নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সন্ধ্যা প্রদীপ

আমার সমস্ত চেতনা যদি শব্দে তুলে ধরতে পারতাম

সন্ধ্যা প্রদীপ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নভেল করোনা ভাইরাস কি সত্যিই একেবারে অজানা কিছু, না এর পেছনে রয়েছে অবহেলা ও ষড়যন্ত্র?

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ২:২২



বর্তমান বিশ্বকে দারুন আতংকে রেখেছে নভেল করোনা ভাইরাস। ইতিমধ্যেই যত ধরনের ব্যাখ্যা এবং সতর্ক বার্তা সারা পৃথিবীতে প্রকাশিত হয়েছে যে আমরা সবাই এ বিষয়টি সম্পর্কে মোটামুটি জানি।

কিন্ত সত্যিই কি চীন করোনা ভাইরাস সম্পর্কে কিছুই জানত না?আজ রাতদুপুরে এই ভিডিওটি দেখে বেশ চমকে উঠলাম।যেখানে বলেছে প্রায় এক বছর আগে পাবলিশ হওয়া একটা রিসার্চ জার্নালে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে বলা হয়েছে।এবং এ ধরনের ভাইরাস যে বাদুর থেকে ছড়াতে পারে সে সম্পর্কেও আলোকপাত করা হয়েছে।মহামারী নিয়েও সতর্ক করা হয়েছে।এই পেপারটাও কিন্ত চাইনিজ উহান প্রদেশেরএতগুলো।প্রশ্ন হচ্ছে এটাই যে চাইনিজ গভর্মেন্টে কিভাবে এতবড় ব্যাপার এড়িয়ে গেল??? লোকের প্রান কি সস্তা??ভিডিও লিংক নিচে---
ভিডিও লিংক




এটি দেখে আমাদের দেশে ডেংগুর মহামারীর কথা মনে পড়ে গেল।আমাদের দেশে মানুষের প্রানকে সস্তাই ধরা হয়।গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলোতে অনিয়মটাই এখানে নিয়ম।তাই প্রান রক্ষার দায়িত্বটাও একান্তই আমাদের বলে মনে করতে হয়।সে যাই হোক এ ধরনের অবহেলা চীনের মত দেশের থেকে আশা করা মুশকিল।কি জানি কি বৈশ্বিক পলিটিক্স আছে এর ভেতরে!!কিন্ত এভাবে নিরীহ মানুষের প্রান ঝরলে বুকের ভেতরে রক্তক্ষরণ হয়।সেটা আরো বেড়ে যায় যখন জানা যায় চাইলে সে প্রানহানী প্রতিরোধ করা যেত।


চাইনিজদের খাদ্যাভ্যাসের কারনে নানারকম রোগ বালায় ছড়ানো সম্ভব।120 এর বেশি রকমের প্রানীর মাংস নাকি শুধু অনলাইন থেকেই অর্ডার করা যায়।তাহলে ফ্রেশ মার্কেটে না জানি কত কিছু পাওয়া যায়।তারা আবার অর্ধসিদ্ধ এবং কাচা
মাংশ অবলীলায় খেয়ে ফেলে।অনেক আগে ব্লগেই একটা লিংক পেয়েছিলাম যেখানে ছবি এবং রেসিপি সহ বলা ছিল যে কিছু কিছু রেস্টুরেন্টে অর্ডার করলে নাকি হিউম্যান ফিটাস স্যুপ পাওয়া যায় এবং ধনী কাস্টমার নবযৌবন পাওয়ার আশায় সেই স্যুপ খেয়েও থাকে।চাইনিজ রুপকথার বইয়ে এমন গল্প পেয়েছি যেখানে হিরো ভুতের উপদ্রব ওয়ালা বাড়িতে গিয়ে ভুতকে কব্জা করার পর রান্না করে তার মাংশ খেয়ে ফেলে!!(আই মিন রিয়েলি??? একেতো ভুত,তারপর তার মাংশ!!আজগুবিরও লিমিট আছে)


