নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষাই দরিদ্রদের জন্য সম্পদ।

সোনাগাজী

একমাত্র সোস্যালিষ্ট অর্থনীতি বাংগালী জাতিকে নিজ পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করবে।

সোনাগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমেরিকার অর্থনীতি সুদের উপর নির্ভরশীল

২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৫



আমেরিকার সরকার নিজের জনগণ থেকে ঋণ নেয়, মানুষকে সুদ দেয়; ইহাই বিশ্বের সবচেয়ে বড় ব্যবসা; এই মহুর্তে এই এই ঋণের পরিমাণ হচ্ছে, ৩২,০০০,০০০,০০০,০০০ ডলার; ইহাকে ম্যানেজ করতে অনেক বড় অর্গেনাইজেশন চালাতে হচ্ছে আমারিকাকে। সরকারের ঋণ গ্রহনের পুরো সিষ্টেমটা তৈরি করা হয়েছিলো নিজদেশের মানুষ থেকে ঋণ নেয়ার জন্য; কিন্তু এখন বিদেশীরাও সেই ঋণপত্র (বন্ড ) কিনছে। ক্রেতাদের মাঝে সবচেয়ে বড় ক্রেতা হচ্ছে চীন, জাপান, বৃটেন, ইত্যাদি।

আমেরিকা বিশ্ব ব্যাংক, আইএমএফ ও এই জাতীয় সংস্হাগুলোকেও ঋণ দেয়ার জন্য ফাইন্যান্স করে থাকে। বাংলাদেশের ঋণের বড় অংশ হচ্ছে এই ২ সংস্হা থেকে। বাংলাদেশের ঋণ সম্পর্কে সরকার মানুষকে সঠিকভাবে জানায় না; তবে, ইহা ১১০ বিলিয়ন ডলারের আশেপাশে হতে পারে।

গতকাল ১ জন ব্লগার পারিবারিক ঋণ নিয়ে পোষ্ট দিয়েছেন; মানুষের আত্মহত্যা করছে, পরিবারের সদস্যদের হত্যা করে শেষে নিজে আত্মহত্যা করছে; হাজার হাজার পরিবার বাসস্হান ফেলে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। উনাকে এই সমস্যার সমাধানের পথের কথা বলতে বলায়, তিনি একটা পথের কথা বলেছেন, "সুদহীন ঋণের কথা"; ইহা ভুল উত্তর।

ব্লগারেরা বাংলাদেশ সরকারের ঋণ ও মানুষের ঋণ নিয়ে অনেক ভাবেন, প্রায়ই বৈদেশিক ঋণ নিয়ে পোষ্ট আসে; এটা ভালো দিক, ব্লগারেরা কমপক্ষে অর্থনীতির এই দিকটা বুঝেন।

আমেরিকা যদি নিজের লোকজন থেকে ঋণ নিতে পারে, বাংলাদেশ সরকার কেন নেয় না? আসলে নেয়: মানুষ যেসব বন্ড কিনছে সরকার থেকে উহাই সরকারের জন্য ঋণ।

বাংলাদেশ সরকার এই ধরণের ঋণকে ফাইন্যান্সিয়েল ব্যবসা হিসেবে চালু করতে পারেনি; ইহাকে ব্যবসা হিসেবে চালু করতে পারলে, ইহা ২০০ বিলিয়ন ডলার কিংবা তার থেকে বড় ব্যবসায় পরিণত হতো; তখন সরকারকে বিশ্ব ব্যাংক থেকে বা ঐ ধরণের সংস্হা থেকে ঋণ নিতে হতো না। এতে বন্ড ব্যবসা বড় আকার ধারণ করতো ও দেশে ক্যাপিটেল মার্কেট গড়ে উঠতো; মানুষ ঋন নিয়ে ব্যবসা বাণিজ্য গড়ে তুলতে পারতো। যেহেতু বন্ড সব সময় সরকারী সংস্হার কন্ট্রোলে থাকে, ইহা থেকে আয়ের নিশ্চয়তা থাকতো। আমাদের অর্থনীতিবিদরা বেশ পেছনে পড়ে থাকায় ইহা গড়ে উঠছে না।


মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৩

নাহল তরকারি বলেছেন: ভিক্ষুকদের ঋন দিতে নাই। তাদের দান করতে হয। ঋন দিতে হয়, যারা ব্যাবসা বুঝে। আর যারা বিপদে পড়ে তাদের আর্থিক সাহায্য করা দরকার। কিন্তু তাদের কাছ থেকে টাকা ফেরত পাবো এমন আশা করি না। আর সুদের ফাদে পারা দিয়ে অনেকে নিঃস্ব হচ্ছে। যার ফলে মানুষের আর্থিক মুক্তি হচ্ছে না। দেশে অভাব যাচ্ছে না।

২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৬

সোনাগাজী বলেছেন:


আপনি রাজনীতির ছাত্র ছিলেন; কিন্তু অর্থনীতি বুঝেন বলে মনে হয় না; ফলে, আপনি রাজনীতি করলে দেশের মানুষের ক্ষতি হবে।

২| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৪

মিরোরডডল বলেছেন:




লাস্ট পোষ্ট সরিয়ে নেবার কারণ?

২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫০

সোনাগাজী বলেছেন:



এক ব্লগার কমেন্ট করেছেন, যা ব্লগার নীল আকাশ কিংবা সোনাবীজের কমেন্ট থেকেও লম্বা; মন্তব্যের উত্তরটা দিতে পারিনি; তাই সরায়ে ফেলেছি।

৩| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫২

নাহল তরকারি বলেছেন: আমি শুধু বাস্তবতা তুলে ধরেছি। কোন কিছু বিশ্রেষণ করি নি। আপনি ওভার থিংকার।

২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০০

সোনাগাজী বলেছেন:


বসুন্ধরা, বেক্সিমকো, খুলনা পাওয়ার, আলাম ব্রাদাস কি নিঃস্ব হচ্ছে? এরা কি করে কয়েক বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা চালাচ্ছে? এরা কি ঋণ নিয়েছিলো, নাকি চাকুরীর বেতন থেকে জমায়ে কয়েক বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা গড়ে তুলেছে?

আপনার মতে সুদে টাকা দেয়া, বা সুদে টাকা নেয়া কি সমস্যা?

৪| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



সুদ খাওয়া হারাম।

২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০২

সোনাগাজী বলেছেন:



এগুলো যারা লিখেছে, তারা ২/৪টা খেজুর খেয়ে দিন কাটাতো; তারা জানতো না যে, বোয়িং ১দিন প্লেন তৈরি করবে!

৫| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৮

মো: তৌহিদ ইসলাম আবির বলেছেন: জনগন সরকার কে বিশ্বাস করে না। এবং আমাদের আমলা গুলাও অসাধারণ :D । তাই এই বন্ডের ব্যবসা ভালো যাবে না।

আর সরকার বৈদেশিক ঋন গ্রহন করে দূর্নীতি করার জন্য। নিজের পকেট ভরার জন্য। আমাদের অর্থনীতি আমদানি নির্ভর (বর্তমানে) বৈদেশিক ঋন আসলে সাময়িক ডলার সংকট কম থাকে। আমাদের ডলার ইনকামের তুলনায় খরচ বেশি তাই বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ ঠিক রাখার জন্য বর্তমান সময়ে ঋন অথবা বিদেশি বিনিয়োগের কোন বিকল্প নাই।

২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৩

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনি সঠিক আছেন; আমাদের সরকারগুলো যেই পরিমাণ বৈদেশিক ঋণ নিয়েছে, ঠিক সমপরিমাণ টাকা ডাকাতী করেছে।

৬| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪

মিরোরডডল বলেছেন:




কোন এক মন্তব্যের রিপ্লাই করতে না পারলে পোষ্ট সরিয়ে নেয়া হয়!!!
মন্তব্য যত বড়ই হোক, রিপ্লাই চাইলে এক লাইনেও দেয়া যায়।

মন্তব্যের উত্তর না দেয়া, আর দিতে না পেরে পোষ্ট সরানো দুটো ভিন্ন।
.........

