নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একমাত্র সোস্যালিষ্ট অর্থনীতি বাংগালী জাতিকে নিজ পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করবে।
আমার ১ পোষ্টে, ১ জন ব্লগার কমেন্টে বলেছেন, "(স্রষ্টা ) আমাকে যা যা দিয়েছে তাতে আমার পূর্ণ বিশ্বাস রয়েছে। স্রষ্টা আমাকে জীবন দিয়েছে, রিঝিক দিচ্ছে, চিন্তা করার ক্ষমতা দিয়েছে। এই যে দুই হাত দিয়েছে কম্পুটারে লিখতে পারছি।"
এই মহুর্তে বিশ্বে ৭.৯ বিলিয়ন মানুষ বাস করছেন; এদের মাঝে জন্মের সময় পংগু অবস্হায় জন্ম নিচ্ছে মিলিয়নস, শিক্ষা পাচ্ছে না মিলিয়নস, কম খেয়ে থাকছে বিলিয়ন, অনেকের অনেকের হাত নেই, কয়েক বিলিয়নের কম্প্যুটার নেই। ব্লগারের কাছে প্রশ্ন, এদেরকে "কোন সৃষ্টিকর্তা" সৃষ্টি করলেন? লজিক্যালী ব্যাখ্যা করুণ কোন সৃষ্টিকর্তা কাকে সৃষ্টি করছেন?
আমরা যদি মানুষ সৃষ্টি নিয়ে ধর্মীয় রূপকথাকে ধ্রুব হিসেবে নিই; তা'হলে মানব জাতির স্বষ্টিটা ছিলো খুবই গ্রহনযোগ্য; পুর্নাংগ যুবক ও যুবতী তৈরি করা হয়েছিলো, যারা ব্লগিং ব্যতিত সবকিছু করতে পেরেছিলেন। সামু চালু হওয়ার পর সমস্যা দেখা দিয়েছে, ভাবতে হচ্ছে, হযরত আদমকে সৃষ্টিকর্তা কেন কম্প্যুউটার দিলেন না?
জন্ম নিয়ে সবাই খুশী হওয়ার মতো হাজার কারণ আছে; বাংলাদেশের ঘরের কিশোরী চাকরাণী খুশী হতে পারে যে, সে স্কুলে না'গিয়ে অন্যের ঘরে খেতে পাচ্ছে, টেলিভিশন দেখছে; কিন্তু ওর মতো কত বাচ্চা রাস্তায় ঘুমাচ্ছে! তাকে যদি মনিবের ব্উ নামাজ, কলেমা শিখায়ে দেয়, সে নামাজ পড়ে সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ দিতে পারবে; কিন্তু সে জানে না, হযরত আদমের মতো একজন রেডিমেইড স্বামী পাবে কিনা!
সামুতে যেই ৩/৪ লাখ রাজিষ্ট্রেশন ব্লগার করেছিলেন, সবাই সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ দেয়ার মতো অনেক কিছু আছে; কিন্তু রাস্তার টোকাইদের ধন্যবাদটা কি রকম হওয়া উচিত ও উহা কে পাবেন?
২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৪৫
সোনাগাজী বলেছেন:
মানুষের অবস্হা দেখলে মনে হয়, যারা ভালো আছে, তাদেরকে সৃষ্টিকর্তা সৃষ্টি করেছেন ; যারা শুরু থেকে সমস্যায় আছেন, তাদেরকে কে এই অবস্হায় সৃষ্টি করলো?
২| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৪৬
কামাল১৮ বলেছেন: কিছু আছে নিয়তিবাদী আর কিছু আছে আদৃষ্টবাদী।এরা নিয়তি ও অদৃষ্টের দোহাই দেয়।নিজের কর্মের উপর এদের আস্থা নাই।নিয়তিবাদী ও অদৃষ্টবাদী হওয়া খুব সহজ । ইসলাম ধর্মের অনুসারিরা এই দুই বাদে বেশি বিশ্বাসী।
২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৫২
সোনাগাজী বলেছেন:
মানুষ প্রকৃতির নিয়মে জন্ম নিচ্ছে, পরিবার ও সমাজ যতটুকু করছে, মানুষ সেটুকুই পাচ্ছে।
৩| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:০৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
দুনিয়াটা তার জন্য পরীক্ষাকেন্দ্র। এখানে তার পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে।
পরীক্ষায় ভালো করতে পারলে পরকালে পাবে জান্নাত।
সেখানে তাকে এতো বেশী দেয়া হবে যে সে খুশী হয়ে যাবে।
২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:০৯
সোনাগাজী বলেছেন:
পরকালে যাওয়ার জন্য মরতে হচ্ছে; মরতে কে চায়?
