নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সন্ধ্যা প্রদীপ

আমার সমস্ত চেতনা যদি শব্দে তুলে ধরতে পারতাম

সন্ধ্যা প্রদীপ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভালোবাসার দিনের গল্পঃ সেদিন দুজনে

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৫৫



ইরা রাকিবের দিকেএকরাশ অবিশ্বাস নিয়ে তাকিয়ে থাকে।তার পা থেকে মাথা পর্যন্ত আগুনের হলকার মত রাগ ছড়িয়ে পড়তে থাকে।শরীর চিড়বিড় করে জ্বলতে থাকে,শরীরের রক্ত যেন রাগের উত্তাপে বাষ্পীভূত হয়ে যায়।সেই উত্তাপে ফরসা গোল গোল গালদুটো লাল হয়ে ওঠে। সে প্রেসার কুকারের মত ফুঁসতে থাকে মনে হয় এখনি এটম বোমার মত ফেটে পড়বে।
ওদিকে চুপচুপে ভেজা কাকের মত হয়ে রাকিব চুপচাপ বসে থাকে মাথা নিচু করে।ইরা তখনও বিশ্বাস করতে পারে না যে এইমাত্র রাকিব এক বোতল স্প্রাইট নিজের মাথায় ঢেলেছে।ইরা বলে ওঠে -বল তুমি এই কাজটা কেন করলা?কিভাবে করলা তুমি এই কাজটা?
রাকিব কোনো উত্তর দেয়না, তেমনি মাথা নিচু করে থাকে।
তার ভাব দেখে ইরার রাগের বারুদে যেন আগুন ধরে যায়।সে উঠে দাড়িয়ে বলে-- তুই কোনো মানুষের বাচ্চা না।আমি থাকবনা আর তোর সাথে।তুই জাহান্নামে যা!
এই বলে ইরা হন হন করে হাটতে থাকে আর ভাবে মানুষ কিভাবে এমন করতে পারে!কিভাবে মানুষ এমন হয়!

অথচ ঘটনা তেমন গুরুতর কিছু না।অনেকদিন থেকেই রাকিব বলে আসছিল চল দুজনে মিলে একটা মুভি দেখি।সেদিন ক্লাসের পর লাঞ্চ সারতে সারতে বিকাল হয়ে গেল।ইরার সাথে ল্যাপটপ ছিল বলে ক্যাফের বারান্দায় দুজনে বসেছিল একটা সিনেমা দেখতে।ইরা জিগাসা করেছিল রাকিবকে যে কি ধরনের মুভি দেখবে।রাকিব বলেছিল তার কোনো চয়েস নেই যেকোনো একটা হলেই চলে।ইরা ভেবেচিন্তে হালকা ধরনের একটা হিন্দি মুভি চালিয়ে দেয়।এটা সে গত সপ্তাহে দেখেছে,কিছুটা হাসির,কিছুটা রোমান্টিক ধরনের মুভি।খুব ভাললাগার মত কিছুনা,খুব উচ্চমানেরও কিছু না।তবুও থাকেনা কিছু সিনেমা যেটা দেখে টাইম পাস করা যায়, আজগুবি লাগে না বা মনের উপর চাপ পড়ে না,এটাও ঠিক তেমনি।

সিনেমা শুরু হওয়ার কিছুক্ষন পর থেকে রাকিব শুরু করল ফোড়ন কাটা।এটা এমন কেন,ওটা তেমন কেন,এটার জায়গায় ওটা হলে ভাল হতো।ইরা প্রথমে হাসি মুখেই ছিল,রাকিবের কথায় বেশি পাত্তা দেয়নি।কিন্ত একটু পর সে বিরক্ত হয়ে ওঠে,তার কিছুটা মনও খারাপ হয়।মাত্র আধা ঘন্টা মুভি চলার মধ্যেই রাকিব এমন সব মন্তব্য আর বিচার বিশ্লেষণ করেছে,মনে হয় সে নিজেই অনেক বড় বিশেষজ্ঞ।এইবার ইরা বলে -থাক তাহলে এই মুভিটা বাদ দিই।তুমিই বরং বল কি দেখবা।
রাকিব বলে- বাদ দাও।কি দেখে তুমি আমাকে এই মুভি দেখাতে চাইলা?এইটা কোনো মুভি হলো?