শুধু আমেরিকা না, পুরো বিশ্বের অর্থনীতি ব্যাংক লোন, ইন্টারেস্টের উপর নির্ভরশীল।


২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৮

সোনাগাজী বলেছেন:



সঠিক, পুরো বিশ্বের অর্থনীতি সুদের উপর নির্ভরশীল; তবে, আমেরিকার মতো কেহ ইহাকে অর্গেনাইজ করতে পারেনি।

পোষ্টটাতে অপ্রয়োজনীয় মন্তব্য আসছিলো, যেগুলো নিয়ে অপ্রয়োজনীয় তর্ক শুরু হচ্ছিলো; আমার সময় নষ্ট হবে।

৭| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: আমার গ্রামের এক চাচা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছে। সময় মতো ঋণ শোধ করতে পারে নাই। এখন কারাগারে।

২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৯

সোনাগাজী বলেছেন:




ভয়ংকর ব্যাপার! কি পরিমাণ ঋণ, টাকা দিয়ে কি করেছে?

৮| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আমেরিকার লোন নেয় ডলারের, সুদ দেয় ডলারে এবং সকল আমদানি রপ্তানিও হয় ডলারে। যার জন্য তাদের জনগণ থেকে লোন নেওয়াটা সহজ।
বাংলাদেশের ক্ষেত্রে টাকায় লোন নিলে সেটাকে ম্যানেজ করা ডিফিকাল্ট হবে, যদি দেশীয় উৎপাদন বৃদ্ধি না করতে পারে। এছাড়াও আমদানি নির্ভর অর্থনীতি হওয়ার কারণে ডলারের প্রয়োজনীয়তা সব সময় বেশি থাকে।
তবে বড় বড় দেশীয় প্রজেক্ট এগুলিকে লাভজনক করার ক্ষেত্রে মানুষ থেকে ইনভেস্টমেন্ট নিতে পারে। এতে বৈদেশিক রিজার্ভের উপর চাপ কমবে।

২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৭

সোনাগাজী বলেছেন:



মুহিত ও সাইফুর রহমান বিদেশে ছিলেন, সবকিছু দেখেছিলেন; কিন্তু চালু করার মতো দক্ষতা ছিলো না। দেশের ভেতরে ক্ষুদ্র ঋনের বিশাল মার্কেট, এই বাজারটা সরকার বন্ডের টাকায় ধরলে, মানুষকে আত্মহত্যা করতে হতো না, পালিয়ে বেড়াতে হতো না, ড: ইউনুসের কাছে যেতে হতো না, মহাজনের কাছে যেতে হতো না।

৯| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৫

নূর আলম হিরণ বলেছেন: এছাড়াও সময় মত সুদ পরিশোধ করতে না পারলে আমাদের আমলারা টাকা ছাপিয়ে সুদ পরিশোধ করবো, এতে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাবে।

২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৯

সোনাগাজী বলেছেন:


আমলারা ও ব্যংকের অফিসারেরা যেই পরিমাণ ডাকাতী করেছে, টাকা ছাপায়েও উহা শোধ করা সম্ভব হবে না; টাকার মান ডলারের তুলনায় ধুলোবালিতে পরিনত হবে।

১০| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৭

নূর আলম হিরণ বলেছেন: এই কয়েকদিন আগে অনেকগুলি ব্যাংকের সুদ না দিতে পেরে সেই সুদের সমপরিমাণ আবার বন্ড দিয়েছে ব্যাংকগুলিকে।

২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫১

সোনাগাজী বলেছেন:



দুষ্টদের ব্যাংককে ডাকাতেরা রক্ষা করছে। এসব ব্যাংকের এসেট নিয়ে, সেগুলোকে বন্ধ করে দেয়ার দরকার ছিলো।

১১| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৬

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- বাংলাদেশের কোনো সরকার কি কখনো আপনার দেখানো পথে হাঁটার চেষ্টা করে বলে আপনি মনে করেন?

