নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সন্ধ্যা প্রদীপ

আমার সমস্ত চেতনা যদি শব্দে তুলে ধরতে পারতাম

সন্ধ্যা প্রদীপ › বিস্তারিত পোস্টঃ

যশোর বোর্ডে কি শুধু গাধা গরুদের বাস?নাকি এটাই সারা দেশের শিক্ষার্থীদের আসল স্ট্যান্ডার্ড?

০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:৩০

কুখ্যাত বোর্ড হিসাবে যশোর বোর্ডের এমনিতেই অনেক দুর্নাম আছে।এবার যশোর বোর্ডের রেজাল্ট দেখে আঁতকে উঠেনি এমন মানুষ হয়ত কমই আছে।সারা দেশের তুলনায় যখন একটি বোর্ডের রেজাল্ট এত বেশি খারাপ হয় তখন ধরে নিতে হবে সেই ব্যাচে সমগ্র দেশের গাধা শিক্ষার্থী এক হয়েছে।হ্যাঁ আমি জানি সারা দেশের দূর্বল ছাত্রদের একটি বোর্ডে এসে জমা হওয়া সম্ভব নয়।তাহলে বুঝতে হবে এমন রেজাল্ট বিপর্যয়ের পেছনে অবশ্যই কোনো কারন আছে।নিশ্চয় এই বোর্ডটিতে পরীক্ষার প্রশ্ন, উত্তরপত্র মূল্যায়ন এবং ফল প্রকাশের জটিল প্রক্রিয়ার এক বা একাধিক ধাপে বড় ধরনের কোনো সমস্যা হয়েছে।সাধারণ মানুষ হিসাবে আমার পক্ষে বোর্ডের অন্দর মহলের গূঢ় তথ্য জানা সম্ভব না।কিন্ত সাধারন মানুষের লেভেল থেকে কিছু চিহ্নিত সমস্যার উল্লেখ না করে পারছি না।

নিজে যশোর বোর্ডে এস,এস,সি এবং এইচ,এস,সি দিয়েছি তাই এই বোর্ডের বিটকেল প্রশ্ন ফেস করার বিস্তর অভিজ্ঞতা আছে।অন্য বোর্ডের মেধাবীদের হেয় করার জন্য বলছি না কিন্ত এই বোর্ডের আজগুবি প্রশ্নের তুলনায় ঢাকাসহ বেশির ভাগ বোর্ডেরই প্রশ্ন বেশ সহজ হয়।

বিশ্বাস না হয় যেকোনো টেস্টপেপার খুলে তুলনা করে দেখুন।সোজাসুজি প্রশ্ন না এসে এখানে প্রায়শই ঘোরানো প্যাঁচানো বিটকেল বিদঘুটে প্রশ্ন আসে।এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে প্রস্তুতি যত ভালই হোক ছাত্রদের পক্ষে প্রায়ই আশানুরূপ ফল করা সম্ভব হয় না।আবার যারা যেকোনো মূল্যে ভাল কএতে চায় তাদের অমানুষিক পরিশ্রম করতে হয়।শেষ পর্যন্ত তারা হয়ত লক্ষ্যে পৌছাতে পারে কিন্ত সাধারন এবং দূর্বল ছাত্ররা পাশের গণ্ডি পেরুতে পারেনা।যার ফলশ্রুতিতে রেজাল্টে এমন ধ্বস নামে।



আমার মায়ের একজন কলিগের মেয়ে এবার বেমালুম ফেইল করে বসেছে।ভাল ছাত্রী রেজাল্ট খারাপ হলে আর কতই খারাপ হবে?তাই বলে অংকে ফেইল ইংলিশে সি গ্রেড!!মেয়েটি পরীক্ষা ভাল দিয়েছে তাই ফেইল করার কোনো সম্ভাবনাই ছিল না।এমন ঘটনা যে এবার একটাই না তা আপনারা নিশ্চয় অনুমান করতে পারছেন।তবে এটা শুধু এবারের চিত্র না।অনেক কাল ধরেই এমনটা চলে আসছে।কিন্ত কোনো প্রতিকার নেই।কারন খাতা চ্যালেঞ্জ বলে একটা জিনিশের কথা আপনারা জানেন।যেটা অন্য বোর্ডে কাজ করে বলে শুনেছি কিন্ত এই বোর্ডে খাতা চ্যালেঞ্জ মানে শুধু শুধু কিছু টাকা ঢালা।কারন এপর্যন্ত খাতা চ্যালেঞ্জ করে কারো রেজাল্টের উন্নতি হয়েছে বলে শুনিনি।তাহলে কি যশোর বোর্ডের মূল্যায়ন এতই নিখুঁত যে আবার মূল্যায়ন করলে কোনো ভুল পাওয়া যায় না?

