নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সন্ধ্যা প্রদীপ

আমার সমস্ত চেতনা যদি শব্দে তুলে ধরতে পারতাম

সন্ধ্যা প্রদীপ › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্প: নিষিদ্ধপল্লীতে এক রাত

০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৫


মুনিম মনে মনে বেশ অস্থিরতা বোধ করছিল।এবারই প্রথম এর আগে সে কখনো এমন জায়গায় আসেনি।মোরশেদ ভাই ঘুঘু লোক।কৃতজ্ঞতা দেখানোর কি পন্থাই না বেছে নিয়েছেন।একেবারে পুরুষ ঘায়েল করা পন্থা।কৃতজ্ঞ হওয়ার কারনও আছে।অফিসের পদটার আসল হকদার ছিলেন জামাল সাহেব কিন্ত ডাবল প্রমোশন নিয়ে পদটিতে জাঁকিয়ে বসার পেছনে তাদের অবিরাম সাপোর্ট এর অনেক অবদান রয়েছে।তাই প্রমোশনের পর তন্ময় যখন জিগাসা করল কি মোরশেদ ভাই ফিস্ট হবে না নাকি?তিনি হে হে করে বিকট স্বরে হেসে বললেন মোগলাই চাইনিজ তো রোজই হচ্ছে,আপনাদের জন্য বন্দোবস্ত করব অন্য জিনিস।একদম খাঁটি দেশি।আমাদের ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকতে দেখে গলা নামিয়ে ফিসফিস করে বলেছিলেন আরে মিয়া রেস্টুরেন্ট এর খাবার যেকোনো দিন হতে পারে কিন্ত আমি যে ফিস্ট দেব তাতে মন খুশি হয়ে যাবে।বয়সে কচি কিন্ত চরম এক্সপার্ট।একেকজন ঘরের মধ্যে স্বর্গ নামিয়ে আনতে পারে।

এমন প্রস্তাব হেলায় ঠেলে ফেলা যায় না তা পুরুষ মাত্রই বুঝতে পারবে।মোরশেদ ভাই তো ঘুঘু মাল তা আগে থেকেই জানত মুনিম কিন্ত তন্ময় আর রাজুর আগ্রহ দেখে ও বেশ অবাক হলো।ওর নিজের একটু একটু ইচ্ছা ছিল কিন্ত ভয় আর সঙ্কোচ ছিল তার চেয়ে বেশি।তবে স্রোতে গা ভাসানো ছাড়া উপায় ছিল না তার কারন পরের কয়দিন ধরে মোরশেদ ভাইয়ের সরস বর্ণনা তার মনেও আগ্রহের জোয়ার এনে দিয়েছিল।

আগে থেকেই সব ঠিক করা ছিল।বাসায় বলে এসেছে কলিগদের সাথে একদিনের পিকনিক মোরশেদ ভাইয়ের গ্রামের বাড়িতে তাই ওদিক থেকে কোনো ঝামেলা হবেনা আশা করা যায়।অফিস শেষ হতেই মোরশেদ ভাইয়ের বলে দেয়া ঠিকানায় রওনা হলো মুনিম।হালকা ব্যাগে এক রাতের মত জামা কাপড় নেয়া হয়েছে।রাস্তায় নেমে ভেবেচিন্তে একটা ক্যাব নিল মুনিম।ক্যাব একদম দোরগোড়ায় এসে থামার পর সে দেখল বেশ বড় সাইনবোর্ড এ লেখা হোটেল মুনলাইট।মুনিমের যেমন আশঙ্কা ছিল তেমন এঁদোগলির মাথায় পলেস্তারা খসা,রঙ ওঠা একতলা হোটেল নয় বরং চার তলা ঝকঝকে বিল্ডিং।রিসিপশন ও বেশ সাজানো গোছানো।দেখে মনে হলো ফ্যামিলি নিয়েও মানুষ এখানে থাকে।সবখানেই বেশ মার্জিত রুচির ছাপ।বাইরে থেকে দেখে বোঝার উপায় নেই যে এখানে অন্যরকম বিনোদনের ব্যবস্থাও রয়েছে।

মোরশেদ ভাইয়ের পাকা কাজ।উনি আগে থেকেই রুম ঠিক করে রেখেছেন সবার জন্য।রুমের সাথে সাথে কথিত অপ্সরাদেরও ঠিক করা হয়েছে পুরো একটা রাত এবং একটা দিনের জন্য।কাল সাপ্তাহিক ছুটি সন্ধ্যায় হোটেল থেকে বের হয়ে চাইনিজ ফিস্ট তারপর যার যার ঘরে ফেরা।তার নার্ভাসনেস দেখে সকলেই আশ্বাস দিয়ে বলেছিল আরে আমরা তো আশেপাশেই থাকব সমস্যা হলে ফোন দিলেই হলো।রিসিপশনে ৩২৪ নম্বর রুমের কথা বলতেই লোকটা অর্থপূর্ণ হাসি দিয়ে বেয়ারা ডেকে রুমে পৌঁছে দেয়ার নির্দেশ দিল।

