নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সন্ধ্যা প্রদীপ

আমার সমস্ত চেতনা যদি শব্দে তুলে ধরতে পারতাম

সন্ধ্যা প্রদীপ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজকালের মেয়েরা যা বেহায়া!!!!!তাদের তো এমন শাস্তিই হওয়া উচিত

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:৩৩

টিএসসির ঘটনা এখন টক অব দ্যা টাউন।গত কয়দিন ধরে অনলাইন পত্রিকার খবরগুলো দেখছিলাম,ফেসবুকে আর ব্লগে মানুষের নানারকম প্রতিক্রিয়া আর আর নিচের কমেন্টগুলো পড়ছিলাম।যদিও কিছু লেখার জন্য অনেকবার হাত নিশপিশ করে উঠেছে কিন্ত বারবার থমকে গেছি।এধরনের ছোটখাট ঘটনা প্রতিদিনই ঘটে,নতুন কিছু একেবারেই নয়।তবে নতুন একটা জিনিস সেটা হচ্ছে এত মানুষের উপস্থিতি এবং সময়ের ব্যপকতা।লেখার শিরোনামটির ব্যাপারে অনেকেই একমত।





আজকালকার মেয়েরা বেহায়া তো বটেই।দিন বদলে যাচ্ছে নতুন নতুন ফ্যাশানের কল্যানে পোশাকে নানা পরিবর্তন আসছে।যদি একজন ধার্মিক এবং পর্দাশীল পরিবারের দৃষ্টি থেকে দেখি তবে বোরকা না পড়ে বাইরে যাওয়াও বেহায়াপনা আর সেক্ষেত্রে জিন্স,ল্যাগিংস টপস পড়া মেয়েরা তো বেহায়ার চুড়ান্ত।আই এগ্রী উইথ ইউ।কিন্ত দাঁড়ান দাঁড়ান!!!এখানে কিন্ত পোশাক নিয়ে আলোচনা হচ্ছে না।আলোচনা টা হচ্ছে একটা জঘন্য অপরাধ নিয়ে।উতসব মুখর লোকারন্য সন্ধ্যাতে দলবল নিয়ে নারীদের উপর আক্রমন করা এবং তাদের অন্যায় ভাবে স্পর্শ করা এমনি তাদের বিবস্ত্র করা।এটা যেকোনো দৃষ্টিতে অপরাধ।এমনকি যদি কোনো ছেলেকেও এভাবে রাস্তায় বিবস্ত্র করা হয় তবে সেটাও অপরাধ হিসাবে গন্য হবে।একজন পুরুষ ও এমন ঘটনার শিকার হলে বর্ননাতীত অপমানিত বোধ করবেন।তো এমন কাজ কারা করল,তদের ধরে শাস্তি দেয়া এটাই হওয়া উচিত আলোচনার প্রসঙ্গ।কিন্ত সবাই দেখি আলোচনা করছে নারীর পোশাক নিয়ে।পক্ষে বিপক্ষে প্রচুর লেখা আসছে,আসছে অসংখ্য কমেণ্ট।আমার হাত নিশপিশ করা সত্ত্বেও লিখতে দেরি হওয়ার এটা একটা কারন।সচেতন অনেকেই প্রতিবাদের ঝড় তুলেছেন তা দেখে মনে হচ্ছে আমি যা বলতে চাই তা তো লেখা হয়েই গেছে।আবার নিচের অনেক কমেন্ট দেখে এত বেশি বমি বমি ভাব হয়েছে যে মনে হয়েছে কি হবে লিখে???কয়জন আছে যারা মানুষের বাচ্চা।তাই এই কয়দিন লেখাগুলো নিয়ে গবেষনা করেই কাটালাম।আমি এখানে একটু ভিন্ন কথা বলতে চাই।তবে তার আগে পোশাকের ব্যাপারটা একটু না বললেই নয়।