না জনাব।ভেতরের চিত্রটা ভীষন ভয়ংকর।কলেজ শিক্ষিকার সন্তান হওয়ার সুবাদে ভেতরের কিছু তথ্য আমার জানা আছে যা যেমন ভয়ানক তেমনি হতাশাজনক।

কেস ১
তখন সৃজনশীল পদ্ধতি চালু হয়নি।নমিতা(কাল্পনিক নাম) এইস,এস,সি পরীক্ষায় গোল্ডেন প্লাস পাবে বলে আশা করেছিল কিন্ত সে বাংলায় পেয়েছে সি গ্রেড।অন্যসব বিষয়ে এ প্লাস থাকলেও বাংলার গ্রেড তার রেজাল্টটিকে একটানে মাটিতে নামিয়ে দিয়েছে।নমিতা খাতা চ্যালেঞ্জ করে।থার্ড এক্সামিনার খাতা পরীক্ষা করে দেখেন তার লেখা চমৎকার রচনাটিতে বিশের মধ্যে দেয়া হয়েছে চার!যদিও সে চমতকার লিখেছে প্রতিটা পয়েন্ট যা কম দিলেও ১৬ পাওয়ার যোগ্যতা রাখে।ফার্স্ট এক্সামিনার একজন বয়স্ক অভিজ্ঞ শিক্ষক।থার্ড এক্সামিনার তাকে এত কম দেয়ার কারন জিগাসা করলে সে উত্তর দেয় তার মতে এই লেখা ১০ এর মধ্যে ৪ এর বেশি পাওয়ার যোগ্য না।হতভম্ব থার্ড এক্সামিনার আরো জিগাসা করে বুঝতে পারলেন যে অই শিক্ষক জানেন ই না যে রচনাতে ২০ নম্বর।কোন প্রাচীনকালে রচনাতে ১০ ছিল উনি তাই দেখে মূল্যায়ন করে যাচ্ছেন।বর্তমান পরীক্ষায় নম্বর বন্টন দেখে নেয়ার প্রয়োজন তিনি বোধ করেননি।অথচ এই লোক প্রতি বছর ৫০০ খাতা দেখেন।অর্থাৎ এই কাণ্ডজ্ঞানহীন মানুষটার জন্যে আরো অনেক নমিতারই জীবন নষ্ট হয়।

কেস ২
হানিফ সাহেবের(ছদ্ম নাম) মেজাজ ভীষন খারাপ।সেকেন্ড এক্সামিনার হিসাবে খাতা দেখতে গিয়ে তিনি আবিষ্কার করলেন একজন এক্সামিনার খুবই যাচ্ছেতাই মার্কিং করেছেন।অসংখ্য ভাল খাতাতে বাজে মার্কিং করার জন্য অনেক ছাত্রের মার্ক অনেক নীচে নেমে এসেছে।তিনি এক্সামিনার কে তলব করলেন।তাকে জিগাসাবাদ করার পর কোনো সদুত্তর পাওয়া গেল না।তিনি অসংখ্য খাতার মধ্যে কিছু খাতা সংশোধন করতে পারলেন কিন্ত রেজাল্ট প্রকাশের তাড়া আর স্বল্প সময়ের কারনে বেশির ভাগ খাতাই আবার মূল্যায়ন করতে পারলেন না।

এই ঘটনাগুলি সত্য।আপনারা হয়ত ভাবছেন এমন কেয়ারলেস এবং নীতি হীন শিক্ষকদের নিশ্চয় উপযুক্ত শাস্তি হয়েছে।কিন্ত না আপনি ভুল ভাবছেন।এধরনের ভুল যে কি মারাত্মক প্রভাব ফেলে তা আপনারা সবাই জানেন।এমন ভুল করার জন্য শাস্তির ব্যবস্থাও আছে কিন্ত বাস্তব ক্ষেত্রে কি হয় তা জানার জন্য আর একটি কেস।

