নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষাই দরিদ্রদের জন্য সম্পদ।

সোনাগাজী

একমাত্র সোস্যালিষ্ট অর্থনীতি বাংগালী জাতিকে নিজ পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করবে।

সোনাগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

জামাত-শিবির-বিএনপি\'এর বাসনা কিছুটা পুর্ণ হয়েছে

২০ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৪:০৮



বিএনপি ছিলো মিলিটারীর সিভিল সাইনবোর্ড আর জামাত ছিলো মিলিটারীর সিভিল জল্লাদ; শেখ হাসনা মিলিটারী নামানোতে ওরা কিছুটা অক্সিজেন পেয়েছে, আশার আলো দেখছে।

জামাত-শিবির-বিএনপি অবশ্যই আওয়ামী লীগের বদলে দেশের ক্ষমতাকে কমপক্ষে মিলিটারীর হাতে দেখতে চেয়ে আসছিলো; ইহা হয়তো শেখ হাসিনাও জানতেন; জেনেশুনেও শেখ হাসিনা নিজের অদক্ষতার কারণে, ওদের চাওয়া পাওয়াকে এড়াতে পারেননি; উনার কর্মের ফলাফল হিসেবে মিলিটারীকে রাস্তায় নামাতে হয়েছে।

জামাত-শিবির-বিএনপি'র বাকী আশা পুর্ণ হবে যদি শেখ হাসিনা মিলিটারীর হাতে ক্ষমতা দিয়ে নিজে সরে যান, কিংবা ব্যুরোক্রেসী, পুলিশ ও মিলিটারী উনাকে সরিয়ে দেয়।

১৯৭১ সালে ঢাকা ইউনিভার্সি স্বয়ং শেখ সাহেব থেকে ১০ ধাপ সামনে ছিলো; শেখ যখনো ইয়াহিয়ার সাথে মিটিং করছিলো, কিভাবে সরকার গঠন করা যয়, ঢাকা ইউনিভার্সিটতে তখন স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা তৈরি হয়ে গেছে। সেই ইউনিভার্সিটিতে এখন থেকে ৬ বছর আগে ১ ছুপা শিবির ডাকসু'র সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলো। আজকে ঢাকা ইউনিভার্সিটির শতকরা কতোভাগ ছাত্র "সাধারণ ছাত্র"?

শেখ হাসিনা ভোটের নামে ৩ বার "কৌশল" খাটিয়ে যখন অনেক রাজনৈতিক অপরাধীকে জাতির পার্লামেন্ট থেকে শুরু করে বড় বড় পদে এনেছেন, তখন ব্যুরোক্রেটরা উনার দুর্বল দিকেটা ধরে ফেলেছে ও উনার দুর্বলতাকে কাজ লাগিয়ে দেশকে চোর-ডাকাতদের মক্কায় পরিণত করেছে।

এসব ব্যুরোক্রেট, এসব পুলিশ ও এসব এমপিদের নিয়ে তিনি আর খুব একটা সামনে যেতে পারবেন না, উনাকে সারেন্ডার করতে হবে, কিংবা সুযোগ মতো সরিয়ে দেয়া হবে। মনে হয়, এখন উনি চাইলেও এই কক্ষপথ বদলাতে পারবেন না, মোটামুটি দেরী হয়ে গেছে, সময় থাকতে উনি দরকারী কাজগুলো করেননি।




মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:০২

নতুন বলেছেন: যদি শেখ হাছিনাকে ব্যক্তিগত ভাবে ভালো মানুষ ভেবে নেই তবে।

শেখ হাছিনা কে পুতুল প্রধানমন্ত্রীর মতন সামলে রেখে নেতারা। তারা উনার ইগোর খোরাক জুগিয়েছেন, তার সামনে চেতনা বিক্রি করেছে।

তাতেই মুগাম্বু খুশ হয়ে গেছে।

২০ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০০

সোনাগাজী বলেছেন:



উনার ইগোেক সমুন্মত রেখে , একই সাথে দক্ষ-মানুষদের সরকার পরিচালনার কাজে ব্যবহার করতে পারতেন; উনি ভুল ধারণার উপর আছেন, ভেবে আসছেন যে, মাসলম্যনরা ছাড়া জামাত-শিবির-বিএনপি'কে থামাতে পারবেন না, ইহা ভুল ধারাণা।