একটু আগে একাত্তর টিভির সিসিটিভি ফুটেজ দেখলাম।হে অপরাধিদের সমর্থন করা শেয়ালের দল,যেটুকু দেখা গেছে তাতে একটা মেয়েকেউ সানি লিওনের মত আবেদনময়ী মনে হয়নি।রিক্সা থেকে যে আপুটাকে নামিয়ে নেয়া হলো সে তো সাধারনের চেয়েও সাধারন।যৌন হয়রানি নির্যাতন ধর্ষন যাই হয় আপনারা পোশাকের ধুয়া তোলেন।এটা করে আপনারা পানি ঘোলা করেন আর ঘোলা পানিতে সবসময় আসল অপরাধি হারিয়ে যায়।আপনাদের প্রতি ক্ষোভের চেয়ে বেশি করুনা হয় কারন আল্লাহ আপনাদের পশু হিসাবে জন্ম দিয়েছে আর এই পৃথিবীতে এসে আপনারা মানুষ হওয়ার সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেন না।অন্যদের মত বলবোনা যে আপনার মা বোনের সাথে এমন হলে বুঝতেন।আপনি কখনোই বুঝতেন না কারন মা বোনের প্রতি সহানুভুতি থাকলে কখনোই গলা উঁচু করে বলতে পারতেন না এই জঘন্য অপরাধটা সঠিক শিক্ষা ছিল মেয়েদের জন্য।তাদের সাথে এমন হলেও আপনি তাদের দোষ দেবেন।আপনাকে তাই খরচের খাতায় দিয়ে দিলাম।ফুটেজে দেখা যায় ঘটনা দেখে একজন পথচারী দাঁত কেলিয়ে হাসছে।আপনিও তো সেই দলের।তাই আপনাকে অভিশাপও দেবনা শুধু আপনার হাসিমাখা মুখে একদলা থু থু ছিটিয়ে আপনাকে ভুলে যাব।





আমাদের দেশের একটা চমতকার ব্যাপার হচ্ছে পোশাকের স্বাধিনতা।যার যা ইচ্ছা এবং সামর্থ্য সে তাই পড়ছে।কোনো বাঁধাধরা নিয়ম নেই।কেউ শাড়ি পড়ে,কেউ পড়ে কামিজ,হাই সোসাইটির অনেকেই জিন্স-টপস পড়ে আর যারা খাস পর্দা করতে চায় তারা মুখঢাকা বোরকায় ডুবে,হাতমোজা পা-মোজা পড়ে রাস্তায় বের হয়ে পড়ে।সরকারি কোনো নীতি নেই,নেই কোনো বাঁধাধরা নিয়ম।উদ্ভট কিছু দেখলে মানুষ ভ্রু কুঁচকে তাকায়,সমালোচনা করে কিন্ত পুলিশ এসে ধরে নিয়ে যায় না,কেউ ছুরি-চাকু নিয়ে ছুটে আসে না।এটাই তো আমাদের দেশের সংস্কৃতি।এদেশ কখনো বোরকা ঢাকা তলেবান দেশ ছিলনা কিংবা বিকিনি পড়া কোনো পশ্চিমা রাস্ট্র।এদেশে বৃটিশ মেমরা এসে কখনো বোরকা পড়েনি,এখনো ফরেনার রা হাফ প্যান্ট পড়ে এদেশে ভ্রমনে বেরহয়।অনেক ইসলামী দেশে যেটা সম্ভব না যেমন সম্ভব না অনেক পশ্চিমা দেশে নির্বিঘ্নে খাস পর্দা করা।এটাই আমাদের দেশের স্পেশালিটি এবং এটা একটা চমতকার ব্যাপার।আপনারা বললেই তো হবে না।এটা কখনোই পর্দাশীলদের দেশ ছিলনা।