কেস ৩
রফিক সাহেব প্রধান পরীক্ষক হিসাবে চ্যালেঞ্জ হওয়া একটি খাতা দেখতে বসেছেন।ইংরেজিতে যে ছেলেটা ভীষন ভাল তা তিনি ছাত্রটির লেখা দেখেই বুঝেছেন।ছেলেটি ৭২ পেয়েছে কিন্ত এর ৮০র উপরে পাওয়ার কথা।রিএরেঞ্জ এ এসে তিনি পুরো থ হয়ে গেলেন।ছাত্র পুরোটা ঠিক লিখেছে কিন্ত সেটা কেটে দিয়ে ০ দেয়া হয়েছে।তিনি রিএরেঞ্জ এ ১০ নম্বর দিয়ে দেন।কিন্ত তারপর অন্য উত্তর থেকে এক দুই নম্বর করে কেটে দিলেন যাতে গড় নম্বর একই থাকে।ইচ্ছা না থাকলেও তাকে কাজটা করতে হয় কারন এমন মারাত্মক ভুল ধরা পরলে এক্সামিনারের চাকুরি চলে যাবে।স্বজাতি কে বাঁচানোর জন্য এই অন্যায় কাজ তার বরাবরই করতে হয়।

সকলের জন্য জানাচ্ছি যে এসব ঘটনার পাত্রদের নাম কাল্পনিক হলেও ঘটনাগুলো বাস্তব।অন্য বোর্ডের কথা জানিনা কিন্ত যশোর বোর্ডে এমন ঘটনা যুগ যুগ ধরে চলে আসছে।কনফিডেন্ট ছাত্ররা খাতা চ্যালেঞ্জ করে ঠিকই, মূল্যায়ন এর ভুলও ধরা পড়ে কিন্ত শিক্ষকদের বাঁচানোর জন্য বলী হতে হয় ছাত্রদের।কতজনের কত স্বপ্ন অধরা থেকে যায় এর ফলে।আমার নিজের বেলায়ও আমি কোনো প্রতিকার পাইনি।এই না পাওয়া মার্কসটুকুর কারনে আমি আমার স্বপ্ন ছুঁতে পারিনি।এই ব্যার্থতা সত্যিকার অর্থেই আমার জীবনটা একদম বদলে দিয়েছে।সেসব যদিও বেশ আগের কথা কিন্ত এবারের রেজাল্ট দেখে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে হয়েছে।উফ!হাজার হোক ফেইল তো করিনি।

যশোর বোর্ডের খারাপ রেজাল্টের কিছু কারন হচ্ছে-
১। অযৌক্তিক রকম কঠিন আর ফালতু প্রশ্ন।

২।খাতা মূল্যায়ন এর জন্য স্বল্প সময়।যার ফলে পরিক্ষকরা অনেকসময় হেলাফেলা করে খাতা দেখে।এভারেজ মার্কস দেয়ার জন্য ভাল ছাত্ররা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

৩।খাতা চ্যালেঞ্জ করলে কোনো লাভ হয় না কারন ভুল থাকলেও শিক্ষকদের বাঁচাতে ছাত্রদের বলী দেয়া হয়।

৪।অযোগ্য পরীক্ষকের কাছে খাতা দেয়া।এরা খাতা ভালমত না দেখেই নম্বর দেয়।

৫।আমার জানামতে একজন পরীক্ষক ২০০ খাতা দেখতে পারেন কিন্ত অনেকে টাকার লোভে অসাধু উপায়ে ৫০০ বা তারো বেশি খাতা নেন।অল্প সময়ে এত খাতা দেখা যে সম্ভব নয় তা আপনারা বুঝতে পারছেন।ইনারা যে শুধু হেলাফেলা করেই খাতা দেখে না তারা অন্য মানুষকে দিয়েই খাতা দেখায় যেটা আইনত দন্ডনীয়।