উনি বুদ্ধিমান মানুষদের সরকারে নিলে, ওখন মিলিটারীর সাইনবোর্ড ও পাকি সংস্কৃতির ধারক ও বাহকরা নিজের থেকেই বাস্পীভুত হয়ে যেতো।

২| ২০ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৪

কামাল১৮ বলেছেন: এক হাতে তালি বাজে না।প্রধান বিরোধী দল যেভাবে ক্রিয়া করেছে তারা সে ভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।এটা দেখাতে গিয়ে দল তৃনমূল থেকে হারিয়ে গেছে।
দলে গনতন্ত্রের অভাব ছিলো শেখ সাহেবের মৃত্যুর পর থেকেই।দল আর আগের ধারায় ফিরে যেতে পারে নাই।তাই দলে নেতৃত্ব গড়ে উঠে নাই।দল হয় গেছে জিহুজুরের দল।বিরাট একটা পরিবর্তন ছাড়া এদেশের ভবিষৎ খুব একটা ভালো দেখছি না।
বাম ধারাটা খিন্ন হতে হতে এখন প্রায় শুন্য হয়ে গেছে।এটাও একটা সমস্যা।সেই স্থান দখল করে নিয়েছে মৌলবাদী গুষ্ঠি।
সারা বিশ্বেই মৌলবাদী শক্তির উথ্থান দেখা যাচ্ছে।

২০ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৩

সোনাগাজী বলেছেন:



শেখের দলে বিশ্বমানের রাজনীতিবিদ ছিলো না; উনার মৃত্যুর পর, উনার দলের লোকেরা মাথা হীন মুরগীর মতো দিকবিদিগ-জ্ঞানশুন্য হয়ে পড়েছিলো, উহা এখনো বিরাজমান; না'হয়, ফখরুল-রিজভী অনেক আগেই বিদায় নিতো। শেখ হাসিনার আমলে আওয়ামী লীগ ঠিক পশ্চিম পাকিস্তানের ঠকদের মতো জাতির সম্পদ দখল করেছে।

৩| ২০ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৩

নতুন বলেছেন: বাংলায় একটা কথা আছে:-

ঘর পুইলো তো পুইলো, উই তো মইলো...

অর্থ ঘর পুড়ছে তো পুড়ছে কিন্তু উই তো মরসে।

১০৫ জন মানুষকে মেরে ফেলে হাসিনা জনগনের প্রধান মন্ত্রী হিসেবে বঙ্গবন্ধুর চেতনা বিক্রি করবে।

আর বাংলাদেশের জনগন তালি বাজাবে। :|

অনেক সময় দানবকে দমন করতে হয়। পরের টা পরে না হয় দেখা যাবে।

২০ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৫

সোনাগাজী বলেছেন:


দরকারী কাজ না করে, উন্নয়নের রূপকথা বলে বেড়ায়েছেন শেখ হাসিনা; উন্নয়ন হলে, মানুষের চাকুরী হতো, মানুষ এভাবে বিশৃংখল হতো না।

৪| ২০ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১১:৪৯

প্রহররাজা বলেছেন: দেশের বেশীর ভাগ মানুষ পাকিস্তান ভাগের পক্ষে ছিলো না কোনদিনও। সব রাগ হাসিনার উপর ঝারতেসে।

২১ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১২:৩১

সোনাগাজী বলেছেন:


যারা এক পাকিস্তানে বিশ্বাস করতো, তারা ছিলো ইডিয়ট ও সুবিধাভোগী।

শেখকে হত্যা করে জিয়া ক্ষমতায় আসার পর, তারা পাকিস্তান ফিরে পেয়েছিলো। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় যাবার পর ওরা মনে করেছিলো যে, পাকিস্তান আবারো হারিয়ে গেছে; আসলে, তারা ইডিয়ট; শেখাসিনার সরকার ঠিক পাকিতাস্তানে মতোই চলছে: কোন চাকুরীর সৃষ্টি করেনি, মানুষ ফেইসবুকে গ্রেজুয়েট হচ্ছে; শেখ বংশের কানা-লুলারাও এমপি ও বড় বড় ব্যবসায়ী