৪| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৪৯
ইএম সেলিম আহমেদ বলেছেন: প্রথমত, আপনার লেখার বানানে প্রচুর সংশোধন দরকার। আশাকরি বানানের দিকে নজর দেবেন। এবার আসি এই সব প্রশ্নগুলো নাস্তিকদের কমন প্রশ্ন। এর আগেও এসব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে কোট করে আমি এর ব্যখ্যা গুলো দেওয়ার চেষ্টা করছি মাত্র। আমি কোনো ধর্মীয় বিশেষজ্ঞ না তাই ভূল ত্রুটি মার্জনীয়।
মানুষকে পৃথিবীতে পাঠিয়ে আল্লাহ কেন তাদেরকে কষ্ট দিচ্ছেন? আল্লাহ তাদেরকে পৃথিবীতে না পাঠালে তাদেরকে এত কষ্ট করতে হতো না। বাস্তবের দিকে নজর দেই কেউ যখন কোন প্রতিষ্ঠানের চাকুরী গ্রহণ করে তখন সে প্রতিষ্ঠান তাকে তাদের কাজে যেথায় পাঠায় সেথায় যেতে সে বাধ্য থাকে। তার এ কথা বলার অধিকার থাকে না যে আমাকে কেন ও যায়গায় পাঠানো হচ্ছে? আর চাকুরী করলে কষ্ট না করে উপায় কি থাকে? অনুরূপ কেউ কারো প্রভুত্ব গ্রহণ করলে, প্রভু তাকে যেমন চালায় তার তেমন চলতে হয়। কাজের জন্য প্রভু তাকে যেথায় পাঠায় তাকে সেথায় যেতে হয়। তার এটা বলার অধিকার থাকে না, প্রভু তাকে অমুক স্থানে পাঠালেন কেন? আর প্রভুর কাজ করতে গিয়ে কষ্ট হলে সে কথা কি বলতে হয়? কাজ করতে গেলে কষ্ট একটুতো হয়েই থাকে। তো মানুষকে পৃথিবীতে পাঠানোর পূর্বে আত্মার জগতে মানুষ সহ সকল প্রাণীর আত্মাকে আল্লাহ জিজ্ঞাস করেছেন, ‘আলাছতু বি রাব্বিকুম-আমি কি তোমাদের প্রভু নই?’ ‘কালু বালা-তারা বলল, হ্যাঁ’। তার মানে তখন সবাই আল্লাহকে প্রভু হিসেবে স্বীকার করেছে। তো আল্লাহর প্রভুত্ব কবুল করে মানুষ পৃথিবীতে এসে এখন কষ্ট হয়, এসব বললে কেমন কি হয়?