সিঁড়িবেয়ে উঠতে উঠতে নানা কল্পনা আর উত্তেজনায় মুনিমের হৃদপিন্ড প্রায় গলার কাছে পৌঁছে যাচ্ছিল।রুমের সামনে গিয়ে বেয়ারা দরজায় নক করলে ভেতর থেকে মিষ্টি নারী কন্ঠের কেউ বলে উঠল,দরজা খোলা আছে!বেয়ারা হাতে কিছু টাকা গুঁজে তাকে বিদায় করে মুনিম কম্পিত হাতে দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকল।মাঝারি আকারের ঘর,ক্রিম রঙের দেয়ালে সবুজ পর্দা বেশ সুন্দর মানিয়েছে।আসবাব বলতে ছোট একটা ওয়ারড্রব,দুই সিটের একটা সোফা ও একটা ডাবল বেড।শুভ্র সেই বেডে হালকা গোলাপী নাইটি পড়া এক নারী বসে চিরুনি দিয়ে তার দীর্ঘ চুল আঁচড়াচ্ছে।চেহারা তার চুলে ঢাকা তবে খোলামেলা নাইটিতে তার অসম্ভব ফর্সা বাহু,কাঁধ,পিঠ দেখা যাচ্ছে।পাতলা কাপড়ের ভেতর দিয়ে তার সুতন্বী দেহ আর সুগঠিত স্তনযুগলের আভাস পাওয়া যাচ্ছে যা মুনিমের মাথায় আগুন ধরিয়ে দিল।

চুল আঁচড়াতে আঁচড়াতে সেই নারী মায়াবী কণ্ঠে বলে উঠল আমার নাম সুমাইয়া তবে আপনি আমাকে পছন্দমত যেকোনো নামে ডাকতে পারেন।তারপর সে মুখ থেকে চুল সরিয়ে তার দিকে তাকালো,মুখে পেশাদারী মোহনীয় হাসি।হঠাত মেয়েটির ডাগর চোখে বিস্ময় ফুটল,তারপর অদম্য ক্রোধে সুন্দর মুখটি বিকৃত হয়ে গেল।মেয়েটি ঝট করে উঠে দাঁড়িয়ে হাত ব্যাগটি তুলে নিয়ে বাথরুমে ঢুকে গেল।

এদিকে মুনিম যেন পাথর হয়ে গেছে।তার সমস্ত উত্তেজনায় কে যেন বরফ গলা পানি ঢেলে দিয়েছে।লৌহকঠিন কোনো হাত যেন চেপে ধরেছে তার হৃদপিন্ড।ঠিক ১০ মিনিটের মাথায় মেয়েটি বাথরুম থেকে বের হলো।নীল তাঁতের একটি শাড়ি পরিপাটি করে পড়া,লম্বা চুল খোপা করে বাঁধা।দেখে মনে হচ্ছে ঠিক যেন কারো ঘরের বউ।মেয়েটি ব্যাগ হাতড়ে তিনটি হাজার টাকার নোট বের করে ছুড়ে ফেলে বিছানায় তারপর বেড়িয়ে যেতে উদ্যত হয়।হতভম্ভ মুনি কি করবে বুঝতে না পেরে তার হাত চেপে ধরে।মেয়েটি এবার চোখ তুলে তাকায় তার দিকে না সেখানে কোনো ক্রোধ বা অভিমান নেই,নেই কোনো কান্নার আভাষ।শুধু এক আশ্চর্য নির্লিপ্ততা আর তার মাঝে উঁকি দিচ্ছে এক ধরনের বিদ্রূপ।সেই দৃষ্টি মুনিম সহ্য করতে পারেনা,হাত ছেড়ে দেয়।মেয়েটি দরজা খুলে মিলিয়ে যায় দৃষ্টিপট থেকে।


কি ভেবে রেখেছিল আর কি হল!!হতভম্ব মুনিম দরজা বন্ধ করে বিছানায় অবশ শরীর এলিয়ে দেয়।যেখানে মেয়েটি বসেছিল সেখানে এখনও মেখে রয়েছে মিষ্টি একটা গন্ধ।মুনিম বুক ভরে টেনে নেয় খুব চেনা সেই সুবাস আর ভাবে,আশ্চর্য! এখনও সে সেই একই পারফিউম ব্যবহার করে?

