয়, বললে কষ্টের অবতারণা ঘটে! আপনার অবস্হা অনুভব করলাম।

৮| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:২২

জুন বলেছেন: অত্যন্ত হৃদয়বিদারক ঘটনা সোনাগাজী । সে সময় গরীবদের জীবন মনে হয় জীবন ছিল না ।
+

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:২৯

সোনাগাজী বলেছেন:



কি অদ্ভুত সময় ছিলো, অনেক মানুষের কিছুই ছিলো না; আপনি সীতাকুন্ডে কি রকম দেখেছিলেন?

৯| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:২৩

মিরোরডডল বলেছেন:




ভিন্ন প্রসঙ্গ। দুইমাস আগে যে বাংলাদেশে গেলাম সে রাতের ঘটনা।
রাত একটা বা সামান্য বেশি বাজে। এয়ারপোর্ট থেকে বাসায় যাচ্ছি।

বাসার কাছাকাছি একটা চার লেনের রাস্তা, কোন মানুষ নেই, গাড়ি নেই, দুপাশের দোকানপাট সব বন্ধ, শুনশান নিস্তব্ধতা। একজন অন্ধ লোক হাতটা সামনের দিকে বাড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছে। খালি রাস্তা বলে উনি অলমোস্ট গাড়ি চলার রাস্তার ওপর দাঁড়ানো।

গাড়িটা স্লো করে গ্লাস নামিয়ে ওনাকে কিছু টাকা দিলাম, উনি কিছু বললেন না। চলে এলাম কিন্তু মধ্যরাতে খালি রাস্তার মাঝখানে একজন অন্ধ মানুষের এভাবে হাত বাড়িয়ে দাঁড়িয়ে থাকাটা কেমন যেন অস্বাভাবিক লাগছিলো, যেন একটা জলজ্যান্ত মূর্তি।


১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৩১

সোনাগাজী বলেছেন:


হয়তো ইহাই জীবনের অংশ।
হতে পারে কেহ নিয়ে এসেছে, আশেপাশে আছে।

১০| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:২৬

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার এই লেখাটা মন ছুঁয়ে গেল। বিশেষ করে এই লাইন গুলো যে কত অর্থবহ - "আমাদের তো জীবন বলতে কিছু নেই, আমরা মানুষও না, মেয়েটা সারাদিন কিছু খায়নি ....)

আগেও লক্ষ করেছি আপনি অনেক ছোট বয়স থেকে অনেক মানবিক এবং অনেক পরিণত। ক্লাস এইটে পড়ার সময়ও আপনি যেভাবে আচরণ করেছেন তা আমাদের সকলের জন্যই শিক্ষনীয়।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৩৩

সোনাগাজী বলেছেন:



তখন গ্রামের মানুষজন মোটামুটি দায়িত্বশীল ছিলেন, স্কুলের শিক্ষকেরাও অনেক কিছু বলতেন, পরিবেশ।

১১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৩৬

ফেনা বলেছেন: " আমার পকেটে ১টা পয়সাও নেই; হাঁটছি আর ভাবছি, দোকানী বাকী দেবে কিনা! "

ভাল লাগা রইল।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৫৮

সোনাগাজী বলেছেন:



আমাদের বাড়ী থেকে দুরে, সন্ধ্যাও হয়ে আসছিলো; তাই বাবা ও মেয়েকে বাড়ী এনে খাওয়ানো সম্ভব ছিলো না; সামান্য বিস্কুটই মেয়েটার জন্য সাত্বনা ছিলো।


১২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৪৬

জিনাত নাজিয়া বলেছেন: দেশ যতই এগিয়ে যাক, এইশ্রেনীর মানুষ গুলো গরীবই রয়ে যায়। আপনার মতো এরকম মহানুভব মানুষ আমাদের দেশে অনেক দরকার।ধন্যবাদ।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:০০

সোনাগাজী বলেছেন:



ঢাকায় সরকারের বড় বড় লোকদের দেখলে ভয়ই লাগে; কিন্তু ওরা আসলেই ভয়ংকর অদক্ষ লোকজন, এরা গরীবদের জন্য কিছুই করতে চাহে না।

১৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৫৭

মিরোরডডল বলেছেন:




উপায়টা সমাজের উপর কিছুটা নির্ভরশীল।

তাতো অবশ্যই। ব্যক্তিগত, সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় তিনটা ভিন্ন বিষয় কিন্তু কানেক্টেড।
এ ঘটনার ইচ্ছেটা ব্যক্তিগত ছিলো। you got a good intention to help and somehow you did.

কিন্তু যদি এভাবে দেখি, একজন দরিদ্র পিতার দারিদ্র দূর করার দায়িত্ব কার, ছোট বাচ্চা মেয়েটির খাদ্যাভাব দূর করার দায়িত্ব? স্বাভাবিকভাবেই উত্তর হচ্ছে সরকারের। আবার একই সাথে এটাও ঠিক, সরকারের একার পক্ষে সম্ভব না।
আর সেকারনেই বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থা এবং এনজিওগুলো বিশেষভাবে এগিয়ে আসে।

কিন্তু দুঃখজনক হচ্ছে আমাদের দেশে সরকারি এবং বেসরকারি দুটো সার্ভিসেই চাহিদার তুলনায় সাপ্লাই কম।
তাই গরীবদের কষ্টের কোন সমাধান আর হয়না।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:০২

সোনাগাজী বলেছেন:



বিশ্বের সব জাতির কাছে দরকারের চেয়ে বেশী সম্পদ আছে; কিন্তু অনেক জাতির লোকজন সরকারে যাওয়ার পর, অমানুষে পরিণত হয়।

১৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:১৩

মিরোরডডল বলেছেন:




ক্ষমতায় আসার আগে সবাই জনসেবার কথা বলে।
কিন্তু কি এক অযাচিত কারণে, ক্ষমতা পাওয়ার পর সবাই দায়িত্বজ্ঞানহীন, স্বার্থপর ও লোভী হয়ে যায়।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৩২

সোনাগাজী বলেছেন:



১৯ কোটী মানুষকে নিয়ে ভাবার মতো দক্ষ, জ্ঞানী, দয়ালু ও সৎ কোন বাংগালী এখনো দেখিনি; অনেক সরকারী কর্মকর্তারা নিজের সামান্য দায়িত্বটুকুও কিছু্তেই করতে পারে না।

১৫| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: বাবা আর কন্যার গল্পে আপনি পরম মমতায় মিশে গেলেন!!
এখন কিন্তু এত দরিদ্র লোক সম্ভবত আর নেই দেশে। মেয়েটাকে বাকিতে বিস্কুট দিলেন। পরে ওদের কিছু চাউল- তরকারী কিনে দিলে ভালো হতো। ক'টা দিন খেতে পারতো।

অন্ধ মানুষের অনেক কষ্ট।
আমার দাদা ৩৫ বছর বয়সে হঠাত অন্ধ হুয়ে যান। তারপর বাকি ৪৫ বছর তিনি অন্ধ হয়েই কাটিয়ে দিলেন।

মানুষের জীবনের গল্প গুলোই আসল গল্প।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৪৬

সোনাগাজী বলেছেন:


তখন আমাদের অবস্হা মোটামুটি চলনসই ছিলো; খাবার দাবার কিনে দেয়ার মতো পয়সা আমার হাতে খুব একটা থাকতো না; অনেক সময় সেভাবে ভাবিনি।

১৬| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ভোর ৪:৪৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



অভাব অনটনের সংসারে হত দরিদ্র পরিবাবের করুন জীবন গাথা ।
এদের জীবনে কি কখনো এমন দিন আসবে যখন হালিমারা শুনবে
তুমি কোন্ কাননের ফুল, কোন্ গগনের তারা
আর নিজের মনের আজান্তেই প্রাণ খুলে গা্‌ইবে গান
চোখের আলোয় দেখেছিলেম চোখের বাহিরে
অন্তরে আজ দেখবো যখন আলোক নাহি রে..
চোখের আলোয় দেখেছিলেম
চোখের বাহিরে( রবিন্দ্র সংগীত)।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:০৯

সোনাগাজী বলেছেন:



স্বাধীনতার পর থেকে যদি মাথা খা টিয়ে সঠিক প্ল্যান করা হতো, ১০ বছরের ভেতর পুরো জাতি সুখে শান্তির মুখ দেখতো। কিন্তু সামান্য কইছু পরিমাণ মানুষ বাকীদের সুযোগ ও সম্পদকে দখল করে নিয়েছে।

১৭| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:২৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: এমন অনেক ঘটনা আছে যে গুলো এখন মনে পড়লে মন ভীষণ রকমের খারাপ হয়ে যায়।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:১২

সোনাগাজী বলেছেন:


এসব সমাস্যা সমাধান করার মতো সম্পদ আমাদের ছিলো; কিন্তু কমজ্ঞানীরা সব সময় ক্ষমতা দখল করে রাখেছে।

১৮| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৮

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: মানবিকতার গল্প তবে বাস্তব ।
এ ধরনের চিত্র বা দৃশ্য আমাদের আশেপাশে অহরহ এবং প্রচুর ঘটছে এবং আছে,যা আমাদের অনুভূতিকে নাড়িয়ে দেয়।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:১৭

সোনাগাজী বলেছেন:



পাকিস্তান আমল থেকে আজ অবধি যারা দেশ চালাচ্ছে, এদের মাঝে কেহই দক্ষ ও সৎ ছিলো না।

১৯| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার জীবনের এই গল্প পাঠকেরা গ্রহন করেছেন। তাঁরা আবেগে আপ্লুত হয়েছেন।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:১৯

সোনাগাজী বলেছেন:


কিছু পরিমাণ দুষ্ট মানুষ আমাদের জাতির সুযোগ ও সম্পদ দখল করে নিয়েছে।

২০| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৪০

রানার ব্লগ বলেছেন: মানুষ মানুষের জন্য !!

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:১০

সোনাগাজী বলেছেন:



আমাদের দেশে, অমানুষ অমানুষদের জন্য।

২১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৪

ডার্ক ম্যান বলেছেন: আপনার পোস্ট পড়ে আমার দুইটা ঘটনার কথা মনে পড়ে গেল।
২০১৫ সালে একদিন আমি আর একজন তরুণ মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ( এখন আমেরিকা প্রবাসী ) একটা টং দোকানে বসেছিলাম। হটাৎ এক পাগলি এসে ভাতের জন্য চিৎকার করে কান্না শুরু করে দিলেন। ঐ মহিলাটার জন্য অনেক খারাপ লেগেছিল ।
২০১৯ সালে যখন কাতারে ছিলাম তখন ২ দিন প্রায় না খেয়েই ছিলাম। তখন টাকা পয়সার অনেক ক্রাইসিস যাচ্ছিল । সেদিন বুঝেছিলাম ভাতের কষ্ট কি জিনিস ।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪২

সোনাগাজী বলেছেন:



কাজ করার জন্য আগত প্রবাসীরা এই ধরণের সমস্যায় পড়লে, কাতারের কোন সংস্হা সাময়িকভাবে সাহায্য করে না?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.