আত্মার জগতে আত্মার সাথে আল্লাহর কি কথা হয়েছে সে সব কথা এখন আত্মাদের মনে নেই। আর মনে থাকেইবা কেমন করে? প্রত্যেকের আত্মা ভ্রুণে প্রবেশ করানো হয়েছে। এরপর পত্যেক আত্মা নব জাতক হিসেবে জন্মগ্রহণ করেছে। তাদের ভিতর এসব স্মৃতি থাকলে কি অবস্থা হতো! এখন প্রত্যেককে আল্লাহ তাঁর নবির মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছেন যে কারো প্রতি বিন্দুমাত্র অন্যায় করা হবে না। তথাপি হাসরের মাঠে কেউ যদি আল্লাহকে জিজ্ঞাস করে বসে যে কেন তাকে মানুষ বানিয়ে বিপদে ফেলা হয়েছে? তখন তাকে তার কথার যথাযথ জবাব আল্লাহ প্রদান করবেন। আল্লাহ বলেছেন, কেউ জাহান্নামের যোগ্য এটা নিজে থেকে না মেনে নেওয়া পর্যন্ত আল্লাহ কোন ব্যক্তিকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন না। এ জন্য শেষ বিচারে তিনি পঞ্চাশ হাজার বছর ব্যয় করবেন।
আত্মা থেকে কেউ মানুষের দেহ আর কেউ ছাগলের দেহ পেয়েছে। কেউ পেয়েছে মুসলমানের সন্তানের দেহ আর কেউ পেয়েছে অমুসলীমের সন্তানের দেহ। কিন্তু কেন? আত্মার এমন ভাগ্য নির্ধারিত হলো কিসের ভিত্তিতে? এটা কি লটারির ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়েছে? কিন্তু লটারির চেয়ে যোগ্যতায় ভাগ্য নির্ধারণ অধিক ন্যায় সঙ্গত। আল্লাহর ন্যায় বিচারী না হয়ে উপায় নেই। কারণ তিনি অসীম। অন্যায় ঘটে বিবেকগত ঘাটতির কারণে। কিন্তু অসীমে ঘাটতি থাকতে পারে না। কাজেই কাজটা যেহেতু অসীম আল্লাহর সুতরাং এটা অনিবার্য সত্যে যে এতে অন্যায় সংঘটিত হয়নি।সংগত কারণে আত্মার জগতে ভাগ্য নির্ধারিত হয়েছে যোগ্যতার ভিত্তিতে। আর যোগ্যতা হলো কাজ। একটা কাজ সম্পর্কে আমরা জানি, সেটা হলো আল্লাহর প্রভুত্বের স্বীকৃতি।আত্মারা এ স্বীকৃতি প্রদান করেছে জেনে ও বুঝে।
আল্লাহর প্রভুত্ব সম্পর্কে জানা ও বুঝা দু’টি কাজ। আল্লাহর প্রভুত্ব জানা বুঝা ও এর স্বীকৃতি প্রদান সংক্রান্ত কাজের যোগ্যতা সমান হওয়াও ন্যায়ের জন্য জরুরী।আত্মার সহযোগী রিপু ও বিবেক নামক দু’টি আত্মার কথা জানা যায়। নির্বাহী আত্মা বিবেকের সাথে যোগ হলে বিবেক প্রবল হয় আর ইতি বাচক কাজ হয়। নির্বাহী আত্মা রিপুর সাথে যোগ হলে রিপু প্রবল হয় এবং নেতিবাচক কাজ হয়।কাজের ইতি নেতি সঞ্চয় প্রাপ্যতার কারণ হতে পারে।যার জন্য সংশ্লিষ্ট আত্মা দায়ী। এর ভিত্তিতে ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে থাকলে সেটা অবশ্যই ন্যায় সঙ্গত।আল্লাহর ক্ষেত্রে ন্যায় হওয়া অনিবার্য সত্য।
কেন আল্লাহপাক মানুষকে শারীরিক প্রতিবন্ধী/বিকলাঙ্গ করে পৃথিবীতে পাঠান?