বালিশের নীচে হাত যেতেই হাতে কি যেন বাধে।চোখের সামনে টেনে আনতে দেখে একটা রূপালী চেইন তাতে ঝুলন্ত ছোট ছোট চাঁদ, তারা, ফুল, প্রজাপতি।এই গহনাটাও মুনিমের খুব পরিচিত।মেয়েটিন নিটোল হাতে এই ব্রেসলেটটি একসময় শোভা পেত।মুনিমের ঘড়ির সাথে,তার শার্টের বোতামের সাথে কতবার যে এটা আটকে গিয়েছে তার হিসাব নেই।


কিন্ত সেসব তো আজ ইতিহাস। ইতিহাস একটা চমৎকার সম্পর্কের।একসাথে পড়ার সুবাদে হয়েছিল পরিচয়,সেখান থেকে পরিণয়।বিশ্ববিদ্যালয়ের সপ্নীল জীবন শেষে বাস্তব জীবনে আসতেই হাসি আনন্দের সময় ফুরিয়ে গেল।সময় আসল দায়িত্ব নেয়ার।চার বছরের সম্পর্ক তো একটা পরিণতি দাবী করেই।মেয়ের পরিবারও দাবী করে একটি স্বনির্ভর সক্ষম পাত্র।

সক্ষম পাত্র হওয়ার ক্ষমতা মুনিমের ছিল কিন্ত সে তখন চাওয়া না চাওয়ার দোটানায় দিশেহারা।জীবনে কি করবে বা কি হলে ভাল হবে তাই সে বুঝতে পারতনা ঠিক করতে পারত না কর্মপন্থা।তাই দিন কাটতে থাকল যতটা সবকিছু ততটাই জটিল হয়ে উঠল।

মেয়েটি ছিল খুবই অভিমানী।একবুক অভিমান নিয়ে সে মুনিমের গা ছাড়া ভাব লক্ষ্য করত কিন্ত কিছুই বলতনা।চারিদিকের চাপে মেয়েটি যখন দিশেহারা তখন সে জবাব চেয়েছিল মুনিমের কাছে।মুনিমের মনে তখন কি ছিল তা সে নিজেও জানত না।মেয়েটিকে সে চাইত কিন্ত ধরে রাখার জন্য যা করা দরকার তা সে করতে পারবে কিনা তা জানত না।বিয়ে বা কারো দায়িত্ব নেয়া তার কাছে অনেক দূরের বিষয় বলে মনে হতো।তবুও সে মেয়েটিকে আশ্বাস দেয়।তারপর হয়ত কিছুটা চেষ্টাও করে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর।তবে অসময়ের চেষ্টা কতই বা ভাল ফল দিতে পারে?এভাবেই কেটে গেল বেশ কিছুদিন।

একদিন সন্ধ্যারাতে মেয়েটি মুনিমের বাসার দরজায় এসে দাঁড়ায়েছিল।সে নিজের বাড়ি আর পরিবার ছেড়ে এসেছে।মেয়েটির বয়স বাড়ছে তারা আর অপেক্ষা করতে রাজি নয়,বেকার পাত্রের হাতে কন্যাদান করতেও রাজি নয়।হয় পরিবারের কথা তাকে মেনে নিতে হবে নয়ত বাড়ি ছাড়তে হবে।কিন্ত মেয়েটি কিভাবে পরিবারের কথা মেনে নেবে?মুনিমকে নিয়ে যে সে মনেমনে স্বপ্নের সংসার সাজিয়েছে অনেক আগে।সেই সুখের ঘরকন্না ফেলে অন্য কাওকে নিয়ে ঘর বাঁধা তার পক্ষে সম্ভব না।তাই সে এক কাপড়ে সব ছেড়ে চলে এসেছিল মুনিমের কাছে।


সেই শীত শীত সন্ধ্যারাতে সব কিছু শুনে মুনিম দিশেহারা বোধ করছিল।তার যে কিছুই গুছিয়ে ওঠা হয়নি এখনও।সে যে এখনও প্রস্তুত না।মেয়েটিকে সে বোঝায়।বুঝিয়ে ফেরত পাঠাতে চায় নিজের পরিবারের কাছে।তার কথা শুনে মেয়েটির অঝোর কান্না থেমে যায়,তার চোখ জ্বলে ওঠে নতুন উপলব্ধির আভায়।কোনো কথা না বলে সে বেড়িয়ে আসে মুনিমের বাসা থেকে।সেই থেকেই মেয়েটি নিখোঁজ।

মেয়েটির পরিবার অনেক খোঁজ করেছে,খোঁজ করেছে সব বন্ধুবান্ধব।মুনিম নিজেও খুঁজেছে অনেক।কিন্ত মেয়েটি যেন বাতাসে মিলিয়ে গিয়েছিল।শহরের একটা ব্রীজের কাছে পুলিশ তার পরিচয়পত্র সহ হাতব্যাগ পেয়ে ভেবেছে সে নিশ্চয় নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।তাকে মৃত ধরে নেবার পর আরো ছয়টা বছর কেটে গেছে।তাই এতদিন পর মুনিম তাকে দেখবে তা স্বপ্নেও কল্পনা করেনি।