২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:০০

সোনাগাজী বলেছেন:



এগুলো ফাইন্যান্সিয়েল ব্যবস্হা বিশ্বে কাজ করছে ১০০ বছরের বেশী, আমাদের সরকারের বানরেরা এসব সব শিখতে পারে না, ওরা শুধু কলাভাগ করতে জানে।

১২| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৫৫

শাহ আজিজ বলেছেন: এই যে মেট্রো রেলের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কিন্তু সরকার মেট্রোর বন্ড ছাড়ছে না । এখানে জগাখিচুড়ি মারকা অর্থনীতিবিদরা বসে আছে যাদের প্রায় কোন অবদান নেই ।

২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৫৩

সোনাগাজী বলেছেন:



এখন উহার বন্ড ছেড়ে দিয়ে, বিদেশী ঋণ শোধ করে, দেশী ঋণ নিলে মানুষ উপকৃত হবে; তবে, দেশী লোনে সরকারের সুদের পরিমাণ ( টাকায় ) বেড়ে যাবে।

১৩| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:১৭

কামাল১৮ বলেছেন: আমেরিকার এই বন্ড সিস্টেম একটা তাসের ঘরের খেলা।এক সময় হুড়মুড় করে ভেঙ্গে পড়বে।তখন সবাই চোখে অন্ধকার দেখবে।

২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৫৩

সোনাগাজী বলেছেন:




আপনি কোন ধরণের তাসে ভালো?

১৪| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৩০

কামাল১৮ বলেছেন: পোষ্ট সরিয়ে নিয়ে,যারা মন্তব্য করে তাদের আপনি অপমান করছেন।মন্তব্যের উত্তর দিতে সমস্যা হলে লিখে দিন পড়লাম।
বিষয়টা আমিও লক্ষ করেছে।কম মন্তব্য পরলেও আপনি পোষ্ট সরিয়ে নেন।মন্তব্য ধুয়ে কি পানি খাবেন।
ব্লগে অনেক ভালো ভালো ব্লগার আছেন যাঁদের পোষ্টে খুবই কম মন্তব্য থাকে। আবার মহাজাগতিকের কোন কোন ফালতো পোষ্টে ২০/৩০ টা মন্তব্য থাকে।

২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৫৫

সোনাগাজী বলেছেন:




ওখানে এক লিলিপুটিয়ানের ২ পৃষ্ঠা লম্বা কমেন্ট ছিলো; উহার উত্তর দেয়ার জন্য অনেক সময় লোগতো।

১৫| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৪০

মিরোরডডল বলেছেন:




সরিয়ে নেয়া পোষ্টে যেটা বলতে চেয়েছিলাম, খেলাঘরকে এর আগেও অনেকবার দেখেছি চাকরানী শব্দটা ব্যবহার করতে।
চাকর চাকরানী এই শব্দগুলোর ভালো সমার্থক শব্দ আছে। যেহেতু তারা কর্মজীবী নারী পুরুষ, কাজ করেই খায়, they deserve minimum respect. Addressing in this way is disrespectful. Sounds inappropriate.

তাই নেক্সট টাইম চাকরানী শব্দটা ব্যবহার করবে না, প্লীজ।
ঠিক আছে খেলাঘর?


২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৫৬

সোনাগাজী বলেছেন:




ঠিক আছে।
কিশোরী গৃহকর্মী কেমন?