এবার ইরার বাস্তবিকই মন খারাপ হয়।সে তো আর জোর করেনি।তার কাছে তো মুভি এতটা খারাপ লাগেনি যতটা রাকিব বলেছে।আর ভদ্রতা বলেও তো একটা কথা আছে।রাকিব কেন বুঝছে না এভাবে কথা বলা মানে ইরার রুচিকে আঘাত করা।ওর কাছে ভাল না লাগলেও তো ইরার খাতিরে সে দেখতে পারত।না জেনে কতই না খারাপ জিনিস মানুষ দেখে ফেলে।তাতে আর এমন কি হয়।তাছাড়া মুভি দেখা তো আসল কথা নয়,আসল হলো দুজনে পাশাপাশি কিছু সময় কাটানো ।গার্লফ্রেন্ড এর জন্য মানুষ কি এটুকু করতে পারেনা?সে তো হলে ফিরে রেস্ট নিতে চেয়েছিল,রাকিবের অনুরোধেই তো এখানে বসে আছে।

ল্যাপটপ বন্ধ করে ইরা উঠে দাড়ায়।দুজনে পায়ে পায়ে হেটে ক্যাফের স্ন্যাক স্টল থেকে দুই বোতল চারশ মিলি স্প্রাইট কেনে।পাশেই একটা জায়গা দেখে দুজনে বসে।স্প্রাইট খেতে খেতে ইরা লক্ষ্য করে রাকিব বেশ উৎফুল্লতা নিয়ে হাবিজাবি কথা বলছে,ইরার যে মনটা খারাপ হয়েছে এব্যাপারে তার কোনো মাথাব্যাথা নেই।

ইরা ঠিক করে রাকিবের সাথে সরাসরি কথা বলবে।সে রাকিবকে বোঝানোর চেষ্টা করে যে এমন আচরণ করলে যে কেউ মনে কষ্ট পাবে,সেও পেয়েছে।

রাকিব ইরার কথা শুনতে থাকে কিন্ত কিছু বলে না।একটু পর সে নিজের আধাখাওয়া স্প্রাইটটা নিজের মাথায় ঢেলে ফেলে।মোটামুটি এই ছিল ঘটনা।

ইরা রাগে ফুসতে ফুসতে সামনে এগিয়ে যেতে থাকে আর ভাবে কিভাবে পাবলিক প্লেসে মানুষ এমন কাজ করতে পারে।আর সে এমন কি কথা বলেছে যে এমন করতে হবে?ইরা ভাবে রাকিব নিশ্চয় মানসিকভাবে অসুস্থ।

সামনে একটা রিকশা দেখে সে হাত নেড়ে রিকশা থামায়।ততক্ষণে রাকিব তার পিছু নিয়েছে।ইরা রিকশা থামা মাত্র তাতে উঠে বসে বলে- মামা চলেন।অমুক হল।

এই পর্যায়ে রাকিব চেষ্টা করে রিকশায় ইরার পাশে উঠে বসার।ইরা চিতকার করে ওঠে- খবরদার তুই আমার কাছে আসবি না! এই মামা চালাও না কেন?ইরা রিকশাওয়ালাকে ধমক লাগায়।রিকশাওয়ালার ইতস্তত ভাব দেখে তার আরো গা জ্বলে যায়।সে আবার ধমকে ওঠে।এবার রিকশাওয়ালা রিকশা টানতে শুরু করে।

আর আধা ঘন্টার মাঝেই সন্ধ্যা নেমে যাবে।এসময় এই জায়গাটাতে ভীড় জমতে শুরু করে।স্টুডেন্টরা বেড়াতে বের হয়।চা কফি, ফুচকা চটপটি, সিংগাড়া দিয়ে নাস্তা করে।গান-গল্প -আড্ডা চলতে থাকে। তাই রাস্তায় বেশ অনেক মানুষ চলাচল করছে।ইরা রাকিবের যে আচরণকে তার জীবনের সবচেয়ে অভাবনীয় ঘটনা ভেবেছিল সেটা ছাপিয়ে রাকিব প্রমান করে যে ইরার জীবনে এর চেয়েও অভাবনীয় ঘটনা ঘটা বাকি ছিল।

সে ইরার রিকশার পেছন পেছন দৌড়ানো শুরু করে!!