মেয়েটির হারিয়ে যাওয়ার পর মুনিমের যে কষ্ট হয়নি তাও না তবে সেই সাথে কেমন একটা মুক্তির স্বাদও মুনিম পেয়েছিল।ভুলেই গিয়েছিল মায়া নামের সেই অভিমানী মেয়েটিকে।তারপর সে সময় নিয়ে সক্ষমতা অর্জন করেছে।নিজের জীবনে সে সবকিছু নিয়ে সুখেই আছে বলা যায়।শুধু আজকের রাতটা সবকিছু উল্টাপাল্টা করে দিল।নিজের গোপনতম খেয়ালে মাঝে মাঝে মেয়েটির মৃত্যুর জন্য নিজেকে দায়ী মনে হতো মুনিমের।মনে হতো সেদিন একটু সাহস করে হাতটা ধরাই উচিত ছিল অসহায় মেয়েটির।তবে এমন চিন্তা এক বা দুই সেকেন্ডের বেশি স্থায়ী হতো না।


তবে এখন যে সত্যের মুখোমুখি হয়েছে সে তা কি মুনিমের পিছু ছাড়বে?একজন পুরুষের জন্য ঘর ছেড়ে এসে সেই পুরুষের কাছেও যখন আশ্রয় পায়নি তখন মেয়েটি হারিয়ে গেছে নিষিদ্ধপল্লীর নামহীন অন্ধকার গলিতে।যে নারীর কোনো আশ্রয় থাকেনা সেই নারীরকে আশ্রয় দেয়ার মত এই একটাই তো নিরাপদ জায়গা আছে পৃথিবীতে।সমাজের চোখ থেকে,ভালবাসার ব্যার্থতা থেকে,পরিবারের জবাবদিহি থেকে একটি মেয়েকে সযত্নে আড়াল করে রাখতে পারে এই নিষিদ্ধপল্লী। তার বিনিময়ে শুধু বিকিয়ে দিতে হয় দৈহিক পবিত্রতা।

মুনিম শুয়ে শুয়ে ভাবে,যে কোনো ঘরের লক্ষী বউ হতে পারত মেয়েটি।তবুও কেন এত কঠিন পথ বেছে নিল সে?মাত্র তিন হাজার টাকার বিনিময়ে কেন এক রাতের জন্য অন্যপুরুষের স্ত্রীর অভিনয় করা?এতকিছুর পরেও কেন মেয়েটির চেহারায় কোনো গ্লানি নেই,নেই কোনো কালিমা?জ্বলজ্বলে লাবন্য নিয়ে বরং ফুটে আছে এক তাপসীর সাধনালব্ধ প্রশান্তি।ভেবে ভেবে সে কূলকিনারা পায়না।


নিজের ঘরে মেয়েটিরও আজ নির্ঘুম রাত কাটে।অনেক স্মৃতি ভীড় করে আসে তবুও চোখ দিয়ে জল নামেনা তার।অনুভুতিগুলো অবশ হয়েগেছে অনেককাল আগে।সে এই জগত বেছে নিয়েছে কারন এজগত আশ্চর্যরকম অকপট।ভণ্ডামির কোনো জায়গা নেই এখানে।এখানে কেউ সাধু হওয়ার ভান করেনা।বাইরের দুনিয়ার মত পরিবারের লোক কখনো বলবে না নিজের খুশি বাদ দিয়ে আমাদের কথা মেনে নাও নয়ত বেড়িয়ে যাও।এটা বলে আবার দাবীও করবে না যে আমরা তোমার ভাল চাই।

এখানে কোনো পুরুষ দাবী করবে না তোমায় ছাড়া বাঁঁচবনা।তারা আসবে এক রাতের ভালবাসার জন্য।সেটা পেলেই তারা খুশি হবে।বাইরের দুনিয়ার প্রেমিকের মত মুখে ভালবাসার ফেনা তুলে চরম বিপদের সময় কাপুরুষের মত সঙ্গ ত্যাগ করবে না।ভালিবাসি কথাটা সবাই সহজেই বলতে পারে কিন্ত পালন করার সদিচ্ছা থাকে কতজনের?বাইরের দুনিয়ার কপটতার প্রতি মায়ার ঘেন্না ধরে গেছে।
মায়া তাই এজগতে বাসিন্দা হয়েছে যেখানে সবাই বলবে তোমাকে চাই কিন্ত কেউ দাবী করতে আসবে না তোমাকে ভালবাসি।


ভোর হয়ে যখন চারিদিক আলো হয়ে উঠেছে তখন মুনিম হোটেল থেকে বের হয়ে আসে।চারিদিকে কেমন নির্মল হাওয়া।হাঁটতে হাঁটতে সে পকেটে হাত দিয়ে ব্রেসলেটটা অনুভব করে দেখে।যে মায়াকে সে এতকাল ভুলে ছিল কাল রাতের পরে কি তাকে আর ভুলতে পারবে?তার কৃতকর্মের জ্বলজ্বলে সাক্ষী হয়ে সে কি বারবার সামনে আসবেনা?