৫| ২১ শে জুলাই, ২০২৪ ভোর ৪:২২

কাছের-মানুষ বলেছেন: আওয়ামী লীগ আন্দোলন শুরুর দুই দিন পরও বলেছিল এই আন্দোলন থামানোর জন্য ছাত্রলীগই যথেষ্ট! অথচ ছাত্রলীগ দুই দিনও টিকতে পারেনি! এখন ওবায়দুল কাদের থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছে কোটা তুলে দেয়া হবে, মেধাবী ভিত্তিতে ৮০ শতাংশ চাকরি দেয়া হবে (বর্তমানে ৪৪%)! পরিস্থিতিতে এমন কয়েকদিনের আন্দোলনের মাথায় সব আওয়ামী লীগ সমর্থক/প্রশাসন ভেঙ্গে পড়েছে যার ফলে সেনা/বিজিবি নামাতে হয়েছে (এটা সাধারণত থাকে লাস্ট কার্ড)! এটিএন নিউজ, প্রথম আলো থেকে সমস্ত মিডিয়া এবার প্রত্যক্ষ করেছে শত শত ছাত্রলীগ পদত্যাগ করেছে, এটি আগে কখনো দেখা যায়নি!

কোটা সমস্যা ২০১৮-তেই সমাধান করা যেত, তখন রাগ দেখিয়ে সমস্ত কোটা উঠিয়ে দিয়েছে পারমামেন্ট সমাধান না করে। তখন কি জানত না এই সমস্যা আবার আসবে? আন্দোলনের শুরুর দিনই যদি সরকার বলত সরকার সাধারণ ছাত্রদের পাশে আছে, এর সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করব! যেখানে আলোচনা করে সমাধানের পথ খোলা ছিল, সেখানে গুলি করে অগণিত ছাত্রদের হত্যা করা হল! এখন বলছে আলোচনা করবে? ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া কভার করছে বাংলাদেশের ইতিহাসের এরকম মাস কিলিং কখনো হয়নি! কলকাতাতেও ছাত্ররা আমাদের সাধারণ ছাত্রদের সমর্থনে মিছিল করেছে! ভারতের মত গণতান্ত্রিক দেশ আর কত দিন সাপোর্ট দিবে জানি না কারন তাদের নিজেদের জনগনের কাচে জবাবদিহিতা করতে হয়!!

যে কোন দেশের স্বৈরশাসক টিকে থাকে নিজেদের সমর্থক যারা সরাসরি উপকারভোগী এবং দেশের সিংহভাগ নিরপেক্ষ সাধারণ জনগণের মৌন সমর্থনে, এটা ২০১৮ পর্যন্ত সরকার পেয়ে এসেছিল। বেশির ভাগ মানুষ ভাবছিল এভাবে চলুক, যে আসবে সেও দুর্নীতিবাজ হবে, কাকে আনব ক্ষমতায়! ২০১৮ সালেও ফেসবুকে শত শত মানুষ ছিল যারা সরকারের পক্ষে কথা বলেছে! এখন শতকরা ২% ও হবে না নিরপেক্ষ জনগণের মধ্যে! অর্থত বিশাল জনগোষ্টীর কোন মৌন সমর্থনও নেই!

এই আন্দোলন শুধু কোটা নয়, দুর্নীতি, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, দূর্নীতিগ্রস্ত প্রশাসনের বিরুদ্ধে পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বিস্ফোরণ! যে কোন অগণতান্ত্রিক সরকার একসময় দানবে পরিণত হয়! অগণতান্ত্রিক সরকারকে প্রশাসন এবং দলের মধ্যে অনেক কম্প্রোমাইজ করে চলতে হয়, দুর্নীতিকে আস্কারা দিতে হয় টিকে থাকতে, আর জনগণের কাছে জবাবদিহিতা দেয়ার যেহেতু প্রয়োজন হয় না তাই একসময় এই ধরনের সরকার মনের অজান্তেই দানবে পরিণত হয় যা তারা নিজেরাও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না!

লক্ষ্য করুন এই কয়দিনের আন্দোলনে সরকার সমর্থক কাউকে খুব বেশী খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না! যদি পাশা পাল্টে যায় ৭৫ এর মত আওয়ামী লীগের কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না! বেশীরভাগই পল্টি মারবে!