দেখা যায়, মানুষ পৃথিবীতে যে বিপদ-আপদে পতিত হয় সেটা তিন ধরণের হতে পারে। যথা-
(১) ভয়ংকর রকম পাপাচার বা আল্লাহর চরম অবাধ্যতার কারণে আযাব বা গজব( যেমনঃ কওমে নূহ, আদ, ছামুদ,কওমে লূত, মাদইয়ান, ও কওমে ফেরাঊন ইত্যদি জাতিকে আল্লাহপাক ধ্বংস করে দিয়েছিলেন) (২) কর্মফল অর্থাৎ নিজস্ব কিছু কর্মকান্ডের ফলাফল এবং (৩) আল্লাহর পরীক্ষা।
কর্মফলঃ
মহান আল্লাহপাক বলেন, "তোমার যা কিছু মঙ্গল হয় তা আল্লাহর তরফ থেকে আসে, কিন্তু তোমার যা কিছু অমঙ্গল হয় তা তোমার নিজের কারণে"। – (সূরা নিসা:৭৯)
"তোমাদের যে বিপদ-আপদ ঘটে তা তো তোমাদের কৃতকর্মেরই ফল এবং তোমাদের অনেক অপরাধ তিনি ক্ষমা করে দেন (অর্থাৎ না হলে তোমাদের আরো অনেক বিপদ আসত)"। – (সূরা শূরা:৩০)
যেসমস্ত শিশু বিকলাঙ্গ বা কোন শারীরিক জটিলতা নিয়ে জন্মায় তার ভিতর অনেক বিকলাঙ্গতার কারণ জানা সম্ভব নয়(চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতামত)।
উপরোক্ত কোরআনের বাণী থেকে মানব জীবনের কর্মফলের আলোচনা করবো।
(১) বহুমূত্র বা ডায়বেটিস রোগ কেন হয় সেটা আমরা জানি। অকর্মঠ, শুয়ে, বসে, টিভি দেখে যারা দিন পার করেন, অতিভোজন রসিকদের এই সমস্যা বেশি হয়। সুতরাং এই রোগে আক্রান্ত রোগীরা সিংহভাগ তাদের নিজেদের কর্মদোষেই দোষী। যদি কোন মহিলা ডায়বেটিস আক্রান্ত থাকেন তবে তার গর্ভের বাচ্চা ত্রুটিপূর্ণ হয়ে জন্মাবার সম্ভাবনা খুবেই বেশি।
(২) আমার জানি, যৌনবাহিত রোগ তাদের বেশি হয় যারা একের অধিক সঙ্গী/সঙ্গীনীর সাথে মেলামেশা করেন। স্বামী বা স্ত্রী কেউ যদি এই যৌনরোগের ভাইরাস এবং ব্যকটেরিয়া বহন করে তবে ইনফেকশন হয়ে গর্ভধারিণী মায়ের বাচ্চার বড় ধরণের ক্ষতি হতে পারে অর্থাৎ বিকলাঙ্গ হয়ে জন্মাতে পারে। এটা তাদের কর্মফল ছাড়া কিছুই নয়।
(৩) কোন মহিলা যদি গর্ভাবস্থায় তামাক জাতীয় দ্রব্য যারা সেবন করেন তবে বাচ্চার শারীরিক ডিফেক্ট হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। আমেরিকার ১৫.৩ ভাগ মহিলা ধুমপান করেন যেখানে পুরুষরা করেন ২০.৫ ভাগ(২০১৩ সালের রিপোর্ট) । দেখা যায়, আমেরিকায় প্রতি ৩০ টি শিশুর একটি কোন না কোন শারীরিক সমস্যা নিয়ে জন্মাচ্ছে। এর আর একটি অন্যতম কারণ, অ্যালকোহল। আমরা জানি মদ একটি অ্যালকোহল জাতীয় পানীয়। এটা পশ্চিমা বিশ্বে সবচেয়ে বেশী পান করা হয়। এখন গর্ভাবস্থায় যদি কোন মা অ্যালকোহল জাতীয় পানীয় লিমিটের বাইরে সেবন করে তবে তার প্রসবকৃত শিশুটা মুখের বিকৃতি তথা চেহারার বিকৃতি, কম ওজনের ছোট বাচ্চা প্রসব, আচারণগত সমস্যা বা মানসিক সমস্যা, এমনকি সময়ের পূর্বেই তথা ৩৮ সপ্তাহের আগেই বাচ্চা প্রসব হতে পারে । যার কারণে স্থায়ীভাবে নানান শারীরিক জটিলতা নিয়ে জন্মাতে পারে। এটা অবশ্যই কর্মফল।