১৬| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:০৪

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সুদে ঋণ নিলেও সেটার Proper Utilization জরুরি। অদক্ষতা, অনেকসময় নানান প্রতিকূলতার কারণে সেটা সম্ভব হয় না। তবে অনেকেই সদ্ব্যবহার করতে পারেন।

২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:১১

সোনাগাজী বলেছেন:




গরীবেরা ফাইন্যান্স বুঝার কথা নয়; ওদেরকে ঋণ দেয়ার সময় বুঝায়ে ঋণ দিতে হয়।

১৭| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৪০

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


মুসলিম বিশ্বে সুদ নিয়ে ধর্মীয় বাধার কারণেই কি ফাইনান্সিয়াল সিস্টেম প্রয়োগ করা সম্ভব হচ্ছে না? এসব তো দেখে দেখে প্রয়োগ করলেও সমস্যায় পড়লে এক্সপার্ট আনা যায়।

০১ লা মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৪৮

সোনাগাজী বলেছেন:



পাকিস্তানী আমল থেকে ব্যাংকগুলো সুদ নিয়ে কাজ করছে; তবে, সরকার মানুষ থেকে ঋণ নেয়নি কখনো!

১৮| ০১ লা মার্চ, ২০২৪ সকাল ৭:২২

নাহল তরকারি বলেছেন: আপনি বিশিষ্ট ব্যাবসায়ীদের উদাহারন দিয়েছেন। ব্যাংক ওয়ালারা অনেক সময় বড়লোকদের ঋন মাফ করে দেয়। অনেকে ঋণ পাশ করেই বিদেশে পালায়। আপনার প্রশ্ন সেটা না। আপনার প্রশ্ন হচ্ছে ওরা কি গরিব হয়ে গেছে? তারা গরিব হয় নি, তা ঠিক। কিন্তু গ্রামের অনেক মানুষ এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে সুদের চাপে গরিব হয়ে গেছে।

যেমন মনে করেন মজিদ চাচা, এনজিও থেকে ঋন নিয়ে গরু কিনেছে। গ্রামের অনেক এনজিও সাপ্তাহিক বেসিসে কিস্তির টাকা নেয়। প্রথম দু এক সপ্তাহ, মজিদ চাচা, ঠিক মত কিস্তির টাকা দিতে পারলেও ৩য় সপ্তাহে তিনি বিপড়ে পড়ে যান। যার জন্য তিনি বেশী টাকা খরচ করে ফেলেন। যার কারনে ৩য় সপ্তাহে কিস্তির টাকা ফেরত দিতে পারেন নি। ৪থ সাপ্তাহে সুদ সহ কিস্তির টাকা বিরাট বড় এমাউন্ট হয়ে যায়। ৫০ হাজার টাকা কিস্তি পরিশোধ করতে না পারায় ৭ লাখ টাকার গরু এনজিও ওয়ালারা নিয়ে যায়। এতে মজিদ চাচার আর্থিক কি পরিবর্তন হলো। সে তো গরিবই রয়ে গেলো।

আপনি হয় তো ১০ জন্য সফল ব্যাবসায়ী এর কথা বলতে পারবেন যারা সুদে ঋণ নিয়ে ব্যাবসা করেছেন। এমন লাখ লাখ উদাহরন আছে যারা সুদে ঋণ নিয়ে বিপদে পড়েছেন। কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে গিয়ে সহায় সম্বল সব হারিয়েছেন। সফল ব্যাক্তিদের ইন্টারভিউ সবাই নেয়। যার কারনে তাদের আমাদের চোখে দেখা যায়। আর যারা সুদের চাপে সহায় সম্বল হারিয়েছেন তাদের খবর কোন মিডিয়াতে প্রকাশ হয় নি। যার কারনে তাদের খবর আপনি জানেন না।

০১ লা মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯

সোনাগাজী বলেছেন:



ঋণ নেয়ার ও আদায় করার নিয়ম তো মহাজনেরা মানছে না; এতে, গরীবেরা ভিকটিম হচ্ছে। এই নিয়মকে ঠিক করার দায়িত্ব কার বলে আপনি মনে করেন?