মানুষ অন্তত এটা বুঝতে শিখেছে যে গণতন্ত্র থাকলে যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক, মানুষের কাছে তাকে জবাবদিহি করতে হয়! মানুষের ভাল না লাগলে ৫ বছর পর লাথি দিয়ে নামিয়ে দিবে! অন্তত এই অধিকারটুকু দরকার!

সরকার যদি টিকেও থাকে এতগুলো মানুষের মৃত্যুর দাগ সরকার মুছতে পারবে না গা থেকে!

আপনি দেখেছেন সেই ভিডিও যেখানে একটি ছেলেকে খুব কাছ থেকে বুকের মাঝে পুলিশ গুলি করেছে? আমি পাকিস্তান দেখিনি, বাংলার শতকরা সিংহভাগ মানুষ পাকিস্তান দেখেনি তবে সেদিন সেটা প্রতক্ষ করেছে! শান্তিরোক্ষি দেখেনি বাংলার মানুষ তবে ছাত্রলিগকে দেখেছে কিভাবে জনগনের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে মেয়েদের পেটিয়েছে, কিভাবে মানুষকে রক্তাত্ব করেছে! এই কয়দিন যা প্রতক্ষ্য করেছে বাংলার মানুষ, এই ক্ষোভ সবসময় থেকেই যাবে! আবার কোন ছোট ইস্যুতে দাবানলের মত একদিন হয়তো জ্বলে উঠবে, তাসের ঘরের মত সব কিছুই হয়ত ভেঙ্গে যাবে প্রশাষনও বিপক্ষে যাবে না কে বলতে পারে!

[বাংলাদেশ থেকে কোন ব্লগারকে দেখছি না! নেট বন্ধে তারা হারিয়ে গেল!!!]

২১ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ৯:৪৯

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনার বক্তব্য ঠিক।
তবে, গণতন্ত্র আপনি যেভাবে বুঝে, আমাদের পুরো জাতির লোকজন গণতন্ত্রকে ওভাবে বুঝে না; কারণ, তারা গণতন্ত্র দেখেনি। জিয়া ও এরশাদকে ভোট দেয়া কোনভাবেই গনতান্ত্রিক কাজ ছিলো না।

ব্যুরোক্রটেরা, পুলিশ ও মিলিটারী আগামীতে শেখ হাসিনার হুকুম অগ্রাহ্য করবে।

৬| ২১ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:২১

কাছের-মানুষ বলেছেন: গণতন্ত্র আপনি যেভাবে বুঝে, আমাদের পুরো জাতির লোকজন গণতন্ত্রকে ওভাবে বুঝে না; কারণ, তারা গণতন্ত্র দেখেনি। জিয়া ও এরশাদকে ভোট দেয়া কোনভাবেই গনতান্ত্রিক কাজ ছিলো না।

ভারত কিন্তু মোদীজীকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় এনেছে, যার গায়ে গুজরাটের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার গন্ধ লেগে আছে! যুক্তরাষ্ট্র তাকে নয় বছর ভিসা দিতেও অস্বীকৃতি জানিয়েছিল, যেই মোদী ধর্মীয় রাজনীতি করে তাকেও ভারতীয় মানুষ ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেছে! সারা বিশ্বের কাছে এবং ব্যবসায়ীদের কাছে ভারত কিন্তু গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে পরিচিত, পৃথিবীর বিনিয়োগকারীরা ভারতের গণতন্ত্র দেখে এখানে আসে ব্যবসা করতে (গণতন্ত্র মানে সেখানে কিছুটা হলেও সুশাসন আছে!)! এখন মোদীজিকে ভোট দেয়া ঠিক না বেঠিক সেটা এক জিনিস, সবচেয়ে বড় কথা জনগণ ভোটের মাধ্যমে তার তাদের প্রতিনিধি ঠিক করেছে, ভোটের সময় মোদীজিকে কিছুটা স্বচ্ছতা প্রমাণ করতে হচ্ছে। তাকে বিশ্বের যে কোন দেশ সম্মান করছে কারণ জানে ইনি কোটি কোটি মানুষের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধি! কোন স্বৈরশাসক কি এই সম্মান পাবেন? কোন ব্যাবসায়ীরা কি বড় ধরনের বিনিয়োগ করবে? কারন ব্যাবসায়ি খুজে নিরাপত্তা তাদের বিনিয়োগের, সাস্টেইনেবল সমাজ! সবচেয়ে বড় কথা ভারতের একটি সাস্টেইনেবল গণতন্ত্র আছে এবং ভবিষ্যতে তারা চাইলেই মোদিজিকে সরিয়ে দিতে পারবে, এই পথ তাদের খোলা আছে! ব্যাপারটা যদি এমন হত রাহুল গান্ধী উদারপন্থী নেতা হিসেবে ক্ষমতায় গিয়ে গণতন্ত্রের পথ বন্ধ করে দিতেন, তাহলে ভারতের অবস্থান কোথায় থাকত!!

বাংলাদেশের মানুষ জিয়া ও এরশাদকে ভোট দেয়া কোনভাবেই গণতান্ত্রিক কাজ ছিল না, তবে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা টিকে থাকলে মানুষের কাছে সবার জবাবদিহিতার একটি পথ থাকত এবং লং রানে ৪০-৫০ বছর এই রকম গণতান্ত্রিক সাস্টেইন করলে সেটা আরো আধুনিক হত। আপনি যখন পুরো গণতন্ত্র ভেঙ্গে ফেলবেন, দুর্নীতি রুখতে পারবেন? উগ্রপন্থী রুখতে পারবেন? কারণ অগণতান্ত্রিক পদ্ধতি উগ্রপন্থী বেশী জন্ম দেয়! আপনি সাস্টেইনেবল একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা আসার পথই বন্ধ করে দিলেন! এখন যেই অবস্থায় দেশ চলছে, আগামী ২০-২৫ বছর পরও কি উন্নতি হবে? কয়েক বছর পর পর শুরু হবে রক্তের খেলা, দেশে সম্পদ বলে কিছু থাকবে না! এভাবে পুনরায় কক্ষপথে ফিরবে বলে মনে হয় না! এটা সম্ভব না! প্রধানমন্ত্রী তার দলের প্রশাসনকে বেজার করে দূর্নিতী রুখতে পারবেন? প্রশাসন বেজার হলে খবর আছে, কারন প্রশাসন জানে সরকার তারা টিকিয়ে রেখেছে জনগন নয়!

এই আন্দোলনে সব বিরোধী দল এক হয়েছে এটা অস্বীকার করার উপায় নেই, তবে এটাও মনে রাখতে হবে যদি সাধারণ মানুষ এবং লক্ষ লক্ষ ছাত্রছাত্রী স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ না করত, তাহলে বিরোধী দলগুলো ফুসলিয়ে ফাঁসলিয়ে কিছুই করতে পারত না; পারলে আগেই অনেক কিছু করত! তাই এই আন্দোলনকে ষড়যন্ত্র বা সাধারণ জনসাধারণ এবং ছাত্রছাত্রীদের ফুসলিয়ে এই পর্যন্ত নিয়ে আসা হয়েছে বলে লাভ নেই। এখানে সরকারের প্রতি মানুষের ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটেছে! আজকে দেশ যেই অবস্থায় আছে, যদি আওয়ামী লীগ বিরোধী দলের ভূমিকায় থাকত, তাহলে কি তারা হাতে চুড়ি পরে ঘরে বসে থাকত!

যাইহোক হোক আমি চাই দেশে শান্তি আসুক। প্রতিদিনই এই রক্তের খেলা দেখতে ভাল লাগছে না!

২১ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩

সোনাগাজী বলেছেন:



ভারত আগেও ছিলো "ধর্মনিরপেক্ষ দেশ", শাসনতন্ত্রে এখনো তাই আছে; মোদি বাংলাদেশের জিয়া ও এরশাদের মতো "দেশের গণতান্ত্রিক সরকার উৎখাত করে ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে "মিলিটারী এডমিনিষ্ট্রেটর" হয়ে দেশ দখল করে, তারপর মিকটারী এডমিনিষ্ট্রেটর থেকে প্রেডিরডেন্ট হয়নি; মোদী ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করে "ধর্মকেে কাজে লাগিয়ে ভোট পেয়েছে"; সেখানে গণতান্ত্রিক প্রসেসকে ব্যাহত করেনি; ফলে, জিয়া ও এরশাদের উদাহরণের সাথে মোদীর বিজয়কে তুলনা করা ঠিক হয়নি।