ইরা নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারেনা।যে মানুষ একটু সমঝোতা করে চলতে পারেনা,মনখারাপের খবর রাখে না সে কেন এমন কিছু করবে?
রিকশাওয়ালা রাকিবকে দৌড়াতে দেখে রিকশার গতি স্লো করে ফেলে।রাকিব এখন প্রায় রিকশার পেছন পেছন দৌড়াচ্ছে।ইরা রিকশাওয়ালাকে তাড়া লাগায়- মামা জোড়ে চালাতে পারনা?

রিকশাওয়ালা মুখ কাচুমাচু করে বলে--খালা,মামারে তুইলা নিই।এমন দৌড়াইয়া আসতাছে,মামার কষ্ট হইতাছে।
ইরা বলে-মামা আপনার সেটা ভাবা লাগবে না, আপনি জোরে চালান।রিকশাওয়ালা তাও কচ্ছপের গতিতে প্যাডেল করতে থাকে আর রাকিব পুরো রাস্তা দৌড়ে পেছনে পেছনে আসতে থাকে।

স্টুডেন্টরা অনেক পাগলামি ছাগলামি করে তাই কেউ কিছু দেখে অবাক হয়না।তবে একটি মেয়ের রিকশার পেছনে পেছনে একটি ছেলে দৌড়াচ্ছে এটা খুব বেশি দেখা যায়না তাই সবাই অবাক হয়ে তাকাচ্ছে।ইরার কান গরম হয়ে ওঠে লজ্জায় আর রাগে।

মনে মনে ভাবে কেন এমন সিন ক্রিয়েট করল ছেলেটা?পিছু পিছু আসতেই যদি হয় আর একটা রিকশা নিয়ে আসতে পারত না সে?এই যে রাস্তার মানুষগুলোর মধ্যে অনেকেই হয়ত আছে পরিচিত।তারা কি ভাববে?কেউ যদি ইরাকে জিজ্ঞাসা করে ইরা কি জবাব দেবে?আসলেই এই ছেলেটা কোনো মানুষের বাচ্চা না!

এদিকে রিকসাওয়ালা মামা বার বার পিছনে ফিরে দেখছে, একবার মিনমিন করে বলার চেষ্টা করল--খালা রাগ কইরেন না মামারে তুইলা নেই?

ইরা মনে মনে ভাবে সিচুয়েশন সামাল দেয়ার এটা একটা উপায় কিন্ত সে কিছুতেই ওই অবিবেচক জানোয়ারটার পাশে বসবে না।এখন সে হলে চলে যাবে।একবার হলে ঢুকতে পারলে আর কোনোদিন রাকিবের ফোন ধরবে না,কোনো সম্পর্ক রাখবে না।ইরার রাগ কিছুতেই কমে না কিন্ত রিকশাওয়ালার ভাব দেখে একটু হাসিও পায়।

এদিকে রাস্তায় দৌড়ে ক্লান্ত হয়ে রাকিব কিছুটা পিছিয়ে পড়ে।ইরার রাগ কমবে না বুঝে রিকশাওয়ালা এবার একটু স্বাভাবিক গতিতে চালিয়ে তাকে হলের সামনে নিয়ে যায়।

ইরা রিকশা থেকে নেমে দ্রুত ব্যাগ থেকে টাকা বের করে দেয়ার চেষ্টা করে কিন্ত অনেক খুঁজেও সে টাকার পার্সটা পায়না।তার বিশ্বাস হতে চায়না এটা তার সাথে ঘটছে।স্প্রাইট এর বিল দেয়ার সময়ও পার্স তার হাতে ছিল।নিশ্চয় তাহলে পার্সটা যেখানে বসেছিল সেখানে ফেলে এসেছে।সে হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে থাকে।পার্সে তার মোবাইল ফোন,ন্যাশনাল আইডি, টাকা,রুমের চাবি আরো কতকিছুই না আছে।ওটা হারালে সর্বনাশ।এদিকে হলের বাইরে থাকলে রাকিব এসে সিন ক্রিয়েট শুরু করতে পারে,সেটা অনেক লজ্জার ব্যাপার হবে।রিকশাওয়ালা মামাকে ভাড়াও তো দিতে হবে! ইরার মাথা কাজ করেনা, সে হলের গার্ডকে জিজ্ঞাসা করে তার কাছে 10 টাকা আছে নাকি।

এমন সময় রাকিব এসে পৌঁছে যায়।ইরার হতভম্ব ভাব দেখে জিজ্ঞাসা করে কি হয়েছে।ইরা শুধু বলতে পারে আমার পার্স মনে হয় রেখে এসেছি,আমার টাকা মোবাইল ঘরের চাবি সব ওখানে!