সামনে একটা ডিপার্টমেণ্টাল স্টোর কেবল খুলেছে সেটা দেখে মুনিমের মনে পড়ল নীলা বাবুর জন্য গুড়াদুধ নিয়ে যেতে বলেছে।স্ত্রী সন্তানের মুখ মনে পড়তেই মুনিমের মুখে হাসি ফুটে ওঠে।স্টোরে ঢুকে কেনাকাটা করতে করতে তার বুকের পাথর নেমে যেতে থাকে।সে বুঝতে পারে সে মায়াকে আবার ভুলে যেতে পারবে।


হ্যাঁ,মুনিমরা সত্যিই পারে সবকিছু দ্রুত ভুলে গিয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে।প্রলয়ঙ্করী সত্যগুলো শুধু রাতের দু:স্বপ্নেই দেখা দেয় মাঝে মাঝে।তাইত তাদের জীবন হয় সার্থক,সুন্দর।আর তাদের জন্যেই মায়ারা চিরকাল থেকে যায় অন্ধকারে।

মন্তব্য ৬৯ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৬৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: এভাবে কত মায়া জীবন নামক টর্চার মেশিনের ছায়া হয়ে থাকে! তাদের কে দেখে সবাই, কিন্তু ছুঁতে পায় না।
আপনার লেখা বেশ প্রাঞ্জল।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৩

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: দায়িত্ব নিতে না পারলে কারো জীবন নিয়ে ছেলেখেলা করতে নেই একথা কেউ মনে রাখেনা।মায়াদের দিকে কেউ পেছন ফিরে চায় না।

সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। :)

২| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০০

নবাব চৌধুরী বলেছেন: মায়ার গল্পটা মায়ার মতোই মায়ামতী,অসংখ্য ভালো লাগা থাকলো।ভালো থাকবেন ভালো করে।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৭

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: মায়ার গল্পটি ভাল লেগেছে জেনে খুব ভাল লাগছে।
আপনার জন্য রইল শুভ কামনা।

৩| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০২

জিরো ডাইমেনশন বলেছেন: গল্প শুরু হতেই তো শেষ হয়ে গেল। ক্লাইম্যাক্স টা সুন্দর ছি্ল। কিন্তু একটু তাড়াহুড়ো ভাব থেকেই যাচ্ছে। শুভকামনা রইল।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১১

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: আমার উপরে কিন্ত অতিরিক্ত প্যানপ্যান করান অভিযোগ আছে।তাই এবার ভাবলাম গল্পটি অল্প পরিসরে লেখার চেষ্টা করি। #:-S :D
মন্তবের জন্য ধন্যবাদ রইল।

৪| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১২

তাসজিদ বলেছেন: দারুণ !!! যদিও মন খারাপ করা লেখা.।.।.।.।.।.।.।.।।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৫

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: ধন্যবাদ।
মন খারাপ অনুভুতি নিয়েই লেখাটা লিখেছি তাই এটা এমন দু:খের হয়েছে। :(

৫| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৬

আজিজার বলেছেন: দারুন লিখেছেন।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৭

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: ধন্যবাদ :)

৬| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৯

তাসজিদ বলেছেন: আমরা কি কখন ভাবি যে কেন একটি মেয়েকে পরিবার ছেড়ে ওই অন্ধকার গলি তে যেতে হয়? কতটা করুণ আর্তনাদ থাকে ওই কানা গলিতে?

০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫১

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: ঠিকই বলেছেন আপনি এসব আসলেই আমরা ভাবতে চাইনা।অন্ধকার গলিতে মানুষ যায় সাময়িক সুখ খুঁজতে
এর পেছনের দীর্ঘশ্বাস কেউ দেখতে চায়না।

৭| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: পড়ে আরাম পেলাম , দারুণ লিখেছেন ! দারুণ !!