১৯| ০১ লা মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: অর্থনীতিকে সচল রাখার জন্য সূদ'ই হচ্ছে উত্তম উপায়।

০১ লা মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০০

সোনাগাজী বলেছেন:



কিন্তু বাংলাদেশে উহাকে সঠিকভাবে কাজে লাগাচ্ছে না প্রশাসন।

২০| ০১ লা মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ভয়ংকর ব্যাপার! কি পরিমাণ ঋণ, টাকা দিয়ে কি করেছে?

এই চাচা সারা জীবন এরকমই করেছেন।
ব্যাংক থেকে লোন নেন। কয়েক মাস ঠিকঠাক কিস্তি দেন। এরপর আর দেন না। ব্যাংকের লোক এলে বলেন- ব্যবসার অবস্থা ভালো না। লস খেয়েহচি। আমাকে কিছু মওকুফ করেন। ব্যাংক কিছু টাকা মওকুফ করে। আবার চাচা কয়েকটা কিস্তি দেন। আবার ব্যাংকে দরখাস্ত দেন, ব্যবসায় লস। ঋণ মওকুফ করেন। এই করে করে তার জীবন চলেছে, ব্যবসা চলেছে।

শেষে তিন বছর আগে ৩০ লাখ টাকা ঋণ নেয়।
সেই টাকা আর পরিশোধ করে না। শেষে একদিন বাসায় এসে পুলীশে ধরে নিয়ে যায়। প্রাথমিক অবস্থায় ৬ মাসের জেল হয়। শেষে আত্মীয়স্বজন সবাই মিলে ব্যাংকে কয়েকটা কিস্তি দেয়। চাচা ছাড়া পায় জেল থেকে। চাচা শুকিয়ে গেছে।

০১ লা মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০২

সোনাগাজী বলেছেন:



উনার কোন আয় আছে?

২১| ০২ রা মার্চ, ২০২৪ সকাল ৮:৪৯

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার এই লেখাটা পড়ে আমি তেমন কিছুই বুঝলাম না। আমেরিকা সহ উন্নত দেশগুলোর অর্থনীতি সুদের উপর নির্ভরশীল এটা সত্য। কিন্তু তার পরে আপনি কী বলতে চাচ্ছেন এটা বোঝা গেলনা?

আপনি যে পোস্টটা পড়ে এটা লিখেছেন সেখানে কতগুলো ঘটনার বর্নণা ছিলো যাতে মানুষ ঋণ নিয়ে কী ধরণের বিপদে পড়ে তার উদাহরণ আছে। বাংলাদেশের মত দেশে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করে ঋণের টাকা পরিশোধ করা অনেক কঠিন একটা কাজ। বাংলাদেশের সামাজিক ব্যবস্থা ব্যবসা বান্ধব নয়।

আবার খোদ উন্নত দেশেও গরীব মানুষকে কেউ ঋণ দেয় না। কানাডার মত দেশে পে-ডে ঋণের (Payday loans) সূদের হার হল ৩৯১% থেকে ৫২১%। শেষের তথ্যটা আপনার মোটের উপর জানার কথা। গরীব হওয়াটা খুবই ব্যয়বহুল (It's expensive to be poor)। বাংলাদেশের অর্থনীতি বিষয়ে এই কথাটা সবার আগে মনে রাখা প্রয়োজন।

০২ রা মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:৩২

সোনাগাজী বলেছেন:


আমি ঠিক ঘুচায়ে লিখিনি; গরীবেরা কোথায় ঋণ পায় না, এটা সত্য। কিন্তু দরকারী পরিমাণ ঋণ ব্যতিত মানুষ দারিদ্রতা থেকে বের হতে পারে না। ৩য় বিশ্বে ঋণ আসে ভয়ংকর সব উৎস থেকে। যদি সরকার সেটা দিতো, তাহলে সহজ হতো। সরকার সেই রকম একটা ফান্ড গঠন করতে সক্ষম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.