তাই আপনি বলতে পারেন না যে মেয়েরা বেহায়া।তার আগে দেখতে হবে আপনি কে???যদি আপনি কড়াকড়ি ধর্মীয় পরিবারের মানুষ হন তবে সেটা আপনার কাছে মনে হতেই পারে।কিন্ত মুমিন মুসলমানের জন্য পরনিন্দা হারাম।অনেক তাবলীগ করা পরিবারে দেখেছি যে সকল নারী পর্দা করেন,পুরুষরা ইসলামী লেবাস পড়েন এবং সামনে কোনো নারী পড়লে চোখ নামিয়ে চলে যান।আপনি যদি এমন পরিবারের হন তবে আপনার উচিত বেপর্দা মেয়ে দেখলে এবং তার পোশাক বারাবারি খারাপ লাগলে মনে মনে নাউজুবিল্লাহ!! বলে নিজের ঈমান নিয়ে কেটে পড়া।





তবে আমি নিশ্চিত আপনি এমন কোনো পরিবারের মানুষ নন।আপনি নিজেও হয়ত নামাজের দোয়াগুলো ঠিকমত জানেন না।রাস্তায় মেয়ে দেখলে নির্লজ্জভাবে তাকিয়ে থাকেন এবং সুযোগ পেলে ন্যনো সেকেন্ড এর মধ্যে সামনে পেছনে হাত চালিয়ে পিকো সেকেন্ড এর মাঝে উধাউ হয়ে যান।নিয়ম করে পর্ন দেখেন,চটি বই পড়েন এবং অবসরে আসেপাশের নারীদের দেহের ভাঁজ মাপেন।জিগাসা করবো না নিজের মা,বোন বা মেয়ের শরীর নিয়ে গবেষনা করেছেন কিনা।কারন আমি নিশ্চিত সেই গবেষনা আপনার কিশোর বয়েসেই করা শেষ হয়ে গেছে।তাই আপনার মত চরিত্রের লোকদের মুখে নারীর পোশাকের সমালোচনা মানায় না।





নিজেরা নিজেদের চরিত্রের ব্যপারে সচেতন নন কিন্ত কোথাও কোনো মেয়ের নির্যাতনের খবর পেলে ধর্মের অবতার বনে যান।হে জঘন্য লোক!এটা আপনার ফ্যান্টাসির জগত না।এটা বাংলাদেশ যেখানে বেশিরভাগ মানুষ নিন্মবিত্ত বা মধ্যবিত্ত।আপনার কল্পনার জগতে থাকা ছিনেমার নায়িকার মত পোশাক নয় এখানে বেশির ভাগ মেয়ে শাড়ি,কামিজ আর বোরকাই পড়ে।আর যেসব নারীদের আপনি নাটক সিনেমায় দেখে হা হুতাশ করেন বা যাদের পশ্চিমা পোষাক পড়ে প্রাইভেট ভার্সিটি বা শপিং মলে বিশাল গাড়ি থেকে নামতে দেখেন তারা আপনার ধরা ছোঁয়ার বাইরে।তাদের গায়ে হাত দেয়া তো দূরের কথা ইভটিজিং করলেও তাদের পরিবার আপনার পশ্চাতদেশে এক মাইল লম্বা বাঁশ ঢুকিয়ে খাড়া করে আপনাকে রোদে শুকাতে দেবে।তাই আপনার যে জাত ভাইগুলো এসব কান্ড করে তারা পশ্চিমা পোশাক পড়া মেয়ে দেখে করে না বরং নিরীহ দেখতে সাধারন মেয়েদের সাথেই করে।আর টিএসসির ঘটনার পেছনে যারা দায়ী তারা সাধারন মানুষ না।এতটা ন্যাক্কারজনক কাজ করতে যে সাহস লাগে তা যেহেতু তাদের আছে তাই তারা অবশ্যই ক্ষমতাবান এবং এদের পেছনে স্ট্রং ব্যাকাপ আছে।এদের খুঁজে বের করে শাস্তি দেয়ার বিকল্প কিছু নেই।এদের মনুষত্ব নেই জানা কথা, অপরাধের শাস্তি হোক এটাই কামনা করি কিন্ত আমার এদের চেয়েও বেশি ক্ষোভ আর ঘৃনা আপনাদের উপরে যারা কম্পিউটার স্ক্রিনের পেছনে লুকিয়ে এদের সমর্থন করে যাচ্ছেন আর দাঁত কেলিয়ে হাসছেন।আপনাদের শাস্তি কি হতে পারে???আমার মনে হয় যদি আপনার হরমোন চেঞ্জ হয়ে আপনি ন্যাচারাল ভাবে নারীতে পরিনত হন এবং নারী হিসাবেই আপনার বাকি জীবন কাটাতে হয় সেটাই হবে চমতকার শাস্তি।