৬।দায়িত্ব অবহেলার জন্য শাস্তির বিধান থাকলেও তার যথাযথ প্রয়োগ নেই।

এস,এস,সি এবং এইচ,এস,সি একজন মানুষের জীবনের খুবই গুরুত্বপূর্ন পরীক্ষা।বলা যায় এখান থেকেই একজন মানুষ তার সমগ্র জীবনে কি করবে বা ক্যারিয়ার কি হবে তা নির্ধারিত হয়ে যায়।এই দুই পরীক্ষার জিপিএ দিয়েই মানুষ সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে।তাই অন্য বোর্ডের তুলনায় যশোর বোর্ডের খারাপ ফলাফলের কারন যথাযথ ভাবে নির্ণয় ও তার প্রতিকার করা খুবই দরকার।প্রশ্ন ফাঁস আর ঢালাও মার্কস এর যুগে কঠিন প্রশ্ন করে এই বোর্ডের সাথে অন্যগুলোর ফলাফলের যদি এত পার্থক্য হয় তখন ভয় জাগে,এটাই বর্তমানের শিক্ষার্থীদের স্ট্যান্ডার্ড এর আসল চিত্র নয়ত?এমন প্রশ্ন হলে অন্য বোর্ডের অবস্থাও কি এমন হতো?


এ প্রশ্নের উত্তর আমার জানা নেই তবে আমি মনে করি প্রশ্ন এমন হওয়া উচিত যাতে সব মানের শিক্ষার্থী কিছু না কিছু উত্তর দিতে পারে যেহেতু প্রশ্নটা শুধু অনেক মেধাবীদের জন্যই করা হয় না।আর একেক বোর্ডে একেক রকম প্রশ্ন করার দরকার কি?সারাদেশে কি একই প্রশ্নে মূল্যায়ন হওয়াই যুক্তিযুক্ত নয়?


খাতা চ্যালেঞ্জে শিক্ষকের ভুল পাওয়া গেলে তাকে যথাযথ শাস্তি দেয়া উচিত।হাজার হাজার মেধাবীর জীবন নষ্ট হবে কিন্ত শিক্ষকদের কোনো সাজা হবে না বরং পরের বছর তারা আবার সেই একই সু্যোগ পাবে এ কেমন বিচার?

আমি মনে করি না একটা বোর্ডে ফেইল করার মত এত বিশাল পরিমান ছাত্র থাকতে পারে।না জানি কত মেধাবী শিক্ষার্থী অভিমান করে আত্মহননের পথ বেছে নেবে।তাদের অসীম হতাশার মধ্যে ঠেলে দেয়া মানুষগুলো কি চিরকাল ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাবে???

মন্তব্য ৩৩ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৩৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:


খেজুরের রস খেয়ে সবাই মাতাল থাকে?

১০ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৩৫

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: কি উত্তর দেব বুঝতে পারছি না!

২| ১০ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৪৬

সাইলেন্স বলেছেন: আমি নিজেও যশোর বোর্ডে এস,এস,সি এবং এইচ,এস,সি দিয়েছি। আপনার সাথে পুরাপুরি একমত।

১০ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৫৯

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: আমি মনে করি যশোর বোর্ডের সবাই একমত হবে।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৩| ১০ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৮:০৪

পীরবাবা বলেছেন: আপনার সাথে পুরাপুরি একমত। X(

১০ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৮:১০

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

৪| ১০ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৮:২২

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
সহমত।

১০ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:১১

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: ধন্যবাদ

৫| ১০ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:০২

আহমেদ রশীদ বলেছেন: যশোর বোর্ডকে ধন্যবাদ আমি গণিতে খুব খারাপ করার পরেও প্রথম শ্রেণীর নাম্বার পেয়েছিলাম

১০ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:২০

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: ভাই আপনি অনেক লাকি।কিন্ত যারা ভাল পরীক্ষা দিয়ে খারাপ রেজাল্ট পায় তাদের অনেক দুঃখ লাগে।বুঝুন তাহলে কিভাবে মূল্যায়ন হয়

৬| ১০ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:৫৯

সুফিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার সময়োপযুগী লেখাটার জন্য। জানতে পারলাম অনেক কিছু। আমরা তো কোনদিন কল্পনাই করতে পারিনি যে যেসব শিক্ষকরা খাতা দেখেন তাদের যোগ্যতার মানদন্ড নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে ? আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের স্বার্থে এ ধরনের শিক্ষকদের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের সতর্ক হওয়া উচিত।

++++++++++

১০ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:৫৬

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: আসলেই দায়িত্ব পালনে শিক্ষকদের অবহেলা আসলেই বন্ধ হওয়া দরকার।মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৭| ১০ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:২১