(৪) অনেক গোত্রের মেডিসিন অাছে যেগুলো গর্ভাবস্থায় সেবন করলে বাচ্চা প্রতিবন্ধী হয়ে জন্মাবার সম্ভাবনা অনেক বেশি। যেমন, লিথিয়াম বা ইসোট্রিটিনিয়ন গ্রুপের ঔষধ। এগুলো সমসাময়িক কালের একটা বড় কারণ।
(ক) কোন গর্ভবর্তী মহিলা যদি গর্ভাবস্থায় বেনজোডায়াজেপাইন(Benzodiazepine) গোত্রের অসুধ সেবন করে। অর্থাৎ সোজা বাংলায় আমার যেটা বুঝি "ঘুমের" ঔষধ সেবন করে তবে তার বাচ্চার জন্মের পর শাসকষ্ট বা হাপানী হতে রোগ নিয়েই জন্মাতে পারে। হার্টের সমস্যা নিয়ে জন্মাতে পারে। দূর্বল মাংসপেশী নিয়ে জন্মাতে পারে। অনেক সময় এই অসুধটি গর্ভবতী মায়েরা ডাক্তারে পরামর্শ ছাড়াই সেবন করে থাকেন। কেননা, গর্ভাবস্থায় অনেক মায়ের ঘুমের সমস্যা হয়। তো এখানে যদি কোন বাচ্চা শারীরিক সমস্যা নিয়ে জন্মায় সেটা তারই কর্মফল।
(খ) আমরা জানি, Norethisterone (নরইথিস্টেরন) হরমোনটি মহিলাদের মাসিক রজঃবৃত্তির চক্রের সাথে উঠানাম করে। এই হরমোন জাতীয় ঔষধটি নারীদের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয় আররেগুলার বা পেইনফুল মেনস্ট্রল নিয়ন্ত্রণের জন্য। এখন কেউ যদি নিজে নিজে ডাক্তারী করতে যেয়ে এই ঔষধটি সেবন করেন এবং পরবর্ততে দেখতে পায় যে সে গর্ভবতী ছিলো; তবে তার বাচ্চা বিকলাঙ্গ হয়ে জন্মাবার সম্ভাবনা অনেক বেশি। সুতরাং কোরআন অনুযায়ী এটা তাহার কর্মফল।
(গ) আমরা জানি, গর্ভাবস্থায় যদি ভিটামিনের ঘাটতি থাকে তবে বাচ্চা নানান শারীরিক জটিলতা নিয়ে জন্মাতে পারে। বিশেষ করে, জিংক, ফলিকএসিড, অায়রণ, ভিটামিন এ, বি, ডি, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি। এখন, এগুলোর ঘাটতিজনিত সমস্যার কারণে যদি বাচ্চা কোন শারীরিক সমস্যা নয়ে জন্ময় তার দায়িত্ব তাহারই। এটা তাহার কর্মফল।
এরকম অনেক মানবঘটিত কারণে জন্মগত ত্রুটি নিয়ে বাচ্চা জন্মায়। সুতরাং কর্মফল সম্পর্কিত আয়াতগুলো যারা বুঝবেন তারা নিশ্চই আল্লাহর উপর মিথ্যা দোষারোপ করবেন না।
আল্লাহর পরীক্ষাঃ
আল্লাহ বান্দাকে বিভিন্নরকম বিপদ-আপদ দিয়ে পরীক্ষা করবেন এটা তাঁর ওয়াদা। যদিও তিনি পরীক্ষার ফলাফল সম্পর্কে ওয়াকিবহাল আছেন; তবুও পরীক্ষাটা একান্ত তার বান্দার জন্য।
আল্লাহপাক বলেন, "তিনি সৃষ্টি করেছেন জন্ম এবং মৃর্ত্যু, যাহাতে তিনি যাচাই/পরীক্ষা করে নিতে পারেন যে, কর্মক্ষেত্রে কে তোমদের মধ্যে বেশি ভালো"।( সুরা-মুলক, আয়াত-২)
আল্লাহপাক আরো বলেন, "আমি অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করবো ভয়-ভীতি, ক্ষুদা-অনাহার, তোমাদের জান(জীবন)-মাল এবং ফসলাদির ক্ষতি সাধন করে। তুমি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও(আমার নেয়ামতের) যখন তাদের সামনে কোন বিপদ এসে উপস্থিত হয় তখন তারা বলে, আমরা তো আল্লাহর জন্যই এবং আমাদের তো আল্লাহর নিকট ফিরে যেতে হবে"। (সুরা বাকারা, আয়াত-১৫৫-১৫৬)।