যেসকল মেয়ে এটা সমর্থন করেছেন তাদের বলছি,আপু এক মাঘে কিন্ত শীত যায় না।আপনি শালীন ভাবে চলেন ভাল কথা অন্যরা অশালীন পোশাক পড়লে সেটা আপনার কাছে নিন্দার যোগ্য তো নিন্দা করুন কিন্ত ভুলেও ভাববেন না যে পোশাকের জন্য এমন শাস্তি প্রাপ্য।আপনি যদি অন্তঃপুরের বাসিন্দা হন এবং রাস্তায় না বের হতে হয় তবে আপনি ভাগ্যবতী।হয়ত আপনি স্বামীর উপর নির্ভরশীল হয়ে সুখেই আছেন।কিন্ত যেসব মেয়েরা প্রতি নিয়ত রাস্তার বের হয়,পড়ালেখা বা চাকরির জন্য তাদের আপনার চেয়ে বেশি আত্মসন্মান আছে বলেই এত বিরূপ পরিবেশ সত্ত্বেও বের হয়।তাই তাদের সমালোচনা করা অধিকার আপনার নেই।আপনি হয়ত এদের খারাপ বলে নিজের স্বামীর কাছে ভাল সাজতে চান কিন্ত আপনার স্বামী কি আপনাকে ভাল ভাবে??আপনার মত মেয়েদের কারনেই পুরুষ রা নারীদের মূর্খ ভাবে এবং এটাও বলে যে মেয়েরাই মেয়েদের শত্রু।আপনাদের অজ্ঞতা আর নির্বোধ আচরনের জন্য সব মেয়েকে গালি শুনতে হয়।ওয়েট!!আপনি না বের হন আপনার মেয়ে বের হবে কিংবা আপনার নাতনি।এল্যুমিনিয়াম ফয়েল দিয়ে মুড়িয়েও তাকে পুরুষের নোংরা হাত থেকে বাঁচাতে পারেন কিনা একটু ট্রাই করে দেখেন।যার পোশাকের বেপারে কান্ডজ্ঞান নাই সে এমনিতেই সবার সামালোচনার শিকার হয়।এটুকুই যথেষ্ট।এর জন্য এর চেয়ে বেশি সাজা দরকার নেই।এমন ভয়ংকর কিছু তো কখনোই নয়।





এবার যে কথাটুকু বলতে চাই সেটা বলি,কথাটা সুশীল সমাজের জন্য।আচ্ছা আমরা কি মেয়েদের একটু বেশি সন্মান দিয়ে ফেলছি না??এত সন্মান দেয়ার কি সত্যিই দরকার আছে??ভাবুন তো একবার সন্মান জিনিসটা কি?এটা একটা ধারনা মাত্র,তাই নয় কি?একজন দরিদ্র লোক মেয়ের বিয়ে দিতে গেলে ভাবে অন্তত একশ মানুষকে মাংশ-ভাত না খাওয়ালে সন্মান থাকবে না।সেই লোকটিই যদি কোনো উপায়ে কোটিপতি হয়ে যায় সে ভাববে অনন্ত দুহাজার অতিথি কে রেডিসনে না খাওয়ালে সন্মান থাকবে না।এটা তাই পরিবর্তনশীল একটা ধারনা।আমরা আসলে নারীর সন্মান এর কথা বলে বলে তাকে আরো শেকলে আবদ্ধ করে রেখেছি।তাই একসিডেন্টের ফলে পোষাক ছিঁড়ে নারী বিবস্ত্র হলে যতটা লজ্জা আর অপমানবোধ করে পুরুষের দ্বারা বিবস্ত্র হলে তার চেয়ে হাজারগুন বেশি মনে করে।আর আমরা ভাবি মেয়েটির সন্মান চলে গেল,তার জীবনটাই শেষ।