গোধুলী রঙ বলেছেন: আমিও যশোর বোর্ড থেকে পাস করা, আমার অভিজ্ঞতা বলে বোর্ডে আসলেই গাধা গরুরা বসে থাকে।

১০ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:৫৮

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: তারা গাধা কিনা জানিনা তবে তারা যে কাণ্ডজ্ঞান হীন তা নিশ্চিত

৮| ১০ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:৩৬

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: এক্সামিনার বলেন বা থার্ড এক্সামিনার...এরা যে কী পরিমান অবহেলা আর অজ্ঞতা নিয়ে খাতা দেখে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না...একটি ভাল মানের উত্তরপত্র মূল্যায়নের নূন্যতম যোগ্যতা অধিকাংশ শিক্ষকেরই নেই...হতাশাজনক হলেও সত্য!

১১ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:০৫

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: খাতা দেখার জন্য কিন্ত সুস্পষ্ট নীতি রয়েছে।উধাহরন হিসাবে যখন মন বা মেজাজ খারাপ থাকে তখন খাতা দেখা নিষেধ যাতে এর বিরূপতা মার্কিং এর উপর না পরে।কিন্ত কিছু শিক্ষক এসবের ধার ধারে না।টাকার লোভে বেশি বেশি খাতা নেয়,যাতা করে দেখে দায়িত্ব শেষ করে।

৯| ১০ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:২১

তিক্তভাষী বলেছেন: নামের সাথে বিজ্ঞান শব্দটি জুড়ে দেয়া থাকলেও হিসাববিজ্ঞান কোন বৈজ্ঞানিক বিষয় নয়। এটি সফলভাবে অর্থ-সম্পদ, লাভ-লোকসানের হিসাব রাখার একটি নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতি মাত্র। এস.এস.সি-র হিসাববিজ্ঞান বইতে দেখলাম সেখানে সৃজনশীল পদ্ধতির নামে কতগুলো অপ্রয়োজনীয় এবং উটকো কাজ-কর্ম করতে বলা হচ্ছে যা হিসাব সংরক্ষণে কোনোভাবেই কাজে আসবে না। অদ্ভুত উটের পিঠে চড়েছি আমরা!

১১ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:১৩

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: আপনার সাথে সহমত ভাই।শিক্ষাব্যবস্থারর অবস্থা আসলেই ছ্যাড়াবেড়া।মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১০| ১০ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:৩৯

মোগল সম্রাট বলেছেন: পাছা উদাম কইরা বাইরানো দরকার সব গুলারে..................

১১ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:১৫

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: খারাপ বলেন নি ভাই। :)

১১| ১০ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:৪০

আমিনুর রহমান বলেছেন:


আমি নিজেও খাতা চ্যালেঞ্জ করেছিলাম এইচএসসি তে কিন্তু যেই লাউ সেই কদু। ছাত্র বা ছাত্রের অভিভাবকদের খাতা দেখার সুবিধা নাই। উনারেই দেখবে আবার উনারাই বলে দিবেন খাতা ঠিকই আছে কোন সমস্যা নাই।


চমৎকার পোষ্ট +

১১ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৩১

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: আমি কিন্ত এজন্মে শুনিনি খাতা চ্যালেঞ্জ করে কেউ উপকৃত হয়েছে এই বোর্ডে।অনিয়ম গুলো দ্রুত বন্ধ হওয়া দরকার।

১২| ১০ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:০১

হু বলেছেন: সব বিরোধী দলীয় শিক্ষক। সরকার কে হেও করার জন্য এই ব্যবস্থা। আর যশোর বোর্ডে বিরোধীদলীয় শিক্ষক বেশী। :P :P :P

১১ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৩২

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: হা হা হা---ভালই বলেছেন ব্রাদার।

১৩| ১০ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭

আহমদ জসিম বলেছেন: খুবই গুরুত্বপূর্ণ লেখা, পড়লাম।

১১ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৩৮

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই।এই সমস্যার সমাধান করা খুব জরুরি।দু তিন টা শিক্ষকের চাকুরি গেলে সবার টনক নড়বে।চাকুরী গেলেও তো তারা দিব্বি প্রাইভেট পড়িয়ে রাজার হালে থাকবেন কিন্ত রেজাল্ট খারাপ হলে শত শত ছেলেমেয়ে সারা জীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে যাবে।