শেখ হাসিনা (২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল ) অনেক দীর্ঘ সময় ও সুযোগ পেয়েও "চাকুরী সৃষ্টি না'করাতে" আজকে দেশ ভরে গেছে বেকারে; দেশে ৪০ লাখ শিক্ষিত বেকার আছে, যাদের চাকুরী আছে তারা সবাই ডাকাতী করছে। আজকের এই কোটা লোটা সমস্যার হয়েছে দেশে "চাকুরী সৃষ্টি" না করায়।

৭| ২১ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৪:১২

আঁধারের যুবরাজ বলেছেন: @আমাদের পুরো জাতির লোকজন গণতন্ত্রকে ওভাবে বুঝে না; কারণ, তারা গণতন্ত্র দেখেনি। জিয়া ও এরশাদকে ভোট দেয়া কোনভাবেই গনতান্ত্রিক কাজ ছিলো না।

গাজী ভাই , ৭০ এর দিকে পাকিস্তানী শাসকরাও এইভাবেই ভাবতো ! তারাও আমাদের ভোটকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করেছিল। সেই জন্যই আপনারা যুদ্ধ করে স্বাধীন দেশ বানিয়েছিলেন। জিয়া / এরশাদ কেই কি শুধু দেশের মানুষ ভোট দিয়েছিলো ? আওমীলিগকেওতো দিয়েছিলো।

বর্তমানে যে অবস্থা , এতো লাশের পর ,হাজার হাজার নিরীহ ছাত্র আহত হবার পরে। শেখ হাসিনাকে অবশ্যই সরে যেতে হবে। এর পরে দেশের মানুষ ঠিক করবে কে বা করা দেশের দায়িত্ব নেবে । আমি বা আপনি আমাদের যার যার পছন্দের দলকে বা প্রার্থীকেই ভোট দেব ,ওই টুকুই। কেউ চাইলে মানুষের সচতনতার জন্য লিখবেন বা প্রচার করবেন। কিন্তু কোনো ভাবেই দেশের অধিকাংশ মানুষের ইচ্ছাকে কেউ অসম্মান করতে পারে না।

২১ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:২০

সোনাগাজী বলেছেন:




শেখ হাসিনা দীর্ঘ সময় ও সুযোগ পেয়েও কোন চাকুরী সৃষ্টি করেনি; উনার ব্যুরোক্রেসী, পুলিশ ও সাধারণ সরকারী কর্মচারীরা চাকুরী সৃষ্টির ক্যাপিটেলকে চুরি করে ঢাকা শহর গড়েছে।

দেশের অধিকাংশ মানুষ কন সময় সঠিকভাবে ভোট না'দেয়াতে জিয়া, এরশাদ, বেগম জিয়া ও শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসতে পেরেছিলো; দেখেন, দেশে কি হয়! দেশ আগামী ১০ বছরে আবারো মিলিটারীর হাতে যাবে আরেকবার।

৮| ২১ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৪:২৯

আঁধারের যুবরাজ বলেছেন: লেখক বলেছেন: আজকে দেশ ভরে গেছে বেকারে; দেশে ৪০ লাখ শিক্ষিত বেকার আছে

সঠিক বলেছেন। আমি নিজ কানে শুনেছিলাম একটি ভিডিওতে( বেশ কিছু বছর পূর্বে ) যে, স্বাস্থ মন্ত্রী কোনো এক সভাতে বলতেছিলেন যেন বেছে বেছে ছাত্রলীগের ছেলেদেরকে যেন চাকরি দেয়া হয়। পুলিশের চাকরিতে অলিখিত কোটা আছে গোপালগঞ্জ এবং কিশোরগঞ্জের ! এখন বলেন বাদ বাকি আর থাকে কি ,সাধারণদের জন্য।

২১ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:২২

সোনাগাজী বলেছেন:



চাকুরী যদি সৃষ্টি করা হতো, সব চাকুরীতে ছাত্রলীগকে চাকুরী দেয়ার পরেও বাকী সবাই চাকুরী পেতো; আমাদের জাতির লিলিপুটিয়ানরা চাকুরী সৃষ্টি করতে জানে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.