০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৩

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা। :)

৮| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০১

কানিজ রিনা বলেছেন: কে বলেছে এমায়া অন্ধকার গলি, মনিমদের মত
এরকম অসংখ্য মুনিম আছে যারা সতি সাদ্ধী স্ত্রী
পুত্র পুত্রী রেখে মায়াদের নিয়ে আনন্দ করে বেড়ায়।
স্ত্রীও কি মায়ার মতই মেয়ে নয়। কোন বিশ্বাস ঘাতক মুনিমের দহনে সংশারে সন্তানদের নিয়ে
পুরছে। এসব মুনিমরা সংশার নামক সাইন বোড
টাঙিয়ে। মায়াদের তৈরি করে আর মায়াদের নিয়েই
আনন্দর সাগরে গা ভাসিয়ে চলে। যুগ যুগ ধরে।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৮

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: হ্যাঁ মায়াদের গল্পের মতই মুনিমদের স্ত্রীদের গল্পও আরেক করুন কাহিনী।যারা আত্ম অভিমানে মায়াদের মত সমাজ সংসার ফেলে চলে আসার সাহস রাখেনা তারা ঘরের বউ হয়ে মুনিমদের হাতে নিগৃহীত হয়।চিরকাল জয় শুধু মুনিমদেরই হয়।

৯| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৬

হামিদ আহসান বলেছেন: ঝরঝরে গদ্য৷ দারুন লিখেছেন গল্পটা ....

০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০০

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ হামিদ আহসান ভাই।

১০| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৭

সাদিকনাফ বলেছেন: হতাশিত!!

০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০১

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: কষ্টের গল্প লিখে আমিও আসলে হতাশিত

১১| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৬

জুন বলেছেন: আপনার লেখাগুলো অনেক ভালোলাগে। এ গল্পটিও ব্যাতিক্রম নয়।
কিন্ত সেই উদ্ভিদ নিয়ে আরেকটি পর্ব লিখবেন বলেছিলেন, তার প্রতীক্ষায় ছিলাম সন্ধ্যা প্রদীপ।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৫

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জুন।
আসলে ঐ পোস্টটি লিখব লিখব করছি কয়দিন থেকে কিন্ত কেমন আলসেমি পেয়ে বসেছে তাই লেখা এগোচ্ছে না।দিয়ে দিব কিছুদিনের মধ্যেই। :)

১২| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৭

হাতুড়ে লেখক বলেছেন: ভণ্ডামির কোনো জায়গা নেই এখানে।এখানে কেউ সাধু হওয়ার ভান করেনা।বাইরের দুনিয়ার মত পরিবারের লোক কখনো বলবে না নিজের খুশি বাদ দিয়ে আমাদের কথা মেনে নাও নয়ত বেড়িয়ে যাও।এটা বলে আবার দাবীও করবে না যে আমরা তোমার ভাল চাই।
ভাই এতো ভালো লিখেন কি করে? শুভ কামনা রইল।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২২

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই।আপনার জন্যেও অনেক শুভ কামনা রইল।

১৩| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: মায়ার কাহিনীটা একটু বাড়াবাড়ি মনে হয়েছে অামার কাছে । সে কেন এই পথে গেলো, খোলাসা হয়নি । সে কি অভাবী ছিলো? মুনিমকে তো খলনায়ক বানিয়ে দিলেন । অবশ্য এমনটা হয়! যাহোক, ভালো হয়েছে ।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৬

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: হ্যাঁ কাহিনীটা আসলেই এক্সট্রিম।
না মায়া অভাবী ছিল না তবে সে ভীষন অভিমানী ছিল।মুনিম তাকে অস্বীকার করার পর তার পক্ষে ফিরে যাওয়া সম্ভব ছিল না।যার জন্য পরিবার ত্যাগ করে পথে বেরিয়েছিল সে ফিরিয়ে দেয়ার পর বন্ধু আত্মীয় বা সমাজের কাছে সেই চেহারা নিয়ে যাওয়া অসম্ভব ছিল।তাই সে হারিয়ে গিয়েছিল।সাধারণ কোনো মেয়ে হলে বাড়ি ফিরে সংসারী হতো,সারা জীবন ধরে শুনত প্রেম আর প্রেমে ব্যার্থতার গঞ্জনা।শেষে হয়ত মুনিমের স্ত্রীর মতই প্রতারিত হতে হতো।

না ভাই মুনিম খলনায়ক নয়।সে আমাদের সমাজের হাজার হাজার ছেলের মত রেগুলার একটা ছেলে যে ভালবাসা পাওয়ার জন্য প্রতিশ্রুতি দিতে পারে কিন্ত সময়কালে দায়িত্ব এড়িয়ে যায়।

পরিশেষে মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

১৪| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৫

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: অন্ধকার গলিতে যাবার দরকার কি ? ঘরে ফিরে গেলেই তো হয়। সেটা অন্যদের জন্য দৃষ্টান্ত হয়। প্রতারক শ্রেণী হতে অন্য অবলা নারীরা সাবধান হতে পারে।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫০