রসুল (সাঃ) বলেছেন, মুমিনের ব্যপারটা খুবেই বিষ্ময়কর, তার সকল কাজই কল্যাণপ্রদ। মুুমিন ছাড়া অন্যের ব্যপারগুলো এরকম নয়। তার জন্য আনন্দের কিছু ঘটলে সে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে; তাতে তার মঙ্গল সাধিত হয়। পক্ষান্তরে ক্ষতিকর কিছু ঘটলে সে ধৈর্য অবলম্বন করে; এটাও তার জন্য কল্যাণকর। ( সহীই মুসলিম-৭২৮২)
রাসূলুল্লাহ(সা) বলেন: কোনও ঈমানদারের উপর যখন কোনো ক্লান্তি, অসুখ, দু:খ, বেদনা, আঘাত, যন্ত্রণা আসে, এমনকি তার যদি একটা কাঁটার খোঁচাও লাগে – এর জন্যও আল্লাহ তার কিছু গুনাহ মাফ করে দেন। – (সহীহ বুখারী)
যুক্তি এবং বিশ্লেষণঃ
ধরুণ, একজন এমবিবিএস পরীক্ষা দিচ্ছেন এবং আর একজন সিম্পল বিএ পরীক্ষা দিচ্ছেন। এখন কঠিন এবং কষ্টকর পরীক্ষা কোনটা? নিশ্চই এমবিবিএস। এখন, এই কঠিন এবং কষ্টকর পরীক্ষা দিয়ে যদি ভালো ফল লাভ করা যায় তার সম্মান বা মর্যাদাটা কিন্তু সিম্পল বিএর থেকে অনেক বেশি। এখন, আল্লাহপাক কাউকে যদি শারীরিকভাবে বিকলাঙ্গ বা শারীরীক অসুস্থ করে দুনিয়ায় পাঠানোর পরও সে আল্লাহর উপর তায়াক্কুল করে জীবন যাপন করে তার সম্মান বা পুরস্কারটা অনেক বেশি। আবার আমরা দেখি, চাকুরীর ক্ষেত্রে ফিজিক্যাল চ্যানেস্জেস এর একটা কোটা আছে ; মানে একটা বাড়তী সুযোগ আছে । কেননা, সে শারীরিকভাবে কিছুটি ডিজঅ্যাবল আছে এ কারণে। সুতরাং এই জন্মগত ত্রুটির জন্য অবশ্যই আল্লাপাক কেয়মাতের ময়দানে তাকে বাড়তী সুযোগ দান করবেন এবং এই শারীরিক কষ্ট দেয়ার কারণে তাকে মাফ করে দেবেন; যদি সে আল্লাহর উপর ভরসা করেই এই কষ্ট স্বীকার করে নেয় বা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়।
কোন বাচ্চাকে টিকা দিলে সে শারীরিকভাবে কষ্ট পায় এমনকি শরীরে জ্বর আসতে পারে। বাচ্চাটি কিন্তু মনে করছে যে, তাকে অযাথাই কষ্ট দেয়া হচ্ছে। কিন্তু তার ভালোর জন্যই যে তাকে কষ্ট দেয়া হচ্ছে সে সেটা বুঝতে পারছেনা। বান্দার ক্ষেত্রে ব্যাপারটি এরকম। কোন কষ্টের মাঝে কোন ভালো লুকিয়ে আছে সেটা অামরা জানিনা। সুতরাং এটাকে আল্লাহর পরীক্ষা হিসাবেই ধরতে হবে এবং কোনভাবেই তার প্রতি অসন্তুষ্ট হওয়া যাবেনা; বিপরীত হলেই আমরা পরীক্ষায় ফেল করবো।
পরিশিষ্টঃ
আল্লাহপাক অসীম দয়ালু এই জন্য যে, পৃথিবীতে এমন কোন রোগ নেই; যার প্রতিষেধক আল্লাহপাক দেননি। অনেক রোগের চিকিৎসা যদিও এখন আবিষ্কার হয়নি কিন্তু সেগুলো নিরাময়যোগ্য । এগুলো অনুসন্ধান করতে বলা হয়েছে তথা গবেষণা করতে বলা হয়েছে। মানুষের কিডনী, চোখ, লিভার ইত্যাদি মোবাইলের পার্সের মত রিপ্লেস করা সম্ভব। দেখা যায়, অনেক বিকলাঙ্গতার চিকিৎসার জ্ঞানও আল্লাহপাক মানুষকে দিয়েছেন।