রাকিব রিকশাওয়ালা কে ভাড়া মিটিয়ে দিয়ে অন্য একটা রিকশায় দ্রুত উঠে পড়ে বলে- আমি গিয়ে দেখছি পাই কিনা।

ইরা কোনোমতে তার রুমে ফেরে।একে আকস্মিক এতসব ঘটনা তাতে আবার পার্সের টেনশন।আবার যার চেহারা দেখবে না বলে ঠিক করেছে তার কাছেই সাহায্য নিতে হলো?এমনও ঘটে নাকি দুনিয়াতে?
সে মূর্তির মত বিছানায় বসে থাকে,তার কান্না পেতে থাকে। ইরার রুমমেট রুমে এসে তাকে দেখে বলে -আপু কি হয়েছে?আপনাকে এমন লাগছে কেন?
ইরার চোখে এবার সত্যিই জল আসে,সে বলে জানো তোমার ভাইয়া আজকে কি করেছে?
সে ঝগড়া করে নিজের মাথায় এক বোতল স্প্রাইট ঢেলেছে।তারপর যখন আমি রাগ করে হলে চলে আসব তখন সেই এই পুরো পথ আমার রিকশার পেছনে পেছনে দৌড়ে এসেছে।

এই কথা শুনে ইরার রুমমেট হাসতে থাকে,বলে- ভাইয়ার মাথায় মনে হয় ডিস্টার্ব আছে।আপনি মন খারাপ করেন না আপু।সে হাসতেই থাকে।

রুমমেটের হাসি দেখে এবার ইরাও হেসে ফেলে।বাথরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে জামাকাপড় পালটে রুমে আসতে না আসতেই হলের আয়া ইরার কালো পার্সটা দিয়ে যায় আর বলে -গার্ডে কইল এক মামায় আপনের নামে এইডা দিয়া গেছে।ইরা খুলে মিলিয়ে দেখে সব ঠিক আছে।মনে মনে ভাবে থ্যাংক গড!দ্রুত না গেলে হয়ত এটা আর পাওয়া যেত না।


নিজের মনে শান্ত করে এককাপ গরম চা নিয়ে জানালার ধারে বসে ইরা সন্ধ্যা নামতে দেখে আর ভাবে যখন তার নাতিনাতনি হবে তখন তাদের কাছে গল্প করবে কিভাবে এক পড়ন্ত বিকেলে তাদের নানু বা দাদু ইরার রিকশার পেছনে পেছনে দৌড়েছিল!

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর গল্প। পার্স হারানোটা দুঃখজনক।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:২৬

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: গল্পটা আপনার ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগল।

২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৫৫

মোহাম্মদ রিদওয়ান আল হাসান বলেছেন: অসাধারণ!

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:২৬

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: তাই? ধন্যবাদ। :)

৩| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:২২

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: গল্পটা আপনার ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগল।

আমার মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৩২

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: রাজীব নুর ভাইজান--
আপনি সত্যিই অনেক মজার মানুষ।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
:) :) :)

৪| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:২০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা

নাতিরা নিশ্চয়ই হেসে কুটি কুটি হবে ;)

ভালবাসা মানেই পাগলামী

+++

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৮

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: আসলেই--ভালোবাসা মানে পাগলামি-- :D তবে সকল পাগলামি ভালোবাসা নয়।

৫| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৩২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: দারুণ ,বেশ ভালো লাগলো ।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩০

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: ধন্যবাদ ও শুভকামনা :)

৬| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:৩০

হু বলেছেন: ছেলেটা নিশ্চয় অনেক ভালো আর বোকা ছিল, না হলে পিছু পিছু দৌড়াত না

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:২৩

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: কি জানি! ছিল হয়ত!! B-)
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৭| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৫১

নীল আকাশ বলেছেন: মানুষের জীবনের মোড় কত দ্রুতই না বদলে যেতে পারে !!!
আরেকটা পড়লাম। গল্প তো ভালোই লিখেন দেখছি। আপনার আরও লেখা পড়তে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.