যাইহোক এতদিন নিশ্চিত ছিলাম এই ভেবে যে আমরা যতই ভেজাল খাইনা কেন হাবিজাবি জিনিসের মাংশ তো খাইনা। নিপাহ ভাইরাসের ভয়ে দেশের মানুষ খেজুর রস খাওয়া তো প্রায় ছেড়েই দিয়েছে।আজ সোস্যাল মিডিয়ায় একটা নিউজ দেখে সেই শান্তিও উধাও হলো। নাটোর থেকে বাদুর শিকার করে যশোরে পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়েছে এক লোক।এইগুলো নাকি বিভিন্ন হোটেলে মুরগী বা পাখির মাংস বলে বিক্রি হতো।ইন্টারনেট থেকে জানলাম দেশে এই ঘটনা আগেও ঘটেছে।ছবি নিচে দেয়া হলো।


মানুষ কতোটা লোভের কারনে এমন নিচে নামতে পারে?

যাইহোক সবাই ভাল থাকুন।সতর্ক থাকুন।








তথ্য, ছবি ও ভিডিও সূত্রঃ ইন্টারনেট

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:৫০

ইমরান আশফাক বলেছেন: তাই তো বলি কিছু কিছু হোটেলে চিকেন বিরিয়ানী এত সস্হায় দেয় কি করে! :|| B:-) :-P

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:৪৪

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: সেটাই।
সেই সাথে মরা মুরগীতো আছেই।এই লোক নাকি ২৫ টাকা পার পিছ করে বাদুরগুলো বিক্রি করতো।এখানে হারাম বা হালালের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ রোগ সংক্রমণের ভয়।

২| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:২৩

নীল আকাশ বলেছেন: এই জানোয়ার টাকে কাঁচা বাদুরগুলি সিদ্ধ করে খাইয়ে দেয়া উচিত!

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:৪৭

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: যে এইকাজ করতে পারে সে যে খেতে পারবে না তা আমি মনে করিনা।
বাদুরগুলোর সাথে এটাকেও মাটিচাপা দেয়া উচি। কারন তার গায়ে তো ভাইরাস গিসগিস করার কথা।
হোটেল মালিকগুলো আরও কঠিন সাজা হওয়া দরকার।

৩| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: উফ আল্লাহ !!

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:২৬

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: :(

৪| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৪০

ঢাবিয়ান বলেছেন: কি ভয়ঙ্কর তথ্য!!!

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৫২

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: সেটাই

৫| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৬

একাল-সেকাল বলেছেন:
ভালো পোষ্ট । দেখলাম ভিডিও টা, বুঝলাম, there (chinese) are harmful of themselves & us. সার্চ ২০০৩, মার্স ২০১২ এর চাইতে ভয়াবহতা বেশী জানতে পেরেই কি চীন তার ইকনমির স্বার্থে এই গবেষণাপত্র অপ্রকাশিত রেখেছিল ? আশা করি প্রকাশ হবে।
WHO ভারত কে নিয়ে একটা রিপোর্ট করেছে, ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে ২/৩ কোটি প্রাণহানির শংকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে সেই রিপোর্টে।
বাংলাদেশ চীন ভারতের মধ্যবর্তী দেশ হওয়ায় ভৌগোলিক কারনে অবশ্যই ঝুঁকিপূর্ণ।
সতর্কতা সর্বত্র হোক !

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৫৭

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: আমার কাছেও মনে হয়েছে বানিজ্যিক কারনটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
কিন্ত ধামাচাপা দিয়ে তো ভাইরাস ঠেকানো যায় না।এখন যে অবস্থা তাতে চীনের অর্থনীতিতে যে প্রভাব পড়ছে তাও দৃশ্যমান হচ্ছে।এখন শুধু প্রার্থনা করি রোগটি আর কোথাও ছড়িয়ে না পড়ুক

৬| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১:১২

অভি চৌধুরী বলেছেন: আপনার ঠিক ক্বেন মনে হলো মুরগীর চেয়ে বাদুর সহজ লভ্য এবং সস্তা? বলবেন কি? জংলা থেকে একটি একটি করে বাদুর ধরে সেটা শহর পর্যন্ত আনতে কি পরোমান শ্রম আর অর্থ খরচ করতে হবে আপনি কি জানেন? একটা বাদুরের গড় ওজন কত হয় আপনি কি জানেন? কয়টা বাদুর এক সাথে করলে একটা মুরগীর ওজনের সমান হবে জানেন?


১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:০৮

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: ভাইজান রিল্যাক্স---
আমি জানি মুরগী পাখি জাতীয় (phylum- chordata,class- Aves) আর বাদুর আপনার আমার মতই স্তন্যপায়ী প্রানী (Phylum- Chordata,Class- Mammalia) এবং বাদুরই একমাত্র স্তন্যপায়ী যারা উড়তে পারে..আমরা যে ছোট প্রজাতির চামচিকা ধরনের বাদুর দেখি তারা ওজনে কম হলেও ফ্রুটব্যাট আকারে বেশ বড় হয়।কোনো কোনো প্রজাতি দেড় কেজি সাইজেরও হতে পারে।সাইজ যাই হোক আপনার প্রশ্নের জবাবে বলছি আমি এটা জানি যে মুরগী যত সহজলভ্যই হোক না কেন সেটা কেউ ফ্রি তে দেয় না।মুরগী পেলেপুষে বড় করতেও অনেক শ্রম ও অর্থ ব্যায় করতে হয়।অন্যদিকে অসত লোকের জন্য একটু কষ্ট করে বাদুর ধরা ব্যাপার না।এখানে যদি সে অন্যলোকের মুরগী চুরি করতে যায় তবে সরাসরি মার খাবে কিন্ত বনে থাকা বাদুরের মালিক তো কোনো মানুষ না তাই এখানে সেই ভয় থাকছে না।

এখন আপনার কাছে আমার প্রথম প্রশ্ন হলো যে আপনি কেন মনে করলেন যে আমি বানিয়ে বানিয়ে একটা খবর প্রাচার করছি যেখানে স্পষ্ট করে বলাই আছে যে সোস্যাল মিডিয়ায় কয়েকটি সূত্র থেকে খবরটি নেয়া।

আপনার কাছে আমার ২য় প্রশ্নটি হচ্ছে এদেশে কি কুকুর, শেয়াল, মরা গরু এবং মুরগী বিক্রি করতে গিয়ে ধরা পড়ার খবর আসেনা?সবাই কি সততার সাথে বিজনেস করে?

আপনার যদি ফেক নিউজ মনে হয় নিজে ইন্টারনেট ঘেটে শিওর হওয়ার চেষ্টা করুন এবং মানুশকে বৃথা অভিযোগ করা থেকে বিরত থাকুন।

ধন্যবাদ


৭| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:১৫

অজ্ঞ বালক বলেছেন: এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার খবর চীন থেকে বের হল কিভাবে সেটাই ভাবি! ওদের রাজধানীতে বোমা বিস্ফোরণ হয় আর সেখানে থাকা বিবিসির সাংবাদিকরা কিছু জানতেও পারেনা! সেখানে এই ভাইরাসের কথা জানতে পারাটাই বুঝিয়ে দেয় করোনার প্রভাব কতটা ভয়ঙ্কর ও সুদূরপ্রসারী।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:১২

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: ভাইরাসটার প্রভাব আসলেই ভয়াবহ কিন্ত এটাও কিছুদিনের মধ্যে থেমে যাবে।তার আগে সেটা অন্যান্য দেশে অতটা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে না পড়লেই হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.