আল্লাহপাক আমাদের সঠিক বুঝার এবং মানার তৌফিক দান করুণ। আমিন।
হযরত আদমকে সৃষ্টিকর্তা কেন কম্প্যুউটার দিলেন না? এটা নিছক হাস্যকর প্রশ্ন। স্বাভাবিক জ্ঞানে যে কেউ বলবে এটা মানুষ্য সৃষ্টি। কম্পিউটারের মত সামান্য বস্তু তাদের লাগতো না। এর চেয়ে উন্নত আধ্যাত্বিক বিষয় তাদের ছিল। পিরামিড গুলোর দিকে তাকান এটা ঐ সময় কেমনে সম্ভব হয়েছিল তার কোনো সঠিক ব্যাখ্যা এখনো মেলেনি। The ancient writer, Strabo, said of the Great Pyramid, "It seemed like a building let down from heaven, untouched by human hands."
মানুষ এখনো পর্যন্ত আলোর কাছাকাছি বেগে ভ্রমণ করতে পারলো না। আর আপনি আইছেন কম্পুটার নিয়ে। হাস্যকর।
শোনেন এসব প্রশ্ন করে আমাদের মূল্যবাদ সময় নষ্ট করবেন না। বেশি চুলকানি থাকলে ধর্ম নিয়ে গবেষনা করুন গিয়ে। নিজের প্রশ্নের উত্তর নিজেই বের করুন। কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগে এমন প্রশ্ন না করাই উত্তম।
২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:০৮
সোনাগাজী বলেছেন:
মেডিক্যাল সায়েন্স ব্যাখ্যা করছে শিশু কেন বিকলাংগ হচ্ছে; শিশু প্রকৃতিক নিয়মে জন্ম নিচ্ছে। যদি মহাশক্তির কেহ তাদের সৃষ্টি করতো, ওরা হযরত আদমের মতো জন্ম নিতো।
২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৩
সোনাগাজী বলেছেন:
এটা কি কমেন্ট, নাকি পাগলামী?
৫| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৩
ধুলো মেঘ বলেছেন: কিছুদিন আগে সামুতে একটা পোস্ট পেয়েছিলাম যেখানে এক ব্লগার স্রষ্টার সৃষ্টিতে খুঁত ধরতে পেরে খুবই ফুর্তি অনুভব করছিলেন। একে তো স্রষ্টার কাজে খুঁত ধরেছিলেন, তার উপর এই সংক্রান্ত কুরআনের আয়াত মিথ্যা প্রতিপন্ন করে খুশীতে রীতিমত লুঙ্গি খুলে নাচতে আরম্ভ করেন আর কি! বিকলাঙ্গ ও হিজরা শিশুর জন্ম হওয়াকেই ঐ ব্যক্তির কাছে সৃষ্টির খুঁত বলে মনে হয়েছিল।
২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:০৩
সোনাগাজী বলেছেন:
আপনি বিকলাং হলে, সামুতে লেখার সম্ভাবনা ছিলো না বললেই চলে; ফলে, মানুষ বিকলাংগ হয়ে কেন জন্ম নেয়, উহা আপনার পক্ষে বুঝা সম্ভব হচ্ছে না; বিকলাংগ শিশুর জন্মের পেছনে মেডিক্যাল কারণ আছে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৩৭
নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: দারুণ প্রশ্ন করেছেন....
আশা করি অনেকেই যুক্তিসম্মত উত্তর দেবেন...
দেখার কিংবা পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম...