নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একমাত্র সোস্যালিষ্ট অর্থনীতি বাংগালী জাতিকে নিজ পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করবে।
বাংগালী জাতির নাগরিক অধিকারের সফল পথিকৃত ছিলো মওলানা ভাসানী(১৮৮০- ১৯৭৬ সাল); মওলানা প্রকৃতি-প্রদত্ত সাম্যবাদী মানুষ ছিলেন; ভারতের স্বাধীনতা জন্য লড়েছিলেন; পাকিস্তান হওয়ার পর তিনি বাংগালীদের নাগরিক অধিকারের জন্য লড়ে গেছেন আজীবন।
পাকিস্তানের শুরুতে তিনি মুসলিম লীগের আধা-কলোনিয়েল শাসনের সময় থেকে শুরু করে, ১৯৭৫ সাল অবধি শ্রমিক ও কৃষকদের অধিকার নিয়ে অনেক বড় বড় আন্দোলন করে গেছেন।
১৯৬৮ সালে তিনি আইয়ুবের কোপানল থেকে শেখকে রক্ষা করেন।
তিনি পোর্ট ও রেলওয়ে শ্রমিকদের অধিকারের আদায়ে খুবই সফল হয়েছিলেন; আন্দোলনে যাওয়ার আগে তিনি রিস্ক ও সফলতা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করে নামতেন; কারণ, তিনি চাইতেন যে, কোন শ্রমিকের বউ বিধবা হোক, কিংবা ছেলেমেয়ে এতিম হোক; কারণ, তিনি জানতেন যে, শ্রমিকের মৃত্যু হলে, তার পরিবারকে কেহ দেখবে না।
আইয়ুব খানের আমলে শ্রমিকদের আধিকার আদায়ের জন্য শ্রমিক সংগঠনগুলো সারা বছরই আন্দোলন করতো; শ্রমিক লীগ (আওয়ামী লীগ) পুলিশের মার খেতো ও ওদের সফলতার হার ছিলো খুবই কম; শ্রমিক ইউনিয়নের ( হারুনর রশীদ, মোজাফ্ফর ) বেশীরভাগই হুলিয়ায় থাকতো, হরতাল করতো, মার খেতো, কিছুটা সফলতা ছিলো। মওলানা হিসেবে নিকেশ করে আন্দোলনে যেতেন; মিছিল করতেন কলকারখানের সামনে, সড়ক অবরোধ করতেন না; তবে, তিনি কয়েকবার সেক্রেটারিয়েট অবরোধ করেছিলেন; মিছিল ও অবরোধের সময় সবার সামনে থাকতেন।
আইয়ুব খানের পুরো সময়টাতে ছাত্র আন্দোলনও লেগেছিলো; তিনি ছাত্রদের আন্দোলনের নিয়ে খুব একটা আগ্রহী ছিলেন না; উনার দলে, শত ধরণের সমাজতন্ত্রী ছিলেন, তারা সেগুলো দেখতেন।
৩০ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১২:৪৫
সোনাগাজী বলেছেন:
আপনার বয়স জানলে, আপনার কমেন্ট বুঝতে সহজ হবে আমার জন্য।
২| ৩০ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১২:৪৩
কামাল১৮ বলেছেন: ১৯৫৭ সালে প্রথম পাকিস্তানকে সালামালাইকুম দিয়ে পরে জাতিয় আন্দোলন থেকে সরে আসেন।ছয় দফা দিয়ে জাতিয় নেতা হয়ে যান শেখ মুজিব।এই যে মাওলানা ফিছনে পড়ে গেলেন তার পর আর প্রথম সারিতে আসতে পারলেন নাই । এটা করেছিলেন কিছু অতিবাম নেতার পরামর্শে।যাঁদের বিশ্লেষণ ছিলো ভুল।
স্বাধীনতার এনেক বছর পরেও তারা তাদের দলের নাম রেখেছিলো পূর্ব পাকিস্তান কমিউনিষ্ট পার্টি( মা-লে)প্রথম দিকে আমি এই পার্টির সমর্থক ছিলাম।পরে আমি আমার ভুল বুঝতে পেরে ৬৮ ওখান থেকে সরি আসি।
৩০ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১২:৪৬
সোনাগাজী বলেছেন:
আপনি সরে কোথায় গিয়েছিলেন?
৩| ৩০ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১:০১
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: একটা ভিডিও দেখলাম পুলিশ ও বিজিবির পোশাক পরে গুলি করছে। ঐগুলা বাকি রিয়েল বিজিবি বা পুলিশ না। কেউ কেউ বলছে জঙ্গি জামাত শিবিরের কিছু লাশ দরকার ছিল তাই তারা গুলি করছে আবার কেউ কেউ বলছে ছাত্রলীগের পুলিশের পোশাক পরে এই কাজ করছে।
৩০ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১:০৯
সোনাগাজী বলেছেন:
দেশ সুদানে পরিণত হওয়ার পথে; অবস্হা বুঝে ব্যুরোক্রেটরা ও পুলিশ সরকারের কমান্ড মানবে না, হয়তো।
৪| ৩০ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১:৪৭
কামাল১৮ বলেছেন: সরে এসে পূর্ববালা শ্রমিক আন্দোলনে গিয়েছিলাম।যাঁদের মূল বক্তব্য ছিলো পূর্ববাংলা পাকিস্তানের উপনিবেশ।জাতিয় যুদ্ধের মাধ্যমে এদেশকে স্বাধীন করতে হবে।এই ব্রত নিয়ে চলে যাই পার্বত্য চট্রগ্রাম গহীন জংঙ্গলে ।গেরিলা যুদ্ধের সবক নিতে।সাথে নিয়ে যাই জেনারেল গিয়াপের কিছু বই।বৈরী পরিবেশে বেশি দিন থাকতে পারিনাই।
৩০ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ২:১৭
সোনাগাজী বলেছেন:
আচ্ছা, কোন সালে পার্বত্য চট্টগ্রামে?
৫| ৩০ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৩:৪৩
কামাল১৮ বলেছেন: ৬৯ বা ৭০ এর দিকে
৩০ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪
সোনাগাজী বলেছেন:
আপনি টখন যুবক ছিলেন।
৬| ৩০ শে জুলাই, ২০২৪ ভোর ৬:১৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
১৯৭৫ সালে এবং এর কিছু আগে মাওলানা রাজনীতি ছিল পুরোটাই ভুল।
তিনি কঠোর মুজিব বিরোধী ছিলেন এবং চাইতেন সেনাবাহিনী ক্ষমতা নিয়ে নিক।
মুজিবের মৃত্যুতে তিনি স্বস্তি প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছিলেন।
৩০ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ৯:৫৬
সোনাগাজী বলেছেন:
তখন আমি দেশে ছিলাম না, কারণগুলো জানতে পারিনি।
৭| ৩০ শে জুলাই, ২০২৪ ভোর ৬:২৪
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জনাব সোহেল তাজ গতকাল যে ভাষ্য দিয়েছেন তার অর্থ দাঁড়ায়-
মেট্রোরেল সহ যে সমস্ত সম্পত্তি ধ্বংস করা হয়েছে সেগুলো জনগণের টাকায় তৈরি করা।
সুতরাং এগুলো ভাঙলেও ক্ষতি নেই ।
ভবিষ্যতে আবার গড়ে তোলা যাবে।
অসাধারণ একটি ভাবনা।
৩০ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ৯:৫৭
সোনাগাজী বলেছেন:
তাজউদ্দিন সাহেবের ছেলে আসলে পিগমী, আমি উহাকে ঘনিষ্ঠভাবে জানি।
৮| ৩০ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ৯:২৭
রানার ব্লগ বলেছেন: মাওলানার আদর্শ আর মুজিবের আদর্শের মাঝে বিস্তর ফারাক ছিলো।
৩০ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ৯:৫৮
সোনাগাজী বলেছেন:
মওলানার অনেক অভিজ্ঞতা ছিলো।
৯| ৩০ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:১৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
অসমাপ্ত আত্নজীবনী পড়ে জানতে পারলাম- মওলানা সাহেব একক সিদ্ধান্তে হক সাহেবের যুক্ত ফ্রান্টে সই করেন। সোহরাওয়ার্দী সাহেবের কোন মতামতও নেননি। অথচ নিজে নির্বাচন করেছেন বলেও জানা যায়নি।
৩০ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ২:৫০
সোনাগাজী বলেছেন:
সোহরাওয়ার্দী, মানিক মিয়া, তাজউদ্দিন সাহেব, এরা ডিগ্রীধারী লোকজন; এরা মওলানাকে পছন্দ করতো না; এজন্য মওলানা এদেরকে পেছনের সারিতে রাখতেন। সোহরাওয়ার্দী ও মানিক মিয়া মওলানাকে আওয়ামী লীগ থেকে বের করেছে।
১০| ৩০ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:১৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
মাওলানাকে আমিও যথেষ্ট শ্রদ্ধার চোখে দেখি। কিন্তু যখন জানতে পারি, ১৯৭৫ সালের কোন এক দিন টাঙ্গাইলে এনএসআই এর ডিজিকে বলেন- তোমরা ক্ষমতা নিয়ে নিচ্ছ না কেন? তখন আর আমার শ্রদ্ধা থাকে না।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ঘটনায় তিনি বিবৃতি দিয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছিলেন।
হুজুরের প্রতি মজিবরের তো শ্রদ্ধার কোন ঘাটতি দেখি নি।
৩০ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ২:৫৩
সোনাগাজী বলেছেন:
শেখ মুজিব উনাকে বুঝতেন ও ভয়ে থাকতেন, কখন উনার বিপক্ষে লেগে যায়; শেখ যে, নতুন দেশের মানুষের জন্য ভুল কাজ করে চলেছেন, ভাসানী ব্যতিত অন্য কেহ বুঝতে পারেননি।
৩০ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৩
সোনাগাজী বলেছেন:
আমার কোন ১টা পোষ্টে আপনার একটা লেখার উপর ফিডব্যাক দিয়েছিলাম, আপনি দেখেছিলেন?
৩০ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৬
সোনাগাজী বলেছেন:
আপনার লেখা পড়েছি।
সিমানটিক ও সিনটেক্স ভুল নেই; তবে, উপস্হাপনা ও ধারণার দিকে থেকে কিছু সমস্যা আছে।
১) বিষয়টাকে আরো ছোট আকারে লিখলে পাঠকের পড়ার সম্ভাবনা বাড়তো।
২) সংবিধানের লাইনগুলোকে পোষ্টের শেষ দিকে যোগ করে, উপরে উল্লেখ করলে ভালো হতো।
৩) আমাদের সংবিধানটাকে সেরা হিসেবে ঘোষণা করা ঠিক হয়নি; ইহা আসলে ডোডো ধরণের সংবিধান: নাগরিকের অধিকার ও দা্যিত্বের উপর জোর দেয়া হয়নি এই সংবিধানে।
৪) সংবিধানে "পদ বিতরণের" কথা বলেছে, কিন্তু "পদ সৃষ্টি করনে সরকারগুলোর দা্যিত্ব নিয়ে" কিছুই নেই; ইহা নিয়ে আপনি আলোচনা করতে পারবেন।
৫) সংবিধানের বাহিরে প্রয়োজনে "কমনসেন্স ব্যবহার করে পদবিতরণ করার দরকার আছে"; ইহা নিয়ে আপনি আলাপ করেননি।
৬) দেশের বর্তমান আর্থ-সামাজিক পরিস্হিতির প্রয়োজনে সরকার কি করা সম্ভব ও উচিত, সেটা নিয়ে আলাপ করেননি।
৭) অন্যদের লেখা/দাবীর জবাবে নিজের বক্তব্য লেখার চেষ্টা করবেন না।
**** লেখা মোটামুটিভাবে ভালো য়েছে।
১১| ৩০ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:০০
কামাল১৮ বলেছেন: জানতে চাওয়াটা ব্যাক্তিকেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছে।রাজনৈতীক মতাদর্শ জানুন ব্যক্তিকে নয়।আওয়ামী লীগ সহ কোন ডানপন্থী দলের সাথে একদিনও যুক্ত ছিলাম না সমর্থনও করি নাই।এখনো যা বলি দেশের স্বার্থে বলি।অভিজ্ঞতার আলোকে বাস্তব সম্মত বলতে চেষ্টা করি।
৩০ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ২:৫৪
সোনাগাজী বলেছেন:
আপনি নিজকে নিয়ে কোন সময় তেমন কিছু বলেননি, তাই জানতে চেয়েছি।
১২| ৩০ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৩
বিষাদ সময় বলেছেন: আমার বয়স জানতে চেয়েছেন। যদিও ভুলে যাবেন তাও বলি আমার বয়স ৫০+। প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা এক রকম আর ইতিহাস পড়ে খোলা মনে বিচার বিশ্লেষণ করে কোন কিছু জানা আরেক রকম। দুটোরই ভাল, মন্দ দিক আছে।
আপনি ৭১ সালে যে যুদ্ধে স্বক্রীয় ছিলেন সেখানে মাওলানা সাহেবের ভুমিকা কেমন ছিল?
৭৫ পরবর্তীতে মাওলানা সাহেব কোন এক জেনারেল কে তাঁর আদর্শের উত্তরসূরি বলে আশীর্বাদ করেছিলেন। সেই জেনারেল সাহেবের আদর্শ তো আপনার ভাল করেই জানা আছে।
৩০ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৩:০১
সোনাগাজী বলেছেন:
মওলানা নিজের সম্পর্কে কিছু লিখে যাননি, আপনি যা পড়েছেন তা যদি আমাদের ব্লগার না'হল তরকারীর মতো লেখকের হয়, তা অন্য মওলানার ইতিহাস ছিলো।
মওলানাকে তাজউদ্দিন সাহেব প্রবাসী ও অস্হায়ী সরকারের এডভাইজার নিযুক্ত করেছিলেন, মওলানা সোস্যালিষ্ট দেশেগুলোর রাষ্ট্রদুতদের সাথে যোগাযোগ করছিলেন সমর্থনের জন্য, একই সময়ে ভারতের সোস্যালিষ্ট দলগুলো মওলানাকে বিশেষভাবে প্রধান্য দেয়াতে ততকালীন ভারত সরকার কৌশলে মওলানাকে মেহমানের মতো নিস্খ্রিয় করে দেয়।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১২:২১
বিষাদ সময় বলেছেন: আপনার আর মাওলানা সাহেবের মধ্যে আদর্শগত পার্থক্য কমপক্ষে ১২০ ডিগ্রি...