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: অনেকেই ঘরে ফেরে আবার অনেকে ফিরতে পারেনা।অনেকে কিন্ত আত্মহত্যাও করে!
এই গল্পটি এমন একজনের গল্প যে ঘরে ফিরতে পারেনি।
ভাল থাকবেন।ধন্যবাদ।

১৫| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৬

মুহাম্মদ তারেক্ব আব্দুল্লাহ বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেনতো আপনি, প্রতিভাবান লেখক ।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫৮

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: লজ্জা পাচ্ছি এত প্রশংসায়। :`> :``>>
আপনার জন্য শুভ কামনা রইল।

১৬| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫০

শাহরিয়ার সনেট বলেছেন: ভাল কিন্তু মন টা খারাপ হয়ে গেল!

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০০

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: মন খারাপ হওয়ারই কথা।
ধন্যবাদ।

১৭| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৬

অস্পষ্ট নিয়ন আলো বলেছেন: একটানে পড়ে শেষ করলাম।ভালো লেগেছে....

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০১

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: বাহ আপনার ব্লগিং নামটা তো চমৎকার!!
গল্প ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগছে। :)

১৮| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৩

উল্টা দূরবীন বলেছেন: গল্পের চেয়েও গল্পের ভাষাটা প্রাঞ্জল। ভালো লাগা আর হতাশার মিশ্রিত সংকর অনুভুতি।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০৮

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
কাওকে হতাশ করতে ইচ্ছা না করলেও হতাশার গল্প চলে আসে মাঝেমধ্যে।

১৯| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১২

গেম চেঞ্জার বলেছেন: মন টা খারাপ হয়ে গেল! কি বলব(!)

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৪

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: আহারে!!

২০| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৩০

কিরমানী লিটন বলেছেন: তাসজিদ বলেছেন: আমরা কি কখন ভাবি যে কেন একটি মেয়েকে পরিবার ছেড়ে ওই অন্ধকার গলি তে যেতে হয়? কতটা করুণ আর্তনাদ থাকে ওই কানা গলিতে?

মনটা বিষাদ, ছুঁয়ে গেলো...
শুভকামনা রইলো আপনার জন্য !!!

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৫

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: না আমরা হয়ত ভাবতে চাইনা।
শুভ কামনা এবং ধন্যবাদ।

২১| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৪৯

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: গল্পটা সুন্দর ছিল। পড়তে ভাল লাগছিলো। ভেবেছিলাম আরো বড় হবে গল্পটা। ছোট হওয়াতে হতাশ হলাম।

তবে গল্পের মূল থিমটা ফূঁটে উঠেছে ঠিকই। সুন্দর লিখেছেন। :)

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৬

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে রক্তিম দিগন্ত। :)

২২| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২৪

অগ্নি সারথি বলেছেন: সুন্দর গল্প তবে একটু একতরফা হয়ে গেছে। যাই হোক, শূভ কামনা।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৫

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: এটা জীবনের সেই মোড় যেখানে একজনের বেঈমানি সমস্ত জীবনটা পালটে দিতে পারে বা নষ্ট করে দিতে পারে।মুনিম কিন্ত আগে থেকেই মায়াকে খোলাখুলি বলতে পারত সে এখনও প্রস্তুত না।মুনিমের মনের কথা জানলে মায়া মোটেও বাড়ি ছেড়ে বের হতো না।কাওকে এভাবে আশা দিলে যেকোনো পরিস্থিতিতেই কিন্ত পাশে দাঁড়ানো উচিত।তাইনা?
মাঝেমাঝে দোষ একতরফা একজনেরই থাকে।
আপনাকেও শুভ কামনা অগ্নি সারথি।

২৩| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৭

নিশাকর বলেছেন: আপ্নার জরিমানা হওয়া উচিত, এই ভালো মনটারে নস্ট কইরা দিলেন

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৬

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: জরিমানা হিসাবে একটা হাসিখুশি গল্প লিখে দেব সামনের বার।

২৪| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৬

পাহাড়ের ছেলে বলেছেন: এককথায় অসাধারণ। মনের ভেতর একটা মোচড় দিয়ে ওঠল।ভাল হয়েছে,আরো লিখুন।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৮

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পাহাড়ের ছেলে।আরো আরো গল্প লেখার ইচ্ছা আছে।দেখা যাক কি হয়।

২৫| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১২

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: সুন্দর লেখেন আপনি!! পরিচ্ছন্ন একটি গল্প!! ভাল লাগল!
অনেক শুভেচ্ছা আপনার জন্য!!!