প্রশ্ন হচ্ছে জীবনটা কি আসলেই এত তুচ্ছ যে একটা সন্মানের ধারনার জন্য নষ্ট করতে হবে???ধরুন যদি কখনো মেয়েরা রেপ বা লাঞ্ছনাকে এতটা গুরুত্ব না দেয়,যদি একটা রোগ বা একসিডেন্টের মত মামুলি চোখে দেখে তবে কি হবে।ধকল কাটিয়ে নিয়ে সে যদি আবার ঝলমলে হাসি মুখে নিয়ে রংচঙ্গে পোশাক পড়ে মাথা উঁচু করে বাইরে বের হয় তবে সেই নিপীড়ক কি করবে???আর কি উপায় থাকে নারীকে শায়েস্তা করার যদি সে অপমান টাকে পাত্তা না দেয়???জানি এটা অলীক কল্পনার মতই শোনাচ্ছে এই মূহুর্তে কিন্ত যদি ক্ষমতাশীল গুণ্ডাপান্ডার থেকে নিজেদের মেয়েদের রক্ষা করার ক্ষমতা আমাদের না থাকে তবে তাদের উপর থেকে সন্মানের বোঝাটা হালকা করতে হবে বই কি।তাতে অন্তত তাদের আত্মহননের পথ বেছে নিতে হবে না,তাদের জীবনটা অন্ধকারে ঢেকে যাবে না।কঠিন জানি কিন্ত সব ভাল মানুষগুলো যদি একটু একটু করে আগায় তবে ধীর গতিতে হলেও পরিবর্তন আসবেই।

আপুদের বলতে চাই আমার জানা আছে যে পোশাকই পড়েন হাত আপনার উপর আসে এবং আসবেই।তাই এখন থেকে সন্মানের ভয়ে অসার হয়ে না থেকে সেই হাত মুচড়ে ভেঙে দিন।যে লোক আপনাকে অন্যায় ভাবে স্পর্শ করে সম্ভব হলে তার জায়গা মত একটা লাথি দিয়ে তাকে ইম্পোটেন্ট করে দিন।রাস্তায় যদি আপনাকে পাগলা কুত্তা তাড়া করে কামড়ে ধরে তো আপনি প্রান বাঁচাতে একটা লাথি তো অবশ্যই দেবেন তবে এখানে কেন পারবেন না।নিজেকে এত দূর্বল ভাববেন না।দিনকাল খারাপ।আপনার বাবা ভাই বা হাসবেন্ড এর পক্ষে আপনাকে সবসময় গার্ড দিয়ে চলা সম্ভব না।আর এতগুলো কুকুর ঝাপিয়ে পড়লে তদের পক্ষেও আপনাকে রক্ষা করা সম্ভব না।নিজের শক্তি তাই নিজেকে হতে হবে।ডায়েট করে করে নিজের লতার মত দূর্বল বানিয়েন না,বরং নিজের বাহুকে শক্ত করেন যাতে যে উতক্তকারী আপনার হাতের একটা ঘুষি খাবে সে আপনার চেহারা যেন সারা জীবন মনে রাখে।পুরুষের ঘাড়ে চড়ে আর কতদিন??কে জানে কার ভেতরে কোন হায়না লুকিয়ে আছে??জানি সহজ না এসব কিন্ত এছাড়া তো আর কোনো উপায় ও নেই।কেন আর সহ্য করবেন??সহ্য করলেই কি সমাজ আপনাকে ভাল ভাবে বাঁচতে দেবে??