১৪| ১১ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:০৮

ভিটামিন সি বলেছেন: আমি যখন একাদশ শ্রেণীতে পড়ি, তখন আমার পাশের বাড়ির এক শিক্ষক গণিতের ৫০০ খাতা দেখতে দিয়েছিলেন। আমি খাতা বাড়িতে নিয়ে এসে দেখি এগুলা সব মাদ্রাসার (সাথে একসেট প্রশ্নপত্র দেয়া) আর নাম্বার উনি দিয়ে ফেলেছেন কিন্তু প্রথম পাতায় তোলেন নি। আমাকে নির্দেশ দিলেন ফাইনাল চেক করার জন্য। প্রত্যেকটা প্রশ্নের উত্তর পাশে দেয়া আছে, খাতায় যদি উত্তর মেলে তাহলে নম্বর চেক করতে যে তিনি দিয়েছেন কিনা? উত্তর না মিললে সেটা আর চেক করতে হবে না। আমার মনে প্রশ্ন জাগলো কেউ যদি অর্ধেক অঙ্কটা করে অথবা পুরো অঙ্কটা করে শেষ লাইনে উত্তরটা না লিখে তাহলে কি হবে? হ্যাঁ পুরো খাতা দেখে এমন অনেকই পেলাম। আমি খাতা দেখাটাকে এডভেঞ্চার হিসেবে নিলাম যে সব অঙ্কই একটা একটা করে চেক করবো। অনেক ছাত্রের নম্বর বেড়ে গিয়েছিলো আমার সব অঙ্ক দেখার সিদ্ধান্তে। কারণ আমি আর আমার বড় আপা দিলে দুই চার লাইন অঙ্ক করেও দিয়েছি খাতা। এমন একজন ছিলো যার হাতের লেখা খুব সুন্দর, তার মোট উত্তর করা হয়েছে ২১ নম্বরের। সেখানে আমি আরো দুইটা অঙ্ক করে দিয়ে ৩১ বানিয়ে দুই গ্রেস দিয়ে পাশ করেয়েছিলাম। (গ্রেস ছিলো ২৮ টু ৩২) মোট ৫ নম্বর। তো আমার কথা হলো স্যাররা যে ভুল করেন না, তা না। ৩ জন এক্সামিনারেরই পুরো খাতা পরীক্ষা করা উচিত। খাতা দেখা টাকা কামানোর মেশিন না হয়ে শিক্ষকের প্রফেশনের অংশ ভাবা উচিত।

১১ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:১৪

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: আমি যখন স্কুলে পড়ি তখন বাসায় দুই কি তিন বারের জন্য বোর্ডের খাতা এসেছে।তখন খাতা দেখতে গিয়ে মায়ের অবস্থা হতো পাগলের মত।আমি এবং বাবা আআমার তিন বছরের ছোট বোনকে ভুলিয়ে অন্য ঘরে আঁটকে রাখতাম যাতে সে গুটিগুটি পায়ে গিয়ে আম্মাকে বিরক্ত করতে না পারে।তার এমনিতেই অনেক ঝামেলা।এত প্রেসার নিয়ে খাতা দেখা উচিত হবেনা বলেই উনি তা চিরকালের জন্য বাদ দিয়েছেন।

আমি আপনার এবিষয়ে পুরোপুরিভাবে একমত যে সব এক্সামিনারের উচিত সব খাতা পুরোপুরি দেখা।কিন্ত শুনেছি সময় স্বল্পতার কারনে নিরীক্ষক বা সেকেন্ড এক্সামিনার বিশাল লট থেকে দুই চারটা খাতা বের করে দেখেন।ভুল পেলে শুধরানো হয় আর বাকি গুলো যেমন কে তেমন থাকে।এক্ষেত্রেও শুধু মার্কস গুনে দেখার মধ্যেই নিরীক্ষণ সীমাবদ্ধ থাকে।ছাত্র কি লিখেছে এবং মূল্যায়ন ঠিক হয়েছে কিনা কেউ দেখেনা।

সিস্টেমটা চেঞ্জ হওয়া দরকার।যারা খাতা দেখতে পারবেন না তারা ছেড়ে দিলেই পারেন কিন্ত বেশির ভাগ লোকই টাকার লোভ সামলাতে পারেন না।ভুলভাল মার্কিং এর জন্য যদি কিছু লোকের চাকরি যেত তবে হয়ত তাদের হুশ হতো।

আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

১৫| ১১ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:২৫

মাহমুদা আক্তার সুমা বলেছেন: এখনকার যুগের ছেলে মেয়েরা কেন যে শিক্ষককে সালাম দেয় না তা বুঝলাম। আমরা তো শিক্ষক দেখলেই পায়ে হাত দিয়ে সালাম করতে পিছনে দৌড়াই। আজ শুনলাম আমার এক অফিসের আপার মুখে যে, তার মেয়েকে সাইন্সে পড়াতে পারছেন না কারন প্রতি সাবজেক্ট এ প্রতি মাসে ২০০০ হাজার টাকা করে প্রাইভেট ফি দিতে হবে। শিক্ষক কি ভক্ষক নাম ধারণ করলেন নাকি??? মাছের রাজা ইলিশ, জামাই এর রাজা মাষ্টার..। দুঃখিত ছন্দটা মিললনা বলে।

১১ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:২২

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: আপু ইলিশ এখনো মাছের রাজা থাকলেও জামায়ের রাজা কিন্ত ডাক্তার।
আর এইচ এস সি তে এ+ না পেলে ডাক্তার হওয়া সম্ভব না।আজ কাল অনেক শিক্ষকই বানিজ্যিক চিন্তা ভাবনা করেন কিন্ত নিজের আসল দায়িত্ব ঠিক মত পালন করেন না।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১৬| ১২ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:৩৭

হতভাগা রাজু বলেছেন: দেশের প্রতিটা বোর্ডে আলাদা প্রশ্ন হলে তাদের প্রত্যেকটা বোর্ডে আলাদা আলাদা ভার্সিটি থাকা উচিত ।যাতে ঐ বোর্ডের রেজাল্ট অনুযায়ী স্টুডেন্টরা পরবর্তিতে ভার্সিটিতে এডমিশন টেষ্ট দিতে পারে ।আর এসব ভার্সিটিতে কেবল ঐ বোর্ডের স্টুডেন্টরাই পড়বে ।
যশোর বোর্ডে স্টুডেন্টরা বৈষম্যের শিকার হয় কম জিপিএ নিয়ে অন্যান্ন ভাল পয়েন্ট পাওয়া বোর্ডের স্টুডেন্টদের সাথে এডমিশন টেষ্ট দিবে এটা অন্যায় ।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:৩৩

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: সব বোর্ডে এক প্রশ্ন হলেই কিন্ত ঝামেলা অনেক কমে যায়।সেই সাথে সংশ্লিষ্ট সবাই যদি যারযার কাজ ঠিকমত করে তাহলেই হয়।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

১৭| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৩

টরপিড বলেছেন: একটা ছাত্রের জন্য একেকটা নম্বর যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা বেশিরভাগ শিক্ষকই দুর্ভাগ্যবশত খেয়াল রাখেন না। আপনি হয়ত শুধু যশোর বোর্ডের কথা বলছেন, কিন্তু চিত্রটা কম-বেশি সব জায়গাতেই আছে। আমার এসএসসি ছিল কুমিল্লা বোর্ড থেকে, আর এইচএসসি ঢাকা বোর্ড থেকে। ঢাকা বোর্ডের পরীক্ষায় আমি প্রত্যাশা থেকে ২০-৩০ নম্বর বেশি পেয়েছি, আর কুমিল্লা বোর্ডের পরীক্ষায় প্রত্যাশার চাইতে কমপক্ষে ১০০ নম্বর কম পেয়েছিলাম। আমার ধারণা, কোন স্কুল বা কোন কলেজের খাতা, সেটাও নম্বর দেয়ার ক্ষেত্রে বিবেচনা করা হয়। যেটা দুঃক্ষজনক। এসএসসি'র খারাপ রেজাল্টের কারণে বাবা-মা'র স্বপ্নের 'জামাইর রাজা ডাক্তার' হওয়া হলোনা। আল্লাহর কাছে শুকরিয়াহ, তার চাইতে অনেক ভালো আছি এখন।

শিক্ষকদের আমরা চিরদিন সম্মান করে আসছি টাকার জন্য নয়, তাঁদের আদর্শের জন্য, মূল্যবোধের জন্য, সততার জন্য।

ধন্যবাদ আপনার চমৎকার লিখার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.