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০১

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: গল্পটি আপনার ভাল লেগেছে জেনে সত্যিই খুব ভাল লাগছে।
আপনার জন্যও শুভকামনা। :)

২৬| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৩

জনাব মাহাবুব বলেছেন: অসাধারণ একটি গল্প পড়লাম।

মায়ার জন্য আমার মনে মায়ার সৃষ্টি হয়েছে। এই মায়া সৃষ্টির জন্য লেখককে কৃতিত্ব দিতেই হয়। :D

গল্পটা বেশি বড় না হয়ে ছোট হওয়াতে ভালো হয়েছে। অহেতুক প্যানপ্যানি বাদ দিয়েও অল্প কথায় বিশাল গল্প বলা যায়। :)

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১০

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: মায়ার জন্য মায়া সৃষ্টি হয়েছে জেনে ভাললাগছে কারন তাহলে আপনার দ্বারা নিশ্চয় নতুন কোনো মায়া সৃষ্টি হবেনা। :)

কত অল্প কথায় কত বিশাল কিছু বুঝানো যায় ও হেনরির গল্প গুলো পড়লেই তা স্পষ্ট হয়।ভাষার উপর এমন দখল আনা রীতিমত দুরূহ ব্যাপার!!!আমার অবশ্য বেশি কথা বলা স্বভাব।তবুও চেষ্টা করে যাচ্ছি গুছিয়ে লেখার।
পরিশেষে চমৎকার মন্তব্যের জন্য জানবেন ধন্যবাদ।

২৭| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৭

ঢাকাবাসী বলেছেন: দারুণ লিখেছেন, খুব ভাল লাগল। বাস্তবে এরকমটা আছে অনেক।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১৮

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: হ্যাঁ বাস্তবে আসলে এধরনের কাহিনী আছে।
ধন্যবাদ এবং শুভকামনা।

২৮| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪১

হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: শেষ অংশটা খুব ভাল লাগল।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১৯

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: তাই?
অনেক ধন্যবাদ।

২৯| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৬

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: বর্ণনা এবং টুইস্ট মিলিয়ে দারুণ গল্প । ভাল লেগেছে ।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২৩

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: :) :) ধন্যবাদ।
ভাল থাকবেন।

৩০| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩২

জেন রসি বলেছেন: একটি স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে গল্প লিখেছেন। গল্পে মধ্যবিত্ত জীবনের পাওয়া, না পাওয়ার দ্বন্দ্ব আছে। পেয়েও হারিয়ে ফেলার আক্ষেপ আছে। সাবলীল বর্ণনা ভালো লেগেছে।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০০

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: বিষয়টি আসলেই স্পর্শকাতর কারন এধরনের ঘটনা প্রায়ই হয়।বেশিরভাগ মেয়েই হয়ত ঘরে ফিরে আশে।সহায়সম্পত্তি নানা কিছুর লোভ দেখিয়ে বা মোটা টাকা যৌতুক দিয়ে পাত্রও জোগাড় করা হয়।কিন্ত সারা জীবন মেয়েটিকে শুনতে হয় প্রেম করে ঘর ছাড়া আর ব্যার্থ হওয়ার গঞ্জনা।সমাজে,শশুরবাড়িতে বা স্বামীর কাছে তার কিন্ত সন্মান থাকেনা।সারা জীবন এভাবে মাথা নীচু করে চলাটা কিন্ত কম কষ্টের নয়।

সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ সেই সাথে অনেক শুভকামনা।

৩১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৪৪

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: নির্মল-প্রাঞ্জল বর্ণনায় দারুণ গল্প।এরকম অসংখ্য মায়ারা তাদের স্বপ্ন পূরণে সক্ষম হয় না।আর তার জন্য আমাদের গতানুগতিক সমাজই দায়ী বলে মনে হয়

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৮

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: সমাজের দায় তো অবশ্যই আছে এখানে।সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

৩২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৮

হু বলেছেন: ভেবে ছিলাম অনেক বড় একটা মন্তব্য করব। কিন্তু মনে হয় আর পারলাম না। মনটা খারাপ হয়ে গেল। সুন্দর গল্পের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৫

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য

৩৩| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৮

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:

চমৎকার, বেশ ভাল লিখসেন ||

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১০

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: ধন্যবাদ

৩৪| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৯

সুলতানা রহমান বলেছেন: মুনিম রা সব ভুলে যায়, যেতে পারে। কারণ এদের কোন বিবেক নেই।
গল্প ভাল লেগেছে।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৩

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: ঠিক বলেছেন আপু।ধন্যবাদ।

৩৫| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: গল্পটা পড়ে মাথাটা টালমাটাল হয়ে গেল যেন! জীবন আসলে বড় বিচিত্র, বড় আজব, সাথে বড়ই নিষ্ঠুর, নির্মম।

আপনার লেখনী নিয়ে কিছু বলার নেই, এক কথায় চমৎকার, ঝরঝরে, টানা পড়ে যাওয়া, মুগ্ধতা। +++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.