ভাইয়াদের বলছি যদি সত্যি আপনারা নারীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল হন তবে তাদের উপর থেকে সন্মানের এই অলীক বোঝাটা কমাতে চেষ্টা করুন।সন্মান গেছে বিচার চাই কথাটার চেয়ে যে অন্যায় হয়ছে বিচার চাই কথাটা বেশি শোনা যায়।জীবনে যে দূর্ঘটনাই ঘটে যাক নারীকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে সাহায্য করুন,তাকে সামনে এগিয়ে দিন।নারীর সন্মানের ভয়ে তাকে আড়াল করে রাখার দরকার নেই বরং বুক ফুলিয়ে গিয়ে তার পাশে দাঁড়ান।কারন যে দেশে নারীদের সাধারন নিরাপত্তা নেই,অপরাধীর বিচার নেই,একজন কাপড় খোলে একশ জন মজা নেয় সেখান মান-সন্মানের প্রশ্নটা বিলাসিতার সমতুল্য।হয়ত এটাকে গায়ে না লাগিয়ে অতিক্রম করে যাওয়ার সময় এসে গেছে।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:০০

মাসূদ রানা বলেছেন: @সন্ধ্যা প্রদীপ

বৃটিশ মেমরা যেমন অর্ধ নগ্নাবস্থায় চলাচলে অস্বাচ্ছন্দ বোধ করে না, তদ্রুপ ছোটখাটো উত্তক্ত কিংবা গুতাগুতিকেও যৌন হয়রানী মুলক মনে করে না ......... কিন্তু বাংগালী মেমরা তা মনে করে । সুতরাং গুতাগুতি থেকে বাচতে চাইলে অবশ্যই বৃটিশ মেমদের মত বক্ষ উন্মুক্ত করার সংষ্কৃতি থেকে বাংগালী মেয়েদের বেড়িয়ে আসা হবে, নতুবা গুতাগুতিকেও কালচারের অংশ হিসেবে মেনে নিতে হবে :)

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ২:১৬

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন:
জনাব মাসূদ রানা আপনার অবগতির জন্য জানাতে চাই যে বাইরের মেয়েরা পারসোনাল স্পেস রক্ষার ব্যাপারে এদেশের মেয়েদের চেয়ে বেশি সচেতন।আর সেসব দেশের পুরুষ রা কাপুরুষের মত ছোয়ার ব্যাপারে আপনাদের মত এক্সপার্ট না।

উ্ত্তক্ত করা সব দেশের মেয়েদের জন্যেই সমান অপছন্দের।আপনার মতে যেহেতু বোরকা ছাড়া চললে গুতাগুতি তে মেয়েদের অভস্ত্য হতে হবে তাহলে এখন থেকে মেয়েদের উত্তক্ত করলে ধোলাই খেয়ে পঙ্গু হওয়াতেও ছেলেদের অভস্ত হওয়া উচিত।এটাকেউ কালচার হিসাবে মেনে নেবেন আশা করি। X((

২| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:৩১

হু বলেছেন: সুন্দর একটি লিখা ... সময় উপযোগী সাজেশন রয়েছে ...। ধন্যবাদ আপনাকে

২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:১১

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: লেখাটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।আসলে আমরা যা বলছি বা লিখছি তাতে কোনো কাজ হবে না---এগুলো শুধুই মনের অক্ষম ক্রোধের প্রকাশ।সমাজ বা দেশের আইন যদি নারীদের রক্ষা করতে না পারে এবং অন্যায় এর বিচার না হয় তবে মেয়েদেরকেই শক্ত হতে হবে।নিজের সুরক্ষার ভার নিজেকেই নিতে হবে।

৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:৫৩

মুর্তজা হাসান খালিদ বলেছেন: মানুষ হতে না পারলে পশুবৃত্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে
মানসিকতার পরিবর্তন না ঘটালে পোশাকও রক্ষাকারী হতে পারবেনা

২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:৪৬

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: সহমত ভ্রাতা---

৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৪৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: এসব প্রাণী মানুষ নামের কলঙ্ক।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:৪৪

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: আসলে এদের ব্রান্ডিং হওয়া উচিত এইভাবে---
"পিগ ইনসাইড"
"ডগ ই্নসাইড"
"হায়েনা ইনসাইড" ইত্যাদি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.